আজকের বসন্তের এই সোনাঝরা বিকেলে শীত শীত আবেশে একটা গান হলে মন্দ কী?
সেই অনেক অনেক দিন আগের কথা যখন পশুর নদী দিয়ে অনেক পানি বয়ে যেত বঙ্গোপসাগরে আর আমি মংলার বাসার বারান্দায় বসে ওই পশুর নদীর বয়ে যাওয়া দেখতাম তখনকার কথা। একবার অফিসের এক প্রটোকল ডিউটি পরেছিল (প্রায়ই হতো)। হিরন পয়েন্টে কোন এক বিদেশি মন্ত্রি পর্যায়ের অতি মূল্যবান ব্যাক্তিদের সাথে মিটিং হবে এবং মিটিং সহ মংলা বন্দরের ঝিনুক জাহাজে করে তাদের যাতায়াত এবং থাকা খাওয়ার যাবতিয় দায়িত্ব আমার। সাথে আমাদের ডাক্তার, সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার, চেয়ারম্যান সাহেবের পিএস সহ অনেক উর্ধ্বতন অফিসাররাও ছিলেন।
রাতের খাবার শেষে সবাইকে রেস্ট হাউসে এবং জাহাজে মিলিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়ে ডাক্তার সাহেবকে নিয়ে ছাদে গেলাম। আহ! কী যে অপূর্ব দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। ভরা পূর্ণিমার চাদের আলোয় দক্ষিণের সাগর আর চারিদিকে সুন্দরবনের গাছপালা। মনে গুঞ্জরিত হচ্ছিল যে কথাগুলি সেই কথাই পকেটের কলম আর ছোট্ট (VIP দের সাথে গেলে কে কখন কি বলে তা মনে রাখার জন্য কাগজ কলম সাথে রাখতে হয়) নোট খাতায় টুকে রাখলাম। দেখে ডাক্তার জিজ্ঞেস করল কি হচ্ছে, লিখছেন? হ্যা এটাই উপযুক্ত সময় আর উপযুক্ত জায়গা লিখে ফেলুন।
সেদিনের মত লিখে নিয়ে সাথে নিয়ে আসলাম। কয়েকদিন পরে শতদলের হাতে দিয়ে বললাম নেন দাদা এবার আপনার কাজ!
সেই স্মৃতি আজ এখানেও চলে এসেছে আজ!
youtu.be/crZtvYj0Wxw