বিভাগের আর্কাইভঃ অন্যান্য

VF -7- - Copy

ভূত ফুল

ভূতের নাম শুনলেই কেমন কেমন লাগে।
বিশেষ করে রাতের বেলা হঠাত বিদ্যুৎ না থাকলে অন্ধকারে বা মোমের লালচে আলোয় বসে ভূতের গল্প শুরু হলেতো কথাই নেই। ভূত বলে কিছু নেই এ কথা সত্য, কিন্তু ভূতের ভয় আছে ষোল আনাই।
তবে এখানে ভয়ের কিছু নেই। আজকের বিষয় ভূত নয়, বরং ভূত ফুল

কিছু বিশেষ ধরনের ফুলকে ইংরেজিতে Ghost Flower বা বাংলায় ভূত ফুল বলা হয়। যদিও ভূতের সাথে এই সমস্ত ফুলের কোন সম্পর্ক নেই। বরং এই সমস্ত ফুলের বেশ কিছু ভেজষ গুণাগুণ রয়েছে। নিচে সেই সমস্ত ভূত ফুলের ছবি রইলো।

১।
Common name : Rosy Ghost Orchid, Rose Epipogium

Botanical name : Epipogium roseum
Family : Orchidaceae (Orchid family)
Synonyms : Epipogium indicum, Limodorum roseum

২।
Common name : Holy Ghost Orchid, Dove Orchid

Botanical name : Peristeria elata
Family : Orchidaceae (Orchid family)

৩।
Common name : Magenta Ghost Flower

Botanical name : Christisonia tubulosa
Family : Orobanchaceae (Broomrape family)

৪।
Common name : Forest Ghost Flower

Botanical name : Aeginetia indica
Family : Orobanchaceae (Broomrape family)

৫।
Common name : Yellow Ghost Orchid, Mountain Pauper Orchid, , Yellow Claw Orchid, Pauper orchid

Botanical name : Aphyllorchis montana
Family : Orchidaceae (Orchid family)
Synonyms : Aphyllorchis prainii, Aphyllorchis odoardii, Aphyllorchis unguiculata

৬।
Common name: Yellow Ghost Flower

Botanical name : Aeginetia pedunculata
Family : Orobanchaceae (Broomrape family)
Synonyms : Aeginetia acaulis, Aeginetia saccharicola

৭।
Common name : Indian Pipe, Ghost Flower, Ghost Flower

Botanical name : Monotropa uniflora
Family : Ericaceae (Blueberry family)

বি.দ্র. প্রতিটি ছবি নেট থেকে সংগ্রহীত

MS-09- (24) - Copy

৯ ঘরের জাদুবর্গ বা ম্যাজিক স্কয়ারা তৈরির কৌশল

জাদুবর্গ বা ম্যাজিক স্কয়ারা


১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলি দিয়ে এমন একটি জাদুবর্গ তৈরি করা হয় যার যেকোনো কলাম বা সারির সংখ্যা তিনটির যোগফল হয় ১৫।
এই জাদু বর্গটি দেখেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। আর আমরা অনেকেই হয়তো বার বার চেষ্টা করেছি এটি মিলাতে। কেউ কেউ সফল হয়েছি, কেউ বা হইনি। যারা সফল হয়েছেন তাদের জানাই অভিনন্দন। আর যারা সফল হননি তাদের জন্য এই টপিক। একবার শুধু চোখ বুলিয়ে যান, দেখবেন আর কখনো ভুলবেননা এই নিয়ম। তাহলে নিচের ছবিগুলিতে দেখুন এবার, কি করে তৈরি করবেন ৩x৩ এর জাদুবর্গ।

তৈরি হয়ে গেলো আপনার ৩x৩ এর জাদুবর্গ।
এই একটা জাদুবর্গ ব্যবহার করে আপনি আরো আনেকগুলি জাদুবর্গ তৈরি করতে পারবেন। সামান্য বুদ্ধি খাটান।

আশাকরি ৩x৩ এর জাদুবর্গ তৈরি করতে আপনাদের আর কারো কোনো সমস্যা হবে না।

আজ এখানে দেখলেন কি করে তৈরি করতে হয় ৩x৩ এর জাদুবর্গ।
আগামীতে আরো বড় জাদুবর্গ তৈরির কৌশল নিয়ে হাজির হবো। ততো দিন ভালো থাকবেন সকলে।

7 - Sonakand Durgo (67) - Copy - Copy

ফুলের নাম : মাধবীলতা

ফুলের নাম : মাধবীলতা

আমরা অনেকেই মধুমঞ্জরী ফুলকে ভুল করে মাধবীলতা নামে চিনি। মধুমঞ্জরীই মাধবীলতা নামে বেশী পরিচিত।


মধুমঞ্জরী

অথচ দুটি আসলে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন ফুল। আমি মোটামুটি নিশ্চিত আমাদের মধ্যে গড়ে ৮০% লোক এই আসল মাধবীলতা ফুল কখনো দেখিনি। বাংলাদেশে মাধবীলতা বেশ রেয়ার হয়ে গেছে। তাই নামে চিনলেও একে দেখার সুযোগ খুব কম লোকেরই হয়েছে।

মাধবীলতা ফুল ফোটার সময় বসন্ত ও গ্রীষ্ম ঋতু হলেও কখনো কখনো বর্ষা পর্যন্ত ফোটে। তবে সমস্যা হচ্ছে ফুল ফোটা শুরু হলে খুব অল্প দিনের মধ্যেই সমস্ত ফুল ফুটে যায়। ফলে ফুল দেখার সুযোগ কমে যায়।

মাধবীলতার অন্যান্য নাম : মণ্ডপ, কামী, পুষ্পেন্দ্র, অভীষ্টগন্ধক, অতিমুক্ত, বিমুক্ত, কামুক, ভ্রমরোৎসব ইত্যাদি।
ইংরেজি ও কমন নাম : Hiptage
বৈজ্ঞানিক নাম : Hiptage benghalensis

নাম থেকেই বুঝা যায় মাধবী লতানো গাছ, মূলত বৃক্ষারোহী লতানো গাছ, অন্য বড় কোন গাছকে আশ্রয় করে ছড়িয়ে পরে। মাধবীলতা দীর্ঘজীবী গাছ। অনেক বছরের পুরনো গাছ তখন বেশ কাষ্ঠল মোটা হয়ে উঠে। গাছে কোন কাটা থাকে না।

মাধবীর ফুল গুচ্ছবদ্ধ ও বিন্যাস সুসংবদ্ধ। মুকুলগুলো সূক্ষ্ম রোমে ভরা।
ফুল সাদা রঙের, পাঁচটি পাপড়ি এবং তার মধ্যে পঞ্চম পাপড়িটির গোড়ার দিক হলদেটে।
মাধবীলতা ফুল সুগন্ধযুক্ত।

ফুল থেকে ফল হয়, বীজ থাকে ২/৩টি এবং তা রোমশ। ফল দেখতে বেশ সুন্দর মনে হয় ভিন্ন আরেকটি ফুল।
গাছের পাতা বিপরীতমুখী, আয়তকার, বোঁটার দিক থেকে আগা ক্রমশ সরু, সাধারণত ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা হয়। অনেকটা চাঁপা ফুলের পাতার মতো।

মাধবী অযত্নেও বাড়ে, বীজ থেকে চারা হয়, ডাল কেটে মাটিতে পুঁতে রাখলেও চারা পাওয়া যায়।

মাধবীলতা গাছ বেশ কম দেখা যায়। দেখতে চাই যেতে পারেন রমনা পার্কে, আর আছে মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে।

তথ্য সূত্র : বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহীত ও পরিমার্জিত। তথ্যে কোন ভুল থাকলে জানানোর অনুরোধ রইলো।
ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : রমনা পার্ক, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ২৭/০২/২০১৮ ইং

10 T Bhoromon Chitro_06_ (13)

বারবিকিউ ইন কামিনী ঘাট (তৃতীয় অংশ)

বারবিকিউ ইন কামিনী ঘাট এর প্রথম দুই পর্বের পরে আজ ৩য় পর্ব। গত দুই পর্বের মতো এই পর্বেও ছবির সাথে ক্যাপশন দিয়েই দেখানো হয়েছে অনেক কষ্টে ভেজা মাটিতে আগুন জ্বালানোর পরে কি করে আস্ত খাসীটিকে বারবিকিউ শিকে ঢুকিয়ে গুনা দিয়ে বেঁধে আগুনে চড়ানো হয়েছে। ভিজে কাঠে আগুন ধরেছে, সেই সাথে পেটে খিদের আগুন জ্বলছে তখনও না খেয়ে থাকা কজনের। ছবিতে দেখুন সেই সব কাহিনী……

১।

২।

৩।

৪।

৫।

৬।

৭।

৮।

৯।

আজ তবে এটুকুই রইলো……

2018-November-Calendar

ক্যালেন্ডারের খেলা

ক্যালেন্ডারের যেকোনে একটি মাস নিন।
যে কলামে ৪টি তারিখ আছে তা যোগ করে আমাকে যোগফল বলুন, তাহলেই আমি বলে দিতে পারবো কোন সংখ্যা ৪টি আপনি যোগ করেছেন।
এটা বলার জন্য কোন সালের কোন মাসের ক্যালেন্ডার নিয়েছেন তা আমাকে জানানোর দরকার নেই।

ব্যাখ্যাঃ ধরি আপনার তারিখ চারটির যোগফল (৫+১২+১৯+২৬)=৬২

আপনার প্রথম তারিখটি হবে :
(যোগফল – ৪২) ÷ ৪
= (৬২ – ৪২) ÷ ৪
= ২০ ÷ ৪
=

আপনার ২য় তারিখটি হবে :
৫+৭ = ১২

আপনার ৩য় তারিখটি হবে :
১২+৭ = ১৯

আপনার ৪র্থ তারিখটি হবে :
১৯+৭ = ২৬

এবার আপনি চেষ্টা করে দেখুন।

ভিন্ন স্বাদের ইন্দোনেশিয়ান রাইস “নাসি গরেং”

ইন্দোনেশিয়ান খাবার বলতে নাসি গরেং রাইসটাই সবাই এক নামে চেনেন। এতকাল কেবল রেস্তরাঁতেই খাওয়া হয়েছে এই খাবার? তাহলে আজ চলুন জেনে নিই ঘরেই দারুণ এই খাবার তৈরির রেসিপি।

যা লাগবে
রান্না করা ভাত ২ কাপ
পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ
আদা বাটা ১ চা চামচ
রসুন বাটা ১ চা চামচ
লেবুর রস ২ চা চামচ
সয়াসস ১ টেবিল চামচ
ওয়েস্টার সস ১ চা চামচ
ফিস সস ১ চা চামচ
লাল মরিচ পেস্ট হাফ চা চামচ ( ঝাল না চাইলে না দিলেও হবে )
পেঁয়াজ পাতা কুচি অল্প
২ টা ডিম-এর ঝুরি ( হালকা তেলে ফেটানো ডিম ভেজে ঝুরি করে নেয়া )
চিংড়ি মাছ খোসা ছাড়ানো হাফ কাপ
সেদ্ধ মটরশুটি অল্প
সেসেমি অয়েল / যে কোনো তেল ১ টেবিল চামচ
লবণ স্বাদমত

প্রনালি
-প্রথমে প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ দিন।
-হালকা লাল হলে এতে আদা-রসুন বাটা , চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করুন ৩ মিনিট।
-এখন এতে লাল মরিচ পেস্ট আর লেবুর রস দিয়ে রান্না করুন ২ মিনিট।
-এখন রান্না করা ভাত দিয়ে এতে একে একে সয়া সস, ওয়েস্টার সস , ফিস সস, ডিমের ঝুরি , সেদ্ধ মটরশুঁটি , পেঁয়াজ পাতা কুচি আর লবণ স্বাদমত দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন ৬ থেকে ৭ মিনিট।
যিনি এই রেসিপি দিয়ে রান্না করবেন তিনি আমার জন্য বেশী না মাত্র এক প্লেট পাঠিয়ে দিবেন নইলে……………………………………………।
সহজ রেসিপির সুত্রঃ

শীতে খেজুর খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। বিশেষ করে যদি শীতের দিনে প্রতিদিন খাওয়া যায়। এতে রয়েছে- ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ন্যাচারাল গ্লুকোজ এবং আঁশ। শীতে কেন খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো সেই বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক।

শরীর উষ্ণ রাখে
ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, ভিটামিন ও ম্যাগনেসিয়ামের চমৎকার উৎস খেজুর। আর খেজুরের এসব উপকরণ শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।

ঠাণ্ডা নিরাময়ে সাহায্য করে
ঠাণ্ডার সমস্যায় ভোগলে দুই-তিনটি খেজুর, কয়েকটি গোলমরিচ এবং এক-দুইটি এলাচ পানিতে দিয়ে সিদ্ধ হতে দিতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে দ্রবণটি পান করলে ঠাণ্ডা থেকে নিরাময় পাওয়া যাবে।

অ্যাজমা নিরাময়ে
অ্যাজমা এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা যা শীতের সময় বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১-২ টি খেজুর খেলে অ্যাজমা সমস্যা বৃদ্ধি পায় না।

শক্তি বর্ধক
খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকে বলে তাৎক্ষণিকভাবে শরীরে শক্তি যোগায়। শক্তি বৃদ্ধির প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিক কয়েকটি খেজুর খেয়ে নেয়া যেতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য
খেজুর আঁশযুক্ত খাবার। একগ্লাস পানিতে কয়েকটি খেজুর সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ভেজানো খেজুরগুলোকে পিষে নিতে হবে। এবং সিরাপ বানিয়ে খালি পেটে পান করতে হবে। এই সিরাপ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে।

হৃদপিন্ডের জন্য ভালো
খেজুর আঁশযুক্ত খাবার বলে হৃদপিন্ডকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। এটি হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে থাকতে সাহায্য করে বলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রতিরোধ হয়। বিশেষ করে শীতকালে।

আরথ্রাইটিসের জন্য ভালো
খেজুরে প্রদাহরোধী উপাদান আছে। এজন্য খেজুর খেলে আরথ্রাইটিসের ব্যথা কমে যা শীতের সময় খুব সাধারণ একটি বিষয়। তাই প্রতিদিন কয়েকটি খেজুর খাওয়া যেতে পারে।

ব্লাড প্রেশার কমায়
খেজুর ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। এই দুটি উপাদান রক্তচাপ কমতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন পাঁচ-ছয়টি খেজুর খাওয়া যেতে পারে।

ইত্তেফাক/সালেহ্

টিফিনে ঝটপট দই স্যান্ডউইচ


সকালের নাস্তা হোক কিংবা বিকেলের স্ন্যাক্স, অথবা বাচ্চাদের টিফিন বা অফিসের লাঞ্চে স্যান্ডউইচ
খাবারটি বেশ প্রচলিত। বাচ্চাদের টিফিন নিয়ে মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। ঝটপট টিফিন হিসেবে তৈরি করে দিতে পারেন দইয়ের এই স্যান্ডউইচটি। স্বাস্থ্যকর এই খাবারটি খেতে পছন্দ করবে যে কেউ। চলতে পারে অফিসের হালকা লাঞ্চেও। স্বাস্থ্যকর দই স্যান্ডউইচ। ছবি: সংগৃহীত
উপকরণ:
৩/৪ কাপ ঘন টকদই (গ্রিক ইয়োগার্ট)
১/৪ কাপ মেয়নিজ
১/২ চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো
১/৪ কাপ গাজর কুচি
লবণ
১/৪ কাপ বাঁধাকপি কুচি
১/৪ কাপ ক্যাপসিকাম কুচি
১/২ চা চামচ আদা কুচি
১/৪ কাপ কর্ন
৬ টুকরো পাউরুটি
২ চা চামচ মাখন
১ চা চামচ তিল
প্রণালী:
১। একটি পাত্রে ঘন টকদই, মেয়নিজ দিয়ে ভালো করে মেশান।
২। এরপর এতে গোল মরিচের গুঁড়ো, লবণ, গাজর কুচি, বাঁধাকপি কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, কর্ন, আদা কুচি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৩। এবার পাউরুটির দুইপাশ কেটে নিন। পাউরুটির মাঝে টকদইয়ের মিশ্রণটি দিয়ে সমান করে ছড়িয়ে দিন। এর উপর আরেকটি পাউরুটি দিয়ে ঢেকে দিন।
৪। প্যান বা তাওয়ায় মাখন দিয়ে দিন। মাখন গলে আসলে এতে কিছু তিল দিয়ে দিন। এর উপর পাউরুটি হাত দিয়ে নাড়ুন। পাউরুটির একপাশে মাখন এবং তিল লেগে যাওয়া পর্যন্ত (ভিডিও অনুযায়ী) নাড়তে থাকুন।
৫। এরপর আবার মাখন এবং তিল দিয়ে দিন। এর উপর পাউরুটির অন্যপাশ দিয়ে নাড়ুন।
৬। ব্যস তৈরি হয়ে গেলো দই স্যান্ডউইচ। হুটহাট অতিথি বলুন কিংবা বাচ্চাদের টিফিনে ঝটপট তৈরি করে পারেন দই স্যান্ডউইচ।

নিগার আলম – ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, সময়-১১:৪৫,
সূত্রঃ (প্রিয়.কম)
সূত্র: হিব্বারস কিচেন
সূত্রঃ সম্পাদনা : রুমানা বৈশাখী
বিভাগ: লাইফ রেসিপি খাবার

KB-01- 00

কড়ায়-গণ্ডায় হিসাব

ইহা একটি অকেজো জ্ঞান
জ্বি, আজ আপনাদের সামনে একটি অকেজো জ্ঞানকেই হাজির করছি। কেন বলছি অকেজো জ্ঞান? কারণ আজ যে বিষয়টি আপনাদের সামনে হাজির করবো তার প্রচলন অনেক অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। ফলে এটা জেনে কখনোই কোনো কাজে লাগাতে পারবেন না, আর তাই যে জ্ঞান কোনো কাজে লাগেনা তাকে তো অকেজো জ্ঞানই বলে!! তাহলে শুরু করা যাক:

আমরা জানি-
৪ আনা = ২৫ পয়সা।
৮ আনা = ৫০ পয়সা।
১৬ আনা = ১০০ পয়সা বা ১ টাকা।
১ টাকা = ১০০ পয়সা।
কিন্তু এই “আনার” আগের হিবাসগুলি কি কি?

আমরা মাঝে মাঝেই বলতে শুনি –
– “তোমার কথার দু আনা দামও নেই।”
– “তোমার কানা কড়ি মূল্য নেই।”
– “পাই পয়সার হিসাব চাই।”
– “আমার হিসাব কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নিবো।”

ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু কথা হচ্ছে টাকা, আনা, পাই, কড়ি, গণ্ডা ইত্যাদির মূল্যমান বা হিসাব পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের কতোটা ধারনা আছে!!!

ছোট্ট একটা তালিকা দেখুন – এই তালিকার সাথে আবার উপরের বর্তমানে প্রচলিত হিসাবের মূল্যমান মিলানোর চেষ্টা করবেন না। এই তালিকাটি হচ্ছে সেই আদিকালে ব্যবহৃত আমাদের আদি বাংলার মূদ্রামূল্য বিন্যাস। সেই আদিকালে আমাদের দেশের মুদ্রাবিভাজন ছিলো নিম্ন রূপ-

২ অর্দ্ধ-পয়সা বা ৩ পাই = ১ পয়সা।
২ পয়সা বা ৬ পাই = ১ ডাবল পয়সা।
৪ পয়সা বা ২ ডাবল পয়সা = ১ আনা।
২ আনা বা ৪ ডাবল পয়সা = ১ দুয়ানি।
৪ আনা বা ২ দুয়ানি = ১ সিকি।
২ সিকি বা ৪ দুয়ানি = ১ আধুলি।
২ আধুলি বা ৪ সিকি বা ১৬ আনা = ১ টাকা।
১৬ টাকা = ১ মোহর।

এখানে বলে রাখা ভালো …
* অর্দ্ধ-পয়সা, পাই, পয়সা ও ডাবল পয়সা এই চারটি ছিল তাম্রমুদ্রা।
* দুয়ানি, সিকি, আধুলি ও টাকা ছিল রৌপ্যমুদ্রা।
* মোহর ছিল স্বর্ণমুদ্রা।
এগুলি সবই অতীত। বর্তমানের সাথে মিলানোর অপচেষ্টা না করাই ভালো।

এই তিন ধরনের তাম্রমুদ্রা, রৌপ্যমুদ্রা ও স্বর্ণমুদ্রা ছাড়াও কড়ির ব্যবহার মুদ্রা হিসেবে প্রচলন ছিল। যেমন-
* ৪ কড়া = ১ গণ্ডা
* ৫ গণ্ডা = ১ বুড়ি বা পয়সা।
* ৪ বুড়ি বা পয়সা = ১ পণ বা আনা।
* ৪ পণ বা আনা = ১ চৌক।
* ৪ চৌক বা ১৬ পণ = ১ টাকা বা কাহন।

ধরুন আপনি যদি বলেন “আমার হিসাব কড়ায়-গণ্ডায় বুঝিয়ে দাও।” তাহলে বিষয়টি হচ্ছে ১ টাকার (১৬×৪×৫×৪) = ১২৮০ ভাগের এক ভাগ পর্যন্ত নিখুঁতভাবে আপনাকে বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলছেন।

যাই হোক কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নেয়ার চেয়েও যদি আরো বেশি নিখুঁত ভাবে বুঝে নেয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে তার ব্যবস্থাও ছিল সেই যুগে।

২০ বিন্দু = ১ ঘূণ
১৬ ঘূণ = ১ তিল
২০ তিল = ১ কাক
৪ কাক = ১ কড়া

আবার অন্য আরেকটি মূলমানও ছিলো-
৩ যব = ১ দন্তী
৩ দন্তী = ১ ক্রান্তি
৩ ক্রান্তি = ১ কড়া।

তাছাড়া আরো একটি ক্ষুদ্র মূল্যমাণ ছিলো এমন
৩২০ রেণু = ৭দ্বীপ = ৫ তাল = ১ কড়া।

এবার শেষ করবো এই অকেজো জ্ঞানের প্যাচাল। এই পুরো লেখাটির সমস্তু তথ্য নিয়েছি পঞ্চানন ঘোষের লেখা “শুভঙ্করী” বইটি থেকে
তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ একটি শুভঙ্করের মূদ্রাবিভাজন সম্পর্কিত আর্য্যা দিয়ে শেষ করছি।

“চারি কাকে বটৈক জানি, তিন ক্রান্তি বট বাখানি।
নবদন্তী করিয়া সার, সাতাইশ যবে বট বিচার।
আশি তিলে বটঙ্কর, লেখার গুরু শুভঙ্কর।।”

ভালো থাকবেন সকলে।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য সমাধান?

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এক দুর্ভেদ্য রহস্যের নাম। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে বিশ্ব অনেক দূর এগিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত এ রহস্যের কিনারা করতে পারেনি কেউ। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্যের সমাধান করার বিষয়টি উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নরওয়ের গবেষকেরা উত্তর মেরুর ব্যারেন্টস সাগরের তলদেশে বেশ কিছু বড় গর্তের সন্ধান পেয়েছেন। আর্কটিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, এই গর্ত বা আগ্নেয়গিরির মুখগুলোর ব্যাস ৩ হাজার ২৮০ ফুট ও গভীরতা ১৩১ ফুট হতে পারে। থ্রিডি সিসমিক ইমেজিং পদ্ধতিতে এই গর্তগুলো শনাক্ত করেছেন তাঁরা। গবেষকেরা বলছেন, তেলের খনি থেকে সৃষ্ট উচ্চ চাপের মিথেন গ্যাসের উদগীরণে এ গর্ত সৃষ্টি হতে পারে।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই আবিষ্কারের ঘটনা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নামের বিতর্কিত ওই এলাকায় জাহাজ ও বিমানের হারিয়ে যাওয়ার ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে পারে। এর আগে ২০১৪ সালে সাইবেরিয়ান টাইমসকে দেওয়া রাশিয়ার গবেষক ভ্লাদিমির পোতাপভের এক সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়েছে ডেইলি মেইল। পোতাপভের তত্ত্ব অনুযায়ী, মিথেন গ্যাসের উদগীরণ সমুদ্রকে উত্তপ্ত করে। মিথেনযুক্ত পানির কারণে জাহাজ ডুবে যায়। এ ছাড়া বায়ুমণ্ডলেও বিশেষ পরিবর্তনের ফলে বিমান দুর্ঘটনা ঘটে।
এরকম বড় গর্ত থাকতে পারে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য সমাধান?
বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ক্যারিবীয় সাগরের এক কল্পিত ত্রিভুজ এলাকা হলো বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। ত্রিভুজের তিন বিন্দুতে আছে ফ্লোরিডা, বারমুডা আর প্যুয়ের্তো রিকো। অবশ্য এই বিন্দু নির্ধারণ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। সে যা-ই হোক, এ অঞ্চলটিকে মারাত্মক রহস্যময় এলাকায় পরিণত করেছে কিছু খবর। বলা হয়, এ ত্রিভুজ অঞ্চলে অদ্ভুতভাবে হারিয়ে গেছে মানুষ, জাহাজ আর উড়োজাহাজ। রেখে যায়নি কোনো ধ্বংসাবশেষ। এসব ‘উড়ো’ খবর নিয়ে গবেষণা হয়েছে, ডকুমেন্টারি বানানো হয়েছে। শেষমেশ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় সব রহস্যের অসারতা প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু রহস্যপ্রিয় মানুষ এতে বিশেষ খুশি হতে পারেননি। তাঁরা এখনো বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে রহস্যের গন্ধ পান।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যময় চরিত্র প্রথম নিয়ে আসেন ই ভি ডব্লিউ জোনস। ১৯৫০ সালের বার্তা সংস্থা এপি প্রকাশিত একটি নিবন্ধে জোনস অভিযোগ করেন, এ এলাকায় বেশ কিছু উড়োজাহাজ ও নৌযান বেমালুম উধাও হয়ে গেছে, যেগুলোর কোনো সন্ধান আজ পর্যন্ত মেলেনি। দুই বছর পর ফেট ম্যাগাজিনের একটি নিবন্ধে দাবি করা হয়, ১৯৪৫ সালে ফ্লাইট-১৯ নামের মার্কিন নৌবাহিনীর পাঁচটি বোমারু বিমানের একটি বহর উধাও হয়ে গেছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে। এই বহর থেকে শেষ বার্তা ছিল, ‘সবকিছুই খুব অদ্ভুত লাগছে। আমরা জানি না, কোন দিক পশ্চিম। সাগরকেও স্বাভাবিক দেখাচ্ছে না। আমাদের মনে হচ্ছে আমরা…’।

এরপর একের পর এক খবর গত শতকের শেষ পর্যন্ত তুমুল হইচই তুলেছে। যার মধ্যে আস্ত ডিসি বিমান, যাত্রীবাহী জাহাজ পর্যন্ত উধাও হয়ে যাওয়ার খবর ছিল।
তবে এসব খবরের পাশাপাশি ব্যাখ্যাও চলেছে। বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের প্রাকৃতিক ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, এর সবই স্বাভাবিক ঘটনা। রং চড়িয়ে বলা হচ্ছে। আবার বলা হয়েছে, দুনিয়াজুড়ে দুর্ঘটনার যে হার, এতে বারমুডায় মোটেও বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে না। কখনো কখনো বারমুডা-সংক্রান্ত খবর তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গেছে, খবরটাই ভুয়া। রং চড়িয়ে লেখা হয়েছে ট্যাবলয়েডগুলোতে।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এখনো এক রহস্যের নাম। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য সমাধান?

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে কিছু তথ্য
অনেকের মতে, ক্রিস্টোফার কলম্বাসের কাছ থেকে সর্বপ্রথম এলাকাটির বিষয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা জানা যায়। কলম্বাস লিখেছিলেন, তাঁর জাহাজের নাবিকেরা এ অঞ্চলের দিগন্তে আলোর নাচানাচি এবং আকাশে ধোঁয়া দেখেছেন। এ ছাড়া তিনি কম্পাসের উল্টাপাল্টা দিক নির্দেশের কথাও বর্ণনা করেছেন।
অনেকে আবার মনে করেন, নাবিকেরা যে আলো দেখেছেন, তা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নৌকায় রান্নার কাজে ব্যবহৃত আগুন এবং কম্পাসে সমস্যা হয়েছিল নক্ষত্রের অবস্থান পরিবর্তনের কারণে। ১৯৫০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) সাংবাদিক ই ভি ডব্লিউ জোনস সর্বপ্রথম এলাকাটি নিয়ে খবরের কাগজে লেখেন। অনেকে মনে করেন, ওই অন্তর্ধানের কারণ নিছক দুর্ঘটনা, যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা চালকের অসাবধানতা। তা ছাড়া এই ত্রিভুজের ওপর দিয়ে মেক্সিকো উপসাগর থেকে উষ্ণ সমুদ্রস্রোত বয়ে গেছে। এর তীব্র গতি অধিকাংশ অন্তর্ধানের কারণ।

তথ্যসূত্র: ডিসকভারি, দ্য গার্ডিয়ান।

25591792_1745115755538726_4156128952430206254_n - Copy

বারবিকিউ ইন কামিনী ঘাট (দ্বিতীয় অংশ)

কামিনী ঘাটে যাব আমরা বারবিকিউ করতে।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমরা কেউই চিনি না কামিনী ঘাটে যাবার পথের হদিস। জানি না কি করে কামিনী ঘাটে যেতে হবে।
তবুও ইকবাল ভাইকে বারবার কল করে আর পথে দেখা হওয়া জেলেদের জিজ্ঞাসা করতে করতে এক সময় ঠিকই পৌঁছে যাই কামিনী ঘাট। ততক্ষণে অবশ্য দুপুর গড়িয়ে গেছে।
ট্রলার থেকে নেমেই আমরা কয়েকজন লেগে পড়ি আগুন জ্বালাবার কাজে, বাকিরা বসে যায় দুপুরের খানা খেতে। ভেজা মাটিতে কত কষ্ট করে যে আগুন ধরিয়েছি…

আজ কাহিনীর দ্বিতীয় অংশে তারই কয়েকটা ছবি দেখুন “বারবিকিউ ইন কামিনী ঘাট (প্রথম অংশ)” এরই মত উইথ ক্যাপশন।

আগামী পর্বে বাকি অংশ দেখার নিমন্ত্রণ রইলো।

সেই ভালো হতো

যদি মুর্খ হতাম সেই ভালো হতো
লিখতে হতোনা আর তোমাদের কুকর্মগাথা
বিসর্জিত হতোনা জীবন লিখে সত্য কথা ৷

যদি বোবা হতাম সেই ভালো হতো
রাজপথে মিছিলে আর ধরতে হতোনা স্লোগান
ঝরাতে হতোনা বুকের রক্ত আর এই প্রাণ ৷

যদি অন্ধ হতাম সেই ভালো হতো
দেখতে হতোনা এই ভঙ্গুর সমাজের অবক্ষয়
করতে হতোনা আর মিছে কান্নার অভিনয় ৷

আমি যদি পঙ্গু হতাম সেই ভালো হতো
পায়ে হেঁটে হেঁটে যেতে হতোনা তোমাদের দ্বারে
পিতার পেনশনের ফাইল ছাড়িয়ে নিতে ৷

আমি যদি পাগল হতাম সেই ভালো হতো
বুঝতে হতো না আর তোমাদের স্নায়ু যুদ্ধ
জড়াতে হতো না আর মিছে বাকযুদ্ধে ৷

আসলে যদি মানুষ না হতাম সেই ভালো হতো ৷

মোজা নিয়ে মজার কিছু তথ্য

শীতের সঙ্গে মোজার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। আর মোজা বিভিন্ন সময়ের প্রতীকী চিহ্নও। তবে এবার মোজা সম্পর্কে জানা যাক বেশ কিছু মজার তথ্য।

শিশু সৈন্যদের স্মরণে
জার্মানি এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ৬ হাজার মোজা বোনা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ষাট হাজার ইউরো। শিশু সেনা বন্ধের প্রতীক হিসেবে এই অর্থ প্রদান করা হবে শিশুসেনা বিরোধী একটি সংগঠনকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যে সব শিশু সৈন্য অংশ নেয়, তাদের কথা স্মরণেই এই সাহায্য।

ময়লা মোজার গন্ধ!
একটি গবেষণার ফলাফলে জানা গেছে, ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশা মানুষের শরীরের গন্ধে আকৃষ্ট হয়েই কামড় বসায়। বিজ্ঞানীরা তা কাজে লাগিয়েই মশা নিধনের যন্ত্র বের করেছেন, যাতে মোজার গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে ঐ যন্ত্রে পা দিলেই মশা যায় মরে। এই গবেষক দলের প্রধান কেনিয়ার বিজ্ঞানী ফ্রেদ্রোস ওকুমু। এই গবেষণায় অর্থ সাহায্য দিয়েছে বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।

মোজার প্রদর্শনী
জার্মানির ব্রেমেন শহরে মোজা বিষয়ক একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে একজন মানুষ তাঁর জীবনে কতগুলো মোজা ব্যবহার করেন, তার একটা হিসেব দেওয়া হয়েছে। তবে বলা বাহুল্য, এই তথ্য জার্মানির মতো শুধু শীতপ্রধান দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

নীল রং-এর মোজা
জার্মানদের বিয়েতে ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে কনেকে একটা নতুন জিনিস, একটা পুরনো, একটা কাছের মানুষদের কাছ থেকে ধার করা এবং একটা নীল রং-এর জিনিস পরতে হয়। একে সৌভাগ্যের প্রতীক বলেই মনে করা হয়। আদতে এই ঐতিহ্যের শুরু অ্যামেরিকায় হলেও, এখন সারা ইউরোপেই তা ছড়িয়ে গেছে।

নারীদের ফ্যাশন মোজা
মোজা শুধু শীত নিবারণের জন্য নয়, পায়ের সৌন্দর্য্য চর্চায়ও লম্বা মোজা ব্যবহার করা হয়। তবে একথা ঠিক যে, এ সব মোজা সাধারণত শীতপ্রধান দেশের মেয়েরাই বেশি পরে থাকেন। এ ধরণের মোজা পায়ের সৌন্দর্য্য অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়, অর্থাৎ পা দুটোর ত্বক অনেক বেশি মসৃণ, চকচকে এবং আকর্ষণীয় লাগে। তাছাড়া মোজা শীত থেকে খানিকটা হলেও যে রক্ষা করে!

মোজা নিয়ে গবেষণা
বোরিস গ্রুনভাল্ডের নামের এক ব্যক্তি জার্মানির ম্যুন্সটার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাফিক ডিজাইনের ওপর ডিপ্লোমা করেছেন৷ তিনি ‘থিসিস’ বা গবেষণা-কর্মে এক জোড়া মোজার একটি প্রায়ই খুঁজে পাওয়া যায় না কেন-এই মজার বিষয়টিও স্থান পেয়েছে।

দুর্গন্ধহীন মোজা
বার্লিনের এক প্রকার মোজা পাওয়া যায় যার শতকরা ১ ভাগ বিশুদ্ধ রূপা। আর সেই মোজা পায়ে দিলে দুর্গন্ধ তো হবেই না, বরং এ মোজা পরে ৯০ মিনিট ফুটবল খেলার পরও মোজা থেকে কোনো গন্ধ বের হবে না।

সূত্র: ডয়চে ভেলে, সম্পাদনা: গোরা, বিভাগ: ফ্যাশন।
মিঠু হালদার – ২০ ডিসেম্বর ২০১৬, সময়-১৮:২৮,

25591792_1745115755538726_4156128952430206254_n - Copy

বারবিকিউ ইন কামিনী ঘাট (প্রথম অংশ)

২৮/০৮/২০১৩ইং আমরা ক’জন মিলে আয়োজন করেছিলাম একটি জল ভ্রমণের। আয়োজক ছিলাম আমরা ৫ বন্ধু আর ইনভাইটেট ছিল আরো ৮ জন। এক দিন আগেই একটি বোট ভাড়া করে রেখেছিলাম আমরা। ২৭ তারিখ বিকল থেকেই সমস্ত বাজার শেষ করে ফেলি শুধু সালাদের উপকরণটা বাদে। আয়োজন ছিল খুবই সাদা-সিধা সাদা ভাত, ডাল, আলু ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তা, শুটকি ভর্তা, মুরগির সাদা ঝাল মাংস

প্রোগ্রামটা ছিল এমন –
সকালে হোটেলে নাস্তা করে সাঁতারকুল থেকে উঠবো বোটে সকাল ১০টা মধ্যে।
নাগরির কাছে কামিনী ঘাটে এক বড় ভাইয়ের খামারে গিয়ে দুপুরের খাবার শেষ করবো।
সেখানেই দুপুরের পর থেকে আস্ত একটা খাসি বারবিকিউ করা হবে।
সেই সাথে ১০টা মুরগিও নেয়া হয়েছে বারবিকিউ করার জন্য।
নানা ধরনের পানিয় নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত, যে যত খুশী পান করতে পারবেন এটা মাথায় রেখে।
সন্ধ্যার আগে আগে আবার উঠে পরবো বোটে, রাতের ১২টা পর্যন্ত ঘুরবো বোট নিয়েই।

সেই কাহিনীর প্রথম অংশ আজ দেখবেন ছবিতে।


বি.দ্র. বিড়ি ও নানা ধরনের পানিয় স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।

বি.দ্র. ছবিগুলি আমার তোলা নয়।
২০১৩ সালের ভ্রমণ, লেখাটাও তখনকারই, এখানে নতুন করে শেয়ার করলাম।
চলবে……