বিভাগের আর্কাইভঃ সঙ্গীত

একটা গান শোনা যেতে পারে কি?

আজকের বসন্তের এই সোনাঝরা বিকেলে শীত শীত আবেশে একটা গান হলে মন্দ কী?
সেই অনেক অনেক দিন আগের কথা যখন পশুর নদী দিয়ে অনেক পানি বয়ে যেত বঙ্গোপসাগরে আর আমি মংলার বাসার বারান্দায় বসে ওই পশুর নদীর বয়ে যাওয়া দেখতাম তখনকার কথা। একবার অফিসের এক প্রটোকল ডিউটি পরেছিল (প্রায়ই হতো)। হিরন পয়েন্টে কোন এক বিদেশি মন্ত্রি পর্যায়ের অতি মূল্যবান ব্যাক্তিদের সাথে মিটিং হবে এবং মিটিং সহ মংলা বন্দরের ঝিনুক জাহাজে করে তাদের যাতায়াত এবং থাকা খাওয়ার যাবতিয় দায়িত্ব আমার। সাথে আমাদের ডাক্তার, সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার, চেয়ারম্যান সাহেবের পিএস সহ অনেক উর্ধ্বতন অফিসাররাও ছিলেন।

রাতের খাবার শেষে সবাইকে রেস্ট হাউসে এবং জাহাজে মিলিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়ে ডাক্তার সাহেবকে নিয়ে ছাদে গেলাম। আহ! কী যে অপূর্ব দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। ভরা পূর্ণিমার চাদের আলোয় দক্ষিণের সাগর আর চারিদিকে সুন্দরবনের গাছপালা। মনে গুঞ্জরিত হচ্ছিল যে কথাগুলি সেই কথাই পকেটের কলম আর ছোট্ট (VIP দের সাথে গেলে কে কখন কি বলে তা মনে রাখার জন্য কাগজ কলম সাথে রাখতে হয়) নোট খাতায় টুকে রাখলাম। দেখে ডাক্তার জিজ্ঞেস করল কি হচ্ছে, লিখছেন? হ্যা এটাই উপযুক্ত সময় আর উপযুক্ত জায়গা লিখে ফেলুন।

সেদিনের মত লিখে নিয়ে সাথে নিয়ে আসলাম। কয়েকদিন পরে শতদলের হাতে দিয়ে বললাম নেন দাদা এবার আপনার কাজ!
সেই স্মৃতি আজ এখানেও চলে এসেছে আজ!

youtu.be/crZtvYj0Wxw

‘আমি তোমারি নাম গাই’

কিছু গানের মধ্যে অদ্ভুত মাদকতা থাকে। শুরুতে প্রভাব না পড়লেও ধীরে ধীরে তলিয়ে যেতে হয়। ‘আমি তোমারি নাম গাই’ ঠিক সেরকমই একটা গান আমার জন্য। গত দুই সপ্তাহ ধরে এ মাদকতায় আসক্ত আমি। সকালের রোদে রিক্সায় প্রিয় মানুষের পাশে চলতে চলতে যে গুনগুন করছিলাম তা অফিসের বস্‌ এর সামনেও অজান্তে চলে আসছিল। সহজ সাধারণ কথা, সুর এবং অসম্ভব দরদী কন্ঠের এ গান যে কোন ধীর লয়ের গান পছন্দ করা মানুষের ভাল লাগবে নিশ্চিত ভাবে।

আমি তোমারই, তোমারই, তোমারই নাম গাই
আমার নাম গাও তুমি,
আমি আকাশ ও রোদের দেশে ভেসে ভেসে বেড়াই
মেঘের পাহাড়ে চড় তুমি,
আমি তোমারই, তোমারই, তোমারই নাম গাই
আমার নাম গাও তুমি ।।

ভালবাসা করে আশা তোমার অতল জল
শীতল করবে মরুভূমি,
জলে কেন ডাঙ্গায় আমি ডুবতেও রাজি আছি
যদি ভাসিয়ে তোল তুমি,
আমি তোমারই, তোমারই, তোমারই নাম গাই
আমার নাম গাও তুমি ।।

তুমি এসো ফসলের ডাকে বটের ঝুরির ফাকে
আর এসো স্বপ্ন ঘুমে,
এই স্বপ্ন দুচোখ খুলে জেগে দেখা যায়
যদি নয়ন তারায় বসো তুমি,
আমি তোমারই, তোমারই তোমারই নাম গাই
আমার নাম গাও তুমি ।।

কবিতা গেল মিছিলে মিছিল নিয়েছে চিলে
অসহায় জন্মভূমি,
আজ একতারার চিলা তোমার স্পর্শ চায়
যদি টংকার দেও তুমি,
আমি তোমারই, তোমারই, তোমারই নাম গাই
আমার নাম গাও তুমি ।।

পুনশ্চঃ মন আকুল করা এ গানের শিল্পী কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্য গত ৭ মার্চ ২০১৭ এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। যতবার শুনি ততবার মন খারাপ হয়। এ সড়ক আর কত মানুষকে কেড়ে নিবে জানা নাই!

www.youtube.com/watch?v=mAhBg65a5FE

রাগিণী

pict0098_filtered-2

গান গেয়ে পাখি ওই তরু শাঁখে
অবেলায় বকুল তলে আমায় কেন ডাকে।।

স্বপনের ওই সুদূরে কে বাঁশরী বাজায়
নেশা লাগান সুরে দূর গাঁয়ের বাঁকে।।

তারই বিধুর সুর এসে আমার প্রাণে বাজে
উতল করা সেই বাঁশরী আমায় কেন ডাকে।

হৃদয় তিমিরে নিভে গেছে শুকতারা
স্মৃতির বনে তবু ছায়া জেগে থাকে।।

আসুন একটা গান শুনি

youtu.be/Bka8zJetyiQ

লিখতে বলেছিলে গান
হয়নি লিখা আজো তাই
আকাশ ছেয়ে গেছে মেঘে
বসন্ত আসেনি, বহেনি বাতাস
ওঠেনি চাঁদ এখন বসে আছি নিশি জেগে।।

ফিরায়ে দিয়েছিলে তুমি
হয়নি দেখা সেই দিন
সেই থেকে আজো ভরে আছে মোর বীণ
হৃদয়ে আজো তুমি তো আছ জেগে।।

বাতাস ছিল মৌসুমি
মনে পরে সেই দিন
এসেছিলে তুমি, ফাগুন নিয়ে এসেছিলে সেই দিন
স্বপনে যেন সেই ছোঁয়া আছে লেগে।।

কাজল চোখ

50-amazing-examples-of-pencil-art-19

তোমার বন্ধু
চোখ ফুটেছে অনেক
দেহে ধরেছে লজ্জাপতির চঞ্চল-
কোন চোখে দেখবে বলো !
মনের আঙ্গিনায় বেগ!
আর সরিষা চোখে জল।।

কি কারণে কাজল সাজাও
সেই কাজলেতে শোক উড়াও
খুব ইচ্ছে করে জানতে
শোক চাদরে কতটুকু পুড়াও-

পোড়া নয়নে আর দেখো না
বাসি ঠোঁটে আর তুলো না-
হাসির ঝলক মারা মাতল
সব গড়েছে এক তাজমহল।।
০৫/০৩/১৭
———–

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি

najim21stfeb

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।।

জাগো নাগিনীরা জাগো নাগিনীরা জাগো কালবোশেখীরা
শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা,
দেশের সোনার ছেলে খুন করে রোখে মানুষের দাবী
দিন বদলের ক্রান্তিলগ্নে তবু তোরা পার পাবি?
না, না, না, না খুন রাঙা ইতিহাসে শেষ রায় দেওয়া তারই
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।

সেদিনও এমনি নীল গগনের বসনে শীতের শেষে
রাত জাগা চাঁদ চুমো খেয়েছিল হেসে;
পথে পথে ফোটে রজনীগন্ধা অলকনন্দা যেন,
এমন সময় ঝড় এলো এক ঝড় এলো খ্যাপা বুনো।।

সেই আঁধারের পশুদের মুখ চেনা,
তাহাদের তরে মায়ের, বোনের, ভায়ের চরম ঘৃণা
ওরা গুলি ছোঁড়ে এদেশের প্রাণে দেশের দাবীকে রোখে
ওদের ঘৃণ্য পদাঘাত এই সারা বাংলার বুকে
ওরা এদেশের নয়,
দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয়
ওরা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শান্তি নিয়েছে কাড়ি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।

তুমি আজ জাগো তুমি আজ জাগো একুশে ফেব্রুয়ারি
আজো জালিমের কারাগারে মরে বীর ছেলে বীর নারী
আমার শহীদ ভায়ের আত্মা ডাকে
জাগো মানুষের সুপ্ত শক্তি হাটে মাঠে ঘাটে বাটে
দারুণ ক্রোধের আগুনে আবার জ্বালবো ফেব্রুয়ারি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।
=====================

গীতিকার – আবদুল গাফফার চৌধুরী।
সুরকার – আব্দুল লতিফ, আলতাফ মাহমুদ।
মুক্তি – ১৯৫৪।

youtu.be/GmF3T6y6EBI

পুতুল ঘর

পুতুল ঘরে কি বাতি জ্বলাও
নিত্য করো গানের আসর-
কে শুনিলো কে বা মজাইলো
পুতুল ঘরে জ্বলে রঙিন আলো ।

চোখ জুড়ে নিত্যই দেখি অন্ধকার
মনে নিত্যই করো বাহারি অহংকার-
পতুল ঘরে ছোঁয়ে দিবে ধূসর মাটি
সংসার গানের আসর হবে চির খাটি!

খাটি মাটি বাঁশচাটি কপালে আমার
মজাইলো না মজাইলো না পুতুল ঘর
জীবনের সন্ধীক্ষণে শুধু অভিনয় কাজে
কর্মে ভয় নেই মুখে মুখে বলো ঈশ্বর !

কয়দিন সাজিয়ে রাখবে আর পুতুল ঘর
কয়দিন জ্বালাবে আর রঙ্গমশাল আলো
শুধু আঁধার আসবে নেমে গানের আসর
আমার পুতুল ঘর রে পাগলা পুতুল ঘর।
১৮/০২/১৭
———–

চিরায়ত বাসন্তিকায় রবীন্দ্রনাথের গীতি আহবান

‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে; তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে কোরোনা বিড়ম্বিত তারে
আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো … আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো
এই সংগীত-মুখরিত গগনে তব গন্ধ তরঙ্গীয়া তুলিয়ো।’

bbrd805640799_n

আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।
তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে
কোরো না বিড়ম্বিত তারে।

আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো,
আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো,
এই সংগীত-মুখরিত গগনে
তব গন্ধ তরঙ্গীয়া তুলিয়ো।

এই বাহির ভুবনে দিশা হারায়ে
দিয়ো ছড়ায়ে মাধুরী ভারে ভারে।

অতি নিবিড় বেদনা বনমাঝে রে
আজি পল্লবে পল্লবে বাজে রে–
দূরে গগনে কাহার পথ চাহিয়া
আজি ব্যাকুল বসুন্ধরা সাজে রে।

মোর পরানে দখিন বায়ু লাগিছে,
কারে দ্বারে দ্বারে কর হানি মাগিছে,
এই সৌরভবিহ্বল রজনী
কার চরণে ধরণীতলে জাগিছে।

ওগো সুন্দর, বল্লভ, কান্ত,
তব গম্ভীর আহ্বান কারে।

_____ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর …

rbnth7060_n

youtu.be/gNfQ99nkv1g

প্রদায়ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

প্রিয় সুর প্রিয় গীতিকথা

তুমি বরুনা হলে হবো আমি সুনীল
তুমি আকাশ হলে হবো শঙ্খচিল
তুমি নদী হলে হবো আমি জল
তুমি শ্রাবণ হলে হবো শ্রাবণ ঢল।

তুমি পাহাড় হলে আমি সবুজ
তুমি শাসন করলে হবো আমি অবুঝ
তুমি অরণ্য হও হবো পাখি
তুমি অশ্রজল হলে হয়ে যাবো আঁখি।

তুমি জীবন হলে হয়ে যাবো আমি প্রেম
তুমি নকশি কাঁথা হলে হবো কারু হেম।

নারে না না না।

তুমি রাত্রি হলে হবো নিরবতা
তুমি দুঃখ পেলে হবো তারই ব্যাথা
তুমি প্রকৃতি হলে হবো তারই ছবি
তুমি কবিতা হলে হবো তার কবি

তুমি জীবন হলে হয়ে যাবো আমি প্রেম
তুমি নকশি কাঁথা হলে হবো কারু হে।

নারে না না না।।।

———————-

আর্টিস্টঃ মাহদি
অ্যালবামঃ বন্দনা।

httpv://youtu.be/sIdPLeBFOe0

একটি গান … একটি ইতিহাস …

asdaa

হেনরী রাইডার হ্যাগার্ড এর লিখা। সেবা প্রকাশনীর অনুবাদ সাহিত্য থেকে।
খৃষ্টপূর্ব তিন হাজার বছর পূর্বে প্যাপিরাসে লিখে যাওয়া আলেকজান্দ্রিয়া তথা মিশরের রাণী ক্লিওপেট্রার গাওয়া মিশরের আদিবাসী রাজ্যহারা ফারাও বংশধর হারমাচিস এর উদ্দেশে একটি গান

clio-pepiras01

মনে করো কোন এক সাগরে ভাসছি আমরা রাতে
হৃদয় ছিঁড়ে বেরুতে চায় অতুলনীয় এক সুর যাতে
ফিসফিস করে কথা বলতে পারি আমি তোমার সাথে।
মেঘ ভেবে ভুল করে ঠাঁই নেয় বাতাস আমার চুলে;
তুমি ঠাঁই নাও আমার বুকে, জানিনা সজ্ঞানে কি ভুলে,
হায়! যদি থেমে যেত রাতটা, যদি চড়াত সময়কে কেউ শূলে!

তারা গুলোতে প্রতিধ্বনিত হয় কার গানের সুর?
তোমার হৃদয়ের আবেগ আর আমার ভালোবাসায় বিমূঢ়
ভাগ্যকে ভুলে আমরা কি পারি না যেতে বহুদূর?

তাকাও প্রিয়, চিনে নাও আমাদের গন্তব্যের ওই তারকারাজি,
নাকি দু’হাত পেতে চাও চাঁদের প্রাচীন আলোর কারসাজি?
নিশ্চুপ থেকো না, সব সূর্যের দোহাই, আমার জানতে হবে আজই।
পায়ের নীচে এই সাগর রোষে ধেয়ে চলে তীরের পানে,
আর আমি দেখি তোমার হৃদয় নতজানু হয়ে সসম্মানে
কুর্ণিশ করে আমায়। বলে, আমার হৃদয় কি মিথ্যে জানে?

নিষ্ঠুর মরণের কিনারায় আমাদের অসহায় বসবাস,
একবার নিয়তি, আরেকবার লোকলজ্জা ছাড়ে বিষ নিঃশ্বাস;
কি লাভ সংযমে? চলো, বুক ভরে নেই যৌবনের নিষিদ্ধ সুবাস।

জানিনা কোন ধাতুতে গড়া তোমার আবেগহীন ওই মন,
অথচ প্রেমের বিষ শুষে নিয়ে আমার আত্মা সর্বদা করে টনটন;
নিষ্ঠুর, কাছে এসে আঁকো আমার ঠোঁটে অনন্ত চুম্বন।

গান না গাও অনন্ত করো গুনগুন, আমি আসি তোমার কাছে
কিসের ভয় তোমার? তাকিয়ে দেখো আর কেউ কি আছে?

শুনবে না কেউ, জানবেনা; অপবাদ দেবে না পাছে।
মাংসল দেহকে একদিন খাবে সময়, কিন্তু জীবন হবে না শেষ,
অনন্তের পানে যাত্রা শুরুর আগে একবার করো মনোনিবেশ
নিজের সত্তায়। কামনা জাগায় কি সেখানে এই গানের আবেশ?

asddf

আসুন। ভালো মন্দ যেটাই হোক লাইক চর্চ্চা অব্যহত রাখি।

অশ্রুজলে সিক্ত যে সুর বাণী

ধন ধান্য পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরী সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা।

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি,
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি।।

চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা, কোথায় এমন উজল ধারা,
কোথায় এমন খেলে তড়িৎ, এমন কালো মেঘে
তারা পাখির ডাকে ঘুমিয়ে পড়ে, পাখির ডাকে জাগে।।

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি,
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি।।

পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখি, কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি
গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে।
তারা ফুলের উপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে।

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি,
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি।।

ভায়ের মায়ের এত স্নেহ, কোথায় গেলে পাবে কেহ
ও মা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি,
আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি,
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি।।

—- দ্বিজেন্দ্রলাল রায়।

httpv://youtu.be/aH__jf36sl0

একটি গান

asdaa

হেনরী রাইডার হ্যাগার্ড এর লিখা। সেবা প্রকাশনী’র অনুবাদ সাহিত্য থেকে।
খৃষ্টপূর্ব তিন হাজার বছর পূর্বে প্যাপিরাসে লিখে যাওয়া আলেকজান্দ্রিয়া তথা মিশরের রাণী ক্লিওপেট্রার গাওয়া মিশরের আদিবাসী রাজ্যহারা ফারাও বংশধর হারমাচিস এর উদ্দেশে একটি গান…।
clio pepiras

মনে করো কোন এক সাগরে ভাসছি আমরা রাতে
হৃদয় ছিঁড়ে বেরুতে চায় অতুলনীয় এক সুর যাতে
ফিসফিস করে কথা বলতে পারি আমি তোমার সাথে।
মেঘ ভেবে ভুল করে ঠাঁই নেয় বাতাস আমার চুলে;
তুমি ঠাঁই নাও আমার বুকে, জানিনা সজ্ঞানে কি ভুলে,
হায়! যদি থেমে যেত রাতটা, যদি চড়াত সময়কে কেউ শূলে!

তারাগুলোতে প্রতিধ্বনিত হয় কার গানের সুর?
তোমার হৃদয়ের আবেগ আর আমার ভালোবাসায় বিমূঢ়
ভাগ্যকে ভুলে আমরা কি পারি না যেতে বহুদূর?

তাকাও প্রিয়, চিনে নাও আমাদের গন্তব্যের ওই তারকারাজি,
নাকি দু’হাত পেতে চাও চাঁদের প্রাচীন আলোর কারসাজি?
নিশ্চুপ থেকো না, সব সূর্যের দোহাই, আমার জানতে হবে আজই।
পায়ের নীচে এই সাগর রোষে ধেয়ে চলে তীরের পানে,
আর আমি দেখি তোমার হৃদয় নতজানু হয়ে সসন্মানে
কুর্ণিশ করে আমায়। বলে, আমার হৃদয় কি মিথ্যে জানে?

নিষ্ঠুর মরণের কিনারায় আমাদের অসহায় বসবাস,
একবার নিয়তি, আরেকবার লোকলজ্জা ছাড়ে বিষনিঃশ্বাস;
কি লাভ সংযমে? চলো, বুক ভরে নেই যৌবনের নিষিদ্ধ সুবাস।

জানিনা কোন ধাতুতে গড়া তোমার আবেগহীন ওই মন,
অথচ প্রেমের বিষ শুষে নিয়ে আমার আত্মা সর্বদা করে টনটন;
নিষ্ঠুর, কাছে এসে আঁকো আমার ঠোঁটে অনন্ত চুম্বন।

গান না গাও অনন্ত করো গুনগুন, আমি আসি তোমার কাছে
কিসের ভয় তোমার? তাকিয়ে দেখো আর কেউ কি আছে?

শুনবে না কেউ, জানবেনা; অপবাদ দেবে না পাছে।
মাংশল দেহকে একদিন খাবে সময়, কিন্তু জীবন হবে না শেষ,
অনন্তের পানে যাত্রা শুরুর আগে একবার করো মনোনিবেশ
নিজের সত্তায়। কামনা জাগায় কি সেখানে এই গানের আবেশ?

asddf