আবু মকসুদ এর সকল পোস্ট

অক্ষর বন্দনা

অক্ষর বন্দনা

অক্ষর গুলো গুপ্ত ঘাতক; চুপে চুপে এসে আঘাত করে
অতর্কিত আক্রমনে ফালাফালা হয়ে যায় গোপন হৃদয়…
আহত হৃদয় কাৎরায়, গোপন অন্ধিসন্ধি কালশিটে দাগ
ব্যক্ত করতে থাকে আহত পংক্তিমালা, পরিলেখ অতিক্রম
অন্তে অক্ষর গুলো পরিস্ফুট হলে আহতের মনোবেদনা
প্রশমিত হয়, বেদনার অনুবাদে অক্ষর গুলো ঘাতক
হলেও প্রতিরোধের স্পৃহা জাগে না; বরং প্রচ্ছন্ন এক মায়ায়
অক্ষর গুলো ছড়াতে দেয়, অক্ষরের আধিপত্য বিপরীতে
ঢেউ তুললে গোপন হৃদয় অক্ষরাছন্ন হয়ে পড়ে, অক্ষরে
অক্ষরে ছয়লাব হৃদয়ে যে শব্দ ধ্বনিত হয়, কবি তাকে
বাধেন প্রাণের মায়ায়; তার বাঁধানো অক্ষর গুলো অবয়বে
রূপান্তরিত হলে আমরা অবলোকন করি কবিতার মহিমা

কড়িক্রান্ত বেলা শেষে

কড়িক্রান্ত বেলা শেষে

চোখের ওপাড়ে চালশের ছায়া
কুড়িয়ে পাওয়া কড়ি খরচ করে
আরো কিছুদিন হয়তো কাটানো যাবে
ধার করা সময়ের ব্যাপ্তি কমে আসছে
অনন্ত ঘুমের দেশে পাড়ি দেয়ার পূর্বে
দেখে নেই পায়ের ছাপে কি আঁকা গেছে
নিজস্ব চেহারা, ঘামের ফোঁটায় কি
ফলাতে পেরেছি সোনালি ফসল…
একজীবনে বেগার খাটতে খাটতে
উপান্তে পৌঁছে পিছন তাকালে দেখি
ধূলিউড়া মাঠে ঘুড়ির পেছনে ছুটছে
যে বালক, তার বুকে হাপর উঠছে
তবু প্রাণপণে সে ছুটছে আনন্দ ধরতে
ঘুমায়িত শুভ্র বিছানায় আনন্দ ভৈরবী
শুনতে শুনতে সে বালক চালশের দুশ্চিন্তা
ঝেড়ে পুনরায় প্রবেশ করে আনন্দ উৎসবে…

ভোরবাসী বালকেরা

ভোরবাসী বালকেরা

আমাদের ছেলেবেলার গ্রাম তরুণী ছিল
শরতের সন্ধ্যায় সাদা সাদা মেঘে চড়ে
সে যেত বৃষ্টি পাড়ায়, তারপর দুই সখি
যুগলে নেমে পড়ত পূর্ণচাঁদের স্নানে
আমরা পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম আর
ভাবতাম এমন জুড়ি ত্রিভুবনে কোথাও পাব না
আমাদের ভাবনার মাঝেই গ্রাম হঠাৎ যুবতি
হয়ে উঠত, বিয়ের আলাপের জের ধরে
আস্তানা গাড়ত পাশের শহর,
আমরা দেখতাম উচ্ছল তরুণী গ্রাম
শহরের ক্রমাগত অত্যাচারে নুইয়ে পড়েছে
শরতের মেঘ তাই পাঠাত না নিমন্ত্রণ,
দুঃখে কষ্টে আর অভিমানে শয্যায় লুটিয়ে পড়ে
আমাদের তরুণী গ্রাম দেখত
চিতাভস্মের পাশে তার অতৃপ্ত বিদায়বেলা-

বিভ্রান্তি

বিভ্রান্তি

অতিক্রান্ত রৌদ্রের পরে অন্ধকার ধেয়ে এলে ধুলাগুলি ধূসরিত বাতাসে জিরোনোর অবসর পায়, গৃহমুখি মানুষের মুখ সুখস্মৃতি আনে… নিজেদের পাঁজরে পায়ের চিহ্ন ধারণ করে অপেক্ষায় থাকে পরবর্তী ভোরের… ধুলা ধূসরিত পথে হাঁটবে গৃহত্যাগী মানুষ… বিভ্রান্ত সময় পেরিয়ে কোথাও পৌঁছাবে…

রৌদ্রদিন

রৌদ্রদিন

আমার মরণ কাউকে যেন
নিরুৎসাহিত না করে
অমিত সম্ভাবনা ফেলে
অকালে পাড়ি দেয়া ভেবে
বিলাপ করা অর্থহীন
বরং যাদের সম্ভাবনার এখনো মৃত্যু
হয় নি তাদেরে একটু পরিচর্যা দিন…

আমি বেঁচে থাকতে অক্ষম কলমের নিবে
ঝরিয়েছি যে সমস্ত প্রলাপ
এখনই আস্তাকুড়ে ফেলে দিন, বর্তমান কালের
সক্ষম কবি লিখছে যে বিলাপ লিপি
একটু নেড়েচেড়ে দেখুন তাতে নিজস্ব কান্নার
যোগসূত্র পান কি না…

আমার রৌদ্রদিনে কি সুধা বিলিয়েছি
এসব লিপিবদ্ধ নাই হল
বরং আজকের রোদ্রবারে
ছায়াময় পৃথিবীর কথা লিখছে যে কবি
তাকে সূর্যের সুসংবাদ দিন
তাকে এখুনি জানান সে আছে মননে
তাকে প্রিয়তার বার্তা পৌঁছে দিন…

মৃত্যু পরবর্তী শোক সভায় গুণকীর্তন না করে
জীবিত কবিকে জানান
মানুষ তাকে ভালোবাসে
পাছে না বেশী দেরী হয়ে যায়…

আশাবাদ

আশাবাদ

রাতের অন্ধকারে সময় চুরি করে ফিরি
ঘুমের কষ্টে কাতরাই, ঝিঝির ধার করা আলোয়
রাত্রি পাড়ি দেই, ভোরের সূর্যে লালিমার পৃথিবী
জেগে উঠলে চুরি করা সময়ের পাড় ধরে হাঁটতে
শুরু করি। কোন একদিন জীবন ফিরিয়ে দিবে…

সাংসারিক কবি…

সাংসারিক কবি…

লোকটা গৃহস্থালিতে সুনিপুণ
আলু ক্ষেত্রের আগাছা নিধন, নিম পাতার
ঔষধি গুণ তার জানা

লাঙ্গলের ফলা কতটুকু
দাবানো প্রয়োজন, পরিমিত পানির প্রবাহে
ফসলি মাঠ কতটুকু উর্বর হয়

ঠিক জানে সে, প্রসূতি মায়ের পরিচর্যা
অন্তে গোয়ালের গোবর সংরক্ষণ
তার নিত্য দিনের কাজ

স্কুলগামী সন্তানের জুতার ফিতা
বৃদ্ধ বাবার আয়েসি হুক্কা
সঠিক সময়ে সামনে এগিয়ে দেয়

ভোরের প্রান্ত শেষে নিজ কর্মের জন্য
প্রস্তুত হতে হতে হঠাৎ উদাসী মন
নিজেকে প্রকাশে ব্যাকুল হলে,

কলমের নিবে অক্ষর
উদগিরনে লোকটা মশগুল হয়ে পড়ে

লোকটা কবিও বটে, কবিতাক্রান্ত
হওয়ায় কর্মের দেরী
তার ধাতে নেই… বরং
উদাসীনতায় ভাসা স্থগিত রেখে সংসারধর্ম
পালনকেই লোকটা অগ্রাধিকার দেয়…

লোকটা প্রকৃত কবি, সাংসারিক কবিতায়
প্রতিদিন নিজেকে ঝালাই করে

মাছের বাজারে লব্ধ অভিজ্ঞতা
কবিতায় রূপান্তরিত হলে
কালজয়ী শিল্প হতে পারে বলে
আমাদের ধারনা, লোকটা
মাছের, আলুর, নিমের, পুত্রের
ফিতার, বাবার, হুক্কার, লাঙ্গলের
প্রসূতি মায়ের কবিতা লেখে

অর্থাৎ আমাদের প্রতিদিন যাপনের
কবিতা লেখে, লোকটা আমাদের কবি

কবিতার জন্য তাকে ধ্যানে বসতে হয় না
গরুর গোয়ালেই কবিতা পেয়ে যায়,
ফসলি মাঠ অনায়াসেই কবিতায় ধরা দেয়…

লোকটা সময়ের কবি, সংসারের কবি
সংসার কর্ম অন্তে ঘুমের বিছানায়
উৎকীর্ণ লোকটা আমাদের কালের শ্রেষ্ঠ কবি…

আগুন উৎসব

আগুন উৎসব

এক শীতের রাতে শীত পাখি উড়াল দিলো;
উষ্ণ প্রদেশে চলছে আগুন পোহানো উৎসব

আগুন পোহানো রাতে পাখির কিচিরমিচির
পথিকের মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটালে, পান্থ

মখমলি সার্টের বোতাম খুলে শীতের মিতালি
গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠে, উষ্ণ প্রদেশের আগুন

মানব সমীপে পৌঁছাতে পেরেছে প্রদাহী আহ্বান;
উষ্ণ হাতের প্রয়োজন দিকে দিকে, উঠো প্রশস্ত

হৃদয়ের মানুষ, শীতে কম্পমান কিশোরীর মাথায়
আঙুলের পরশে পৌঁছে দাও মানবিক বোধ;

কিশোরী জেনে যাক আগুন পোহানো শেষে
নিরাপদ আবাসে ফিরে যাবে উষ্ণ হৃদয় মানুষ…

স্পর্ধিত পুরুষ

স্পর্ধিত পুরুষ

নিয়তির সাথে যুগল যুদ্ধে
তাকে পরাস্ত করেছি

পাথরের পাহাড়ে দুধের নহর খুঁজতে
পূর্ব পুরুষদের পথ অবলম্বন প্ররোচনা
দিলে নিজস্ব ছাপ রাখার কাঙ্ক্ষা
ভিন্ন পথের সন্ধানে পাঠায়

জয়ের জন্য জীবনের বাজী নতুনত্ব নয়
আবহমান কালে ঘটনার গুরুত্ব থাকলেও
সমকালে রক্তের বদলে মুক্তিই
কাম্য, অধিকার আদায়ের জন্য
অঘুম রাত্রি অনায়াসে পাড়ি দেয়া
যায়। সূর্য করায়ত্ত বিদ্যা অনেকেই জানে না
সমুদ্রের ঢেউয়ে সূর্যকে বেধে দিতে পারাকেই
স্পর্ধা ভাবি। এমন স্পর্ধা তাঁর ছিল
মন্থনের সমুদ্রে তাঁকে পেয়েছি
বিশালতায় পর্বতকে ক্ষুদ্র হতে দেখেছি

ব্যতিক্রমী কিছুর জন্য গাছের পাতারাও
ব্যকুল থাকে, সীমান্ত পাড়ি দেয়া
বীর যখন বীর দর্পে ফিরে পৃথিবীর
তাবৎ বীর তাঁকে ছুঁয়ার জন্য প্রতিযোগিতায়
নামে, প্রান্তরে এসব বীর কালেভদ্রে
একবার আসে। বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার পরে
অঝোর ধারা বুকের অন্ধিসন্ধি ভিজিয়ে
দিলে প্রকৃতি বুজে নেয় নত হওয়ার সময় এখনই
তাঁর কাছে নত হতে লজ্জা নেই বরং
তাঁর পায়ের ধূলায় গৌরব লেগে আছে

তিনি একবার এসে দাঁড়িয়েছিলেন আমাদের প্রান্তরে
তাঁকে চির জনমের মতো হৃদয়ে সমাহিত করেছি…

সুস্থ রাজনীতি চাই…

সুস্থ রাজনীতি চাই…

ঝরলো দুটি তাজা প্রাণ
দায়টা এবার কার হবে
শাহ মস্তফার শান্ত শহর
কেন ছারখার হবে

রাজার নীতি প্রজার ভাল
মুখে এটাই বলি সবে
তবে কেন দুই তাজা প্রাণ
রাজনীতির এই বলি হবে

রাজার নীতির মাথায় যারা
ডিমে বসে দিচ্ছ তা
মানুষ যদি নিজকে ভাবো
কেন মেনে নিচ্ছ তা

এবার না হয় নীচে নামো
খুলো নিজের বন্ধ আঁখি
সুস্থ সাদা রাজনীতিরে
একটু করো ডাকাডাকি

মানুষ হওয়ার দায়টা মেটাও
বন্ধ করো রক্ত খেলা
এই সুযোগে আকড়ে ধরো
মানবতার শক্ত বেলা…

প্রবাসী কথন -৮

প্রবাসী কথন -৮

ঝরছে তুষার খোলা আকাশ থেকে
আকাশ বুঝি দিলো খুলে আগল
এই আকাশে বরফ ঝরেই শুধু
ওই আকাশে ঝরতো চোখের জল
আহা! এমন চোখের জলে
হয় না এখন স্নান
হয় না এখন পাখি মনের
মান বা অভিমান
সবকিছুই খোয়া গেছে
হারিয়ে গেছে সব
বরফ ডাঙ্গায় আছড়ে মরে
পাখির কলরব
উড়তো পাখি বৃষ্টি জলে
কান্না হলে সারা
বৃষ্টিকথা খুইয়ে গেছে
মাড়ায় না আর পাড়া
জল ভুলেছে সে সব পাখি
কোথায় পাবে জল
জল নিয়েছে অচেনা সব
বরফকুচির দল…
ঝরছে তুষার আকাশ থেকে
হচ্ছে সফেদ মাটি
খিল আঁটকে একলা পাখি
বন্ধ হাঁটাহাটি…

জীবন সায়াহ্নে

জীবন সায়াহ্নে

একদিন প্রান্তের নদীরা শুকিয়ে যাবে
বৃক্ষের বৃদ্ধত্ব হাঁটু গেড়ে কার্বনের ভিক্ষা মাগবে
একদিন ধোপা দুরুস্ত পোষাকে লেগে যাবে
ময়লার দাগ, পিচ করা ঝকঝকে রাস্তায়
গোল্লাছুট খেলবে বেওয়ারিশ সারমেয়
একদিন প্রাচীন সুন্দরী অন্দরের আয়নায়
দেখবে ক্ষয়ে উঠা মুখ, তাগড়া জোয়ান
উদগত কর্মের শেষে অতৃপ্তির আশ্লেষে
গজরাবে, একদিন সময়ের অন্তে সময়
তড়পাবে, ভোরের সূর্য পশ্চিমে অস্ত যাবে
একদিন মধ্যাহ্নের পরে পেলব বাতাসে
গ্রহণ দেখা দেবে, ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ সাগরে শান্ত
সমাহিত নৌকা তলানিতে ঠেকবে
একদিন সুরেলা সুরের পাখি কণ্ঠের
জড়তায় ভুল সুরে গাইবে বেহাগ
একদিন থেমে যাবে নদীকথা, পাখিকথা
একদিন মুছে যাবে জীবনের পাপ
একদিন জীবনের প্রবল প্রাবল্য লুপ্ত হবে
তবু থেকে যাবে মায়া, থেকে যাবে ঘামের চিহ্ন

শেষ বিকেলের ভাবনা…

শেষ বিকেলের ভাবনা…

বয়স হচ্ছে পাকছে চুল
হচ্ছে সাদা গোঁফ
তুলশী তলায় জ্বলছে বুঝি
সন্ধ্যা বেলার ধূপ
আসছে আঁধার কমছে জ্যোতি
চশমা পড়া চোখ
পারাপারের সময় কবে
জানতে মন উৎসুক
হাঁটার গতি কমে গেছে
ক্লান্ত শরীর মন
কে আছে আর সাঁঝের বেলা
করিবে যতন…
সময় বুঝি ফুরিয়ে গেছে
ফুরিয়ে সময় যায়
শেষের বেলা কেউ কি আছে
বাঁধিবে মায়ায়
কেউ কি আছে হাতটা ধরে
বলবে এসে যাচি
ভয় পেয় না যাবার বেলা
সঙ্গে তোমার আছি…

অতিথি-নিবাস

অতিথি-নিবাস

মাঝে মাঝে ছায়াপথের নক্ষত্র হতে মন চায়
ফিরে আসি তাই ছেলেবেলার কাছে
আমার বন্ধুরা প্রায়ই দূরে যায়, দূর বিহারে
আমি দূরে গেলে পিছু ডাকে নারকেলডাঙা

অসময়ে আধপাকা চুল, পেয়ে গেছি গেটপাস
লেমন ফ্লেভার বিকেলের চা, নীরস চুমুক
আমার বন্ধুরা অন্ত-পুরবাসী, অবক্ষয়ে নতজানু
আমি অন্ত-পুরবাসী হলে কেঁদে উঠে অতিথি-নিবাস

সুতো ছেঁড়া স্মৃতির ঘুড়িগুলি খুঁজে উৎসমুখ
রঙের অভাবে ছেলেবেলা স্তব্ধ ফড়িং
সুরার গেলাস হাতে আমার বন্ধুরা প্রলেতারিয়েত
আমি গেলাস নিলে তড়পায় মধ্যবিত্ত সংস্কার

প্রাণের শালিক যায় দূরে, দূর বিদেশে
ঘন রোদের আঁচে ভিতর জানালা বন্ধ
যে যাবার যাক, পাখির পালক
আমি শুধু আঁকড়ে থাকি অতিথি নিবাস…

হৃদকমল

হৃদকমল

আমি হাঁটার সাথে মাটি হাঁটে
হাওয়ায় টের পাই উৎফুল্লতা
পরিবেশ পরিপাশে আত্মীয়তার
আগ্রহ দেখে পুনরায় নিজের দরজায়
ঠোকরাই, ডেকে নিবে আপন আলয়
প্রসারিত দুই হাতের মধ্যে এঁটে যাবে
নির্মল শৈশব, দুরন্ত কৈশোরের পরে
টগবগে যৌবন থমকে গেলে, মধ্য বয়সী
ধাতে আমি লাগাম লাগাই, পরন্ত
বেলায় অন্ধকার ধেয়ে আসছে দেখে
পোষাক পাল্টাই, স্মৃতি পাড়ে আসে
পরিচিত মুখের ঝাপসা অবয়ব। আমি
তারে গুনতে থাকি মিলানোর চেষ্টায়…

ফিরে দেখি, হেঁটে গেলে ফিরে পাই
পাতার আওয়াজ, অনাদরে ঝরেছে
যেসব সেসব আমারই সাথী একসাথে
পেরিয়েছে বসন্তের পরিপথ। সময় এখন
ফিরে দেখার বেলা পিছনে তাকালে দেখি
মন্দ কাটে নি যতটুকু সম্ভব ছিল করেছি
এখন ঝরে যাওয়ার বেলা… পাতার ঝরেছে
নতুন শাখারা প্রস্তুত। মৌমাছির গুঞ্জরিত
শব্দে পুবের আকাশে উঠে নতুন সূর্য…