বিভাগের আর্কাইভঃ সমকালীন

পরকীয়া, আসলেই কি সামাজিক ব্যাধি, না সম্পর্কের বিবর্তন!

21

চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া এক খুনের ঘটনা পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। মানুষের মৃত্যু এতটা কষ্টের হয় ভাবতেও কষ্ট লাগছিল। যদিও মন খারাপ করার মত ব্যক্তিগত কোন কারণ ছিলনা ঘটনায়। এমন ঘটনা এখন বাংলাদেশে হরহামেশা ঘটছে। মিডিয়ায় আসছে কিছু কিছু, অধিকাংশই হয়ত সামাজিক কারণে ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে।

মাধব দেবনাথ পেশায় স্বর্ণকার। চট্টগ্রামে এক দোকানে কাজ করতো। পিন্টু দেবনাথ তার আত্মীয়। বিথী দেবনাথ পিন্টূর স্ত্রী। পাশাপাশি থাকার কারণে মাধব মাসে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে পিন্টূর বাসায় তিন বেলা খায়। সব চলছিল বাংলাদেশের যে কোন নিম্ন মধ্যবিত্তের পরিবারের জীবনের ছকে। গোল বাধে কিছুদিনের জন্যে মাধবের অসূখ। পিন্টূর স্ত্রী তার দেখভাল করার দায়িত্ব নেয়। এখানেই জন্ম মূল ঘটনার। বিথী ও মাধব জড়িয়ে যায় পরকীয়া সম্পর্কে। এ সম্পর্ক দ্রুত মোড় নেয় শারীরিক সম্পর্কে। বাংলাদেশের আধুনা প্রেম অথবা পরকীয়া সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় মাধব তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে শারীরিক সম্পর্কের জীবন্ত ছবি। আর দশটা সম্পর্কের মতই এ সম্পর্কও একসময় তেতো হয়ে আসে, বিশেষকরে গৃহবধূ বিথীর জন্যে। স্বামী সংসারের কথা ভেবে অস্বীকার করে শারীরিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে। রেগে যায় মাধব। এবং প্রতিশোধের অংশ হিসাবে ধারণকৃত ভিডিও পাঠিয়ে দেয় বিথীর স্বামী ও শ্বাশুড়ির কাছে। বিথী দেবনাথ সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহত্যার। কিন্তু বিচক্ষণ বিথী সিদ্ধান্ত নেয় তার মৃত্যুর জন্যে যে দায়ী তাকে আগে এ পৃথিবী হতে বিদায় করার। এখানেই জন্ম নেয় ঘটনার দ্বিতীয় অধ্যায়।

ডিসেম্বরের ২ তারিখ রাত দশটার দিকে এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিথীর শ্বশুরবাড়ির বাকি সবাই ঘরের বাইরে চলে যায়। সুযোগ বুঝে ঘরে ঢুকে মাধব। বিথীও সুযোগটা কাজে লাগায়। মাধবকে প্রস্তাব দেয় ভিন্ন আঙ্গিকের শারীরিক মিলন। মাধব লুফে নেয় সে প্রস্তাব। মিলনের অংশ হিসাবে প্রথমে মুখ সহ দু’পা দু’হাত বেধে ফেলে মাধবের। তারপর তার শরীরের উপর চড়ে বসে গামছা দিয়ে ফাঁস লাগায় গলায়। মাধব দেবনাথের জীবন এভাবেই সমাপ্ত হয়।

গতমাসে আরও এক চমকপ্রদ প্রেমের কাহিনী মিডিয়ায় এসেছে। নবম শ্রেনী পাশ এক ছেলে মোবাইলে মেয়ে মানুষ সেজে পরিচয় করতো অন্য মেয়েদের সাথে। তারপর ওসব মেয়েদের রেফারেন্স দিতো যোগ্য এক ছেলের। এবং ঐ ছেলে ছিল সে নিজে। মেয়েরা তাকে ফোন করতো। দেখা করতো এবং সম্পর্ক এক সময় শরীর পর্যন্ত গড়াতো। এবং এখানেও এক পক্ষ মোবাইলে ধারণ করতো শারীরিক সম্পর্কের লাইভ ভিডিও। এক পর্যায়ে ছেলে তার আসল উদ্দেশ্য নিয়ে মাঠে নামতো। মেয়েদের ব্ল্যাক-মেইল করে অর্থ আদায়ের পাশাপাশি চালিয়ে যেত শারীরিক সম্পর্ক। এ তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রী শুরু করে কলেজের শিক্ষিকা পর্যন্ত ছিল। তালিকার একজন বেঁকে বসলে পুলিশের ফাঁদে ধরা পরে প্রতারক।

পরকীয়া! শব্দটা ভার্চুয়াল দুনিয়ার মতই জনপ্রিয় উঠছে দিন দিন। ধীরে ধীরে এ বাস্তবতা বাংলাদেশের বিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবার ছাড়িয়ে বাসা বাধছে দরিদ্র নিম্নবিত্ত পরিবার সহ সমাজের সর্বস্তরে। পরিবার রেখে যারা প্রবাসে বাস করছেন তাদের সংসারে এর আগ্রাসন এখন করোনা ভাইরাসের চাইতেও ভয়াবহ। অথচ সমস্যাটা নিয়ে কথা বলতে আমরা কেউ আগ্রহী নই।

মানব মানবীর সম্পর্ক চিরন্তন। রাষ্ট্রীয় আইন অথবা সামাজিক মূল্যবোধ দিয়ে এসব সম্পর্ক আটকে রাখা যায়না। মানব সভ্যতা যতদিন বেঁচে থাকবে প্রেম ভালবাসার সম্পর্কও ততদিন লতায় পাতায় প্রসারিত হবে। আমাদের ট্রাডিশনাল ধ্যাণ ধারণায় এসব সম্পর্কের শুরু ও শেষের একটা সীমানা আছে। এ সীমানায় যা ঘটবে তা একটা প্রজন্মের কাছে প্রশ্নবোধক হলেও দিনশেষে সবাই তা মেনে নেয় এবং তারই ধারাবাহিকতায় শুরু হয়ে মনুষ্য জীবনের নতুন এক অধ্যায়।

জগত সংসারের চার দেয়ালে একজন রক্ত-মাংসের মানুষকে আমরা নির্বাসিত করতে অভ্যস্ত হয়ে পরি। নির্বাসনের বৈধ একটা নাম দিয়ে ইতি টানার চেষ্টাকরি একজন পুরুষ অথবা মহিলার আপন স্বত্তার। সমস্যা দেখা দেয় অন্য জায়গায়। মানুষ বেড়ে উঠে। বয়স বাড়ে। কিন্তু ভেতরের স্বত্তাটা একই গতিতে বেড়ে উঠেনা। শরীরের মত মুটিয়ে গিয়ে বুড়ো হয়না। পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক আর্থ-সামাজিক অবস্থা তাকে খাঁচায় আটকে ফেলে। এক সময় মানুষ মুক্তি চায় তার দমবন্ধ হওয়া বন্ধন হতে। এখানেই বপিত হয় সম্পর্কের নতুন বীজ। যার সামাজিক স্বীকৃতি, পরকীয়া হিসাবে। আধুনা এ বাস্তবতা আসলেই কি পরকীয়া, না মানব সম্পর্কের ন্যাচারাল এভ্যালুয়শন!

একটা সমাজে সংস্কৃতির গতি প্রকৃতি নির্ণয় করে তার অর্থনৈতিক সূচকগুলো, কথাটা আমার নয়, সমাজ বিজ্ঞানীদের। আমাদের সমাজেও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসছে। তার প্রভাব গড়াছে আমাদের সংস্কৃতিতে। পরিবর্তন হচ্ছে মানব মানবীর সম্পর্কের সংজ্ঞায়। একশ বছর আগে বিয়ে, সংসার মানেই ছিল রক্ত মাংসের একজন নারীকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা হতে বঞ্চিত করে সামাজিক পরাধীনতায় আটকে রাখা। আজকের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় তা আর সম্ভব হচ্ছেনা। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সংসার সংজ্ঞায় নারীকে আগের মত আটকে রাখা যাচ্ছেনা বেধে দেয়া পরিসরে। একটা সময় পার হতেই হালকা হয়ে যাচ্ছে নর-নারীর মনোজগতের বন্ধন। শারীরিক সম্পর্ক ঠাঁই নিচ্ছে ইতিহাসে। ফাটল দেখা দিচ্ছে পারিবারিক অবকাঠামোতে। এসব কারণই মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে নতুন সম্পর্কের সন্ধানে। এ সন্ধান কেবল পুরুষদের বেলায় সীমাবদ্ধ থাকছেনা, ছড়িয়ে পরছে বিথী দেবনাথদের মত সংসারের চার দেয়ালে আটকে থাকা মেয়েদের মনেও।

সামাজিক ও ধর্মীয় ফতোয়া দিয়ে পরকীয়া সম্পর্ককেও অপরাধের পর্যায়ে নামিয়ে আনা খুব সহজ কাজ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তাতে এ সম্পর্কের যেসব সমস্যা তার দিকে মোটেও চোখ ফেরানো হচ্ছেনা। বস্তবতা হচ্ছে, পরকীয়া থাকার জন্যে এসেছে, নিকট ভবিষতে কোন এক মন্ত্রবলে বিথী ও মাধব দেবনাথদের এ বিপজনক বাঁক হতে সরানো যাবে তার কোন সম্ভাবনা নেই। এখনই আমাদের ভেবে দেখতে হবে কেন বিথী দেবনাথদের মত রক্ষণশীল মেয়েরা সম্পর্কের উষালগ্নে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। গবেষণা করে দেখতে হবে কোন বাস্তবতায় একজন নারী তার গোপন সম্পর্কের সদ্য চেনা পুরুষকে তাদের শারীরিক মিলনের জীবন্ত ছবি ধারণ করতে দেয়। এসব জানা থাকলে নিশ্চয় বিথী দেবনাথ খুনের মত ভয়ংকর পথে পা বাড়াতেন না।

স্বাধীনতা যুদ্ধে আলেম মাশায়েখের অংশগ্রহন ও বীরত্ব

423777

বাংলাদেশের ইতিহাস এখন যেন গাছের পাতা, স্বার্থবাজ চামচারা ছিড়ে আর ছাগলে খায়।
(সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ এর মধ্যে একজনও হুজুর নাই, আটষট্টি জন বীর উত্তমের মধ্যে একজনও মাওলানা নাই, ১৭৫ জন বীরবিক্রমের মধ্যে একজন মুফতি নাই, ৪২৬ জন বীরপ্রতীকের মধ্যে একজনও আন্তর্জাতিক খ্যাতি-সম্পন্ন মুফাচ্ছের নাই, তবে দুইজন মহিলা আছেন! দেশকে স্বাধীন করতে কত ধরণের মুক্তি বাহিনী গঠিত হয়েছে! কিন্তু একজন হুজুরের নেতৃত্ব ০৫-১০ জন মাদ্রাসার ছাত্র নিয়ে কোন প্রতিরোধ যুদ্ধের নজির পাওয়া যায়নি। নজির পাওয়া গেছে পাকিস্তানি কর্তৃক বাংলার মা বোনদের ধর্ষণে সহযোগিতায়।

আজ আমাদের ওলামাগণ মাইকে চিল্লাইয়া দেশপ্রেমের বুলি আওড়াচ্ছেন। অথচ তারাই তালেবান কর্তৃক মসজিদে/ স্কুলে আত্মঘাতী হামলায় নিরীহ মুসলিম/শিশু হত্যাকে সমর্থন করে, কখনো জিহাদি সাপ্লাইয়ের প্রত্যয়ও ব্যক্ত করে।
(কা‌র্টে‌সি: হুমায়ুন র‌শিদ খান)। )

আসল ইতিহাস ও সত্যঃ
ourislam.com এ কিছু হুজুরের কথা বলা হয়েছে যাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা ছিল। অনেকে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন।

(১) মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ: আব্দুর রশিদ ২৪৩ দিন আত্মগোপন থেকে স্বাধীনতার যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। তার পরামর্শে অসংখ্য মানুষ যুদ্ধে অংশ নেয়, এবং এই কারণে পাকিস্তানী হানাদাররা তার বাড়ি-ঘর সব জ্বালিয়ে দেয়।

(২) মাওলানা আবুল হাসান যশোরী: তিনি ছিলেন যশোর রেল স্টেশন মাদরাসার মুহতামিম। তার মাদরাসার ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল তার মাদরাসায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হামলা করে ২১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে কে শহিদ করে, যাদের মধ্যে একজন ছিলেন সম্মানিত আলেম মাওলানা হাবীবুর রহমান এবং তার সাথে ছিলেন ৫ জন শাগরেদ আর বাকীরা ওখানে আশ্রয় নেয়া মুক্তিযোদ্ধা। পরে মাদরাসা প্রাঙ্গনেই শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর দেয়া হয়। ওই হামলায় যাশোরী গুলিবিদ্ধ হয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।

(৩) মাওলানা মুহাম্মদ কামরুজ্জামান চিশতী: পুরান ঢাকার জুরাইনের পীর হিসেবে যিনি পরিচিত। কথা সাহিত্যিক আনিসুল হকের “মা” উপন্যাসে আজাদের মা সফিয়া বেগম তার ছেলে আজাদকে এই পুরান ঢাকার জুরাইনের পীরের নির্দেশেই মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণ করেছিলেন। জুরাইনের পীরের বহু মুরীদ মুক্তিযোদ্ধা ছিল এবং জুরাইনের পীর সাহেব নিজে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তথ্য সূত্র: আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে।

(৪) মাওলানা মোহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জি হুজুর রহ.: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টা ঢাকার লালবাগ মাদরাসায় ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছিলেন। সে সময় কওমি মাদরাসার কয়েক জন ছাত্র হুজুরকে জিজ্ঞাসা করেছিল, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আপনার কি অভিমত? তিনি বলেন, এটা হচ্ছে জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের যুদ্ধ। পাকিস্তানিরা জালেম আর আমরা হচ্ছি মজলুম। হাফেজ্জি হুজুরের এই কথা শুনে অনেক আলেম দেশের টানে ও নির্যাতিত নারীদের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর লালসার হাত থেকে বাঁচাতে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধু নিজে হাফেজ্জি হুজুরের সাথে দেখা করে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন।

(৫) শায়খুল ইসলাম আমীমুল এহসান রহ.: তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রধান মুহাদ্দিস ছিলেন। তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যা ও নারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ইয়াহিয়া সরকার উনাকে জোর করে সৌদিআরব পাঠিয়ে দেয়। দেশ স্বাধীন হবার পর শায়খুল ইসলাম আমীমুল এহসান রহ. বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং বঙ্গবন্ধু তাকে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রধান খতিব হিসাবে নিযুক্ত করেন। তথ্য সূত্র: শায়খুল ইসলাম আমীমুল এহসান রহমাতুল্লাহ আলাইহি এর জীবন ও কর্ম।

(৬) ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম রহ.: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সবচেয়ে বড় কওমি মাদরাসা জামিয়া ইউনুসিয়া মাদরাসার মুহতামিম ছিলেন তিনি। তাকে মধ্যপ্রাচ্যের আলেমরা একনামে চিনতেন। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়, তার ফতোয়া শুনে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার অনেক বড় বড় আলেম মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বহু মুক্তিযোদ্ধাকে ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম রহ. তার নিজ বাসায় আশ্রয় দিয়েছেন। দেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধু উনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন। তথ্য সূত্র: ফখরে বাঙাল আল্লামা তাজুল ইসলাম রহ. ও উনার সাথীবর্গ।

এ রকম আরো অনেক আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ রয়েছে যাদের অবদান বাংলার মানুষ ভুলেনি। হয়তো ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম নেই। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক যতো নিবন্ধ, প্রবন্ধ এবং বই প্রকাশিত হয়েছে, তাতে আলেমদের নেতিবাচক ভাবেই তুলে ধরা হয়েছে এবং হচ্ছে। বর্তমান প্রজন্ম এসব বই, নাটক, সিনেমা দেখে আলেমদের বা দাড়ি টুপি দেখলেই রাজাকার মনে করে। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। এদেশের শত্রু-মিত্রদের চিনিয়ে দিতে হবে। সেজন্য মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের যে বীরত্ব ও অবদান রয়েছে তা মানুষের কাছে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।

হ্যাঁ, তোমাকেই বলছি

আপনাকে বলছি, লিখতে পারতাম। লিখি নাই।
তোমাকেই বলছি। তুমি।
যে তুমি সুফিইজমে অর্ধেক বিশ্বাস করো।
হ্যাঁ, অর্ধেক। তোমার সুবিধামতো।
সুফিবাদের কথা বলো, কিন্তু ভাস্কর্য মানো না।
বিশ্বাস করো না। কেন করো না?
কে তুমি? কি মতলব নিয়ে এই মাঠে এসেছ?
বুঝে, নাকি না বুঝে?

বিশ্বে যে এত ভাস্কর্য, তা তুমি দেখ নাই?
রুমী, হাফিজ পড়েছো?
ইমাম গাযযালী?
ওমর খৈয়াম ?
পড়েছ?
তাঁঁদের ভাস্কর্য কোথায় কোথায় আছে,
একটু দেখে নাও।

গুগল করো, পেয়ে যাবে।
তুমি গান করো, বাজনা তোমাকে
মানতে হবে।
তুমি ফকিরি করো। মাজার তোমাকে
মানতে হবে।
ওলীদের মৃত্যু নেই। এই বিশ্বাস তোমাকে
রাখতেই হবে।
মাঝামাঝি কোনও পথ নেই।

সুফিবাদ করবে, ওলী মানবে না – তা হয় না।
তুমি মাঝামাঝি থাকতে চাইলে তুমি
ফাউল। তুমি ভ্রান্ত। তুমি কনফিউজড।
জানো কি, ভ্রান্তদের কিচ্ছু নেই অবশেষে।
তোমার আক্বিদা না থাকলে, তোমার উচিৎ
নয় সুফিইজম করা।
অন্য পথ ধরো। বাউলবাদ আর বৈষ্ণববাদ
যাই বলো, মুলত একই সন্ন্যাস।

গান লিখতে চাও, পূর্ণ আরাধনায় লেখো।
অর্ধেক বিশ্বাসে নয়।
মনে রাখবা, স্বশিক্ষিত তারাই হতে পারে
যারা আলোর আরাধনা করে।
সাধন ভজন না থাকলে সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাস
পূর্ণ হয় না।
আর বিশ্বাস পূর্ণ না হলে সিদ্ধি হয় না।
আর কিছু বলবো?
না থাক। এটাই তোমার জন্য বেশি।
ইলমে তাসাউফ কে বুকে ধারণের ক্ষমতা
সকলের নেই।

রাজনীতিতে Politics প্রিয় স্বদেশে কিন্তু বুঝে না ছোট ছোট মৌলভীরা

250121_tts

এই মাত্র কিছু দিন আগেও এই হেফাজতের সাথে সরকারের কুটুম কুটুম ভাব ছিলো। তবে এই ভাবের আগে কিন্তু শাপলা চত্বরে বাঁশ ঢলা দিয়ে ছিলো আওয়ামী লীগ। সেইদিন হেফাজত কোনো হেফাজত করেনি কোমলমতি শিশুদের। অসংখ্য মাদ্রাসায় চার দেয়ালে বলাৎকার এবং গরুর মত পিটানো হেফাজত কওমীদের সিনেমার পার্ট। তবে শাপলা চত্বরে এতিম শিশুদের দিয়ে বাণিজ্য হেফাজত ভালোই করেছে। কিছু নাম গোত্রহীন এতিম শাপলা চত্বরে মরে তাজা ষাঁড়ের বলাৎকার হতে রক্ষাও পেয়েছে। বিনিময় সাবেক সভাপতি পুত্র পেয়েছে সরকার হতে জায়গা জমি ও টাকার খনি।

হেফাজতের আসল চেহারা।
দূর অতীতঃ এখন হেফাজতে জড়িত বেশ কয়েকটা ইসলামী রাজনৈতিক দল। এরা একসময় বিএনপির সাথে জোটে ছিল তখন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী আন্দোলন করেছে। এরপর ক্ষমতায় আসে বিএনপি জোট সরকার তারপর মনে হয় হালুয়া রুটির ভাগে বনাবনি না হওয়ায় বিএনপি জোট ত্যাগ করে। সবচেয়ে মজার বিষয় ইসলামী দল ভেঙ্গে এক অংশ আবার আওয়ামী লীগের সাথে জোটও করে। তারপর বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক জল গড়িয়েছে। বিএনপি রাস্তায় রাস্তায় ঘেউ ঘেউ করে পাপ মোচন করতেছে। কিন্তু এইসব ইসলামী দল দেশের রাজনীতিতে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ এখন।

নিকট অতীতঃ হঠাৎ করে গজে উঠলো হেফাজত । শাপলা চত্বর সম্পর্কে সবাই জানে। সরকার বলে কিছুই হয়নি আর বিপক্ষকারি বলে শত শত লাশ পড়েছে। তবে সত্য হলো লাশ না পড়লে হেফাজত শাপলা চত্বর ছাড়তো না সরকার নাকানি চুবানি খেত। কিন্তু আমরা পরে দেখেছি হেফাজত ও সরকার চরম ধাক্কাধাক্কির ভিতর হয়ে গেল একে অপরের ভালো বন্ধু। কিছু হেফাজতি নেতা সরকারের কোলে বসে হালুয়ারুটি খেতে খেতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন কওমী মাতা। লাভ হলো হেফাজত নেতাদের কিন্ত লাশ হলো এতিম কওম। কি সুন্দর! হেফাজতি মৌলভীদের পলিটিক্স। সেই সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হেফাজতের মোল্লাদের সাথে বসে ঘোষণাও দিলেন দেশ চলবে মদিনা সনদে।

কিন্তু এখন কি হলো।
বিএনপিঃ মাঠে নাই ঘাটেও নাই। মাঝে মাঝে উপনির্বাচনে হাজির হয়ে পার্থী আর উনার বউয়ের ভোট পায় আবার এর জন্যও নিজেরা নিজেরা করে কাদা ছুড়াছুড়ি। বিএনপিকে সরকার তারপরও ভয় পায় যদি বিএনপি সোজা হয়ে দাড়িয়ে যায়। যদিও এটা আদৌ সম্ভব না এমনিতে আবিষ্কার হয়েছে রাতের ভোট, অনুগত নির্বাচন কমিশনের দক্ষতায়। হামলা, মামলা, গুম, খুনে বিএনপি আরো ত্রিশ বছর পরও সোজা হবে না। এইদিকে জামায়াত রাজাকারের বদনাম মুক্ত হতে পারিনি এখনো। তাদের এতই করুণ দশা সরকার তাদের দল ভেঙে কোমরও ভেঙ্গে দিশাহারা করে দিয়েছে । তাই জামায়াত ঘোষণা দিয়েছে ত্রিশ বছর দলীয়ভাবে কোন নির্বাচন করবে না। জাতীয় পার্টি ও বাম দল এখন নাক ডুবিয়ে গোয়ালে খেতে আছে।তারপরও সরকার ভয়ে আছে।

আজই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘোষণা দিয়েছে মানব অধিকার লঙ্ঘন ও গণতন্ত্র হরণকারীদের প্রতি অবরোধসহ আরো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিবে। ভাস্কর্য ও মূর্তি নিয়ে সরকার ও হেফাজতের মাঠ গরম এটা দুই বন্ধুর ডায়লগ বিনিময় মাত্র। এতে হেফাজত এবং সরকার উভয় পক্ষ লাভবান হবে। মরবে শাপলা চত্বরের মত এতিম কওম। এতে হেফাজত পাবে আগের মত জায়গা-জমি ও বাড়ি-গাড়ি আর টাকার খনি। সরকার ঘোষণা করেছে ভাস্কর্য বানাবেই আর হেফাজত বলেছে মূর্তি ভাঙ্গবেই। মনে হয় এটা সরকার এবং হেফাজতের ভিতর সমঝোতা করা হয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকার বিভিন্ন দেশের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে যে মৌলবাদী মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে তাদের সাহায্য লাগবে। ইতিমধ্যে আবার জঙ্গীও ধরা হয়েছে । আর পশ্চিমারা মৌলবাদীর নাম শুনলেই বমি করে। তাই সরকারকে সাহায্য করবেই। আওয়ামী লীগ বিদেশীদের বুঝাতে চায় তারাই সন্ত্রাস এবং জঙ্গী দমনে একমাত্র উপযুক্ত দল।

আপনারা যারা হেফাজত হেফাজত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তোলে মরতে প্রস্তুত হচ্ছেন তারা গোবর মাথায় নিয়ে হৃদয়ে ইসলামের আগুনে জিহাদ করতে তৈরী হচ্ছেন তারা বিভিন্ন নদীতে লাশ হয়ে ভাসবেন কিংবা ডাস্টবিনে পচবেন। আগের মত সরকার অনুগত সমস্ত বাহিনী মাঠে নামবে অবুঝ হুজুরদের পিটিয়ে বড় হুজুরদের ঠান্ডা করবে।

ডায়াবেটিস রোধে ১০ ম্যাজিক খাবার

resize-350x250x0image-193101

ডায়াবেটিস এখন একটি কমন রোগ। ঘরে ঘরে মিলছে এই রোগী। তবে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনি ইচ্ছে করলেই এই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন শুধু খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামের মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞদের মত, ডায়াবেটিসের প্রথম পর্যায়ে তা পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব। যদি নিয়ম মেনে চলা যায় তাহলে নাকি মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে কোনো ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিসকে মাত করে দেয়া সম্ভব। কিছু ফল ও খাদ্য উপাদান রয়েছে যা শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে শরীরে শর্করার পরিমাণ নামাতে সাহায্য করে। এই খাবারগুলো তারাও খেতে পারেন যাদের এখনো ডায়াবেটিস না হলেও পরিবারের সদস্যদের যদি ডায়াবেটিস আছে।

গাজর: গাজরে বেটা ক্যারোটিন আছে। যা শরীরে ইনসুলিনের উদ্দীপন নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত খাওয়া গেলে মাত্র ৩০ দিনে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

মাছ: মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ থাকে। যা শরীরের ইনসুলিনের উৎপাদন কম করে। সপ্তাহে দুই দিন করে খেলেই যথেষ্ট।

অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে, যা শরীরের পক্ষে ভাল। শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেয় না। নিয়মিত অলিভ অয়েল খেলে শরীরে শর্করার পরিমান কমতে থাকে।

পাউরুটি: সাদা পাউরুটি অর্থাৎ যেটা ময়দা দিয়ে তৈরি হয় তা একেবারেই শরীরের উপযোগী নয়। তাই এই ধরনের পাউরুটিকে না বলুন। কিন্তু মাল্টি গ্রেন পাউরুটিতে হজমে কোনো সমস্যা হয় না। পাশাপাশি এতে ক্যালোরির পরিমাণও কম। যার ফলে আপনার ওজনও বাড়ে না এবং ডায়াবেটিসের সম্ভাবনাও কমে।

কমলালেবু: সপ্তাহে দুই দিন যদি কমলালেবু খেতে পারেন তাহলে মাত্র ৩০ দিনেই ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ফটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে। যা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।

আমন্ড: আমন্ড হল ডায়াবেটিস রোগীদের প্রিয়বন্ধু। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন রয়েছে। আমন্ড যদি প্রত্যেকদিন দুটি করেও খাওয়া যায় তাহলে ৩০ দিনেই হাতেনাতে ফল পাবেন।

গ্রিন টি: ক্যাটেচিন, ট্যানিন রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। আর গ্রিন টি এই উপাদানগুলোতে ভর্তি। দিনে দুইবার করে গ্রিন টি পান করুন। যদি ৩০ দিনে ডায়াবেটিসের হাত থেকে মুক্তি চান তাহলে এই সহজ উপায়টি অত্যন্ত উপযোগী।

বিনস: বিনস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কারণ একে একাধিক ধরনের ফটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে যা শরীরের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।

আপেল: আপেল শরীরে শর্করার পরিমাণ আচমকা উত্থান-পতন নিয়ন্ত্রণ করে রক্তে শর্করার পরিমাণে স্থিতি আনতে সাহায্য করে। প্রত্যেকদিন একটা করে আপেল খান। ওটস ওটস পেটের মধ্যে উৎপাদিত পাচক উৎসেচক ও যে খাবার আমরা খাচ্ছি তার শর্করাজাত উপাদানের মধ্যে সেতু তৈরি করে। এর ফলে শরীরে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক হয়।

(ঢাকা টাইমস)

শিরোনাম আগের মত

20201

১৯শে নভেম্বর ইসরাত জাহান রাফির জন্মদিন ছিল। সে জন্মদিনে ইসরাতের ছোট ভাইয়ের স্মৃতিচারণ ।

#চিঠিঃ
আপু আপনাকে ভুলিনি আমি, আমার অনুভূতিতে এক নিবিড় স্বপ্ন হয়ে আপনি আছেন। অদৃশ্য ভালোবাসায় ভর্তি আমার অনুভূতিগুলো, আপুনি শুনতে পাচ্ছেন কি আমার শব্দহীন চিৎকার? আপনাকে হারিয়ে এখনো এক মানসিক বিপর্যয়ে নিমজ্জিত আমি। হাসিটাই আমাদের ভালো থাকার কারণ ছিল তাইনা আপু? কিন্তু কিছু মানুষরূপী জানোয়ার ইতি টেনে দিল আমাদের সম্পর্ককে। স্মৃতিচারণ করা ছাড়া নিজের মনকে শান্তনা দিতে পারছিনা।

বোন তোকে ভুলে থাকতে পারছিন আমরা।
তোকে উপলব্ধি করি আজো নিদ্রাহীন রাতে, একাকী নিঝুম দুপুরে, বিষণ্ন সন্ধ্যায়। উপলব্ধি করি একসাথে থাকার দীর্ঘ দিবস রজনী, এখনও অনুভব করি তুই পাশে না থাকার যন্ত্রণা। বোন তোকে নিয়ে কোন অনুভূতি কাব্যিক ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। বহু স্বপ্ন দেখতাম আজকের এই দিনটিকে ঘিরে। মানুষরূপে হায়েনারা তোকে আমার বুক থেকে কেড়ে নেওয়ায় তা এখন শুধুমাত্র কল্পনা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।

বাকি জীবনেও হয়তো পরিপূর্ণ পাবেনা আমার স্বপ্ন; একজন দায়িত্বশীল,প্রতিবাদী বোন হয়ে আমার মাঝে তুই বিরাজমান। কোন শব্দ দিয়ে তোর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা সম্ভব না!! বড় অসহায়ের মতো লাগছে নিজেকে। জন্মদিনে নেই কোন আনন্দ নেই কোন অনুভূতি, আছে শুধু মনের ভেতর জমানো কষ্ট। পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ভালোবাসা ভাই-বোনের ভালোবাসা, ভালো থাকুক পৃথিবীর সব ভাই-বোন। প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সূর্য যতটা মূল্যবান, তুই আমার কাছে তার থেকেও লক্ষ কোটি গুণ মূল্যবান কারণ তুই আমার বোন।
শুভ জন্মদিন।
বোন নুসরাত।

#আমার কথাঃ

আধুনিক যুগের নমরূদ সিরাজ । সাথে আছে তার সহযোগী সৈন্য সামন্ত। তাদের পরিচয় ক্ষমতাবান রাজনৈতিক নেতা। নেতারা এইখানে ধর্মীয় লেবাসে মুখোশধারী একজন নমরূদের সহযোগী। তাই একজনের মেয়ে একজনের বোন ইজ্জত আব্রু বাঁচাতে সংগ্রাম রত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে মরলো এই নমরূদ বাহিনীর হাতে। এরা রাজনৈতিক পতিতা যখন তাদের দল ক্ষমতায় আসবে কিংবা থাকবে তারা বিক্রি হবে চড়া দামে এই সব সিরাজের কাছে লোভ,লালসা ও লিপ্সায়। মা ,বোন, বউ ও মেয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে মরবে এদের হাতে।

সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনের ফাঁসির রায় হয়েছে। বাকি আসামীর বেশির ভাগই ওই মাদ্রাসার আলিম ও ফাজিল শ্রেণীর ছাত্র ও শিক্ষক। একজন ছাত্র ছাত্রদল একজন ছাত্র শিবির করতো। নুসরাতের দায়ের করা মামলার পর রুহুল আমিন থানা ম্যানেজ করার দায়িত্ব নিয়েছিল। এজন্য সে অধ্যক্ষ সিরাজের পরিবারের কাছ থেকে টাকাও নেয়। রুহুল আমিন অনেক বছর সৌদি ছিল সেখানে ট্যাক্সি চালাতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ফিরে আসে দেশে আস্তে আস্তে রাজনীতির গভীরে গিয়ে, গড়ে তোলে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী । শুরু করে চাঁদাবাজি বালু উত্তলোন সহ নানা অপকর্ম। অল্পদিনে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে নজর দেয় দলীয় পদে।

একজন কমিশনারেরও ফাঁসির রায় হয়েছে। সে সহযোগী ছিল রুহুল আমিনের। একসময় ফুটপাথে বসে কাঁচা সবজি বিক্রি করতো। দল করেই টাকার কুমির বনে কমিশনার হয় এই মূর্খ। সে নেতা বনে সমাজের সালিশ করে টাকা খেত। এরা সবাই অধ্যক্ষ সিরাজের সহযোগী একমাত্র টাকা কারণেই। টাকাই সেতুবন্ধন তৈরী করেছে রুহুল আমিন সিরাজ ও ছাত্র শিক্ষকের মাঝে।

এই নারী লোভী অধ্যক্ষ একজন দুষ্ট লোকই নয় সে একজন প্রতারক ও সুদখোরও বটে। নানান অপকর্মে দক্ষ এক অধ্যক্ষ। ছাত্রীদের নির্যাতনের অভিযোগ থেকে শুরু করে নাশকতা ও মাল্টিপারপাস কোম্পানি খুলে অর্থ আত্মসাতের মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ছাত্রী নিপীড়নের অভিযোগ, টাকা আত্মসাতের অভিযোগসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তো আছেই। যত তাড়াতাড়ি ফাঁসির রায় কার্যকর হবে এত তাড়াতাড়ি দেশ কিছুটা স্বস্তি পাবে। না হয় বলতে হবে, মেয়ে জন্ম দেওয়া ও নেওয়া এই সমাজে অপরাধ। না হয় মেয়ে জন্ম দেওয়া বন্ধ করা হোক বাংলাদেশে।

0148187

জনগণের কষ্টের টাকা বিদেশে পাচারে সহযোগিতা করবেন না মাননীয় রাষ্ট্র

05774606575

ভাস্কর্য কখনো কখনো সৌন্দর্য বর্ধনের উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়ে থাকে। আবার কখনো অন্য স্মরণ ও সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে তৈরী হয়ে থাকে। যেমন আমার পোস্টে ছবি ভাস্কর্যটা ফেনীতে নতুন করা হয়েছে সালাউদ্দিন মোড়ে আর এতে সৌন্দর্যবর্ধক হয়েছে। এই ভাস্কর্য নিয়ে কারো কোন বাদ-প্রতিবাদ নেই মনে হয় সবাই খুশি। এই রকম ভাস্কর্য শহরে ও উপজেলা শহরেও করা হয়েছে। এই সব ভাস্কর্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এতই ভাইরাল হয়েছে যে মনে হয় সাক্ষাৎ বেহেস্তবাসী ফেনীর জনগন। কারণ এতে আল্লাহর নাম এবং ইসলামিক মন মানসিকতা বজায় রাখা হয়েছে।

আরেকটা ভাস্কর্য সম্মান প্রদর্শনের জন্য নির্মিত যেমন স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনার। স্মৃতিসৌধে বিশেষ বিশেষ দিনে আমারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করি এবং শহীদ মিনারেও তাই। এখানে কেউ পুজা করে না মাথা ঠেকিয়ে কিছু মানত করে না। এখানে দেশের জন্য আত্মত্যাগকারী বীর শহীদের স্মরণ করে। এই যে বাংলা ভাষা পেলাম এই যে বাংলাদেশ পেলাম এই টাতো যুদ্ধ করে মরে তারপর পেলাম। এখন যদি এইসব বীর যোদ্ধাদের একটু স্মরণও না করি তাহলে আমরা কিসের কৃতজ্ঞ জাতি হলাম। অবশ্যই ইতিহাস কালচার সংরক্ষণ করা উচিত। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে আমরা মুসলিম প্রধান দেশ। এই দেশে জঙ্গী যেমন সুবিধা করতে পারে না তেমনি নাস্তিকও হালে পানি পায় না। তাই ভাস্কর্য নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে বাহাস করে আমাদের শান্তি নষ্ট করবেন না।

এক পক্ষ বলেছে ঘাড় মড়কে দিবে যদি বেশী বাড়াবাড়ি করে। শুনে হাসি পেল কারণ ক্ষমতা তাদের দেশ তাদের। আরেক পক্ষ বললো বাংলার জমিনে মূর্তি বানাতে দিবোই না। এইটা শুনেও হাসি পেল যেন দেশ দোজখ হয়ে যাবে দুই একটা মূর্তি বানালে। আরব দেশে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফরজটা পড়ে, শতকরা ৯৯ জন সুন্নত পড়ার গরজ বোধ করে না। কিন্তু চারটা বিয়ে করা সুন্নত আর তা পালনে সচেষ্ট থাকে শতকরা ৯৯ জন। আরে সবচেয়ে বড় কথা এই ভাস্কর্যের মাথায় বসে ছোট চড়ুই পাখি হতে বড় চিল পর্যন্ত বিষ্ঠা ত্যাগ করবে। দেখবেন আপনারা পরিষ্কার করার দরকারও মনে করবে না কেউ। ছাগল এবং পাগল উভয়ে চুচু করবে, সুযোগ পেলে হাগুও করবে দেখার কেউ থাকবে না। তাহলে ভাস্কর্য তৈরী করতে এত উদ্যমী কেন। জানতে হলে দেখতে হবে যমুনা টিভির অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান 360 ডিগ্রী।

লুটপাটের সব জায়গা শেষ করে এখন শুরু করেছে ভাস্কর্য নির্মাণের নামে লুটপাট। চট্টগ্রামের এক ভাস্কর্য নিয়ে যমুনা টিভির 360 ডিগ্রী অনুষ্ঠানে সুন্দর লুটপাটের প্রতিবেদন দেখানো হল। ভাস্কর্য শিল্পীর সাথে চুক্তি করেছে ১৮ লাখ টাকায় আর হিসাবে দেখিয়েছে ৮৬ লাখ টাকা! প্রকল্পে মোট খরচ যেখানে হয়েছে দুই কোটি টাকার মত সেখানে ৫ কোটি খরচ দেখিয়ে এখনো কাজ শেষ হয়নি। আবার নতুন বরাদ্দ চেয়েছে কাজ শেষ করতে!

দেশব্যাপী ভাস্কর্য নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারকে তেলে ভাসিয়ে নিজেদের লুটপাটের জায়গাটা নির্বিঘ্ন করতে চায়। স্থানীয় সরকার ভালোবাসার যায়গা থেকে ভাস্কর্য নির্মাণ করছে বিষয়টি এমন না। তারা নিজেদের লুটপাট ঠিকঠাক রাখতে নাম ব্যবহার করছে মাত্র। এই লুটপাটের সাথে জড়িত আছে মেয়র থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার। এরা অন্যের আবেগকে কাজে লাগিয়ে ভাস্কর্যকে লুটপাটের মেশিন হিসাবে ব্যবহার করছে। অনুষ্ঠানে দেখবেন এক পর্যায় সাংবাদিককে ঘুষ দিতে যায় সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার। এসব লুটপাটের ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ করা অতীব জরুরী। বন্ধ না করলে স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে। জনগণের কষ্টের টাকা বিদেশে পাচারে সহযোগিতা করবেন না মাননীয় রাষ্ট্র।

MG_16057

এলেবেলে -৩৫

image-1

দেশের নামের সাথে গণতান্ত্রিক বা রিপাবলিক লেখা থাকলেই সেই রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে এমন কোন কথা নেই। যেমন চীন।

আবার নাম মাত্র গণতান্ত্রিক দেশের বেশিরভাগ দেশের জনগন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। কোথাও আগের রাতে ভোট হয়, আবার কোথাও প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয়, এমনকি মেরেও ফেলা হয় যেমন রাশিয়া। চীনের নামের সাথে পিপলস রিপাবলিক লেখা থাকলেও ঐখানে সাধারণ পিপলের ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। এমনকি যে কেউ ইচ্ছে করলেই পিপলস পার্টির সদস্য হতে পারে না। পিপলস পার্টির সদস্য হতে হলে এলিট শ্রেণীর বা পরিবারের সদস্য হতে হবে। সেই দেশের সাধারণ জনগণের ভোট দেওয়ার ইচ্ছা খুব প্রবল, একটা উদাহরণ দেই …

জাপানের কিছু আইডল গ্রুপ আছে এই গ্রুপ গুলো জাপানের বাইরেও খুব জনপ্রিয়। সেরকম একটা গ্রুপ হচ্ছে AKB 48, নামের মতোই এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৪৮ জন। সবাই মেয়ে। এই গ্রুপের সবচেয়ে মাঝখানে কে থাকবে তা নির্বাচন করা হয় ফ্যানদের ভোটে। ভোটার হতে হলে সিডি কিনে ব্যালট সংগ্রহ করতে হবে। যেহেতু চীন দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেন না। তাই ইয়াংদের মধ্যে AKB48 এর মধ্যমণি নির্বাচন খুবই উৎসব মুখর হয়ে থাকে।

আমেরিকার নাগরিক না হয়েও আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠা মানুষের মধ্যে নিজ দেশের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারার বেদনাও আছে। ইনবক্সে বা টাইম লাইনে ট্রাম্প এর বিকৃত ছবি, মুভি বা কার্টুনও পাঠিয়েছেন। যেখানে নিজের দেশের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে দুই কলম লিখতে পারবেন না সেখানেই এই প্রবণতা প্রবল।

ট্রাম্পের বিকৃত ছবি বা ভিডিও ক্লিপ যারা পাঠিয়েছেন তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, বাইডেন এর অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বা পররাষ্ট্র বিষয়ে কিছু জানেন কি না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা জবাব দেন নাই।

আমি একটা কথা বলি, যে যাই বলুক “আমেরিকা ইজ রিয়েলি গ্রেট”। আমেরিকান ড্রীমের লক্ষ্যে মানুষ আমেরিকায় স্থায়ী হতে চায়, চীনে নয়। এমনকি চীনারাও।
আমেরিকা দূর্বল হলে উন্নয়নশীল দেশ গুলোই সবচেয়ে সমস্যার সম্মুখীন হবে। সেই সাথে আমেরিকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় আসলে পৃথিবীর অন্য দেশেও গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার এর জন্ম নিবে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সমগ্র বিশ্বকে নেতৃত্ব দেন একথা ভুলে গেলে চলবে না। বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও আমেরিকার ৮০% মানুষ করোনা পরবর্তী অর্থনীতি উদ্ধারে ট্রাম্পকেই যোগ্য মনে করেন। আবার ঠিক একই সংখ্যক মানুষ বাইডেন করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল হবেন বলে মত দিয়েছেন।

বিবেক বর্জিত দেশ বিদেশ হাওয়ায় উঠে বিবেক

FB_IMG_1604134812416

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ একজন বিকৃত মস্তিস্কের মানুষ। সাথে করে যে বউটা নিয়ে হাঁটেন সে পঁচিশ বছরের বড় তার স্কুল শিক্ষিকা। ছোটকালে এই মহিলার সাথে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে স্কুল ছাড়া হয়। মাক্রোঁ অন্য স্কুলে ভর্তি হয় আর শিক্ষিকাকে বদলী করা হয় অন্যত্র তারপরও তাদের অবৈধ সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয়নি। ছোটকাল হতে চতুুর একরোখা বদমেজাজি মাক্রোঁ। আর বর্তমানে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে মুসলিমদের ধর্মে আঘাত করে বিমাতা সুলভ আচরণ করতেছে।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) একজন মহামানব। উনার আদর্শ সমগ্র মানব জাতির জন্য কল্যাণকর। হযরত মুহাম্মদ (সা.) মুসলিম জাতির সর্বশেষ নবী ও রাসূল এবং পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া মহামানবদের একজন। তাই উনাকে ব্যঙ্গ কিংবা কটাক্ষ করার অধিকার কোন ব্যক্তি সমাজ এবং রাষ্ট্রের নাই। যদিও উনার কোন ছবি কিংবা চিত্র পৃথিবীতে নাই তারপরও কল্পনা করেও অসম্মান করতে পারেন না কেউ। ফ্রান্স যা করেছে তা খুবই ঘৃণিত কাজ এবং নিন্দনীয় তারা খুবই হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছে। একজন মহামানবকে ব্যঙ্গ করার নিন্দা জানানোর জন্য কোন নির্দিষ্ট জাতি কিংবা গোষ্ঠির লোক হতে হবে এমন কথা নাই। আপনি সুস্থ ও মানবিক হলে সুস্থ ও মানবিক পথে ঘৃণা জানাবেনই। এবং প্রতিটি ধর্মের লোককে মুহাম্মদ (সা.) এর মত সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে হবে। উনি শুধু মাত্র মুসলিমদের জন্য নয় সমগ্র মানব জাতির কল্যাণে কাজ করেছেন।

অথচ দুঃখের বিষয় এমন মহামানবকে অপমানে আমরা বেছে নিয়েছি উগ্রতাকে। তবে আশার কথা হল মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির শালীনভাবে প্রচণ্ড প্রতিবাদ করেছেন। তুর্কী প্রেসিডেন্ট প্রতিবাদে সবার আগে আছে। এমনকি রাশিয়াও এগিয়ে এসেছে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে, রাশিয়া যে দৃষ্টিকোণ থেকে কথা বলেছে এটাই আসল কথা।

রাশিয়া বলেছে ‘ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করার কারণে ফ্রান্সে সহিংসতা বেড়ে গেছে। কাজেই সবার আগে এ ধরনের অবমাননাকর কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে।’ এছাড়া অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, রাশিয়া বলেছে ‘কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অবমাননা ও ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীর অনুভূতিতে আঘাত হানা রাশিয়ার দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়।’

মুল বিষয় হলো, রোগের মেডিসিন না দিয়ে যদি বলেন রোগ সারে না কেন তাহলে তো বিপদ! রাশিয়ার মত আমিও মনে করি ইসলাম অবমাননা অব্যাহত রাখলে ফ্রান্সের উপর হামলা কেউ ঠেকাইতে পারবে না। হামলা নিয়ে দুনিয়াব্যাপী যত নিন্দা জ্ঞাপন করেন কোন লাভ হবে না।

বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান প্রতিবাদে উত্তাল। তাদের দূতাবাস ঘেরাও করেছে এবং পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশসহ বেশ কিছু মুসলিম দেশ। কাতার, কুয়েত ও তুর্কী পণ্য বয়কটের ডাক যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। মুসলমানদের তীর্থস্থান মক্কা মদিনার মালিক ম্যাও ম্যাও করেছে একবার। আমরা গরিব মুসলিম নবীজীকে প্রাণের চেয়েও বেশী ভালোবাসি কিন্তু আমাদের পঞ্চাশ ষাট হাজার লোক ফ্রান্সে থাকে আমাদের পোষাক তারা কিনে পরে আর এইটা হলো গরিব বাংলাদেশের অলংকার। ফ্রান্সের সব জিনিসপত্রই দামি যেমন কসমেটিক্স ও ইলেকট্রিক পণ্য উল্লেখ যোগ্য। আমার বিশ্বাস রাস্তায় যারা চিৎকার করছে তাদের লোকজন ফ্রান্স থাকে না এবং চিৎকারকারী একজন লোকের ঘরেও ফরাসী পারফিউমও নাই তাহলে কি বয়কট করবো আমরা।

আমি মুসলিম হিসাবে মুসলিম দেশের সরকার কে বলবো কূটনীতিক তৎপরতা বাড়ানোর জন্য যাতে উদারমনা দেশগুলি ফ্রান্সের উপর চাপ প্রয়োগ করে এবং এতে আমাদের নবীকে অসম্মান করতে পারবে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম মানবতার ধর্ম। সহনশীল আচরণই ইসলামের মূলনীতি। আমরা একপক্ষ প্রচণ্ড কট্টর ধর মার কাট আরেক পক্ষ (মুসলিম ) ইসলাম ধ্বংস করতে পারলেই সুখ। মাথায় টুপি দিয়ে রমজান মাসেই জিনিসের দাম বাড়াই। মুনাফা করি ,ঘুষ খাই, সুদ খাই সেই টাকায় ঈদের বাজার করি। নামের সাথে হাজি লাগিয়ে সন্ত্রাস করি। আবার সুযোগমতো তাবলীগও করি।

আমাদের মত মুসলিম দেশেই গণ পিটুনির বহু প্রচলন আছে। গরিব চোর ধরে গণপিটুনিতে মারি, লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে গণ পিটুনিতে মারি, ছেলে ধরা বলে মহিলাকে গণ পিটুনিতে মারি সর্বশেষ কোরান অবমাননায় গণ পিটুনি দিয়ে পুড়িয়ে মারি। যাদের মারি তারাও মুসলিম। ঘরে তাদের ফুটফুটে নিষ্পাপ সন্তানও থাকে তারা মা মা, বাবা বাবা চিৎকার করে। কিন্তু মুসলিম শাসক বিচারও করে না। তারপরও বলবো মাক্রোঁ মানসিক রোগী সৌদি আরব বর্বর তাদের সঙ্গী। তবে আশার কথা হচ্ছে মাক্রোঁ আল জাজিরা টিভিকে বলেছেন -মহানবীকে (সা.) অবমাননা করে কার্টুন প্রকাশে মুসলিমদের ‘অনুভূতি’ কেমন হয়েছে তা বুঝতে পারছেন। কিছুটা আমাদের দেশের মত রাজনৈতিক কৌশলও অবলম্বন করেছেন। তাঁর বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দোষারোপ করে বলেছেন উনার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করছে তারা।

26932

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আপনার কুল বাঁচান

_101155

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ছাড়িয়ে গেছে গত সোমবার। শীতকাল আসন্ন ফলে এই ভাইরাস আবার দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ার একটা বড় ঝুঁকি রয়েছে। এমনিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা অবশ্যই অনেক বেশি, পরীক্ষা পদ্ধতিতে ঘাপলা করে অনেক দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। জানি না মৃতের সঠিক সংখ্যা কত।

বৃটিশ দ্বিতীয় দফার করোনা সংক্রমণ মোকাবিলার চেষ্টা করছেন, বৃটেনের বিভিন্ন অংশে লকডাউন দেয়া হয়েছে। ফ্রান্সে আরোপ করা হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ। ইউরোপের অন্যদেশে স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জরুরি নয় এমন অপারেশন। মেডিকেল শিক্ষার্থীদেরকে সার্ভিসে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ভারতে সব মিলিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এই পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৭৪ লাখ ৩০ হাজার। বড় আকারে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যে। মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর শনিবার তৃতীয় সপ্তাহের জন্য রাজধানী তেহরানে লকডাউন রয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু থেকে মারা গেছেন কমপক্ষে ১১ লাখ মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মৃতের এই সংখ্যা সফল একটি টিকা আসার আগে ২০ লাখে দাঁড়াতে পারে!

আমাদের দেশে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি এখন রীতিমতো রূপকথা। একেকজন তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ধরা পড়েন আর আমরা শিউরে উঠি তাদের সম্পদের হিসাব মিলাতে হিমশিম খান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। কেউ কেউ আফসোস করে বলেন, আহা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি চালকও যদি হওয়া যেতো।

কর্মকর্তাদের ধরলে আরও অবৈধ সম্পদের উৎস ও অর্থ লোপাটের তথ্য পাওয়া যাবে। এইসব কর্মকর্তার স্ত্রীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিছু দিন পরপরই আমরা স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজ ধরার খবর পাই আর এদের প্রায় সবাই কর্মচারী। তাদের সম্পদ দেখে আমরা বিস্মিত হই। আবজাল ও গাড়ি-চালক মালেক এখন কারাগারে দেশ দেশে তাদের সম্পদের ফিরিস্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

আসল কথা হচ্ছে, এই কর্মচারীদের কারও হাতেই আলাদিনের চেরাগ নেই। স্যারদের সহযোগিতা ছাড়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয় কোটিপতি ক্লাবের সদস্য হওয়া। কেবল এই কর্মচারীদের আইনের আওতায় আনলেই স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি বন্ধ হবে না। কান টানাই দুর্নীতি বন্ধের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রয়োজনে বড় বড় দুর্নীতিবাজদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

আমাদের দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার আগে থেকেই মন্ত্রী-আমলারা বলে আসছিল, ভাইরাস মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। পরে দেশের জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে, কতটা প্রস্তুত ছিল সরকার! কতটা অসহায় ছিল জনগণ। কতটা বেপরোয়া ছিল সাহেদ ও সাবরিনা, মুনাফাখোর ও দুর্নীতিবাজ। একইভাবে এখন ভ্যাকসিন নিয়েও বক্তৃতা চলছে। তা কি শুধুই মুখে মুখে নাকি বাস্তবেও তার ভিত্তি রয়েছে, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন থাকা স্বাভাবিক।

আমাদের দেশের জনগণও অচেতন একরোখা গুজবের পিছনে দৌড়ানো সবাই। সৌদিতে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে সফলতা পেয়েছে মাস্ক না পরলে এক হাজার রিয়েল জরিমানা করে। আইনের কঠোর প্রয়োগে জনগণ মানতে বাধ্য। প্রায় সাতশ জনের মত বাংলাদেশী করোনায় নিহত হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী চট্টগ্রামের প্রবাসী। এমনও হয়েছে একই রুমে চারজনই মারা গিয়েছে সতর্ক হয়ে না চলায়। প্রবাসী যে যেখানে আছেন সতর্ক হয়ে চলবেন শুধু রোজগারের পিছনে ছুটবেন না। কষ্ট হচ্ছে সবার টিকা আসা পর্যন্ত আরেকটু কষ্ট করলে অনেকের জীবন বাঁচবে হয়তো। সচেতন হবেন ও মাক্স পরবেন যথাসম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলুন।

বিভিন্ন খবরের লিংক- এখানে

দোলায় চড়ে দেবী মর্ত্যলোকে … শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি

images-2

সারাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জেও খুব জোরেশোরে চলছে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পঞ্জিকা অনুযায়ী মূল পূজার শুভসূচনা শুরু হবে ২১ অক্টোবর ২০২০ বুধবার মহা পঞ্চমীতে। পরদিন ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে হবে দেবীর বোধন। ২৬ অক্টোবর মহাদশমীতে বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।

এবার মহালয়া ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর, ৩১ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। মহালয়ার পার্বণ শ্রাদ্ধের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। মহালয়া হয়ে থাকে অমাবস্যা তিথিতে। তখন থাকে ঘোর অন্ধকার। মহাতেজের আলোয় সেই অমাবস্যা দূর হয়ে প্রতিষ্ঠা পায় শুভশক্তি। সেই থেকেই শুরু হয় দেবীপক্ষের সূচনা। তাই দুর্গাপূজার দিন গণনা এ মহালয়া থেকেই শুরু হয়। এর পরবর্তী তিথিগুলো নিম্নরূপ:

পঞ্চমী:
মহাপঞ্চমী মানে বোধনের আগের দিন। অর্থাৎ দুর্গা পুজোর শুরু আর সেই সঙ্গে এক বছরের অপেক্ষার অবসান। এদিন মা দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচনই এই দিনের প্রধান কাজ হিসাবে গন্য হয়। মানে বোধনের আগে কল্পারম্ভ। এসময় ঢাকের শব্দে পূজামণ্ডপ-সহ আশেপাশে শোরগোল শুরু হয়, মা এসে পড়েছেন মর্ত্যে। আর এবার কিন্তু দুর্গাপুজা আশ্বিন নয়, কার্তিক মাসে। অর্থাৎ এবছর ২১ অক্টোবর ২০২০, ৪ঠা কার্তিক বুধবার।

মহাষষ্ঠী:
মহাষষ্ঠী পালিত হবে আগামী ২২ অক্টোবর, ৫ কার্তিক, বৃহস্পতিবার। এদিন দুর্গাদেবীর ষষ্ঠ্যাদিকল্পারম্ভ ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা। অর্থাৎ দুর্গা প্রতিমার মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়।

মহাসপ্তমী:
দুর্গাপূজা ২০২০ এর মহাসপ্তমী পালিত হবে আগামী ২৩ অক্টোবর, ৬ কার্তিক, শুক্রবার। এদিন শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমী বিহত পূজা প্রশস্তা অনুষ্ঠিত হবে।

মহাঅষ্টমী:
মহাঅষ্টমী পালিত হবে আগামী ২৪ অক্টোবর, ৭ কার্তিক, শনিবার। এদিন শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর মহাষ্টম্যাদি কল্পারম্ভ ও মহাষ্টমী বিহিত পূজা প্রশস্তা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন দুর্গাপূজার অন্যতম পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিপূজা তিথি শুরু হবে ভারতীয় সময় সকাল ১১টা ২৪ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে এবং তিথি শেষ হবে সকাল ১১টা ৪৬ মিনিট ৪১ সেকেন্ডে।

মহানবমী:
দুর্গাপূজার মহানবমী তিথি পালিত হবে আগামী ২৫ অক্টোবর, ৮ কার্তিক, রবিবার। এদিন শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর মহানবমী কল্পারম্ভ ও মহানবমী বিহিত পূজা প্রশস্তা অনুষ্ঠিত হবে।

বিজয়া দশমী:
এবারের শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী পালিত হবে আগামী ২৬ অক্টোবর, ৯ কার্তিক, সোমবার। এদিন দশমী পূজা সমাপনান্তে মা দুর্গার প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। এদিন সন্ধ্যা লগ্নে প্রতিটি পূজামণ্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে দেবীকে সিঁদুর দানের সাথে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চলবে বিবাহিত হিন্দু নারীদের সিঁদুর খেলা। এই সিঁদুর দেবীর কপালে এঁটে পানপাতায় দেবীর মুখমণ্ডল মুছে দিয়ে দেবীকে এবারের মতো বিদায় জানানো হয়। এসময় উপস্থিত সকল হিন্দু বিবাহিত নারীরা মনের অনন্দে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠে। সাথে চলতে থাকে ঢাক-ঢোলের বাজনা। তখন ঢাকের শব্দে কেঁপে ওঠে প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এরপরই শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি নেওয়া।

এই শারদীয় দুর্গোৎসবটি হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। যা হয়ে থাকে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে। কিন্তু এবার মহালয়ার তিথি ছিলো ১৭ সেপ্টেম্বর। ৩১ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, বুধবার। কিন্তু পঞ্জিকার হিসাবে এবার আশ্বিন মাস ছিলো ‘মল মাস’, মানে অশুভ মাস। সে কারণে এবার আশ্বিনে দেবীর পূজা না হয়ে, হচ্ছে কার্তিক মাসে।

আশ্বিন মাসের দুর্গাপূজাকে বলা হয় শারদীয়া দুর্গাপূজা। এটি বাঙালি হিন্দু সমাজের অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। আর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষকের দুর্গাপূজাকে বলা হয় বাসন্তীপূজা। বাসন্তীপূজা মূলত কয়েকটি পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। তাই চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষের বাসন্তী পূজাটি অনেকের চোখে পড়ে না। অনেক স্থানে বাসন্তীপূজা হয়ও না।

যাইহোক, এবার ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবীর দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ দুর্গোৎসব। চলবে একনাগাড়ে পাঁচদিন। মহাষষ্ঠীর পরদিনই ২৩ অক্টোবর মহাসপ্তমী। এর পরদিন ২৪ অক্টোবর মহাষ্টমী। এদিন বাংলাদেশের অনেক পূজামণ্ডপে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ২৫ অক্টোবর মহানবমীর পরদিন ২৬ অক্টোবর দিনগত রাতে বিজয়াদশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই বর্ণিল উৎসব।

পঞ্জিকা মতে জানা যায়, এবার দেবী দুর্গা দোলায় চড়ে মর্ত্যলোকে আগমন। গমন গজে (হাতি) চড়ে। অর্থাৎ ধীরগতিতে, শান্ত হাতিতে চড়ে দেবী দুর্গা এবার পাড়ি দেবেন স্বর্গে। দুর্গাদেবীর আগমন ও গমনের মধ্যেও একটি বিশেষ ফল রয়েছে। তাহলে জেনে নেওয়া ভালো যে, দুর্গাদেবী এবার দোলায় আগমন আর গজে চড়ে গমন করার মধ্যদিয়ে কীরূপ প্রভাববিস্তার করতে পারে?

দুর্গাদেবীর আগমন…
শাস্ত্র তথা পঞ্জিকা মতে; এবারের দুর্গাপুজোয় মা আসছেন দোলায় চড়ে। যার ফলে প্রবল মড়ক প্রাক পূজার সময় পর্যন্ত চলবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে পুজোর আগে পর্যন্ত প্রবল মহামারীর পরিস্থিতি থেকে যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল।

দুর্গাদেবীর গমন…
শাস্ত্র তথা পঞ্জিকা মতে; এবার দুর্গাদেবীর গমন গজে। অর্থাৎ ধীরগতিতে। গজে চড়ে মায়ের গমন শুভ। অর্থ্যাৎ এর ফলে বিশ্বে শুভ কোনও বার্তা নেমে আসবে। গজের গমনে সাধারণত শস্য শ্যামলা বসুন্ধরা হয়। তাই এবার তারই প্রভাব পড়তে পারে বিশ্বে।

কুমারী পূজা…
দুর্গা পূজার কথা আসলেই আগে আসে কুমারী পূজার কথা। এই কুমারী পূজা হচ্ছে দুর্গা পূজারই একটা অংশ। এই কুমারী পূজাটি হয়ে থাকে নারায়ণগঞ্জের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে এবং বাংলাদেশে যতগুলো রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম আছে সেসব মিশনে। নারায়ণগঞ্জের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমটি শহরের চাষাঢ়াস্থ মিশনপাড়াতে অবস্থিত। জানা যায় এবার করোনা ভাইরাসের আলামতের কারণে রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী মাতা ছাড়াই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

কুমারী পূজা হলো তন্ত্রশাস্ত্রমতে অনধিক ষোলো বছরের অরজঃস্বলা কুমারী মেয়ের পূজা। বিশেষত দুর্গাপূজার অঙ্গরূপে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে বহু আগে থেকেই কুমারী পূজার প্রচলন ছিলো। যা শোনা যায় বুড়ো-বুড়ীদের কাছ থেকে। তবে আগের মতন বর্তমানে কুমারী পূজার প্রচলন তেমন নেই। যা আছে শুধু সারাদেশের রামকৃষ্ণ মিশনগুলোতেই। প্রতিবছর দুর্গাপূজার মহাষ্টমী পূজার শেষে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, এবারও হবে।

সকাল ১০টা হতে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজা শেষে শুরু হয় পূজার্থী ও দর্শনার্থীদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ। পূজা পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের প্রধান মহারাজ।

জানা যায়, স্বামী বিবেকানন্দ শারদীয় দুর্গোৎসবে এই কুমারী পূজার প্রচলন করেন। নারী মানে মায়ের প্রতীক। তাই কুমারী পূজা মানে স্বয়ং মাকে পূজা করা। পৃথিবীতে দেবী দুর্গাই সর্বশক্তিমান। তাকে লক্ষ্য করেই কুমারী পূজা করা হয়। একজন কুমারীকে মাতৃজ্ঞানে পূজা করাই হলো দুর্গাদেবীকে পূজা করা।

দুর্গা পূজার গ্রন্থের তন্ত্রশাস্ত্র অনুসারে জানা যায়, এক থেকে ১৬ বছর বয়সী কুমারীকে পূজা করা যায়। তবে শাস্ত্রে ১০ বছরের কুমারী মেয়েকেই কুমারী পূজায় বশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সেখানে বয়স অনুসারে কুমারীর নামকরণও করা হয়েছে। বিভিন্ন বয়সের কুমারী মেয়ের জন্য আলাদা আলাদা নামও রয়েছে শাস্ত্রে।

যেমন–
এক বছরের কন্যা — সন্ধ্যা
দুই বছরের কন্যা — সরস্বতী
তিন বছরের কন্যা — ত্রিধামূর্তি
চার বছরের কন্যা — কালিকা
পাঁচ বছরের কন্যা — সুভগা
ছয় বছরের কন্যা — উমা
সাত বছরের কন্যা — মালিনী
আট বছরের কন্যা — কুষ্ঠিকা
নয় বছরের কন্যা — কালসন্দর্ভা
দশ বছরের কন্যা — অপরাজিতা
এগারো বছরের কন্যা — রূদ্রাণী
বারো বছরের কন্যা — ভৈরবী
তেরো বছরের কন্যা — মহালপ্তী
চৌদ্দ বছরের কন্যা — পীঠনায়িকা
পনেরো বছরের কন্যা — ক্ষেত্রজ্ঞা
ষোলো বছরের কন্যা — অন্নদা বা অম্বিকা

কুমারী পূজায় যে ধ্যান করতে হয়, “মা তুমি ত্রৈলোক্যসুন্দরী, কিন্তু আজ তুমি কালিকাস্বরূপে আমার সম্মুখে উপস্থিত। তুমি জ্ঞানরূপিণী, হাস্যময়ী, মঙ্গলদায়িনী।”
আর কুমারী পূজার যে প্রণাম মন্ত্র রয়েছে তার অর্থ-
“মা, তুমি প্রসন্ন হলে আমাকে সৌভাগ্য দান করতে পারো। তুমি সকল প্রকারের সিদ্ধি আমাকে দান কর। তুমি স্বর্ণ, রৌপ্য, প্রবাল কত রকমের অলঙ্কারে অলঙ্কৃত হয়েছ। তুমিই সরস্বতী। আমি তোমাকে প্রণাম করি।”

এবার নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় ১৯৬টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে গতবছর নারায়ণগঞ্জ জেলায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা ছিলো ২০৬টি। মহামারী করোনা ভাইরাস প্রভাব বিস্তারের কারণে গতবারের চেয়ে এবার ৯টি কম। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন এলাকায় দুর্গাপূজা হবে ৭টি মণ্ডপে।

শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরির কাজ পায় শেষপর্যায়ে। ইতোমধ্যে চারুকারুর শিল্পীরা প্রতিমা তৈরির কাজও শেষ করে ফেলেছে। রংতুলির কাজ যা বাকি আছে, তা শেষ সময়ের মধ্যেই হয়ে যাবে বলে আশা করছে, প্রতিটি পূজা মণ্ডপের কর্তারা। মণ্ডপ প্রাঙ্গণে তোরণ নির্মাণের কাজও শেষ হয়েছে। তবে এবার মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে নারায়ণগঞ্জ শহরের রাস্তায়-রাস্তায় বিশাল-বিশাল তোরণ নির্মাণ হচ্ছে না। সাধারণভাবে যা হচ্ছে, তা কেবল পূজামণ্ডপ প্রাঙ্গণেই।

দুর্গাদেবীকে প্রণাম করার মন্ত্র:
যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা ।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ।।

অনুবাদ: যে দেবী সর্বপ্রাণীতে শক্তিরূপে অধিষ্ঠিতা, তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার।

বলে রাখা ভালো যে, এবারের প্রতিটি পূজামণ্ডপে দর্শনার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা থাকবে বাধ্যতামূলক। আর পূজা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ স্থানীয় প্রশাসনও ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বলে জানা যায়। যাতে করে কোনও ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটে এবং পূজা উদযাপন করতে কোনও ধরনের সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারেও স্থানীয় প্রশাসন রাখবে সজাগ দৃষ্টি। প্রতিটি পূজামণ্ডপে থাকবে পুলিশ বাহিনীর সদস্য।

শব্দনীড় ব্লগের সবাইকে শারদীয় দুর্গোৎসদের শুভেচ্ছা।
যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।

ফেসবুক দিন-দিন জ্ঞানীগুণী ও অসাধু ব্যক্তিদের দখলে যাচ্ছে

952129

বর্তমান সময়ে ফেসবুকের কারিগরি সিস্টেমের সাথে কিছু জ্ঞানীগুণী ও কিছু অসাধু প্রতারক ব্যবহারকারীদের তেলেসমাতি দেখে যেমন অবাক হই, তেমন আবার ভাবতেও থাকি! ভাবনার কারণ হলো, আমার ফিরে দেখা ১৯৭৩-৭৪ সাল ও ২০১১-১২ সালে ফেসবুকে আত্মপ্রকাশ নিয়ে এবং তখন কী দেখেছি আর এখন কী দেখছি তা নিয়ে।

১৯৭৩-৭৪ সালের দিকে যখন এদেশে মোবাইল ফোন ছিলোই না, তখন এদেশে মোবাইল ফোনের নামও কেউ জানতো না। আর এখন দেশের আনাচে-কানাচের রাজপ্রাসাদে, বস্তিবাসীর হাতে উন্নতমানের নামী-দামী ব্যান্ডের টাচ্ স্ক্রিন এন্ড্রয়েড মোবাইল। এসব মোবাইলে রয়েছে দ্রুতগতির 4G ইন্টারনেট সুবিধা-সহ আরও কতকিছু! সবকিছুর মধ্যে তেলেসমাতি সুবিধা হলো, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা। এই ইন্টারনেট সুবিধা পেয়ে ধনী-গরিব সবাই বাজার থেকে একটা দামী অথবা কমদামি মোবাইল কিনেই ফেসবুকে রেজিষ্ট্রেশন করে দিন-রাত ফেসবুক নিয়েই পড়ে থাকে। কি ধনী আর কি গরিব, কি ছেলে আর কি বুড়ো; সবাই এখন ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার ও ফেসবুক নিয়েই অস্থির সময় পাড় করছে।

আবার কিছু জ্ঞানীগুণী ও কিছু অসাধু ব্যবহারকারীরা ফেসবুকটাকে তাদের দখলে নিয়ে গেছে। যদিও পুরোপুরিভাবে দখলে নিয়ে পারেনি, তবুও তাদের প্রাণপণ চেষ্টা অব্যাহত আছে। তাই ফেসবুকে থাকা এসব জ্ঞানীগুণী ও অসাধু ফালতু ব্যবহারকারীদের তেলেসমাতি সত্যি আমাকে ভাবিয়ে তুলে। ভেবেও কোনও লাভ হবে না বলে জানি! কারণ দিন যত গত হচ্ছে, নিত্যনতুন নামী-দামী ব্যান্ডের এন্ড্রয়েড মোবাইল এদেশের বাজারে আসছে। তাই খুব সহজেই যেকেউ একটা এন্ড্রয়েড মোবাইল থেকে অনায়াসে ফেসবুকে রেজিষ্ট্রেশন করে তেলেসমাতি দেখিয়ে যাচ্ছে। তেলেসমাতি দেখাতে পারতোই না, যদি এন্ড্রয়েড মোবাইল এদেশের বাজারে না আসতো; আর হাতে হাতে এন্ড্রয়েড মোবাইল না থাকতো।

এসব দেখে মনে পড়ে, একসময়ের বাটন মোবাইলের কথা! এদেশে যখন মোবাইল ফোন বাজারে আসে, তখন বেশিদামী আর কমদামী সব ব্যান্ডের সব মোবাইলই বাটন মোবাইল ছিলো। বাটন মোবাইলে ইন্টারনেট সুবিধা বলতে GPRS কচ্ছপ গতির 2G ইন্টারনেট ছিলো। সেই কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট সুবিধাতেও একসময় মানুষ বর্তমান যুগের অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করতো। কিন্তু ফেসবুকে এতএত তেলেসমাতি কারিগরি সিস্টেম আর এতো জ্ঞানীগুণীদের পদচারণা ছিলো না। ছিলো না, ভুয়া আইডির অসাধু ব্যবহারকারীদের আনাগোনাও। 

সেই সময়কার বাটন মোবাইলে GPRS 2G ইন্টারনেট ব্যবহার করেই ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। যা এদেশে ফেসবুক আবির্ভাব হবারও অনেক পরে। তা-ও একসময় হঠাৎ করে ওই আইডি টা নিস্ক্রিয় হয়ে যায়। শত চেষ্টা করেও ফেসবুকের প্রথম আইডি টা আর সক্রিয় করতে পারিনি। তারপর বাধ্য হয়ে ২০১২ সালে পুনরায় বর্তমানে চলমান আইডি টা খুলেছিলাম। কিন্তু বাটন মোবাইলে ফেসবুক ব্যবহার করে এখনকার মতো এমন মজা পেতাম না। বাটন মোবাইলে ফেসবুক ব্যবহার করা মানে, মানুষ হয়ে গরুর মতো মাঠের ঘাস খাওয়া।

যাই হোক, ২০১১-১২ সালে যখন ফেসবুক ব্যবহার করতাম, তখন ফেসবুকের এতো কারিগরি সিস্টেম ছিলো না। যা ছিলো, তা শুধু একে অপরের সাথে সামাজিক যোগাযোগই রক্ষা করতে পারতো। যেমন– নিজের পছন্দের ছবি দিতে পারতো। নিজের টাইম লাইনে বন্ধুদের উদ্দেশ্যে কিছু লিখতে পারতো। সীমিত শব্দের বার্তা প্রেরণ করা পারতো। তাই মনে হয় বর্তমান ফেসবুক একসময় বিশ্ববাসীর কাছে অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সাইট হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছিল। আগে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করার সিস্টেম ছিলো না। ভিডিও লাইভ নামের কোনকিছুই ছিলো না। ভিডিও পোস্ট করার কোনও অপশন ফেসবুকে ছিলো না। কারোর কাছে ভিডিও কল তো দূরের কথা, কথা বলারও কোনও সুবিধা ছিলো না। মোটকথা মেসেঞ্জার সফটওয়্যার বা অ্যাপই ছিলো না। আর এখন? এখন ফেসবুক মেসেঞ্জারে মেসেজ ভিডিও কলের জ্বালায় রাতের ঘুম হারাম।

আমি প্রথম যখন ফেসবুকে রেজিষ্ট্রেশন করেছিলাম, তখন দেখেছি এদেশের অনেক সাধারণ মানুষ-সহ অসংখ্য খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গরা এই ফেসবুককে আঁড়চোখে দেখতো। মানে, দেশের জ্ঞানী-গুণীরা অনলাইনে থাকা ফেসবুককে অপছন্দের একটা সাইট হিসেবে বিবেচনায় রাখতো। আবার অনেকের ধারণা ছিলো, এই ফেসবুক অল্প কিছুদিনের মধ্যেই অনলাইন থেকে হারিয়ে যাবে। সেই ধারণা নিয়েই দেশের অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিরা আগে ফেসবুকে রেজিষ্ট্রেশন করেনি। এমনকি ফেসবুকে একটু চুপিও দেয়নি। যদিও কোনও খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ ফেসবুকে রেজিষ্ট্রেশন করেছিলো, তা কেবল পরিচিত ব্যক্তিদের ফেসবুকে ফলোআপ করার জন্যই করেছিলো।

নামী-দামী ব্যক্তিবর্গরা ফেসবুকে রেজিষ্ট্রেশন করার পর তাদের নিজের আসল নামটাও দেয়নি। তারা ফেসবুকে আত্মপ্রকাশ করেছিল ছদ্মনামে, আর প্রোফাইল ছবিটি সাজিয়ে রেখেছিল নানান রঙে। যেমন– ফুলের ছবি, গাছে ছবি, পাখির ছবি, ফলের ছবি, গরুর ছবি, ছাগলের ছবি, লাঠির ছবি, লতা-পাতার ছবি ইত্যাদি দিয়ে প্রোফাইল ছবির জায়গাটা ঠেসে রেখেছিল। প্রোফাইল ছবি আর নিজের নাম আড়ালে রাখার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিলো, অনেকেরই মনের ভয়। সম্মানহানির ভয়। অপমানের ভয়। লোকলজ্জার ভয়। বহু লোকের মাঝে পরিচিতির ভয়। এই ভয় থেকে এখনো অনেক নামী-দামী কবি, সাহিত্যিক, বড়সড় ব্যবসায়ী, রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা বেরিয়ে আসতে পারেনি। তাদের দেখাদেখি অসংখ্য অসাধু ব্যবহারকারীরাও তাদেরই পথ অবলম্বন করছে।

একসময়ে ফেসবুককে অপছন্দকারী ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলো কবি, সাহিত্যিক, লেখক/লেখিকা, বড়সড় ব্যবসায়ী, রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা ও অসংখ্য অসংখ্য শিক্ষক/শিক্ষিকা ও শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ। ওনারা সবসময়ই ফেসবুকে থেকে যাচ্ছে আড়ালে আবডালে। কিন্তু একজন সাধারণ মানুষের মতো উনারাও ফেসবুক ব্যবহারকারী। তবে মজার ব্যাপার হলো, এখন আর তাদের কাছে ফেসবুক অপছন্দের নয়! এখন ফেসবুক তাদের কাছে জীবন চলার চাবিকাঠি এবং সকালের নাস্তা, রাতের ঘুম। মোটকথা বাংলাদেশের ফেসবুক এখন তাদেরই দখলে।

সম্মানিত ব্যক্তিবর্গরা এখন ফেসবুকে গ্রুপ বা পেইজ তৈরি করে সাধারণ ব্যবহারকারীদের যোগদানের আহবানও জানায়। যেসব কবিগণ আগে ফেসবুকের নামও শুনতে পারতো না, উনারা এখন কবিতার আসর জমিয়ে, তাঁদের লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস পড়ার অনুরোধ করে। আবার বড়সড় খ্যাতিমান সাহিত্যিকরা তাদের নিজস্ব গ্রুপে সাহিত্যচর্চার আসরও বসিয়েছে। বই প্রকাশনার প্রশাসকরা তাদের ই-মেইল ঠিকানায় লেখা পাঠানোর আহবান জানাচ্ছে। ছোট-বড় রাজনৈতিক নেত্রী বৃন্দরা তাদের অনুসারী বাড়ানোর জন্য ফেসবুকে আইডি খুলে নিজের পরিচয় জানান দিচ্ছে। আবার অনেক অসাধু ব্যক্তি রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীনদের নামে ফেইক আইডি খুলে হাতে ইশারা দিচ্ছে, আমি অমুক, আমি অমুক!

তাই এখন ফেসবুকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত নির্বাচনী প্রচারণাও চলে। এখন ফেসবুকে দেশের যেকোনো নির্বাচনের নির্বাচনী এলাকার পছন্দের প্রার্থীর একনিষ্ঠ কর্মীরা মিছিলও করছে, আমার ভাই তোমার ভাই, 'কেয়ামত ভাই, কেয়ামত ভাই। কেয়ামত ভাইয়ে চায় কী, কেয়ামত ছাড়া আর কী!

আবার অনেক জ্ঞানী গুণী দীর্ঘদিন ফেসবুককে অবহেলা করে ফেসবুক থেকে দূরে থেকে আফসোস করেও মরছে। তাই উপায়ন্তর না দেখে উনারা এখন ফেসবুকে আইডি খুলে প্রথমেই জানিয়ে দিচ্ছে, আমি কবি, আমি সাহিত্যিক, আমি রাষ্ট্রের এটা, আমি ওটা, আমি সেটা, আমি অমুক, আমি তমুক। এর মানে হলো, উনি অনেক দেরি করে ফেসবুকে এসে একদিনেই সকল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মন জয় করে ফেলতে চাইছে।

আবার অনেক বড়-বড় কবিরা একটু দেরি করে এসে, নিজের লেখা কবিতা-সহ দিন-রাত পারিবারিক ছবি আপলোড করেই যাচ্ছে। তাদের কাছে ফেসবুক এখন মহামূল্যবান এক সম্পদে পরিণত হয়েছে। অনেকেই আছে প্রতিদিন একবার করে নিজের প্রোফাইল ছবি-সহ কাভার ছবিও পরিবর্তন করছেই। এসব দেখে বোঝা যায়, উনারা খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে সারাদিন এই ফেসবুক নিয়েই বসে থাকে।

বর্তমান ফেসবুক পাগল জ্ঞানীগুণীদের সাথে তাল মিলিয়ে অসাধু কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও এরকমই করছে। তবে অসাধু ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কার্যকলাপ ভিন্নরকম। তারা এক-এক সময় এক-এক অপকর্মে ব্যস্ত থাকে। যেমন–কাউকে ঘায়েল করতে হলে ধর্ম অবমাননাকর একটা পোস্ট প্রতিপক্ষের ঘাড়ের উপর চাপিয়ে দিয়ে তাকে সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আবার কারোর পোস্টে গিয়ে খামোখা বাজে মন্তব্য করে সমালোচনার জন্ম দিয়ে ভালো মানুষের ক্ষতি করবে। কারোর সামনাসামনি না পারলেও ফেসবুক হুমকি-ধমকি দিয়ে যাবে। আবার কোনও জনপ্রিয় নেতা-নেত্রীর ভালো কাজের গুনগান তারা গাইবে না। বরং ওইসব জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধিদের সমালোচনা করা-সহ দোষ দিবে, নিন্দা করবে, মিথ্যে অপবাদ দিবে এবং যেভাবেই হোক হেয় প্রতিপন্ন করাই হলো ওইসব অসাধু ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রতিদিনের কর্ম।

তাদের ওইসব কীর্তিকলাপ দেখে ভাবতে থাকি, যদি গুগল প্লাসের মতো কোনোএক সময় এই ফেসবুক চিরতরে হারিয়ে যায়, তাহলে ফেসবুকে দেরি করে আসা এসব কবি, সাহিত্যিক, লেখক/লেখিকা, জ্ঞানীগুণী আর অসাধু ব্যবহারকারীরা কী করবে? মনে হয় হার্ট-অ্যাটার্ক করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। কামনা করি তা যেন না হয়। সবাই বেঁচে থাকুক! সবাই ফেসবুকের নিয়মনীতি মেনে ফেসবুক ব্যবহার করুক! জয়তু ফেসবুক।

ধর্ষণ ও রাজনীতি রায়হান ও স্যারেরা আলু মরিচ আর টিভির কথা

ধর্ষণ ও রাজনীতি। রায়হান ও স্যারেরা। আলু মরিচ আর টিভির কথা।

জেনা ব্যাভিচার এবং ধর্ষণ বিরোধী সমাবেশ করাটা আমার কাছে যথার্থ এবং ইউনিক মনে হয়। ব্যাভিচারে লিপ্ত হলে এক সময় ছেলের বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং শুধু ছেলেটার বিচার হলে এটা জুলুম। ব্যাভিচারে লিপ্ত দুইজন এবং সহযোগীকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এবং সবার শাস্তির আওতায় আনার আওয়াজ তোলা দরকার। বর্তমান বাংলাদেশে দলীয় পান্ডারা ধর্ষণের রাজত্ব কায়েম করেছে। এই কথাটা স্পষ্ট ভাষায় বলতে হবে।

ছোট ছোট শিশুদের বলৎকারে লিপ্ত এক শ্রেণীর আত্মীয় আর কওমি মাদ্রাসার মৌল্লা নামক দুষ্ট কীট। এইসব মৌল্লাদের কারণে প্রকৃত আলেম সমাজ ৭১ টিভির রূপা মিথিলা দ্বারা আক্রান্ত এবং ৭১ টিভি বলৎকারে লিপ্ত ইসলামকে। ইতিমধ্যে ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। আর এই মৃত্যুদণ্ডে যাওয়া পর্যন্ত একজন ধর্ষিতাকে পাড়ি দিতে হবে থানা কোট কাচারি। ধর্ষকের প্রভাবে ডাক্তারী পরীক্ষা ও থানা প্রভাবমুক্ত থাকবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ লাগে। নোয়াখালীর ধর্ষক একটা বস্তির ছেলেও ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখেছি থানায় মাস্তি করছে। তাহলে আরো দলীয় ক্ষমতাবানদের বিচার কেমন হবে একমাত্র ভবিষ্যৎ জানে। তারপরও বিচার চাওয়া এবং পাওয়ায় মৌলিক অধিকারে বিশ্বাস রাখি। আর মসজিদ মন্দির গির্জা হাট বাজার দোকান পাটে ধর্ষককে বয়কট করি। সবাই মিলে সচেতনতা সৃষ্টি করি। পুরুষ যখন নারীর সন্তান গর্ভে ধারণ করে, পুরুষ যখন নারীর ভাই ,পুরুষ যখন নারীর বাবা তাদের সমালোচনা বন্ধ করে তাদের মানুষ ভাবি । ধর্মকর্ম নিয়ে চলেও স্বাধীন রাখা যায় তাদের।

রায়হানের তিনমাসের এক সন্তান আছে এবং সে একজন খুব সাধারণ যুবক। সে রাজনীতি করতো না, দলবাজি করতো না। খুবই সাধারণ একজন মানুষ যে সন্তানের পিতা হওয়ার পর তার ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে দেখতে সময় পার করতে ছিল। রায়হানকে ধরে নিয়ে মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত হায়নার মত নির্যাতন করতে করতে মেরে ফেলেছে মাত্র দশ হাজার টাকার জন্য।

দেশে যেন পুলিশি শাসন জারি করেছে। ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার এস আই আলামগীর এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যায় গাজীপুর। ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করার পরও জমিজমা সব লিখে নেয়। যাকে ইচ্ছা মেরে ফেলতেছে, ধরে নিয়ে যাইতেছে গুম করতেছে। কাউকে কোন জবাবদিহি করতে হয়না। পুলিশ রায়হানের হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রচার করেছে যে রায়হান একজন ছিনতাইকারী এবং ছিনতাই করে ধরা পড়ার পরে তাকে গণপিটুনি দেয়ায় সে নিহত হয়। আর এটা হলো পুলিশ এর পুরাতন নাটক যেটা একটা শিশুও শুনে হাসে।

রায়হানকে হত্যাকারী এস আই আকবর যেন ওসি প্রদীপের বড় ভাই । তার বিলাসবহুল বাড়ি কোটি কোট টাকার সম্পতি এবং ব্যাংকে জমানো টাকা আছে। বাংলাদেশে বছরের পর বছর ধরে পুলিশ পেশা সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত পেশা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের মানবাধিকার লংঘনে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এই বাহিনী তার দুর্নাম কুড়িয়েছে বহু আগেই। মানবাধিকার লংঘনকারী এই পুলিশ বাহিনী বাংলাদেশকে প্রগতিশীল রুপান্তরের প্রধান অন্তরায়। সবচেয়ে আচার্য লাগে আন্দোলন না হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল না হলে বিচার পাওয়া কল্পনাহীন। আলোচিত এ খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়নি। কেউ জানে না এই মামলার আসামি কারা।

টিভি আর পত্রিকার খবরের কথা লিখতে গিয়ে পুরাতন ঘটনা মনে পড়ে গেল। আমাদের ফেনী জেলা শহরে স্থানীয় কিছু পত্রিকা চলতো৷ বাসস্ট্যান্ডে কিংবা রেল স্টেশনে হকারেরা হেড লাইন চিৎকার করে বলে বলে সেই পত্রিকা বিক্রি করতো৷ মজাদার হেড লাইন থাকতো খাঁজা খোর হকারেরা বলতো এই দেখুন হাসিনা অন্তঃসত্ত্বা, গরম খবর, গরম খবর.. । খালেদা এই বয়সে আবার বিয়ে করছেন, দেখুন তাজা খবর, তাজা খবর, ফুঁরিয়ে যাবার আগে কিনুন..। মাত্র দুই টাকা দুই টাকা।

দেখতাম অনেক আম পাবলিক শেখ হাসিনা, আর খালেদা জিয়ার কথা ভেবে পত্রিকা কিনে ফেলতো। ভিতরে পড়ে দেখতো লেখা আছে, লেমুয়া নিবাসী হাসিনা খাতুনকে ধর্ষণ করেছে গুন্ডারা, এখন সে অন্তঃসত্ত্বা। আর দৌলতপুরের ৪৫ বছর বয়সী খালেদা বেগম তৃতীয় বিবাহ করেছেন। পত্রিকার কতৃপক্ষ মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিক্রির জন্য হাসিনা খালেদার নামে হেড লাইন করতো, অন্যদিকে হকারেরা আরো একটু রং লাগিয়ে প্রচার চালাইতো শুধু মাত্র দুই টাকা জন্য। তাই বিভ্রান্ত হবার কিছু নেই। আসলে হাসিনা অন্তঃসত্ত্বা নয়, আসলে খালেদা বিয়েও করছেন না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আর একাত্তর টিভি একেবারে দুই জিনিস। হাসিনা খাতুন, আর খালেদা বেগমের মত।

গোবর এক অদ্ভুত জিনিস। শুকিয়ে গেলে জ্বালানি, জমিতে গেলে জৈব সার, পানিতে গেলে মাছের খাদ্য, ভারতে গেলে প্রসাদ, আর মগজে গেলে হলুদ সাংবাদিক!

যাদের ডায়াবেটিস তারা বেশী করে সবজি খাবেন ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির বলে। কিন্তু এখন সবজির বাজারে দামের আগুন ধরতে গেলে পকেট পুড়ে। সাধারণ জনগণ খেতে কষ্ট হচ্ছে। সরকার বলেছে চেষ্টা করতেছে দাম কমাতে! কিন্তু কথা হলো সরকার দলীয় লোক ছাড়া বাংলাদেশের লতাপাতা ও ধুলাবালি এদিক সেদিক করার ক্ষমতা অন্য করো নাই তা অবুঝ জনগণ ভালো করে বুঝে। তারাই সাপ তারাই আবার ওঝা। ভাগ্য ভালো বুঝদার মানুষগণ এখনো বলেনি সবজি খাবেন না যেমন আগে বলে ছিল পেয়াজ খাবেন না। আরো ভাগ্য ভালো এখনো কেউ বলেনি সবজি হিসাবে কচুরি ফেনা খাওয়া শুরু করেন। তাই সবাই কম কম খাবেন, রোজা রাখেন এতে সওয়াব পাওয়া যাবে আর যাদের ডায়াবেটিস তাদের রোজা রাখলে অনেক উপকার হবে। তবে রোজা রাখার কথা শুনে কেউ আমাকে আফগানী জঙ্গী ভাববেন না। আমি ৭১ টিভির পক্ষেও নাই বিপক্ষেও নাই। যাদের গ্রামে বসবাস তারা নিজের জমিতে সবজি আবাদ করেন। ঘরের ছাদে করেন এবং উঠানে করেন।

সুস্থ থাকুন নিরাপদ থাকুন। বাচ্চাদের নজরে রাখুন নারীদের সম্মান করুন। ভালোবাসা দিন, ভালোবাসা নিন। পাপিয়া কিংবা সামিয়া এড়িয়ে চলুন। সংসারে সুখ দুনিয়া শান্তি।

20201017_100240

আমি অন্ধ, আমার বিবেকের বিচারের দরজা বন্ধ

আমিই বাংলাদেশ!
আমি শত শত মানুষের সামনে কুপিয়ে মারা যাওয়া রিফাত।
আমি আগুনে পুড়ে যাওয়া নুসরাত।
আমি নির্মমভাবে পশুর মতো হত্যা হওয়া সেই আবরার ফাহাদ।
আমি বিশ্বজিৎ, আমি অভিজিৎ, আমি নাদিয়া
আমি তনু, আমি খাদিজা, আমিই রাজন!

আমি মিতু, আমি ব্যার্থ ছাত্র, আমি প্রশ্নপত্র না পাওয়া সেই হত দরিদ্র!
আমি অবিরাম বাংলার মুখ।
আমি লাল সবুজের কফিন,
আমি পিলখানার অসহায় সেনা অফিসারের আধারের দাফন।
আমি স্বাধীন দেশের পরাধীন জনগণ।

আমি বাসে ধর্ষিতা মাজেদা।
আমি ছেলের সামনে ধর্ষিতা মা
আমি ভাইয়ের সামনে ধর্ষিতা বোন!!
আমি এমপির গুলিতে গুলিবিদ্ধ সৌরভ।
আমি গুম হওয়া সন্তানের নিরব কান্না।
আমি রানা প্লাজার ধুলো পড়া লাশ।
আমি তাজরিনের অগ্নিকাণ্ডে অসহায় গরীব কর্মচারী।

আমি ধসে পড়া ভবনের নিচে গলিত লাশের গন্ধ।
আমি পদ্মা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে মরা মায়ের আলো আধারের বুক ফাটা কান্নার ছন্দ!
আমি সাগর-রুনির মেঘ।

আমি ছিনতাই হওয়া অসহায় পথচারীর ব্যাগ।
আমি জন্মের আগেই গুলিবিদ্ধ নবজাতক শিশু।
আমি সাত খুন শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়!
আমি দিনের আলোতে ধর্ষিতা হিরা মনি।
আমি করোনা ভাইরাসের ভুয়া রিপোর্টকারি।
আমি পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া মেজর রাশেদ সিনহা।
আমি স্বামীর হাত থেকে ছিনতাই হওয়া সেই হতভাগী নারী I        আমি বেগমগঞ্জের বাবা বাবা বলা সেই বস্ত্রহীন মা I
আমি অন্ধ, আমার বিবেকের বিচারের দরজা বন্ধ..!!

সংগ্রহ করা।

পাগলা কুকুর থেকে সাবধান!

এখনকার সময়টা কুকুরের প্রজনন সময়,
তাই কুকুরগুলো ছোটাছুটি করে সবসময়।
মানুষের মাঝেও কিছু সংখ্যক কুকুর আছে,
এসব কুকুরগুলো থাকে মা-বোনদের আগে-পাছে!
সাবধান! মানুষবেশী কুকুর থেকে হও সাবধান!
যদি একবার কামড়ে দেয় মিলবে না সমাধান!
কারণ এসব কুকুরগুলো বড়ভাইদের লালিত,
এরা বড় বড় নেতা-খেতাদের আদরে পালিত।
এরা হিংস্র হায়েনা, কারো-না-কারোর পোষা,
এরা কুকুরছানা, তাই কুকুরের মতো এদের নেশা।
মা-বোনেরা পাগলা কুকুর হতে সাবধান হও!
পাগলা কুকুর নিধনের জন্য রাষ্ট্রের কাছে কও!