আলমগীর সরকার লিটন এর সকল পোস্ট

আলমগীর সরকার লিটন সম্পর্কে

আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা "মেঘফুল", ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।

ডবল লাভে হয় না সুদ

images-সুদ-1

আজ কাল চোখের ভাষাগুলো
গোলক ধাঁ ধাঁর মন- পাহাড় পর্বত হয়েছে;
আর দু’পায়ের চলন গুলো
কাঠবিড়ালী, টিকটিকি কেও হার মেনেছে
সময়ের চাকা বুকের উপর
গরুর গাড়ি আর চলে না হরেক রকম বাস;
ভাষা গুলির কোন অর্থ খুঁজি না
যত দোষ, নন্দ ঘোষ অর্থের বালুচর, অর্থ ছাড়া
হয় না কিছু-অর্থের বিনিময়ে
সুদ! ব্যবসা বাণিজ্যের ডবল লাভে হয় না সুদ।

০৮আষাঢ় ১৪২৯, ২৩জুন’২২

সাহসী বানভাসি

ggtyu

সময় এখন পানির সাথে
যুদ্ধ হচ্ছে- আমরণ যুদ্ধ;
জীবন্ত লাশ পানির উপরে
ভাসছে- অনাহারী কষ্ট
পাতিলে অনল জ্বলে না;
মাদুর পারা খাবার বসে না
-আর্তনাদ সময়ের ঘড়ি-
অথচ বুকের নদে বালুচর
বর্ষা কে ভয় করি না- না!
যুদ্ধ করি প্রতি বছর- এমন কি
ক্ষণে- ক্ষণে, রাক্ষসী বানের
বন্দুকের নলে- রক্তাক্ত ঢেউ
ভেসে যায় সব- তবু ভীতু হই
না- আমরা সাহসী- বানভাসি।

০৫আষাঢ় ১৪২৯, ২০ জুন’২২

চাঁদের হাত ধরেই

oiuy

জীবন সংসার মানে পূর্ণিমা রাতেই
চাঁদের সাথে উঠতি ফুর্তি প্রেমেই!
কিছুই করা ভাল না,খাই আর ঘুমাই
জগত সংসার শুধু আবেগে উড়াই-
ভাল আর মন্দ মসজিদ মন্দিরে ঘুরাই

স্বার্থের বালুচরে জল দিয়ে সাঁতরাই;
মরা গাঙ্গে ঘাসফুলের মালা সাজাই-
মাটির আইলপাথারে ঠিকানা গড়াই
এই না হলো ভাবের পায়জামা সিলাই
এ ছাড়লাম বাড়ি ঘর চাঁদের হাত ধরেই।

৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯, ১৪ জুন’২২

মৌ মৌ গন্ধ

Juicea

পুরাতন কথা নতুন করে বললে ক্ষতি কি
চিন্তার গভীরে জ্ঞান নিতে হয় গোপনে শুধু
অন্ধ বিশ্বাস কখন সফল বয়ে আনে না
জানতে হয়, বুঝতে হয়, থাকতে হয়-
জ্ঞানের পাহাড় তাহলেই বিশ্বাস সার্থকতার
আলো বাতাস সুবাস মৌ মৌ গন্ধ ছড়াবে
জীবনের দুরন্ত সীমা ক্ষীণ হবে ঘুম স্বপ্নের পাহাড়ে
আঁধার যাত্রীর শেষে এমন কি হাসি মুখে মৃত্যু।

২৬জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯, ০৯ জুন ২২

কান্না চাইলেও হয় না

1598a

একদিন কান্না চাইলেও
বৃষ্টি ভেজা আর হবে না!
মেঘ আকাশে ভাসলেও
সাঁতারে বর্ষার জল হবে না;
কখন একটু একটু সাঁতার
শিখা হামাগুড়ি পুকুর জানল না

তবু অবাক লাগে সোনালি
ক্রিকেট, ফুটবল খেলার মন
অথচ আর কেঁদে কি হবে-
শস্য শ্যামল ভরা মাঠ আর মাঠ
পূর্ণিমা রাত সবই ডুবার জল
কান্না চাইলেও কান্না হয় না।

২৩জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯, ০৬ জুন ২২

ধ্বংস হচ্ছে

blasa

ওরা চোখ দেখেনি- মন বুঝেনি
কেমন করে মায়া কান্না বুঝবে,
ওরা স্বার্থের জন্য নিতে পারে প্রাণ!
তবু ওরা কৃতজ্ঞতা বুঝবে কি করে?
অকৃতজ্ঞতার আসমান জমি দেখে-

সব ক্ষমতায় এখন তার ইশারায়;
বেহুঁশ হয়ে যাচ্ছে- কবিতার সব
আসবাবপত্র, কলমের কালির চিন্তা
করে না, সবই নিজের লোক! অথচ
কৃতজ্ঞতার গন্ধ ধ্বংস আমজনতার।

১৮জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯, ০১ জুন ২২

দুর্বাঘাসের ইতিহাস

Cyna

পৈতৃক নিবাস এর কথায় চিন্তা করে
কিছু নবী রাসুলের কাজ করাই ভাল!
কারণ পৈতৃকেরা এই কাজই করেছেন;
বিশ্বাস অবিশ্বাসের কিছু যায় আসে না
মৃত্যুই পৈতৃক সম্পত্তির মধ্যে চিরসত্য

ইতোমধ্যে নানা নানী, দাদা দাদী প্রয়াত
প্রমাণ দিয়েছেন কাল পরশু হয় তো তুমি
আমি কিংবা পাশে বসে দেখছেন যারা
সবই পৈতৃক নিবাসের ঠিকানায় মাটি হবে
শুধু দূর্বাঘাসের ইতিহাস চেয়ে চেয়ে থাকবে।

১৫জৈষ্ঠ ১৪২৯, ২৯ মে ২২

রঙিন মেঘের নাম নজরুল

imagw

দ্রোহের মাঝে-আজও কবি
বিরাজ মান! চাঁদের দিকে
তাকালে- মনে হয় ঝাঁজাল
বিদ্রোহের গান; মাটি ভিজে
যায়- সবুজ সমরায়, সোনালি
মাঠ ঘাট এমন কি পাঁজরে ঝরে
রক্তাক্ত বুক- অথচ কবি আজও
প্রেরণা দেয় এক দ্রোহের অনল;
কবি শুধু বাংলার নয় বিশ্ব দরবার!
দ্রোহের রঙিন মেঘের নাম নজরুল।

১২জৈষ্ঠ ১৪২৯, ২৬ মে ২২

চেংমাছে লাফে

kehead

জলের ঢেউ মনের মাঝে-
কে দেখে- কে দেখে?
সাদা মেঘের আকাশ-
শুধু বৃষ্টি ভিজা মাটি!

কৈই মাছে, সাঁতার কাটে
চেং মাছে আরে লাফে;

পুকুর ঘাটে সোনালি রোদ
কাতলা মাছের ঝাঁকের পোদ-
চক্ষু জুরাই, দুঃখ সরে না
জোছনা রাতে রঙধনু
মনের মাঝে সাজে-

আরে চেং মাছে লাফে।

৯জৈষ্ঠ ১৪২৯, ২৩ মে ২২

উল্টো লাফ

in-4-20

জলে তীব্র সাঁতার শিখা হচ্ছে!
চারপাশ এখন পাকা পোক্ত সাঁতারু;
ঢেউ ভাঙ্গাবে, সাগরে ঝাঁপ দিলে-
ডাঙ্গা য় খেলা হবে- যত সব খেলা!
দিবাস্বপ্ন এখন মুখরিত আকাশ মাটি
ভূমি কম্পনের আতঙ্ক শুধু কান ভারি।
তবু সাঁতার শিখা বড়ই মুশকিল ঘাট নাই
পুকুর নাই জলের ঢোলও নাই একতারাই
বাজাব; নিজের সাগরে নিজেই দেই ঝাঁপ-
পাড়াপড়শী দেখে পাছায় লাথি উল্টো লাফ।

৩১বৈশাখ ১৪২৯, ১৪ মে ২২

সতর্ক

IMG2

দেহের চারপাশে ডেঙ্গুর ভাবনা
অথচ শালা মশা বুঝে না-
এখন আর করোনা দেখেও
ভয় করে না; জ্বর সর্দি কাশি নাকি আগের মতো
আতঙ্ক শুধু ডেঙ্গু এই জুন সেপ্টেম্বর
এলো এলো ভাব- তবু দেহ চলছে দেহের গতি বাপ
রে বাপ- আর কত হুমকি ধুমকি সর্দিতে নাক বন্ধ
এই মশার কামরে হলো না আর সতর্ক;
রাতদুপুর মসারি বিহীন ঘুম মশার কি বাদবাজনার গান
মশা সতর্ক অথচ আমি আমরা হইলাম না সতর্ক।

২৮বৈশাখ ১৪২৯, ১১ মে ২২

শুভবুদ্ধির কামনায়

16608

ঈদ দেখে আসলাম! কিন্তু
ঈদের গায়ে ছুঁইতে পারলাম না-
আফসোস গলা খানিক হাঁটু পর্যন্ত;
অথচ তীব্র বৃষ্টিতে ভিজলাম-
কিন্তু মন চক্ষু এতখানি ভিজল না
ঈদের মতো রাস্তা, ঘাট আর চলে না!
শুধু আনন্দময় অম্লান করল-
রক্তাক্ত কিছু উঠন দেখে- দেখে-
তবু ঈদ -ঈদ- ঈদ মোবারক!
দেহ মন ভরে যাক শুভবুদ্ধির কামনায়।

২৫বৈশাখ ১৪২৯, ৮ মে ২২

মনের ছবি

Wha

দু’হাতের যত সব তুলা ছবিগুলো
এতটুকু অন্য হাতে ভরিয়ে দাও!
কোন সময়ে ইতিহাসের মেঘ ভাসবে-
শ্রাবণের বারি ধারা রঙিন ঝরাবে;
মনের জানালায় হাত গুটিয়ে থেকো না

কথোপকথন সংগোপনে চাঁদের সাথে
প্রেমে পরো না- মানসিক রোগে হারাবে
উঠন ভরে সোনালি হাতের গল্প বলে যাও
প্রজন্ম একটু হলও আনন্দ পাবে- তা না
হলে ব্যথায় শূন্যে কাটবে মনের ছবিগুলো।

১৪বৈশাখ ১৪২৯, ২৭এপ্রিল ২২

খাই খাই

1609065304_5fe8635893557_2

আজকাল কবিতার গায়ে রঙতুলির
আঁচড়ে ছবি আঁকছে বেশ- সময়ের
পিটে ভাবতে অবাক- ঈশ্বর বুঝি নাই
আপনা ক্ষমতাকেই প্রভু ভাবছে বেশ
আর সময় গড়ে-গড়ে যাচ্ছে কোন দিকে;

ধর্ম মানবতার মাথায় জানি মগজ নাই
কি করে থাকবে পৃথিবী এখন অসহায়-
শুধু ক্ষমতা লোভের কাছে খাই- খাই!
অতঃপর এখনো সময় আছে-ক্রোধ নয়
পৃথিবীর কবিতা ঈশ্বর চিনুক, ঈশ্বর মানুক।

১২বৈশাখ ১৪২৯, ২৫এপ্রিল ২২

ফিঙে পাখির মতো

ফিঙে পাখি

জনসমুদ্রে কবি বলে কথা!
তবু মনের যাতনা কবিতা বুঝেই না;
লাশের পর দুই এক জন ঠোঁট
নড়াবে, ফিস ফিস করে কথা বলবে
এই হলো মানব সভ্যতার হাল চাল-

মরার আগে কেউ প্রণয় দেখায় না!
শুধু মরিচের মাঠ চোখে দেখে অথচ
সোনালি ধানের মতো কেউ ভাবল না
কি হবে কবিত্ব, ফিঙে পাখির মতো;
উড়াউড়ি করলেই হবে-দেখে না কবিতা।

০৮ বৈশাখ ১৪২৯, ২১এপ্রিল ২২