মোঃ সাহারাজ হোসেন এর সকল পোস্ট

মোঃ সাহারাজ হোসেন সম্পর্কে

জীবন বিস্তারিত পরে দিবো।

ঐ পাড়

ও পারুক মাঝি আমায় নিয়ে
যাবি কিনা বল?
তোর তরী খানা স্রোতে স্রোতে
ঐ পাড়ে নিয় চল?

বহুদিনের স্বপ্ন আমার ঐ পাড়ে
দিবো একবার পাড়ি,
দিন নেই রাত নেই শুধু ঐ পাড়ের
স্বপ্নে আমি উড়ি।

চল পারুক মাঝি চল চল
স্রোতে ভাসিয়ে তরী,
এই পাড় ছেড়ে ঐ পাড়
শক্ত করে ধরি।

এই পাড়ে আর লাগেনা ভালো
জানিস পারুক মাঝি?
এখানে মানুষ রক্তের হলী খেলতে
মানুষ ধরে বাজি।

এখানে আমার সুখের বারান্দা জুড়ে
কিছুই আর নেই!
এখানে আমার শীতের বারান্দা জুড়ে
কোনো রোদ নেই!

সব ধূলিসাৎ হয়ে মিশে গেছে
মানুষের আর্তনাদে!
তাই এখন আমার এই পাড়ে
দিন কাটে বিষাদে!

ও পারুক মাঝি ও পারুক মাঝি
চলরে আমায় নিয়ে,
ঐ পাড়ে ঘরবাড়ি গড়বো আমি
নতুন স্বপ্ন দিয়ে।

শব্দের ভেতর

ধবধবে সাদা খাতায় কাঠপেন্সিল দিয়ে যখন আঁকিবুঁকি করতেছিলাম নানান ধরনের কিছু কঠিন শব্দ,
অর্থ না বুঝার কারণে ক্ষোভে দস্যুর মতো খুন করি প্রত্যেকটি শব্দ!
তখন শব্দগুলোর চিৎকার আমার হৃদয় ভেদ করেনি,
কেবলি কানপেতে ওদের চিৎকার শুনে বারংবার খুন করি!
কারুণ কিছু শব্দের ভার এতোই বেশী মনে হচ্ছে,
যা বহনক্ষমতা আমার নেই!
তাই আর্তনাদ শুনেও শুনিনা!
ইচ্ছে মতো তচনচ করি!
আর অপ্রত্যাশিতভাবে ছিড়ে ছিড়ে অন্ধকারে ফেলি!
এভাবেই দিন কেটে যায় বিষণ্ণতায়!

শব্দগুলোর ভেতরের একফোঁটা আলোও
উত্তোলন করতে পারিনি!
আঙ্গুুলের ফাঁকফোকর দিয়ে ঝরে পড়ে অর্থহীন শব্দগুলোর রক্ত!

একদিন মাকে বলেছিলাম, মা— আমার ওই শব্দগুলোর অর্থ বলে দাওনা?
ও-মা— দাওনা একবার বলে?
মা বললো— খোকা আমার আরও বড় হও।
এই বলে মা ঘরগিরস্থালির কাজে কোথয় যে চলে গেলো।

আমি আরও এলোমেলো হয়ে গেলাম! বিষণ এলোমেলো!
তবুও একাকী খুঁজতে লাগলাম,
অসম্ভব কঠিন শব্দগুলোর অর্থ,
কঠিনের মুখে চুমু খেয়ে বললাম— আমাকে উদ্ধার করো?

হঠাৎ মা এসে বললো— খোকা আমার তোমার দুঃখ কি আমি বুঝিনা? চেষ্টা করো,
তুমি পারবে, তোমাকে পারতেই হবে।
তবে বড় হও আরও বড়,
আর ধীরে ধীরে খোঁজো, খুঁজতেই থাকো।
তারপর কেটে গেলো অনেক বছর।

এখন আমার বয়স ২৫/ ২৬/ হবে।
এখন আমি কাঠপেন্সিল রেখে কলম ধরেছি।
এখন আমার অনেক শব্দ মুখস্থ।
একন আমার অনেক শব্দ আয়ত্বে।
এখন আমি নতুন নতুন শব্দগঠন করি।
এখন আমি শব্দের মাঝে লুকিয়ে থাকি।
এখন আমি শব্দের ভেতরে দিনরাত হাঁটু গেড়ে বসে থাকি।
এখন আমার কোনরকম বিষণ্ণতা নেই।
এভাবেই ঘুরেফিরে শব্দের ভেতর।

বাধা

বাবা প্রাই বলতো— খোঁকা চলার পথে অনেকেই বাধার সম্মুখীন হয়,
বাধা না পেলে যে মানুষ হুশিয়ার হয় না,
তাই তো কাজে কাজে বাধা, পদে পদে বাধা!
বাধা না পেলে আবার জীবনকে জীবন মনে হয় না, জীবন নিয়ে যুদ্ধ করবে কি করে বাধার সম্মুখীন না হলে?
সকলি বাধার সম্মুখীন হয় একেকরকম ভাবে,
অনেকে তো বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকে !
তাই বলছি খোঁকা— যাই করিস একটু ভেবেচিন্তে করিস?
আবার শুধু নিজেকে নিয়েই ভাবিস না?
পারলে সাধ্যানুযায়ী পরের উপকার করতে কোনরকম দ্বিধা করিস না,
পরের উপকারের ভেতর একধরনের গভীর শান্তি থাকে।
তাই যতদিন বাঁচাবি আমার কথাগুলো মনে রাখবি, আর এমন কিছু ভুল করবেনা যার কোনো সংশোধন হবে না।

তারপর থেকে বাবার কথাগুলো বারবার মনে পড়ে, ভেবে ভেবে এক পা সামনে বাড়াই দু’পা পিছনে ফেলি, তবুও যেন অনেকেই খাঁদ খুঁড়ে আছে, ফাঁদ পেতে আছে, এলেই শিকার করবে!
এমন ফুলের মতো ফাঁদ পেতে পরিপাটি ভাবে সাজানো গোছানো সৌন্দর্যের বাহার, অথচ ভেতরে বিষাক্ত অন্য এক রূপ! মানুষগুলো আসেলেই অন্যরকম!
তবুও পড়তে হয় গাঁদে, উঠতে হয় ক্ষয়ক্ষতি নিয়েই! ধ্বংস আর বিনাশের সংবাদে জীবনটা ভরপুর!
এ নিয়েই চলছি পথ।

পেতে নয় দিতে

সবার কাছে অধিক চেয়ে
ভোগ করো অন্ন,
অন্যের মুখে অন্ন দিতে
নিজে করো কার্পণ্য।

নিজের চাওয়া পূর্ণ করতে
করো কতো ছল!
অন্যের চাওয়া দেখোনা তুমি
আঁখি ভরা জল!

বুঝি আমি সবি বুঝি
তোমার সেই ছলনা!
অন্যের আঁখিতে জল দেখে
হৃদয় ভেদ করেনা!

তোমার স্বপ্নের গুরুত্ব দিয়ে
ভাসিয়েছ ওই ভেলা,
অন্যের স্বপ্ন গুরুত্বহীন ভেবে
কত না তোমার হেলা।

বুঝি আমি সবি বুঝি
তোমার এই ছলনা!
অন্যের হাঁসি খুশী দেখে
সহ্য তোমার হয় না!

কি লাভ তোমার এমন করে
ফিরে এবার চাও,
মানুষ হয়ে মানুষের কাছে
ভালোবাসা নিয়ে যাও।

অন্যের স্বপ্নের দাম দিয়ে
দাও তুমি আশা,
পেতে নয়—দিতে চাও
তবেই পাবে ভালোবাসা।

ভেজাল

দুধের ভেতর ভেজাল!
ভাতের ভেতর ভেজাল!
মাছের ভেতর ভেজাল!
রেস্টুরেন্ট -হোটেলে ভেজাল!
মিডিয়ার ভেতর ভেজাল!
টেলিভিশনে ও ভেজাল!
বিষের ভেতর ভেজাল!
ডাক্তারি সার্টিফিকেটে ভেজাল!
ডাক্তারি চেম্বারে ও ভেজাল!
ঔষধের ভেতর ভেজাল!
ইনজেকশনের ভেতর ভেজাল!
সিগারেটের ভেতর ভেজাল!
পানের ডিব্বাতে ও ভেজাল!
জর্দার ভেতর ভেজাল!
গাঁজা ইয়াবা হিরোইনে ভেজাল!
রমণীর প্রেমপ্রীতির ভেতর ভেজাল!
রমণীর ভ্যানিটিব্যাগের ভেতর ভেজাল!
রমণীর পোশাকআশাকে ও ভেজাল!
শাশুড়ি বউয়ের ভেতর ভেজাল!
স্বামীস্ত্রীর সংসারের ভেতর ভেজাল!
বাজারের ব্যগের ভেতর ভেজাল!
তরিতরকারির ভেতর ভেজাল!
পলাউ রেসিপির ভেতর ভেজাল!
কোর্টকাছারির ভেতর ভেজাল!
শিক্ষকের ভেতর ভেজাল!
সাদা কাগজে ভেজাল!
কলমের ভেতর ভেজাল!
ব্যাংকের ভেতর ভেজাল!
নাটকের ভেতর ভেজাল!
সিনেমার ভেতর ভেজাল!
কবিতার ভেতর ভেজাল!
প্রকাশকের ভেতর ভেজাল!
গানের ভেতর ভেজাল!
নায়ক-নায়িকার ভেতর ভেজাল!
প্রশাসনের ভেতর ভেজাল!
রাজনীতির ভেতর ভেজাল!
নেতার লেবাসে ভেজাল!
নেতার বক্তৃতার ভেতর ভেজাল!
বিবেকের ভেতর ভেজাল!
মনুষত্বের ভেতর ভেজাল!
কালোবাজারের ভেতর ভেজাল!
ব্যবসায়ীদের ভেতর ভেজাল!
বিজ্ঞানের ভেতর ভেজাল!
প্রযুক্তির ভেতর ভেজাল!
ভেজাল ভেজাল ভেজাল!
ভেজালের ভেতর ভেজাল!!!

আমি কি মানুষ?

কতো চুপ থাকবো আর?
কতো আর চুপ থাকা যায়?
এভাবে চুপ থাকতে থাকতে
বিবেকের কাছে অমানুষ প্রায়।

আমি কি মানুষ?
আমার কি নেই মনুষ্যত্ব?
আমি হয়তো মানুষ নয়!
তবুও দেখতে মানুষের মতো।

মানুষ হয়ে কেন তবে করি ভীতিসঞ্চার?
আমি কি পারবো না হতে সত্যাচার?

আমি কি মানুষ?
আমার কি নেই মনুষ্যত্ব?
তবে আর কতো নীরবে নিবৃতে
অসংখ্য অগণিত ছাপা পড়বে সত্য।

হাজার হাজার দেখি অত্যাচার!
কতো অনিয়ম অন্যায় অবিচার!
এ যেন নিত্যদিনের পুতুপুতু খেলা
শুনী কতবার গুপ্তহত্যা বারবার।

কিছুই বলতে পারিনা
শুধু দেখে শুনে হই বিধ্বস্ত!
আমি কি মানুষ?
আমার কি নেই মনুষ্যত্ব?

আমি হয়তো মানুষ নয়!
তবে কে আছে অমন দরদী?
কে আছে মানবতাবাদী?
কে আছে সঠিক বিবেকবান?
যে বিচার করবে সমান সমান।

কে আছে মানবতার মূল্য দিবে?
কে আছে বিবেকের মূল্য দিবে?
আমি যে প্রত্যেকবার হেরে যাই মিথ্যের কাছে!!!

সত্য ন্যায়ের অস্ত্রবিদ

হে আমার সত্য ন্যায়ের অস্ত্রবিদ
উঠো জেগে উঠো ওই চির সত্যে,
সত্যের যাত্রাপথে অস্ত্র ছেড়ে তুমি
দিওনা কখনো আশ্রয় মিথ্যে।

যদিও সত্যের সম্মুখে হানা দেয়
ভয়াবহ এক নিকষকালো রাত্রি,
তোমার পথের গতি রুদ্ধ না করে
লক্ষ্য দৃঢ় রেখে হও সত্যের যাত্রী।

হে আমার সত্য ন্যায়ের অস্ত্রবিদ
চিড়ে ফেল সকল মিথ্যের কাঁটাতার,
মিথ্যেবাদীর সাথে লড়তে হবে
করতে হবেই হবে আজ হুশিয়ার।

হে আমার সত্য ন্যায়ের অস্ত্রবিদ
যাত্রা শুরু করো বুকে রেখে হিম্মৎ,
দুরন্ত দুর্বার ছুটতে হবে বারবার
নতুন দিগন্তে উদিত এক ভবিষ্যৎ।

মোবাইল ফটোগ্রাফি

পথেঘাটে গুরেগুরে তুলেছি এই ফুল,
কেউ বলেছে পাগল কেউ বলেছে ছাগল,
তবুও আমি শুনিনি কারো কথা একচুল।

PicsArt_01-03-12.59.44
ফুলের নাম জানিনা।১

PicsArt_12-01-07.55.27

তাও জানিনা। ২

PicsArt_01-03-07.09.30
এটা কলমিলতার
ফুল,
হেতেরে চিনতে করিনি
ভুল।

PicsArt_12-01-08.07.11

অজানা।৪

PicsArt_12-01-08.04.10

অজানা ৫

PicsArt_12-01-08.05.10

অজানা ৬

PicsArt_12-01-08.06.24

অজানা ৭

PicsArt_12-01-07.56.43
এই ঝড়া পাতার মতো ঝড়ে
যাবো যেদিন,
বুঝবে তুমি বুঝবে
সেদিন।

PicsArt_12-01-07.58.17
লজ্জাবতী ফুল।৯

PicsArt_12-01-08.02.51

অজানা। ১০
PicsArt_12-01-07.47.57

অজানা। ১১

PicsArt_12-01-07.51.32

পেপের ফুল। ১২

PicsArt_12-01-07.52.43

অজানা।১৩

PicsArt_12-01-07.47.57
অজানা

জেগেছি

উন্নয়নের নামে প্রতিশ্রুতি দিয়ে
করেছ জনসমাবেশ,
তবে কেন দফায় দফায় পালটে
রংঢং পরিবেশ?

ক্ষমতার দাপটে দেশটা কে লুটেপুটে
নিজেরাই নিজেরা খাচ্ছ,
আমরা আমজনতা প্রতিবাদ করলে
পাগলা কুকুর হয়ে কামড়াচ্ছ।

মুখ বুঝে সব সইবো না আর
খুলব এবার মুখ,
এতে যদি হয় তোমাদের
বুকভরা যতো দুক।

যতো করেছ ভণ্ডামি তেলেছমাতি
বলবো সেই অপকর্মের কথা,
নির্ভয়ে প্রতিবাদও করবো এবার
যদিও লাগে ব্যথা।

যুগযুগান্তর যেমন করে খেলেছ
অত্যাচার রক্তপাতের খেলা,
এখন আর তেমন করে
চলবে না-যে বেলা।

আমরা বিপ্লবী জেগেছি আজ
খুলেছি এবার চোখ,
দাদাদের দাঁতভাঙা জবাব দিবো
যা হবার তাই হোক।

অহংকার

তোমার অনেক ধনসম্পদ অর্থকড়ির পাহার,
তবে কেনো অসহায় গরীব পায়না ভাগ তাহার?

কেনো অন্তরে তোমার এতো ঘৃণা অহংকার?
তুমি কি দেখনা অন্নহীন মানুষগুলোর হা-হা-কার?

তোমার আছে অট্টালিকা আছে প্রাইভেকার,
অসহায় গরীবরা খোলা আকাশের নিচে দিচ্ছে চিৎকার!

ঘর নেই দুয়ার নেই- নেই মাথার উপর ছাদ!
তুমি কি শুনতে পাওনা তাদের সেই আর্তনাদ?

তোমার জীবনযাপন অসাধারণ কেটে যায় প্রভাত,
কেনো ওরা পথেঘাটে কুঁড়ে কুঁড়ে মরে পায়না ভাত।

তোমার ছেলেসন্তান খেলে দামী দামী হরেকরকম খেলা,
কেনো ওদের ছেলেসন্তান নর্দমায় খেলে কাটিয়ে দেয় বেলা।

এই গরীব আছে বলেই তুমি আজ বড়লোক,
তবে কেনো পড়েনা তাদের উপর তোমার চোক?

কেনো তুমি ধনসম্পদের দেখাও এতো অহংকার
তোমার এই ধনসম্পদের ওদেরও যে আছে অধিকার।

ফেরেনি কেউ

সেই শীতল বাতাস,
সেই নদীর ঢেউ,
চেয়ে থাকি প্রতিক্ষায়
তবুও ফেরেনি কেউ।

সেই চেনা পথ
সেই নব সূর্যোদয়,
চেয়ে থাকি আজও
হয়তো হবে উদয়।

গগনে প্রভাত জাগবে
নীড় হারা পাখিরগানে
ওরা ও স্বপ্ন দেখেছিলো
উল্লাস ভরা কলতানে।

সেই যে গেলো চলে
আজও ফেরেনি কেউ!
হয়তো আর ফিরবে না
দেখবে না জীবনের ঢেউ।

আকাশ’কে বলে যাই
পাহাড়’কে বলে যাই,
নদী’কে বলে যাই
পাখি’কে ও বলে যাই,
একদিন
চলে যাবো আমিও
ওদের মতো করেই,
গুডবাই গুডবাই।

স্মৃতি

ছেলেবেলার সেই সুখ
মায়ের আচলের ভেতর ছিল।
মায়ের বকুনির ভেতর ছিল।
বাবার পকেট চুরির ভেতর ছিল।
কারণে অবাধ্য হওয়া বাবার
দু-চারটা থাপ্পড়ের ভেতর ছিল।
দাদাভাই-এর সেই বানোয়াট গল্পের ভেতর ছিল।
বুবুর সাথে ঝগড়াবিবাদের ভেতর ছিল।
স্কুল ফাঁকির ভেতর ছিল।
ঘুড়ীর সেই নাটাই সুতোর ভেতরে ছিল।
পাড়ায় পাড়ায় বন্ধুদের আড্ডার ভেতর ছিল।
মধ্যরাতে নারকেল চুরির সেই দূরদর্শিতার ভেতর ছিল।
রোজ প্রভাতে পাখির ঘুমভাঙানো কিচিরমিচির শব্দের ভেতর ছিল।
রাখালিয়ার সেই বাঁশীর সুরের ভেতর ছিল।
কৃষকের পেছনে ধান কুঁড়োনোর ভেতর ছিল সেই সব সুখ।
এখন সব অদৃশ্য হয়ে গেছে!
এখন আর সেই ছেলেবেলা নেই!!
এখন টকবগে যৌবনবয়স,
তারপর বৃদ্ধ,
তারপর কেবলি সব স্মৃতি।

বদলাতে হবে

বাস্তবতার সাথে হেস্ত-নেস্ত খেলি,
কখনো কখনো জবরদস্তী করি আলোর
পেছনে ঘুরে ঘুরে!
তবুও যেখানেই যাই সেখানেই আমার রাত,
দু’পা এগুলেই ঘুরেফিরে কেবলি রাত হয়ে যায় আমার!
এ যেন আলোর পায়ে কেউ একজন শেকল দিয়ে বেধে রেখেছে!
জোনাকিরাও এখন রাত্রিবেলা আলো দেয়-না আমার এ বেদনাময় উঠনে!
কি যে এক জীবন……….!!!!!!
কখনো জয়, কখনো পরাজয়!
তবে পরাজয়ের সম্মুখে মুখথুবড়ে পড়ি বারবার!
আর জয়— সে পেছনে পেছনে হাতছানি দিয়ে যায়!
আর বলে— এতো যে আলোর পেছনে ছুটাছুটি করো?
কতোটুক ক্লান্তি সইতে পারবে?
কতোটুকু গ্লানি সইতে পারবে?
কতোটুকু তীক্ষ্ণ উত্তাপ সইতে পারবে? বলো কতোটুকু ?

আমিও বলে দিয়েছি পরাজয় মানবো না কিছুতেই!
আমাকে কিছুটা হলেও বদলাতে হবে,
বদলাতে হবে বেদনাময় রাত!
বদলে গেলেই হয়তো রাত কেটে ভরে উঠবে আমার উঠনে আলো।
জোনাকিরাও হয়তো তখন ফিরে আসবে।

প্রার্থনা

হে দয়াময় প্রভু আমার
করিও দয়া,
তোমার গুনাহগার বান্দাদের
করিও মায়া।

তোমার দয়া থেকে মোদের
বঞ্চিত করো না?
তোমার দয়ার দুয়ারে করি
সেই প্রার্থনা।

মোরা শত শত গুনাহগার হয়েছি
গুনায় লিপ্ত,
মোদের অন্তরে দাও জ্বেলে
দাও দীপ্ত।

ভ্রান্ত পথ হতে মোদের
করিও রক্ষা,
সুপথগামী করিও মোদের
দিও শিক্ষা।

যে শিক্ষায় পাবো জান্নাত
সে শিক্ষা দিও?
সহজ সরল সঠিক পন্থায়
পরিচালন করিও?

সহজ পথের প্রার্থনা করি
দাও হে প্রভু বলি?
যে পথে তোমার প্রিয়জন গেছে
সে পথে যেনো চলি।

আমাদের পণ

এসো মোর ভাই-বোন বন্ধু সবাই
আমরা করি পণ,
সবার ভালো চাইবো আমরা
গড়বো সুন্দর জীবন।

একে অপরের মন্দ না খুঁজে
খুঁজবো সুন্দর মন,
এভাবেই সাজাবো সমাজ দেশ
এই বিশ্ব ভুবন।

এই ধারায় চলবেই এ পথ
করি সেই পণ,
একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে
করবো আমরা আপন।

ধনী গরীব ভেদাভেদ ছেড়ে
থাকবো পাশে চিরকাল,
কাউকে ঘৃণা অবহেলা না করে
একসাথে ধরবো হাল।

এসো মোর ভাই-বোন বন্ধু সবাই
আমরা করি পণ,
হাতে-হাত রেখে গঠন করবো
নতুন এক ভুবন।

তবে দেরি নয় হে বন্ধু সকল
চল চল চল,
আমাদের সেবায় জ্বলবে প্রদীপ
এই ধরণীতল।