বিভাগের আর্কাইভঃ সমকালীন

৭১ সালে স্বাধীন হওয়া দুইটা দেশ এখন একটা ভূ-স্বর্গ আরেকটা ?

recei

আরব আমিরাত আর বাংলাদেশ ৫০ বছর আগে একসাথে স্বাধীন হলেও, তাদের হতে আমরা ৫০ বছর পিছিয়ে? সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশ যথাক্রমে ১৯৭১ সালেই স্বাধীন হয়। মরুভূমি অধ্যুষিত এই দেশে সারা বিশ্বের পর্যটক ও বিনিয়োগকারীরা আসতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন! পক্ষান্তরে নৈসর্গিক বাংলাদেশ কেনো বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে পারেই না! আসলে তফাৎটা কোথায়? বিদেশিদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস হচ্ছে সময়। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাগজপত্র ও রেসিডেন্স ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগে প্রায় একমাস। পাশাপাশি সরকারি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অপেশাদার সুলভ আচরণ, সিঁড়ি এবং লিফটে পানের পিক ও থুথুর দাগ, টয়লেট এর কথা না বলাই ভালো।

টয়লেটে চরম দুর্গন্ধ, না আছে হ্যান্ড শাওয়ার, হ্যান্ডওয়াশ লিকুইড ও টিস্যু পেপার। নেই কোনো ঠান্ডা কিংবা গরম চা, কফি বা পানির কোনো ব্যবস্থা। ঘুষ, দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, সিন্ডিকেট, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও সিবিএ তো আছেই। আমাদের দেশে কর্মকর্তা কর্মচারীদের নেই কোনো ড্রেস কোড। ভাঙ্গা রাস্তা ও যানজট তো আছেই। গত কয়েক বছরে আমরা দুবাইতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করতে দেখেছি।

এখানে সরকারি অফিস গুলো অত্যন্ত সুন্দর ও পরিপাটি। পুরুষরা অফিসিয়াল ড্রেস হিসেবে বড় জামা এবং মহিলারা আবায়া বা বোরখা পরিধান করে থাকেন। কাস্টমার কেয়ারে যারা থাকেন তারা অত্যন্ত ইয়াং ও দক্ষ, সুশ্রী, স্মার্ট, বিনয়ী এক কথায় ১০০% প্রফেশনাল। তারপরও সব অফিসারের পেছনে থাকে সিসি টিভি যাতে অফিশিয়াল কাজের বাইরে অন্য কোন কাজে সময় নষ্ট না করেন। অফিসের টিম লিডার সব সময় মনিটর করেন কোন কাস্টমার কোথায় কোনো প্রবলেম ফেস করছেন কিনা।

যেটা সবার জন্য জরুরী তা হচ্ছে, পাবলিক টয়লেট যাকে অনেকেই রেস্টরুম বলে থাকেন সেখানে গেলে আপনি এয়ার ফ্রেশনার, এসি, হ্যান্ডওয়াশ লিকুইড, একেবারে পরিষ্কার ও শুকনা টয়লেট, হ্যান্ড শাওয়ার, টিস্যু পেপার পাবেন। চা-কফি এবং ঠান্ডা ও গরম পানির ব্যবস্থা তো আছেই। পাশাপাশি পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা মসজিদ ও রেস্ট নেওয়ার জায়গা আছে। প্রেগন্যান্ট মহিলারা, ফিজিক্যালি ডিজেবল ও সিনিয়র সিটিজেনরা আলাদা প্রিভিলেজ পেয়ে থাকেন সর্বক্ষেত্রে।

বাচ্চাদের জন্য আছে খেলার রুম। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিনা ঘুষে ১০০% মালিকানায় কোম্পানির লাইসেন্স, দুবাই চেম্বার অব কমার্সের মেম্বারশিপ, মেমোরেন্ডাম পাবেন পাক্কা এক ঘন্টায়। তিন দিনের মাথায় মিলবে রেসিডেন্টস ভিসা, সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইডি পেতে সময় লাগবে মাত্র ৫ দিন। এখানে রাস্তাঘাটে জোড়াতালি কিংবা কোন রকমের গর্ত খুঁজে পাবেন না। গাড়ি তো পানির দরে পাওয়া যায়। অন্যান্য সুযোগ সুবিধা তো আছেই। আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকেরা এগুলো নিজেরাই জানে কিন্তু পরিতাপের বিষয় বাংলাদেশে বাস করে সবকিছু ভুলে যায়। হ্যাঁ, কিছু ব্যতিক্রম তো অবশ্যই আছেই।

সৌদি ও বাহারাইন সংযোগ সেতু, আরব সাগরের উপর নির্মিত।
দৈর্ঘ্য—২৫ কি মি। চার লেন বিশিষ্ট।
১৯৮৬ সালে ৮০০ মিলিয়ন ডলারে তৈরি।
সেতুর উপর আজও হয়নি কোনো বাসর।
(তথ্যসূত্রঃ লিকডিন ও ফেসবুক। ছবি—ইন্টারনেট )

স্বপ্নের পদ্মা সেতু

padma bridge

দৃঢ় প্রতিজ্ঞা যে মনে বাঁধে স্বপ্ন বাসা
শক্তি জন্মে সেই ক্ষণে পূর্ণ হয় আশা;
পদ্মাসেতু সে প্রমাণ জ্যান্ত তার ছবি
গর্ব ভরে ভাসমান, যেন হাসে রবি।
শেখ হাসিনার চিন্তা এ দেশের তরে
এ যে তাঁর প্রেমবার্তা অভিভূত করে;
অসম্ভব যেন হলো, সম্ভব চেষ্টায়
সেতু হাসে জ্বল জ্বলো দেখ সবে তায়।

খুলে গেল স্বর্গ পথ, উন্নয়ন দেশে
চলুক এ গিরিরথ আনন্দেতে ভেসে;
গড়ে তোল আজ সবে সকলের মাঝে
এপার ওপার রবে, ভ্রাতৃ বন্ধু সাজে।

অরিত্রিক ছন্দ। অক্ষরবৃত্তঃ ৮+৬
Saturday, June 25, 2022

হে আল্লাহ দয়া করো

bonna

টানা বৃষ্টি, ভারত থেকে আসা উজানের ঢল আর নদীর পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হার মানিয়েছে সকল প্রস্তুতিকে। ক্রমশ বাড়ছে পানির উচ্চতা। দুর্ভোগ বর্ণনাতীত। গলা পানিতে ভেসে থাকা মানুষগুলো খড়কুটো ধরে ভেসে থাকার প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে। উদ্ধারকর্মীদের নৌকা দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে আটকে পড়া মানুষ। পানিতে ভেসে গেছে বাজার ঘাট। ঢলের পানি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে স্থানীয় মুদি দোকানগুলো। একদিকে আশ্রয়ের খোঁজ। অন্যদিকে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও কাজ করছে না। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ইন্টারনেট সেবাও। ফলে আক্রান্ত এলাকার বাসিন্দারা দেশে ও দেশের বাইরে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় স্বজনরা।

আর্তনাদ করছে মানুষ। ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। বৃষ্টি থামছে না। অঝোরধারায় হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নেই। একটু আশ্রয়ের আশায় পরিবার নিয়ে ছুটছে মানুষ। অভুক্ত অবস্থায় কাটছে দিন। জীবন বাঁচানোর জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা। ঢলের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতাও। বাড়িঘর থেকে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে সড়কে। বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নিচে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এই মুহূর্তে সিলেটের মানুষ কঠিন সময় পার করছেন।

অথচ আমরা বলি দেশ এখন সিঙ্গাপুর, দেশ এখন কানাডা। মানুষের মাথাপিছু আয় এখন আকাশসম। তবে কিছু লোক ধনী হতে ধনী হয়েছে আর কিছু লোক গরিব হতে গরিব হয়েছে। এই গরিবের সংখ্যা বেশী তা বুঝা যায় কম দামে পণ্য কিনতে দৌড় দেখে। রাস্তায় পড়ে যাওয়া চাউল শিশুর কুড়ানো দেখলে। নতজানু হওয়ার কারণে সময় অসময় স্বামী নামক দেশটা পানি দিয়ে ভাসিয়ে দেয় চুপ থাকি আমরা।

মন্ত্রী বলেছেন ঢাকাতে ফ্লাট-প্লটের মালিক অবৈধ টাকার কুমির। এখন ধরেন তাদের,কালো টাকা দিয়ে পানিতে বন্দি মানুষকে খাবার দিন পানি দিন ঔষধ দিন। বিদেশে পাচার টাকা ফেরত আনেন তা দিয়ে ঠিকসই বাঁধ নির্মাণ করে দিন। সিঙ্গাপুর প্রকৃতিকে জয় করেছে বহু আগে। আর আমরা স্বামীর দেওয়া পানিতে তলিয়ে যাচ্ছি নিরবে।

Picture # manobzamin

সীতাকুণ্ড ট্রাজেডি

Untit

সীতাকুণ্ডের মাটির আগুনের লেলিহান শিখা নিভেনি এখনো-
এখনো শুনা যাবে বাঁচার শেষ আকুতি,
বাজান, আমার পা উড়ে গেলো!
কালিমা পড়াও,আমি আর বাঁচবো না।

অন্তঃসত্ত্বা নব বধুর হাসপাতালে হাসপাতালে বিচরণ,
সাত মাসের শিশুর ডিএনএ টেস্টে শনাক্ত-
মৃত বাবার লাশ!
স্বজনদের কান্নার আহাজারি চতুর্দিকে,
কতকের খোঁজ নেই,
মৃত নাকি জীবিত জানে না স্বজনে।

কাজকর্মের মাঝে সুখ খুঁজে নিয়েছিলো ওরা,
রুটি-রুজির আয়োজনে,
বাড়ি ছেড়ে বহুদূরে এই সীতাকুণ্ডে,
বাঁচার শেষ আকুতি ছিলো পরিবারকে ঘিরে।

বিছিন্ন হাতটি ছোট্ট শিশুটির বাবার হাত নয়তো-
যার বাহানা ছিলো,
হাত ধরে বহুদূর চলার,
স্বপ্ন আজ মরে পড়ে আছে-
সীতাকুণ্ডস্থ জনপদে।

সম্প্রচারে ব্যস্ত যুবকটি জানতো না,
সারা পৃথিবীতে ছড়াবে তার মরণের বার্তা,
অগ্নিনির্বাপক কর্মীর কি যে সাহস,
মরণেই যে হাসিছে,
বাঁচিয়ে কতকের সত্তারে।

সীতাকুণ্ডস্থ জনপদের মানুষের মাঝে ভয়,
এতো মানুষের লাশে-
কে বা থাকে সাহসী আর,
রক্তের দাগ মুছেনি আজ।

বাতাসে পোড়া মানুষের গন্ধ,
কতকের অঙ্গহানি কাতরাচ্ছে হাসপাতালে,
স্বজনের আহাজারি,
আমার বাছার লাশ কোনটা বলতে পারো?
নব বধুর হাসপাতালে হাসপাতালে বিচরণ।

পরার্থে নিয়োজিত মানুষের জয়গান,
যারা সেবিছে আত্মারে সযতনে,
ওরাই মানুষ পরিচয়ে আজ,
নেমেছে সেবায় মানবের।

পোড়া মানুষের গন্ধ বাতাসে ভাসমান,
সীতাকুণ্ডের মাটিতে শেষ চিহ্ন,
বাঁচার আকুতি শুনা যাবে এখনো,
যদি কানপাতি মাটিতে।

“টিপে” এতো সমস্যা কেন?

images

গরমের নাভিশ্বাস, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, রমজানের সাওম, সবকিছুকে পেছনে ফেলে গত কয়েকদিন ধরে যে বিষয়টা টক অব দ্যা কান্ট্রি তা হলো “টিপ”। টিপ দেওয়াকে কেন্দ্র করে একজন শিক্ষিকার সাথে যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে গেলো তা খুবই দুঃখজনক। এই ঘটনা আজ আমাদের মানবিকতা, ধার্মিকতা এবং অসাম্প্র্রদায়িক চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

টিপ পরাকে কেন্দ্র করে যে মৌলবাদী সুড়সুড়ি সারা দেশকে উসকে দিচ্ছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা এই টিপ আজ দেশকে দুই ভাগে ভাগ করে দিয়েছে। তাই টিপ পরা এবং না পরা নিয়ে কোথায় কার কী সম্মতি এবং আপত্তি আছে তা আমাদের সকলের দৃষ্টিগোচর হওয়া উচিত।

শুরুতেই বলতে হচ্ছে, শ্রদ্ধেয় শিক্ষিকার সাথে যা ঘটেছে তার জন্য জাতি হিসাবে আমরা লজ্জিত। তিনি একজন মা এবং একজন শিক্ষাগুরু। তাঁর সাথে এমন আচরণ কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা ঐ পুলিশ যে দৃষ্টিকোণ থেকে ঐ শিক্ষিকার সাথে এমন আচরণ করেছেন, সেই আচরণের অধিকার কেউ তাকে দেয়নি। আমাদের রাষ্ট্র কিংবা ধর্ম কোনো অবস্থান থেকেই কোনো সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু কারো সাথেই এভাবে লাঞ্চিত করার কোনো অনুমতি নেই।

অভিযুক্ত পুলিশ যে দৃষ্টিভঙ্গিতে এই আচরণ করেছে, সেই একই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের মুসলিম সমাজের অনেকেই পোষণ করে। যা আপাত ধর্মীয় দৃষ্টিতে অপরাধ না হলেও অযৌক্তিক জায়গায় প্রয়োগে ধর্মীয় যথেষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কেননা ইসলাম কাউকেই (হোক মুসলিম বা বিধর্মী) সরাসরি হেনস্তা করার অধিকার কাউকে দেয়নি। সুতরাং টিপ নিয়ে যা ঘটেছে তা অবশ্যই অযৌক্তিক এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আমরা জাতিগতভাবে বাঙ্গালী। তাই আমাদের সংস্কৃতিতে বাঙ্গালিয়ানা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এই সংস্কৃতির উপর কোনো বাঁধাই আমরা মেনে নিতে পারি না। যে নিজেকে বাঙ্গালী বলে পরিচয় দিতে চায় তাকে কেউই তার সংস্কৃতি থেকে আলাদা করতে পারবে না। এমনকি ইসলামও তাকে বাঁধা দেওয়ার কথা বলে না। তাহলে এই অধিকাংশ মৌলবাদীদের সমস্যা কোথায়?

যেসব মুসলিম নিজেদের বাঙ্গালি পরিচয়ের চাইতে মুসলিম পরিচয়কে বড় করতে চায়, তাদের জন্য তখন সংস্কৃতির চাইতে ধর্মটাই প্রধান বিবেচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আর তখনি মুসলিম জাতীয়তাবাদের সাথে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সংঘর্ষ বাঁধে। কেননা ইসলাম বিজাতীয় সংস্কৃতি ধারণ কারার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্ট আয়াতে আল্লাহ্ বলেন,

“তোমরা কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করবে না।” ( সূরা আহযাব: ৪৮)
অর্থাৎ যে নিজেকে মুমিন মুসলিম দাবি করবে সে কখনোই কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারা, বৌদ্ধ-মজুসী, বেদ্বীন-বদদ্বীন ইত্যাদি বিভিন্ন কোনো ধর্মাবলম্বীদেরই অনুসরণ করতে পারবে না। তার জন্য বিজাতীয় ধর্মীয় সংস্কৃতি গ্রহণ করা হারামের অন্তর্ভুক্ত।

অনুসরণ অনুকরণ বিষয়ে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর বাণী হলো,

হযরত ইবনে উমার রাঃ হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের অনুরূপ অবলম্বন করে,সে তাঁদেরই দলভুক্ত। (সুনানে আবূ দাঊদঃ ৪০৩১)

অর্থাৎ কেউ ইসলামের আদর্শের বাইরে গিয়ে অন্য কোনো আদর্শ বা সংস্কৃতিকে পছন্দ করে লালন করতে পারবে না। যদি কেউ এমন করে তাহলে সে ঐ দলের বা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে। উপরোক্ত কুরআন এবং হাদিসের আলোকে ইসলামে কোনো মুমিন মুসলিম এমন কোনো বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণ করতে পারে না। যেসব সংস্কৃতি বিধর্মীদের ধর্মীয় আচার কিংবা তাদেরকে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের থেকে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেয়।

উপমহাদেশে টিপের ইতিহাস যদি আমরা জানার চেষ্টা করি, তাহলে জানতে পারবো যে, টিপ সনাতন ধর্মাবলম্বী তথা হিন্দুদের ধর্মীয় একটি আচার এবং প্রথা। যা বাঙ্গালী হিন্দুরা যুগ যুগ ধরে মেনে আসছে। টিপের সম্পর্ক হিন্দু নারীদের সিঁদুরের সাথে। যে সিঁদুর হিন্দু বিবাহিত নারীরা তাদের স্বামীদের মঙ্গল কামনায় কপালে ধারণ করেন। শুধু নারী নয় সনাতনী পুরুষরাও তাদের বিভিন্ন পূজার্চনায় টিপ বা তিলক পরিধান করে থাকেন। অনেক সনাতনী গোষ্ঠীর নারী পুরুষ উভয়ই লম্বা তিলক দিয়ে থাকেন। যা উপমহাদেশে ইসলাম আবির্ভাবের পূর্ব থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করে আসছে।

ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় উপমহাদেশে ইসলাম আবির্ভাবের পরে যারা ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলামে প্রবেশ করে তারাও তাদের আগের সংস্কৃতি থেকে সরে আসেনি। সেই সাথে কুরআন হাদিসের সঠিক চর্চা এবং ধর্মীয় জ্ঞানের সংকীর্ণতার কারণেও অধিকাংশ মুসলমান জানতে পারেনি বিজাতীয় সংস্কৃতি ইসলামে ধারণ করা নিষিদ্ধ। যার ফলে এখনো মুসলিম বাঙ্গালীরা জানে না- টিপসহ আরও অন্যান্য যেসব সংস্কৃতি আছে, যা সরাসরি বিধর্মীদের নিদর্শন তা ইসলামে নিষিদ্ধ।

অতএব, যারা নিজেদেরকে মুসলিম ধর্মীয় পরিচয়ে পরিচয় দিতে চায় তাদের জন্য ইসলামী সংস্কৃতির বাইরে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় সংস্কৃতি নিষিদ্ধ। আর যারা নিজেদের বাঙ্গালী পরিচয় দিয়ে চলতে চায়, তাদেরকে কেউ ধর্মের ধোঁয়া তুলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে না। কেননা ইসলাম কখনোই কারো টুঁটি চেপে ধরার শিক্ষা দেয় না। অতএব উপরোক্ত ঘটনার মতো ইসলামকে ব্যবহার করে ধর্মকে কলঙ্কিত করা যাবে না।

যেসব মুসলমানরা এই ঘটনায় ঐ পুলিশের ইসলামী দৃষ্টিকোণ খোঁজার চেষ্টা করছেন। তাদের জন্য সত্য হলো, দ্বীন প্রচার প্রথমে নিজ ঘর থেকেই শুরু করতে হয়। যারাই আজ টিপ বিরোধী তাদের উচিত নিজ নিজ মা বোনসহ সকল মুসলিম আত্মীয়স্বজনদের সামনে টিপের ব্যাপারে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা। সেই সাথে যারাই টিপের পক্ষপাতি তাদেরকে এড়িয়ে চলা। কেননা ইসলাম জোর করে ধর্ম পালনে বাধ্য করে না। সেই সাথে কোনো বিধর্মীকে জোর করে লাঞ্চিত অপদস্থ করার অধিকার ইসলাম কখনোই কাউকে দেয় নি

আর যারা নিজেদের মুসলিম এবং বাঙ্গালী উভয়ই দাবি করতে চান। তাদের জন্য নীতি বাক্য হলো, কখনোই দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা যায় না। আপনি ততক্ষণ পর্যন্ত নিজেকে বাঙ্গালী বলে পরিচয় দিতে পারেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার বাঙ্গালিয়ানা আপনার ইসলামে আঘাত না আনে। যদি বাঙ্গালিয়ানার কোনো কিছু ইসলামে আঘাত আনে তাহলে তা আপনার ঈমানে আঘাত আনবে। আর আপনার ঈমান আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া মানেই আপনি ইসলাম থেকে বেরিয়ে হয়ে যাওয়া।

সুতরাং আমাদের সকলেরই উচিত সঠিক ইসলাম জানার চেষ্টা করা। অহেতুক বিচ্ছিন্ন ঘটা ঘটিয়ে ইসলামকে কলুষিত করা কখনোই কারো উচিত নয়। সবারই উচিত আগে নিজের পরিবার পরিজনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা। তারপর সুন্দর আচরণের দ্বারা অন্যান্যদেরও ইসলামের দাওআত দেওয়া। যাতে আমরা সত্যিকারের প্রকৃত মানুষ এবং মুমিন হতে পারি।

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।

বিশ্ব পানি দিবসঃ চাই জনসচেতনতা সর্বস্তরের

gfty

২২ মার্চ, বিশ্ব পানি দিবস। পৃথিবী ব্যাপী পানির প্রয়োজনীয়তা, নিরাপদ পানির সংস্থান ও সুপেয় পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ১৯৯৩ সাল থেকে সারাবিশ্বে একযোগে ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়ে আসছে। সেইসাথে প্রতিবছর বিভিন্ন বিষয়কে প্রতিপাদ্য করে এই দিবস পালিত হয়।

প্রতিবছরের ন্যায় ২০২২ সালের বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছেঃ- “Groundwater: Making the Invisible Visible” অর্থাৎ “ভূগর্ভস্থ পানিঃ অদৃশ্য দৃশ্যমান করা”। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে পানিকে কেউ গুরুত্ব সহকারে দেখে না। এর কারণ ঝড় বৃষ্টি বন্যার পানি আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক চিত্র। তাই আমাদের কাছে পানি বিষয়টি সবসময়ই গুরুত্বহীন। অথচ সুপেয় পানির অভাব দিনদিন বাড়ছেই। তাই আমাদের সুপেয় পানির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা, পানি দূষণের কারণ ও প্রতিকার, পানির অপচয় রোধ এবং পানির উৎসের যথাযথ সংরক্ষণ নিয়ে জানার উচিত।

মানব জীবনে পানির গুরুত্বঃ
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পানি একটি অপরিহার্য উপাদান। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমাদের শরীরের ৬০-৭০ ভাগেরও বেশি হচ্ছে পানি, এজন্য সারা বছরই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। খাদ্যে উপাদানের মধ্যে পানি হচ্ছে একমাত্র ক্যালোরি বিহীন উপাদান যা মানুষের শরীরে ক্যালোরির মাত্রা ও পুষ্টি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

পানি যে শুধু পিপাসা মেটায় তা নয়। পানি মানুষের শরীরে পানিশূন্যতা ও ক্লান্তি দূর করে তাকে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। সেইসাথে শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা, হজমশক্তি বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণ, পরিপাকতন্ত্রকে সবল করা, কিডনিতে পাথর হতে প্রতিহত করা, রক্ত সঞ্চালন সঠিক রেখে রক্তচাপ ঠিক রাখা ইত্যাদি নানাবিধ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পানিশূন্যতার কুফলঃ

পানি মানব শরীরে অতীব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বিধায়, শরীর পানিশূন্য হয়ে গেলে অনেক ধরণের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমনঃ শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট এর ইমব্যালেন্স হতে পারে। যারফলে তীব্র মাথাব্যথা হয়ে থাকে অনেকেরই। তাই জ্বরের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিৎ। যারা পানিশূন্যতায় ভোগেন তারা সবসময় তৃষ্ণাবোধ করেন। তাদের মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা এবং ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। অবস্থা যখন চরমে পৌঁছায় তখন তারা গাঢ় রংয়ের প্রসাব, মাথা ঘোরা এবং বুকে ব্যথা ইত্যাদি অনুভব করে।

কম পানি পানে হজমে সমস্যা হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দেখা দেয়। পানিশূন্যতায় শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য হারিয়ে যায়। ফলে ঝিমুনি লাগে, দুর্বলতা বাড়ে এবং সবসময় খুব গরম এবং খুব ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। পর্যাপ্ত পানির অভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ বাধা প্রাপ্ত হয়। যে কারণে শরীরের বর্জ্যগুলো বের হতে পারে না। এছাড়া হাড় এবং জয়েন্টেরও ক্ষতি হয়। ফলে শরীরের ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যে ব্যাপক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। পরবর্তীতে কিডনি সমস্যা, জ্ঞান হারানো, রক্তচাপ নিচে নেমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। তাই যারা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ যেমনঃ খেলাধুলা, ব্যায়াম, কায়িক শ্রম ইত্যাদি করেন তাদের প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা উচিত।

পানি প্রাপ্তির অনিশ্চয়তাঃ
মানব জীবনে পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপদান হলেও আমাদের দেশে সুপেয় পানি প্রাপ্তির যথেষ্ট অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। আমাদের দেশে সুপেয় পানির সংস্থান হয় ভূ-উপরিস্থ এবং ভূ-গর্ভস্থ এই দুই উৎস থেকে। বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে সুপেয় পানির ব্যাপক অভাব রয়েছে। যার ফলে শহরে ও গ্রামে অধিকাংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ব্যাপক পানি দূষণ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস এবং পানিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক বর্জ্য থাকার কারণে বাংলাদেশে বিশুদ্ধ পানির প্রচুর অভাব সৃষ্টি হয়েছে। যা থেকে সহজে উত্তোরণের কোনো পথ নেই।

যেভাবে পানি দূষিত হচ্ছেঃ
ভূ-উপরিস্থ পানির দূষণ দৃশ্যমান হলেও, ভূ-গর্ভস্থ পানির দূষণ এবং পানির স্তর হ্রাস হওয়ার জন্য ভূ-উপরিস্থ পানি দূষণই দায়ী।পানি দূষণের প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে নদনদী, খাল-বিল পুকুর ইত্যাদি। পানি দূষণের প্রধান কারণ শিল্প কারখানার দূষিত রসায়নিক পদার্থ, যেমনঃ অ্যামোনিয়া, ক্লোরাইড, সায়ানাইড এবং বিভিন্ন ধাতুর জিঙ্ক, পারদ, সীসা ইত্যাদি পানির সাথে মিশে পানিকে দূষিত করে। সেই সাথে গৃহস্থালির আবর্জনা নদীনালা, খালবিল, হ্রদ, সমুদ্র ইত্যাদির পানির সাথে মিশে পানি দূষণ করে। নদীনালা, পুকুরে গোসল করা, গরু ধোয়া, কাপড় চোপড় ধোয়ার মাধ্যমেও পানি দূষিত হয়। জমিতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ইত্যাদি দেওয়ার ফলে সেগুলো বৃষ্টির সাথে মিশে নদীনালা, পুকুরে পড়ে পানিকে দূষিত করে।

বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলো সমুদ্র বা পানিতে ফেলা হয় যার ফলে পানি দূষণ ঘটে। মাটির নিচের স্তর থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে অতিরিক্ত পানি তুলে নেওয়ার ফলে মাটির নিচে ফাঁকা জায়গায় আর্সেনিক বাতাসের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ধাতব যৌগ তৈরি করে পানিকে দূষিত করে।

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন নদীর তীরে রয়েছে হাজার রকমের জাহাজভাঙা ও লঞ্চ-স্টিমার মেরামত শিল্প। জলযানের ভাঙা অংশ, তেল, মবিল, তেল জাতীয় সামগ্রী সরাসরি ফেলা হচ্ছে নদীতে। সেই সাথে ছোটবড় কলকারখানার তৈলাক্ত বর্জ্য, ছাপাখানা, টেক্সটাইল, কাপড় ডাইংয়ের বিষাক্ত রাসায়নিক রঙ, ট্যানারির মারাত্মক পানিদূষণকারী রাসায়নিক বর্জ্য ইত্যাদি প্রতিনিয়ত নদীর পানিতে মিশে পানি দূষিত করছে।

শুধু তাই নয় বড় বড় শহরের ড্রেনের লিংক রয়েছে নদীর সাথে। আর এসব ড্রেন দিয়ে প্রতিদিন শহর অঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতালের বর্জ্য এবং সমগ্র শহরের মানব বর্জ্য সরাসরি নদীতে গিয়ে পড়ছে। যা ভূ-উপরিস্থ পানিকে ব্যাপকভাবে দূষিত করছে। এই ভূ-উপরিস্থ দূষিত পানি বিভিন্ন উপায়ে ভূ-অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভূ-গর্ভস্থ পানিকেও নষ্ট করে তুলছে।

যেভাবে পানি দূষণ রোধ করা যায়ঃ
মিঠাপানির সহজ ব্যবহারের সর্বোচ্চ মজুদ হচ্ছে নদনদী। যে পানি রিসাইকেল করে সুপেয় বিশুদ্ধ পানি তৈরি করা যায়। আমাদের দেশের বড় বড় শহর গুলো বিশুদ্ধ পানি যোগান দেয় নদনদীর পানিকে রিসাইকেল করে এবং ভূ-গর্ভে গভীর নলকূপের মাধ্যমে। আর পানি দূষণের প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে নদনদী। তাই নদ-নদীকে পানিদূষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত ওয়াসার সিউয়েজ নিগর্মন সহ নদনদীতে সব ধরনের কঠিন, গৃহস্থালি ও সেনিটারি বর্জ্যের বর্জ্যের মিশ্রণ রোধ করা অত্যাবশ্যক।

নদী তীরে শিল্প-কারখানা নির্মাণ বন্ধ, সেই সাথে দেশের বড় বড় শিল্প জোনের শিল্প-কারখানার রাসায়নিক ও ট্যানারি বর্জ্য পরিশোধন বাধ্যতামূলক করা এবং এর নিরাপদ অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে ব্যবহৃত পানির পরিশোধন অতীব জরুরী। কেননা বর্তমানে এই শিল্পে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার এবং দূষণ উভয়ই ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে।

নদী ও সমুদ্রের পাড়ে জাহাজভাঙা শিল্প, লঞ্চ, স্টিমার নির্মাণসহ মেরামত কালে নদী ও সমুদ্রের পানিতে কারখানার তৈলাক্ত বর্জ্যের মিশ্রণ প্রতিহত করতে হবে। কৃষি জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মিশ্রিত পানি যাতে খাল-বিল-নদীতে মিশতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবেশ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিতসহ পানি দূষণকারীদের আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নদনদী দূষণ রোধে দেশের আপামর জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাদের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

পানির অপচয় রোধে করনীয়ঃ
শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বব্যাপী আজ বিশুদ্ধ পানির হাহাকার। তাই আমাদের উচিত যথাসম্ভব পানির অপচয় রোধ করা। পানির অপচয় রোধে যেসব পদক্ষেপ আমরা নিতে পারি তা হচ্ছে, বিশুদ্ধ খাবার পানি শুধুমাত্র পান করার জন্য ব্যবহার করা এবং নষ্ট না করা। ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পাশাপাশি পানি সাশ্রয়ী কল ব্যবহার করা। অটো সেন্সর ফ্লাশযুক্ত টয়লেট, পানির ট্যাপ, যেখানে পানির ফ্লো রেটমাত্র ১.৫ লিটার/ঘন্টা থাকবে।

ব্যবহৃত পানি পরিশোধন করার মাধ্যমে পূণঃ ব্যবহার করা। প্রাকৃতিক পানির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সকল পর্যায়ে পানির অপচয় রোধ করতে হবে। পানি ব্যবহারের কার্যকারিতা বাড়াতে যেকোন লিক দ্রুত সারানো, যন্ত্রপাতি মেরামত, সরু ধারার কল ব্যবহার করা। যদি বাথরুমের শাওয়ার ২০ সেকেন্ড’র কম সময়ে একটি বালতি ভরতে পারে তবে শাওয়ার হেডটি বদলানো।

শাকসবজি পরিষ্কারের জন্য প্রবাহিত পানি ব্যবহার না করা। এর পরিবর্তে কিছুক্ষণের জন্য একটি বাটি পানিতে শাকসবজি ভিজিয়ে রেখে পরে ধুয়ে ফেলা। রান্নাঘরের জিনিসপত্র ধোয়ার সময় কল ছেড়ে না রাখা। কোনও ডিশ ওয়াশার কেনার সময়, ‘হালকা-ধোয়া’ যায় এমন দেখে কেনা। দাঁত ব্রাশ করার বা শেভ করার সময় পানি বন্ধ করুন। সেচকাজে এবং শিল্পকারখানায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি ব্যবহার না করা। সেই সাথে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত পানি রিসাইকেল করে পূনঃব্যবহার করা।

হুমকিতে ভূ-গর্ভস্থ পানিঃ
ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যাপক দূষণ এবং মিঠা পানির সহজ প্রাপ্যতা না হওয়ার কারণে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশেও দিনদিন ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার বেড়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী বিশুদ্ধ পানির প্রায় অর্ধেক, সেচের জন্য প্রায় ৪০ ভাগ এবং শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় এক তৃতীয়াংশ পানি ব্যবহৃত হয় ভূ-গর্ভস্থ পানি থেকে। যা ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর ব্যাপক একটি হুমকি।

তাই ২০২২ সালের পানি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ধরা হয়েছে ” ভূ-গর্ভস্থ পানিঃ অদৃশ্যকে দৃশ্যমান”। অর্থাৎ ভূ-গর্ভস্থ পানি যেহেতু আমাদের চোখের আড়ালে রয়েছে সেহেতু এই পানি সম্পর্কে আমরা কেউ তেমন ওয়াকিবহাল নই। অথচ সারাবিশ্বে ব্যাপকহারে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহারের কারণে ভূ-গর্ভস্থ পানির মজুদ আজ হুমকির মুখে। তাই এই বছরের পানি দিবসের লক্ষ্য হলো ভূ-গর্ভস্থ পানি সম্পর্কে সারা বিশ্বের মানুষকে আরও বেশী সচেতন করা। যাতে বিশুদ্ধ পানির এই উৎস সম্পর্কে মানুষ আরও বেশী সজাগ হয়।

বিশেষকরে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমা‌নো, দূষণ রোধ এবং এর বিকল্প উৎসের সংস্থান করা। যাতে করে পৃথিবী আরো বেশিদিন এই উৎস থেকে পানি আহরণ করতে পারে। বিশ্বব্যাপী ব্যাপক পানি দূষণের কারণে পৃথিবীতে আজ বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ চরম হুমকিতে। এই অবস্থায় প্রাকৃতিক ভূ-গর্ভস্থ পানিও যদি নিঃশেষ হয়ে যায়, তাহলে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য ব্যাপক হুমকির মুখে পড়বে। তাই ২০২২ সালের পানির প্রতিপাদ্য, “ভূ-গর্ভস্থ পানিঃ অদৃশ্যকে দৃশ্যমান করা” একটি যুগোপযোগী বিষয়। আমাদের সকলের উচিত এই বিষয়ে যথাযথ সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম, পানির প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা এবং পানিশূন্যতার ক্ষতিকর দিক। সেই সাথে পানি দূষণ এবং পানি দূষণ রোধ ও পানির অপচয়ে করণীয় কী। আরো জানতে পারলাম বিশ্বব্যাপী ভূ-গর্ভস্থ পানির বর্তমান অবস্থা। তাই পানির এই বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত পানি ব্যবহারে বেশী বেশী সচেতন হওয়া। যাতে আমাদের দ্বারা পানি অপচয় না হয়। কেননা পানি একটি অমূল্য সম্পদ। বিশেষ করে ভূ-গর্ভস্থ পানি সম্পর্কে আমাদের আরো বেশী সচেতন এবং এর পরিমিত ব্যবহার করা উচিত। যাতে পৃথিবীতে এই অমূল্য সম্পদ ধ্বংস বা নষ্ট না হয়ে যায়।

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।

আমি কেন এ আইনের পক্ষে

নিজের গাছ (বড় সাইজ) কাটতেও সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এ মর্মে একটি নিউজ আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন। “বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইন ২০২১” এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইন অনুযায়ি নিজের বাগানের গাছ কাটতেও সরকারের অনুমতি লাগবে।
এই সংবাদে বিস্মিত হয়েছেন সিংহভাগ মানুষ। তবে আমি কিন্তু কম বুঝলেও এই আইনের পক্ষে অবস্থান করছি যদি আইনটাকে হাত করে অসাধুরা সম্রাট নবম হালাকু খা সেজে না বসে। মানে এই আইনকে পুজি করে যেন কর্তৃপক্ষ চাঁদাবাজি করতে না পারে।

#আমি কেন এ আইনের পক্ষে?

বৃক্ষ নিধন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আমরা যে হারে গাছ কাটি সেই হারে লাগাই না। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বাড়ছে, পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, উত্তর মেরুর বরফ গলে যাচ্ছে। ফলে পৃথিবী ক্রমাগত ভাবে ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ,মালদ্বীপ সেই তালিকায় প্রথম দিকে থাকছে। এ থেকে রক্ষার জন্য অবশ্যই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার নিমিত্তে বৃক্ষনিধন যে কোনো ভাবেই হোক বন্ধ করতে হবে। নিজের গাছ কাটার আগে সরকারের অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি তাই এক দিক থেকে ইতিবাচক।

এটুকু শুনেই ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। বাকিটুকু শুনুন। একজন মানুষ গাছ কেন কাটে? নিশ্চয়ই এর পিছনে কয়েকটি যুক্তি আছে। প্রথমত তার অর্থের প্রয়োজন তাই সে গাছ কাটে, দ্বিতীয়ত তার ফার্নিচার বানানো দরকার ফলে গাছ কাটে। তৃতীয়ত সে ওই স্থানে এমন একটি স্থাপনা নির্মাণ করতে চায় যা ওই গাছ থাকায় সম্ভব নয়। এখন সে গাছ কাটার আগে সরকারের অনুমতি নিতে গেলে সরকার যদি সত্যি সত্যি তার গাছ কাটার মূল কারণ খুঁজে বের করে এবং সেটা নিজ উদ্যোগে সমাধান করে দেয় তবে একই সাথে তার সমস্যাও সমাধান হবে আবার গাছটাও রক্ষা পাবে। তার অর্থের প্রয়োজন হলে সরকার তাকে লোন দিবে, ফার্নিচার কেনার দরকার হলে সে ক্ষেত্রেও সরকার লোন দিবে। স্থাপনা নির্মাণের দরকার হলে ডিজাইনাররা এমন ভাবে ইকো ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করে দিবে যেন ওই গাছ না কেটেও স্থাপনা নির্মাণ করা সম্ভব হয়। বিশ্বের অনেক স্থানেই এমন আছে যা আপনি গুগলে সার্চ দিলেই দেখতে পাবেন।

কথা এখনেই শেষ নয়। আমি জানি আপনাদের মনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জেগেছে তা হলো কারো ব্যক্তিগত গাছ কাটায় হস্তক্ষেপ করার আগে সরকারী বনাঞ্চল এবং অন্যান্য স্থান থেকে ব্যপক হারে যেভাবে গাছ কাটা হয় সেগুলো আগে বন্ধ করা উচিত। আপনাদের এই ভাবনার সাথে আমিও একমত। এসব যদি সঠিক ভাবে পালন করা যায় এবং যাকে আপনি নিয়মের বেড়াজালে বাঁধতে চান তার সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন (শুধু মুখে দিলেই হবে না বরং তা বাস্তবায়ন করতে হবে) তাহলে ব্যক্তিগত গাছ কাটার আগে সরকারের অনুমতি নিতে বোধহয় একজনও দ্বিমত হবে না।

যারা এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছেন আমি জানিনা তারা এসব দিক চিন্তা করেছেন কি না। যদি না করে থাকেন তবে আমি তাদের বলবো এগুলো নিয়ে চিন্তা করতে। আর যদি এসব বিষয়ে সুরাহা সহ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তবেই কেবল আমি এই মতের পক্ষে থাকবো।

এর বাইরে আরও কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত গাছ থাকাই যথেষ্ট নয় বরং পাশাপাশি আরও নানা বিষয়ে নজর দিতে হবে। পাতিলে ছিদ্র রেখে পানি যতই ঢালুন পাতিল একসময় খালি হবেই। আপনি যতই গাছ লাগান যদি কলকারখানাকে ইকো ফ্রেন্ডলি না করেন, যানবাহনকে ইকো ফ্রেন্ডলি না করেন তবে কিছুতেই কিছু হবে না।

হুট করে যে কোনো কিছুতে আইন করা শোভনীয় নয় বরং তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করা দরকার। আলোচনা হওয়া দরকার। অভিজ্ঞদের মতামত নেওয়া দরকার। এই যেমন এই সিদ্ধান্ত যারা নিলেন এবং যারা এটিকে পাশ করতে চলেছেন তারা কি একবারও আমাদের মতামত নিয়েছেন? একবারও আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন? করেননি। হুট করে নিজেদের যখন যা খুশি তাই করে বসেন। যে সব বিষয়ের সাথে সমাজ, পরিবেশ, সাধারণ মানুষের হক ও অধিকার যুক্ত সে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই জনমত জরিপ আবশ্যক এবং পাশাপাশি বিজ্ঞদের পরামর্শ যেমন জরুরী তেমনি গবেষণাও জরুরী। প্রবাদে আছে উঠলো বাই চললো বু দরগার যাই হলে চলবে না। হুটহাট নিয়ম আইন হিতে বিপরীত হয়। আপনারা ঠ্যালা তো সামলান নি তাই বুঝবেন না।

#আমার_কিছু_বলার_আছে

জাজাফী

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

এখনি সময় দেশপ্রেমিক ও ধর্মপ্রেমিক প্রমাণ দেওয়ার

202110

কোনো ধর্মপ্রাণ মুসলমান কী পবিত্র কোরআন শরীফের অবমাননা করবেন?
কোনো ধর্মপ্রাণ হিন্দু কী তার মন্দির ও প্রতিমাকে অবমাননা করবেন?
না, কেউ করবেন না।
তাহলে পবিত্র কোরআন শরীফ মন্দিরে রাখলো কে?
নিশ্চিত এমন কেউ রেখেছে যারা “ডিভাইড এন্ড রুল” গেম খেলে ফায়দা লুটতে চায়। যারা দেশ কে অশান্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়।

এই কুচক্রী দেশ বিরোধী বিদেশী শক্তির দালালেরা নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষদেরকে ভুল বুঝিয়ে, ধর্মীয় আবেগের টোপে ফেলে মানুষের জানমালের ক্ষতি করতে প্ররোচনা দিতেছে। তারা আপনার আমার সবার শত্রু। এরাই পবিত্র কোরআন শরীফকে মন্দিরে রেখে মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে দাঙ্গা বাধিয়ে মানুষের জান-মাল এর বিনিময়ে রাজনীতি কিংবা স্বর্গীয় টিকেট বিক্রি করে। আপনার আমার আশেপাশে গোপনে ঘাপটি মেরে আছে এই বেজন্মা দেশবিরোধী সকল ধর্মের শত্রু গুলি। এদের অপপ্রচার, উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড হতে নিজেকে দূরে রাখুন।

ধর্ম এবং রাজনীতির আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিদেশী গুপ্তচর ও তাদের দেশীয় দালালদের প্রতিহত করে দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান মিলেমিশে থাকার যে ধারা তা অব্যাহত রাখতে ভুমিকা পালন করবো। দেশ আমার এবং আপনার দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। পৃথিবীতে সাম্যের একমাত্র বীজ বপনকারী আমাদের নবীকে অনুসরণ করে চলি। মতলববাজ, সন্ত্রাসী এবং বিকৃত মনের লোকই অন্য ধর্মের জান-মাল বিনষ্ট করতে পারে। ইসলাম মানা কোনো মানুষ এইভাবে অন্যের মন্দির মূর্তি বাড়িঘর পুড়িয়ে দিতে পারে না। সাম্য ভ্রাতৃত্ব বিনষ্টকারী সন্ত্রাসী প্রতিহত করুণ তাদের কুকর্মের ভিডিও ধারণ করতেও চেষ্টা করবেন।

Cyber Police Centre, CID, Counter Terrorism & Transnational Crime, Rapid Action Battalion (RAB) Bangladesh এর ম্যাসেঞ্জারে ছবি, ভিডিও পাঠিয়ে সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দিন।

জেগে উঠো

CYMER41

শুকুনরা ঔঁৎ পেতে
কবে হবে ধ্বংস,
সম্প্রীতি নষ্টে
ধর্মকে হাতিয়ার করলে
দেশ কি তবে ধর্মের গ্যাঁড়াকলে!

হায়েনারা ফাঁদ পেতে
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে,
সাম্প্রদায়িকতা বিনাশে
ধর্মের লেবাস ধরলে
দেশ তবে ধর্মান্ধের যাঁতাকলে।

রাঘব বোয়ালরা ভ্রষ্ট পথে
রাজনীতি নিলে পুঁজিবাদীতে,
ভ্রাতৃত্ববোধ ভাঙতে
ধর্ম নীতির বুলি ছুঁড়ে
দেশ নিচ্ছে ভাই রসাতলে।

মানুষ মেরে ধর্ম পালন
এই কেমন ধার্মিকতা!
ধর্মের চেয়ে মানুষ বড়
বলে কোরআন-হাদীস, বাইবেল-গীতা।

ওহে হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খৃস্টান
জেগে উঠো
ধর্মান্ধের অন্তরে
জাগিয়ে তুলো সাম্যের গান।

১৪ঃ০০
১৭/১০/২১ইং

উপেক্ষিত বাংলা ও একটি প্রতনু প্রতিবাদ

বাংলা আমাদের ভাষা, আমাদের অদৃশ্য ভূষণ, আমাদের অর্জনের অভিমুখ!
হৃদয়ে লালিত স্বপ্ন সব বাংলার আধারেই প্রকাশ পায়।
জন্মসূত্রে লাভ করা এ ভাষা বাঙালীর তরে প্রকৃতির উৎকৃষ্ট অঞ্জলি!
আমাদের ভাষাশিক্ষার হাতেখড়ি হয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সূচনার পূর্বেই।
মা-বাবা, পরিবার ও পারিপার্শ্বিকতা একজন শিশুর ভাষাশিক্ষার প্রারম্ভিক সোপান।
ভাষা বিষয়ক প্রাথমিক জ্ঞান এবং যোগাযোগ উপযোগী আলাপ-দক্ষতা অর্জিত হয় এভাবেই।
তবু তাতে পূর্ণতা আসে না!
প্রত্যাশিত পূর্ণতা আনয়নের লক্ষ্যেই আমাদের কাঠামোবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে গমন!
সেখানে আমরা ভাষা শিখি, বিজ্ঞান ও গণিত শিখি, সমাজিক সচেতনতা সৃষ্টি হয়, শিখি ধর্ম ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি।
এখানে লক্ষ্যণীয় যে, যে বিষয়ই আমরা আত্মস্থ করি না কেন, তার উন্নত প্রকাশের জন্য ভাষাগত উৎকর্ষের প্রয়োজন পড়ে।
সুধীজন স্বীকৃত প্রমিত রীতি এক্ষেত্রে অপরিহার্য।
ধরাধামে আগমনের পর আমরা নিকটজনদের থেকে ভাষার যে রূপ পরিগ্রহ করি, তা আঞ্চলিক রূপ।
ভাষার এহেন অবয়ব স্ব স্ব অঞ্চলের জন্য যুতসই, তবে অখিলের সুবৃহৎ অঙ্গনে ভাষার রাষ্ট্র-স্বীকৃত রূপ বা প্রমিত রূপের ব্যবহার আবশ্যক।
এবেলায় তা দ্ব্যর্থতা নিরোধক এবং বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মাঝে পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের স্বচ্ছ মাধ্যম।
এখন, স্বভাষার এই সরল রূপ শিক্ষণের সুবিদিত সরণি হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রণীত পাঠ্যপুস্তক।
বিশেষত বাংলা সাহিত্য ও বাংলা ব্যাকরণ।
মূখ্যত এটাই উদীয়মানদের শুদ্ধরূপে ভাষা শিক্ষার সরল পথ।
কিন্তু এটা প্রকাশিত গোপনীয়তা যে, বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অধিকাংশ শিক্ষার্থীই তাদের জন্য প্রস্তুতকৃত বাংলা সাহিত্য(১ম পত্র) ও বাংলা ব্যাকরণ(২য় পত্র) আত্মকে আলোকিত করা কিংবা ভাষাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য পড়ে না!
সীমিত পরিসরে তারা তা পড়ে পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে কৃতকার্য হতে!
ফলে এই বিষয়টা থেকে যায় তাদের আধোশিক্ষা-অশিক্ষার দোলাচলেই!
বৃহৎ পরিসরে এই অবহেলার ফলাফল হচ্ছে– প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বেড়ে ওঠা নাগরিকেরা ধারাবাহিকভাবে সুউচ্চ পদাবলি অধিগ্রহণ করছে বটে কিন্তু বাকে জড়তা, ভাষণে বাক্য প্রণয়ন ও শব্দ প্রয়োগে বিচ্যূতি, বাচনে স্বতঃস্ফূর্ততার ঘাটতি তাদের ক্ষেত্রে প্রায়শই পরিলক্ষিত!
তবু সেখানে যতটুকু ভালো তা মূলত ঐ সনদ অর্জনের নিমিত্তে পঠিত বাংলা ভাষা-সাহিত্যের কল্যাণেই।

আমরা অবগত যে, বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এবারের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে স্বল্প সংখ্যক বিষয়ের উপরে।
নৈসর্গিক বৈরীতার দরুন সংক্ষিপ্ত পরিসরে পরীক্ষা গ্রহণের আমরা বিরোধী নই!
এটা সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
তবে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, উভয় স্তর থেকে বাংলাকে বাদ দেওয়া!
অর্থাৎ বাংলা শেখার সুবিদিত পথ এবারের শিক্ষার্থীদের জন্য দৃশ্যত রোহিত হয়ে গেল!
এই সিদ্ধান্তের হেতু আমাদের কাছে অস্পষ্ট!
এখানে তো শুধু ভাষাশিক্ষা জড়িত না বরং বাংলা আমাদের অন্তর ও ঐতিহ্যের সাথে মিশে থাকা বিষয়!
আমাদের বৈপ্লবিক উত্থানের সূচনা হয়েছে এই ভাষার হাত ধরে।
ভাষার নামেই এই স্বাধীন ভূখণ্ডের নামকরণ, যা বিশ্ববুকে দারুণ দৃষ্টান্ত!
ভাষাপ্রেমী সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের তাই সুস্পষ্ট প্রস্তাব– স্বাধীন বাংলাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্তরে কার্যকারণ উল্লেখপূর্বক যদি একটি বিষয়ের উপরে পরীক্ষা নিতে হয়, তবে তা বাংলা হোক!
যদি দুই বা ততোধিক বিষয়ের উপরে পরীক্ষা নিতে হয়, সেখানেও গুরুত্বের সাথে বাংলার অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করা হোক।
এর পাশাপাশি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে বাংলা ভাষা-সাহিত্য যত্নের সাথে প্রতিষ্ঠিত হোক এবং বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের সাথে স্বল্পায়তনে হলেও সহপাঠ হিসেবে বাংলাকে সংযুক্ত করা হোক।
রাষ্ট্র থেকে যথাযথভাবে বাংলা ভাষা শিক্ষণের প্রতি সব স্তরের নাগরিকদের মধ্যে সবিশেষ উদ্দীপনা সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গৃহীত হোক!
বাঙালীর বাংলাপ্রীতি যেন বছরের একটি নির্দিষ্ট দিবসকেন্দ্রীক না হয়!
বরং বাংলার সাথে গড়ে উঠুক বাঙালীর চিরন্তন সখ্য, বাংলা হোক আমাদের অগ্রযাত্রা ও উন্নতির উন্নত আধেয়!

যুবক, ডেসটিনি, আহসান সবই নগদ হিসাবে ইভ্যালির গাড়িতে

এই পৃথিবীতে যুগে যুগে কালে কালে কিছু কিছু মানুষ লোভের মিষ্টি ছড়ায় আর কিছু কিছু মানুষ সেই লোভের মিষ্টি খায়, কিংবা লোভের ফাঁদে পড়ে। পরিণাম অবশ্যম্ভাবী পতন। অতি লোভে গলায় দড়ি তো পড়বেই। কেউ আপনাকে মারুতির দামে মার্সিডিজ গাড়ি দিতে চাইলে অবশ্যই সেখানে কোন গণ্ডগোল আছে, এইটুকু বোঝার জ্ঞান যদি আপনার না থাকে তাহলে তো আপনি অপদার্থ, মুর্খ।

যুবক, ডেসটিনি, ইউনিপে দেশের কতিপয় মানুষের লোভকে পুঁজি করে তাদের লোভনীয় ফাঁদ পেতেছে আর মানুষ সেই ফাঁদে পা দিয়েছে। দুই পক্ষই সমান অপরাধী। যার সর্বশেষ নমুনা ইভ্যালি। এই দেশে বিশাল বড় একটা অর্গানাইজড ফিনানশিয়াল ক্রাইম দেখলো ইভ্যালি ও আহসানের মাধ্যমে। দেশের মানুষকে বলে, বুঝিয়ে আসলে কোন লাভ নেই। আবার নতুন কোন ফাঁদ আসবে, কিছু মানুষ আবার মিষ্টির পিছনে দৌড়াবে।

নিজেকে সামলান, নিজের লোভ সামলান, এক লাফে গাছে উঠা বা এক লাফে বড়লোক হওয়ার অলীক চিন্তা বাদ দিন। দেখবেন অনেক কিছুই বদলে গেছে। রাসেল, তার বউ এবং আহসানের মৌল্লারা যেমন প্রতারক, ধান্দাবাজ, অপরাধী, তেমনি আপনি তাদের প্রলোভনে পড়ে নিজেও কম অপরাধী নন! তারা হাজার কোটি টাকার লোভ করেছে আপনি হয়তো হাজার, লক্ষ টাকার লোভ করেছেন পার্থক্য কেবল টাকার অংকটা।

এইসব প্রতারকদের হাত অনেক লম্বা। এদের মাথায় থাকে ক্ষমতাবানদের ছায়া। তাই যুবক কিংবা ডেসটেনির টাকা কোন লোক ফেরত পায়নি। আহসান কিংবা ইভ্যালিরও পাবে না। রাজনীতি পরিবর্তন হলে একদিন নগদও বকেয়া হবে হয়তো।

লাশ লাশ এই খেলায় জিতবে দুই পক্ষ: হবে হানিমুন হারবে ধর্ম দেশ সভ্যতা ও নীরব জনতা

2021rr

ফিরে দেখা অতীতঃ
যারা হজ্ব কিংবা ওমরা করতে গিয়েছেন তারা দেখেছেন অত্যন্ত ছোট্ট একটা পাখি মসজিদুল হারামের ভিতর উড়াউড়ি করতে এবং মসজিদের ভিতরে ছোট ছোট মাটির ঘরে বসবাস করতে আর এই পাখিটিই আবা-বীল। যার কাজ এবং বর্ণনা কোরানে মুসলিম মাত্রই পড়েছেন। ঝাঁকে ঝাঁকে আবা-বীল পাখি কংকর নিক্ষেপ করে ছিলো ইসলামের দুশমনকে। কারণ আল্লাহর বিশেষ সৃষ্টি হেফাজত করার জন্য।

বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হলেও বিভিন্ন ধর্মের লোকের বাস এই জনবহুল দেশটিতে। সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করে বাধাহীন ভাবে। তবে মাঝে মাঝে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ধর্মের উপর আঘাত করে কিছু মানুষ নামের অমানুষ। আমার গ্রামে মসজিদের পাশেই হিন্দু বাড়ি সন্ধ্যায় মসজিদ হতে আজানের ধ্বনি শুনা যায় আর মন্দির হতে শুনা যায় উলুধ্বনি। আজ অবধি কোন সমস্যা হয়নি মসজিদ ও মন্দির হতে একই সময় ভেসে আসা এই অসম ধ্বনি নিয়ে। তারপরও কিছু মুসলিম নিজ ধর্মের কঠোর সমালোচনায় মেতে উঠে কিন্তু হিন্দুরা নয়।

বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ গরিব, এতিম এবং ভাসমান শিশু আছে যাদের ভরণ পোষনের দায়িত্ব রাষ্ট্র কোনো কালেই নেয়নি। এমন কী রাষ্ট্র পরিচালিত কোনো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাও শিক্ষার সুযোগ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেনা। অথচ এদের জন্য শিক্ষাই হলো সম্পদ। আর আমরা যাদের ধর্ম ব্যবসায়ী বলি তাঁরা অর্থাৎ কওমী মাদ্রাসায় সারা বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এইসব নিরীহ শিশুরা খেয়ে পরে বেঁচে আছে। ব্যতিক্রম কিছু বাদ দিলে বেঁচে থাকার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষালাভ করে জীবন যুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর অনেকে সুযোগও পেয়েছে। তাই তারা ওস্তাদ এবং কওমী মাদ্রাসার প্রতি অনুগত, এইটাই বছরকে বছর চলে আসছে। দেশে জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে ধর্ম চর্চা যেমন বেড়েছে তেমনি বিরুদ্ধ আচরণও বেড়েছে। এই বিরুদ্ধ আচরণের কারণে গঠন হয় অরাজনৈতিক দল হেফাজতে ইসলাম। ধর্মহীন মানুষ ব্যতীত ধর্মভীরু সাধারণ জনগণ এতে ব্যাপক সমর্থন দেয়। তবে এই হেফাজতকে আওয়ামী লীগ প্রথম পাত্তা না দিলেও জনগণের সমর্থন দেখে ভীত হয়ে শুরু করে পলিট্রিক্স। আর এতে ভিতরে ভিতরে সরকারের হাতের পুতুল হয় হেফাজত আমীর শফী সাহেবের ছেলে এবং উনার কাছের লোকজন।

আস্তে আস্তে হেফাজতে দেখা দেয় মতবিরোধ এই সুযোগে চরম ধর্মহীনেরা শাপলা চত্তরে সরকারী সব বাহিনী দিয়ে নর হত্যায় মেতে উঠে। সহায় সম্বলহীন মায়ের সন্তান হত্যা করে রক্তের দাগ পর্যন্ত মুছে ফেলে রাস্তা হতে সরকার আর হৃদয় হতে মুছে ফেলে ইসলাম হেফাজতকারী নেতারা। এরপর চলতে থাকে লীগ হেফাজত হানিমুন এই সুযোগে শফী সাহেবের কাছের লোক হয় সম্পদশালী। দুঃখজনক হলো যেইসব হেফাজত কর্মী মারা গেল তাদের নাম ঠিকানাও হেফাজত প্রকাশ করেনি। দেয়নি তাদের পরিবারকে কোনো রকম অর্থনৈতিক সাহায্য। অথচ অনেক বিধবা মা একমাত্র সন্তান হারিয়ে জীবন সাগরে ভাসছে আর হেফাজত নেতা ভাসছে সম্পদে। আস্তে আস্তে হেফাজতের একপক্ষ সরকারী মধু খাওয়ায় মত্ত হয়ে পড়ে আরেক পক্ষ মধুর খোঁজে সরকার বিরোধী।

বর্তমান হেফাজত ও লীগঃ
ভাগ্য পরিক্রমায় শফী সাহেব পক্ষ ধরা পড়ে কর্মীর জালে আর উনি জীবন দিয়ে ঋণ শোধ করে মৃত কর্মীর মায়ের। নেতৃত্ব চলে আসে চরম লীগ বিরোধীদের কাছে (মাঠে ময়দানে বক্তব্যে মনে হয়, ভিতরে কী তারা জানে)। সবাই জানে আওয়ামী লীগের কাছে জনপ্রিয় ছিলো মামুনুল হকের বাবা শায়খ আজিজুল হক। যার কারণে শায়খ আজিজুল হক চার দলীয় জোট হতে বের হয়ে আওয়ামী জোটে যোগ দেয় এবং চুক্তি করে হালুয়া রুটির। মামুনুল হক হেফাজতে ইসলামের নেতা ইসলামী বক্তা সে কোনমতেই রাজনৈতিক নেতা হওয়ার যোগ্য নয়। মামুনুল হক ওয়াজিন হিসাবে নেতা হয়েছেন বলে ওনার মধ্যে পরিপক্বতার অভাব আছে বলে আমার মনে হয়।

ইসলামের নামে রাজনীতি করতে হলে উন্নত নৈতিক ও চারিত্রিক গুণাবলী থাকতে হয়। অনেক সাবধানে জীবন যাপন করতে হয় যেন কেউ অপবাদ দিতে না পারে। তা না হলে সমাজে কোন গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। সাধারণত রাজনীতি যারা করেন এদের সিংহ ভাগেরই চরিত্র ও নৈতিকতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে এবং মানুষ তাদের ক্ষমতার প্রভাবে বাধ্য হয়ে চুপ থাকে। তবে নোংরামিতে এই ধর্মীয় রাজনীতিবিদরা কখনই আওয়ামী রাজনীতিবিদদের হারাতে পারবে না। আমাদের দেশে প্রচলিত রাজনীতি সম্পর্কে ওলামাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের অভাব আছে। ফলে তারা সামনে আরও বিপদে পড়তে পারে যদি লীগ ক্ষমতায় থাকে। ইতিমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ আসন হতে উনার স্বভাব সুলভ ভঙ্গিমায় হুমকি দিয়েছে কওমীদের বাড়িঘর এবং মাদ্রাসায়ও আগুন জ্বলবে। শত উসকানিতেও জ্বালাও পোড়াও করা যাবে না। অথচ হেফাজত দেশের সম্পদ নষ্ট করার মত পচা রাজনীতির পথ অনুসরণ করেছে যা দুঃখজনক।

আওয়ামী লীগ তাদের প্রধান প্রতিপক্ষকে বহু আগেই কোমর ভেঙ্গে কোমায় পাঠিয়ে দিয়েছে যার কারণে বিএনপিকে হিসাবেই ধরে না। ভারতের সমর্থন এবং দেশীয় সব বাহিনীর সমর্থনে এরা দেশে যা ইচ্ছা তাই করতে পারছে। এমন অবস্থায় হেফাজত বিষ পোড়া। হালুয়া রুটির ভাগ না পাওয়ার বেদনা, ভিতরে ভিতরে বর্তমান হেফাজত নেতারা ফিল করে বলে মাথা তুলে মাঝে মাঝে। আর এতে পাশে থাকে লাখ লাখ কওমী ছাত্র যারা ধর্মে এবং ওস্তাদে মাতাল। এতে বিএনপির খুশি হওয়ার কিছুই নেই। আওয়ামী লীগ বর্তমান হেফাজত নেতাদের হয়তো সম্পদ দিবে, না হয় ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করবে, না হয় গুম করবে খুন করবে, মামলার জটে ফেলবে যেমন করেছে বিএনপিকে। সবচেয়ে বড় অস্ত্র চেতনার মোড়কে পুরাতন ক্যাপসুল জাতি এবং বিশ্বকে দিবে হেফাজত জঙ্গী।

মুসলিম নামধারী শাহবাগের উগ্র ইসলাম বিরোধীদের দমনে হেফাজত সফল হলেও মূর্তি নিয়ে আন্দোলন, ফ্রান্স নিয়ে আন্দোলন সর্বশেষ ভারত ও মোদি নিয়ে আন্দোলন কোন কিছুতেই সফল হয়নি হেফাজত। মাঝখানে ১৭জন মানুষ মরে গেল যার বেশীর ভাগ গরিব ঘরের। এক হাফেজ মাকে বলে ছিলো রমজানে ইমামতি করে ঈদে বাড়ি ফিরবে কী জবাব দিবে হেফাজত এই মরে যাওয়া হাফেজের মাকে। এই মৃত লোকদের বাড়ি বাড়ি হেফাজত নেতা সমবেদনা জানাতে যায়নি, এই মৃত লোকদের এখনো কোনো অর্থনৈতিক সাহায্য হেফাজত করেনি। একটা আওয়াজ তাদের মনকে কম্পিত করেছে এমন লড়াই করে মরে গেলে জান্নাত পাবে। অথচ দুনিয়ার জান্নাত (পরিবার) প্রিয়জন হারিয়ে আগুনে জ্বলবে জীবনভর জান্নাত পাওয়া এত সহজ হলে হেফাজত নেতা কেনো মরে না। কেনো কর্মীর লাশের উপর ভর করে হেফাজত নেতারা সরকারের সাথে হানিমুন করে।

ধর্ম ব্যবসায়ী ও বাহারি নামঃ
তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ ফেরত না দিয়ে মরে গেলেন একজন সরকার দলীয় এমপি। নদী দখল, ভূমি দখল, বাড়ি দখল, নারী দখল সব আছে লীগের দখলে। এমপি, ডিসি সবার নারীর সাথে ভিডিও লীগের দখলে। ক্যাসিনো, জুয়া, মদ, ইয়াবা সব ব্যবসা লীগের দখলে। ব্যাংক, বীমা ও দুদক লীগের দখলে এমনকি স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি এই সবও লীগের দখলে। লীগকে সমর্থন করা বেশ কিছু মাওলানার দখলে ধর্মের ব্যবসাটাও। আর এইসব ব্যবসা লীগের লোক করলে জায়েজ আর অন্যরা করলে হারাম। সাধারণ কিছু মাওলানার নামের সাথে আজব উপাধি দেখে (আজহারি, মাদানী, কুয়াকাটা ) লীগ এই উপাধিও অচিরে দখল করতে চাইবে। ওলামা লীগ যারা করে তারা ইসলামী লেবাসে ধর্মের জমজমাট ব্যবসায়ী। এই ওলামা লীগে কাঠ মোল্লার অভাব নাই যারা জামাতি ও কওমী মোল্লাদের বিরোধিতা করে ধর্ম ব্যবসা নিজেদের অনুকূলে রেখেছে।

মাওলানাদের মতভেদঃ
মাওলানাদের মতভেদের কারণে সবসময় সুযোগ নিয়েছে সেক্যুলার শ্রেণীর নগণ্য অংশ। ভারত উপমহাদেশের দুই ধারার মাদ্রাসা শিক্ষা চালু করেছে মাওলানারা। ধর্মীয় পণ্ডিত মওদুদীর অনুসারী আর কওমী মাদ্রাসার অনুসারী যেন মধ্যপ্রাচ্যের শিয়া সুন্নীর সম্পর্ক বিদ্যমান। মওদুদীর লেখা ইসলামী বই এবং কওমী ঘরণার ইসলামী বই পড়লে আকাশ পাতাল ব্যবধান বুঝা যাবে। এই ছাড়া আছে সুন্নী, ওহাবী, আহলে হাদিস ও মাজার পুজারী। সবাই নিজেকে সহী শুদ্ধ ইসলামের প্রধান খেদমতকারী মনে করে একে অপরের পিছনে বাঘে মহিষে লেগে আছে। মাঝে ফায়দা নিচ্ছে কতিপয় নষ্ট সেক্যুলার ও তাদের সাথে থাকা মোল্লারা।

শেষ কথাঃ
সব ভেদাভেদ ভুলে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির বাহিরে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক সুরে গঠনমূলক কথা বলতে হবে ইসলাম অবমাননাকারীর বিরূদ্ধে। সূক্ষ্ম ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দিয়ে কথা বলতে হবে কোনো মতে উসকানি দিয়ে গরিব এতিম কওমী ছাত্রদের লাশ বানানো যাবে না। নীতি নৈতিকতা ঠিক রেখে প্রচণ্ডভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে সব জালিম ধর্মহীনদের বিরূদ্ধে। প্রতিটি কওমী মাদ্রাসায় ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা নিচ্ছিদ্র করতে হবে। হেফাজত হোক দেশের, মানবের ও ধর্মের।

পুনশ্চঃ আমি ধর্ম এবং রাজনীতি বিশ্বাসী।

ফিরে দেখা অতীত: তখন বাংলাদেশে সোনার মানুষ ছিল

FB_IMG_1604

সাল ১৯৭৮ (আমার অদেখা)
ঢাকা মেডিকেলের যৌতুকলোভী ও চরিত্রহীন ডাক্তার ইকবালকে কাজের মেয়ের সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলে স্ত্রী সালেহা।

ফলাফল – ইকবাল ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে সালেহাকে। বলে আত্মহত্যা। অস্থায়ী বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ইকবালের পরিবারের। সালেহার পরিবার বলে হত্যা। সালেহার পক্ষে দেশবাসী। ঐ সময় জেলা শহরগুলিতে পত্রিকা পৌঁছাতো একদিন পরে।

কম্পিউটারের প্রচলন ছিল না।
– প্রথম ও দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্ত রিপোর্টে বলা হয় আত্মহত্যা।দেশবাসী মেনে নেয়নি। তৃতীয় দফায় কবর থেকে লাশ তুলে আবার ময়না তদন্ত। এবার কোথায়? নেয়া হয় সলিমুল্লাহ মেডিকেলে।

ফলাফল – হত্যা।
ইকবালের ফাঁসির আদেশ।

পুলিশ
কিভাবে প্রমাণ করেছিল জানেন?
সালেহার দেহে ব্লেড টানার ধরণ দেখে মত দেয় – এটি কোন বাম হাতি অর্থ্যাৎ ন্যাটা মানুষের কাজ। ইকবাল ছিলেন বাঁ হাতি। সেখানেই শুরু এবং পুলিশ এক বিন্দুও ছাড় দেয়নি।

সাংবাদিক
সাংবাদিকরা পত্রিকার প্রথম পাতায় ছোট করে হলেও প্রতিদিন খবর ছাপিয়ে গেছে ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত, দেশবাসীও ছাড়েনি। এই ফাঁসির পেছনে বড় অবদান সাংবাদিকদের ছিল বিধায়, ফাঁসির পরে সাংবাদিকরা ইকবালের পরিবারের সাক্ষাতকার নিতে গেলে লাঠি দা নিয়ে ইকবালের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের তাড়া করেছিল।

প্রেসিডেন্ট
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তাররা গেলে, তিনি তাদের তিরস্কার করে বের করে দেন।

বাড়তি প্রাপ্তি
এই হত্যাকাণ্ডের ফলেই ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে যৌতুক বিরোধী আইন পাশ হয়।

সাল ১৯৮৯ (আমার দেখা)
বাংলাদেশের দুই কিংবদন্তী ডাক্তার দম্পতি গাইনির মেহেরুন্নেসা ও ঢাকা মেডিকেলের প্রিন্সিপ্যাল আবুল কাশেমের কুলাঙ্গার পুত্র মুনির জড়িয়ে পড়ে খুকু নামের এক বিবাহিতা মহিলা ও মায়ের বয়সী নার্স মিনতির সাথে অবৈধ সম্পর্কে। এই সম্পর্কের কথা স্ত্রী জেনে গেলে মুনির ও খুকু পরামর্শ করে স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। মুনির খুন করে স্ত্রী-
– মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিক নিজাম উদ্দিনের কন্যা শারমীন রিমাকে।
দেশ আবার ফুঁসে উঠে। কম্পিউটার তখনও সেভাবে আসেনি। ইন্টারনেট মোবাইল নেই। আবার প্রতিবাদে ফেটে পড়ে দেশ। পত্রিকার কাভারেজ, জনতার একাত্মতা, রীমা হত্যা নিয়ে ধারাবাহিক চটি বই, ক্যাসেটে গান, পথে ঘাটে ট্রেনে বাসে শিল্পীরা রীমার পক্ষে গান গায়। সেই গান শুনে যাত্রীরা কাঁদে, গান অপছন্দ করা মুরুব্বীরা শিল্পীদের সেলামি দেয় – আমার সোনার বাংলায়।

মুনিরের ফাঁসির আদেশ হয়। জনগন তাতেও খুশী নয়, খুকুরও ফাঁসি চাই।

একাত্মতা
আওয়ামীলীগ, বিএনপি বলে কিছু ছিল না। ছিল, সাধারণ জনগণ। আমি নিজে দেখেছি ১৯৯১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা (আরিচা মহাসড়ক) ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন এক হয়ে বন্ধ করে দেয়। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। বাধ্য হয়ে মুনিরের সাথে খুকুরও ফাঁসির আদেশ হয়। যদিও উচ্চ আদালতে খুকুর ফাঁসির আদেশ পরবর্তীতে বাতিল হয়। তবে, বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের পুত্র মুনিরের ফাঁসি কেউ ঠেকাতে পারে না। ফাঁসি হয়।

এই ছিল আমার সোনার বাংলা। সোনার বাংলায় সব ছিল । আর এখন নেই কিছুই, আছে ফেসবুক। আমরা সবাই মিলে চাইলে কি অপরাধী গুলো কে শাস্তি দিতে পারিনা? আইন আর বিচার ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতি কামনা করতে তো দোষ নেই। চলুন বদলে যাই, বদলে দেই, আমাদের প্রিয় দেশটাকে। গড়ে তুলি স্বপ্নের বহু আকাঙ্খিত সেই সোনার বাংলা। ধর্মে নয়, কর্মে হোক মানুষের পরিচয়। সবার একটাই পরিচয়। আর সেটা হলো আমরা মানুষ।

পরিমনি: যত দোষ নন্দ ঘোষ

Sc211052_1

সম্রাট আর পরিমনিই কি শুধু দোষী! নেপথ্যে যারা, তারা কারা?

মদ হারাম। মদ পান শাস্তিমূলক অপরাধ। দণ্ডবিধিতে মদপানের শাস্তি ২৪ঘন্টা থানা হাজত অথবা ১০টাকা জরিমানা। মানলাম কিন্তু বুঝতে পারলাম না তাই জানতে চাই, বাংলাদেশে এতো মদের বার কেন? বিদেশী মদ আসে কোথায় থেকে? কে বা কারা ইমপোর্ট করে?

আমরা বেশ্যা বলি। দেহব্যবসায়ী বলি। সমাজে নষ্টা বলি। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে আমরা পুরুষরাই তাদের ভোগ করি। আমি বেশ্যাদের সম্মান করি কারণ তারা তাদের জীবিকার তাগিদে তুমি পুরুষের শয্যাশায়ী হয় কিন্তু যারা প্রেম-ভালবাসার নামে অবৈধ মেলামেশা করে তাদের কি বলবেন?

বাংলাদেশে যদি টাকার বিনিময়ে সেক্স করাকে নিকৃষ্ট মনে করা হয় তাহলে ৯৫ভাগ যুবক-যুবতী প্রেমের নামে রাসলীলায় লিপ্ত হয় তাদের যৌনাচারকে আপনারা কি বলবেন? আমার দৃষ্টিতে সবাই বেশ্যা এবং চরিত্রহীন পুরুষ।

কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা সংবিধান বর্হিভূত। কেউ যদি অপরাধ করে তাকে আদালতে অপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করবে এবং শাস্তি প্রদান করবে অথচ আমাদের দেশে পুলিশ প্রশাসনের বরাতে মিডিয়া যে কাউকে মাদক কারবারী, রাতের রানী উপাধিতে ভূষিত করেন, এইটা কি সংবিধান বর্হিভূত নয়? কোন আইন বলে বাকস্বাধীনতা হরণ করে?

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কত শতাংশ নেতা-কর্মী মদ পান করে না! আমার তো মনে হয় ৯৫শতাংশই মদপান করে থাকেন। বিশ্বাস হচ্ছে না? চলেন বিভাগীয় শহরগুলোর নামী-দামী হোটেল গুলো ঘুরে আসি তাহলে দেখতে পাবেন, কে বা কারা মদ খায়। বোট ক্লাবে বসে মদ খাওয়া যাবে কিন্তু বাসায় রেখে খাওয়া যাবে না এইটা কোন ধরনের আইন?

যে সমাজ বলে পরিমনি বেশ্যা, সম্রাট ক্যাসিনো ব্যবসায়ী আমি তাদের বলি, কষ্ট করে আপনি আপনার নিজের কথা ভাবুন আপনি কতখানি সৎ, আপনার বন্ধু-বান্ধব কতজন সৎ, আপনার সমাজে কতজন সৎ? তাহলে বুঝতে পারবেন, যত দোষ নন্দ ঘোষ।

আমরা পরিবর্তন চাই, আমরা সংস্কার চাই। কিন্তু যখনই পরিবর্তনের কথা বলা হয় তখনই নাস্তিক, মাদকাসক্ত, মাদক কারবারী, বেশ্যা কলঙ্ক নিয়ে জেল হাজতে যেতে হয় কিংবা নির্বাসিত হতে হয়। তবে কেন?

রাজনৈতিক নিছক স্বার্থের জন্য আমরা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এমনকি হলুদ সাংবাদিকদের জালে আমরা বন্দি। মুক্তি চাই। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন দেশে সাধারণ নাগরিক হিসেবে সজীব নিঃশ্বাস নিয়ে বাঁচতে চাই।

পরিশেষে বলতে চাই, মানুষের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন ঘটানোর প্রয়োজন তাই প্রগতিশীল হওয়ার আহ্বান রইল।

পুরুষ যেমন মানুষ নারীও তেমন মানুষ প্রাকৃতিক কারণেই শুধু শারীরিক গঠন আলাদা

FB_IMG_16

কবি, লেখক নারীকে নিয়ে অসংখ্য লেখা লিখেছেন। এর অধিকাংশ শিল্পমান অনেক উপরে যা আমার মত নগণ্য লোক বিচার করার ক্ষমতা রাখে না। কিন্তু “নাতীন বরই খা, বরই খা” এবং “বুকটা পাটয়া যায় পাটয়া যায়”। এইসব কথা মোটেও শিল্প সম্মত নয়, এতে আছে অশালীন ভাব। এই কুরুচিপূর্ণ কথায় নারী পুরুষ উভয় শিল্পী কণ্ঠ মিলিয়েছেন এবং আমরা এইসব গান শুনে তাদেরকে বাড়ি গাড়ির মালিক বানিয়েছি। ভিতরে “কাটা লাগা” মনোভাব নিয়ে নারী দিবসে হুমড়ি খেয়ে পড়ি নিজেকে সাধু করতে। ফেসবুক, টুইটার এবং ব্লগে নারীর পক্ষে এত লেখা আসে যে সেদিন অন্য কোনো লেখা চোখেই পড়ে না।

নারী দিবসে এত লেখা, এত কবিতা, এত সম্মান, এত শ্রদ্ধা। তারপরেও নারী শারীরিক, মানসিক সব যন্ত্রণাই পায় কেনো! আসলে নারী দিবসে সবাই মুখোশ পরে ভদ্রতার তবে ভদ্র করা দরকার চোখ, ভদ্র করা দরকার মন। নিজের ঘর হতে সেই ভদ্রতা শুরু করা দরকার, নিজের ঘর হতে সেই ভদ্রতা শিখা দরকার। নারী দিবসের দিন চট্টগ্রাম হাটহাজারীর এক ছাত্র নেতা ও কয়েকজন পুলিশের বিরূদ্ধে একজন নারী মামলা করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ নেতা ও পুলিশ মিলে উনার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ভোগ করে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। তাই বলবো প্রিয় নারী পা ফেলতে এবং মানুষ চিনতে খুব সাবধান।

যেমন অশিক্ষিত ও জালিম বর্বর ওঁৎ পেতে আছে ছোবল মারার জন্য তেমনি শিক্ষিত সমাজও আছে ওঁৎ পেতে এরা সবাই সমাজের দুষ্ট কীট। সবাই এক চেহারার মানুষ, চিনতে ভুল করলে জীবন শেষ, হোক সে বাবা, চাচা, ভাই, সন্তান ও স্বামী কিংবা পাড়া- প্রতিবেশী। হোক সে দরদি নেতা, জনপ্রতিনিধি, মোল্লা-মৌলভী, ওস্তাদ এবং শিক্ষক, হোক সে আইনের লোক কিংবা আইনের পোশাক পরা। মনে রাখা দরকার নিজের এবং শিশু সন্তানের ইজ্জত আব্রু আসমানে রেখে চলার দিন শেষ।

নারীর প্রতি সহযোগী মনোভাব পোষণ করে সহাবস্থান সৃষ্টি করি, সময় এসেছে সেই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার। নারীর ন্যায্য অধিকার দেওয়ার সাথে সাথে ন্যায্য সম্মান দেওয়ার নূন্যতম চেষ্টা করি। নিপাত যাক মতলবাজ ও মুখোশ পরা নারীবাদ।

(ছবিতে বাকপ্রতিবন্ধী একজন নারীকে ধাক্কা দিয়ে বাস হতে ফেলে দেয় পুরুষজাতির একজন। )