বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

শ্রমের আকাশে রোদ উড়ে

cho

আজ শ্রমিকদের ছুটি, কপালের ঘাম শুকোবে
আজ আকাশের নীলও রোদ্দুরে লুকোবে,
আজ শান্ত শহরের বুকে উড়বে রোদ্দুর,
কেবল কাঁপবে না শ্রমিকের বুক তৃষ্ণায় দুদ্দুর।

শ্রমিকের ঘাম শুকোনোর আগে দেয় না যারা মূল্য
তাদের মান সম্মান যেন উচ্ছিষ্টের তুল্য,
আজ মালিকের মুখে ফুটবে না খই
মালিকের অর্ডারের কাছে শ্রমিকের মূল্য কই।

রোদ্দুর কাঠফাটা, আকাশে নীলাভ আলো,
উঁচু বিল্ডিয়ে রড গাঁথতে শ্রমিকের ঘামে মুখ কালো
শ্রমের বিনিময়ে মিলবে যা কড়ি
শ্রমিকের পরিবারে সে হয় শান্তির বড়ি।

এই সুন্দর শহরের অলিগলি, ডাস্টবিন
দিন মজুর না থাকলে বাজতো না সুখ বীণ,
ঝাড়ুদার রোজ সকালে পরিচ্ছন্ন করে শহর
বহায় শহর জুড়ে শান্তির লহর।

এখানে আকাশ ছুঁয়ে শ্রমিক রোজ পুড়ে রোদে
তবুও কষ্টের ঘা লাগে না মালিকের বোধে
ঠকাতে চায়, দিতে দু’পয়সা কম,
শ্রমিক যা পায় নিয়ে বেয়, দেখে না মালিক
শ্রমিকের বুকের জখম।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

আশাহত

মেঘের সাথে মিশে ভেসেছিলাম
একসময় আকাশের সীমানাও ছুঁইয়েছিলাম
কোথাও পাইনি তো স্থান,
সবার মাঝে ভালোবাসা বিলিয়েছিলাম
দুখী জনের সাথীও হতে চেয়েছিলাম
তাতে হয়েছিলাম শত অপমান!

তাই আজ হৃদয় হয়েছে ক্ষতবিক্ষত
আঘাতে হই না কাবু আঘাত আসে যত
সয়ে যাই একা নিরিবিলি,
শত দুঃখ বেদনায় হারিয়েছে আশা যত
নিরাশা ভরা ভবনে সাথী নেই মনোমত
তবুও দেখি রঙের ঝিলিমিলি!

ধৈর্য হারিয়ো না কেউ বিপদের বেলা

chhh

রবের উপর থাকিলে ভরসা, ভয় আর কীসে
ধৈর্যের ওপারে আছে সুখ লুকানো,
কেবল অপেক্ষা অল্প,
একদিন সুসময় আসবে ধেয়ে
সুখ হবে হাতের মুঠোয়।

আমলের ফল হাতে ধরতে হয় দুনিয়াতেও
মেনে নিতে হয়, বিপদ যা আছে কপালে লিখা,
রব দিয়েছেন ব্যথা, সয়ে নেয়ার ক্ষমতাও দেবেন
কেবল অপেক্ষার বুকে রেখে দিতে হয় ধৈর্য!

করুণাময়ের ইচ্ছেতেই রাখিতে হয় মন
বুক পেতে নিতে হয় এই দুনিয়ার যত শাস্তি,
শাস্তির বিছানায় শুয়ে যদি রই
পাপ কিছু কেটে যায় অনায়াসে।

এখানে তো আসিনি চিরদিনের জন্য
তবু অবেলায় কে আর যেতে যায় চলে
কে বাড়াতে চায় পা বেলাশেষের খেয়ায়
ধৈর্যের সাথে খেলতে হয় তাই খানিকটা লুকোচুরি।

অনুতাপে পুড়তে হয়, চাইতে হয় মুহুর্মুহু ক্ষমা
মনের অহম ছুঁড়ে ফেলে দিতে হয়
জিদগুলো মেঝেতে ফেলতে হয়
জিদ হয়ে যাক কাঁচের চুরি।

ইবাদত দিতে হয় বাড়িয়ে, নামাজ না করে আর ক্বাযা
আগাতে হয় পথ কেবল প্রভুর নাম ঠোঁটে করে জপ,
শাস্তি পেয়েও যদি অহম রাখো মনের কিনারে
চূড়ান্ত শাস্তির জন্য হও মানুষ এবার প্রস্তুত।

জলশুনানী

আমাকে প্রহার করছো মাটি,
আমাকে-
প্রহার করছো আকাশ, এই সবুজ
সকাল ঘিরে আজ উঠবে যে সূর্য,
আমি তার কাছে কোনো নালিশ
জানাবো না। শুধু লিখে যাবো
এই বিষণ্ণ প্রহরে, আমি যখন একা
দাঁড়িয়েছিলাম, আমাকে উদ্ধারে
একটি বারও নামেনি ঝড়। একটুও
এগিয়ে আসেনি শীতলক্ষ্যা নদী।

কারোর গোপনীয়তা জানবার দরকার নেই

নখ খসানো ব্লেডের পাশে তীব্র ব্যথা জেগে থাকে…
ছেলেবেলার কান্না, একটু চিৎকার-ঈদ ও চাঁদ গল্প,
ঢেউহীন সবুজ বোঁটায় ধার করে বাড়ি ফিরত
একটা মিছরি শৈশব, পাঁচদিন ব্যাপী সরু আনন্দ
খেয়ে-পরে এককালীন ভর-রাত্রি গুম করে ফেলত…

বাঁশঝাড়ের ডগায়-সারি চাঁদ, পুবের মোড়ে সকাল
এইতো, কল্পনার নামান্তরে গান পাখি, সকল গ্রামের
দেয়ালে এঁকে যেত ভালোবাসার থেকেও ঘৃণা
– সুন্দর! হয়তো কেউ পোশাকের সবুজ বৃক্ষ পরে
ধাতব দালানের সিসিলিয়ান শৈশব দেখাবে বলে-
বেদেনী হলুদ বিকেল, তারপর সন্ধ্যা, তারপর কী যেন…

ব্লেডে কাটা রক্ত মাখলে বোধহয় সে টিপ পরেছে।
এমন আগ্রহ খুব প্রিয়, কারোর গোপনীয়তা বের হয়
কিনা-এক স্বপ্নের সিল্ক ভেদ করে প্রতিদিন-
সুন্দর উচ্ছ্বাসে ঠাণ্ডা বাতাস খেয়ে ওড়ে-গভীর ভ্রমণ,
আর আলোর আড়ালে সেইসব নির্জন ঐশ্বর্য বড়
হতে থাকে, নরম জিহ্বায়-খুব বাহানাবাজ একটা…

শূন্য হাত

shunn

ফিরলাম শুধু শূন্য হাত
পাশের লোকটি চেয়ে চেয়ে দেখলো!
মেঘটা কখন মাথায় ঘসে গেলো
বুঝলাম না; জল বৃষ্টি দেখে ভাবছো কি?
ভেবো না- দু’পা এখনো জলের উপর দাঁড়িয়ে
আকাশ ভাবি না, মাটিকে স্পর্শও করি না-
কারণ দেহটাই তো আগুন- মাটি;
দেখো দেখো ঐ যে ঘুড়ি উড়ছে-
এই বুঝি ফিরার পালা, সন্ধ্যাটা ভারি দুষ্ট
শিশির ভোর হেঁটে যাচ্ছে-
শূন্য ফাল্গুন কিংবা শূন্য হাত।

১৭ বৈশাখ ১৪২৯, ৩০ এপ্রিল ২৩

গিরিগিটি

hii

একদিন;
আমিও হবো বিশাল স্বার্থপর!
সত্য- মিথ্যার জঞ্জালে কোথাও
ঝরাবোনা আর কোন দীর্ঘশ্বাস!
ব্যর্থ জয়ের অমোঘ নেশার
চির অবসান। চেনা জানা পথে
ধ্বনিত হবেনা চরণ।
মান-অভিমান ভুলে
হলেও হতে পারে তোমার
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ।

অতঃপর;
সূর্যের আলোয় শিশির তখন
দূর্বাঘাসের ফুল
বুকের পাঁজর যদি ভাঙ্গে ঢেউ
সে নদীর ওপার ছিলোনা,
ছিলো একটিই কূল।
শূন্যতা আর হাহাকার!
তোমার রঙে গিরিগিটিও…
হবে একাকার!

শুভ্র মেঘ’রা ডাকছে হাত বাড়িয়ে

chooo

স্বচ্ছ নীলের বুকে এক ঝাঁক মেঘ
মেঘ’রা দোল খায় পেলে হাওয়ার বেগ
চোখের কিনারে কিছু মুগ্ধতা তুলে রাখি,
আরও মেঘ আসুক উড়ে, মন বাড়িয়ে ডাকি।

মেঘেদের হল্লা আকাশ জুড়ে
কিছু মেঘ নিমেষেই যায় দূরে,
মন উদাস আমার, আকাশে আছি তাকিয়ে তাই
আকাশে তাকিয়ে প্রার্থনায় রই, প্রভুর দয়া চাই।

দুনিয়ার সব আয়োজন একদিন ভেসে যাবে জলে
তবুও মোহ পুষি বুকে, আরও সুখ চাই ছলে বলে
এসব থেকে চাই মুক্তি
বাড়াতে চাও আখেরাতের প্রতি অনুরক্তি।

এক আকাশ দয়া চাই প্রভু তোমার কাছে
তুমি ছাড়া বল কে আর আমার আছে,
চাই সুস্থতা, হিংসা যেতে চাই ভুলে
তোমার দয়াই বুকের বামে রাখতে চাই তুলে।

মেঘের মত স্বচ্ছ করে দাও মন
হৃদয় তারে দাও বাজিয়ে শুদ্ধতার সুর অনুরণ।
কেন যে গীবতে রাখি ঠোঁট
চাই না আর প্রভু করতে দুনিয়ার মোহ লোট।

মনটারে সুস্থতায় দাও ভরে,
সন্তুষ্টি এনে দাও মন ঘরে,
অতি চাহিদার হাপিত্যেশ করে দাও মন হতে দূর
মনকে কর প্রভু মানবিকতার সমুদ্দুর।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

গলিত মাংসের দোকান

আমার চারপাশে এখন গলিত মাংসের দোকান-
ঝরে পড়ছে লাল মাংস থেকে রক্তের ফোটা
কাঁপছে মাংস, ঢেউ তোলে ভ্রমণ করছে আমার দক্ষিণ
উত্তরে, বাড়ন্ত আলু ক্ষেতের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে,
নতুন মাংসমূল।

থেতলে যাওয়া বাহু থেকে নীল মাংসের
ক্ষত, চিহ্নায়নে এগিয়ে আসছে না কেউ-
কেউ উপুড় হয়ে পড়ে থাকা পাঁজরের মাংসের
পাশে দাঁড়িয়ে তুলে রাখছে প্রথম সেলফি !

মৌ-লোভী’দের কাছ থেকে,
শরীয়া আইনের সনদ নিয়ে মাংস বিক্রি করছে
যে হালাল গ্রোসারি,তার অন্য দরজা দিয়ে
বিক্রি হচ্ছে শূকরের মাংস,
কেউ স্টেক বানিয়ে চিবোচ্ছে হাড়-চর্বি।

আমার চারপাশে এখন অনেক মাংসের দোকান।
মাংসাশী’রা হেঁটে যাচ্ছে। দুলছে। কাঁপছে। উড়ছে…..
কেউ দেখছে রক্তের দাগ,
কেউ;
ভাসতে চাইছে না রক্তস্রোতে, খরায়,বসন্তে অথবা বর্ষায়।

বিষাদে মরি

CL_1682603873231

হৃদয়ে বাঁধিতাম তোমারে,
অযোগ্য বিবেচনায় সংশয়ে মরি,
কল্পনায় যতটা সাহসী আমি-
প্রকাশ্যে সেইরূপ কার্য্য সিদ্ধ নই আমি।

তোমাতে বাঁচার উপলক্ষ্য খুঁজি,
তোমাকে ভালোবাসি গোপনে,
অযোগ্য ভেবে সংশয়ে-
আপনার ভাবনা লুকিয়ে রাখি যতনে।

ভয়ে ভয়ে মরি,
নিঃশব্দে বিচরণ কালে,
তোমার অনুভব চারপাশ জুড়ে-
দোষারোপিত হয় যোগ্যতার মানদণ্ডে।

কবিহীন নগরে ভগ্নসৌধে কবিতার পালক,
গোপন সন্ধিতে কবিতার আসর,
আমি চুক্তিতে বিশ্বাসী নই-
তোমাতে অযোগ্য ভেবে।

সংশয়ে মরি পুনঃবার,
ভালোবাসা জাহিরে পারঙ্গম নই,
কল্পনার নগরে আমি সাহসী-
প্রকাশ্যে বিষাদিত আত্মা।

তোমাকে অনুভব করি,
অনুভব করি নিঃশব্দের রাতে,
তবে অযোগ্য বিবেচনায় সংশয়ে-
আপনার স্বভাব লুকিয়ে সাজি বর্ণচোরা।

হারিয়ে যাওয়ার বাহানা খুঁজি,
প্রকাশ্যে দাঁড়াতে পারিনা বলে,
অযোগ্যতার দোষারোপ-
সংশয়ে মরি পুনঃবার আমি।

হৃদয়ে বাঁধিতাম তোমারে,
অযোগ্য বিবেচনায় সংশয়ে মরি,
জীবনের গল্পে তোমার উপলব্ধি-
দোষারোপিত হই ভালোবাসি এই দোষে।

সর্বনাশা সত্য

ddau

সব জেনে বুঝে তুমি ভয় পাচ্ছো
ভয় পাচ্ছো- যদি কোন দিন প্রতিদান দিতে হয়!
কল্পনা করতে পারোনি এতো প্রেম , এতো ভালবাসা
ভাবতে পারোনি কেউ একজন তোমার নামে হবে সর্বনাশা!

অথচ এটাই সত্য-
তোমার নামে চলছে কারো হৃৎস্পন্দন
তোমার প্রেমে থাকছে বেঁচে অন্তহীন জীবন;
এটাই সত্য-
কারো জীবনের জন্য তুমি এক মাত্র অবলম্বন
ধর্ম, কর্ম, এবং কি যা কিছু স্বপ্ন; সাধন
তুমি মানো আর না মানো-
তোমার জন্যই করছে এক একটি পরিভ্রমণ!

সব জেনে বুঝে-
তুমি ঘাবড়ে গেছো, পাছে দিতে হয় প্রতিদান
অথচ; একবার ও প্রশ্ন করোনি-
দুঃসাহসী পথে যে ফেরিয়ে এলো অজস্র মৃত্যু
দিবারাত্রি এক করে জড়িয়ে রইলো তোমার অপেক্ষার প্রহর;
সে কি তৃপ্ত হবে নিছক প্রতিদানে?

দেখেছো তো-
অন্তর ধ্বনি বেজেছে অবিরাম
বুক ফাটা ক্রন্দনে উচ্চারিত হয়েছে তোমার নাম!
এক হাতে মৃত্যু
অন্য হাতে আকুল আবেদন,সখি
সব জেনে বুঝে ঘাবড়ে গেছো ;
হতে হয় যদি সত্যের মুখোমুখি!

মনপিয়াসী

riaa

হাসির ঝিলিক চাঁদের আলো
উঠছে ফুটে গানের কলি
মনপিয়াসী খুশির খোঁজে
তোমার সাথেই কথা বলি

রাতের আগুন পুড়িয়ে দিয়ে
শিরায় শিরায় নাচছে ঢেউ
অঝোর ধারা লুকিয়ে নিয়ে
সমর্পণেই বাঁচছে কেউ

একফোঁটা সুখ,মনের মাঝে
রূপকথাকে লুকিয়ে রেখে
তোমার হাতেই এ হাত রাখি
জীবন নদী যাচ্ছে বেঁকে

বাজছে মনে সুরের সেতার
আবোলতাবোল স্বপ্নে থাকা
জীবন জুড়ে মনের খামে
তোমায় শুধু লুকিয়ে রাখা।

কোথায় আসল ঠিকানা?

yuio

আসলে ভবে যেতে হবে
থাকেনা কেউ ভবে,
আমারও একদিন যেতে হবে
যেদিন সময় হবে।

গায়ের চামড়ায় ভাজ পড়েছে
চোখে দেখি কম,
এই বুঝি হচ্ছে মরণ
পিছু ধরছে যম।

দেহের শক্তি মনের বল
কার থাকে কতক্ষণ,
স্বার্থের টানে এসব ভুলে
গড়ছি সম্পদ সর্বক্ষণ।

কার সম্পদ কোথায় থাকবে
মৃত্যুর পরে অজানা,
নিশ্বাস যেদিন হবে বন্ধ
শ্মশান গোরস্থানই ঠিকানা।

.
নিতাই বাবু
১৭/০৪/২০২৩ইং।

ডাক টিকেটের রং

শাদা অ্যাপ্রন পরা সুনসান-রাত
মিসেস সেবিকার মতো
বুনে যাচ্ছে, সেলাইয়ে নক্ষত্রফুল
শহর এবং মালোপাড়ার-চাঁদ

এই সব মধ্যরাতে ইযুগল মানায়
যে শিল্পী স্বপ্নের মধ্যে ছবি আঁকে
আগুন্তক যৌবনসভায় দু’একটা-
নীরব প্রার্থনার দুধেল শরীর,
অদৃশ্য মিলনে চোখের নেশা-
সেই শান্ত শূন্যতার গাঢ় পরশ
আর সিঁড়ির রেলিং ধরে মুদ্রিত
রাতকরোটির সহজাত মুখ-
একেবারে তোমার শ্রেণী বান্ধবে
ডাক টিকেটের রং; উপমা-উপভোগ!

পার্কের বেঞ্চে বসে আকাশ দেখি ইচ্ছে

yui

রকমারী কাজের বুকে বসে কতই না স্বপ্ন দেখি,
দিন ফুরিয়ে যায় একি!
আকাশ দেখা হয়ে আর ওঠে না,
মন বাগানে আর ইচ্ছের ফুল ফুটে না!

তুমিও এক আজবতরো মানুষ
কাজের আকাশে ওড়াও ব্যস্ততার ফানুস,
আকাশ দেখার কাব্য লিখে দাও না মনের খাতায়,
বেহুদা ব্যস্ততাই ঘুরে তোমার মাথায়।

এই হেমন্তের এক বিকেল আমার নামে করে দাও,
কর্ম হতে ছুটি নাও,
চলো হাতে নিয়ে বাদামের ঠোঙা পার্কে বসি
আকাশ দেখি, মনের খাতায় সুখ অঙ্ক কষি।

নির্ভেজাল হাওয়ায় চলো মন ডুবিয়ে আসি
সুর মিলিয়ে বলো বন্ধু, আকাশ ভালোবাসি,
আকাশ দেখে মনকে করে নিয়ো বিস্তির্ণ
যত অহংকার মনের হয়ে যাক চূর্ণ।

একসঙ্গে কাটানো সময়গুলো রেখে দেব স্মৃতি ঘরে,
একদিন বুড়োবেলা স্মৃতি রোমন্থন করবো মন ভরে,
আকাশের মত মন আমার তুমি ডানা মেলো,
এক্ষণে চলো ঘুরি, মনে হয়ে আছে এলোমেলো।

হেমন্তের আকাশ শুভ্র মেঘ নেই, তবুও আকাশ সুন্দর
আকাশে তাকিয়ে জোরে টানলে নিঃশ্বাস সুখী হৃদ বন্দর,
হেলায় কাটিয়ে দিতে চাই না সময় ঘরে থেকে বন্দি
চলো আকাশ দেখার করি আয়োজন মনে আঁটি বেরোবার ফন্দি।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)