বিভাগের আর্কাইভঃ অন্যান্য

অসহায় জনতা

দেশ আটকে গেছে
যানবাহনের চাকার পিষে,
মানুষ না গরু ছাগল
মনবিকতায় টের পাবি কবে।

দেশ আটকে গেছে
যানবাহনের চাকার পিষে,
ভন্ড যত মাতাল তত অর্থ ধান্দায় রাজনিতী
আদালতের রায়কেও তারা দেখাচ্ছে বৃদ্ধাঙ্গলী।

দেশ আটকে গেছে
যানবাহনের চাকার পিষে,
অন্ধ আমি নেতা খেতা,বোবা আমি ওমুক কর্তা
পুলিশী তান্ডবে রক্তে লাল কেবলি কিশোর যুদ্ধা।

দেশ আটকে গেছে
যানবাহনের চাকার পিষে;
রাষ্ট্র হাসে অট্ট্রো হাসিতে।

এইতো আমার সোনার বাংলা
আমি কাঙ্গাল মরি তোমায়,
ভাল বাসিতে বাসিতে।

The Albert Nelson Marquis Lifetime Achievement Award

29 October 2018

Academic Editor Prof. Dr. Md. Safiuddin Recognized with the Albert Nelson Marquis Lifetime Achievement Award 2018

Congratulations to Prof. Dr. Md. Safiuddin, an Academic Editor of the journals Sustainability, Buildings, and Infrastructures, for being recognized with the Albert Nelson Marquis Lifetime Achievement Award 2018 by the Marquis Who’s Who.

Dr. Safiuddin has received the Albert Nelson Marquis Lifetime Achievement Award 2018 as a result of his hard work and dedication to his profession. From numerous professionals, the Marquis Who’s Who chooses only a limited number of awardees who own outstanding biography; this year, Dr. Safiuddin is one of the recipients.

The Albert Nelson Marquis Lifetime Achievement Award is “an honor reserved for Marquis Biographees who have achieved career longevity and demonstrated unwavering excellence in their chosen fields” as per the Marquis Who’s Who. Only a small percentage of more than 1.5 million of the most renowned experts from around the world is considered for this prestigious award, and this year Dr. Safiuddin has won a place within that small percentage.

Dr. Safiuddin is a Professor of Angelo DelZotto School of Construction Management at George Brown College, Toronto, Canada and Adjunct Professor of Department of Civil Engineering at Ryerson University in Toronto. You can read about his career and research accomplishments at
•George Brown Faculty Profile
•GoogleScholar
•Research Gate

News link: https://www.mdpi.com/about/announcements/1414

শোক সংবাদ

শোক সংবাদ
………………………..
আমাদের সবার প্রিয় মানুষ ব্লগার ও মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন। সংবাদটি জানলাম ফেসবুকের মাধ্যমে উনার ওয়ালেই। খুব ছোট ছোট বাক্যে তিনি জীবনের কথা লিখেছেন। শব্দনীড় ব্লগের মাধ্যমেই উনার সঙ্গে পরিচয় কিন্তু আজ জানতে পারলাম উনি আর নেই। বাস্তবে উনার সঙ্গে আমার কখনো দেখা হয়নি কিন্তু খুব আপনজন মনে হতো । কবিতার ছন্দে তিনি ফেইসবুকে ইসলামের অনেক গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করে গেছেন। ব্লগে আমার যে কোন লেখায় উনি আমাকে আঙ্কেল বলে সম্বোধন করতেন। আমাকেও বলেছিলেন আঙ্কেল বলে ডাকতে। আঙ্কেল নেই! মেনে নিতে পারছি না। বুকটা যেন কেমন মোচড় দিয়ে উঠছে। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা ও জান্নাত দান করুন।

উনার সর্বশেষ কয়েকটি লেখা ছিল এমনঃ (লেখাগুলো উনার ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া।)

অণুকাব্য
১.
জাতির উন্নত করে শির
দাঁড়ায় রয় বিজয়ী বীর।
২.
জাতি করবে জয়
যদি সত্যেই রয়।
৩.
জীবনের পরম প্রত্যাশা
ফল এবং ফুলের ভাষা।

অণুকাব্য
………………..
আমরা মুসলমান
পড়বো কুরআন।
ইসলামই প্রকৃত ধর্ম
ধর্ম মতে করব কর্ম।
ইসলামই আল্লাহর ধর্ম
এই মতো করব কর্ম।

অণুকাব্য
……………….
অনেক পিতা মাতা
হয়ে থাকেন ছাতা।
সন্তান লালন পালন
হয়ে থাকেন উদাহরণ।

গুহামানব

ঘোর অমনিশায়
আমার সব কুয়াশা লাগে —
ধোঁয়া ধোঁয়া রাতে
তুমি কার সাথে কথা বলো !!
সমুদ্র দূর হাজার মাইল
অথচ তোমার মুঠোফোনে বার্তা আসে
আজনবী এক বাহিনীর
তাদের ঘর নাই
বাড়ি নাই
ধু ধু মরুর কালা ঝড় –

তোমাকে নিশানা করেছে কালাশানিকভ
তুমি ফিরে এসো গুহামানব – —

Joba_1_ (12)

ফুলের নাম : সাদা জবা

কিছুদিন আগে থেকে “ঝুমকো জবা”, “পঞ্চমুখী জবা”“বহুদল জবা” ফুলের বেশ কিছু ছবি দেখিয়েছি আপনাদের। আজ তারই ধারাবাহিকতায় দেখাবো আমার তোলা কিছু “সাদা জবা” ফুলের ছবি।

সাদা জবা
আপনারা জানেন জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটি পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্তজবা, পঞ্চমুখী জবা, জবা কুসুম, মরিচা জবা ইত্যাদি। এদের মধ্যে একটি বিশেষ জবা হচ্ছে সাদা জবা

সাধারন জবার সাথে সাদা জবার পার্থক্য হচ্ছে এর রং-এ। নানান রং এর জবা ফুল দেখতে পাওয়া যায়, তবে লাল রং এর আধিক্যই বেশী। আজকে যে জবার ছবি দেখাবো সেগুলির রং লাল নয়, বরং সাদা।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেরাতে গিয়ে বেশ কিছু সাদা জবা ফুলের ছবি তুলেছি আমি। তাদের ৯টি ছবি এই পোস্টে।
প্রথম ৪টি ছবি তুলেছি সিলেটের একটি সরকারী ডাকবংলোতে।
এবং শেষ ৫টি টাঙ্গাইলের বদরুন্নেছা মহলে।

আগামী পর্বে দেখাবো “মরিচা জবা”

অপেক্ষা

সত্য, তুমি জেগে উঠ।
তোমার অপেক্ষায় কত বিনিদ্র চোখ প্রহর গুনে চলেছে,
তোমার দোর খুলবে বলে
কত শত মুখ ক্লান্তিহীন পথ চেয়ে আছে।
না বলা কথাগুলো চাপা পড়ে আছে,
অশ্রুগুলো চোখের কোনে লুকোনোর ঠাঁই খুঁজে ফিরছে,
ব্যথার কূলে ঢেউ আছড়ে পড়ছে
শুধু তোমার অপেক্ষায়।
আশার আলোয় বান ডেকেছে
ভোর হয়ে এল বলে
সত্য তুমি জাগবেনা?
এখনই ত সময় জেগে উঠার।

নেতা তুমি কি শুনছো

নেতা আমাকে চিন্তে কষ্ট হচ্ছে তোমার?

আমি বাংলাদেশ জনগন নাম আমার

পাঁচটা বছর আগে গিয়েছিলে সেবার

ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী ছিলো পরনে

হ্যামিলিয়নের বাশিওয়ালার মতো করে

পিছনে একঝাঁক তরুন তরুনীদের নিয়ে

ছুটে চলেছিলে তুমি শহরের প্রতি ঘরে

আর আশার বাণী শুনিয়েছিলে কানে

বলেছিলে অন্যায়ের প্রতিবাদী কন্ঠ হবে ৷

গরীব অসহায়রা স্বপ্ন দেখেছিলো বাঁচবে

তুমিই দেখিয়েছিলে সে স্বপ্ন ওদেরকে ,

একদিন কাঙ্খিত সে ক্ষণ এলো অবশেষে

বিজয়ের বাণী ধ্বণীত আকাশে বাতাসে

তখনও তুমি আশার বাণী শুনিয়েছিলে ৷

অথচ !

সময়ের সাথে সব নেতাদের মতো করে

তুমিও দেখি তোমার স্বভাব পাল্টে নিলে,

কাঁধে হাত রেখে কানে কানে এসে বললে

ভয় পেওনা আমি আছি তোমাদের পাশে ,

এটাকেই এখন ক্ষমতার রাজনীতি বলে

ইস্পাতের কি যেন কোমরে গুঁজে দিলে

বললে এটা কাছে রাখ কাজে লাগবে ,

আর আমার সাথে সাথে সবসময় থাকবে

আমার যা কিছু আছে সব নিয়ন্ত্রণ করবে ৷

কিন্তু বেইমানি করলে তোমার জীবন যাবে

অসহায় আমি ভয়ে কাতরতায় আরষ্ঠ হয়ে

তোমার কথা মেনে নিলাম মাথা নিচু করে ,

পথচলা শুরু হলো আমার ঘোর অন্ধকারে

শুনেছি সে ইস্পাত অনেককেই দিয়েছিলে ৷

অতঃপর একদিন তুমি সময় সুযোগ বুঝে

আমাকে দিয়ে জ্বলজ্যান্ত মানুষ হত্যা করালে ,

যেই আমার হাত কাঁপে একটা পিপরা মারতে ৷

আর বললে কেউ জানলে তোকেও মরতে হবে

নেতা তুমি কি জানো সেই রাতের পর থেকে

এতটুকু নিঃশ্ছিদ্র নিদ্রা আসেনি এ দু’চোখে ৷

Joba_1_ (12)

ফুলের নাম : বহুদল জবা

কিছুদিন আগে থেকে “ঝুমকো জবা”“পঞ্চমুখী জবা” ফুলের কিছু ছবি দিয়েছিলাম। আজ তারই ধারাবাহিকতায় দেখাবো আমার তোলা কিছু “বহুদল জবা” ফুলের ছবি।

বহুদল জবা
আপনারা জানেন জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটি পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্তজবা, পঞ্চমুখী জবা, জবা কুসুম, মরিচা জবা ইত্যাদি। এদের মধ্যে একটি বিশেষ জবা হচ্ছে বহুদল জবা

সাধারন জবা থেকে বহুদল জবা দেখতে বেশ আলাদা। কারণ একে দেখে মনে হবে দুটি জবা একসাথে হয়ে আছে, আসলে সেখানে কিন্তু একটি জবাই থাকে। বহুদল জবা দেখতে অনেকটাই পঞ্চমুখী জবার মতো।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেরাতে গিয়ে বেশ কিছু বহুদল জবা ফুলের ছবি তুলেছি আমি। তাদের ৭টি ছবি আজ দেখালাম এখানে।

আগামী পর্বে দেখাবো “সাদা জবা”

Joba_1_ (12)

ফুলের নাম : পঞ্চমুখী জবা

কিছুদিন আগে “ঝুমকো জবা” ফুলের বেশ কিছু ছবি দিয়েছিলাম। আজ তারই ধারাবাহিকতায় দেখাবো আমার তোলা কিছু পঞ্চমুখী বজা ফুলের ছবি।

পঞ্চমুখী জবা
আগেই বলেছি জবা ফুলের কয়েকশত প্রজাতির গাছ রয়েছে। এদের কয়েকটির পরিচিত বাংলা নাম হচ্ছে জবা, রক্তজবা, পঞ্চমুখী জবা, জবা কুসুম, মরিচা জবা ইত্যাদি। এদের মধ্যে একটি বিশেষ জবা হচ্ছে পঞ্চমুখী জবা

সাধারন জবা থেকে পঞ্চমুখী জবা দেখতে বেশ আলাদা। কারণ একে দেখে মনে হবে কয়েকটি জবা একসাথে হয়ে আছে, আসলে সেখানে কিন্তু একটি জবাই থাকে।

পঞ্চমুখী বজার মতোই দেখতে আরেকটি জবা রয়েছে যাকে বলাহয় বহুদল জবা। আগামী কোন একদিন বহুদল জবার কিছু ছবিও হাজির করার ইচ্ছে রইলো।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেরাতে গিয়ে বেশ কিছু পঞ্চমুখী জবা ফুলের ছবি তুলেছি আমি। তাদের ৮টি ছবি রইলে এই পোষ্টে।
উপরের প্রথম চারটি ছবি তুলেছি টাঙ্গাইলের আতিয়া মসজিদের কাছেই বাবা আদম কাশ্মিরীর মাজার থেকে।

৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম ছবিগুলি তুলেছি মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে এবং ৮ম ছবিটি তুলেছি ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জরে আঠার বাড়ী জমিদার বাড়ির কাছের একটি শিবমন্দিরের কাছ থেকে।

আগামীতে দেখাবো বহুদল জবা।

“বই তে” শারদীয়া

“বই তে” শারদীয়া

আমার দূর্গা বইগুলোতে লুকিয়ে আছে
পাতার সাদা সাদা হাতগুলো আমাকে মহিষাসুর ভেবে এগিয়ে আসে
ছন্দগুলো রক্ষনশীল একঘেঁয়ে কথাগুলো “মহালয়া”র সেই
“যা দেবী সর্বাভূতেষু–“—

অসহ্য মণ্ডপ চর্চা
কোন এন্টারটেনম্যান্ট নেই
“খোলা আকাশের” “বুকভরা মুক্ত অক্সিজেন নেই–!

টেবিল ভর্তি অহেতুক “সাজগোজের আবর্জনা–“?

খোলা বারান্দা
খোলা চুল
খোলা মন
দখিনা হাওয়ায় ——
মায়ের আলতাভরা পায়ের ছাপ—–

পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রোমান্টিক কিশোরকুমারের গান—–
সংগে গলা জড়িয়ে ধরে থাকা ভেজা প্রকৃতি
ভেজা প্রেম—
ভেজা চোখ—

শারদীয়া য় শুঁকতে থাকা এক আশ্চর্য অনুভূতি
আরব্য উপন্যাসের শেষ পর্বের
দগ্ধ “শিহরণ”—-

চোখ খুললেই মনে হয় “সুন্দর ধূপবাতির” গন্ধ উবে যাবে—
আবার “বই পত্র” হেঁটে হেঁটে আসবে ক্লাশের” ঘন্টা নিয়ে—-
কালো কালো অক্ষর গুলো যেন ষাঁড়ের ন্যায় মাথার ভিতরে
সারা বছর ধরে তাড়িয়ে বেড়ায়—?!

চেনা শহরের গল্প

চিরচেনা এ শহর আজ থেকে আর আমার না
এখানে আজ বসত করছে মানুষরুপী হায়েনা ,
যে শহরে অলিগলিতে বসে মাদকের আস্তানা
সে শহরে আমি বেমানান; সে শহর আমার না ৷

মানবতার পিয়াসী আমি;মানবতা খুঁজে ফিরি
এশহরে রোজই দেখি মানবিকতার ছলচাতুরি ,
ফেসবুক;টুইটারে জুড়ে শুধুই কথার ফুলঝুড়ি
অথচ বাস্তবতায় মিলছেনা কোনই কানা কড়ি ৷

আমার শহরে আমি যেনো হয়ে গেছি পরবাসী
নীতিহীনদের রাজনীতি আজ হয়েছে সর্বগ্রাসী ,
মনুষ্যত্বের মুখোশে শুধুই হায়েনাদের অট্টহাসি
তবুও এখানে আজও আমি মানবতার পিয়াসী ৷

মানুষের ভেতরের মানুষ আজ;যেনো প্রায় মৃত
মনুষ্যত্ব আর বিবেকবোধ সবই আজ ভুলুন্ঠিত ,
মুখোশের ভিড়ে মানুষ খুঁজে হয়েছি আমি ক্লান্ত
মাঝেমাঝে মুখোশ দেখেও হয়ে যাই দিকভ্রান্ত ৷

এ শহর আজ যেনো কোন অন্ধকার মৃত্যুপুরী
মানুষ মরছে;মনুষ্যত্ব হারাচ্ছে;নীতি হচ্ছে চুরি ,
প্রবীণালয়ে বৃদ্ধ মাতাপিতা করছে আহাজারী
হতভাগা আমি সে শহরে মানবতা ফেরি করি ৷

ট্রেনচলা পথে


রোদ জ্বলা দুপুরে চলছিলাম
আনমনে দু’জনে মিলে
সেই ট্রেন চলা পথে ,
চোখে চোখ মেলে চাওয়া
বোবা ভাষায় কথা বলা ,
হৃদয়ে হৃদয় বিনিময় পালা
না বলা কত না কথা বলা ৷
দু’জনের দুটি হাত একসাথে একাকার
পিছলে পড়া কতোবার ৷
আবেগী সেই ক্ষনে
মনে নেই জীবনের অতীতটাকে ,
নেই কোন ভাবনা
কোন পথেই বা পথ চলা ,
কোথায় বা তার শেষ ঠিকানা
জানা ছিলো সবই তবুও অজানা ৷
বে- হিসাবি মন
শাসন তো মানে না
মানেনা বারন ৷
শুধু সহসা আনমনে পথচলা
মিষ্টি মিষ্টি দুষ্টু কিছু কথা বলা ,
সে যে কি ভালো লাগা
চেনা অচেনা কেবলই পথ চলা ৷
কি জানি কি
হটাৎ – ই থামলে তুমি ! দেখলাম
ঐ – সুদূরে কি জানি কি দেখছিলে
আর আনমনে গুনগুন করছিলে ,
আর আমি ,
তোমার কণ্ঠে নিজেকে ভাবছি
দু’চোখ মেলে তোমায় দেখছি ৷
তখনো গভীর হর্ণটা বেঁজে উঠেনি
এতটা পথ কেউ পিছু তাকাইনি ৷
কল্পনার শত অভিসারে
গেয়ে চলেছি গান আনমনে দু’জনে ,
সময়ের হাত ধরে আনমনে আপনগতিতে
ট্রেনও বিরামহীন ভাবে ধেয়ে আসছে ৷
হটাৎ – ই মনে হলো ,
পদতলে বুঝি ভূমি কেঁপে উঠলো ,
ভাবছি তোমাকে প্রশ্ন করবো
১০ মিনিট তোমার বুকে মাথা রাখবো ৷
আবারও কেমন জানি মনে হলো
বুঝি কোন শব্দ বাতাসে ভেঁসে আসলো ,
এরই মাঝে তুমিও বলে উঠলে থামলে কেনো
ভাবছি কেবলই উত্তর দেবো
ঠিক তখনই এক অচেনা পথচারী বলে উঠলো
সরে যান গাড়ি এলো ,
পিছন ফিরে তাকাতেই দেখি
সরে দাড়ানোর সময় হারিয়ে ফেলেছি
সজোরে তোমাকে ধাক্কা দিতে চেয়েছি
জানা হয়নি কতোটা সরাতে পেরেছি ,
আমার এ হাত
তোমাকে স্পর্শ করেছিলো কিনা তাও বুঝিনি ৷
আর তো কোনো কথাই বলা হয়নি
ঠিক তখনি
চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে গেছি আমি ৷

KB-01- 00

খনার বচন – ৩

খনা ও খনার বচন সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কম বেশী ধারণা আছে। খনার বচন মূলত কৃষিতত্ত্বভিত্তিক ছড়া। আনুমানিক ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে রচিত। অনেকেই ধারনা করেন এগুলি কোন একক ব্যাক্তির লেখা নয়, বরং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের বলা বা লেখাগুলি খনার নামে প্রচলিত হয়েছে। যাইহোক, এই বিতর্কে না যাই।

আমাদের পরিচিতো অনেক খনার বচন আছে, সেখান থেকে কিছু কিছু বচন এখানে শেয়ার করবো ব্যাখ্যা সহ।

১। খনা ডেকে বলে যান
রোদে ধান ছায়ায় পান

ব্যাখ্যা : পান লাগাতে হয় ছায়াতে, আর ধান লাগাতে হয় রোদে।

২। সমানে সমানে দোস্তি
সমানে সমানে কুস্তি।


ব্যাখ্যা : সমান সমান না হলে কোন কিছুই জমে না।

৩। এক পুরুষে রোপে তাল,
অন্য পুরুষে করে পাল।
তারপর যে সে খাবে,
তিন পুরুষে ফল পাবে।


ব্যাখ্যা : তাল গাছে প্রথম ফলন আসতে কমপক্ষে ১২ বছর সময় লাগে। দীর্ঘ এই সময়ের জন্যই এই ভাবে বলা।

৪। নিত্যি নিত্যি ফল খাও,
বদ্যি বাড়ি নাহি যাও।


ব্যাখ্যা : প্রতিদিন ফল খেলে শরীর ভালো থাকে।

৫। দিনের মেঘে ধান,
রাতের মেঘে পান।


ব্যাখ্যা : দিনে বেলা বৃষ্টি হলে ধানের জন্য ভালো, আর রাতের বৃষ্টি পানের জন্য ভালো।।

৬। জৈষ্ঠতে তারা ফুটে,
তবে জানবে বর্ষা বটে।


ব্যাখ্যা : এটা দিয়ে কি বুঝানো হয়েছে আমি বুঝতে পারি নি।

৭। যদি বর্ষে মাঘের শেষ,
ধন্য রাজার পূণ্য দেশ।


ব্যাখ্যা : মাঘ মাসের শেষে বৃষ্টি হলে ফলন ভালো হয়।

৮। সাত হাতে, তিন বিঘাতে
কলা লাগাবে মায়ে পুতে।
কলা লাগিয়ে না কাটবে পাত,
তাতেই কাপড় তাতেই ভাত।


ব্যাখ্যা : নির্দিষ্ট দূরত্বে কলাগাছ লাগালে তাতে ফলন ভালো হয়।

৯। লাঙ্গলে না খুঁড়লে মাটি,
মই না দিলে পরিপাটি
ফসল হয় না, কান্নাকাটি।


ব্যাখ্যা : ঠিকমত চাষ না করলে ভালো ফসল পাওয়া যায় না।

১০। সবলা গরু সুজন পুত
রাখতে পারে খেতের জুত।


ব্যাখ্যা : ভাল গরু থাকলে আর চাষে ছেলের সাহায্য পেলে কৃষকের কোন সমস্যা থাকে না।

বি.দ্র. ছবি গুলি নেট থেকে সংগ্রহীত।

KB-01- 00 - Copy

ফুলের নাম : অশোক

অশোক বন্দনা
গত মার্চ মাসের ১৭ তারিখে বৃক্ষকথার কয়েকজন সদস্য মিলে আমরা গিয়েছিলাম ঢাকার মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে। ঘুরে ফিরে অনেকটা সময় ধরে আমরা চেনা অচেনা নানা ফুল আর গাছ দেখেছি, ছবি তুলেছি। ঐ সময়টা ছিল অশোক ফোটার সময়।

অল্পসংখ্যক উদ্ভিদ আছে যারা তাদের কাণ্ড ফুড়ে থেকে ডালপালা জুড়ে ফুল ফোটায়। তাছাড়া অশোকের প্রস্ফুটন কাল অতি দীর্ঘ বলে এই সময় গাছগুলি ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। বোটানিক্যাল গার্ডেনের দ্বিতীয় গেটটা পার হলেই শুরু হয় পথের দুই ধারে অশোকের সারি। ফুলে ফুলে ছেয়ে ছিল গাছগুলি। এমন দৃশ্য দেখেই হয়তো রবীন্দ্রনাথ বলে ছিলেন –

“রাঙা হাসি রাশি রাশি অশোক পলাশে
রাঙা নেশা মেঘে মেশা প্রভাত আকাশে
নবীন পাতায় লাগে রাঙা হিল্লোল।”

আমি দেখেছি রবীন্দ্রনাথের অনেক অনেক কবিতা ও গানে ঘুরে ফিরে এসেছে এই অশোকের কথা। সেসব থেকে কিছু কিছু অংশ আজ তুলে দিব এই লেখায়। তাছাড়া অশোকের সাথে হিন্দু ও বোদ্ধ ধর্মের সুগভীর সম্পর্ক আছে,তারও কিছু ছোঁয়া থাকবে। আর থাকবে আমার তোলা কিছু অশোকের ছবি।

বাংলা, হিন্দি, সংস্কৃত মিলিয়ে অশোক ফুলের অনেকগুলি নাম আছে, যেমন –
অপশোক, বিশোক, কঙ্গেলি, কর্ণপূরক, কেলিক, চিত্র, বিচিত্র, দোষহারী, নট, পল্লবদ্রুপ, প্রপল্লব, পিণ্ডিপুষ্প, বঞ্জুলদ্রুম, মধুপষ্প, রক্তপল্লবক, রাগীতরু, শোকনাশ, সুভগ, স্মরাধিবাস, হেমপুষ্প, হেমাপুষ্প, হিমাপুষ্পা, অঞ্জনপ্রিয়া, মধুপুষ্প, পিণ্ডিপুষ্পা, সিটা-অশোক ইত্যাদি।

অশোকের ইংরেজি নাম হচ্ছে – Ashoka, Sorrowless, Yellow Ashok, Yellow Saraca ইত্যাদি।
আর এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে – Saraca indica

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে গৌরী দেবী এই বৃক্ষের নিচে তপস্যা করে সিদ্ধি লাভ করে শোক থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই কারণে এই বৃক্ষের নাম অশোক হয়েছে। শুধু কি তাই! রোগ নিরাময়ে, ভেষজ গুণে,শীতল ছায়ায়,পুষ্প প্রাচুর্যের মত কারণেই অশোকের নামকরণ সার্থক।

রামায়ণে বলে সীতাকে অপহরণ করে অশোকবনে রাখা হয়ে ছিল।

হিন্দু ধর্ম মতে অশোকষষ্ঠী বলে একটি পূজা আছে। চৈত্র মাসের শুক্লা-ষষ্ঠীতে মায়েরা সন্তানের কল্যাণ কামনা করে অশোক ফুল দিয়ে অশোকষষ্ঠী পূজা করেন। তাছাড়া চৈত্র মাসের শুক্লা-অষ্টমীতে পালিত হয় অশোকাষ্টমী পূজা।

কামদেবের পঞ্চশরের অন্যতম শর এই অশোক ফুল দিয়ে সজ্জিত, তাই অশোক ফুল প্রেমের প্রতীক। হয়তো এই কারণেই রবীন্দ্রনাথ অশোককে এতো বার হাজির করেছেন নিজের সৃষ্টিতে।

কথিত আছে গৌতম বুদ্ধ লুম্বিনিতে অশোক গাছের নিচে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং মহাবীর এই অশোক গাছের নিচে ধ্যান করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তাই হিন্দু ও বৌদ্ধদের কাছে এই অশোক গাছ ও ফুল অত্যন্ত পবিত্র।

অজস্র ফুলে ঘনবদ্ধ অশোকমঞ্জরি বর্ণ ও গড়নে আকর্ষণীয়। তাজা অশোক ফুলের রং কমলা, কিন্তু বাসি হলেই ফুলের রং হয় লাল। অশোকের পরাগকেশর দীর্ঘ।

রবীন্দ্রনাথ অশোক বন্দনার কিছু নমুনা রইলো –

১।
আসত তারা কুঞ্জবনে চৈত্র জ্যোৎস্নারাতে
অশোক শাখা উঠত ফুটে প্রিয়ার পদাঘাতে।

২।
আকাশেতে উঠে আমি মেঘ হয়ে গেচি।
ফিরিব বাতাস বেয়ে রামধনু খুঁজি,
আলোর অশোক ফুল চুলে দেবো গুঁজি।

৩।
নদীতে লাগিল দোলা, বাঁধনে পড়িল টান,
একা বসে গাহিলাম যৌবনের বেদনার গান।
সেই গান শুনি. কুসুমিত তরুতলে
তরুণতরুণী. তুলিল অশোক,
মোর হাতে দিয়ে তারা কহিল,
এ আমাদেরই লোক।

৪।
দূর সাগরের পারের পবন, আসবে যখন কাছের কূলে
রঙিন আগুন জ্বালবে ফাগুন,মাতবে অশোক সোনার ফুলে।

আজ এই টুকুই।

অন্ধকারে

অন্ধকারে

পৃথিবীর মৃত্যু হয় অন্ধকারে!
অশ্রুর নির্জন সমুদ্রে ডুবতে ডুবতে
লোনা-শ্যাওলায় জেগে ওঠা দ্বীপে
মৃত্যু আমারো হয় অন্ধকারে!

হাঁসফাঁস করে সূর্য যখন নুয়ে পড়ে বিকেলের দিগন্তে,
পদত্যাগ করে দীর্ঘশ্বাসে পৃথিবীকে রেখে একপাশে অন্ধকারে,
সহসা নির্লজ্জ পৃথিবী হেঁটে হেঁটে যায় অন্ধকার বুকে।
কোন অচেনা এক অন্ধকারে চুরি হয়ে যায় আমারো গন্তব্য,
হারিয়ে-ফেলা-পথ হেঁটে হেঁটে যায় অন্ধকার গুহাতে,
আমি জানি।

তবুও,
যেতে যেতে ক্লান্ত পথিকের মতো
চাই দিকপাল হোক দূরের রূপোলি চাঁদ,
চাই তালপাখা হাতে দাঁড়িয়ে কোন এক নারী,
চাই একটা নৌকো হতে চেয়ে মাঝী,
চাই একটা হ্রদ অথবা নদী।