বিভাগের আর্কাইভঃ আলোকচিত্র

7 - Sonakand Durgo (67) - Copy - Copy

আরও কিছু গামারি

গত বছর ২০১৭ সালের ৬ই মার্চ এবং এই বছর ২০১৮ সালের ৩ মার্চ ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত বোটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়ে গামারি ফুলের অনেক গুলি ছবি তুলেছিলাম।

বেশ কিছুদিন আগে দুটি আলাদা আলাদা টপিকে গামারি ফুলের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছি আমি। আজ আরো কিছু গামি ফুলের ছবি দিচ্ছি।

ফুলের নাম : গামারি
অন্যান্য নাম : গামার, গাম্বার, সুভদ্রা, কৃষ্ণবৃন্তা, শ্রীপর্ণী, কম্ভারী, গোপভদ্রা, মধুমতি, সুফলা, মেদেনী, কাশ্মরী, ভ্রমরপ্রিয়া ইত্যাদি।
ইংরেজি ও কমন নাম : Chandahar Tree, Cashmere Tree, Comb Teak, White Teak ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Gmelina arborea

দাশগুপ্ত বাড়ির কালী প্রতিমার ছবি

দাশগুপ্ত বাড়ির কালী প্রতিমার ছবি।

“জয়ন্তী মঙ্গলাকালী ভদ্রাকালী কপালিনী
দুর্গা শিবা ক্ষমাধাত্রী স্বাহা স্বধা, নমোহস্তুতে”

‘কালী’ শব্দটি ‘কাল’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ, যার অর্থ “কৃষ্ণ, ঘোর বর্ণ” (পাণিনি ৪।১।৪২), মহাভারত অনুসারে, এটি দুর্গার একটি রূপ (মহাভারত, ৪।১৯৫), আবার হরিবংশ গ্রন্থে কালী একটি দানবীর নাম (হরিবংশ, ১১৫৫২)। ‘কাল’, যার অর্থ ‘নির্ধারিত সময়’, তা প্রসঙ্গক্রমে ‘মৃত্যু’ অর্থেও ব্যবহৃত হয়। এর সমোচ্চারিত শব্দ ‘কালো’র সঙ্গে এর কোনও প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই। কিন্তু লৌকিক ব্যুৎপত্তির দৌলতে এরা পরস্পর সংযুক্ত হয়ে গেছে। মহাভারত-এ এক দেবীর উল্লেখ আছে যিনি নিহত যোদ্ধা ও পশুদের আত্মাকে বহন করেন। তাঁর নাম কালরাত্রি বা কালী। সংস্কৃত সাহিত্যের বিশিষ্ট গবেষক টমাস কবার্নের মতে, এই শব্দটি নাম হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে আবার ‘কৃষ্ণবর্ণা’ বোঝাতেও ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। তন্ত্র ও পুরাণে দেবী কালীর একাধিক রূপভেদের কথা পাওয়া যায়। তোড়ল তন্ত্র মতে কালী অষ্টধা বা অষ্টবিধ। যথা – দক্ষিণাকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, মহাকালী, ভদ্রকালী, চামুণ্ডাকালী, শ্মশানকালী ও শ্রীকালী। মহাকাল সংহিতা অনুসারে আবার কালী নববিধা। এই তালিকা থেকেই পাওয়া যায় কালকালী, কামকলাকালী, ধনদাকালী ও চণ্ডিকাকালীর নাম।

কালীকে দুর্গার ললাট থেকে উৎপন্না বলা হয়েছে। যথা—”দুর্গার ললাটে জাতা জলদবরণী।” —এই বাক্যের তাৎপর্য যে, ললাটের সংকোচনেই ক্রোধভাব প্রকাশিত হয় বলে সদা ক্রোধান্বিতা; রণরঙ্গিনী করাল-বদনা কালীকে ললাট-সম্ভবা বলা হয়েছে। বাস্তবিক কালীও দুর্গার রূপান্তর বিশেষ। ক্রোধাবস্থাপন্না শক্তিই কালী। ভয়ানক ভাবান্বিতা বিশ্বব্যাপিনী শক্তি—এই অর্থে ঈশ্বরের নাম কালী। কালীর মূর্তি ও সংগ্রামকর্ম—দুইই ভয়ংকর। কালীর বাসস্থান শ্মশান, হাতে খড়্গ, শরীর রক্তমাখা, গম্ভীর গর্জন করেন, যুদ্ধে মেতে থাকেন, গলায় মুণ্ডমালা, সংক্ষেপে বললে, কালীর ভয়ানক বেশ, কালীপূজার কাল অমাবস্যা তিথি ও ঘনঘোর অন্ধকার রাত। মৃতদেহের উপর বসে, শ্মশানে তাঁর সাধনা করতে হয়। পূজার বাদ্যযন্ত্র ঢাক ও উপহারের ফুল টকটকে লাল রঙের জবা। তান্ত্রিকেরা আবার পঞ্চ-মকার দিয়ে ভয়ানক সাধনপ্রণালীর বিধানও দিয়েছেন। মদ্য, মাংস, মৎস্য, মুদ্রা ও মৈথুন—এই পঞ্চ-মকারের প্রায় প্রত্যেকই বাইরে থেকে দেখলে এক এক ভয়ানক সাধন-প্রণালী। বাইরে থেকে—এই কথা বলার তাৎপর্য এই যে, ওই পঞ্চ-মকারের আধ্যাত্মিক ভাব অত্যন্ত নির্মল ও উচ্চ। লোকনাথ বসু তাঁর হিন্দুধর্ম মর্ম নামক বইয়ে পঞ্চ-মকার সম্পর্কে আগমসারের যে এক অংশ উদ্ধৃত করেছেন, তার তাৎপর্য এই যে, ঐ স্থানে মদ্য বলতে পানীয় মদ বোঝায় না, তা ব্রহ্মরন্ধ্র থেকে ক্ষরিত অমৃতধারা বা ব্রহ্মানন্দ; মাংস মানে দেহের মাংস নয়, তা হল জিভের সংযম; মৎস্য বলতে মাছ বোঝায় না, তা হল শ্বাসনিরোধ (প্রাণায়ম); মুদ্রা মানে টাকাপয়সা নয়, বরং আত্মাতে যে পরমাত্মা মুদ্রিত হয়ে আছেন, সেই তত্ত্বজ্ঞান এবং মৈথুন বলতে যৌনসংগম বোঝায় না, তা হল জীবাত্মাতে পরমাত্মার মিলন।

চামুণ্ডাচর্চিকা কালীর পূজা বাংলা ও বাংলার বাইরে প্রাচীন উৎসব হলেও বর্তমান আকারে কালীপূজা আধুনিক কালের। ষোড়শ শতাব্দীতে নবদ্বীপের প্রসিদ্ধ স্মার্ত পণ্ডিত তথা নব্যস্মৃতির স্রষ্টা রঘুনন্দন কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যায় লক্ষ্মীপূজার বিধান দিলেও, কালীপূজার উল্লেখ করেননি। ১৭৬৮ সালে রচিত কাশীনাথের কালী সপর্যাসবিধি গ্রন্থে দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালীপূজার বিধান পাওয়া যায়। ডঃ শশীভূষণ দাশগুপ্তের মতে, “কাশীনাথ এই গ্রন্থে কালীপূজার পক্ষে যে ভাবে যুক্তিতর্কের অবতারণা করিয়াছেন, তাহা দেখিলেই মনে হয়, কালীপূজা তখনও পর্যন্ত বাঙলা দেশে সুগৃহীত ছিল না।” তবে খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে বাংলায় কালীপূজার প্রচলনের কিছু কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

সপ্তদশ শতকের নবদ্বীপের প্রথিতযশা তান্ত্রিক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশকে বাংলায় কালীমূর্তি ও কালীপূজার প্রবর্তক মনে করা হয়। পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ স্বয়ং কালীমূর্তি গড়িয়া পূজা করিতেন। আগমবাগীশের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিয়া বাংলার সাধক সমাজ অনেকদিন চলেন নাই; লোকে ‘আগমবাগিশী’ কাণ্ড বলিয়া তাঁহার পদ্ধতিকে উপেক্ষা করিত।” অষ্টাদশ শতাব্দীতে নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় কালীপূজাকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এই সময় রামপ্রসাদ সেনও আগমবাগীশের পদ্ধতি অনুসারে কালীপূজা করতেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে কৃষ্ণচন্দ্রের পৌত্র ঈশানচন্দ্র ও বাংলার ধনী জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় কালীপূজা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

Joba_ (37)

ফুলের নাম : রক্ত জবা

কিছুদিন আগে থেকে “ঝুমকো জবা”, “পঞ্চমুখী জবা”, “বহুদল জবা”, “সাদা জবা”“লঙ্কা জবা” ফুলের বেশ কিছু ছবি দেখিয়েছি আপনাদের। আজ তারই ধারাবাহিকতায় দেখাবো আমার তোলা কিছু “রক্ত জবা” ফুলের ছবি।

রক্ত জবা
আপনারা জানেন জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটি পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্ত জবা, পঞ্চমুখী জবা, জবা কুসুম, সাদা জবা ইত্যাদি। এদের মধ্যে রক্ত জবা ফুলটিই খুব বেশী দেখা যায়। এই হিন্দুদের নানান পূজায় ব্যবহার করতে দেখা যায় সবচেয়ে বেশী।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেরাতে গিয়ে বেশ কিছু রক্ত জবা ফুলের ছবি তুলেছি আমি।
তাদের কিছু ছবি এই পোস্টে দেখতে পাচ্ছেন।
আশা করি দেখতে খারাপ লাগবে না।

জবার ইংরেজি নাম : Chinese hibiscus, China rose, Hawaiian hibiscus, shoeblackplant ইত্যাদি।
জবার বৈজ্ঞানিক নাম : Hibiscus rosa-sinensis

ভারতীয় উপমহাদেশে জবা ফুল বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন
বাংলায় : জবা
তামিলে : সেম্বারুথি
হিন্দিতে : জবা কুসুম
মালয়লমে : সেম্পারাত্তি

ইত্যাদি।

জবা পর্ব এইখানেই আপাততো শেষ হলো।

Joba_Moricha - (15)

ফুলের নাম : লঙ্কা জবা

কিছুদিন আগে থেকে “ঝুমকো জবা”, “পঞ্চমুখী জবা”, “বহুদল জবা”“সাদা জবা” ফুলের বেশ কিছু ছবি দেখিয়েছি আপনাদের। আজ তারই ধারাবাহিকতায় দেখাবো আমার তোলা কিছু “লঙ্কা জবা” ফুলের ছবি।

লঙ্কা জবা
আপনারা জানেন জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটি পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্তজবা, পঞ্চমুখী জবা, জবা কুসুম, সাদা জবা ইত্যাদি। এদের মধ্যে একটি বিশেষ জবা হচ্ছে লঙ্কা জবা

বাংলা নাম : লঙ্কা জবা, মরিচ জবা
অন্যান্য নাম : Wax mallow, Texas mallow, Sleepy hibiscus, Turk’s Turban ইত্যাদি
বৈজ্ঞানিক নাম : Malvaviscus penduliflorus

সাধারন জবার সাথে লঙ্কা জবার পার্থক্য হচ্ছে এর গঠনে। প্রায় সকল জবাই তাদের পাপড়ি গুলি ছড়িয়ে দিয়ে হাসি মুখে ফুটে থাকে। কিন্তু এই লঙ্কা জবা সম্পূর্ণ আলাদা। অন্য জবা থেকে একে খুব সহজেই আলাদা করে চেনা যায় এর লঙ্কা বা মরিচের মত আকৃতি দেখে। মরিচের মত দেখতে বলেই একে লঙ্কা জবা বা মরিচা জবা বরে। তাছাড়ি এতে বেশ মধু হয় বলে বাচ্চারা মধু জবাও বলে।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেরাতে গিয়ে বেশ কিছু লঙ্কা জবা ফুলের ছবি তুলেছি আমি। তাদের কিছু ছবি এই পোস্টে।
ছবিগুলি তুলেছি সিরাজ শাহ-্এ মাজার, নারায়ণগঞ্জ থেকে ২৪/১২/২০১৭ ইং তারিখে।

আগামী পর্ব দেখবো “রক্ত জবা” ফুল।

Joba_1_ (12)

ফুলের নাম : সাদা জবা

কিছুদিন আগে থেকে “ঝুমকো জবা”, “পঞ্চমুখী জবা”“বহুদল জবা” ফুলের বেশ কিছু ছবি দেখিয়েছি আপনাদের। আজ তারই ধারাবাহিকতায় দেখাবো আমার তোলা কিছু “সাদা জবা” ফুলের ছবি।

সাদা জবা
আপনারা জানেন জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটি পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্তজবা, পঞ্চমুখী জবা, জবা কুসুম, মরিচা জবা ইত্যাদি। এদের মধ্যে একটি বিশেষ জবা হচ্ছে সাদা জবা

সাধারন জবার সাথে সাদা জবার পার্থক্য হচ্ছে এর রং-এ। নানান রং এর জবা ফুল দেখতে পাওয়া যায়, তবে লাল রং এর আধিক্যই বেশী। আজকে যে জবার ছবি দেখাবো সেগুলির রং লাল নয়, বরং সাদা।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেরাতে গিয়ে বেশ কিছু সাদা জবা ফুলের ছবি তুলেছি আমি। তাদের ৯টি ছবি এই পোস্টে।
প্রথম ৪টি ছবি তুলেছি সিলেটের একটি সরকারী ডাকবংলোতে।
এবং শেষ ৫টি টাঙ্গাইলের বদরুন্নেছা মহলে।

আগামী পর্বে দেখাবো “মরিচা জবা”

Joba_1_ (12)

ফুলের নাম : বহুদল জবা

কিছুদিন আগে থেকে “ঝুমকো জবা”“পঞ্চমুখী জবা” ফুলের কিছু ছবি দিয়েছিলাম। আজ তারই ধারাবাহিকতায় দেখাবো আমার তোলা কিছু “বহুদল জবা” ফুলের ছবি।

বহুদল জবা
আপনারা জানেন জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটি পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্তজবা, পঞ্চমুখী জবা, জবা কুসুম, মরিচা জবা ইত্যাদি। এদের মধ্যে একটি বিশেষ জবা হচ্ছে বহুদল জবা

সাধারন জবা থেকে বহুদল জবা দেখতে বেশ আলাদা। কারণ একে দেখে মনে হবে দুটি জবা একসাথে হয়ে আছে, আসলে সেখানে কিন্তু একটি জবাই থাকে। বহুদল জবা দেখতে অনেকটাই পঞ্চমুখী জবার মতো।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেরাতে গিয়ে বেশ কিছু বহুদল জবা ফুলের ছবি তুলেছি আমি। তাদের ৭টি ছবি আজ দেখালাম এখানে।

আগামী পর্বে দেখাবো “সাদা জবা”

Joba_1_ (12)

ফুলের নাম : পঞ্চমুখী জবা

কিছুদিন আগে “ঝুমকো জবা” ফুলের বেশ কিছু ছবি দিয়েছিলাম। আজ তারই ধারাবাহিকতায় দেখাবো আমার তোলা কিছু পঞ্চমুখী বজা ফুলের ছবি।

পঞ্চমুখী জবা
আগেই বলেছি জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটির পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্তজবা, পঞ্চমুখী জবা, জবা কুসুম, মরিচা জবা ইত্যাদি। এদের মধ্যে একটি বিশেষ জবা হচ্ছে পঞ্চমুখী জবা

সাধারন জবা থেকে পঞ্চমুখী জবা দেখতে বেশ আলাদা। কারণ একে দেখে মনে হবে কয়েকটি জবা একসাথে হয়ে আছে, আসলে সেখানে কিন্তু একটি জবাই থাকে।

পঞ্চমুখী বজার মতোই দেখতে আরেকটি জবা রয়েছে যাকে বলাহয় বহুদল জবা। আগামী কোন একদিন বহুদল জবার কিছু ছবিও হাজির করার ইচ্ছে রইলো।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেরাতে গিয়ে বেশ কিছু পঞ্চমুখী জবা ফুলের ছবি তুলেছি আমি। তাদের ৮টি ছবি রইলে এই পোষ্টে।
উপরের প্রথম চারটি ছবি তুলেছি টাঙ্গাইলের আতিয়া মসজিদের কাছেই বাবা আদম কাশ্মিরীর মাজার থেকে।

৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম ছবিগুলি তুলেছি মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে এবং ৮ম ছবিটি তুলেছি ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জরে আঠার বাড়ী জমিদার বাড়ির কাছের একটি শিবমন্দিরের কাছ থেকে।

আগামীতে দেখাবো বহুদল জবা।

Joba_1_ (12)

ফুলের নাম : ঝুমকো জবা

আগের লেখায় বলেছিলাম জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটি পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্তজবা, পঞ্চমুখী জবা, জবা কুসুম, মরিচা জবা ইত্যাদি। এদের মধ্যে একটি বিশেষ জবা হচ্ছে ঝুমকো জবা বা ঝুমকা জবা। এটি দেখতে অনেকটাই ঝুমকার মতো বলেই এই নামকরণ করা হয়েছে।

ঝুমকো জবার ইংরেজি নাম Fringed Rosemallow, Japanese lantern, Coral hibiscus, Spider hibiscus ইত্যাদি।
আর এর বৈজ্ঞানিক নাম Hibiscus schizopetalous.

সাধারণ জবা ফুল থেকে এই ঝুমবো জবা অনেকটাই ভিন্নতর হয় দেখতে। এটি ডালের আগায় ঝুলন্ত হয়ে ফুটে। ৫টি পাপড়ি থাকে প্রতিটি ফুলে। পাপড়িগুলি উপরের দিকে বাঁকা আর কিনার ঝালরের মতো কাটাকাটা থাকে। পরাগদন্ড বেশ লম্বা হয় এবং ফুলের নিচে ঝুলে থাকে।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেরাতে গিয়ে বেশ কিছু ঝুমকো জবা ফুলের ছবি তুলেছি আমি। তাদের ৮টি ছবি রয়েছে লেখায়।

শেষ করছি “ফররুখ আহমদ” এর একটি ছড়া দিয়ে।

ঝুমকো জবা
ফররুখ আহমদ
ঝুমকো জবা বনের দুল
উঠল ফুটে বনের ফুল।
সবুজ পাতা ঘোমটা খোলে,
ঝুমকো জবা হাওয়ায় দোলে।
সেই দুলুনির তালে তালে,
মন উড়ে যায় ডালে ডালে।

KB-01- 00 - Copy

ফুলের নাম : অশোক

অশোক বন্দনা
গত মার্চ মাসের ১৭ তারিখে বৃক্ষকথার কয়েকজন সদস্য মিলে আমরা গিয়েছিলাম ঢাকার মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে। ঘুরে ফিরে অনেকটা সময় ধরে আমরা চেনা অচেনা নানা ফুল আর গাছ দেখেছি, ছবি তুলেছি। ঐ সময়টা ছিল অশোক ফোটার সময়।

অল্পসংখ্যক উদ্ভিদ আছে যারা তাদের কাণ্ড ফুড়ে থেকে ডালপালা জুড়ে ফুল ফোটায়। তাছাড়া অশোকের প্রস্ফুটন কাল অতি দীর্ঘ বলে এই সময় গাছগুলি ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। বোটানিক্যাল গার্ডেনের দ্বিতীয় গেটটা পার হলেই শুরু হয় পথের দুই ধারে অশোকের সারি। ফুলে ফুলে ছেয়ে ছিল গাছগুলি। এমন দৃশ্য দেখেই হয়তো রবীন্দ্রনাথ বলে ছিলেন –

“রাঙা হাসি রাশি রাশি অশোক পলাশে
রাঙা নেশা মেঘে মেশা প্রভাত আকাশে
নবীন পাতায় লাগে রাঙা হিল্লোল।”

আমি দেখেছি রবীন্দ্রনাথের অনেক অনেক কবিতা ও গানে ঘুরে ফিরে এসেছে এই অশোকের কথা। সেসব থেকে কিছু কিছু অংশ আজ তুলে দিব এই লেখায়। তাছাড়া অশোকের সাথে হিন্দু ও বোদ্ধ ধর্মের সুগভীর সম্পর্ক আছে,তারও কিছু ছোঁয়া থাকবে। আর থাকবে আমার তোলা কিছু অশোকের ছবি।

বাংলা, হিন্দি, সংস্কৃত মিলিয়ে অশোক ফুলের অনেকগুলি নাম আছে, যেমন –
অপশোক, বিশোক, কঙ্গেলি, কর্ণপূরক, কেলিক, চিত্র, বিচিত্র, দোষহারী, নট, পল্লবদ্রুপ, প্রপল্লব, পিণ্ডিপুষ্প, বঞ্জুলদ্রুম, মধুপষ্প, রক্তপল্লবক, রাগীতরু, শোকনাশ, সুভগ, স্মরাধিবাস, হেমপুষ্প, হেমাপুষ্প, হিমাপুষ্পা, অঞ্জনপ্রিয়া, মধুপুষ্প, পিণ্ডিপুষ্পা, সিটা-অশোক ইত্যাদি।

অশোকের ইংরেজি নাম হচ্ছে – Ashoka, Sorrowless, Yellow Ashok, Yellow Saraca ইত্যাদি।
আর এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে – Saraca indica

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে গৌরী দেবী এই বৃক্ষের নিচে তপস্যা করে সিদ্ধি লাভ করে শোক থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই কারণে এই বৃক্ষের নাম অশোক হয়েছে। শুধু কি তাই! রোগ নিরাময়ে, ভেষজ গুণে,শীতল ছায়ায়,পুষ্প প্রাচুর্যের মত কারণেই অশোকের নামকরণ সার্থক।

রামায়ণে বলে সীতাকে অপহরণ করে অশোকবনে রাখা হয়ে ছিল।

হিন্দু ধর্ম মতে অশোকষষ্ঠী বলে একটি পূজা আছে। চৈত্র মাসের শুক্লা-ষষ্ঠীতে মায়েরা সন্তানের কল্যাণ কামনা করে অশোক ফুল দিয়ে অশোকষষ্ঠী পূজা করেন। তাছাড়া চৈত্র মাসের শুক্লা-অষ্টমীতে পালিত হয় অশোকাষ্টমী পূজা।

কামদেবের পঞ্চশরের অন্যতম শর এই অশোক ফুল দিয়ে সজ্জিত, তাই অশোক ফুল প্রেমের প্রতীক। হয়তো এই কারণেই রবীন্দ্রনাথ অশোককে এতো বার হাজির করেছেন নিজের সৃষ্টিতে।

কথিত আছে গৌতম বুদ্ধ লুম্বিনিতে অশোক গাছের নিচে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং মহাবীর এই অশোক গাছের নিচে ধ্যান করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তাই হিন্দু ও বৌদ্ধদের কাছে এই অশোক গাছ ও ফুল অত্যন্ত পবিত্র।

অজস্র ফুলে ঘনবদ্ধ অশোকমঞ্জরি বর্ণ ও গড়নে আকর্ষণীয়। তাজা অশোক ফুলের রং কমলা, কিন্তু বাসি হলেই ফুলের রং হয় লাল। অশোকের পরাগকেশর দীর্ঘ।

রবীন্দ্রনাথ অশোক বন্দনার কিছু নমুনা রইলো –

১।
আসত তারা কুঞ্জবনে চৈত্র জ্যোৎস্নারাতে
অশোক শাখা উঠত ফুটে প্রিয়ার পদাঘাতে।

২।
আকাশেতে উঠে আমি মেঘ হয়ে গেচি।
ফিরিব বাতাস বেয়ে রামধনু খুঁজি,
আলোর অশোক ফুল চুলে দেবো গুঁজি।

৩।
নদীতে লাগিল দোলা, বাঁধনে পড়িল টান,
একা বসে গাহিলাম যৌবনের বেদনার গান।
সেই গান শুনি. কুসুমিত তরুতলে
তরুণতরুণী. তুলিল অশোক,
মোর হাতে দিয়ে তারা কহিল,
এ আমাদেরই লোক।

৪।
দূর সাগরের পারের পবন, আসবে যখন কাছের কূলে
রঙিন আগুন জ্বালবে ফাগুন,মাতবে অশোক সোনার ফুলে।

আজ এই টুকুই।

Joba_1_ (12)

ফুলের নাম : জবা

জবা আমাদের অতি পরিচিত একটি ফুল। এককালে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে এই জবা ফুলের গাছ দেখতে পাওয়া যেত। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে এই গাছ থাকতোই।

জবার ইংরেজি নাম : Chinese hibiscus, China rose, Hawaiian hibiscus, shoeblackplant ইত্যাদি
জবার বৈজ্ঞানিক নাম : Hibiscus rosa-sinensis

জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটি পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্তজবা, ঝুমকা জবা, জবা কুসুম, মরিচা জবা ইত্যাদি।

জবা ফুল ঠোঙ্গা আকৃতি, পঞ্চমুখি ও থোকা আকারের হয়ে থাকে। এছাড়াও বাভিন্ন ধরনের জবা বিভিন্ন রকমের হয়েছে। কিছু কিছু জবা আছে যেগুলি সম্পূর্ন ভিন্ন রকমের হয়। যেমন ঝুমকা জবা ও মরিচা জবা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের।

তাছাড়া জবা গাছের বিভিন্ন রকমের সংকর প্রজাতি আছে, যাদের ফুলের রঙ সাদা, হলুদ, কমলা, লাল, এমনকি মিশ্রও হতে দেখা যায়।

জবা ফুলে নানান ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে। ফুল, পাপড়ি ও গাছের ছালও ঔষধি গুনসম্পন্ন। চোখ ওঠা রোগ দূর করতে, সর্দি ও কাশিতে, চুলের বৃদ্ধির জন্য, হাতের তালুতে চামড়া উঠা ইত্যাদি রোগের ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে।

জবা একটি চিরসবুজ গুল্ম বা ঝোপ জতীয় গাছ। সাধারণত: সাত আট ফুট উচ্চতায় হয় থাকে। এর পাতাগুলি চকচকে ও করাতের মত খাজকাটা হয়। জবা গাছের ডাল বর্ষা কালে সেঁত স্যাঁতে মাটিতে রোপন করে সহজেই বংশবিস্তার করা সম্ভব। জবা গাছ আবাদী ও অনাবাদী বনজ সব ধরনের হয়ে থাক।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেরাতে গিয়ে বেশ কিছু জবা ফুলের ছবি তুলেছি আমি। তাদের কিছু ছবি এখানে দিলাম।

KB-01- 00 - Copy

ফুলের নাম : রাজ অশোক

রাজকীয় রাজ অশোক

বাংলায় “রাজ অশোক” নামটি রাখেন বলধা গার্ডেনের প্রয়াত তত্ত্বাবধায়ক শ্রী অমৃতলাল আচার্য। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের ৪ নং তফসিল অনুযায়ী এ “রাজ অশোক” সংরক্ষিত। এই গাছের আদি নিবাস বার্মা / মায়ানমার।

রাজ অশোক মাঝারি আকৃতির বৃক্ষ, সাধারণত ৮ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত উঁচু পারে। মজার বিষয় হচ্ছে আমাদের কমন অশোক আর হলুদ অশোকের সাথে এই রাজ অশোক ফুলের কোন মিল নেই। না ফুলের রং, না ফুলের আকা। সব দিক থেকেই আলাদা। বরং ফুল দেখতে কিছু কৃষ্ণচূড়ার সাথে মিল আছে। রাজ অশোক ফুল অর্কিডের মতো প্রশাখাময় হয় বলে Orchid tree বলা হয়।

তাছাড়া রাজ অশোকের আরেক নাম “উর্বশী”, যার মানে হচ্ছে সুন্দরীশ্রেষ্ঠা ও অনন্তযৌবনা অপ্সরা। শুধু মাত্র এই কারণেই অনেকে মনে করেন এই ফুলের নাম পারিজাত। তারা ধারনা করেন যেহেতু পারিজাত স্বর্গের ফুল আর উর্বশী হচ্ছে স্বর্গের অপ্সরা তাই রাজ অশোকই পারিজাত। তবে এই ধারনাটা ভুল।

রাজ অশোকের ফুল হেমন্ত থেকে বসন্ত পর্যন্ত ফুটতে থাকে। এমনকি গ্রীষ্মকালেও মাঝে মাঝে ফুল দেখা যায়।

তবে হে, রাজ অশোকের পাতা, ডাল ও কাণ্ড কমন অশোকের মতই দেখতে। অর্থাৎ ফুর না দেখে রাজ অশোক কে আলাদা করে চেনা বেশ কষ্ট।

রাজ অশোকের ফুল আরে বেশ বাহারি। গাছের উপরিভাগের কাণ্ড ও ডালপালা থেকে হাত খানেক লম্বা মঞ্জরি দণ্ড বের হয়। সোনালুর মতই নিচের দিকে ঝালরের মত ঝুলে থাকে। মঞ্জরি দণ্ডে বিপরীত সজ্জায় চার-পাঁচটি ফুল থাকে। মঞ্জরির গোঁড়ার দিকের ফুলটি প্রথমে ফোটে, তারপর ক্রমশ পরের কলিগুলো ফোটে।

যদিও উর্বশীর কাহিনী সাথে রাজ অশোকের কোন যোগসূত্র নেই তাই কিছু বলছিনা। তবে কবিগুরুর লেখা দীর্ঘ কবিতা “উর্বশী” থেকে বাছাই করা কয়েকটা লাইন দেয়ার লোভ কিছুতেই সামলানো গেলো না।

উর্বশী
নহ মাতা, নহ কন্যা, নহ বধূ, সুন্দরী রূপসী,
হে নন্দনবাসিনী উর্বশী!

বৃন্তহীন পুষ্প-সম আপনাতে আপনি বিকশি
কবে তুমি ফুটিলে উর্বশী!

কোনোকালে ছিলে না কি মুকুলিকা বালিকা-বয়সী
হে অনন্তযৌবনা উর্বশী!

যুগযুগান্তর হতে তুমি শুধু বিশ্বের প্রেয়সী
হে অপূর্বশোভনা উর্বশী!

সুরসভাতলে যবে নৃত্য কর পুলকে উল্লসি
হে বিলোলহিল্লোল উর্বশী!

স্বর্গের উদয়াচলে মূর্তিমতী তুমি হে উষসী,
হে ভুবনমোহিনী উর্বশী!

ওই শুন দিশে দিশে তোমা লাগি কাঁদিছে ক্রন্দসী
হে নিষ্ঠুরা বধিরা উর্বশী!

ফিরিবে না, ফিরিবে না– অস্ত গেছে সে গৌরবশশী,
অস্তাচলবাসিনী উর্বশী!

ফুলের নাম : রাজ অশোক
অন্যান্য নাম : উর্বশী, সোকরে, মিয়ানমার ফুল ইত্যাদি।
ইংরেজি ও কমন নাম : Pride of Burma, Orchid tree, Tree of heaven ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Amherstia nobilis
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বোটানিক্যাল গার্ডেন, মিরপুর, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৭/০৩/২০১৮ ইং

10 T Fuler Chobi_11_ (20)

ফুলের নাম : রুদ্রপলাশ

ফুলের নাম : রুদ্রপলাশ

ইংরেজি নাম : African Tulip, Flame of the Forest, Squirt Tree, Fountain Tree, Nile Flame, Nandi Flame, Uganda Flame, African Tulip Tree

বৈজ্ঞানিক নাম : Spathodea campanulata

অনেকে বলেন রুদ্রপলাশ নামটি দ্বিজেন শর্মার দেয়া আবার কারো কারো মতে নামটি দিয়েছেন রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর

সে যাইহক, রুদ্রপলাশের আদি নিবাস আফ্রিকা হলেও ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, পাপুয়া নিউগিনি, কোষ্টারিকা, শ্রীলঙ্কায় এর দেখা মেলে। বাংলাদেশে রুদ্রপলাশ গাছ খুব একটা দেখা যায় না। আমি দেখেছি ঢাকার বলদা গার্ডেনে আর মিরপুরেরর বোটানিক্যাল গার্ডেনের শেষ মাথায়। শুনেছি রমনাতেও আছে রুদ্রপলাশে গাছ, তবে দেখিনি।

চিরসবুজ রুদ্রপলাশ গাছ সাধারণত ২৫ থেকে ৮০ ফিট লম্বা হয়ে থাকে। বসন্তের শুরুতে গাছের চূড়ায় রাশি রাশি রুদ্রপলাশের ফুল ফুটতে দেখা যায়। গাঢ় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উজ্জ্বল লাল রঙের রুদ্রপলাশ দেখতে অসাধারণ লাগে।

রুদ্রপলাশ ফুলের কুঁড়ি দেখতে আমাদের পলাশ ফুলের কুড়ির মতোই অনেকটা। গাছের ডালের শীর্ষে গোলাকার মঞ্জরিতে ফুল আসে। মঞ্জরির সমস্ত কুঁড়ি একসাথে ফোটে না, ধাপে ধাপে দীর্ঘ সময় ধরে ধীরে ধীরে ফুটতে থাকে।

উজ্জ্বল লাল রুদ্রপলাশের ভেতরের অংশ লালচে সোনালি আর পাপড়ির কিনারা কোঁকড়ানো এবং চারপাশে হলুদ বর্ডার। ফুল ১০ সেন্টিমিটার লম্বা ও ৫ সেন্টিমিটার চওড়া হয়। রুদ্রপলাশের পাঁপড়ি থাকে ৫ টি। তবে পাঁপড়ি গুলি একসাথে যুক্ত থাকে বলে ফানেলের মত মনে হয়।

ফুল ফোটার পর গাছে ফল আসে। একটি মঞ্জরি থেকে ২ থেকে ৪ টি লম্বা লম্বা ফল ধরে। পরিনত ফলে পেকে গিয়ে লম্বালম্বি ভাবে ফেটে যায়। ফলের ফাটা অংশ দুটি নৌকার মত দেখতে হয়। প্রতিটি ফলের ভিতরে প্রায় ৫০০ টি স্বচ্ছ ডানা যুক্ত ক্ষুদ্র হৃদয় আকৃতির বীজ থাকে।

সবগুলি ছবি তোলার স্থান : বলদা গার্ডেন, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং

AD_4_ (9)

১০টি ভ্রমণ চিত্র – ৭

সময়, সুযোগ আর অর্থ, এই তিনটি জিনিসের সমন্বয় করা খুব কঠিন। একটার ব্যবস্থা করলে অন্যটি পিছলে যায় হাতের মুঠো থেকে। কিন্তু যখন তিনটির সমন্বয় করা যায় তখনই একটা ভ্রমণে বেরিয়ে পরা যায়। সমন্বয় করতে পারা সেই সব ভ্রমণের ছবিগুলি থেকে ১০টি ছবি থাকবে এই পর্বে যেগুলি আগেই ফেবুতে শেয়ার করা হয়েছে।

১। আহসান মঞ্জিল

ছবি তোলার স্থান : আহসান মঞ্জিল, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ৩০/০৯/২০১২ ইং
পথের হদিস : ঢাকা > পুরনো ঢাকার ইসলামপুরে > আহসান মঞ্জিল।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°42’30.9″N 90°24’21.6″E

২। শতবর্ষী বটবৃক্ষ

ছবি তোলার স্থান : বটতলা, আলুটিলা, খাগড়াছড়ি।
ছবি তোলার তারিখ : ২৬/০১/২০১৪ ইং
পথের হদিস : ঢাকা > খাগড়াছড়ি > বটতলা।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°04’36.9″N 91°53’07.7″E

৩। রেল লাইন

ছবি তোলার স্থান : ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্কের পিছনে।
ছবি তোলার তারিখ : ১৩/০৩/২০১৬ ইং

৪। নভথিয়েটার

ছবি তোলার স্থান : নভথিয়েটার, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ২০/০১/২০১২ ইং

৫। দেবদারু

ছবি তোলার স্থান : বোটানিক্যাল গার্ডেন, মিরপুর, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ০৬/০৩/২০১৭ ইং
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°49’11.8″N 90°20’31.9″E

৬। লেক ভিউ

ছবি তোলার স্থান : বোটানিক্যাল গার্ডেন, মিরপুর, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ০৬/০৩/২০১৭ ইং
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°49’24.8″N 90°20’55.8″E

৭। সৈকত

ছবি তোলার স্থান : কলাতলী সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার।
ছবি তোলার তারিখ : ২০/০৫/২০১৪ইং
পথের হদিস : ঢাকা > কক্সবাজার > কলাতলী সমুদ্র সৈকত।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 21°24’53.9″N 91°58’56.2″E

৮। বেতাব ভ্যালী

ছবি তোলার স্থান : বেতাব ভ্যালী, কাশ্মীর, ভারত।
ছবি তোলার তারিখ : ২৭/০৫/২০১৫ ইং
পথের হদিস : ঢাকা > কলকাতা > পেহেলগাও > বেতাব ভ্যালী।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 34°03’11.2″N 75°21’29.7″E

৯। জলপরি

ছবি তোলার স্থান : নুহাশপল্লী, পিরুজালী।
ছবি তোলার তারিখ : ৩১/০৮/২০১২ইং
পথের হদিস : ঢাকা > হোতাপারা > পিরুজালী > নুহাশপল্লী
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 24°09’30.4″N 90°21’47.0″E

১০। লালন শাহের মাজার

ছবি তোলার স্থান : ছেউড়িয়া, কুষ্টিয়া।
ছবি তোলার তারিখ : ১৭/০৮/২০১২ইং
পথের হদিস : ঢাকা > কষ্টিয়া > ছেউড়িয়া > লালনের আখড়া।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°53’44.7″N 89°09’07.3″E

Padma_2_ (11) - Copy

পদ্মবিল অভিযান

গতকাল বিকেল ৩টায় আমরা বাসা (বাড্ডা) থেকে বের হই। যাব নাগরি। পথে রাথুরা পার হয়ে যেতে হবে।
দিন কতক আগে Abdul Ohab Tamal ভাই এর কল্যানে জানতে পারি রাথুরায় একটি পদ্ম বিল আছে। কিছু ছবিও দেখেছি। ছবি দেখে বুঝা যায়নি বিলটা আসলে এতো বড় হবে। আমার ধারনা ছিল বড়সর কোন পুকুর হতে পারে।

ঐ পথে রাথুরা হয়ে নাগরি পর্যন্ত আমাদের প্রচুর যাতায়াত। তাই এবার ঢুদিয়ে যায়গাটা চিনে নিতে গেলাম। চোখ জুড়িয়ে গেলো।

এলাকার মেম্বার সাহেব ও উনার ছেলে সহযোগিতার চূড়ান্ত করেছে। আপ্পায়নের জন্য বেশ পিরাপিরি করেছেন। কিন্তু আমাদের আবার নাগরি যেতে হবে বলে দেড়ি করিনি। কথা দিয়ে এসেছি আরেকদিন বাচ্চা-কাচ্চাদের নিয়ে যাবো উনার বাড়িতে।

ধান ভানতে শিবের গীত হয়ে গেলো।

বি.দ্র. আমাদের শহুরেদের কিছু অনৈতিক আচরন আর মন্তব্য গ্রামের এই সব আন্তরিক মানুষ গুলিকে কষ্টদেয়।

0.0 - Copy

১০টি ভ্রমণ চিত্র – ৬

সময়, সুযোগ আর অর্থ, এই তিনটি জিনিসের সমন্বয় করা খুব কঠিন। একটার ব্যবস্থা করলে অন্যটি পিছলে যায় হাতের মুঠো থেকে। কিন্তু যখন তিনটির সমন্বয় করা যায় তখনই একটা ভ্রমণে বেরিয়ে পরা যায়। সমন্বয় করতে পারা সেই সব ভ্রমণের ছবিগুলি থেকে ১০টি ছবি থাকবে এই পর্বে যেগুলি আগেই ফেবুতে শেয়ার করা হয়েছে।

১। মেঘের দেশে

ছবি তোলার স্থান : গেনটিং হাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া।
তারিখ : ১৮/১২/২০১০ ইং
পথের হদিস : ঢাকা > কুয়ালালামপুর > গেনটিং হাইল্যান্ড।

২। সমাধি

ছবি তোলার স্থান : নাগরি, কালিগঞ্জ।
তারিখ : ১৪/১১/২০১৭ ইং
পথের হদিস : ঢাকা > নাগরি বাজার> সেন্ট নিকোলাস গির্জা।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°54’48.8″N 90°30’27.9″E

৩। লাল কাঁকড়ার ঝাক

ছবি তোলার স্থান : পুটনির দ্বীপ।
ছবি তোলার তারিখ : ২১/০৩/২০১৫ইং
পথের হদিস : ঢাকা > সাতক্ষীরা > নীলডুমুর > পুটনির দ্বীপ।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 21°42’11.2″N 89°20’22.4″E

৪। সবুজ পথ

ছবি তোলার স্থান : কলাগাছিয়া, সাতক্ষীরা।
ছবি তোলার তারিখ : ২২/০৩/২০১৫ ইং
পথের হদিস : ঢাকা থেকে প্রথমে যেতে হবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর বা ইশ্বরিপুর। সেখান থেকে যেতে হবে বুড়িগোয়ালীনি। বুড়িগোয়ালীনির নীলডুমুর খেয়া ঘাট থেকে উঠতে হবে ট্রলারে। ৩০ মিনিটেই পৌচে যাবেন কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 22°12’53.5″N 89°14’20.7″E

৫। হাজীগঞ্জ দূর্গ

ছবি তোলার স্থান : হাজীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ০৮/০৭/২০১১ ইং
পথের হদিস : ঢাকা থেকে বাসে বা ট্রেনে চলে আসুন নারায়ণগঞ্জ। বাস বা ট্রেন স্টেশন থেকে রিক্সা নিয়ে চলে আসুন হাজীগঞ্জ কেল্লা।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°38’00.5″N 90°30’46.1″E

৬। সোনাকান্দা দূর্গ

ছবি তোলার স্থান : বন্দর, নারায়ণগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/১২/২০১৭ ইং
পথের হদিস : ঢাকা থেকে বাসে বা ট্রেনে চলে আসুন নারায়ণগঞ্জ। বাস বা ট্রেন স্টেশন থেকে হেঁটে চলে আসুন খেয়া ঘাট। খেয়া নৌকায় শীতলক্ষ্যা পার হয়ে রিক্সা নিয়ে চলে যান সোনাকান্দা দূর্গে।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°36’25.0″N 90°30’43.5″E

৭। ইদ্রাকপুর দূর্গ

ছবি তোলার স্থান : মুক্তারপুর, মুন্সীগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৯/১২/২০১৭ইং
পথের হদিস : ঢাকা থেকে বাসে চলে আসুন মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর। মুক্তারপুর থেকে রিক্সা বা অটোরিক্সায় ইদ্রাকপুরের কেল্লা যাওয়া যায়।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°32’50.4″N 90°32’02.6″E

৮। শিকার ও শিকারি

ছবি তোলার স্থান : কটকা, সুন্দরবন।
ছবি তোলার তারিখ : ২২/১১/২০১৪ ইং
পথের হদিস : ঢাকা > খুলনা / মংলা > লঞ্চে করে কটকা।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 21°51’14.4″N 89°46’25.5″E

৯। লালন শাহের মাজার

ছবি তোলার স্থান : ছেউড়িয়া, কুষ্টিয়া।
ছবি তোলার তারিখ : ১৭/০৮/২০১২ইং
পথের হদিস : ঢাকা > কষ্টিয়া > ছেউড়িয়া > লালনের আখড়া।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°53’44.7″N 89°09’07.3″E

১০। কুঠিবাড়ি

ছবি তোলার স্থান : কুঠিবাড়ি, শিলাইদহ, কুষ্টিয়া।
ছবি তোলার তারিখ : ১৭/০৮/২০১২ইং
পথের হদিস : ঢাকা > কষ্টিয়া > শিলাইদহ > কুঠিবাড়ি।
জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°55’11.3″N 89°13’12.2″E