অবেলায় নামে ঘনঘোর বরষা, ছুঁয়ে যায় হিজল তমালের ডাল
সন্ধ্যের অবকাশে ক্লান্ত দেহ মনে নেমে আসে ভীষন্নতার ঢল
নিশ্চুপ চারিধার, বিজলি বাতিটাও নিভে যায়; ডেকে আনে আঁধার
আমি হারিয়ে যাই তোমার মাঝে, তখন হয়তো মধ্যরাতের দ্বিপ্রহর।
যন্ত্রের শহরের বিষাদময় প্রহসন্ন প্রহর ধূসর হয় স্বপ্ন বাসরে
আমি সাঁতার কেটে যাই বিশুদ্ধ প্রেমের স্বচ্ছ সরোবরে
নির্মিলিত শ্বেত পদ্মের মত ভেসে বেড়াও ছড়িয়ে আলোর দ্যুতি
আমি হারাই তোমাতে; তোমাতে দেখি রাশিরাশি স্বপ্নের বিস্তৃতি।
তোমার মাঝে দেখি আমি ট্রয় নগরীর হেলেনের প্রতিকৃতি
কখনো ভেসে ভেসে আস তুমি হয়ে কৃষ্ণকুমারির প্রতিচ্ছবি
কখনো অমৃত সুধা হাতে পতিব্রতা রমণী রূপে অবতীর্ণ হও ধরাধামে
আমার ভুবনে বেজে ওঠে সুরলহরি; মহা-আনন্দের সকাশে।
স্বপ্নের মাঝে রচি স্বপ্নের বসতি, স্বপ্নের মাঝে দেখি চিত্তসুখ
হোক না মিথ্যের আবাহন, হোক আকাশ কসুম প্রেয়সির মুখ
যন্ত্রের কোলাহলে কোন এক বিষন্নপ্রহরে অবসাদের অন্দরে
স্বপ্নে, হারাতে দোষ কী! আত্মহননের বস্তুবিলাসের কন্দরে।