বিভাগের আর্কাইভঃ সমকালীন

গুজবে কান দিবেন না সচেতন থাকুন

বিশ্বব্যাপী আত্মঘাতি সংক্রমণ মহামারী কোভিড-১৯ রোগে ভুগছে ৫ লাখের বেশি মানুষ। শেষ খবর পাওয়া অবধি বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছে ৩৯ জন তার মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৫ জন!

এই রোগের মহামারী সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই, তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা সবাই মোটামুটি অবগত; আর এই তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে একশ্রেণীর মানুষ ধর্মের দোহাই দিয়ে সহজ-সরল মানুষদের ভুল চিকিৎসার গুজব রটাচ্ছে আর আমাদের দেশের হুজুগ প্রবণ বাঙালী ভাই-বোন, বাপ-মায়েরা তা লুফে নিয়ে মধ্যরাতে জেগে কেউ কেউ হারিকেন, টর্চ, কুপি জ্বালিয়ে কষ্টিপাথরের মত খুঁজে গিলেছেন থানকুনি পাতা!!

কাহিনী কি…..?
কাহিনী হলো, সারা দুনিয়ার চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মিলে যখন রাত দিন কোভিড ১৯ রোগের মেডিসিন বানাতে ল্যাবরেটরিতে গবেষনায় ব্যস্ত; ঠিক তখনই বাঙালীর কোন এক শয়তান পীরের মুরিদ ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কের আলৌকিক শক্তির মহাবলে তৈরী করেছে করোনা ভাইরাসের মেডিসিন “থানকুনি পাতা”।
ছাগলে যা বিশ্বাস করেনা বাঙালী তা করে।
আর সেটা শুধু মাত্র ধর্মের দোহাই দিয়েই সম্ভব,
কেননা বাঙালী কোন কিছু সাধারণ লজিক দিয়ে বিশ্লেষণ করার আগে খুৃঁজে সেখানে আল্লাহ-রাসুল (সাঃ)-পীরের সুত্র আছে কিনা!
যদি থাকে ঘটনা মিথ্যা হলেও সেটা মানতে বেশীরভাগ মানুষের দ্বিমত থাকেনা,
আজ সকালে অনেকেই আবার রং চা নিয়ে মেতেছেন।
যেমন গুজবে হামাগুড়ি দিয়ে মেতেছিলেন পদ্মাসেতু নির্মাণের ছেলেধরা গুজবে-
অযাচিত মিথ্যা গুজবে অনেক নীরহ মানুষ ছেলেধরা সন্দেহে খেয়েছেন গণধোলাই,
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে এসে প্রান হারান তসলিমা বেগম রেণু।

গুজব মহামারির চেয়েও ক্ষতিকর,
মহামারী চিকিৎসায় সারানোর উপায় একদিন না হয় একদিন বের হবেই হবে।
কিন্তু মানুষের সরল মনে মিথ্যা কোন ধারণা সত্যি বলে গেঁথে গেলে তা মুছে দেওয়া প্রায় অসম্ভব।

স্বার্থ হাসিলের জন্য সমাজে ভুল ও মিথ্যা কিংবা আংশিক মিথ্যা ছড়িয়ে দিচ্ছে স্বার্থপর মানুষ,
এরকম ঘটনা নতুন নয় নবী রাসুলগনের যুগেও এমন কুশিক্ষিত লোকজনের অভাব ছিলোনা;
তফাৎ আগে প্রচারণা কম ছিলো-
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সুবিধায় তা এখন রাতারাতি ভয়ংকর রুপ ধারণ করছে।

তাই করোনা ভাইরাস সারানোর কিংবা মুক্ত থাকার বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডাক্তারি পরামর্শ সাজেশন ব্যাতিত
আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য আলৌকিক কোন ঘটনার খবর এলে তা আমাদের যাচাই করে নিতে হবে; ঘটনা সত্যি কিনা।
গুজবের স্রোতে পাল উড়ানো যাবেনা,
এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা
কোরআনে ইরশাদ করেছেন,
‘হে মুমিনগণ!
তোমাদের কাছে যদি কোনো ফাসেক ব্যক্তি কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তবে তা যাচাই করো।
অজ্ঞতাবশত কোনো গোষ্ঠীকে আক্রান্ত করার আগেই, (না হলে) তোমরা কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে।’
(সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ৬)

আমাদের যে বিষয়ে কোন অভিজ্ঞতা নেই সে বিষয়ে অন্যকে কোন পরামর্শ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে,
অনেক অনভিজ্ঞ সমাজে আছেন যারা শুধুমাত্র নিজেদের সুনাম অর্জন করতে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে ;
ফলে উপকারের চেয়ে বর্তমান সময়ে মানুষের ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।
অন্যের ক্ষতি হয় এমন যুক্তি থেকে বিরত থাকুন।
আপনার চুপ থাকার কারনে অনেকে বেঁচে যাবে।

যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তার অনুসরণ কোরো না।
নিশ্চয়ই কান, চোখ, অন্তরের প্রতিটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে।’
(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩৬)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে চুপ থাকে সে মুক্তি পায়।’
(তিরমিজি, হাদিস : ২৫০১)
অতএব, অযথা জ্ঞান দেওয়া বন্ধ করে দিন।

আবার অনেকের মধ্যে নিজের বিশ্বাস আল্লাহ তাদের করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত করবেনা,
তাই তারা মাস্ক ব্যাবহার করছেনা কেউ কেউ সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার ব্যাপারটাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছে;
করোনা নাকি ইহুদি খ্রিষ্টানদের রোগ মুসলমান সম্প্রদায়ের নয়!
কী মারাত্মক এদের বিশ্বাস!!
আবার এরাই হাদিস আওরায় ‘পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ’
এদের মত ধুর্ত অসচেতন লোকদের সম্পর্কে
আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘যদি তারা তোমাদের সঙ্গে বের হতো, তবে শুধু বিভ্রান্তিই বৃদ্ধি পেত। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তারা তোমাদের ভেতর ছোটাছুটি করত।
তোমাদের ভেতর তাদের কথা শোনার (বিশ্বাস করার) লোক রয়েছে।
আল্লাহ অত্যাচারীদের সম্পর্কে অবগত আছেন।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪৭)

মনে রাখতে হবে সচেতনতা দুর্বলতা নয়
রাসুল (সাঃ) ভিত্তিহীন কথা প্রচার করতে আমাদেরকে কঠিনভাবে নিষেধ করে বলেছেন:
একজন মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, যা শুনবে, তা-ই বলে বেড়াবে।
-(মুসলিম) 

 আশার কথা হলো,
আল্লাহ গজব নাযিল করে মানুষের হেদায়েতের জন্য,
করোনা আতংকে ভিত হবেন না,
সতর্ক থাকুন,সচেতন থাকুন, আল্লাহর আইন মেনে চলুন।
নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন।

তাইতো আল্লাহ বলেছেন,
“আমি ভয় দেখানোর জন্যই (তাদের কাছে আযাবের) নিদর্শনসমূহ পাঠাই”
(সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ৫৯)।

সুতরাং, গুজবে কান না দেয়া, গুজবে বিশ্বাস না করা। আর যাচাই-বাছাই, পরীক্ষা করে সংবাদ পরিবেশন, প্রচার ও প্রকাশ করা প্রত্যেকের দায়িত্ব।

স্বদেশীয় ডায়েরীর আজকের পাতায়-৩

১-
মন্ত্রীপরিষদ থেকে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ২৬শে মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল সকল আদালত ও সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং প্রত্যেক কর্মচারীকে স্ব স্ব পোস্টিং এ অবস্থান করতে হবে। আর এটা বাধ্যতামূলক উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এখন প্রশ্ন হতে পারে এটা কি তারা আসলেও মানবে? কারন সবাই তো এখন বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়বে। কিন্তু না বিজ্ঞপ্তিতে আরও যোগ করা হয়েছে যে সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় সকল গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

২-
শুরু থেকেই এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামকে করোনা ভাইরাসের জন্য সন্দেহজনক এলাকা ভাবা হচ্ছে। আমাদের দেশে কোন এক অপদার্থ বলেছিলো, করোনা মোকাবিলায় কোন কিছুর ঘাটতি নেই আমাদের। অথচ আজ জানা গেল সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস বা বিআইটিআইডিতে নেই কভিড-১৯ পরীক্ষার কিট। যার ফলে ট্রেনিং থাকা সত্ত্বেও করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য কিছুই করতে পারছেন না তারা। অথচ এই হাসপাতালে প্রায় এক মাস আগে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট পৃথক আইসোলেশন স্থাপন করা হয়।

৩-
করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা কয়েকজন অভিজ্ঞলোকের করোনার আলামত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেনঃ

ক: পুরো শরীর জুড়ে অসহনীয় ব্যাথা থাকবে। মনে হতে পারে আপনার মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা হচ্ছে, সেই সাথে চোখ জ্বালা, গলা ব্যাথা। এগুলো করোনা রোগীর প্রথম লক্ষণ।

খ: কানের ভেতরে মাঝামাঝি এবং ভেতরের অংশের মাঝখানে ইউচটাচিয়ান টিউব থাকে। মাঝে মধ্যে ইউচটাচিয়ান টিউবে চাপ দিয়ে দেখতে হবে ব্যাথা আছে কিনা।

গ: প্রচন্ড মাথা ব্যাথা থাকবে। মনে হতে পারে কেউ মাথায় সজোরে আঘাত করছে।

ঘ: চোখ জ্বালা, চুলকানি থাকতে পারে। সেই সাথে শরীরে জ্বর থাকবে।

ঙ: প্রচন্ড গলা ব্যাথা থাকবে। শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হবে, খাবার খাওয়ার সময়ও অনেক ব্যাথা হবে গলায়।

চ: পুরো শরীরে ব্যাথা থাকবে। কেবল কান বা বুকে নয়। সেই সাথে হাত এবং পায়েও ব্যাথা থাকবে।

৪-
মহানবী হযরত মুহ’ম্মদ (সঃ) বলেছেন, যখন তুমি কোন ভূখণ্ডে মহামারি ছড়িয়ে পড়ার খবর শুনতে পাও তবে তুমি সেখানে প্রবেশ করো না। পক্ষান্তরে সেটা যদি তোমার অবস্থানস্থলে পৌঁছে যায় সেই স্থান ত্যাগ করো না। মহানবী(সঃ) আরও বলেন,সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থদের থেকে দূরে থাকবে। এছাড়াও মহানবী (সঃ) লোকজনদেরকে রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতেন।

এই অল্প কয়টি কথায় অনেক শিক্ষণীয় বিষয় লুকায়িত আছে। আর সেসব নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।

৫-
করোনার প্রকোপ যখন বাংলাদেশে ঠিক এমনই একটি মুহূর্তে বাংলাদেশের জনপ্রিয় খাবার অর্ডার ও ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান “ফুডপান্ডা” নিয়ে এসেছে সচেতনতার বার্তা। গ্রাহক, রেস্টুরেন্ট পার্টনার ও রাইডারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য তারা ক্যাশবিহীন পদ্ধতির প্রতি উদ্বুদ্ধ করছে সবাইকে। গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য খাবার তাদের বাসা কিংবা অফিসের সামনে পৌঁছে দিচ্ছে। এছাড়াও সম্প্রতি লাইফবয়ের সাথে একটি চুক্তি করেছে যার অধীনে ফুডপান্ডার সকল রাইডার এবং রেস্টুরেন্ট পার্টনারদের লাইফবয় হ্যান্ড ওয়াশ প্রদান করা হবে যেন প্রত্যেকে সচেতন হতে পারে। তবে এর পাশাপাশি আরও একটি কাজ করছে ফুডপান্ডা আর সেটা হলো, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রথমে এগিয়ে আসা স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও তাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবীদের বিনামূল্যে ২০ হাজার খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করছে ফুডপান্ডা। আমি দোয়া করি আল্লাহ তাদের ব্যবসায় বরকত দান করুক।

করোনা প্রতিরোধে ভুলভাল পদক্ষেপ

করোনায় বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ ইতালী। দিনের পর দিন দেশটি ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। এই পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০৭৭ জনে। একেরপর এক স্বজন হারাতে হারাতে জনমনে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা যেন আরও কয়েকগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে দুই মিনিট অন্তর একজন করে মারা যাচ্ছেন সেখানে। এখন ইতালী যেন এক মৃত্যুপুরী। আর এই ইতালীর হাত ধরেই বাংলাদেশে আঘাত হানে করোনা।ওয়ার্ল্ডও মিটারস ডট ইনফোর তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত …

করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৩৩ জন।
করোনায় আক্রান্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪ জন।
সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৫ জন।
চিকিৎসাধীন রোগী আছে ২৫ জন।

দিন দিন বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অল্প অল্প করে বাড়ছে। ধারনা করা হচ্ছে এই রোগ আরও ভয়াবহ রুপ নিতে পারে। কারন বাংলাদেশে মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত পরিমান সচেতনতাবোধ এখন পর্যন্ত তৈরি করতে পারে নি সরকার। তবে সরকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া;সব ধরনের অনুষ্ঠানাদি বন্ধ ঘোষণা; নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান পাট ছাড়া যাবতীয় সকল ধরনের দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা সহ আরও আছে। তবে আমার কেন যেন মনে হচ্ছে দ্রুতগতির কাজগুলো বাংলাদেশ সরকার ধীর গতিতে সম্পাদন করছে। যার ফলাফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা কম।

১-
তিনজন প্রবাসী ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ধরা পড়ার পরবর্তীতে সরকার ধীরে ধীরে ফ্লাইটগুলো বাতিল করতে শুরু করেছে। উচিৎ ছিলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত শুরুতেই সকল ফ্লাইট বাতিল করে দেয়া। ফলশ্রুতিতে মানুষ এখন আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করতো না।

২-
মিশ্র কথাবার্তার কারনে চিকিৎসা সেবা দিন দিন ভঙ্গুর হচ্ছে। মুখে হাজারবার “দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে বলা হলেও” বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত চিকিৎসা সেবায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে হাজার গুনে পিছিয়ে আছে। বর্তমানে যে একটা পরিস্থিতি বিরাজ করছে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমান পিপিই যোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। ডাক্তারাও তাই এই সুযোগে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছেন।

৩-
করোনায় সরকারি হিসেব অনুযায়ী মোট মারা গিয়েছেন চার জন। আর এই চারজনের সবাই ছিলো বয়স্ক লোক। গবেষনায় জানা গেছে, করোনায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের অধিকাংশই ছিলো বয়স্কলোক। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে তারা শুরু থেকেই কোন না কোন একটি রোগে ভুগছিলেন। ফলে করোনায় আক্রান্ত হবার পর তারা খুবই দুর্বল হয়ে যান। কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।যার ফলাফল হয় মৃত্যু।

৪-
বাংলাদেশ সরকার করোনায় আক্রান্ত রোগীদের কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। যেমন ধামরাই উপজেলায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ইতালি ফেরত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন সেখান থেকে তাদের লক্ষাধিক টাকা চুরি হয়ে যায়। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল।

৫-
এনসিওভি-১৯ কিটের স্বল্পতা করোনা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। এই যন্ত্রের অভাবে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে।ফলে দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছেই।

৬-
সবার জন্য সমান চিকিৎসা সেবা এখনো গড়ে ওঠেনি। না হলে মিরপুরের টোলারবাগে প্রথমে যে ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। তার নমুনা সংগ্রহ করতে যখন আইইডিসিআরকে বলা হয় তখন তারা করেনি। তাদের পক্ষ থেকে নাকি বলা হয়েছি শুধুমাত্র প্রবাসীদেরকেই তারা চেকআপ করবেন অন্যদেরকে নয়।

৭-
প্রতিদিন একটি এলাকায় করোনা রোগী ধরা খাওয়ার দরুন একটি একটি করে এলাকা লকডাউন করার কোন মানে হয় না। লকডাউন করলে একসাথে সব এলাকা লক ডাউন করা উচিৎ। কারন আজ একটি এলাকায় করোনা রোগী ধরা খাওয়ার কারনে লক করা হলেও উক্ত ব্যক্তি যাদের সংস্পর্শে ছিলেন তারা আবার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এটাকে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন যা মোটেও শুভ লক্ষন হতে পারে না।

এভাবে অজস্র দোষত্রুটি ধরা যাবে। সরকারের উচিৎ করোনা প্রতিরোধে ছোটখাটো সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের দিকে নিয়ে যাওয়া। না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকে যেতে পারে আমার বিশ্বাস।

যে লক্ষণে বুঝবেন আপনি করোনায় আক্রান্ত

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস আতঙ্ক সারা পৃথিবীকে গ্রাস করেছে। সেইসাথে এ রোগ নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ও ভুল তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে এ সময়ে করোনা সংক্রান্ত সঠিক তথ্যটি জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন।

জ্বর
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখন জ্বর হওয়া অনেক স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে সময়টা যেহেতু কোভিড-১৯ এর, ফলে জ্বর হলে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। কারণ করোনাভাইরাসের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর। তাই জ্বর যদি ৭ দিনের বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
কানে ব্যথা করোনাভাইরাসের আরেকটি লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে কানে ব্যথা। কানে তীব্র বা মৃদু ব্যথা থাকতে পারে। কানের ভেতরে চাপ অনুভূত হতে পারে। কানে ব্যথা থাকলে মাসাজ করা যাবে না- বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

মাথাব্যথা সাধারণ ফ্লু এর ক্ষেত্রে মাথাব্যথা থাকতে পারে। ডিহাইড্রেশন হয়েও সেই সময় মাথাব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলে এই ব্যথা সেরে যায়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে মাথাব্যথা হলে প্যারাসিটামল খেয়েও সাধারণত ব্যথা কমে না।

চোখ জ্বালাপোড়া ঘুম কম হওয়া, টেনশন বা রেটিনার সমস্যার কারণে চোখ জ্বালাপোড়া করতে পারে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার লক্ষণ হিসেবেও চোখ জ্বালাপোড়া করতে দেখা গেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেক রোগীর শারীরিক লক্ষণগুলোর মধ্যে ছিল চোখ জ্বালাপোড়া করা।

গলাব্যথা করোনাভাইরাসের অন্যতম লক্ষণ হলো গলাব্যথা। সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা ও টনসিলের কারণে গলাব্যথা থাকতে পারে। তবে এখন যেহেতু সারাবিশ্ব করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে, ফলে গলাব্যথা থাকলেও দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

গায়েব্যথা
করোনাভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা হলো, গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল তাদের। বিশেষ করে হাত ও পায়ে। সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রেও হাত, পায়ে ব্যথা থাকতে পারে। তবে করোনাভাইরাসের লক্ষণ হিসেবে যেহেতু এই সমস্যাটি পরিচিত, ফলে অবহেলা করার উপায় নেই।

শ্বাসকষ্ট করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হলে তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। এ পর্যন্ত বেশিরভাগ করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা গেছে। সুতরাং শ্বাসকষ্ট যে কারণেই হোক, সচেতন থাকতে হবে।
ক্ষুধা মন্দা করোনাভাইরাসের অন্যতম লক্ষণ হলো খেতে ইচ্ছা না করা। ক্ষুধার অনুভূতি থাকে না। ফলে শরীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি আসতে পারে।

বুকে ব্যথা বুকে ব্যথা, ভার অনুভূত হওয়া, কফ জমে থাকাও করোনাভাইরাসের লক্ষণ। ফলে এমন সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার ফলাফল

সন ২০১৬। সাইবার হ্যাকিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে চুরি হয়ে যায় ৮ কোটি ১০ লক্ষ ডলার। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং লেনদেনের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইন্টার ব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট) সিস্টেমসে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে এ অর্থ ফিলিপিন্স ও শ্রীলংকার দুটি ব্যাংকে সরানো হয়েছিল।

পরবর্তীতে নানান অনুসন্ধান পেরিয়ে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের সাউদার্ন ডিসট্রিক্ট কোর্টে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা আইনি প্রতিষ্ঠান “কোজেন ও’কোনর মামলাটির পক্ষে লড়েছিলো। ১৯-০০৯৮৩ নথিভুক্তি নম্বরের মামলার শিরোনামে ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক বনাম রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন। এই মামলার নথিতে উল্লেখ ছিলো, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নিউইয়র্ক শাখায় রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার অজ্ঞাতনামা হ্যাকাররা হাতিয়ে নেয়। এ বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরির মধ্যে ফিলিপাইনে যায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং শ্রীলংকায় যায় ২ কোটি ডলার। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার শ্রীলংকা থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখিত নথিতে ফিলিপাইনের আরসিবিতে বা রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনে পাচার করা হয়েছে ৮ কোটি ডলার। এবং এই প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা মানি লন্ডারিং এর বিধিবিধান পালন না করেই সেসব অর্থ ছাড় করার মাধ্যমে ক্যাসিনো সহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পাচারে সহায়তা করেছে। আর এই চুরিতে সহায়তা করেছিলো উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। এছাড়াও মামলায় আরো বলা হয়েছে, ই অ্যাকাউন্টগুলোর ওপর আরসিবিসি এবং এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। কী ধরনের অপরাধ হচ্ছে তা জেনেও অ্যাকাউন্ট খোলা, বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর এবং পরে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার বিষয়গুলো কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই ঘটতে দিয়েছেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। সোলেয়ার রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনিও অপারেটর ব্লুমবেরি রিসোর্টস কর্পোরেশনের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বলেছে,

২০ মার্চ মার্কিন আদালতে ষড়যন্ত্রের দাবি প্রমাণ করতে ব্যর্থতার জন্য বিবাদীদের দায়ের করা অভিযোগ খারিজ করার প্রস্তাব অনুমোদন করে মার্কিন আদালত।

প্রশ্ন হলো বাংলাদেশ ব্যাংক কি ভাবছে এই বিষয়ে?

এই প্রশ্নটির উত্তরও ফেব্রুয়ারির পাঁচ তারিখে প্রথম আলোকে জানিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা চালানোর রায় না এলে তারা আপিল করবে। কারন উক্ত মামলা অন্য দেশে গেলে মামলায় তারা হেরে যাবে। সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রই বাংলাদেশের জন্য নিরাপদ স্থান।

সবচেয়ে অদ্ভূত ব্যাপার হচ্ছে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংক এতোদিন ধরে যে মামলাটি চালিয়েছিলো সেটা ছিলো ক্ষতিপূরন মামলা, টাকা উদ্ধার মামলা নয়। অন্যদিকে ফিলিপাইনের ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ১২ টি মামলা চলছে। মামলা চলার গতিবিধি বাংলাদেশের মতো বলে, সেখান থেকে টাকা উদ্ধারের কোন সম্ভাবনা নেই বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও সেদেশের আদালত বড় একটা এমাউন্ট জব্দ করে রেখেছে।

করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা

বিগত কয়েকমাস ধরে পৃথিবীতে সবচেয়ে আলোচিত বস্তুটির নাম নভেল করোনা ভাইরাস। ভাইরাসটির উৎপত্তি স্থল শুরুতে শুরুতে চীন থাকলেও এখন সেটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারস এর তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত মোট করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত কেস পাওয়া গেছে ৩৪০৪০৮টি। যেখানে মারা গিয়েছেন ১৪৫৭৩ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন, ৯৭৫৭১ জন মানুষ। বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২১৭৬৪২ এবং মুছে দেয়া মামলার সংখ্যা হচ্ছে ১১২১৪৪টি। এখানে কয়েকটি দেশের করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তিদের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলোঃ

করোনায় বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ ইতালী। সবচেয়ে বেশী সংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার দরুন সকল দেশকে ছাড়িয়ে প্রথমে অবস্থান করছে ইতালী। দিনের পর দিন দেশটি ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৬৫১ জন ব্যক্তি মারা গিয়েছেন সেখানে। একেরপর এক স্বজন হারাতে হারাতে জনমনে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা যেন আরও কয়েকগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে দুই মিনিট অন্তর একজন করে মারা যাচ্ছেন সেখানে। এখন ইতালী যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তি করোনা সঙ্কট দূরীকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি জনগণকে মনোবল ধরে রাখার জন্য প্রতিদিন বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে ফেসবুকে তার একটি হৃদয় বিগলিত করার মতো বক্তব্য পাওয়া গিয়েছে। সেটা ছিলো, এখন আকাশই একমাত্র ভরসা। জানি না এই ম্যাসেজের সত্য-মিথ্যা। তবে একটা উন্নত রাষ্ট্র হয়েও ইতালীতে এমন একটি অবস্থা তৈরি হবে কেউ কি ভেবেছিলো কখনও। আল্লাহ তাদের ক্ষমা করুক।তাদের সহায় হোক।

সময়ও আর মানুষের পক্ষে নয়

(করোনা – কোভিড ১৯)
-সাইদুর রহমান

যাকে চোখে দেখি না চিনি না
নামটি তার আজ কারো নেই অজানা;
সারা বিশ্বকে তুলেছে কাঁপিয়ে
ছোট বড় সবাই কত না আতঙ্ক ভয়ে।

কোথাও নেই যুদ্ধ বোমাবাজি
তবুও পৃথিবীর সকল মানুষেরা আজি;
অবরুদ্ধ ঘরে, যায় না বাহিরে
কেহ নয় কারো পাশে রয় দূরে দূরে।

একে অপরে মিলায় না হাত
অভিমানী প্রকৃতির কি নির্মম পদাঘাত;
এতো মৃত্যু দেখিনি একদিনে
কি নির্দয় আগ্রাসন সে করোনার মনে।

আজ বিরাট ঝুঁকি জন সমাবেশ
মানুষ মানুষে সৌহার্দ্য মানবতাও শেষ;
প্রকৃতি এতই ক্ষুব্ধ অবাক হই
যেন পাপ-স্তূপ বিশ্বে একদম ছুঁই ছুঁই।

হাতদু’টি ধোও সাবান দিয়ে
হাঁচি দাও সাবধানে অতিশয় ভদ্র হয়ে;
কে জানে কখন কার কি হয়
আজ সময়ও আর মানুষের পক্ষে নয়।

স্বদেশী ডায়েরীর আজকের পাতায়-২

১-
ঋতু পরিবর্তনের কারনে আমরা অনেকেই ভোগান্তিতে পড়ি আর তা হলো সর্দি-কাশি এবং জ্বর। এসব করোনায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষন মনে হলেও এটাকে করোনায় আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন ব্যক্তির যদি জ্বর হয় আর সে জ্বরের সাথে যদি শুকনো কাশি হয় তাহলে সেটা নিয়ে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনার কথা ভাববেন তারা। আর সেটা নিশ্চিত করনের জন্যে পরীক্ষা করবেন। চিকিৎসক অন্দিরাম বলেছেন, কফ সাদা হলে চিকিৎসক বুঝবেন রোগী ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। তখন সেই সংক্রমণ থেকে বের করে আনতে তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হবে। কাজেই জ্বর,সর্দি-কাশি হলেই করোনার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

২-
দেশজুড়ে যখন করোনা আতঙ্ক তারই মধ্য দিয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য দশ হাজার টেস্টিং কিট ও ১০ হাজার পার্সোনাল প্রোটেক্ট ইকুইপমেন্ট পাঠাচ্ছে চীন। করোনা মোকাবেলায় চীনের রাষ্ট্রদূত লী ঝিমিং বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে জানা গেছে, কিট রেডি আছে এখন যেকোন সময় পাঠাবে চীন।

৩-
করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রভাবে স্বদেশসহ বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা নেমে এসেছে। অর্থনীতি যেমন বাধাগ্রস্ত তেমনি পর্যটন ব্যবস্থাও স্থবির। করোনা আতঙ্কে আকাশের বাহন এখন মাটিতে অবস্থান নিয়েছে, সমস্ত হোটেল-মোটেল বন্ধ রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, ২০২০ সাল এয়ারলাইন্সওয়ালাদের জন্য খুব কঠিন একটি বছর হতে চলেছে।

৪-
ঢাকার ধামরাই উপজেলার আটিমাইটাইন এলাকার ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন থেকে ২৮টি সিলিংফ্যান চুরি হয়েছে। তবে এটার চেয়েও বড় বিষয় হলো, সেখানে হোম কোয়ারেন্টিনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা ৭ জন ইতালী ফেরত প্রবাসী বাংলাদেশীসহ মোট ১০ জন ব্যক্তির লক্ষাধিক টাকা ও মোবাইল ফোনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য জিনিসপত্রও চুরি হয়েছে। এই বিষয়ে সেখানকার স্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা বিষয়ক কর্মকর্তা ডা ইফফাত আরার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করতে গেলে তার নম্বর মৃত ঘোষণা করা হয়।

৫-
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ দোকান-মালিক সমিতি আগামী ২৫ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল দোকান-পাট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় থেকে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারনে গ্যাস ও বিদ্যুত বিল ৩-৪ মাস দেরী করে দিতে পারবে জনগণ। আর সে জন্য অতিরিক্ত কোন চার্জ কাটা হবে না। কারন মানুষ যখন বিল জমা দিতে যায় তখন তারা একসঙ্গে দাঁড়ায়। এতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

স্বদেশী ডায়েরীর আজকের পাতায়-১

১-
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তির বয়স ছিলো ৭৩। তিনি যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন চিকিৎসকগণ তার সমস্যা খুঁজে পায় নি। পরে তাকে মিরপুরের একটি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয় যেখানে একজন চিকিৎসক তাকে করোনা পজিটিভ বলে শঙ্কা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় যখন আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় তারা নমুনা সংগ্রহে অস্বীকৃতি জানায়। কারন তিনি বিদেশ ফিরত ছিলেন না। কি অদ্ভুত এই সংস্থান!

২-
চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলায় ট্রাক-পিকাপ/লেগুনা সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। জানা গেছে,যেখানে এই দুর্ঘটনাটা ঘটেছে সেই এলাকা আগে থেকেই দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা। তাহলেই এটা যেহেতু আগে থেকেই দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা তাহলে এখন অব্দি এটাকে দুর্ঘটনামুক্ত করা যায় নি কেন?

৩-
ইতালী ফেরত প্রবাসীর সঙ্গে পাশাপাশি সিটে বসে ঢাকা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের একজন নার্স। বাসায় ফেরার পর তার জ্বর হয়। দেরী না করে রামেকে গিয়ে এই বিষয়ে পরীক্ষা করান। পরীক্ষার ফলাফল স্বরূপ তাকে করোনায় আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া হয়। তারপর থেকেই তিনি আইসোলেশনে আছেন। জানা যায়, রামেকে করোনা পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে তাকে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিরাময় ও গবেষণা কেন্দ্রের হটলাইন নম্বর দিয়ে দেয়া হয়েছে।

৪-
আসছে ২৬ তারিখ মহান স্বাধীনতা দিবস। আর এই দিবসে বরাবরের মত এবার আর দেখা যাবে না স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বঙ্গভবনে বিশিষ্টজনকে দেয়া অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান।

৫-
নোয়াখালীর প্রবাসী আবদুর রহিম। স্ত্রী বকুল আক্তার এবং ৭ বছর বয়সী কন্যা রুপা আক্তার ও ৩ বছর বয়সী ফাতেমা আক্তারকে রেখে বিদেশ পাড়ি দেন। সাজানো-গোছানো সুন্দর সংসারই ছিলো। কিন্তু সময়ের পালাক্রমে সেটা রুপ নেয়ে ভয়াবহতায়। পারিবারিক কলহের কারণে শনিবার সকালে শশুড় বাড়ির লোকজন বকুল আক্তার ও তার দুই সন্তানকে বেধড়ক মারধর করে এবং এক পর্যায়ে মা-মেয়ে তিনজনের মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার বকুল আক্তার ও ফাতেমা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় রুপা আক্তার এখন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আছে।আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করুক।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অতি সাধারণ ও ছোট আবেদন

রাজনীতি অবশ্যই জনগণের কল্যাণের জন্যঃ
তাই আপনি জনগণের শুভচিন্তক। এই জন্য আপনার চিন্তা- চেতনা জনগণকে নিয়ে। সজ্জন রাজনৈতিক নেতা মানে অন্যের ব্যথায় ব্যথিত হয়ে সমবেদনা জানাতে ছুটে আসা। জনগণের অপরিসীম কল্যাণই সৎ রাজনৈতিক নেতার মানসপটে থাকে। আর এর জন্য ক্ষমতাবান চেয়ারের তেমন একটা প্রয়োজন পড়ে না। প্রয়োজন পড়ে জন সমর্থন। প্রয়োজন পড়ে জন – ভালোবাসা। এর বিপরীতও আছে, ক্ষমতাবান চেয়ার সম্রাট বানায়। কোটি কোটি টাকা বানায়। জোর-জবর করে জন ভালোবাসাও বানায়। কিন্তু সেই ভালোবাসার নেতা একদিন আস্তাকুঁড়ে নিপতিত হয়, এবং হবেই। মহান আল্লাহ সাক্ষী। গণ স্বাস্থ্য ৭১ সালে মানুষের সেবা করেছে, আজ আবার ২০২০ সালে দেশের মহা বিপদে সেবার জন্য হৃদয় দিয়ে কাজ করছে। এটা আমজনতার নিগুঢ় ভালোবাসারই জয়। আর উনাদের অকৃত্রিম সেবায় বাঁচবে আমার কিংবা আপনার প্রিয়জন। তখনি হাসবে বাংলাদেশ। ক্ষমতা মানুষকে লাগামহীন করে, ক্ষমতা মানুষকে বেপরোয়া করে, ক্ষমতা মানুষকে হাসির পাত্র করে। সর্বোপরি করে লোভী। আর সেটা বর্তমান শাসক দলের নেতারাই (সবাই না) প্রমাণ।

চাই কঠিন ইস্পাত ঐক্যঃ
আর সেই ঐক্য হবে ভালোবাসায় এবং ভালোবাসায়। সেই ঐক্য দরকার নেতায় আর নেতায়। সেই ঐক্য দরকার নেতায় এবং আমজনতার। আমরা লড়াই করে চিনিয়ে এনেছি মায়ের ভাষা, লড়াই করে চিনিয়ে এনেছি স্বাধীন সার্বভৌম মায়ের জায়গা। আর এইসবই ছিল দূর আকাশে মেঘে ঢাকা। ছোট বড়, ধনী গরীব, জাত অজাত সবাই মিলে বুকের লাল একদম স্বচ্ছ লাল রক্ত উজাড় করে সোনালী সকাল চিনিয়ে এনেছি। রক্তের দামে কেনা বলে লাল আভা বিচ্ছুরণ করে আমাদের জাতীয় পতাকায়। এখন আবার সেই ৭১ এর মত ঐক্য চাই সম্মানিত রাজনৈতিক দল। জানি এখন ২০২০ সাল। অনেকের অনেক বেদনা, অনেক যন্ত্রণা, অনেক কষ্ট বুকে। তবুও ঐক্য চাই। কারণ আমরা যে বাঁচতে চাই।

৭১ সালে ছিল সুশৃঙ্খলা রাজাকার বাহিনী। আজও আছে আড়তদার, মুনাফাখোর, গুজব ও ধর্মীয় লেবাসধারী কিছু নব্য রাজাকার। এদের বিরুদ্ধে একটা ঐক্যবদ্ধ লড়াই চাই। আর সেটা এখনি উপযুক্ত সময়। আমার বিশ্বাস এতে আমরাই জিতবো। এতে আপনাদের মানবতারই জয় হবে। আর তখন হাসবে পুরা বাংলাদেশ। আপনারা হবেন জাতীয় বীর। শত শত জাফরউল্ল্যাহ স্যার চাই এইদেশে।

ছাত্র এবং যুব সংগঠনকে কাজে লাগানো যায়ঃ
৬৮ হাজার গ্রামে নিয়ে এই দেশ। গ্রামের মানুষ অসচেতন, এদের সচেতন করাই প্রথম কাজ তাই প্রতিটি গ্রামে একটা করে (শিক্ষিত, সাহসী, সচেতন ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন কর্মী নিয়ে) টিম করা যেতে পারে। আর এই টিমের প্রধান হবে নিজ সংগঠনের নেতা। এই টিমকে তদারকি করবে ইউনিয়ন কমিটি। তেমনি উপজেলায়, জেলায় কিংবা যে কোন শহরের প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায় এইভাবে টিম করা যেতে পারে। (তবে তা হতে হবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও করোনার জন্য দায়িত্বপাপ্ত হাসপাতালের ডাক্তারদের সাথে সমন্বয় করে। )

টিমের কাজঃ
(১) গ্রামের লোকজনকে সচেতন করা।
(২) বিনা মূল্যে মাক্স এবং স্যানিটারিজ সরবরাহ করা।
(৩) প্রবাসী থাকলে কিংবা নতুন আসলে তাদের তথ্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো।
(৪) কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে দ্রুত যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং হাসপাতাল হতে যেন পালাতে না পারে তা নজর রাখা।
(৫) আড়তদার ও মুনাফাখোরদের গোপনভাবে তথ্য সংগ্রহ করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা।
(৬) যে কোন ধরনের গণজমায়েতের বিরুদ্ধে মতবাদ গঠন করা।
(৭) এই সময় ধর্মীয় লেবাসধারীরা যেন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে সেই দিকে নজর রাখা এবং করলেও প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

তবে এইসব করতে টাকার যোগান দিতে হলে তাও ব্যবস্থা হয়ে যাবে। শুধু চাই সরকারের সুনজর। চাই এই মুহূর্তে মতভেদ ভুলে সবাইকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া। ভালোবাসা ওহ প্রিয় বাংলাদেশ। আল্লাহ করুণা করো আমাদের।

কোয়ারেন্টাইন ( জনবিচ্ছিন্ন ) থেকে লোকজন পালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কেন পালিয়ে যাচ্ছে

এখন যদি ইটালী থেকে আসার পর আপনাকে হজ্ব ক্যাম্পে ১৪দিন রাখা হয়, আপনিও পালিয়ে যাবেন। ইটালি না, আপনি কক্সবাজার গিয়েছেন, ফিরে আসার পর জানলেন, আপনাকে ১৪ দিন আটকা থাকা লাগবে। সেটা ফ্লোরে তোশক বিছিয়ে। বিপদের সময় এখন তাই আবদ্ধ থাকতেই হবে। কোন সন্দেহ নেই। তবে, এটা কি একটু ভালোভাবে হতে পারে না?

এরা তো আর চুরি করে পালিয়ে আসে নাই। কেউ কেউ ভীতি থেকে এসেছেন। বাকিরা স্বাভাবিক যাওয়া আসা করেন, ফ্লাইট রেগুলার চলাচল করে। এই মানুষ গুলোকে এভাবে না রেখে তাদের জন্যে একটা বাড়ি ভাড়া করে, সঠিক দামে খাট কিনে ও একটা আলমারি দিয়ে তাদের কি রাখা যেতো না? যে দেশে লাখ টাকায় পর্দা কিনা হয়, লাখ টাকায় বালিশ কিনা হয়, কোটি টাকায় কলাগাছের লেনদেন হয়। সেখানে এই একটা কাজে দুর্নীতি না করে কিছু খাট কিনে, একটু ভালো পরিবেশ দিয়ে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের রাখা হলে কি খুব খারাপ হতো? ওয়াইফাই দিয়ে পরিবারের সাথেও কথা বলার জন্য সুযোগ দেয়া যায়। দিলে কি এমন ক্ষতি হবে। বা পরিবার থেকে পাঠানো খাবার চেক করে তাদের কাছে কি দেয়া যায় না? ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের ঘর বাড়ি হয়, আর আমাদের সম্মানিত রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কপালে জোটে ক্যাম্প। কত টাকা লাগতো এতে? একটা বালিশ আর একটা কলাগাছের টাকা দিয়ে তো এরকম ১৫০ জনকে ৩ মাস খাওয়ানো যায়। ভয় লাগে, কবে না জানি দেশের শাসকদের কপালে এরকম সেবা জোটে।

(করোনা আক্রান্ত যেসব দেশে কেরালার নাগরিক রয়েছে তারা দেশে ফিরতে চাইলে তাদের সাদরে গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার। কেরালার কোন নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও ফিরে আসতে চাইলে তাদেরকে সসম্মানে গ্রহণ করা হবে এবং যথোপযুক্তভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের তাদের পছন্দ মতো খাবার সরবরাহ, ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ওয়াইফাই’র ব্যবস্থা ও রোগ থেকে সেরে উঠতে কাউন্সেলিং করছে কেরালা।
যারা বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য পর্যালোচনা করে চিকিৎসা করছে কেরালা সরকার। এ জন্য চালু করা হয়েছে বেশ কয়েকটি হটলাইন নাম্বার, যাতে ফোন দিয়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য জানতে পাচ্ছেন তারা।

আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি মুহূর্তে খোঁজ খবর নিচ্ছে ওই রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্যকর্মীরা সরাসরি আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসার পাশাপাশি মনোবল বাড়াতে কাউন্সেলিং করছেন। (বাংলাদেশ প্রতিদিন)

আমরা কি কেরালা হতে গরিব নাকি মেধাহীন। শাসকদল যে বলে আমাদের দেশ সিঙ্গাপুর হয়ে গিয়েছে। তাহলে এইসব মিথ্যা আর ধোঁকাই। যাহা আমজনতাকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছুই না।
কানাডা প্রবাসী মেয়েটা ডাক্তার নার্সদের অবহেলায় মরেই গেল। এইসব কসাইদের আবার কিছু বলা যাবে না রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির কারণে তাদের আছে দানবীয় ক্ষমতা, করবে ধর্মঘট। বিপদে পড়বে সাধারণ জনগণ। তাইতো দুঃখে বলি (ক্ষমা চাই) করোনা তুমি বাংলাদেশের সব ধরনের জালিমদের ক্ষমা করোনা । এই ভাইরাসজনিত রোগে যদি আমরা উন্নত রাষ্ট্রকেও পিছনে ফেলি, তখন কিছুই করার থাকবে না। অ‌পেক্ষা কেবল সম‌য়ের। কারণ অামা‌দের সামা‌জিক এবং রাষ্ট্রীয় প্র‌তি‌রোধ ব্যবস্থা যে কত দুর্বল তা বলার বা‌হি‌রে।

কষ্ট কেবল অাপন কেউ মারা গে‌লে তার কা‌ছেও যে‌তে পার‌বো না‘ বা নি‌জে মারা গে‌লে কেউ কা‌ছে অাস‌বে না। তাই বলবো রাজনৈতিক কাঁদা ছুড়াছুড়ি না করে কাজের কথায় মনোযোগ দিন। আমরা সাধারণ জনগণও সচেতন হই। নিজে বাঁচি, পরিবাব, সমাজ এবং রাষ্টকে বাঁচাই।

মরণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গৃহীত প্রাণঘাতী পদক্ষেপ

বর্তমানে কেভিড–১৯ নভেল করোনা ভাইরাস সারাবিশ্ব ব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ সংক্রমণ। যার উৎপত্তিস্থল ছিল গণচীনের উহানে। সেখান থেকে পালাক্রমে সারাবিশ্ব ঘুরে এই প্রাণঘাতী রোগ এখন হানা দিয়েছে আমাদের দেশে। এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস থেকে দেশ ও দশকে বাঁচাতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বিভিন্নরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এসব পদক্ষেপের মধ্যে নভেল করোনা ভাইরাস আক্রমণ থেকে বাঁচতে করনীয় দিকনির্দেশনা-সহ বিশ্ব থেকে সব দেশকে একঘরে করে রাখার একঘেঁয়ে পদক্ষেপও নিচ্ছে। এই একঘেঁয়ে পদক্ষেপ হলো, ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা-সহ সবধরনের ভ্রমণ ভিসা বন্ধ রাখার পদক্ষেপ। এর মানে হলো, আমার বাড়িতে অন্য বাড়ির কেউ আসতে পারবে না! যার অর্থ দাড়ায় এই পৃথিবী নামক গ্রহটিতে যতগুলো দেশ আছে, একটা দেশ থেকে আরেকটা দেশের সকল যোগাযোগই বিচ্ছিন্ন করে রাখা।

যদিও আমাদের দেশে এই প্রাণঘাতী রোগে আক্রমণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের চেয়ে নুন্যতম, তবুও আমাদের ভয় থেকে যাচ্ছে নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরবর্তী সময়ের দিকে। যদিও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের চেয়ে আমাদের দেশে এখনো এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রমণে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, তবুও এই রোগসংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরবর্তী সময়ে হয়তো অনেকেই না খেয়ে ক্ষুধার জ্বালায় ছটফট করে মৃত্যুবরণ করবে; তা কিন্তু একশো-তে-একশো নিশ্চিত!

তখন এরকম পরিস্থিতির শিকার শুধু আমাদের দেশেই হবে না, সারাবিশ্বই একইরকম পরিস্থিতির শিকার হবে বলে ধারণা করা যায়। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এরকম পদক্ষেপকে একরকম মরণঘাতী পদক্ষেপই বলা চলে। যেখানে সারাবিশ্ব এই মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের আক্রমণ সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার কথা, সেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্বেচ্ছায় গ্রহণ করছে একঘরে হয়ে থাকা। তাহলে এতে বুঝাই যাচ্ছে যে, যখন এই মরণঘাতী ভাইরাস ধীরে ধীরে নিস্ক্রিয় হতে থাকবে, তখন সারাবিশ্ব আক্রান্ত হবে অর্থনীতির দুর্দশার আক্রমণে।

এর কারণ হলো, আমরা কিন্তু সবসময়ই পরনির্ভরশীল। আমাদের যা-কিছু আছে, তা দিয়ে আমারা নিজেরা চলতে পারি না বলে অনেককিছুই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের আমদানি করতে হয়। আবার আমরা আমাদের উৎপাদিত থেকে নিজেরা খরচাদি করে বাড়তি কিছু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করে থাকি। দেশ থেকে আমদানি-রপ্তানি শুধু আমরাই করি না, বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন দেশেই আমদানি-রপ্তানিত করে থাকে।

তাহলে যদি এক দেশ থেকে অন্য দেশের জনগণের জন্য ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা-সহ সবধরনের ভিসা বন্ধ কার্যক্রম চলতে থাকে, তাহলে তো এক হিসেবে আমদানি-রপ্তানি-সহ দেশের প্রতিটি মানুষের জীবন জীবিকার উপরই প্রভাব পড়ে। তাহলে বর্তমান সময়ের উদিত হওয়া মরণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের চেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাণঘাতী ভাইরাসে রূপ নিতে যাচ্ছে; বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কিছু একঘেঁয়েমি গৃহীত পদক্ষেপ। যা প্রাণঘাতী পদক্ষেপ বলে বর্ননা করা যায়।

প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস এবং আমাদের করনীয়

নভেল করোনা ভাইরাসের ভয়ে সারা পৃথিবী এখন থরথর করে কাঁপছে। আক্রান্ত হচ্ছে লাখো মানুষ। মৃত্যুবরণ করছে হাজারে হাজার। যেটা ছিল বৈদেশে, সেটা এখন এসে পড়েছে আমাদের দেশে। এই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে ঘরবন্দী কার্যক্রম শুরু করেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ রাস্তাঘাটে চলাফেরা বন্ধ করে ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন দেশের মানুষ নিজেদের দৈনন্দিন কাজকর্মও একরকম বাদ দিয়ে ঘরবন্দী হয়ে জীবনধারণ করছে।

এখন কথা হলো, আমরা কি ওইসব উন্নত দেশের মানুষের সাথে পাল্লা দিয়ে ঘরবন্দী হয়ে থাকতে পারবো? ঘরে বসে থাকার মত আমাদের ক’জনেরই-বা ওইরকম সহায়সম্বল আছে? আছে হয়তো হাতেগোনা কিছু মানুষের। আর বাকি সবাই সহায়সম্বলহীন। তাহলে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে বিজ্ঞ চিকিৎসকদের ঘরবন্দী নিয়মকানুন আমরা ক’জনই-বা মেনে চলতে পারবো? এক কথায় উত্তর আসবে, “পারবো না!” তাহলে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে আমাদের যা করতে হবে, তা হলো–

১। প্রথমে মনের ভয় দূর করুন।
২। যাঁর যাঁর ধর্মমতে মহান সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণে রাখুন।
৩। নিজের মা-বাবাকে ভক্তিভরে শ্রদ্ধা করুন।
৪। যদি স্ত্রীর কথা শুনে নিজের মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে থাকেন, তাহলে বৃদ্ধাশ্রম থেকে যথাশীঘ্র তাঁদের বাড়িতে নিয়ে আসুন।
৫। পরের ধনসম্পদে থেকে কুনজর পরিহার করুন।
৬। অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকুন।
৭। নিজ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হউন।
৮। পরকে ঠকানোর চিন্তাভাবনা থেকে বিরত থাকুন।
৯। যদি বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকেন, তাহলে ক্ষমতার অপব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
১০। দেশ ও দশের ক্ষতি হয়, এমন কর্ম থেকে বিরত থাকুন।
১১। মায়ের জাতি নারীদের প্রতি কুনজর পরিহার করুন।
১২। মায়ের জাতি নারীদের নিজের মা-বোন মনে করে সমদৃষ্টি রাখুন।
১৩। সকল জীবের প্রতি উদার মনোভাব দেখান।
১৪। মহান স্রষ্টার সৃষ্টি এই সুন্দর পৃথিবীকে ভালো-বাসুন এবং সব ধর্মের মানুষকে ভালোবাসতে শিখুন।
সবশেষে; যদি পারেন বিজ্ঞ চিকিৎসকদের আরোপ করা নিয়মকানুন মেনে সতর্কতা অবলম্বন করুন–

১। মুখে মাস্ক পরিধান করুন।
২। সবসময় নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
৩। কারো সর্দি কাশি হলে তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
৪। দরকার হলে হাতে প্লাস্টিকের গ্লাভস পরিধান করুন।
৫। প্রতিদিনের ব্যবহৃত কাপড় প্রতিদিন ধুয়ে ফেলুন, ঘরদোর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
৬। যেখানে সেখানে কফ, থু থু ফেলবেননা।
৭। যাদের সর্দি কাশি আছে তারা রুমাল কয়েকটা সাথে রাখুন, এবং তা প্রতিদিন পরিস্কার রাখুন।
৮। কারো সর্দি কাশি, জ্বর এবং সাথে হাঁপানির মতো অনুভূত হয়, তাহলে দ্রুত স্থানীয় আইসিসিডিআর বির হাসপাতাল, বা সরকারের নির্ধারিত হাসপাতালে গিতে নিজের চিকিৎসা নিন।

বিঃদ্রঃ মনে রাখবেন! এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে, একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা। আপনার আমার যতক্ষণ আয়ু আছে, ততক্ষণই বেঁচে থাকবো। আয়ু শেষ তো সব শেষ! রোগবালাই হলো একটা আলামত। ঝড়-তুফান, জলোচ্ছ্বাস, ভূকম্পন যেমন, ঠিক তেমন! এই আছে, এই নেই! এতে ভয়ের কিছু নেই। মহান সৃষ্টিকর্তার ইশারায় যা হবার, তা হবেই হবে।

চীনে করোনা ভাইরাস ও ইসলামের কিছু কথা

পৃথিবী জুড়ে চলছে অশান্তি হানাহানি-কাটাকাটি, ব্যাভিচার ও ক্ষমতা বিস্তারের প্রকট দুর্নীতি এবং সৃষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি অবিশ্বাসের ঘোর অন্ধকার।
উন্নত প্রযুক্তি আর শিক্ষাহার যত বাড়ছে ততই বাড়ছে সৃষ্টা অবিশ্বাসীদের সংখ্যা,
বাড়ছে মুসলিম বিরোধীদের সংখ্যা।

ঠিক তেমনি সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিয়ে মাথা উচু করে দাড়ানো মুসলিম বিরোধী একটি রাস্ট্র চীন,
অর্থ সম্পদ আর প্রযুক্তির দাপটে পুরো চীন জুড়ে সীমিত কিছু উইঘুর মুসলিমদের উপর চালাচ্ছে স্টীম রোলার চীনা কতৃপক্ষ!

প্রকাশ্যে মোনাজাত, ইসলাম শিক্ষা ও রোযা পালনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন দেশটির প্রসাশন তাছাড়াও চীনের যেকোন প্রদেশে আরবীতে কোন প্রচার এবং প্রকাশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

শিনিজিয়াং প্রদেশের কাশগড় ও উরুমকি শহরের মসজিদ গুলো যখন চীনা প্রসাশনের নির্মম অত্যাচারের আতংকে জনশূন্য,
সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমরা চীনা প্রসাশনের কাছে নিরুপায় ঠিক সেই চলতি সময়ে;
টেকনোলজীর দাপটে চষে বেড়ানো বর্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে গোটা চীনে ছড়িয়ে পড়েছে আত্মঘাতী “করোনা ভাইরাস”
এটি এমন একটি নতুন ভাইরাস যার কোন প্রতিশোধক এখনও আবিষ্কৃত হয়নি!

প্রযুক্তির ধবজাধারী গণপ্রজাতন্ত্রী চীন অদৃশ্য করোনা ভাইরাসের কাছে আত্মসর্মপন করে বসেছেন,
এর পুর্বে ২০০২ সালে-
‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম’ নামের একটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মারা গিয়েছিলেন ৭৭৪ জন।

আল্লাহ তায়ালার অবাধ্যতা ও সাধারণ নীরহ প্রজাদের উপর অত্যাচারী শাসকদের জুলুম যখন সর্বোচ্চ আকার ধারন করেন আল্লাহ তখনি পৃথিবীর সেই সমস্ত জুলুমবাজ শাসক ও তার অনুসারীদের উপর বার বার গজব নাযিল করেন;
যেমন গজব নাযিল করেছিলেন ফেরাউন সম্প্রদায়ের উপর-
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন,

“হে মুসা!
তুমি ফেরাউনের কাছে যাও সে অত্যন্ত উদ্ধত হয়ে গেছে।”
[সুরা ত্বাহা : আয়াত ২৪]

যখন বিশ্বাসীরা অত্যাচারী শাসকদের দ্বারা নির্যাতিত হতে থাকবে দেশের অরাজকতা, ব্যাভিচার কালচারে পরিণত হবে এবং সৃষ্টার অস্তিত্বকে ব্যঙ্গরসে রুপান্তরিত করে চলবে কাঁদা ছোড়াছুড়ি যুক্তি তর্ক মারামারি;
স্বল্প সংখ্যক মুসলিমদের মধ্যে অত্যাচারের প্রতিবাদ করার মত কেউ থাকবে না, আল্লাহ
অত্যাচারীদের মাঝে এমন এক রোগ ছড়িয়ে দিবেন যা পুর্বে কখনোই তাদের ছিলো না।

রাসুল (সাঃ) বলেছেন,
“যখন কোনো জাতি বা সম্প্রদায় অশ্লীল ও ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হয় তখন তাদের মধ্যে এমন এক ভয়ঙ্কর মহামারী দেখা দেয়, যা তারা অতীতে কখনো দেখেনি।”
[ইবনে মাজা]

আল্লাহ অত্যাচারী সম্প্রদায়কে শোধারনোর সুযোগ দেন,
মহামারী করোনা ভাইরাসে চীনে এখন পর্যন্ত ৪২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, ছড়িয়েছে ২০টির বেশী দেশে।
যা বনী ইসরাইলদের থেকে কয়েক হাজার গুন সহনীয় মাত্রায়।
আল্লাহর আদেশ অমান্য করায় প্লেগ মহামারীতে মাত্র ১ ঘন্টায় অহংকারী বনী ইসরাইল জাতির ৭০ হাজার মানুষ নির্মম মৃত্যু মুখে পতিত হন।

“অতপর জালেমরা কথা পাল্টে দিয়েছে, যা কিছু তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছিল তা থেকে।
তারপর আমি আসমান থেকে যালেমদের উপর আজাব অবর্তীন করেছি,
আমার নির্দেশ লংঘন করার কারনে।
[সুরা বাক্বারা : আয়াত ৫৯]

প্রভু তার সৃষ্টিকে দুর্বল করে বানিয়েছেন,
দুর্বল ও পচনশীল শরীর নিয়ে পার্থিব ক্ষমতার জোরে দর্প করা ভাল নয়-
চীন এশিয়া মহাদেশের মধ্যে শক্তিধর উন্নত রাস্ট্র সন্দেহ নেই,
সৃষ্টির সাথে চীন প্রসাশন সাময়িক জোর খাটাতে পারলেও আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলাম ও রাসুল (সাঃ) এর অনুসারীদের উপর জোর খাটানোর কারনে তাদের কমিউনিটি ও অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়েছে।
চীনা প্রসাশনের হিংস্র অত্যাচারে মুসল্লি শুন্য মসজিদ আর নিপীড়িত সংখ্যালঘু উইঘুরের গৃহবন্দী মুসলিমদের কান্না প্রভু শুনেছেন;
ফলে চীনের জনসংখ্যার ধর্মীয় ভিত্তিতে গুটি কয়েক মুসলিমকে গৃহবন্দী করার কারনে পুরো চীন আজ গৃহবন্দী ব্যস্ত চীনের রাস্তাঘাট এখন সুনসান ভুতুরে আতংক।
প্রভু সকলকে যাবতীয় বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করুন ও সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন।

৮ই ফাল্গুন বাংলা মাতৃভাষা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারী নয়

বাংলা ভাষার জন্য যুদ্ধ করে শহীদ হওয়ার পর অর্জিত হয়েছিল বাংলায়, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার। কিন্তু দুঃখের বিষয় নানা অজুহাত আর রাষ্টীয় অনাগ্রহ এবং অবহেলার কারনে বাংলা মাতৃভাষা দিবসটি বাংলাতে বলতে পারিনি। মাতৃভাষা দিবস বলতে আজও আমাদের ২১ শে ফেব্রুয়ারী বলতে হয়। ৮ই ফাল্গুন বলতে পারিনা। আফসুস বাংলার জন্য যুদ্ধ করে বাংলাকে অবহেলা।
ইদানিং আবার নতুন একটা অজুহাত-
এটা তো এখন আন্তর্জাতিক দিবস, কিছু করার নাই। ভাই এই কারনেই আমাদের দাসত্ত করা লাগে। আমাদের সত্তা কেন বিসর্জন দিব!!!
আসুন আজথেকে বদলায়, বলি-
৮ ই ফাল্গুন হল বাংলা মাতৃভাষা দিবস।
২১ শে ফেব্রুয়ারী হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। যা বাংলা মাতৃভাষা দিবসের অনেক পরে সীকৃতি পেয়েছে।
আমরা শুধু মাত্র কথার এবং দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন করি, তাহলেই আমাদের সত্তায় কোন প্রকার আঘাত আসবেনা।
যুদ্ধ করে লাভ কি যদি নিজেই নিজেকে শ্রদ্ধা করতে না পারি!!!!

গত বছর এই পোষ্টটি প্রথম দিয়েছিলাম সামু ব্লগে। তখন বেশ কয়েকজন সম্মানীত ব্লগার বা লেখক ভাইরা মন্তব্য করেছিলেন। আজ সেইগুলো সহ পোষ্ট করলাম শব্দনীড়ে। এখানে সকল মন্তব্য দেওয়া হয়নি।

১. ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৬১

চাঁদগাজী বলেছেন:

বৃটিশ থেকে বের হওয়ার পর, দেশের রাস্ট্রীয় ভাষা ইংরেজী থাকাই উচিত ছিলো; উর্দু বা বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার কথা যারা বলেছিলেন, তারা বুদ্ধিমান ছিলেন না।

২. ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৮০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তাইলেতো ভা্ই
২৫মার্চ স্বাধীনতা দিবস
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস
নতুন করে হিসাব কষতে হব।
এমন কিছু সময় দিন মাস
ক্ষণ আছে যা আমাদের জাতি
সত্বার কাছে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।
এখানে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করা
ঠিক হবেনা।

৩. ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৫১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ফেব্রুয়ারি বানান ভুল
দাসত্ব বানান ভুল
এ বছর একুশে ফেব্রুয়ারি কয় তারিখ বাংলায়?????
৯ ফাল্গুন হবে……

International দিবস গুলো সবই ইংরেজি তথা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে…….

৫. ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৮০

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ইংরেজি বা বাংলা যেটাই হোক ,এটাকে ইস্যু না বানিয়ে আগে সঠিক ভাষা শিক্ষা জরুরী ।

৭. ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৩০

কিশোর মাইনু বলেছেন: তার আগে কয়জন বাংলা বার মাসের নাম বলতে পারবে সেটা দেখেন ভাইয়া।

৮. ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫০

সনেট কবি বলেছেন: দিবসের হিসেব সাধারণত ইংরেজীতেই হয়।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৭০

লেখক বলেছেন: কেন বাংলাই করেন না???? বাংলাতে কি গণণা সাল নেই!!!! আর আমাদের নিজেদের ঐতিহ্য অনুষ্ঠান কেন আমরা ভিন্ন দেশের ভাষাতে বা তাদের বলে দেওয়া সালে পালন করব!!! তাই যদি করতে হয় তাহলে কিসের আবার বাংলা ভাষা, কিসের ভাষা দিবস, কিসের মাতৃভাষা!!!! উর্দুই ছিল ভালা।
৯. ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: কিসের আবার বাংলা ভাষা, কিসের ভাষা দিবস, কিসের মাতৃভাষা!!!! উর্দুই ছিল ভালা।
কুল ম্যান !! সম্ভবত আপনার বোঝার ভুল আছে, আবেগ দিয়ে সব কিছু হয়না। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সঃ) জন্ম তরিখও(২৯ আগস্ট ৫৭০খ্রীস্টাব্দ) কিন্তু আরবীর সাথে ইংরেজী সনের হিসেবে করা হয়। তাতে কি তার জন্ম তারিখ অশুদ্ধ হয়ে যাবে?
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪০

লেখক বলেছেন: জনাব তখন কিন্তু আরবি গণনা সাল ছিল না। নবী(সঃ) হিজরত করার পর থেকে আরবি গণনা সাল শুরু করা হয়। যার ফলে খ্রীস্টাব্দ কে গ্রহণ করা হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের বাংলা ভাষার জন্য যখন যুদ্ধ হল তখন কিন্তু আমাদের একটা গণনা সাল ছিল এখনো আছে তাহলে সেইটাকে আমরা গ্রহণ না করে কেন খ্রীস্টাব্দ-কে গ্রহণ করলাম!!!! এইটা কি বাংলার জন্য যুদ্ধ করে প্রান দিয়ে বাংলাকে অবমাননা নয়???? তাহলে ভাষা দিবস বলে এই সব নাটকের মানে কি????