বিভাগের আর্কাইভঃ সঙ্গীত

সাহিত্য আড্ডা-২

বর্ষা বন্দনা

বর্ষা আমার প্রিয় ঋতু। শুধু প্রিয় বললে বর্ষার প্রতি আমার অনুভূতি যথাযথ তীব্রতা নিয়ে প্রকাশ পায় না। বর্ষা আমার ভালোলাগা ঋতু, ভালোবাসার ঋতু। জীবনের প্রতিটা দিনের সাথে আমি বর্ষার এক গভীর সম্পর্ক খুজে পাই। প্রতিটা মুহুর্ত যেন বর্ষার একেকটা রুপ নিয়ে আমার কাছে ধরা দেয়। বর্ষা যেন মিশে আছে আমার অস্তিত্বের সাথে একাত্ম হয়ে।

আমার মনে হয় যে কোন সাহিত্য প্রেমী বা প্রকৃতি প্রেমী মানুষেরই বর্ষার সাথে রয়েছে এক সুগভীর অনুভুতির সম্পর্ক। কখনো তা এক ঘন কাল মেঘে ঢাকা থমথমে আকাশের মত এক বুক কষ্টের। কখনো তা আবার গুচ্ছ গুচ্ছ হাল্কা শ্বেত শুভ্র মেঘলা আকাশের মত শুদ্ধতার। কখনো সারাদিন গুড়ি গুড়ি করে ঝরে পড়ার মত বিষণ্নতার। কখনো অঝোর ধারায় ঝরে পড়ার মত অভিমানের। আবার কখনোবা প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাতের মত ধ্বংসের। কিম্বা শিলা বৃষ্টির মত অভিশাপের।

আমি সারা বছরই বর্ষার গান শুনি। তবে বর্ষায় বৃষ্টি নামলে যে গানগুলো আমি সবচেয়ে বেশী শুনি তার মধ্য থেকে একটি আপনাদের আজ উপহার দিচ্ছি। আপনাদের প্রিয় বর্ষার গান গুলির লিংক মন্তব্যে দিলে আমরা সবাই তা শুনতে পারবো। বর্ষা নিয়ে আপনার ভাললাগার অনুভূতিও আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে
www.youtube.com/watch?v=hi-C4kD6G9Y

আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে
মনে পড়লো তোমায়
অশ্রু ভরা দুটি চোখ
তুমি ব্যথার কাজল মেখে
লুকিয়েছিলে ঐ মুখ।।

বেদনাকে সাথী করে
পাখা মেলে দিয়েছো তুমি

কত দূরে যাবে বলো।
তোমার পথের সাথী হবো আমি।।

একাকিনী আছো বসে
পথ ভুলে গিয়েছো তুমি

কোন দূরে যাবে বলো।
তোমার চলার সাথী হবো আমি।।


শিল্পী: নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী
সুর: লাকী আখন্দ
কথা: কাওসার আহমেদ চৌধুরী

সাহিত্য আড্ডা-১

শব্দনীড় বাংলা সাহিত্য ব্লগ ! আসুন আমরা সাহিত্য নিয়ে একটু আড্ডাবাজি করি !

আমরা যদি ভাবি, শব্দনীড়ে আমরা শুধু আমাদের স্বরচিত লেখা প্রকাশ করবো এবং অন্য সবাই আমার লেখা পড়বে ও মন্তব্য করবে কিন্তু আমার অত সময় নেই অন্যের লেখা পড়ার বা মন্তব্য করার; এমন ভাবলে ব্লগ জমবে কিভাবে ? ব্লগিংকে উপভোগ্য করে তোলার জন্য দরকার একে অন্যের লেখাকে মূল্যায়ন করা এবং সুন্দর পরিশীলিত মন্তব্যের মাধ্যমে পারস্পরিক আন্তঃসম্পর্ক গড়ে তোলা । আমার মনে হয়, আমরা তখনি কোন একটি ভালো লেখার নির্জাস নিজের মধ্যে ধারন করতে পারি যখন আমরা তার উপর যথাযথ মন্তব্য করতে সমর্থ হই । আপনি কি মনে করেন ?

আড্ডার ছলে অনেক বিরক্তিকর কথা কি বলে ফেললাম ?
তাহলে শব্দনীড়ের বন্ধুদের বিনোদিত করতে আমার অনেক প্রিয় একটি গান আপনাদের সাথে শেয়ার করি ! আপনাদের ভালো লাগলে পরবর্তীতে আবারো আসবো আরও কোন প্রিয় গান নিয়ে !

আলগা করো গো খোপার বাঁধন

– কাজী নজরুল ইসলাম

www.youtube.com/watch?v=LuWCrG-1idk&list=RDLuWCrG-1idk

আলগা করো গো খোপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
আলগা করো গো খোপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
বিনোদ বেনির জরিন ফিতায়
বিনোদ বেনির জরিন ফিতায়
আন্ধা ইশক মেরা কাস গায়ি
আন্ধা ইশক মেরা কাস গায়ি
আলগা করো গো খোপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি

তোমার কেশের গন্ধে কখন
লুকায় আসিলো লোভী আমার মন
তোমার কেশের গন্ধে কখন
লুকায় আসিলো লোভী আমার মন
বেহুঁশ হো কার গির পারি হাথো ম্যায়
বেহুঁশ হো কার গির পারি হাথো ম্যায়
বাজু বান্ধ ম্যায় বাস গায়ি
বাজু বান্ধ ম্যায় বাস গায়ি
আলগা করো গো খোপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি

কানেরও দুলে প্রাণ রাখিলে বিধিয়া
আঁখ ফিরা দিয়া চোরি কার নিন্দিয়া
কানেরও দুলে প্রাণ রাখিলে বিধিয়া
আঁখ ফিরা দিয়া চোরি কার নিন্দিয়া
দেহেরও দেউরীতে বেড়াতে আসিয়া .
দেহেরও দেউরীতে বেড়াতে আসিয়া
অউর নেহি ওহ ওয়াপাস গায়ি
অউর নেহি ওহ ওয়াপাস গায়ি
আলগা করো গো খোপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
বিনোদ বেনির জরিন ফিতায়
আন্ধা ইশক মেরা কাস গায়ি
আন্ধা ইশক মেরা কাস গায়ি
আলগা করো গো খোপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি

আধুনিক গান :: আবার পৃথিবীকে আমি

আধুনিক গান :: আবার পৃথিবীকে আমি

আবার পৃথিবীকে আমি ক্ষমা করে দেবো
যদি তুমি ডেকে নাও কাছে,
আবার চন্দ্রের দেশে স্মৃতি রেখে যাবো
যদি সবুজ বৃক্ষ বাঁচে।।

* জলের আঙিনা খোলা রেখে রেখে
গেয়েছি যে গান,
কবিতার সুরে ডেকে ডেকে তারে
ভাঙিয়েছি অভিমান
সে ও তো তুমি, জীবনের পরিধান
তোমার কীর্তন, পাখিরা গায় গাছে গাছে।।

* নীল’কে আমি বেদনার রঙ
কখনোই তো বলি’নি
বৃষ্টির জলে কখনোই তৃষ্ণা
নিবারণ করি’নি..
শুধুই চেয়েছি দেখা হোক,
আবার দেখা হোক
স্বপ্ন ছাড়া মানুষের আর সঞ্চয় কি কিছু আছে !

কিছু ধ্বনি স্মৃতি হয়ে থাকে

আধুনিক গান :: কিছু ধ্বনি স্মৃতি হয়ে থাকে

কিছু ধ্বনি স্মৃতি হয়ে থাকে
কিছু প্রেম দূর জানালায়..
পাখিদের সাথে কথা বলে
কিছু জল তৃষ্ণা জাগায়।।

* যে সড়ক একা একা হাঁটে
বুকে নিয়ে ঘোর কথামালা
জানতে চাই কি তার কাছে…
মাধবী কি আজও বেঁচে আছে
ছেড়ে যাওয়া ভাদ্রের সন্ধ্যায়
একা একা যারা গৃহ ছেড়ে যায়।।

* কিছু গৃহ মানুষের জন্য
কখনোই ছাদ হয়ে থাকে না
কিছু নীল ভালোবেসে দূরাকাশ
প্রণতি বুকে ধরে রাখে না
তবুও তো আকশের কাছে হায়…
জলচিঠি লিখি আমি কোন আশায়।।

একটি আধুনিক গান

একটি আধুনিক গান

আকাশ দেখো নীল হয়েছে, বেদনা তার ছড়িয়ে দিয়ে
আমি শুধুই লিখছি আকাশ, তোমার ভালোবাসা নিয়ে।।

* দেয়াল লেখার দিনগুলোতে, দুপুর আমার প্রিয় ছিল
সেই দুপুরকে ভালোবেসে,সূর্য যেদিন পিছু নিল
এঁকেছি শুধু তোমার ছবি
শব্দশিখা আঁকতে গিয়ে।।

* কত ছায়া মায়া রেখে, হারিয়ে যায় কোন সুদূরে
কত মেঘ যায় যে উড়ে, আর কি তারা ঘরে ফিরে
খুঁজছি জীবন-হস্তরেখায়
নদীর জলে ফুল ভাসিয়ে।।

প্রখর তপনতাপে

প্রখর তপনতাপে আকাশ তৃষায় কাঁপে,
বায়ু করে হাহাকার।
দীর্ঘপথের শেষে ডাকি মন্দিরে এসে,
“খোলো খোলো খোলো দ্বার॥
বাহির হয়েছি কবে কার আহ্বানরবে,
এখনি মলিন হবে প্রভাতের ফুলহার॥
বুকে বাজে আশাহীনা ক্ষীণমর্মর বীণা,
জানি না কে আছে কিনা, সাড়া তো না পাই তার।
আজি সারা দিন ধ’রে প্রাণে সুর ওঠে ভরে,
একেলা কেমন ক’রে বহিব গানের ভার॥

লিরিকঃরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রাগ: মূলতান-ভীমপলশ্রী
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1922
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
কন্ঠঃসাগর সেন

বজ্র-মানিক দিয়ে গাঁথা

বজ্র-মানিক দিয়ে গাঁথা

বজ্র-মানিক দিয়ে গাঁথা
আষাঢ় তোমার মালা।
তোমার শ্যামল শোভার বুকে
বিদ্যুতেরি জ্বালা।

তোমার মন্ত্রবলে
পাষাণ গলে, ফসল ফলে,
মরু বহে আনে তোমার পায়ে ফুলের ডালা।
মরমর পাতায় পাতায়
ঝরঝর বারির রবে,
গুরু গুরু মেঘের মাদল
বাজে তোমার কী উৎসবে।

সবুজ সুধার ধারায় ধারায়
প্রাণ এনে দাও তপ্ত ধরায়,
বামে রাখ ভয়ংকরী
বন্যা মরণ-ঢালা।

যে আঁখিতে এত হাসি লুকানো

যে আঁখিতে এত হাসি লুকানো
কুলে কুলে তার কেন আঁখি ধার
যে মনের আছে এত মাধুরী
সে কেন চলেছে বয়ে ব্যথা ভার।।

দীপের শিখায় এত আলো যে
তবু কেন কাজলে সে কালো যে
একেলার ভালো লাগা কি আসে
কেঁদে কেঁদে হতে চাই দুজনার।

সাগর কখনো চেয়ে দেখেনা
বুকে তার কি রতন রয়েছে
কাঙালের মত তীরে তীরে সে
ফিরে ফিরে অবহেলা সয়েছে।
প্রেম যদি ভরে এত সুধা গো
তবু কেন হৃদয়ের ক্ষুধা গো
যে মেঘে রয়েছে এত মমতা
কেন তার বিদ্যুতে হাহাকার।

কণ্ঠঃ শ্রীকান্ত আচার্য্য।

একটি আধুনিক গান

তুমি কি জানো আমিও কেঁদেছি ধূপ জ্বালাবার রাতে
একটি চাঁদ একাকী হেঁটেছে আমাদের সাথে সাথে।।

* বৃষ্টি এসে ধুয়ে নিয়ে গেছে কতগুলো পদছাপ
একটি জোনাকি এঁকে রেখেছে মেঘেদের সন্তাপ
পাতায় পাতায় বনেদি সবুজ
নেমেছে সঙ্গ দিতে।।

* জমে থাকা ব্যথা উঁকি দিয়েছে গুহার জানালা খুলে
রাতের পাখিরা তাকিয়েছে শুধু গন্তব্য ভুলে ভুলে
জোয়ার শেষে ঢেউ জেগে থাকে
যে মনের নদীতে।।

_________________
@ নিউইয়র্ক / ৫ মে ২০১৭

একটা আর্বান ফোক বা (গো)লোকগীতি প্রেম-কিশমিশ

কথা জানো মন জানো না
ও প্রেমিক, কাচ-বাসনা!
আনা চার খুঁজতে গিয়ে
লাখে অনাচার ক’রো না

জল কি বাঁধতে পারো?
বান যায় পড়শিঘরও
মিলমিশ না হয়ে দু’মন
প্রেম-কিশমিশ পেল না

হার্টস-এর টেক্কা চেপে
খ্যালো তাস খেপে খেপে
প্রেমে শর্ট নিতে গিয়ে
ও-শিওর পিঠ হবে না

ট্রেনে কত উঠল হকার
নিমে, নবী, যিশু অবতার
তারা সব ধরছে দোহার
মাঠে ফুল হাসে, টবে না…

ঊর্ণি চূর্ণী ৪ (গান)

মন পেতেছি বর্ষাভেজা লেকের জলে
মন রেখেছি ঝিলকর্পূর ঝিলিক পাতায়
মেঘ জমলেই জলের রঙে অদলবদল
মন ভেসেছে হাঁসের পিঠে জলের দাগে।
টুপলাবডুব টুপ টুপ টুপ বৃষ্টি ফোঁটা এফোঁড় ওফোঁড়
থোড়াই কেয়ার ঝমঝমঝম ঝরছে চুমু
ঊর্ণি রে তোর ডানার দুপাশ জল নক্সায়
তুম না না তুম মেঘমল্লার তান তুলেছে।

প্রিয় গান (আমরা এমনই এসে ভেসে যাই)

আমরা এমনই এসে ভেসে যাই –
আলোর মতন, হাসির মতন,
কুসুমগন্ধরাশির মতন,
হাওয়ার মতন, নেশার মতন
ঢেউয়ের মতো ভেসে যাই।
আমরা অরুণ-কনক কিরণে চড়িয়া নামি;
আমরা সান্ধ্য রবির কিরণে অস্তগামী;
আমরা শরৎ ইন্দ্রধনুর বরণে
জ্যোৎস্নার মতো অলস চরণে,
চপলার মতো চকিত চমকে
চাহিয়া, ক্ষণিক হেসে যাই।
আমরা স্নিগ্ধ, কাণ্ড, শান্তি-সুপ্তিভরা
আমরা আসি বটে, তবু কাহারে দিই না ধরা
আমরা শ্যামলে শিশিরে গগনের নীলে
গানে, সুগন্ধে, কিরণে-নিখিলে
স্বপ্নরাজ্য হতে এসে, ভেসে
স্বপ্নরাজ্য দেশে যাই
আমরা এমনই এসে ভেসে যাই –
আলোর মতন, হাসির মতন,
কুসুমগন্ধরাশির মতন,
হাওয়ার মতন, নেশার মতন
ঢেউয়ের মতো ভেসে যাই।

লিখেছেনঃ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
শিল্পীঃ জয়তী চক্রবর্তী।

ঊর্ণী চূর্ণী ২ (গান)

ঊর্ণী নদীর ঘূর্ণিপাকে থৈ থৈ থৈ ভোডকা
লাভ শিডিউল পাত পাড়লে প্রাক্তন হয় ছোটকা।
টান টান টান নগ্ন নদী যখন তখন ঢেউ
ইনভিটেশন পেলেই সাঁতার কাটতে রাজি কেউ।
এথার ওথার অকূল পাথার কাচকি মাছের বাস
মাছের পেটে লম্বা সুড়ং রাত গভীরের শ্বাস।
কাচকি মাছের দুপাশ জুড়ে প্রবাল দ্বীপের ওয়াল
কাচকি খেতে আসছে উড়ে জংলা রাঘব বোয়াল।
খাচ্ছে কিন্তু গিলছে না বিমূর্ত পোর্ট্রেট
আর্কিটেক্টও থমকে বলে, “ঊর্ণী ইউ আর গ্রেট”!
ছুঁলেই নদী খেই হারিয়ে ইমম্যাচিওরড রা
ঊর্ণী উছল চূর্ণী নদী র‍্যাম্পমপম ট্রা।

ঊর্ণি চূর্ণী (গান)

ঊর্ণি তোমার চুলের মাঝে চাঁদবণিকের নূপুর বাজে
ঊর্ণি তোমার গন্ধে মাতাল গন্ধগোকুল আসে।
রাতবিরেতে চাঁদ ঢেলে যায় জ্যোৎস্নারঙা জলপিপাসা
ঊর্ণি তোমার ছড়-ভায়োলিন চোখের জলে ভাসে।
জৈষ্ঠ্য মাসে শ্রাবণ ভাসায় সুখচরাচর লোক উপকূল
হঠাৎ কেন অসময়ী কালবৈশাখী ঝড়ঝনখন্
শুদ্ধস্বরের কেতাবী গীত নামিয়ে মাথা মুছছে হৃদয়
চিহ্ন যত এঁকেছিলে রক্তসিঁদুর বিকেলবেলায়।
ঊর্ণি তোমার দিনরাত্তির রোমান্স জোড়া প্যালেসআলো
ঊর্ণি তোমার হ্যামলেনিয়া বাঁশির সুরে সর্বনাশের খেলা।

চৈতী রাতে

চাঁদ উঠেছে গগণে গগণে
পথে পথে আলো চেয়ে গিয়েছে
সখির দেখা নয়নে নয়নে
দখিন সমীরনে এলায়িত কুন্তলে।।

মোর ভুবন ভরিয়া
কোন কোলাহল কি হরষে
থামিয়া থামিয়া জাগিছে
কোন কথা আসেনা অধরে
শুধু দেখা মুগ্ধ নয়নে।।

[ আমি কবি নই মোটেই। তবু মাঝে মাঝে এরকম এলেবেলে আঁকিবুঁকি করতে ইচ্ছে করে।]