আলমগীর সরকার লিটন এর সকল পোস্ট

আলমগীর সরকার লিটন সম্পর্কে

আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা "মেঘফুল", ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।

খাই

খাই

এক কবিতার উষ্ণ পরশ
শুধু প্রেমের দিকেই হাঁটে অথচ
লাল বর্ণের অর্থটাই ভাল করে বুঝি না!
লোকলজ্জায় আজ কাল
সেই শিক্ষাটাই পেলাম না-

যত সব বিতর্কই গোল্লাছুট খেলে গেলো;
ফুল কেনো কবিতার প্রেমে পরে;
সময় দিন কাল পত্র কিছুই বুঝি না!

কবিতাকে নেংটা শিশুর মতো
মনে করে থাকি- আসলে কি তাই?
আমার কাছে মনে হয় না-
কারণ প্রেমিকার মন বুঝতে হলে
অনুভব দরকার- ঠিক কবিতাও তাই,
চল এখন একটা কবিতা গিলে খাই।

০৬বৈশাখ ১৪২৯, ১৯এপ্রিল ২২

ক্যামেরা

IMG_2

আজ কাল যদি লবণ মিষ্টি হয়
কেন হবে না কাদামাটির ঝাল;
কাল ভাসে মধু যদি চিনি হয়-
কেনো ভাই- গুড় মধু নয়!
গোপনে মন্ত্র কে যদি যাদু কয়
কেনো মুখের ফুঁ- মন্ত্র নয়;

হাট বাজারে জলে যদি চা হয়-
লাল জলে কেনো পানি নয়
মাঠের ধান যদি চাল হয়-
সেই ধান কেনো খই ভাজা যায়;

ধর যদি চোখ থাকে মাথায়
সেই চোখ কেনো ক্যামেরা নয়
জগতের ভাল মন্দের অনুভব দেখো
তবেই স্বার্থক হবে ক্যামেরায়।

০৩ বৈশাখ ১৪২৯, ১৬এপ্রিল ২২

কৃষ্ণচূড়ার বাসনা

ghjjj

শখের মাথায় রূপালি কবিতার বসবাস
কষ্ট নোনা কবির ভাবনায় সোনালি সুখ;
অথচ দুচোখ জুড়ে মৃতু শোকের মাতম
তারপরও কবিতার শুধু রঙিন রঙধনু চায
এভাবেই জীবনের ঘাত প্রতিঘাত জলবায়ু

পরিবর্তন আনে প্রেমের যত সব খেলা সর
তবু কবির বুকে একটা নদীর ঢেউ বয়ে যায়
কবিতা সে ঢেউয়ে খেলে চাঁন্দ তারার বাসর;

ঘাস ফড়িঙ’র কথা ভুলে যাই- এখন সময়ের
ভীষণ বর্বরতা অতঃপর ঘরের মাচাঙ্গে ভরে
তুলি-কবির যত সব অপাকা কৃষ্ণচূড়া বাসনা।

২৯চৈত্র ১৪২৮, ১২এপ্রিল ২২

গড়ানো জল

16081

রাতের বুক খসে যায়
এক গলা স্বপ্ন আর্তনাদ!
অথচ ঝলকানি দূরের চাঁদ-
শূন্য পথে পদাবলী ছুঁই!
আর রক্তাক্ত বেদনার আকাশ;

তবু রাতের সান্ত্বনা ঘুমহীন
কিছু কায়া ছবির আঁকানো
নরম বালিশ কিংবা গড়ানো জল
এই তো রাত দিনের পার্থক্য
স্বপ্ন পুড়া কষ্ট বিমুখ ঝরা জল।

২৬চৈত্র ১৪২৮, ০৯এপ্রিল ২২

একটা কফিন

image

প্রেমময় কাব্যের সাথে
বাস্তবতার মিল নাই!
পছন্দ অপছন্দের কোন
সংজ্ঞার সুন্দর নাই;
তবু চোখের ভাষায় পুড়ে যাচ্ছে
ইটভাটার মাটি-
সেখানে প্রেমের কথা চলে না
শুধু অনল চাই- অনল
পোড়ে ছাই হই!
এই সব চিন্তা ভাবনার ঘ্রাণ
রঙধনু বৈকাল কিংবা
বিরহের চাঁদ পোহা রাত;
অথচ পথের মধ্যে
এই একা একাই আছি, কারণ
আমি তো পেটের ভিতর
শিশু জন্মানো একটা কফিন।

২৩চৈত্র ১৪২৮, ০৬এপ্রিল ২২

রমজান

rom

এই হাট বাজারের গরমে
কেমন বুঝি হিম ঠাণ্ডা রমজান!
তবু জানি মোয়াজ্জিনের
আযান, ইফতারে দূর হয় ক্লান্তি;
অবসাদ এতটুকু সংযম-
বোধ চিন্তা নেই মৃত্যুর নেক আলম!
সওয়াবের মাসে অসাধু ব্যবসা
তবু রমজানের শেষে ঈদের আসে বার্তা!
হেসে যাই- মাঠে ময়দান-
এই সব বিদ্বেষ মানে না রমজান।

২০চৈত্র ১৪২৮, ০৩ এপ্রিল ২২

কবিতার দর্পণ

prl312-1476434572-0881a48_xlarge

আজও একটা কবিতা লিখবো বলে-
তিন প্রহর অপেক্ষায় নদের পাশে থাকি!
অথচ কবিতার ঝলঝলে মুখ দর্শন, বৃষ্টি
ছুঁয়া হাত, কেমন জানি মেঘ ভাঙ্গা আর্তনাদ;

বার বার প্রতি ছবি ভেসে উঠে
এক বেদনায় আধার ডেকে আনা-
সোনালি স্মৃতিময়; তবু লেখা হলো না
একটি কবিতার দর্পণ!

আর কতকাল তিন প্রহর গুণ তে হবে?
কবিতা তোমার চাঁদ মুখি সলকের মুখে
দেখো আমার ধ্বংস স্তুপ হৃদয়-
এক চোখ বণ্যা সাগরকেও হারমানায়-
জান্নাতমুখি অপেক্ষায় থাকলাম
একটা কবিতা লিখবো বলে।

১৭চৈত্র ১৪২৮, ৩১মার্চ ২২

সুখের হাঁক

4ff0c4d8ec65655808bb8c1ce8c62393

এখনকার জীবন যাত্রা
কবিতার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে-
দুঃখ কষ্ট শুধু ছন্দের
সাথে তালহীন স্বপ্নের মিছিল;
ভাবনার রাত ফুরালেই
দিনের সূর্য প্রণয়ের ঘষা ঘাম!

যেনো জীবনের বার
মাস- এমনি করে ডাক দেয়-
এক সুখের হাঁক অথচ
সুখের ঠিকানা মাটির দুলা ঘাস
কে বা বুঝে, কি বা দেখি?
মিছিলের অভিনয়ে সাড়ে সর্বনাশ।

১৪চৈত্র ১৪২৮, ২৮ মার্চ ২২

ঘাসফড়িংর খেলা

images-০৯৮৭৬

স্বাধীনতা আছে বলেই
খাদ্য দ্রব্যের যত সব বাহাদুরি!
স্বাধীনতা আছে বলেই-
কবিতার রূপ সাজসজ্জার খেলা
স্বাধীনতা আছে বলেই
সাজের বেলা রংধনুকের মেলা
মেঘহীন বৃষ্টির আর্তনাদ;
স্বাধীনতা আছে বলেই-
ঘর উজ্জ্বল আলোর রূপালি বাতি
মুখোশের আড়ালে বিদ্বেষী!
স্বাধীনতা তোমাকে লাল স্যালুট জানাই
রক্তাক্ত বর্ণমালা অম্লান করে
স্বাধীনতা তুমি আছো-স্বাধীনতা আছো
মাটির প্রতিটি ঘাসফড়িংর খেলায়।

১০চৈত্র ১৪২৮, ২৪ মার্চ ২২

স্নেহ আদর

Crea
একটা রাতের আধারে দেখি সব-
এই ধর যেমন চোখের শ্মশানে
সোনালি ক্ষণ- জোনাকির বাসর;
কেমন জানি জোনাকিকে হারায় মন,
বিরহ মধু- মৌচাক শূন্য ঘরের বাসন কোসন!
তবু সংসার আঘাতে কোথায় জানি
আলোকময়! চাঁদ কেও হারমানায়- অথচ
কে দেখে মাটির চারপাশ স্নেহ আদর!
অগোছালো পাতার বহর আর ঘাসফড়িঙ হাসি
সবই জানি অম্লান করেছে রক্ত ফুলদানি।

০৬ চৈত্র ১৪২৮, ২০ মার্চ ২২

প্রশ্নের মেঘ

05_cunim_city

এক একটা প্রশ্ন যখন
গোচি মাছের মতো বাহির
হতে লাগলো- উত্তরগুলো
তখন ইলিশের মতো, না
লাগলো স্বাদ- না দিলো আশ;

কেনো জানি লজ্জাবতীর
দেহে কালবৈশাখীর মেঘ!
কিছুতেই আর থামলো না
অথৈ শ্রাবণের জল, ভাসতে-
ভাসতে বালুচর আর মাথায়
কচ্চ্ছপের মতো ধরেছে টাক;

এতটুকু উত্তর আর খুঁজি না-
টেংরা পুঁটি শিং মাছের বিল,
মেরে গেছে-রঙধনু রঙের খোঁজ
খবর কেউ রাখে না প্রশ্নের মেঘ।

২৯ ফাল্গুন ১৪২৮ ১৪ মার্চ ২২

ডাইনোসর রূপ

imagesডাইনোসর

ডাইনোসরের মৃত্যু হয়েছে কি, জানি না।
কিন্তু ডাইনোসরের প্রেতাত্মার রূপ! মনে হয়,
মরে নি আজও- ভর করে বেঁচে আছে-
এই মানবের সৃষ্টি দ্বয় হিংসা, বিদ্বেষ এমনকি
ষড়যন্ত্র, খুন, লোভ লালসার মধ্যে বহুরূপ
দু’পায়ে কিলবিলিয়ে চলার অদম্য শখ!
তবু রূপ লাবণ্যের কোন তোয়াক্কায় করত না
ডাইনোসর অথচ মানুষের ইচ্ছার ক্রিয়াকলাপ
দেখে- দেখে ডাইনোসর কেও হারমানায়- আর
ঈশ্বরী হাসিতে চলে এখন মানব ডাইনোসর রূপ।

২৫ ফাল্গুন ১৪২৮ ১০ মার্চ ২২

স্বাধীন পতাকা

Art_202

স্বাধীনতা অর্জন করার চেয়ে
তার রক্ষা করা খুবি কঠিন হচ্ছে!
সেই কঠিন সময়- কিন্তু যাচ্ছে;
দেহের অভিনয় ভাজে- ভাজে-
রক্তাক্ত হবার আগে অনেক থাকে ভয়
লাল গোলাপ হাতের চেয়ে ভুল কিছু নয়
তাই ভালবাসা রেখো না বন্ধি খাঁচাই
তার চেয়ে জীবন্ত লাশ থাকায় ভাল
তবু খর্ব করো না- স্বাধীনতার ফসল
উদ্বেগ মন জুড়ে পত পত করে
উড়াই এক খান স্বাধীন পতাকা।

২২ ফাল্গুন ১৪২৮ ০৭ মার্চ ২২

আতঙ্ক

index আতঙ্ক

কি অদ্ভুত ভালবাসার চেয়ে আতঙ্ক
কি হতে পারে, আমার জানা নেই!
মাথা গলা থাকলে ঝগড়া ঝাঁটি করবেই;
তাই বলে সব ধামবে, তা হয় না আর।
এক বার গোলাপের দিকে চেয়ে দেখো
ভালবাসার রঙ কি লাল? ঝরে গেলো
কি রক্তাক্ত- কি আতঙ্ক- দেহ মনের ভাগ;
মাটির দিকে তাকাও আরেক বার- উচ্চ
ভিটায় ঘাসফড়িঙর কি নাচ-তাহলে বলো-
ভালবাসা কেনো আতঙ্ক হবে না- বিশ্বের
সব ফুলের মাঝে লুকে আছে ভালবাসার ছুঁয়া
যত রস, উদ্দাম প্রকাশ করার নামি আতঙ্ক।

১৮ ফাল্গুন ১৪২৮ ০৩ মার্চ ২২

পাঠের লিং-https://youtu.be/EQ_DXPA7OiM

প্রশান্তি

imagesপ্রশান্তি-02

এই অন্ত গভীর নদী
এখন বুঝলো না বর্ষার মানে কি?
রাজনৈতিকের মন্ত্র পাঠ
করেই যাচ্ছো অথচ বসন্ত ফাল্গুন
বুঝও না; রক্তাক্ত ঢেউ
খেলতে ভীষণ প্রণয়ে দিচ্ছে হাসি!
নদী তুমি কি বালুচর বুঝও?
চার পাশটাতে দেখো বালুচরে ঘিরা;
এতটুকু শান্তির জল বুঝ নদী-
ক্রোধ ছেড়ে শান্তির জল ঢাল গায়ে!
দেখবে প্রশান্তির মেঘ আনন্দে, ডেকে
যাবে- আছে যত শত এই বিশ্বলয় মুখশ্রী।

১৭ ফাল্গুন ১৪২৮ ০২ মার্চ ২২

পাঠের লিং- https://youtu.be/y7ex6iUjyrY