বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

ছোঁয়াচে রোগ

একদিন বৃষ্টির তোড়ে ভেসে যাওয়া কিছু কথা
আজ বৃষ্টির জলের সাথেই ফিরে এসেছে
দৈবাৎ কোনো শকুনের চোখ পড়েনি
দৈবাৎ কোনো প্রকাণ্ড দেহি চিল ছোঁ মারেনি!!

হয়ত এভাবেই ফিরে আসবে পড়শির অধিকার
হয়ত এভাবেই ফিরে আসবে বাপ-দাদার উত্তরাধিকার!

ওদের কারো কারো চুনকাম করা অদ্ভুত মুখ
কেউ কেউ বিপন্ন প্রজাতির গুটি বসন্তে খুঁজে
ফিরছে পঞ্চম প্রজন্ম আগের হারানো সুখ!

তবুও আমাদের বেঁচে থাকে ভোগ আর সম্ভোগ
তবে কি…
করোনার মতোন এও কোনো ছোঁয়াচে রোগ?

সিকি শৈশব

তোমদের বয়সের তলে চাপা পড়েছে আমার
নৃত্যরত টনটন করে বেড়ে ওঠা শিশু—শৈশব
অথচ আমি ভাড়া থাকি—দেয়ালঘড়ির ভেতর;
আর্দ্র চোখদুটো মানুষের ইস্তেহার পাঠ করে
খুঁজে বেড়ানো আঁতুড় ঘ্রাণের নীল হাওয়া—
জেনেছি মানুষের সৌন্দর্য—ধূসরপক্ষ—ক্ষীয়মান

প্রথম রঙ—উঠতি জীবনের মুখোমুখি—বরইফুল
বয়ে নিচ্ছে রক্তমাখা চাটনি, প্রেম; মশলাবনের
হারানো বিজ্ঞপ্তি—ড্রয়ারভরতি নীরব অনুবাদ
সেই দৌড়—হরবোলা আয়োজন—কানামাছি
জংধরা ঝিনুকের লুকোনো ধার—কত মারকুট
নির্জন সম্পর্কের টিলায়—টিলায় সিকি দুলছে
আর জীবনের পেছনে দাঁড়ায় অযুত চেনামুখ।

যখন দীর্ঘশ্বাস উ‌ঠে বু‌কে

ch

‌বিশাল আকা‌শে তাকাই যখন দীর্ঘশ্বাস আট‌কে থা‌কে বু‌কে
‌ছোট ছোট মে‌ঘেরা এ‌সে দাঁড়ায় চো‌খের সম্মু‌খে
‌নিঃশ্বাস ছে‌ড়ে ভা‌বি….. কী আর করার আ‌ছে আমার
আকাশ‌কে জানাই অ‌ভি‌যোগ, কেন রে আকাশ
আমার বু‌কে ক‌ষ্টের খামার…

আকাশ আমায় ভা‌লো রা‌খে, সুখ পাই অনায়া‌সে
ভুল‌তে ক‌‌রি চেষ্টা
ম‌নে জাগাই ভা‌লো থাকার তেষ্টা
কাটা‌তে চাই না ছোট জীবন কেবল আয়া‌সে।

আকা‌শে ‌চোখ রা‌খি তাক
‌কেন ‌যে মন আকা‌শে দু‌র্বিপাক
ভা‌লো থাক‌তে চাই তবুও বিষণ্ণতা এ‌সে ধ‌রে ঝে‌ঁকে
আ‌মি চাই না কা‌লো মেঘ নেই ম‌নে মে‌খে।

চাই মন আকা‌শে ‌রোদ্দুর জ্বলুক ঝলম‌লি‌য়ে
সময় কেন আমায় রা‌খে না কষ্ট ভু‌লি‌য়ে
কান্না চো‌খে রা‌খি, ঠো‌ঁটে রা‌খি রাগ
জ্ব‌লে না আর মন দেয়া‌‌লে সু‌খের চেরাগ।

মন আকা‌শে কেবল কা‌লো মেঘ’রাই উ‌ড়ে
আর ম‌নের উচ্ছলতা যায় দূ‌রে
চাই শুভ্র মে‌ঘের মত মন থাকুক পুত প‌বিত্র,
এখা‌নে কেউ নেই আমার, কেউ নয় যেন মিত্র।

বুকটা লা‌গে ফাঁকা, যেমন মেঘহীন আকাশ
ফাঁকা বু‌কে জমা হয় মুহুর্মূহু দীর্ঘশ্বাস
‌বিষণ্ণ মে‌ঘের মত মন আজ
‌সেখা‌নে নেই আজ সু‌খের আওয়াজ।

.
(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

নবীন সুর ও সংগীতে

da

… এভাবে ফিরে আসে অতীত,
প্রাচীন ঘোর
নামে শৈল প্রপাত
অন্তরে রঙ্গীন প্রভাবরি ভোর।
সহস্র রজনী কাটে নির্ঘুম
কেটেকুটে রচিত হয় কবিতা
কাটে দ্বিধা, সুধা… স্বপ্নচারিতা
কাটেনা কেবল-
তোমাকে দেখার নেশা…. শ্রুতি মনোহর!

এই যে বাজছে শুনি
শঙ্খের চুম্বনে তুমুল শঙ্খ ধ্বনি,
ধ্রুপদ রাগ,
সমুদ্র মন্থনে জেনে গেছি
তোমার সনে আগুনের গোপন প্রণয়!
জলও খুজে অতল
নবীন সুরে বুঝে বিরল সংগীত
আমিই কেবল খুঁজিনি জীবন
চিনতে যাই নি আসল- নকল।

করাতকল

সোমবার এলেই বাড়তে থাকে দীর্ঘশ্বাস।
করাতকলের মতো ঘ্যাষ ঘ্যাষ শব্দ
তীক্ষ্ণধারে কাটছে ধানি জমির ফসল।

জানা আছে সেই মন্ত্র – ভাঙ্গলেই আয়ু শেষ
বিঁধে থাকি – পাছে পড়ে যাই যদি –
অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ।

তবু ডাক দিয়ে যায় নিষিদ্ধ করাতকল
সানগ্লাস– ধরে রাখে চোখ
পুরুষ্টু আঙুলে ছুঁয়ে দেখি করাতকলের রক্তবমি।

আনন্দ– একটা সিনেমার টিকেট!
অতঃপর– ট্রাফিক সিগন্যাল! কারফিউ!
অবাক বিস্ময়– করাতকল!

গোলাপি চাঁদ

images (4)

ডাকছে গোলাপি চাঁদ
এই নির্ঘুম আধোরাত
জানি না তো অনুবাদ
ভাঙছে জোয়ারে বাঁধ।

এই হাওয়া মৃদুমন্দ
আঁকাবাঁকা জলতরঙ্গ
মনে হয় অতীন্দ্রিয়
শোনায় কত যে গল্প।

সরিয়ে মেঘের পালক
উঁকি দেয় দুরন্ত চোখ
জানি না কোন শ্লোক
তাকিয়ে থাকি অপলক।

বাতাসে ফুলের গন্ধ
আবার এসেছে বসন্ত
ভাসছে জলে প্রতিবিম্ব
ছুঁতে গেলে হই বিভ্রান্ত!

গোপন সুর

br

বৃষ্টি.. পতনোন্মুখ পরাগকে উসকে দেয়
স্খলনের নেশা, লাজুক রেণু ঝেড়ে
ধূম্রল আড়ালে খুলে দেয় সঙ্কোচের ফটক,
কামান্ধ প্রলয়ের সৌষ্ঠবে বাজে বজ্রনিনাদ,
তুলে নেয় আদ্রক চুম্বন
ঘামের ঝর্নায় রচনা করে সায়েরি, প্রেম-প্রবাদ!

রাগিনীর অক্ষিসারে জ্বলজ্বলে কবিতা,
বৃষ্টির নন্দনে একাকার নদীটির আপন নাগমা
একজীবনের সমস্ত ব্যাকুলতা বয়ে
হয়েছে পরিনিতা খরস্রোতা!..

দহনের পরিক্রমা আর-
অজস্র উন্মাষিক মেঘের পাহাড় ডিঙিয়ে
নিশি ক্লান্ত বকের চোখে এঁকে দেয় পূর্ণিমা চুম্বন!…

কবিতার কবি’রাও উন্মত্ত হ্রেষা
ছন্দবদ্ধ শৃঙ্গারে আজকাল ঠিক পুষে না যাদের
ছুটে চলে দূর.. সমুদ্দুর..
ধ্রুপদী বুকে প্রলুব্ধ আলিঙ্গন তৃষ্ণায় আকণ্ঠ মন
স্বর্গীয় হুরেরাও
পুরুষের তাম্রতামাটে ঠোঁটে খুঁজে জীবনের গোপন সুর।

.
দা উ দু ল ই স লা ম।
১৮/৮/২৩

প্রতীক্ষা

ria

ইচ্ছে তোমার, ইচ্ছে আমার
ইচ্ছে ভালোবাসার,
ইচ্ছে স্বপন, ইচ্ছে কাঁপন
ইচ্ছে কাঁদা হাসার।

আমার তুমি ভীষণ প্রিয়
আমার বাঁচার আশা
হৃদয় থেকে হৃদয় জুড়ে
আমার ভালোবাসা

সন্ধ্যে এলে তুমিও এসো
দোলা লাগুক মনে
সেই আশায় গুনছি প্রহর
স্বপ্নে জাগরণে

বৃষ্টি নামুক বৃষ্টি ঝরুক
আমার ভুবন জুড়ে।
হাতটা ধরে নিয়ে চলো
ভিজতে বহুদূরে।

মধ্য আয়ের দেশ

366

উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে দেশ,
দুর্মূল্যের বাজারে মানুষ হচ্ছে নিঃশেষ।
নেতারা খাচ্ছে পোলাও কাচ্চি বিরিয়ানি,
খেটে-খাওয়া মানুষ দিনদিন হচ্ছে ঋণী।

উন্নয়নের কারিশমা মাথায় ঋণের বোঝা,
জনগণ মরছে নেতা সাজে ওঝা।
দুর্মূল্যের বাজারে ভোজ্যদ্রব্য লাগামহীন ছুটছে,
অখাদ্য-কুখাদ্য গরিবের কপালে জুটছে।

নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরায়,
তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে নাকে ডগায়।
দেশ উন্নয়নে আলোকিত হচ্ছে চারদিক,
বিদ্যুৎ বিহীন অন্ধকার এদিক-সেদিক।

গরিবের মাথার ঘাম গড়াচ্ছে পায়,
কৃষকের আর্তনাদ ধ্বনি মুখরিত গাঁয়।
মেহনতি মানুষের শরীর হচ্ছে রক্তশূণ্য,
দুর্নীতিবাজ নেতাদের জীবন হচ্ছে ধন্য।

দেশের টাকা মানে জনগণের রক্ত,
দুর্নীতিবাজরা তা বিদেশে পাচারে রপ্ত।
নেতারা বিদেশে বানাচ্ছে আলিসান বাড়ি,
দেশেও থাকে তাদের বুলেটপ্রুফ গাড়ি।

গরিব মরে মরুক না খেয়ে থাকুক,
করোনা রোগে ভুগে ডেঙ্গুতে মরুক।
যত রোগের পাদুর্ভাব নেতাদের লাভ,
রিলিফ মেরে দেখায় মানবতার ভাব!

দুর্নীতির রাহু গলা টিপে ধরছে,
রাহুগ্রাসে গরিবেরা ধুকে ধুকে মরছে।
উন্নয়ন আর দুর্নীতি সমানতালে চলছে,
তবুও নেতাগণ মধ্য আয়ের দেশ বলছে।

.
নিতাই বাবু
১৪/০৮/২০২৩ইং।

চেতনাহীন কবিতা ও একটি জীবন্ত লাশ!

জন্ম আর মৃত্যু সব সময় মুখিয়ে থাকে
সে ব্রহ্মপুত্রের নাদান চর হোক কিংবা রাজপ্রাসাদ!
কালেভদ্রে কেউ কেউ দ্বিগুণ হয় জন্মসাল
আর কেউ জন্মের আগেই কুড়িয়ে নেয় মহাকাল!

প্রতিটি জন্মের মতো কবিতারও জন্ম হয়
প্রসব বেদনায় শিরোনাম খুঁজে নেয় পাগল পাঠক
শব্দ ও ভাবের কারাগারে যখন হয় সে আটক!
অতঃপর আসে কবিতার মৃত্যু স্বাদ…
পাঠকহীন কবিতাগুলোও তেমনি বারবার মরে
পড়ে থাকে যুদ্ধের মাঠে চরম বিস্বাদ!

যেভাবে লড়াইয়ের ময়দানে মরে পড়ে থাকে
পলায়নপর আহত কাপুরুষ সৈনিক,
যেভাবে অলসের প্রতিটি ক্ষণের মৃদু মৃত্যু হয়
সেভাবেই চেতনাহীন কবিও জিয়ন্তে লাশ হয়!

বৃষ্টি ভেজা দিনে এক কাপ উষ্ণতা চাই

ch

ঝুম বৃষ্টির এই দিনে মন যেন ডানা মেলা পাখি
এমন সুখের দিনে সময় দিয়ে যাক ফাঁকি
এক কাপ চা হাতে আজ বৃষ্টি বিলাসী
টুপটাপ ঝরুক বৃষ্টি, আমি বৃষ্টি ভালোবাসি।

ঝুপঝাপ রিনিঝিনি আয় বৃষ্টি আয়
ঘিরে রাখ আজ আমায় ভীষণ মায়ায়,
ও বৃষ্টি চা খাবি, এসে বস চায়ের কাপে
নে করে নে স্নান চায়ের উত্তাপে।

আয় বৃষ্টি আয়, ঝমঝমিয়ে আয় না
আশা করি রাখবি আমার বায়না,
চা দেব আজ খেতে
দে বৃষ্টি আজ তোর বুক পেতে।

পাখি আমি ডানা মেলা পাখি, উড়ি মেলে ডানা
আজ আমার অফিস পাড়ায় যেতে আছে মানা,
চায়ের কাপে বৃষ্টির জল
বৃষ্টি থামিস না, করিস না আজ ছল।

ঝুমঝুমিয়ে নাম রে বৃষ্টি আকাশ ভেঙ্গে ঝর
দে কাঁপিয়ে বৃক্ষ লতা, টিনের চাল থত্থর,
উষ্ণ জলে ভেজাচ্ছি ঠোঁট
আয় বৃষ্টি আয় আরাম করবো কিছু লোট।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

এই আষাঢ়ের চিঠি

দূরের পাখিরা জানে এই আষাঢ়ের অন্যনাম- তোমার চিঠি। অথবা ভালোবাসার
পুরনো খাম- নতুন অক্ষরে সাজানো একটি কদমফুল। ভুল করে উজানে বয়ে
যাওয়া নদীর প্রশ্বাস জমা রাখা দুপুর।

হতে পারে ভোর- কিংবা বাঁশির সুর। যে সময়ের কাছে রেখে এসেছি আলোর অতীত।
মনে পড়ে ? এই আষাঢ়েই আমরা গেড়েছিলাম আরেকটি বিশ্বাসের ভিত !

আর জীবনের সপ্তকলায় পরস্পরের
মুখ দেখে দেখে-
ঝড়ের প্রতীক্ষায় কাটে দিন- মাস
নতুন কোনো সংগ্রামের
মানচিত্র এঁকে।

পাখি না ব্ল্যাকবোর্ড

কতদূর সুনামগঞ্জ, পারাবত ঘুম খুলে পৌছে যাই।
মান্দারফুলের কেকাধ্বনি যদি রেখে দেয় একবার
শুক্রবারের সৌন্দর্য—তাতে দূরের পথ এসে
ছড়িয়ে—ছিটিয়ে দেবে শহর। বাদামজাত বিকেল—
চেয়ে দেখা যাবে পেছনের ব্ল্যাকবোর্ড, একখণ্ড চক
এঁকেছিল নেচে ওঠা পাখিদের গীতরত জীবনভার
দেখি—ভেতরে ক্রীতদাস প্রাণ ছড়ায়—অনেকখানি

জেনেছি মানুষ—জীবন চূড়ান্ত জুয়াঘর, ইশারাগুলো
নিশ্চুপ পড়ে থাকে কাটা সিঁড়ির মতো; কেউ ফলে—
কেউ ফলায়—কুহুক ডাক, উপশম; তোমার দোস্তি
প্রণয়ে—পায়চারি করে সাইবার চাঁদ, দূরবিন আত্মা।

সয়ে যায় শান্ত ক্রোধ, ভেতরে ছুটে আসে হামাগুড়ি
বসে থাকি—কুয়াশার মতো; একা—যেতে যে হবে!

.
১৩ আগস্ট ২০২৩

দেদার ঢর

635771073297014161-oriental-plum-tree

বানভাসি ভাদ্রের আগমন
সামান্য কদমের হাসিটা প্রায়
শেষ প্রান্তর, রৌদ্রোজ্জ্বল কান্না
শুধু জমে বরফ হলো শ্রাবণ;
তবু কোথায় প্রশ্ন থেকে যায়
দেহ কম্পন আমরণ গন্ধ!
ভাদ্রের দেখা- এই শুরু বজ্রপাত
খালে বিলে- বনে জঙ্গলে
পথে ঘাটে- ঘরে ফিরে
আর কত কি- এখন আমি
বর্ষার পুজারী অনেক খানি-
যখন তখন নামে দেদার ঢল।

০৫ ভাদ্র ১৪২৯, ২০ আগস্ট ২৩

সুরে সুরে ঋতু

পিয়ানোর রিডগুলি সুরের মূর্ছনায় ভেঙে পড়ে
শিল্পী তাঁর মনোহর সুর ও তালে
প্রকৃতির ঋতু পরিবর্তনের মহিমা গেঁথে যান।

তাঁর সুরের বিস্তারে গাছের ডালে ডালে
সঞ্জীবনী মন্ত্র ঢেলে দেয় শরৎ,
সবুজ পাতায় পাতায় ভরে ওঠে গাছের শাখা প্রশাখা।

সুরের মোহময় আকুতি গাছের পাতা ঝরানোর সুর তোলে
হলুদ, লাল শুকনো পাতা খসে গাছের তলায় জমা হয়,
কিছু বা হাওয়ার ঘূর্ণিতে ঘুরপাক দেয়,
শুকনো ডালপালার ফাঁক দিয়ে রোদের সোনালী আলো
বন বনান্তরে ছড়িয়ে যায়।
মলিন পৃথিবী যেন উত্তাপ পেয়ে হেসে ওঠে।

শিল্পীর সুর উঁচু লয় তুলে আবার নিচু হয়ে আসে।
পিয়ানোর রিড লয় কমিয়ে শীতের আহ্বান করে।