বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

গোলকীপার

গোল হয়ে বসে থাকে দুপুরের দুঃখ। কেউ দেখতে আসেনি আজ, -সেই
বেদনায় মাথা নত করে থাকে অভিমানী মাঘের মেয়ে। এই বসন্ত
এর আগেও কারারুদ্ধ ছিল। এই শীতের শেষে, মাটিচিহ্নে পড়েছিল অগোছালো পুষ্পের ছায়া।

রুদ্ধশ্বাসে উড়ে যাচ্ছে মেঘের গোলন্দাজ বাহিনী। কোনো যুদ্ধ নয়, তবুও
দেশ ছেড়ে অন্যদেশে দখলের পতাকা উড়াচ্ছে বিচ্ছেদের নবম সারিন্দা।
বিরহের জয় হোক। প্রাণজ আনন্দে বেদনার সারিন্দা বাজুক, কথাগুলো আবারও লিখছেন প্রাক্তন বিভাগীয় সম্পাদক।

আমি গোললকীপার হয়ে, হাঁটু গেড়ে বসে আছি। সবগুলো গোল আটকাবোই।
আমাদের পরাজয় ঠেকাতে, আজ মধ্যরাতেই করবো বিকল্প চন্দ্রের সন্ধান।

ঈদের আনন্দ সবার জন্য

ggy

ঈদ বুঝি গেলো গত হয়ে
অনেকে করছে খেয়ে দেয়ে,
কেউ করছে আনন্দে ঈদ
কেউ রয়েছে না খেয়ে।

কারোর ঘরের পোলাও মাংস
রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে ঢেলে,
কেউবা আবার কুড়িয়ে এনে
খাচ্ছে চোখের পানি ফেলে।

ঈদ উদযাপন করছে কেউ
নতুন জামা কাপড় পরে,
কেউ করছে ঈদ উদযাপন
ছেড়া ময়লা বস্ত্র পরে।

তবুও সবাই করছে ঈদ
বাকি রইলো না কারোর,
আসবে আবার খুশির ঈদ
রাখবে কি তাদের খবর?

যেখানে আছে গরিব দুঃখী
সুখ নাই যাদের ঘরে,
তাদের খবর যদি রাখো
ঈদ আনন্দে উঠবে ভরে!

.
নিতাই বাবু
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর
২২/০৪/২০২৩ইং।

গরমের সাথে খেলছি লুকোচুরি

vvv

উষ্ণ হাওয়া এসে লাগলেই গায়
বিতৃষ্ণা দেহে লুটোপুটি খায়,
চায়ের কাপে আছে রাখা অদৃশ্য সুখ,
চায়ে ঠোঁট রাখলেই বিন্দু স্বস্তি দাঁড়ায় সম্মুখ।

পাতায় পাতায় জমে আছে ধুলা
দিন যেন হয়ে রয় জ্বলন্ত চুলা,
কোথায় শান্তি হারালো, সময় হাঁসফাঁস
দিনের বুকে আছে জমে এক সমুদ্দুর দীর্ঘশ্বাস।

শান্তি হারিয়ে কাঁদি প্রভুর দরবারে
তাঁরে ছাড়া আর ডাকি কারে,
নীল আসমান করে দাও প্রভু অমানিশা কালো,
নিভে যাক দিন, চাই এক পসলা বৃষ্টির আলো।

হাতে নিয়ে চায়ের কাপ
খাচ্ছি দিনের উত্তাপ
যে উত্তাপে পুড়ে যায় দেহ,
প্রভু ছাড়া হিম শান্তি পারবে না দিতে কেহ।

আয় বৃষ্টি আয়,
উষ্ণতার সাথে খেলে যা লুকোচুরি
ত্রাহিত্রাহি গরমে প্রাণ যায়,
আসমান হতে ঝরাও রব বৃষ্টির নুড়ি।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

সাইপ্রাস রোড

ইতিমধ্যে তরুণ পাতায় কুয়াশা জমছে
স্বাগত জানাচ্ছে পপলার গাছগুলো,
মোহিকানদের ছোট ছোট বাড়ি-
ছোট্ট সাইপ্রাসীয় বারলি ফরেস্ট
এমন ফটোশুটে পোজ নিতে ব্যস্ত, সব;
একটা আপেল কামড়ে শেষ হবার আগে
সেখানে উপস্থিত হচ্ছে চ্যাপেল সন্ধ্যা

বাদামি মাঠ আর সবুজ পানের রেখায়-
ডুবে থাকা কিছু হরিণ এবং খরগোশ
পাখিদের মতো ভিন্ন বসন্ত ও শরত খামার
কাছাকাছি আঙুর বাগান, চেরির অপেক্ষা-
কুয়াশার এ্যালবামে ব্রাউজিং করছে
নীল ধূসর শূন্যতা থেকে সাইপ্রাস রোড…
তুমি কী যাবে, সঙ্গে-এক সপ্তাহের মধ্যে!

প্রান্তিক কাব্য

339

পেয়ে না পেয়ে অতুষ্ট মন
চলে না চলে পথভ্রষ্ট জীবন
একিই ভাবে
ভেবে না ভেবে অনন্ত কাল বুনেছি স্বপন
কিছু রাত অমানিশার কিছু’বা পূর্ণিমা লগন-
ছিলো নীল গগন,কাশবন আর খরস্রোতা নদীর প্রবণ;
প্রবণে -প্লাবনে ভেসে যাওয়া কচুরীপনার মতন
গানে ও গমনে খুঁজেছি জীবন।…

অক্ষিরাহে জমেছে মদিরা অশ্রু, প্রান্তিক কাব্য
বুকের কপাট খুলে কতকাল আর দাঁড়িয়ে থাকবো একা
আর কতকাল পর হবো মানুষের মতন সভ্য!
অন্তরীণ বিরহে বেজে চলেছে বিলাপের সুর- লহরী
দয়া করো প্রভু হে-
বিষ পোড়ন বুকের ভেতর একটি বার ফুটিয়ে দাও নির্মলা মাধুরী।

দুটি কবিতা [] ফকির ইলিয়াস

ছাপতন্ত্র

তোমার চোখের দিকে তাকালেই আমি জেনে যাই
আমার সীমাবদ্ধতা। জেনে যাই, বোশেখ আসার আগেই
এই নগরে নামবে ঝড়। বিদায়ী চৈত্রের তাণ্ডবরেখা
উড়িয়ে নেবে আমার দারিদ্র, দীনতা, দু’খের দরজা,
কেবল জানালাটি তাকিয়ে থাকবে আমার দিকে
আর বলবে তুমি কি আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতে চাও
কবি! আরও কিছুদিন হতে চাও বেদনার ছায়া বিক্রেতা!

আমি কেবলই পসরাহীন বানিজ্যের সওদাগর হয়ে
ঘাটে ঘাটে ভিড়িয়েছি আমার ডিঙা। কোনো রেখা
রেখে যাবো না জেনেই, রোদের গলায় পরিয়েছি
বাসন্তী মালা, লিখেছি এমন ছাপতন্ত্র- যেখানে কেউ
কখনো খুঁজে পাবে না আমার
একান্ত গমনদৃশ্য।
::

শিকলের শ্রেণীবিন্যাস

লুট হয়ে যায় আমাদের রাজকোষ। যারা জুয়া খেলে
ব্যাংকক, ম্যানিলা,ওয়াশিংটনে- তারা জানে কোথা থেকে,
এসেছে পুঁজি। হ্যকিং সভ্যতার মন্দিরা বাজিয়ে
যারা সারারাত করেছিল মদ্যপান, তারাও ছাড়ে
হুক্কা হুয়া আওয়াজ।

তবে কি শিয়াল তাড়াবার কৌশল ভুলে গেছে
মানুষ ! চৌকি কেঁপে উঠলে “ভূমিকম্প”-“ভূমিকম্প”
বলে দৌড়ে বাইরে বেরুতো যারা,
তারাও এখন হয়ে পড়েছে ঘরকুনো !

বৈষম্যের ব্যাধি নিয়ে কুঁকড়ে উঠছে যে শিশু-
তাকে অতিক্রম করে যাচ্ছে একজুড়ো
চকচকে কালোজুতো।
::

এগুলো কবিতা কি?

এগুলো কবিতা কি?

১.
আয়নার ভেতর একটা অবাক প্রতিফলন
কেমন ঘোরলাগা, নীল নীল
অনেকটাই গোলমেলে এইসব ভ্রান্তি
তবু আপেক্ষিক প্রতিসরণ হতে থাকে বৃন্তচ্যুত
পেট্রলের মত মিঠেকটু গন্ধের দিকে
ধাবিত হতে হতে আয়নায় আবারো দেখে ফেলি কারো মুখ।

২.
আমার সবই ছিল, তবু মনে হত নাই নাই
যার কিচ্ছু ছিল না
যার মনে হত আরো কিছু প্রয়োজন
সে যখন আমাকে পেল
সে যখন আমাকে পেল, তার মনে হল
সে আসলে কিচ্ছু পায়নি
আর আমি ততক্ষণে বুঝে গেছি
আমার সব আছে, অনেক বেশীই আছে।

৩.
কার টেরিটরি কোনটা, না বুঝেই গর্তে পড়ে গেলাম
পায়ের নীচে ইঁদুর, গায়ে গায়ে সাপ
মাথার উপর একটা মাত্র চিল
নিজের অবস্থান সম্পর্কে ধারনা এসেছে
তবু নিজের জায়গাটুকু নিয়েই পড়েছি বিভ্রাটে।

৪.
দুনিয়া নাকি নিষ্ঠুর, শুনে শুনেই বড় হলাম
তুষারপাত বা সাদা বৃষ্টি ঝরা দেখবার পর
আদতেই পৃথিবীটাকে নরক বলে মনে হয়
হয়তো একদিন গ্যাব্রিয়েলের পাখাটা দেখে নেব
বিস্ময়কে মেঘের মোড়কে চকলেট বানিয়ে ছুঁড়ে দেব
এবং পুরো স্তবক পাঠান্তে হয়তো বলেও উঠব,
হা ঈশ্বর! পাখাটা তবে আমারই পুড়েছিল!

৫.
আমার হৃদয় তার মুখের ভেতর
তখন আমি তার হৃদয়ে মুখ লুকিয়ে ডুকরাচ্ছি
তখন সে আমার হৃদয় চিবুচ্ছিল, কচমচ কচ
আমি অপলক তাকিয়ে ছিলাম গোধুলীর দিকে
হৃৎপিন্ডের রঙ কণে দেখা আলোয় পীতাভ হচ্ছে
আমি গাছের ক্লোরোফিলে নিজের লজ্জা লুকালাম
আরো পরে হৃদয়ের রঙ সবুজ হবে
যদি কেউ সবজি ভেবে খেতে চায় আমিও উদার হব
কচকচে শব্দটায় নেশা আছে, যেমন আছে ফোঁপানো কান্নায়।

৬.
এখনো কৃতজ্ঞ আছি তাঁদের প্রতি
যারা চুমুক দিয়ে পানি পান করেন
এখনো যারা চিবুতে শেখেননি
তাঁরা যেন শিখে ফেলেন যাদুবিদ্যা
দেশ-জাতি রসাতলে যাবার আগেই
স্বচ্ছতা বিষয়ে জ্ঞানার্জন অতীব জরুরী।

স্বপ্নগুলো গুঁড়েবালি

328

স্বপ্নগুলো হয় না সত্যি
হয় না কোথাও যাওয়া
কত ইচ্ছে মনে গোপন
হলো না আর পাওয়া।

ইচ্ছে ছিল পাহাড়ে যাই
বসি গিয়ে ঘাসে
গল্প করবে ভালোবাসার, থাকবে
এমন একজন পাশে।

আমার আশা গুঁড়েবালি
মনের বাড়ী খরা;
সেই খরাতে জল ঢালতে কেউ
আসল না কেউ ত্বরা।

ইচ্ছে ছিল ঝর্ণার তলে
একটুখানি দাঁড়াই
ইচ্ছে ছিল বনারণ্যে
সুখের তরে হারাই।

ইচ্ছেগুলো হয় না পূর্ণ
বিষণ্ণতায় মরি
আর ভাসানো হলো না যে
আমার জীবন তরী।

মনের তরীর মাঝি হতে
আসলো না কেউ কাছে
নিয়ে যাবে ভাসাবে নাও
এমন কেউ কি আছে!

যে যার মত হাঁটি শুধু
উল্টো পথটি ধরে,
নীল বিষাদের তুফান ওঠে
আমার মনের ঘরে।

জলকানন

33

বিধ্বস্ত জলকাননে
স্থিরতা ফিরলে
কর্দমাক্ত চাতালে
স্বয়ং ঈশ্বরের পদচিহ্ন দেখাযায়!..
অথচ
প্রলয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
তীব্র ধুকপুকুনির মধ্যে প্রাণপণ
তাহাকেই ডেকেছে জলের অভিবাসীগন!
নির্মম সত্যের সামনে
ঝুকে পড়ে কোমল মিথ্যা
দেবতাগন
যদিও কাদাজলে একাকার
তবুও
নির্বিকার প্রভুত্ব
পোড়ায় সমূহ আবেগ, অভিশপ্ত চিতা!

গ্রামের বিস্তীর্ণ সবুজে

একদিন বেষ্টসেলার হয়ে আগুনও দেখাবে তার সহস্র নিমরাজি শক্তি। পরিচয়হীন
পাখিরা পাশে দাঁড়িয়ে দেখবে, কোনো প্রাণীই জানতে চাইছে না তাদের কুশল।
যারা ভালোবাসার জন্য এতদিন পথে নামতে রাজী ছিল, তারাও গৃহসন্ধানে
ভুলে যাবে পুরনো প্রতিশ্রুতি। এই গ্রামের বিস্তীর্ণ সবুজে কোনো যুদ্ধচিহ্নই আর
খুঁজে পাওয়া যাবে না। অথচ কথা ছিল- মানুষ ভুলে যাবে না যুদ্ধ ও জন্মের
মিথষ্ক্রিয়া। আগুন ভুলে যাবে না, তার অবিক্রীত প্রাচীন ইতিহাস। আমরা যারা
একান্তই পাঠক বলে নিজেদেরকে বিবেচনায় রাখতাম, তারাও পঠন-পাঠন ভুলে
গিয়ে বদ্ধ জলাশয়কে সমুদ্র বলে সনদ দিতে থাকবো। ভূগোলের ছাত্র-ছাত্রীরা
জানতে চাইবে, মানুষের চোখই কী তবে কঠিন শিলাখণ্ড !

রূপালি বরফ

ঈর্ষায় গ্লানির সুতো ছিঁড়ে বেরোচ্ছিল
রেডিমেড গল্প, পুরনো গল্পটা তোমার,
রূপালি বরফ ঢেউয়ের মতো ভাসছিল
এক চৈতি জ্যোৎস্নার শাদা রাজহাঁস-

থলথলে মাছগন্ধ শরীর ভেসে আসছে
কী এক উন্মাদ রোদ্দুর স্নান-এ পথে
প্রেমে-প্রেমে পরিত্রাণের আমল ওড়ে
লটকে থাকে মোহন দোলনায় ভ্রু-চোখ
শুধু শব্দহীন কঠিন পাথরে দেখছিলাম
যেন নৈঃশব্দ্যের ছায়াপথ মাড়িয়ে যায়
আগুন নদী নেভাবার দমকল ফোর্স
পয়মন্ত সংগীতে নিজেদের হাড় খুলে
মুদ্রিত এক বিজ্ঞাপনের বাঁশি বাজায়-
একটি ফুল ও ফলগাছ না মরে, বসন্ত-

.
২৩ ফেব্রুয়ারি ২৩

বেহায়া

আমি এক বেহায়া!
আমার ভেতর আর কিছু নাই
শুধু একটা কায়া।
তার উপর ভর করেছে
ভূত প্রেতের ছায়া।

আমি এক বেহায়া!
ছিন্নভিন্ন প্রদীপের মতো
মরীচিকার মায়া
যেদিকে থাকাই দেখি
শূন্য ভায়া ভায়া।

শকুনি মামা ও মজিদ চাচা

GPd

দুই পিণ্ড মাংসের জন্য কতনা হা-হুতাশ
মজিদ চাচা অনেক দিন ধরে পায় না খেতে
তা দেখে আনন্দে নাচে বিদ্যা বালান।

প্রচণ্ড তাপদাহ মজিদ চাচা কাহিল প্রায়
মাথার উপর থাকা পাখা স্থির এখন
গামছা কাঁধে গালি গায়ে করে উন্নয়নের মিছিল।

বিদ্যা বালান মানবিক গুণে পরিপূর্ণ
তাই বিলিয়ে দিতে চায় মাংস পিণ্ড
আশপাশ তেল বিহীন খালি বোতল
কেউ খাবে কেউ খাবে না তা হবে না তা হবে না

কম্পিত আকাশ বাতাস তিনটা শব্দ বিকট
খেলবো খেলবো খেলবো শুধু মাংস পিণ্ড চাই l

বৃষ্টি চাই বৃষ্টি দাও

rain

বৈশাখে জলকাদাতে মাখবো,
তা না হয়ে- ইটভাটার অনল,
শুধু গায়ে পিঠে জ্বলে যাচ্ছে-
সহ্য করা দায়-বলো এখন চৈত্র
না কি বৈশাখ; সব ইতিহাসকে
হার মেনেছে; তবু রোজারগলা
পিপাসার লাগে না শুধু তাপদাহ
এক প্রেম অনল অনুভব হেঁটে যাচ্ছে
আকাশ মাটির উপর নিচু সব সমান
নিজের শুধু নিঃশ্বাস পুড়া হাহাকার
চলে এসো সব স্লোগান ধরি-
প্রভু বৃষ্টি চাই- বৃষ্টি দাও- দাও!

০৩ বৈশাখ ১৪২৯, ১৭ এপ্রিল ২৩

নববর্ষ

images (1)

দেখতে দেখতে এ বছরও গড়িয়ে গেল
অর্জুন শালের অতিকায় শুকনো পাতা
গাছের মায়া ছেড়ে ভাসতে ভাসতে হাওয়ায়
লাল নীল সবুজ হলুদ গিরগিটি চোখের পাতায়
আলপনা দিল এবছর ভালো যাবে নিশ্চয়ই
ত্বক জ্বালিয়ে দেওয়া দাবদাহ লাইন দিল
খাসির মাংসখণ্ডের দোকানে

নতুন জামার অভাবে এক কুচি রুমালেও খুশি তিরতির
আড়াই হাজার কিলোমিটার দূর থেকে সমুদ্র ঢেউ
ফিসফিস বলে গেল ভালবাসি ভালবাসি