১. আমরা আবেগ দিয়ে কি করতে পারি? আমরা আবেগ দিয়ে কোনরকম কোন কর্ম করতে পারব না। কোন ঘাস কাটতে পারব না, হাল চাস কিম্বা আবেগ দিয়ে কারো উপকারে আসতে পারবো না। চোখের মায়াকান্নার মাধ্যমে আবেগকে প্রকাশ করা যায় না; সেটাকে অভিনয় বলে। আবেগ দিয়ে সফলতা ছুতে পারব না সেই ক্ষেত্রে আবেগ দিয়ে ইমোশনাল সফলতা অর্জন হতে পারে কিন্তু সেটা সাময়ীক। বাস্তবতা আবেগ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয় না।
আবেগের বশে অপরাধ হয় আর আবেগের বশে অনেক ক্ষেত্রে ভালো কর্ম করে বসে মানুষ; কিন্তু সেই ক্ষেত্রটা খুবই নগণ্য। আবেগ দিয়ে আবেগ সৃষ্টি করা আর ইমোশন সৃষ্টি করা ছাড়া আর কোন কিছুই হতে পারে না। মানুষ আবেগের বশে ভুল কাজটাই সবচাইতে বেশি করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আবেগ মানুষকে অন্ধ বানিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না। আবেগ দিয়ে অন্ধ বিশ্বাস করা যায় বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে আবেগকে সাজিয়ে কোন কিছুর বস্তুনিষ্ঠ সত্যকে অবজ্ঞা করা যায় না, এমনকি প্রমান করাও যায়না।
আপনি আবেগ দিয়ে নিজের ভেতরের চাপা কষ্টকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারেন বা অন্যের বেদনায় ব্যতীত হতে পারেন অথবা সাথে আপনার সুখ-দুঃখ আবেগপ্রবণতা মাধ্যমে ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। আবেগ আপনাকে অনেকক্ষেত্রে ক্রাইম করতে বাধ্য করে। আবেগ যদি ক্রাইম করতে বাধ্য করে তবে সেটা অত্যন্ত ভয়ানক অপরাধ। আবেগ যদি আপনাকে ক্র্যাইম করতে বাধ্য করে তাহলে মনে করবেন সেটা কোনভাবেই আবেগ নয়। এটা অন্যায় সেটা অপরাধ আর সেটা চরম মাপের অসদাচরণ।
সেটা আবেগ থেকে মানসিক রোগের দিকে চলে গিয়েছে মানসিক রোগ শুধু যে একজন অসুস্থ মানুষের ভেতরেই রয়েছে তা নয় একজন সুস্থ সবল মানুষের ভেতরেও এমন আবেগ রয়েছে যা তারা সে মানসিক রোগের শিকার। একজন মানুষকে আবেগপ্রবণ হওয়ার আগে একজন মানুষকে বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ হতে হয়। ভালো-মন্দ পার্থক্য নির্ণয় করার মত জ্ঞান রাখতে হয়। যদি সে মানুষের আবেগ বিবেক ভালো মন্দ বোঝার ক্ষমতা ভেতর থেকে না অনুভব করতে পারে তাহলে সে অপরাধী হতে পারে। একজন মানুষের ভেতরে যদি আবেগ না থাকে তাহলে তার ভেতরে কোনোভাবেই আবেগের সুন্দর আলোক বর্তিকা তার ভেতরে জ্বলতে পারে না।
আমার আপনার প্রত্যেকের এখানেই জানবার বিষয় রয়েছে বুধবার বিষয় রয়েছে চিন্তা করার বিষয় রয়েছে। এখানেই ভাববার বিষয় আর এখানেই উপলব্ধির বিষয় যা বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ দ্বারা উপলব্ধি করা যায়।
এই উপলব্ধিটুকু তারা করতে পারে না যারা কোনোভাবেই সত্যকে ধারণ করে না আর যারা এসবকে অনুভব করে বুঝবার জন্য জানবার জন্য সত্যকে আবার মুখোমুখি নিয়ে আসার জন্য তারাই তারাই আলোকিত মানুষ। তারাই সত্যকে ধারণ করে আর সত্যকে বলতে দ্বিধা করে না যারা সত্যকে ছেড়ে চলে যায় কারণ মিথ্যা আবর্তে ঘূর্ণায়মান এরাই সবচেয়ে বেশি মুখোশের আড়ালে বিদ্যমান।
যারা সত্যের সাথে বসবাস করে মিথ্যাকে অন্ধকারে পতিত করে। এমন না হলে কোনভাবেই জীবন চলেনা এমন না হলে জীবন অন্ধকার এমন না হলে জীবনের কোনও অস্তিত্ব থাকে না একজন অস্তিত্বশীল মানুষের ভেতরে এটাই মানুষের কর্ম ধর্ম নীতি এবং বহমান পৃথিবীর নিয়ম। একজন মানুষের ভেতরে প্রবেশ করতে হলে আবেগের প্রয়োজন রয়েছে তবে সে মানুষটার কাছাকাছি আসা যায় আবেগ এখানে তার সঠিক পথ নির্ণয় করে আবেগ দ্বারা মানুষকে বোঝানো যায় যে তোমার জন্য আমি ব্যথিত তোমার সুখে আমি সুখী তোমার যন্ত্রনায় আমি যন্ত্রনাতে তোমার ভাবনায় আমি ভাবনা তাড়িত এটাই হচ্ছে আবেগ আবেগ এর ভেতরে কোন অসৎ উদ্দেশ্য নেই যদি থাকত তাহলে তাকে আবেগ বলে গণ্য করা হতো না। তবে অতিরিক্ত আবেগটা ও মানসিক রোগের লক্ষণ বলে বিবেচনা করা হয় তবে এক্ষেত্রে বোঝা যাচ্ছে যে অতিরিক্ত আবেগ থাকা একজন মানুষের জীবনের বিপদজনক এবং নানা রকম বিপদ বয়ে আনতে পারে।
২. মানসিক রোগ মানে যে পাগল তা নয়। আমরা অনেকেই এই ক্ষেত্রে ভুল বুঝে থাকি। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের ওপরে হিসাব করলে দেখা যায় যে তাদের ভেতরে মানসিক রোগের প্রবণতা অত্যন্ত বেশি বেশি কয়েকটি কারণ রয়েছে একটি বায়োলজিক্যাল ও আরেকটি জেনেটিক। তবে এই দু’টি আক্রান্ত মানসিক রোগ খুব বেশি না হলেও অন্যভাবে দেখা যায় যে মানসিক রোগীর সংখ্যা সৃষ্টি হয় পারিবারিক সামাজিক অথবা অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে যার ভিতর দারিদ্রতা অন্যতম কারণ।
এক্ষেত্রে আরও একটু যদি পরিষ্কার করে বলি তাহলে বোঝা যায় এখানে পারিবারিক অসঙ্গতি সবচাইতে মারাত্মকভাবে মানসিক রোগের কারণ হতে পারে যেটা অকল্পনীয়। এক্ষেত্রে মানসিক রোগীরা অত্যন্ত বিপদজনক এবং এরা সর্বদা আবেগ দ্বারা সহজ চিন্তাভাবনাগুলোকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে। যার পরিণতি ভোগ করে সে নিজে পরিবার সমাজ এবং আশপাশের মানুষজন। আরেকবার পরিষ্কার করে বলি মানসিক রোগ মানেই পাগল তা নয়। মানসিক রোগ হলে যে সে মানুষটা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর সেটাও বলা যায় না। আমাদের সমাজে অসংখ্য শিক্ষিত যুবক রয়েছে যুবতী রয়েছে যারা চাকরির অভাবে অনেক ভাবেই ডিজে পয়েন্ট হয়ে যায় হতাশ হয়ে যায় যে হতাশাগ্রস্ত মানুষকে কখন কী করবে সেটা অতিসত্বর দিককুল কিম্বা কোন কূল কিনারা খুঁজে পায়না এমত অবস্থায় তার সাথে কোন রকম যদি কোন চটকদার চাকরির অফার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
একজন মানসিক রোগীর সাথে কোনভাবেই নিকৃষ্ট ঘৃণ্য অথবা খারাপ আচরণ করা কাম্য নয়। সামাজিক পারিবারিক কিংবা রাষ্ট্রের অধিকারের ক্ষেত্রে যদি বলা যায় একজন মানসিক রোগীকে পাগল বা মানসিক রোগী বলে আখ্যা দেয়ার কোনো উপায় নেই। কারণ তারা যে কোনো ভাবেই এর শিকার হতে পারে সেটা পরিবার সামাজিক পারিপার্শ্বিক এম্বা সংসার জীবনে অসচ্ছলতা দারিদ্রতা বা অন্যের নির্যাতনে কিংবা ভালোবাসা পর্যাপ্ত অভাবের কারণে অথবা শিক্ষা জীবনের ইতি ট্রেনে ফাইবার পেছনে ছুটতে ছুটতে জুতার তলা ক্ষয় করে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে ও মানসিক রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
এই মানসিক রোগ তার ভিতরে বাসা বাঁধতে পারে এমন আরও অনেক দিক রয়েছে। সীতাভোগ অসুস্থতা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর জন্য আমাদের দেশে তেমন কোন সুব্যবস্থা না থাকলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে অনেক সাইক্রেটিস রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত ও তাদের চিকিৎসা সেবা করে যাচ্ছেন। মজার ব্যাপার হলো বাংলাদেশের সাইক্রেটিস এর অভাব আর বাংলাদেশের সাইক্রেটিস দের যে অবমূল্যায়ন সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি পরিবারের গার্ডিয়ানদের সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরী তাদের সন্তান সন্ততি কিরকম ভাবে জীবন যাপন করছে সেটা লক্ষ্য রাখা এবং তারা কি চায় তারা কি অনুভব করছে তারা কি করছে কার সঙ্গে চলছে এগুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এমনকি তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ এর মাধ্যমে তাদের সাথে স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধুর মতোই কথা বলা যাতে তারা তাদের মনের কথা অকপটে বলতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা হতে পারে যে কাজটি করতে তারা ভয় পায় সে কাজটাকে সহজ করে দেয়ার জন্য তাকে বারবার সেই কাজটি করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা। এবং একবার দুইবার তিনবার করার মাধ্যমে যেটা সে সহজ করে নিতে পারে এবং এক্ষেত্রে ভয়টাও কেটে যেতে পারে এ কাজটি করার কোনো বিকল্প নেই। মানুষের মধ্যে যখন মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয় তখন সে মানুষটা অত্যন্ত বিপর্যয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত করে যা স্বাভাবিক মানুষের মধ্যে সে গুণাবলীগুলো থাকেনা।
অনেকভাবে দেখা যায় মানসিক রোগীরা মানসিক সমস্যার মধ্যে অবস্থান করে অনেক ভুল করতে পারে। সে ক্ষেত্রে যখন আপনি আপনার পরিবারের কোনো সদস্যকে এই সমস্যার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করতে দেখবেন তখন সর্বদা তাকে নজরদারির ভিতর রাখা উচিত এবং সে যাতে এমন কোন ভুল কাজ না করে যা তাড়াতাড়ি জীবনের অনেক জটিল সমীকরণ গুলো পরিবর্তন হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় রিহাব সেন্টার গুলোর ড্রাগ এডিক্টেড মানুষদেরকেই চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তবে আমাদের দেশে মানসিক রোগের জন্য কোন সুব্যবস্থা রয়েছে বলে তেমন কোন এনজিও কোন সংস্থাকে দেখাই যায়না বলা চলে।
তবে আমি আগেও বলেছি মানসিক রোগ মানে যে একজন মানুষ পাগল তা না। তবে পাগলদের জন্য একটা সুন্দর হাসপাতাল রয়েছে যেখানে তাদেরকে নানাভাবে ট্রিটমেন্ট এর মাধ্যমে সুচিকিৎসার মাধ্যমে সেরে তোলা হয় কিন্তু পারিবারিক সামাজিক অর্থনৈতিক দারিদ্রতা ও বেকারত্বের কারণে যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হন তাদের জন্য অবশ্যই সাইক্রেটিস এর প্রয়োজন। এদেশে সুদখোর ঘুষখোর ফ্রড চাঁদাবাজ ছিনতাইকারী এমনকি নানা ধরনের সামাজিক অপরাধের মধ্যে জড়িত এমন সব মানুষের জন্য কোন চিকিৎসার সুব্যবস্থা নেই যাদের কে ট্রিটমেন্ট এর মধ্য দিয়ে একটা সুন্দর জীবন উপহার দেয়া যায়।
আমাদের দেশে মেডিকেল সাইন্স এতটা উন্নত নয় তবুও যতটুকু রয়েছে আমি যদি আমরা নিয়মিত যাওয়া আসা করি সংসার করি বা সাইন্টিস্ট সাইক্রেটিস্ট দের পরামর্শ গ্রহণ করি তাদের আলোচনায় অংশগ্রহণ করি তবে আমরা অনেক কিছুই নিজেদের মধ্যে থেকে সংশোধন করতে পারি। বহিঃবিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায়তাদের মধ্যে শারীরিক অসুস্থতার চেয়ে মানসিক অসুস্থতা অত্যন্ত বেশি হয়ে থাকে যে কারণে সাইকেলটি তাদের মূল্যায়ন অত্যন্ত বেশি। এমনকি তারা নিয়মিত সাইকেলিস্ট দের আলোচনা শুনতে যায় এবং তারা একটা সময়ে সুস্থ হয়ে ওঠে।
একজন সাধারন মানুষ একজন মানসিক রোগের সমস্যার লেভেলটা বুঝতে না পারলেও একজন বোধ সম্পন্ন মানুষ বুদ্ধিমান মানুষ তার বুদ্ধিমত্তা দ্বারা সেই মানুষের মানসিক সমস্যার লেভেলটা অনুভব করতে পারে। যারা এই সমস্যা গুলোকে ক্যারি করে চলছে তারা যেকোনো মানুষের কাছে বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। এটা আবার কোনো অবকাশই নেই যে সে মানুষটা ক্রেজি হয়ে উঠবে না। এবং অন্যের ক্ষতি করে বসবে না এর জন্য সে নিজের চেতনাবোধ কে ব্যবহার করে না তবে এই চেতনাবোধ কে ব্যবহার না করলেও তাদের মানসিক সমস্যা টা এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যায় যার দ্বারা সে মানুষটা একটি চরম দুর্ঘটনা ঘটানোর জন্য প্রভাবিত হয়।
আর এই প্রভাবিত হওয়ার কারণে নানা ধরনের ভুল কাজ করে বসে এবং অপরাধ জগতের মধ্যে হাত বাড়ায় যে অপরাধ টা তার দাঁড়ায় করার কোন কথাই ছিল না। আরো দুইটি মানসিক রোগের কথা আমি পরিষ্কার করব এক হল নিউরোসিস ও অন্যটি হলো ফাইব্রোসিস নিউরোসিস মৃদু মানসিক রোগ এ ক্ষেত্রে রোগী নিজেই বুঝতে পারেন সে কি করছে আফসোস হলো সাইক্রোসিস রোগী তার নিজের মস্তিষ্ক জ্ঞানের যেকোনো ধরনের গায়েবি নির্দেশ শুনতে পারেন মানে বোঝা যাচ্ছে যে সেই মানুষটি তাঁর মানসিক রোগের কারণে বাস্তব জগত থেকে বিচ্ছিন্ন। যেমন ধরেন সাইক্রোসিস রোগী বাইরে অথবা ঘরে অবস্থানকালীন ঘরের বাইরের যেকোনো মানুষের আচরণের কারণে যে কোন একটা দুর্ঘটনা ঘটাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না কারণ সেই মানুষটা তার সাইক্রোসিস রোগের মধ্যে এতটাই গভীর ভাবে ডুবে যান যে সে নিজে কি করছে নিজে কি বলছে নিজে কি অনুভব করছে সেটাই সে জানেনা।
একজন সাইক্রোসিস রোগের দ্বারা একজন মানুষকে হত্যা করা খুবই সহজ ব্যাপার এটা একটু অত্যন্ত জটিল রোগ। রোগের লক্ষণ টা আমাদের সমাজে পরিবারের অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যমান। ”মানসিক ব্যাধি” সন্দেহপূর্ণ আচরণ বা সন্দেহ করা একটি বড় ধরনের মানসিক ব্যাধি এই ব্যাধির সমস্যা সৃষ্টি করা একজন সুস্থ মানুষের দ্বারা কখনো সম্ভব নয়। সুস্থ মানুষরা কখনোই এ ধরনের আচরণগত জটিলতার মধ্যে পরেনা এই ব্যাধির সংস্পর্শে আসে তারাই যারা সহসাই মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে নিজেকে অতিক্রম করছেন। মানসিক রোগ কিম্বা বা মনোরোগ ইংরেজিতে যাকে বলে “mental disorder.”
মানসিক রোগ বা মনোরোগ এক ধরনের ব্যবহারিক কিংবা মানসিক দুর্দশা যা সাধারণত সামাজিক পারিবারিক কিংবা সাংস্কৃতিক বিষয় দ্বারা মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়। যুক্তি ও বিজ্ঞানের উন্নত যুগে প্রবেশ করে আমরা বুঝতে পারছি এই ধরনের অনেক নিয়ম-নীতিকে পরিবর্তন করে নতুন নতুন তথ্যের মাধ্যমে তার নাম দেয়া হচ্ছে। এমন কি সময়ের সাথে সাথে সমাজ সংস্কৃতি নানা ধরনের তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে জ্ঞান বিজ্ঞানের সহায়তায় সেই সকল সমস্যার গ্রহণযোগ্যতার পরিধিকেও পরিবর্তন করে আসছে। যদিও এর অনেক কিছুই সমাজ স্বীকৃত। বিজ্ঞানের বর্তমান ধারণা অনুযায়ী বোঝা যায়। জিন বা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার জটিল পারস্পারিক ক্রিয়া-কলাপ এর মাধ্যমে জটিল এবং কঠিন রোগের (মনোরোগ) বিস্তার লাভ করে। এসব হওয়ার পেছনে মস্তিষ্কের জটিল ক্রিয়া-কলাপগুলো সচেতন কোষ দ্বারা দুর্বল হওয়ার ফলেই এই সমস্যাগুলো তার গঠন ক্রিয়াকে যোগ করে থাকে।
বা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা যায় “মানসিক রোগের জিনতত্ত্ব ও সম্ভাব্য ফলাফল সেই ব্যক্তির জৈবিকও পারিপার্শ্বিক পরিকাঠামোর সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত” তবু আমরা অনেক ক্ষেত্রে জানতে পারি যে মানসিক রোগের কারণ গুলো অনেক ক্ষেত্রেই অসুস্থ থাকে যা আমরা খুব সহজভাবে নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয় সেটি নিয়ে আমাদের আরও গভীরভাবে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তার পরেও রোগের সমস্যার উপর ভিত্তি করে তার তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে কিংবা নানা কার্যকলাপের মাধ্যমে খুঁজে বের করা অসম্ভব কিছু নয়। তবুও এর ফলাফল গুলো একই দিক নির্দেশ করতে পারে যার দ্বারা রোগের স্বাভাবিক ট্রিটমেন্ট পরিচালনা করা সহজ ভাবে সৃষ্টি হতে পারে।
আমরা দেখতে পারি মানসিক রোগ সাধারণত একজন ব্যক্তির আচরণ অনুভূতির সমন্বয় দ্বারা সংঘটিত হয় কিংবা তার মতানৈক্য কার্যকলাপ ও রোগীর সাথে একজন মানুষ কি ধরনের আচরণ করছে ঠিক তার দ্বারাই সংজ্ঞায়িত হতে পারে বা নির্দেশ করতে পারে।
মানসিক রোগীর আচরণ তার মস্তিষ্কের বিশেষ অঞ্চলের যে কোষগুলো রয়েছে ফাংশনগুলো রয়েছে তার সাথে সংযুক্ত। আমাদের মানসিক ব্যাধি একটি মানসিক রোগের দিক নির্ণয় করে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত।
এ ধরনের জটিল কঠিন সমস্যাগুলো মোকাবেলার জন্য কিংবা কমিয়ে আনার জন্য পারিবারিক সামাজিক পারিপার্শ্বিক নিয়ম ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা উচিত বলেই বিবেচনা করে থাকি যা একটি রোগীকে সুস্থতা দান করার জন্য যথেষ্ট সহায়ক বলে বিবেচনা করা হয়।