এই মেঘ এই রোদ্দুর এর সকল পোস্ট

কিছু মনোহারি ক্ষণ আমার হয়ে আসে

3114

বুনোফুলের ঘ্রাণে মাতাল
পথে যখন হাঁটি,
পায়ে তলায় থাকে আহা
ভেজা দূর্বার পাটি।

কিছু ছিঁড়ে হাতে রাখি
কিছু আঁচল ভরি,
কী আনন্দে ভাসাই রোজই
আমার জীবন তরী।

লাল পিঁপড়ে’রা বাঁধলো বাসা
ঐ না সবুজ পাতায়
তাদের তুলে রাখি আমি
নীল কবিতার খাতায়।

পাতার উপর জলের বিন্দু
ছুঁয়ে দিয়ে হাসি,
এই প্রকৃতি ফুল আর পাতা
কত ভালোবাসি।

ছন্দ তুলি মনের খাতায়
তালে তালে দুলি,
ভালো লাগে ডালে বসা
পাখির ঠোঁটের বুলি!

প্রজাপতির ডানায় ডানায়
কত রঙে ভরা,
এই সবুজের পথে হাঁটলে
কাটে মনের খরা।

ফুলগুলোকে সাজাই নিয়ে
মনদানিতে যতন,
বৃক্ষ তরু সবুযে পাই
খুঁজে সুখের রতন।

মন কথনিকা-৪৪৪৩

দুর্নীতির পায় বাঁধবো বেড়ি, ক্ষমতাটা পেলে,
শুদ্ধতারই স্বপ্নগুলো ধরবো শূন্যে মেলে,
সুশাসন যে তুলবো গড়ে, ক্ষমতা পাই যদি,
মানবিকতার গন্ধ ছুঁবে সুশাসনের গদি।

মন কথনিকা-৪৪৪৪
মনে ভেজাল রেখে যদি কথা বলো সুন্দর,
বাইরে তুমি সুন্দর বাপু মন্দ ভরা অন্দর,
বুকের মাঝে দূর্নীতি খুব, মুখে বলো ভালো,
নূরের আলো নেইকো মনে, ভিতরবাড়ী কালো।

সময়গুলো কী করে চুরি হয়ে যায়

আমার শৈশব সময় করে নিয়েছে চুরি
আহা আমি ছিলাম সেই বেলার আকাশের রঙিন ঘুড়ি
নাটাইয়ের সুতোয় ছিলাম না বাঁধা;
আমার শৈশব কী মনোহারি দিন, আহা সেকি ধাঁধা!

সময় নিয়ে গেল আমার গোল্লাছুট প্রহর
যেখানে বইতো শুধু দুরন্তপনার লহর;
আমার ডাংগুলি দিন,মারবেল খেলা
সব নিয়ে গেল একে একে, এখানে যে বিষাদে
পার হয় বেলা।

সময় নিয়ে গেল চুরি, আমার মায়াবী দিন
আজ এখানে কেবল বাঁধা বাঁধা, বিদঘুটে দুর্দিন;
নিয়ে গেল সময় আমার বউছি কানামাছি বেলা
আজ এখানে মনের মাঠে বসে রোজ বিরহের মেলা।

সময় নিয়ে গেল আমার সাঁতার কাটা দিনগুলো
নিয়ে গেল আমার দৌড়াদৌড়ির প্রহর যেখানে
মেঠোপথে উড়তো সুখের ধুলো;
সময় নিয়ে গেল আমার শিউলীর মালা গাঁথা ক্ষণ
আজ এখানে মহুর্মুহু কষ্ট, বদলে যায় বারবার মনের লক্ষণ।

সময় নিয়ে গেল তারুণ্য আমার, যেখানে স্বাধীনতা অবাধ
আহা জীবন যে ছিল কতই না নির্বিবাদ
আজ এখানে মনোমালিন্যের চারা রাখি নিত্য বুকে রুয়ে
কেউ দেখে না আর অভিমান অল্প ছুঁয়ে।

সময় নিয়ে গেল আমার সু সময়গুলো সেই
আজ এখানে নিয়মিত হারাই জীবনের খেই
ফুলেল প্রহরগুলো হারিয়েছি; এখানে কাঁটা ঝোপঝাড় পথ
কী করে নেই বলো ভালো থাকার শপথ।

ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিলে সহসা

3132

কার্তিকের সকাল, হিমাবেশ, ঘুমে বেঘোর
নিস্তব্ধ পরিবেশ, এই কাক ডাকা ভোর,
দখিন বারান্দার পর্দা দিলে সহসা খুলে,
দিলে তো বাপু ঘুম থেকে তুলে!
এবার চা করে দেখি!

ছুটির আরাম চোখের পাতায়, আমি নিঝুম পুরীতে
ঘুমের বাজালে বারো, যেন এক থুড়িতে,
চা না করলে পান এবেলা,
চোখ তো আলোয় যাচ্ছে না মেলা,
চা দাও, এ আবদার নয় মেকি।

বিছানা ছেড়ে না উঠার বাহানায় মন দাও
চা করে দাও, ঘুম করো চোখের উধাও,
আমার সময় করে দাও ফুরফুরে,
চা পানের ইচ্ছে ওঠছে বক্ষ ফুঁড়ে,
চা ছাড়া শান্তি নেই এক সিকি!

বারান্দায় চেয়ার পেতে দুজন, চা হাতে,
দেখি দৃষ্টি মেলে কে জেগেছে এই প্রাতে,
দেখি পাখিরা মেলছে কী না ডানা,
রক্তিম আভা আকাশে দিয়েছে কী না হানা
এসো মনের খাতায় মুগ্ধতার গল্প লিখি।

শরীরে উষ্ণতা নিয়ে চলো মনে আরাম পুষি,
এই সকালে তোমা হতে কিনি এক কাপ খুশি,
দেবে চা করে তৈরি
নইলে মনের হাওয়া হবে বৈরী,
চুপ তুমি একি!

চোখের পাতায় লেগে আছে ঘুমের আলসেমী,
রাখো না বায়না৷ এহ্ কেমন স্বামী!
যাও বলবো না কথা আর,
এবেলা হবো না আর ঘুমের সেতু পার….
বসে থাকো একলা৷ বিতৃষ্ণা তোমার মনে দিক উঁকি।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

মনের আকাশে ওড়ে না সুখ পাখিটা

312

মেঘলা হয়ে রয় মনের আকাশ
ক্ষণে ক্ষণে বেহুদা দীর্ঘশ্বাস
ভাল্লাগে না আর, কী জানি বিপদ আসছে এগিয়ে
সময় আমার স্বস্তিগুলো দিচ্ছে মহুর্মুহু ভাগিয়ে।

চাই না মন আকাশে কালো মেঘ জমুক
বৈরী হাওয়া উড়িয়ে নিক বর্তমানের সুখ;
কী জানি কেমন যেন লাগছে হাঁসফাঁস
কালো মেঘে ঢেকে যাবে বুঝি মন আকাশ।

যেন বাজ পড়েছে, মনে তুমুল বিষাদের আওয়াজ
চারিদিকে গুনগুন শুনি বিষণ্ণতার কুচকাওয়াজ
আমার বুঝি আর থাকা হবে না ভালো,
সহসা নিভে যাবে মন আকাশে দিনের আলো।

কে জানি অপেক্ষায় আছে আমাকে দেবে ফাঁসিয়ে
কর্মের ভিতরে ঠেলে দেব, ব্যস্ততা নেবে ভাসিয়ে
আমি আর কবিতার বুকে দিতে পারবো না শব্দ তুলে,
আমার ছন্দময় জীবন আমি যাবো ভুলে।

মনের তারে কু সুর
মনে হয় সম্মুখে আসছে ব্যথার সমুদ্দুর;
কূলহীন আসি সাঁতরে পাবো না আর কূল,
সুখে থাকা, সুখ পুষা বুকে সবই ভুল ভুল।

মন আকাশের রঙ এখন বিবর্ণ,
স্বপ্নগুলো হতে যাচ্ছে চূর্ণ;
আমি ফেঁসে যাবো নতুন কর্মের বেড়াজালে,
আর উড়বে না ছন্দ হাওয়ার তালে তালে।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও, চুনারুঘাট হবিগঞ্জ)

রুচি কমে যায় ধীরে

3114

বয়সের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে দেখি
রুচি কমছে সব স্বাদের একি!
দুধ চা ছাড়া চলতোই না একদা,
সেই দুধ চাতেই স্বাদের পড়লো বাঁধা।

ঝাল খেলে দুনিয়া অন্ধকারে যায় ছেয়ে
পেটের উপর এক টন বিষ যায় বেদনার গান গেয়ে
চায়ে চিনি চার চামচ খেতাম আগে
এখন চিনি এক চামচ, তৃপ্তি আসে না বাগে।

চায়ের কাপে তুলে রাখি লিকার বেশী
চিনি কম, বেশীতে অতৃপ্তি রাশি রাশি
স্বাদের বুকে পড়ে গেল তৃপ্তির ভাটা,
বাড়ছে বয়স, আর্তনাদ যে বক্ষ ফাঁটা।

অতিরিক্ত খাওয়ায় আর যায় না রাখা ঠোঁট
হয় না আর নানা রকম খাবারে মজা লোট;
বয়সের বাড়ার সাথে আসে সব শক্তি সামর্থ্য,
আসে বিত্ত বৈভব ধন দৌলত আর অর্থ।

বয়স কমে যাচ্ছে চলে যাচ্ছি ধীরে অন্ত সীমানায়
একদিন সব স্বাদ ছেড়ে পাড়ি দেব অজানায়;
চায়ের কাপে একদিন ঠোঁট হবে না আর রাখা
উষ্ণতা ছুঁতে গিয়ে পুড়ে যাবে, হবে না
জিভে আর স্বাদ আঁকা।

এখন আর দুধ চা পারি না খেতে
কড়া লিকারের রঙিন চা নেই হাতে
এখন চায়ে চিনি অল্প,
অল্পতেই হয় স্বাদের সাথে গল্প।

একদিন চায়ের কাপ আর নেব না হাতে
থাকবে কোন স্বাদই আমার সাথে
নিশক্তি হবে দেহ, নিস্তেজ মনের আলো
একদিন না খেতে পারলেই হয়তো লাগবে ভালো।

.
(স্যামসাঙ এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

ঘুমের আকাশে স্বপ্ন ওড়ে

3122

দুপুরের ভাতঘুমে যাই আর আকাশ দেখি না,
আকাশ দেখে মনের খাতায় আর কাব্যে লিখি না,
তুমি তাকিয়ে থেকো না মুখপানে,
আমি ঘুম যাই এবার স্বপ্ন টানে।

স্বপ্নঘোরে দেখে নেব আকাশ
পারি না আর জাগতে, এক নদী দীর্ঘশ্বাস,
আমায় জাগিয়ে রাখতে চাও?
বন্ধু তবে এক কাপ চা বানাও।

চলো দুপুরের আকাশ দেখি দুজন মিলে,
হাত রাখি দখিন দাওয়ার গ্রিলে,
বেহুদা ঘুম এসে অবেলা জ্বালাচ্ছে খুব,
আর ছাড়তে পারছি না আকাশ দেখারও লোভ।

মধ্য দুপুরের আকাশ আহা কী যে সুন্দর,
হাজার মেঘের দল দেখলেই সুখী হৃদ বন্দর ;
কিছু খেতে দাও, কুড়মুড়ে চিপস অথবা মুড়ি,
এবেলা বন্ধু হতে চাই দুপুরের ঘুড়ি।

ঘুমের চোটে দেখি না আর কিছু
স্বপ্ন বুঝি এই নিলোরে পিছু;
কপালে পড়ে যায় ভাজ, চোখ খোলা রাখতে গেলে,
বন্ধু মাথাটা যেন এলেবেলে।

তবু্ও আকাশ দেখবো, তুমি সাহায্য করো যদি,
কলকল সুখ যাবে বয়ে, উচ্ছল বুকের নদী,
মেঘের মত মন আমার, জানো তো আবেগে ভরপুর,
আসো উপভোগ করি ভাদ্র মাসের একটি দুপুর।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও মিয়াবাড়ী চুনারুঘাট)

আকাশে আজ মেঘের হুড়োহুড়ি

29850

ইচ্ছে করে ছবি তুলি আকাশের, সব মেঘ করি বন্দি
একই জায়গায় রোজ ছবি তুলি, আরও তোলার করি ফন্দি,
মেঘগুলো রঙবাহারী, ইচ্ছেগুলো তাই যায় না মরে,
মেঘের আকাশ দেখলেই শান্তি ফিরে মন ঘরে।

ইচ্ছে করে মেঘেদের বন্দি করি চোখের আয়নায়
মেঘেরাও দুষ্ট ভারি হ্যাঁ মিলায় না আমার বায়নায়
মেঘরা কোথায় যায় উড়ে যায়,
মুগ্ধতারাও যায় দূরে যায়।

ইচ্ছে করে মেঘেদের পিঠে চড়ে দূর দেশে যাই চলে,
কত ইচ্ছে মেঘের মতই নিভে আর জ্বলে
মেঘের মাঝে মন রেখে দেই
মেঘ হতে আবার মন তুলে নেই।

এমন করে কাটে বেলা, মেঘদের দেখে দেখে,
কত কাব্য মেঘদের নিয়ে খাতায় রাখি লিখে;
রঙধনু রঙ কখনো বা মেঘের মাঝে ভাসে,
সূর্যটা তখন মেঘের ফাঁকে হাসে।

মেঘদের নিয়ে থাকি ইচ্ছে আমি সারাবেলা,
ইচ্ছে করে মেঘদের দেশে ভাসাই ইচ্ছে ভেলা;
মেঘরা আমায় সুখী করে,
আলো জ্বালায় মনের ঘরে।

আকাশজুড়ে মেঘের দঙ্গল, ওড়ে আবার ঘুরে,
নীলের বুকে রাখি দৃষ্টি দেখা যায় যতদূরে,
মেঘরা আসে মেঘরা যায়, বেলা আমার যায় পড়ে,
চোখে নিয়ে মেঘের স্মৃতি ফিরে আাসি ঘরে।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও মিয়াবাড়ী চুনারুঘাট)

আকাশটারে ভালোবাসি

3118

আকাশটারে ভালোবেসে এই চলো না ঘুরে আসি,
সাত সমুদ্দুর তেরো নদী পার হয়ে যাই তেপান্তরে,
এই চলো না পাহাড় দেখি, ঝর্ণা ধারায় গিয়ে দাঁড়াই
রঙধনু রঙ আকাশ দেখি দুজন থাকি পাশাপাশি।

চলো না যাই পুকুর ঘাটে
জলের আয়নায় আকাশ দেখে
মন বাড়ীতে মুগ্ধতাদের
জড়ো করি এই দুপুরে।

যাবে নাকি নদীর পাড়ে
যেখানটাতে কাশফুলেরা
সাদা দাঁতে হেসে হেসে
বলছে ঢেকে আয় না কাছে আয় আয়।

মন সমুদ্দুর ব্যথার ঢেউয়ে
খাচ্ছে বাড়ি বুকের পাড়ে,
দাও কমিয়ে ব্যথার ছোঁয়া,
চলো না যাই নদীর ধারে।

দেখবো আকাশ মন উচাটন,
শুনতে পাও না মনের বায়না
কোথায় তোমার মন পড়ে রয়
সত্যি করে আজ বলো না।

এই শুনো না একটুখানি, এই রোদ বিকেল বেলা
পথে পথে চলো হাঁটি, আকাশ দেখিভার খাই হাওয়া
দেখি গিয়ে পাতার নাচন, হাওয়ার তোড়ে মেঘের ওড়া
এবার বাপু তৈরী হয়ে যাও, সুখে উচ্ছল মনের পাড়া।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও মিয়াবাড়ী চুনারুঘাট)

তুই চোখের আড়াল, নয় ঠোঁটের আড়াল

3111

তুই চোখের আড়াল হতে পারিস, ঠোঁটের আড়াল নয়,
তোর সাথেই রোজ সকালে বাড়াই প্রণয়,
তুই দূরে কিংবা থাকিস কাছে, তোকে পেলেই যে তৃপ্তি,
এক চুমুকে তোকে গিলি, দেহে ফুরফুরে আলোর দীপ্তি।

তুই হাত ছুঁয়ে থাকিস, থাকিস জিভ ছুঁয়ে,
তোকে টেনে নেই ঠোঁটে মায়াবি এক ফুঁয়ে,
তোকে মনেr ফ্রেমে করেছি বাঁধাই,
তাই তোকে নিয়ে অপূর্ব আসর সাজাই।

তুই আছিস আমার ক্লান্ত বেলায়,
তুই আছিস সদা আড্ডার মেলায়,
তোর ধোঁয়ায় ওড়ে মিহি ঘ্রাণ
তোকেই টানি কাছে যখন বিতৃষ্ণায় প্রাণ করে আনচান।

তুই আমার সারাবেলা এক চিমটি শান্তি
তোকে আঙ্গুল পেঁচিয়ে ধরলেই মুছে যায় ক্লান্তি,
তুই যেন বসন্ত হাওয়া, নাম দিয়ে দিয়েছি সুপেয় জল
তোকে পেতে কাছে সকাল সন্ধ্যা থাকি কপিঞ্জল।

তুই এলেই হাতের মুঠোয় উষ্ণতা নেই ছুঁয়ে
তুই যেন দেহ জমিনে প্রশান্তিই রাখিস রুয়ে,
তুই আমার মন খারাপের সাথী,
তুই যেন আমার চন্দ্রিমা রাতি।

শুষে নেই তোর দেহ আলগোছে, ঠোঁটে
তোকে চুমুকে টানলেই দেহ মনে উচ্ছলতার ফুল ফুটে,
তোর নাম চা, তুই মাথা ব্যথার বড়ি,
তোকে পেতে তো হয় না ব্যয় অথৈ কড়ি।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

তোমার বাড়ী এলাম বন্ধু

3104

চা সাধো না আমায় তুমি তোমার বাড়ী এলাম
শান্তিটুকু করে দিলাম তোমার কাছে নিলাম;
সঠিক মূল্যে কিনে নিয়ো মনটা এবার তুমি,
এক কাপ চা দিলে হবে প্রফুল্ল মন ভূমি।

তোমার মনে আমায় রেখো, তুমি আমার মনে,
গল্প করে চা খাবে কী তুমি আমার সনে?
তুমি বানাও আমি খাবো, লিকার দিয়ো বেশী,
একটুখানি চিনি দিলে হবো আরও খুশি।

এক চিমটি প্রেম দিয়ো চায়ে, বাসবো ভালো তোমায়,
কেন বাপু পড়ে থাকো বিষণ্নতার কোমায়?
এসো বন্ধু বসো পাশে গল্প করো হাজার,
চা খাবো আর বলবো কথা, মনে যে প্রেম বাজার।

ভালোবাসার সময়গুলো চলো বুকে তুলি,
একটু না হয় বলো আজকে মিষ্টি মধুর বুলি;
দীর্ঘশ্বাসের প্রহর আমায় আর দিয়ো না বন্ধু,
প্রেম এনে দাও উথাল পাথাল মনে তেরো সিন্ধু।

চায়ের কাপে তুলে রেখো বিষণ্ণতা যত,
যেয়ো ভুলে কষ্ট ব্যথা যা হয়েছে গত;
বর্তমানটা সুন্দর ভারি, ঠিক উপভোগ করো,
মন জমিনে প্রেমের খামার বন্ধু এবার গড়ো।

চা খাওয়াবে আজকে আমায়? দুধ না রঙিন চা গো?
বন্ধু তুমি ঘুমিয়ো না এবার তবে জাগো,
জেগে জেগে স্বপ্ন দেখো পাশে আছি আমি
আমার চেয়ে তোমার কাছে ঘুম কী হলো দামী?

.
(সামস্যাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

ভাদ্রের দুপুরে বৃষ্টির আমেজ

তালপাকা রোদ্দুরে পুড়ে পুড়ে ছাই, সহসা নেমে আসলো বৃষ্টি,
কী মনোরম দৃশ্য, কী হিম আবেশ, বাহিরে রাখি ঠায় দৃষ্টি;
ইচ্ছে করছে তোমার সাথে দূরে কোথাও যাই,
মন দেয়াল বৃষ্টির জলে থরে থরে সাজাই।

তুমি কাঁথামুড়ি দিয়ে ঘুমোবে? নাকি বের হবে আমায় নিয়ে
এসো কিছু সুখ এই ভাদ্রে আনি ছিনিয়ে,
মেঘলা আকাশ, দিনের বুকে বিবর্ণ আলো
এমন দিনে উচ্ছলতা হারাই, নেই মনঘরে উচ্ছাসের আলো।

চলো মনের ঘরে জ্বালাই উচ্ছাসের আলো,
তুমিও যে মেঘলা আকাশের মতই মন করে আছো কালো,
বুঝেছি, তোমারও মন করছে কেমন কেমন! তাই না?
চুপচাপ নিরিবিলি থাকি দুজন আলাদা রুমে, এ আমি চাই না।

চলো ভালোবেসে সময় করে নেই আপন,
বৃষ্টি ফোঁটা তুলে নেই ঠোঁটে, মনে তুলি সুখের কাঁপন;
ভিড় এড়িয়ে কোথায় চলে যাই, খুঁজে নেই নির্জন,
মনে যত দ্বিধা দ্বন্দ্ব আর বিষণ্নতার ছাপ, করি বর্জন।

বিষণ্ণ দিনের বুকে বসে চুপচাপ, হবে কী আর,
চলো সময়ের পিঠে হই সওয়ার
তুলে আনি মুগ্ধতা, ছুঁয়ে দেই বৃষ্টি ভেজা পাতা,
মাথা থাকুন শূন্য, ফেলে যাবো ঘরেই রঙিন ছাতা।

গরম চায়ে রাখলে ঠোঁট, ঠান্ডা যাবে কেটে,
যেখানেই যাই না কেন, যাবো না হয় হেঁটে হেঁটে,
কাদামাটি ছুঁয়ে দিক বসন, ভিজে যাক গায়ের জামা,
বন্ধু ঘরে মন টেকে না, মনের তারে বাজে সুখ সারে গামা।

কিছু হতাশা মন ছুঁয়ে থাকে

pa

হতাশাদের যায় না করা বিদায়, ছুঁয়ে থাকে মন,
কোলাহল আর ভাল্লাগে না, আমি খুঁজি নির্জন;
কেন জানি না কিছু নিরাশা এসে বুকে বাঁধে বাসা;
আর সেইসময়গুলো থাকে বিষাদে ঠাসা।

আমার ভালো লাগে না, বসে না মন কাজে,
এবেলা আমার যাচ্ছে তাই সময়, কাটছে বাজে,
কিছু দীর্ঘশ্বাস ওঠে বক্ষ ফুঁড়ে,
ভাবি বসে সুখগুলো কী তবে বহুদূরে।

কেমন যেন নিস্তেজ দেহ, চোখের নিচে কালির ছাপ
আমি টের পাচ্ছি বুকের বামে হতাশার উত্তাপ;
যায় না দূরে সরানো, মন হয় না আর ভালো;
নিতে চাই না স্ট্রেচ, তবুও কিছু বিষাদ এসে
মনের বাড়ী করে দিচ্ছে কালো।

ইচ্ছে হয় কাঁদি খুব কাঁদি, অথচ কান্নার কই স্থান?
এবেলা বুঝি সুখগুলো আমায় ছেড়ে করেছে প্রস্থান।
দিনদুপুরে বসে আছি চুপ, কাজগুলো আছে পড়ে,
আমার বসবাস এখন বেদনার বালিচরে।

চাই না হতাশা পুষি বুকে, নিরাশারা ঝাপটে ধরুক চাই না,
আশার আলো তো চোখের সম্মুখ আর দেখতে পাই না।
জানি হতাশারা চলে যাবে খানিক বাদে দূর;
তবুও তো মনে নিরাশা জমা হয় সাত সমুদ্দুর।

পারি না কিছুই সামলাতে, না সংসার, না সন্তান
মনের উঠোনে তাই পারি না বাজাতে আনন্দ কলতান
কেমন করে যেন মুহুর্মুহু হতাশার সমুদ্দুরেই হই নিমজ্জিত,
কিছু না পারার জন্য আমি জীবনের কাছে বড্ড লজ্জিত।

আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি

309

চুমুকে তুলে নিয়ে তৃপ্তি, চোখ রাখি বন্ধ
আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে ভাবি, আহা জীবনে কী সুখ ছন্দ,
নেই অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের চিন্তা, কত সুখে আছি,
আল্লাহর দয়ায় এই তো অল্প ব্যথা বেশি সুখেই বাঁচি।

তবুও হা হুতাশে রেখে দেই মন
কষ্ট পাই অল্পতেই খুঁজি নির্জন,
তবুও বিতৃষ্ণা পুষে রাখি মনে,
ভাবি এই, চৈত্রের খরা ছুঁয়েছে মন উঠোনে!

চায়ের কাপে তুলে রাখি কত ভাবনার ছবি,
সুখে নেচে ওঠে সহসা দেহ পল্লবি,
দেহে ফিরে আসে কর্মের শক্তি,
আল্লাহর প্রতি শোকরিয়ার বাড়ে অনুরক্তি।

সকাল হলেই নিঃশ্বাস ফেলে বলি এই তো আছি বেঁচে,
হাত পা নেড়ে হাই তুলি, মন সুখে ওঠে নেচে,
ব্যস্ততাদের দূরে ঠেলে আমি অবসর খুঁজি,
এক বেলা অবসরে চায়ের কাপে ঠোঁট গুঁজি।

আমি চায়ের কাছে দুঃখ বিকিয়ে দেই
সুখ কিনি, সময় কেটে যায় আনন্দেই,
ছুটির দিনগুলো যেন ট্রেন, হুইসেল বাজিয়ে যায় দূরে
কিছু সুখ, কিছু অবসর দিয়ে সময় বাজে করুণ সুরে।

সময় চলে যায়, রেখে যায় এক চিলতে সুখ,
হয়তো ব্যস্ততা এসে দাঁড়াবে ফের সম্মুখ,
তবুও সুখে রেখেছেন আমার আল্লাহ্,
ভালো আছি, বেশ আছি আলহামদুলিল্লাহ।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা।

ভালোবাসার কাব্য

এই যে আমি ভিজে যাচ্ছি বিরহের জলে, রেখেছিলে খোঁজ,
এই যে আমি বন্দি তোমার মনের বাহিরে, করছো হেলা রোজ
এই যে আমি তোমার মনের তালা পারছি না খুলতে,
পারো তো বাপু একটুখানি মনের পর্দা তুলতে?

মন তোমার লোহা কী? তাহলে জং ধরে আছে, মন খুলো,
বিগত যত দ্বিধা, ঝগড়া ফ্যাসাদ এবার ভুলো,
কী এক কুহেলিকা মন বাড়িতে তোমার ঘুরে,
কই তুমি কিনা আমায় নিয়ে যাবে সুখ আকাশে ওড়ে!

তা না, কেবল মন পাখিটারে রাখলে বন্দি মন পিঞ্জরে,
বিতৃষ্ণায় আমার চোখে কেবল জল ঝরে
তুমি তাকাও না ফিরে, চলছো তো চলছোই তোমার পথে,
একবার তো মিলাও মত আমার মতামতে।

সময়গুলো কী নয় মূল্যবান?
এসো ভালোবাসি সময় জানাই আহবান;
কত আর থাকবে নিজের মাঝেই আটকে? বেরিয়ে এসো নিজ গণ্ডী হতে
এই যে বাড়িয়ে দিলাম মন, উঠো ভালোবাসার রথে।

তুমি পাখি আমার ডানা ভেঙ্গে পাচ্ছো যে কী সুখ
প্রেমের দাওয়া দাও, সুস্থ করো মনের অসুখ;
বুকের নদীতে প্রেমের জল, ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভাঙ্গছে মনের পাড়,
এসো তুমিও ঢেউ তুলো…..ভাঙ্গনের নয়, প্রেমের তোলপাড়।

আমরা জোড়া পাখি হই, বন্দি হই দুজন দুজনা মনে,
বসে ভাগবাটোয়ারা করি দুঃখ সুখ বসে নির্জনে;
তুমিই বলে যাবে শুধু, তুমিই জিতবে শুধু, এ হয় না
এ করে করে সময় তো আর আমাদের ছুঁয়ে রয় না।

কান পেতে শুনো সময়ের চলে যাওয়ার আওয়াজ,
এসো একটি ডালে সুখ পাখি হই, বসে থাকি নিরবে আজ
ভাল্লাগে না এত ব্যস্ততা, এত ছলচাতুরী, এত দ্বিধাদ্বন্দ্ব,
মনের খাতায় তুলতে পারছি না বন্ধু ভালোবাসার ছন্দ।

এসে বলে দাও ভালোবাসি, বলো তুমি আমার কোকিল টিয়া,
বলো… এসো মন পিঞ্জরে বন্দি করি, সুখি হই তোমায় নিয়া;
আমিও যদি এভাবেই ভালোবাসি বলে দেই অকপটে,
আমার ছবিটা আঁকবে বন্ধু মনের পটে?