মরুভূমির জলদস্যু এর সকল পোস্ট

KB-01- 00 - Copy

অধিবর্ষের আদি-অন্ত

অধিবর্ষ বা লিপইয়ার
Leap year

২০২০ সালটা হবে লিপইয়ার।
সাধারণ সৌর বছর গুলি ৩৬৫ দিনে হয়ে থাকে, কিন্তু লিপইয়ার হয় ৩৬৬দিন। ফেব্রুয়ারি মাস সাধারণত ২৮ দিনে হলেও লিপইয়ারের এই অতিরিক্ত ১দিন ফেব্রুয়ারি মাসে যোগ করে ২৯দিনে ফেব্রুয়ারি মাস গোনা হয়।

বর্তমানে আমরা যেই ক্যালেন্ডার ব্যবহার কি সেটি হচ্ছে গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার। এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৪ বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাসে অতিরিক্ত ১টি দিন যোগ করে আমরা তাকে অধিবর্ষ বা লিপইয়ার বলি।

কিন্তু কেন এই লিপইয়ার?

আমরা হিসাব করি ৩৬৫ দিনে এক বছর অর্থাৎ পৃথিবী সূর্যের চার দিকে একবার ঘুরে আসে ৩৬৫ দিনে। কিন্তু বছরের প্রকৃত দৈর্ঘ্য হল ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড , অর্থাৎ পৃথিবীর এই সময়টুকু লাগে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে। তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রতি বছর আমরা ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড সময় পিছিয়ে যাচ্ছি হিসেবে না ধরার দরুন। ফলে ৪ বছর পরে এই বাদ যাওয়া সময়টুকু দাঁড়ায় ২৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৪ সেকেন্ড বা প্রায় ২৪ ঘণ্টা। এই প্রায় ২৪ ঘণ্টাকে সমন্বয় করার জন্যই লিপইয়ারের আবিষ্কার।

লিপইয়ারের প্রচলন।

খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০ সালের পূর্বে ধরে নেয়া হয়েছিল ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টায় ১ সৌর-বছর হয়। গ্রীক জ্যোতির্বিদ হিপার্কাস খুব বেশী সম্ভব খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০ সালের দিকে ত্রিকোণমিতির সাহায্যে বের করেন পৃথিবী ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ১২ সেকেন্ডে সময়ে সূর্যকে একবার ঘুরে আসে।

খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ সালে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার এবং তার সহকারী জ্যোতির্বিদ সোসিজেনিস ৩৬৫ দিনে এক বছর হবে এবং প্রতি ৪ বছরে ১ দিন যোগ করে ৩৬৬ দিনে বছর গণনা হবে বলে নতুন গণনা পদ্ধতি শুরু করেন। সেটাই আজকের এই লিপইয়ার।

বেচারা ফেব্রুয়ারি

তখনকার নিয়মানুযায়ী বছরের ৭টি মাস হত ৩০ দিনে আর বাকি ৫টি মাস হত ৩১ দিনে। জুলিয়াস সিজার তৎকালীন পঞ্চম মাস কুইন্টালিসকে নিজের নামানুসারে জুলিয়াস নাম দেন, সেইটাই আজকের সপ্তম মাস জুলাই।

জুলিয়াস সিজার তখনকার প্রচলিত মাসের ক্রম পরিবর্তন করে তৎকালীন একাদশ মাস জানুয়ারিয়াস থেকে বছর গণনা শুরু করে। পরবর্তী রোমান সম্রাট অগাস্টাস পূর্ববর্তী ষষ্ঠ মাস সেক্সটিলিস এর নাম পাল্টে রাখেন অগাস্ট।

দুই রোমান সম্রাটই নিজেদের নামের মাস দুটিকে ৩১ দিন করে বরাদ্দ দেন । দুঃখজনক ভাবে এই দুটি দিনই দুই সম্রাট কেটে নেন বেচারা ফেব্রুয়ারির কোঠা থেকে, ফলে ফেব্রুয়ারির ৩০ দিনের দৌড় গিয়ে থেমে যায় ২৮ দিনে। এই জন্যই বেচারা ফেব্রুয়ারির প্রতি দয়া দেখিয়ে লিপইয়ারের অতিরিক্ত ১টি দিন গিয়ে তার ভাগ্যে জোটে।

আরও কিছু সমস্যা

সম্রাট জুলিয়াস সিজার এর তৈরি এই লিপইয়ারও কিন্তু সময়ের সমস্যা পুরোপুরি দূর করতে পারেনি, কারণ সেখানে ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টায় এক সাধারণ সৌর-বছর ধরেছিলেন আর প্রতি চার বছর পরপর ৬×৪ = ২৪ ঘণ্টা বাড়িয়ে ৩৬৬ দিনে লিপইয়ার ধরেছিলেন। ফলে প্রতি বছরেই অতিরিক্ত কয়েক মিনিট যোগ হতে থাকে।

পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরী দেখেন যে ৩৬৫ দিনে বছর ধরলে চার বছরে ২৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৪ সেকেন্ড সময় অতিরিক্ত থেকে যায়, আবার ১ দিন বাড়ালেও কিছুটা অতিরিক্ত বাড়ানো হয়।

তিনি হিসাব করে দেখলেন যে ৪০০ বছরে মোট ৯৬ দিন ২১ ঘণ্টা ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ড বাড়ানো দরকার, কিন্তু ৪ দিয়ে বিভাজ্য সাল গুলিকে লিপইয়ার ধরলে দিনের সংখ্যা হয় ১০০টি। দেখা যাচ্ছে ৪০০ বছরে ১০০টি লিপইয়ার না হয়ে ৯৭টি লিপইয়ার হলেই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠা যায়। তাই তিনি ঠিক করলেন যে সমস্ত সাল গুলি ১০০ দিয়ে বিভাজ্য হবে সেগুলিকে লিপইয়ার হতে হলে অবশ্যই ৪০০ দিয়েও বিভাজ্য হতে হবে। এই হিসাব অনুযায়ী ২১০০, ২২০০, ২৩০০ সাল লিপইয়ার হবে না তবে ২৪০০ সাল লিপইয়ার হবে ।

১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরী হিসাব করে দেখলেন যে, সম্রাট জুলিয়াস সিজারের ক্যালেন্ডারে চলতে চলতে সূর্যের সাথে সঠিক সময় না মানায় আমরা প্রায় ১০ দিন এগিয়ে আছি। তাই তিনি সূর্যের সাথে প্রকৃত সামঞ্জস্য আনার জন্য ক্যালেন্ডার থেকে ১০ দিন বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেন । কিন্তু তার সেই প্রস্তাব তখন আমলে আনা হয় না, পরবর্তীতে ১৭৫২ সালে যখন ইংল্যান্ডে ক্যালেন্ডার সংশোধন করা হয় ততদিনে ১০ দিনের জায়গায় ১১ দিন বাদ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। ফলে ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে ২রা সেপ্টেম্বরের পরে ১১ দিন বাদ দিয়ে সরাসরি ১৪ সেপ্টেম্বরে চলে যেতে হয়। আর রাশিয়াতে এই সংস্কার করা হয় গত শতকে ১৩ দিন বাদ দিয়ে ।

কিন্তু এখানেই হিসাবের শেষ নয়।
উপরের হিসাবে ৪০০ বছরে মোট ৯৬ দিন ২১ ঘণ্টা ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ড এর বদলে আমরা বাড়িয়েছি ৯৭ দিন। তাহলে ৪০০ বছরে ২ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট ২০ সেকেন্ড ঘাটতি রয়ে যায়। এই হিসাবে প্রতি ৩৩০৫ বছরে ১ দিন কম পড়েগ্রেগরীর সংস্কার ১৬০০ সাল থেকে কার্যকর ধরে ৪৯০৫ সালে ১ দিন পুরো হয়ে যাবে। এই ১ দিনকে সমন্বয় করতে ৪৯০৪ অথবা ৪৯০৮ সালকে নন-লিপইয়ার ধরতে হবে । যদি ৪৯০৪ সালের লিপইয়ার বাদ দেওয়া হয় তবে ৪৮৯৬ সালের পর লিপইয়ার হবে ১২ বছর পর ৪৯০৮ সালে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে লিপইয়ারের ২টি সূত্র রয়েছে।
১। যে সালগুলি ৪ দ্বারা বিভাজ্য হবে সেগুলি লিপইয়ার।
২। যে সমস্ত সাল গুলি ১০০ দিয়ে বিভাজ্য হবে সেগুলিকে লিপইয়ার হতে হলে অবশ্যই ৪০০ দিয়েও বিভাজ্য হতে হবে।

NF_1_ (21) - Copy

বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুল – ০২

পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেরই জাতীয় ফুল রয়েছে। হাতে গোনা দুই-একটি দেশ তাদের জাতীয় ফুল নির্বাচন করেনি এখনো। এই লেখায় পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেরই জাতীয় ফুলের ইংরেজী নাম, বৈজ্ঞানিক নাম ও ফুলের ছবি দেয়া হবে।

যে ফুল গুলির বাংলা নাম আমার জানা আছে সেগুলির বাংলা নামও দেয়া থাকবে। যে ফুল গুলির বাংলা নামের ঘর ফাঁকা থাকবে বুঝতে হবে সেটির বাংলা নাম আমার জানা নেই। আপনাদের কারো জানা থাকলে মন্তব্যে জানালে সেটি যোগ করে দেয়া হবে। প্রতি পর্বে ১০টি করে দেশের নাম ও তাদের জাতীয় ফুল দেখানো হবে। দেশের নামগুলি ইংরেজী বর্ণানুক্রমিক সাজানো হবে।

১১। দেশের নাম : Barbados বার্বাডোস

জাতীয় ফুলে নাম : রাধাচূড়া
ইংরেজী নাম : Pride of Barbados, Dwarf Poinciana, Flower Fence
বৈজ্ঞানিক নাম : Caesalpinia pulcherrima

১২। দেশের নাম : Belarus বেলারুশ

জাতীয় ফুলে নাম : তিসি ফুল
ইংরেজী নাম : Flax , linseed
বৈজ্ঞানিক নাম : Linum Usitatissimum

১৩। দেশের নাম : Belgium বেলজিয়াম

জাতীয় ফুলে নাম : লাল পপী ফুল
ইংরেজী নাম : Red Poppy
বৈজ্ঞানিক নাম : Papaver Rhoeas

১৪। দেশের নাম : Belize বেলিজ

জাতীয় ফুলে নাম : কালো অর্কিড
ইংরেজী নাম : Black Orchid
বৈজ্ঞানিক নাম : Trichoglottis Brachiata

১৫। দেশের নাম : Bermuda বারমুডা

জাতীয় ফুলে নাম :
ইংরেজী নাম : Blue-eyed Grass
বৈজ্ঞানিক নাম : Sisyrinchium Montanum

১৬। দেশের নাম : Bhutan ভুটান

জাতীয় ফুলে নাম : নীল পপী ফুল
ইংরেজী নাম : Blue poppy , Meconopsis baileyi, Himalayan blue poppy
বৈজ্ঞানিক নাম : Meconopsis Betonicifolia

১৭। দেশের নাম : Bohemia বোহেমিয়া

জাতীয় ফুলে নাম :
ইংরেজী নাম : Thyme, German thyme, Garden thyme
বৈজ্ঞানিক নাম : Thymus Vulgaris

১৮। দেশের নাম : Bolivia বোলিভিয়া

জাতীয় ফুলে নাম :
ইংরেজী নাম : Kantuta, Qantu, Qantus, Qantuta
বৈজ্ঞানিক নাম : Cantua Buxifolia

১৯। দেশের নাম : Brazil ব্রাজিল

জাতীয় ফুলে নাম :
ইংরেজী নাম : Cattleya Orchid, Crimson Cattleya or Ruby-lipped Cattleya
বৈজ্ঞানিক নাম : Cattleya Labiata

২০। দেশের নাম : British Columbia ব্রিটিশ কলাম্বিয়া

জাতীয় ফুলে নাম :
ইংরেজী নাম : Dogwood Tree Flower, Pacific dogwood, Mountain dogwood, Western dogwood, California dogwood
বৈজ্ঞানিক নাম : Cornus Nuttalli

ঘোষণা : প্রায় সবগুলি ফুলের ছবি নেট থেকে, বিশেষ করে উইকি থেকে সংগ্রহ করা হবে। কিছু ছবি আমার নিজের তোলা আছে।

NF_1_ (20)

বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুল – ০১

বলুনতো বাংলাদেশের জাতীয় ফুল কোনটি?
যদি আপনার উত্তর হয় “শাপলা” তাহলে আপনার উত্তর ভুল হয়েছে।
বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের নাম “সাদা শাপলা”

পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেরই জাতীয় ফুল রয়েছে। হাতে গোনা দুই-একটি দেশ তাদের জাতীয় ফুল নির্বাচন করেনি এখনো।
এই লেখায় পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেরই জাতীয় ফুলের ইংরেজী নাম, বৈজ্ঞানীক নাম ও ফুলের ছবি দেয়া হবে।

যে ফুল গুলির বাংলা নাম আমার জানা আছে সেগুলির বাংলা নামও দেয়া থাকবে।
যে ফুল গুলির বাংলা নামের ঘর ফাঁকা থাকবে বুঝতে হবে সেটির বাংলা নাম আমার জানা নেই।
আপনাদের কারো জানা থাকলে মন্তব্যে জানালে সেটি যোগ করে দেয়া হবে।

প্রতি পর্বে ১০টি করে দেশের নাম ও তাদের জাতীয় ফুল দেখানো হবে।
দেশের নামগুলি ইংরেজী বর্ণানুক্রমিক সাজানো হবে।

১। দেশের নাম : Antigua & Barbuda অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা

জাতীয় ফুলে নাম :
ইংরেজী নাম : Dagger’s Log
বৈজ্ঞানিক নাম : Agave Karatto Miller

২। দেশের নাম : Argentina আর্জিণ্টিনা


জাতীয় ফুলে নাম :
ইংরেজী নাম : Ceibo
বৈজ্ঞানিক নাম : Erythrina Crista-galli

৩। দেশের নাম : Armenia আরমেনিয়া
আরমেনিয়ার কোন জাতীয় ফুল নেই।

৪। দেশের নাম : Australia অস্ট্রেলিয়া

জাতীয় ফুলে নাম : সোনালী একাসিয়া, সোনালী আকাশমনি
ইংরেজী নাম : Golden Wattle
বৈজ্ঞানিক নাম : Acacia Pycnantha

৫। দেশের নাম : Austria অস্ট্রিয়া

জাতীয় ফুলে নাম :
ইংরেজী নাম : Edelweiss
বৈজ্ঞানিক নাম : Leontopodium Alpinum

৬। দেশের নাম : Azerbaijan আজেরবাইজান
আজেরবাইজানের কোন জাতীয় ফুল নেই।

৭। দেশের নাম : Bahamas বাহামা

জাতীয় ফুলে নাম : চন্দ্রপ্রভা, হলদে চন্দ্রপ্রভা, সোনাপাতি
ইংরেজী নাম : Yellow bells, Yellow trumpet, Yellow-Elder
বৈজ্ঞানিক নাম : Tecoma Stans

৮। দেশের নাম : Bahrain বাহরাইন
বাহরাইনের কোন জাতীয় ফুল নেই।

৯। দেশের নাম : Balearic Islands

জাতীয় ফুলে নাম :
ইংরেজী নাম : Carnation, clove pink
বৈজ্ঞানিক নাম : Dianthus Caryophyllus

১০। দেশের নাম : Bangladesh বাংলাদেশ

জাতীয় ফুলে নাম : সাদা শাপলা
ইংরেজী নাম : Water Lily
বৈজ্ঞানিক নাম : Nymphaea nouchali

ঘোষণা : প্রায় সবগুলি ফুলের ছবি নেট থেকে, বিশেষ করে উইকি থেকে সংগ্রহ করা হবে। কিছু ছবি আমার নিজের তোলা আছে।

VF -7- - Copy

ভূত ফুল

ভূতের নাম শুনলেই কেমন কেমন লাগে।
বিশেষ করে রাতের বেলা হঠাত বিদ্যুৎ না থাকলে অন্ধকারে বা মোমের লালচে আলোয় বসে ভূতের গল্প শুরু হলেতো কথাই নেই। ভূত বলে কিছু নেই এ কথা সত্য, কিন্তু ভূতের ভয় আছে ষোল আনাই।
তবে এখানে ভয়ের কিছু নেই। আজকের বিষয় ভূত নয়, বরং ভূত ফুল

কিছু বিশেষ ধরনের ফুলকে ইংরেজিতে Ghost Flower বা বাংলায় ভূত ফুল বলা হয়। যদিও ভূতের সাথে এই সমস্ত ফুলের কোন সম্পর্ক নেই। বরং এই সমস্ত ফুলের বেশ কিছু ভেজষ গুণাগুণ রয়েছে। নিচে সেই সমস্ত ভূত ফুলের ছবি রইলো।

১।
Common name : Rosy Ghost Orchid, Rose Epipogium

Botanical name : Epipogium roseum
Family : Orchidaceae (Orchid family)
Synonyms : Epipogium indicum, Limodorum roseum

২।
Common name : Holy Ghost Orchid, Dove Orchid

Botanical name : Peristeria elata
Family : Orchidaceae (Orchid family)

৩।
Common name : Magenta Ghost Flower

Botanical name : Christisonia tubulosa
Family : Orobanchaceae (Broomrape family)

৪।
Common name : Forest Ghost Flower

Botanical name : Aeginetia indica
Family : Orobanchaceae (Broomrape family)

৫।
Common name : Yellow Ghost Orchid, Mountain Pauper Orchid, , Yellow Claw Orchid, Pauper orchid

Botanical name : Aphyllorchis montana
Family : Orchidaceae (Orchid family)
Synonyms : Aphyllorchis prainii, Aphyllorchis odoardii, Aphyllorchis unguiculata

৬।
Common name: Yellow Ghost Flower

Botanical name : Aeginetia pedunculata
Family : Orobanchaceae (Broomrape family)
Synonyms : Aeginetia acaulis, Aeginetia saccharicola

৭।
Common name : Indian Pipe, Ghost Flower, Ghost Flower

Botanical name : Monotropa uniflora
Family : Ericaceae (Blueberry family)

বি.দ্র. প্রতিটি ছবি নেট থেকে সংগ্রহীত

MS-09- (24) - Copy

৯ ঘরের জাদুবর্গ বা ম্যাজিক স্কয়ারা তৈরির কৌশল

জাদুবর্গ বা ম্যাজিক স্কয়ারা


১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলি দিয়ে এমন একটি জাদুবর্গ তৈরি করা হয় যার যেকোনো কলাম বা সারির সংখ্যা তিনটির যোগফল হয় ১৫।
এই জাদু বর্গটি দেখেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। আর আমরা অনেকেই হয়তো বার বার চেষ্টা করেছি এটি মিলাতে। কেউ কেউ সফল হয়েছি, কেউ বা হইনি। যারা সফল হয়েছেন তাদের জানাই অভিনন্দন। আর যারা সফল হননি তাদের জন্য এই টপিক। একবার শুধু চোখ বুলিয়ে যান, দেখবেন আর কখনো ভুলবেননা এই নিয়ম। তাহলে নিচের ছবিগুলিতে দেখুন এবার, কি করে তৈরি করবেন ৩x৩ এর জাদুবর্গ।

তৈরি হয়ে গেলো আপনার ৩x৩ এর জাদুবর্গ।
এই একটা জাদুবর্গ ব্যবহার করে আপনি আরো আনেকগুলি জাদুবর্গ তৈরি করতে পারবেন। সামান্য বুদ্ধি খাটান।

আশাকরি ৩x৩ এর জাদুবর্গ তৈরি করতে আপনাদের আর কারো কোনো সমস্যা হবে না।

আজ এখানে দেখলেন কি করে তৈরি করতে হয় ৩x৩ এর জাদুবর্গ।
আগামীতে আরো বড় জাদুবর্গ তৈরির কৌশল নিয়ে হাজির হবো। ততো দিন ভালো থাকবেন সকলে।

7 - Sonakand Durgo (67) - Copy - Copy

ফুলের নাম : মাধবীলতা

ফুলের নাম : মাধবীলতা

আমরা অনেকেই মধুমঞ্জরী ফুলকে ভুল করে মাধবীলতা নামে চিনি। মধুমঞ্জরীই মাধবীলতা নামে বেশী পরিচিত।


মধুমঞ্জরী

অথচ দুটি আসলে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন ফুল। আমি মোটামুটি নিশ্চিত আমাদের মধ্যে গড়ে ৮০% লোক এই আসল মাধবীলতা ফুল কখনো দেখিনি। বাংলাদেশে মাধবীলতা বেশ রেয়ার হয়ে গেছে। তাই নামে চিনলেও একে দেখার সুযোগ খুব কম লোকেরই হয়েছে।

মাধবীলতা ফুল ফোটার সময় বসন্ত ও গ্রীষ্ম ঋতু হলেও কখনো কখনো বর্ষা পর্যন্ত ফোটে। তবে সমস্যা হচ্ছে ফুল ফোটা শুরু হলে খুব অল্প দিনের মধ্যেই সমস্ত ফুল ফুটে যায়। ফলে ফুল দেখার সুযোগ কমে যায়।

মাধবীলতার অন্যান্য নাম : মণ্ডপ, কামী, পুষ্পেন্দ্র, অভীষ্টগন্ধক, অতিমুক্ত, বিমুক্ত, কামুক, ভ্রমরোৎসব ইত্যাদি।
ইংরেজি ও কমন নাম : Hiptage
বৈজ্ঞানিক নাম : Hiptage benghalensis

নাম থেকেই বুঝা যায় মাধবী লতানো গাছ, মূলত বৃক্ষারোহী লতানো গাছ, অন্য বড় কোন গাছকে আশ্রয় করে ছড়িয়ে পরে। মাধবীলতা দীর্ঘজীবী গাছ। অনেক বছরের পুরনো গাছ তখন বেশ কাষ্ঠল মোটা হয়ে উঠে। গাছে কোন কাটা থাকে না।

মাধবীর ফুল গুচ্ছবদ্ধ ও বিন্যাস সুসংবদ্ধ। মুকুলগুলো সূক্ষ্ম রোমে ভরা।
ফুল সাদা রঙের, পাঁচটি পাপড়ি এবং তার মধ্যে পঞ্চম পাপড়িটির গোড়ার দিক হলদেটে।
মাধবীলতা ফুল সুগন্ধযুক্ত।

ফুল থেকে ফল হয়, বীজ থাকে ২/৩টি এবং তা রোমশ। ফল দেখতে বেশ সুন্দর মনে হয় ভিন্ন আরেকটি ফুল।
গাছের পাতা বিপরীতমুখী, আয়তকার, বোঁটার দিক থেকে আগা ক্রমশ সরু, সাধারণত ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা হয়। অনেকটা চাঁপা ফুলের পাতার মতো।

মাধবী অযত্নেও বাড়ে, বীজ থেকে চারা হয়, ডাল কেটে মাটিতে পুঁতে রাখলেও চারা পাওয়া যায়।

মাধবীলতা গাছ বেশ কম দেখা যায়। দেখতে চাই যেতে পারেন রমনা পার্কে, আর আছে মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে।

তথ্য সূত্র : বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহীত ও পরিমার্জিত। তথ্যে কোন ভুল থাকলে জানানোর অনুরোধ রইলো।
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : রমনা পার্ক, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ২৭/০২/২০১৮ ইং

10 T Bhoromon Chitro_06_ (13)

বারবিকিউ ইন কামিনী ঘাট (তৃতীয় অংশ)

বারবিকিউ ইন কামিনী ঘাট এর প্রথম দুই পর্বের পরে আজ ৩য় পর্ব। গত দুই পর্বের মতো এই পর্বেও ছবির সাথে ক্যাপশন দিয়েই দেখানো হয়েছে অনেক কষ্টে ভেজা মাটিতে আগুন জ্বালানোর পরে কি করে আস্ত খাসীটিকে বারবিকিউ শিকে ঢুকিয়ে গুনা দিয়ে বেঁধে আগুনে চড়ানো হয়েছে। ভিজে কাঠে আগুন ধরেছে, সেই সাথে পেটে খিদের আগুন জ্বলছে তখনও না খেয়ে থাকা কজনের। ছবিতে দেখুন সেই সব কাহিনী……

১।

২।

৩।

৪।

৫।

৬।

৭।

৮।

৯।

আজ তবে এটুকুই রইলো……

2018-November-Calendar

ক্যালেন্ডারের খেলা

ক্যালেন্ডারের যেকোনে একটি মাস নিন।
যে কলামে ৪টি তারিখ আছে তা যোগ করে আমাকে যোগফল বলুন, তাহলেই আমি বলে দিতে পারবো কোন সংখ্যা ৪টি আপনি যোগ করেছেন।
এটা বলার জন্য কোন সালের কোন মাসের ক্যালেন্ডার নিয়েছেন তা আমাকে জানানোর দরকার নেই।

ব্যাখ্যাঃ ধরি আপনার তারিখ চারটির যোগফল (৫+১২+১৯+২৬)=৬২

আপনার প্রথম তারিখটি হবে :
(যোগফল – ৪২) ÷ ৪
= (৬২ – ৪২) ÷ ৪
= ২০ ÷ ৪
=

আপনার ২য় তারিখটি হবে :
৫+৭ = ১২

আপনার ৩য় তারিখটি হবে :
১২+৭ = ১৯

আপনার ৪র্থ তারিখটি হবে :
১৯+৭ = ২৬

এবার আপনি চেষ্টা করে দেখুন।

7 - Sonakand Durgo (67) - Copy - Copy

আরও কিছু গামারি

গত বছর ২০১৭ সালের ৬ই মার্চ এবং এই বছর ২০১৮ সালের ৩ মার্চ ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত বোটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়ে গামারি ফুলের অনেক গুলি ছবি তুলেছিলাম।

বেশ কিছুদিন আগে দুটি আলাদা আলাদা টপিকে গামারি ফুলের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছি আমি। আজ আরো কিছু গামি ফুলের ছবি দিচ্ছি।

ফুলের নাম : গামারি
অন্যান্য নাম : গামার, গাম্বার, সুভদ্রা, কৃষ্ণবৃন্তা, শ্রীপর্ণী, কম্ভারী, গোপভদ্রা, মধুমতি, সুফলা, মেদেনী, কাশ্মরী, ভ্রমরপ্রিয়া ইত্যাদি।
ইংরেজি ও কমন নাম : Chandahar Tree, Cashmere Tree, Comb Teak, White Teak ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Gmelina arborea

KB-01- 00

কড়ায়-গণ্ডায় হিসাব

ইহা একটি অকেজো জ্ঞান
জ্বি, আজ আপনাদের সামনে একটি অকেজো জ্ঞানকেই হাজির করছি। কেন বলছি অকেজো জ্ঞান? কারণ আজ যে বিষয়টি আপনাদের সামনে হাজির করবো তার প্রচলন অনেক অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। ফলে এটা জেনে কখনোই কোনো কাজে লাগাতে পারবেন না, আর তাই যে জ্ঞান কোনো কাজে লাগেনা তাকে তো অকেজো জ্ঞানই বলে!! তাহলে শুরু করা যাক:

আমরা জানি-
৪ আনা = ২৫ পয়সা।
৮ আনা = ৫০ পয়সা।
১৬ আনা = ১০০ পয়সা বা ১ টাকা।
১ টাকা = ১০০ পয়সা।
কিন্তু এই “আনার” আগের হিবাসগুলি কি কি?

আমরা মাঝে মাঝেই বলতে শুনি –
– “তোমার কথার দু আনা দামও নেই।”
– “তোমার কানা কড়ি মূল্য নেই।”
– “পাই পয়সার হিসাব চাই।”
– “আমার হিসাব কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নিবো।”

ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু কথা হচ্ছে টাকা, আনা, পাই, কড়ি, গণ্ডা ইত্যাদির মূল্যমান বা হিসাব পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের কতোটা ধারনা আছে!!!

ছোট্ট একটা তালিকা দেখুন – এই তালিকার সাথে আবার উপরের বর্তমানে প্রচলিত হিসাবের মূল্যমান মিলানোর চেষ্টা করবেন না। এই তালিকাটি হচ্ছে সেই আদিকালে ব্যবহৃত আমাদের আদি বাংলার মূদ্রামূল্য বিন্যাস। সেই আদিকালে আমাদের দেশের মুদ্রাবিভাজন ছিলো নিম্ন রূপ-

২ অর্দ্ধ-পয়সা বা ৩ পাই = ১ পয়সা।
২ পয়সা বা ৬ পাই = ১ ডাবল পয়সা।
৪ পয়সা বা ২ ডাবল পয়সা = ১ আনা।
২ আনা বা ৪ ডাবল পয়সা = ১ দুয়ানি।
৪ আনা বা ২ দুয়ানি = ১ সিকি।
২ সিকি বা ৪ দুয়ানি = ১ আধুলি।
২ আধুলি বা ৪ সিকি বা ১৬ আনা = ১ টাকা।
১৬ টাকা = ১ মোহর।

এখানে বলে রাখা ভালো …
* অর্দ্ধ-পয়সা, পাই, পয়সা ও ডাবল পয়সা এই চারটি ছিল তাম্রমুদ্রা।
* দুয়ানি, সিকি, আধুলি ও টাকা ছিল রৌপ্যমুদ্রা।
* মোহর ছিল স্বর্ণমুদ্রা।
এগুলি সবই অতীত। বর্তমানের সাথে মিলানোর অপচেষ্টা না করাই ভালো।

এই তিন ধরনের তাম্রমুদ্রা, রৌপ্যমুদ্রা ও স্বর্ণমুদ্রা ছাড়াও কড়ির ব্যবহার মুদ্রা হিসেবে প্রচলন ছিল। যেমন-
* ৪ কড়া = ১ গণ্ডা
* ৫ গণ্ডা = ১ বুড়ি বা পয়সা।
* ৪ বুড়ি বা পয়সা = ১ পণ বা আনা।
* ৪ পণ বা আনা = ১ চৌক।
* ৪ চৌক বা ১৬ পণ = ১ টাকা বা কাহন।

ধরুন আপনি যদি বলেন “আমার হিসাব কড়ায়-গণ্ডায় বুঝিয়ে দাও।” তাহলে বিষয়টি হচ্ছে ১ টাকার (১৬×৪×৫×৪) = ১২৮০ ভাগের এক ভাগ পর্যন্ত নিখুঁতভাবে আপনাকে বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলছেন।

যাই হোক কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নেয়ার চেয়েও যদি আরো বেশি নিখুঁত ভাবে বুঝে নেয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে তার ব্যবস্থাও ছিল সেই যুগে।

২০ বিন্দু = ১ ঘূণ
১৬ ঘূণ = ১ তিল
২০ তিল = ১ কাক
৪ কাক = ১ কড়া

আবার অন্য আরেকটি মূলমানও ছিলো-
৩ যব = ১ দন্তী
৩ দন্তী = ১ ক্রান্তি
৩ ক্রান্তি = ১ কড়া।

তাছাড়া আরো একটি ক্ষুদ্র মূল্যমাণ ছিলো এমন
৩২০ রেণু = ৭দ্বীপ = ৫ তাল = ১ কড়া।

এবার শেষ করবো এই অকেজো জ্ঞানের প্যাচাল। এই পুরো লেখাটির সমস্তু তথ্য নিয়েছি পঞ্চানন ঘোষের লেখা “শুভঙ্করী” বইটি থেকে
তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ একটি শুভঙ্করের মূদ্রাবিভাজন সম্পর্কিত আর্য্যা দিয়ে শেষ করছি।

“চারি কাকে বটৈক জানি, তিন ক্রান্তি বট বাখানি।
নবদন্তী করিয়া সার, সাতাইশ যবে বট বিচার।
আশি তিলে বটঙ্কর, লেখার গুরু শুভঙ্কর।।”

ভালো থাকবেন সকলে।

25591792_1745115755538726_4156128952430206254_n - Copy

বারবিকিউ ইন কামিনী ঘাট (দ্বিতীয় অংশ)

কামিনী ঘাটে যাব আমরা বারবিকিউ করতে।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমরা কেউই চিনি না কামিনী ঘাটে যাবার পথের হদিস। জানি না কি করে কামিনী ঘাটে যেতে হবে।
তবুও ইকবাল ভাইকে বারবার কল করে আর পথে দেখা হওয়া জেলেদের জিজ্ঞাসা করতে করতে এক সময় ঠিকই পৌঁছে যাই কামিনী ঘাট। ততক্ষণে অবশ্য দুপুর গড়িয়ে গেছে।
ট্রলার থেকে নেমেই আমরা কয়েকজন লেগে পড়ি আগুন জ্বালাবার কাজে, বাকিরা বসে যায় দুপুরের খানা খেতে। ভেজা মাটিতে কত কষ্ট করে যে আগুন ধরিয়েছি…

আজ কাহিনীর দ্বিতীয় অংশে তারই কয়েকটা ছবি দেখুন “বারবিকিউ ইন কামিনী ঘাট (প্রথম অংশ)” এরই মত উইথ ক্যাপশন।

আগামী পর্বে বাকি অংশ দেখার নিমন্ত্রণ রইলো।

25591792_1745115755538726_4156128952430206254_n - Copy

বারবিকিউ ইন কামিনী ঘাট (প্রথম অংশ)

২৮/০৮/২০১৩ইং আমরা ক’জন মিলে আয়োজন করেছিলাম একটি জল ভ্রমণের। আয়োজক ছিলাম আমরা ৫ বন্ধু আর ইনভাইটেট ছিল আরো ৮ জন। এক দিন আগেই একটি বোট ভাড়া করে রেখেছিলাম আমরা। ২৭ তারিখ বিকল থেকেই সমস্ত বাজার শেষ করে ফেলি শুধু সালাদের উপকরণটা বাদে। আয়োজন ছিল খুবই সাদা-সিধা সাদা ভাত, ডাল, আলু ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তা, শুটকি ভর্তা, মুরগির সাদা ঝাল মাংস

প্রোগ্রামটা ছিল এমন –
সকালে হোটেলে নাস্তা করে সাঁতারকুল থেকে উঠবো বোটে সকাল ১০টা মধ্যে।
নাগরির কাছে কামিনী ঘাটে এক বড় ভাইয়ের খামারে গিয়ে দুপুরের খাবার শেষ করবো।
সেখানেই দুপুরের পর থেকে আস্ত একটা খাসি বারবিকিউ করা হবে।
সেই সাথে ১০টা মুরগিও নেয়া হয়েছে বারবিকিউ করার জন্য।
নানা ধরনের পানিয় নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত, যে যত খুশী পান করতে পারবেন এটা মাথায় রেখে।
সন্ধ্যার আগে আগে আবার উঠে পরবো বোটে, রাতের ১২টা পর্যন্ত ঘুরবো বোট নিয়েই।

সেই কাহিনীর প্রথম অংশ আজ দেখবেন ছবিতে।


বি.দ্র. বিড়ি ও নানা ধরনের পানিয় স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।

বি.দ্র. ছবিগুলি আমার তোলা নয়।
২০১৩ সালের ভ্রমণ, লেখাটাও তখনকারই, এখানে নতুন করে শেয়ার করলাম।
চলবে……

Joba_ (37)

ফুলের নাম : রক্ত জবা

কিছুদিন আগে থেকে “ঝুমকো জবা”, “পঞ্চমুখী জবা”, “বহুদল জবা”, “সাদা জবা”“লঙ্কা জবা” ফুলের বেশ কিছু ছবি দেখিয়েছি আপনাদের। আজ তারই ধারাবাহিকতায় দেখাবো আমার তোলা কিছু “রক্ত জবা” ফুলের ছবি।

রক্ত জবা
আপনারা জানেন জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটি পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্ত জবা, পঞ্চমুখী জবা, জবা কুসুম, সাদা জবা ইত্যাদি। এদের মধ্যে রক্ত জবা ফুলটিই খুব বেশী দেখা যায়। এই হিন্দুদের নানান পূজায় ব্যবহার করতে দেখা যায় সবচেয়ে বেশী।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেরাতে গিয়ে বেশ কিছু রক্ত জবা ফুলের ছবি তুলেছি আমি।
তাদের কিছু ছবি এই পোস্টে দেখতে পাচ্ছেন।
আশা করি দেখতে খারাপ লাগবে না।

জবার ইংরেজি নাম : Chinese hibiscus, China rose, Hawaiian hibiscus, shoeblackplant ইত্যাদি।
জবার বৈজ্ঞানিক নাম : Hibiscus rosa-sinensis

ভারতীয় উপমহাদেশে জবা ফুল বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন
বাংলায় : জবা
তামিলে : সেম্বারুথি
হিন্দিতে : জবা কুসুম
মালয়লমে : সেম্পারাত্তি

ইত্যাদি।

জবা পর্ব এইখানেই আপাততো শেষ হলো।

Joba_Moricha - (15)

ফুলের নাম : লঙ্কা জবা

কিছুদিন আগে থেকে “ঝুমকো জবা”, “পঞ্চমুখী জবা”, “বহুদল জবা”“সাদা জবা” ফুলের বেশ কিছু ছবি দেখিয়েছি আপনাদের। আজ তারই ধারাবাহিকতায় দেখাবো আমার তোলা কিছু “লঙ্কা জবা” ফুলের ছবি।

লঙ্কা জবা
আপনারা জানেন জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটি পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্তজবা, পঞ্চমুখী জবা, জবা কুসুম, সাদা জবা ইত্যাদি। এদের মধ্যে একটি বিশেষ জবা হচ্ছে লঙ্কা জবা

বাংলা নাম : লঙ্কা জবা, মরিচ জবা
অন্যান্য নাম : Wax mallow, Texas mallow, Sleepy hibiscus, Turk’s Turban ইত্যাদি
বৈজ্ঞানিক নাম : Malvaviscus penduliflorus

সাধারন জবার সাথে লঙ্কা জবার পার্থক্য হচ্ছে এর গঠনে। প্রায় সকল জবাই তাদের পাপড়ি গুলি ছড়িয়ে দিয়ে হাসি মুখে ফুটে থাকে। কিন্তু এই লঙ্কা জবা সম্পূর্ণ আলাদা। অন্য জবা থেকে একে খুব সহজেই আলাদা করে চেনা যায় এর লঙ্কা বা মরিচের মত আকৃতি দেখে। মরিচের মত দেখতে বলেই একে লঙ্কা জবা বা মরিচা জবা বরে। তাছাড়ি এতে বেশ মধু হয় বলে বাচ্চারা মধু জবাও বলে।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেরাতে গিয়ে বেশ কিছু লঙ্কা জবা ফুলের ছবি তুলেছি আমি। তাদের কিছু ছবি এই পোস্টে।
ছবিগুলি তুলেছি সিরাজ শাহ-্এ মাজার, নারায়ণগঞ্জ থেকে ২৪/১২/২০১৭ ইং তারিখে।

আগামী পর্ব দেখবো “রক্ত জবা” ফুল।

Joba_1_ (12)

ফুলের নাম : সাদা জবা

কিছুদিন আগে থেকে “ঝুমকো জবা”, “পঞ্চমুখী জবা”“বহুদল জবা” ফুলের বেশ কিছু ছবি দেখিয়েছি আপনাদের। আজ তারই ধারাবাহিকতায় দেখাবো আমার তোলা কিছু “সাদা জবা” ফুলের ছবি।

সাদা জবা
আপনারা জানেন জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটি পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্তজবা, পঞ্চমুখী জবা, জবা কুসুম, মরিচা জবা ইত্যাদি। এদের মধ্যে একটি বিশেষ জবা হচ্ছে সাদা জবা

সাধারন জবার সাথে সাদা জবার পার্থক্য হচ্ছে এর রং-এ। নানান রং এর জবা ফুল দেখতে পাওয়া যায়, তবে লাল রং এর আধিক্যই বেশী। আজকে যে জবার ছবি দেখাবো সেগুলির রং লাল নয়, বরং সাদা।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেরাতে গিয়ে বেশ কিছু সাদা জবা ফুলের ছবি তুলেছি আমি। তাদের ৯টি ছবি এই পোস্টে।
প্রথম ৪টি ছবি তুলেছি সিলেটের একটি সরকারী ডাকবংলোতে।
এবং শেষ ৫টি টাঙ্গাইলের বদরুন্নেছা মহলে।

আগামী পর্বে দেখাবো “মরিচা জবা”