বিভাগের আর্কাইভঃ সাহিত্য

ঘুমপুরী

ইনিয়ে বিনিয়ে ঘুমিয়ে আছো সবে
বাতাসও ঘুমোচ্ছে, ঘুমের ঘোরে বইছে নদী
ঘুমে আচ্ছন্ন হিজলের বন, নিমের শাখা, কাশফুল
নীলাভ মুখোশে ঘুমোচ্ছে সরীসৃপ, বালিহাঁস,
শাপলার চর…
অবলা দীর্ঘ শ্বাসের ব্যাপ্তিতে কেবল ঘুমহীন কবি
প্রস্তরখণ্ডের মতো জমানো পা
বুকে শিলাস্তর চেপে ভাবছে….
খুঁজছে অচীন পথের দিশা…

ডাক

ফেরিয়ালার ডাকে হুঁ না-যোগানো কি অপরাধ —
বহুদিন ভাবি।
তার গলা রঙওঠা নাইলন-দড়ি, আমাদের ভিজে জামাকাপড় পিঠে নিয়ে ঝুঁকে আছে।
ফেরিয়ালার সুর তাকে বিধানসভায়
কোকিলের পাশে বসাল
দুপুরে সে প্রচুর আধ-ময়লা ঢকঢক জল,
তারপর দুহাতে ছেঁড়ে শিম্পাঞ্জি টিফিন।
আজ শিউলিপুকুর সরণিতে ঢুকব না,
ডান দিকে কাত হয়ে বাথানিয়া গ্রামে —
আলোরও যথেষ্ট নেই এই স্বাধীনতা।
আমি কত সুর্মাটানা চাবি সারিয়েছি
তার কাছে দশ টাকা দিয়ে

গাছের ভেতর দিয়ে শের আফগান, শোকের ভেতর দিয়ে সংবাদদাতা, আলাপের মধ্যে দিয়ে আপেলমিথ্যেরা হেঁটে যাচ্ছে।
কী যেন বেচতে এসে ওদেরই সওদা করে সে।
বাড়ি পৌঁছে খুচরো গোনার মতো গোনে
তার কোন ডাকে মোরগ রেগেছে, কোন ওঁকারে মেয়েদের হাতখরচের টাকা গর্ভ থেকে খসতে গিয়ে কোনা ছিঁড়ে গেল, কোন ছলাৎছলে পোলিয়োর দু’ফোঁটা ছেলেমেয়ে সন্ধের চুমুর দিকে
সাইকেল চালায়

বিষাদ

tim

বিষের
বিষাদে
তিক্ত
মন,
কখনো
কখনো
সর্পদংশনে
খোঁজে
সুখনিদ্রা ;
তৃপ্তির
ক্ষরণ!
যেমন করে –
অভুক্ত শকুন হামলে পড়ে
মৃত শরীরের উপর
ছিন্ন ভিন্ন করে
উল্লাসী ভক্ষণে,
বেদনাহত হৃদয়
তেমনিই ভক্ষণ চায়
নিংড়ে দিতে চায় অগাধ জীবন
শেষ রক্তবিন্দু অবধি!…

এক ভ্রম সন্ধ্যায়

সে দিন মহানগরে-মোটা চাউলের
ভাত খাইয়া কবিতা পড়ছিলাম

অথচ হাততালি দিতে ভুলে গেছ
কেবল মিথ শব্দের প্রণয়ে
সাংঘাতিক এক ভ্রম সন্ধ্যায়
অনন্য ধাঁচের বসন্ত এসে
আমাদের প্রস্তাবিত উদ্যানে
অপেরা রেণুর ঢেউ বুনে যাচ্ছিল।
তুমি চুপসে যাবার আগে
কফি কাপের উষ্ণতম তাপ
একক আঙ্গুলের কামনায়-
মুগ্ধ-স্থির জড়োসড়ো নামকরণে
ঠোঁট আর মুখের খাঁজকাটা
দেরাজ খুলে বেরোচ্ছিল রঙিলা চাঁদ!

মনে আমার শরত উড়ে

cdrt

মনটা আমার শুভ্র সুন্দর, সাদা মেঘের মতন
মন আকাশে নিত্য আমি শরত পুষি যতন,
কাশফুলও ফুটে মনের ক্ষেতে, উড়ে সুখের হাওয়া
মনে শান্তি, হচ্ছে ঠোঁটে সুখেরই গান গাওয়া।

রোদ্দুর দুপুর তেজাব আলো, দেয় পুড়িয়ে গা
তবুও আজ শরতের বুকে হাঁটি ফেলে পা,
পায়ের তলায় শুকনো পাতা নূপুর বাজায় সুরে
কল্প শরত পেয়েছি আজ আসি একটু ঘুরে।

যাবে নাকি আমার সাথে ছুঁবে শরত কাল
দিলাম তোমার হাতে তুলে স্নিগ্ধ এই বিকাল
মিহি হাওয়া উড়ছে শূন্যে গাইছে পাখি বনে
শুদ্ধতা আজ এসে হঠাৎ ভর করেছে মনে।

শুভ্র মনের প্রান্ত ছুঁতে ইচ্ছে তোমার আছে?
দাও না সঁপে মনটা তোমার এই বিকেলের কাছে,
নীল আকাশে মেঘেদের দল উড়ছে মেলে ডানা
উড়তে চেষ্টা করছে দেখো ডালে পাখির ছানা।

মেঘগুলি আজ সাদা পায়রা ডানায় রাখা শান্তি
এসো দেখি শরত মিটাই মনের সকল ক্লান্তি,
একটি বিকেল আমাকে দাও, দেব তোমায় শরত
আমায় নিয়ে ঘুরবে, নেবে এটুকু আজ শপথ?

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, গ্রীণ মডেল টাউন ঢাকা)

স্মরণে নজরুল

images-18

আজি তোমার জন্মক্ষণে,
শত বন্দনা প্রেম-অর্ঘ্য নিবেদন,
কবিদের আসরে শত আয়োজনে-
স্মরণে নজরুল নতশির সুআসনে।

জনতার সমাবেশে শতেক পঙক্তি বলে,
জনৈক কবির স্মরণে তুমি বিদ্রোহী,
মানবিক কবি কিংবা প্রেমাবতার-
সাহসী জননীর অগ্নিপুরুষ।

পৃথিবীর বুকে আজ নতুনত্বের সৃজন,
তুমি চির অমর-অম্লান,
তোমার স্মরণে চয়িত হয় প্রেমানুভব-
তুমি প্রেমিক বিপ্লবী জনতার।

জনৈক কবির মানসে পঙক্তির সৃজন,
সহস্র শব্দাবরণে তোমার নামের কথামালা,
ভালোবাসা নিবেদনে কসুর নেই-
তোমার জন্মক্ষণের স্মরণে।

কবিদের হৃদ্য সমাবেশে,
আমি অতিশয় নগন্য যাযাবর কবি,
তোমার স্মরণে দু’চারি কথায় সাহস করেছি-
ঐ পার হতে ক্ষমা করো কসুরে।

আজি সুখে আবেশিত সত্তায় প্রেম,
নজরুল বন্দনাবাক্যে তোমার অমরতা,
ভালোবাসি তোমায়,
শ্রদ্ধা ও অকৃত্রিম স্মরণে।

তবে স্বভাব বিরুদ্ধ পরিবেশে কবি,
কলমের ক্লান্তিহীন স্পর্শে,
পুরাতন পাণ্ডুলিপির পাতা থেকে-
প্রিয় নজরুল।

আমার পাণ্ডুলিপিতে ক্ষণিক অঙ্কিত নজরুল রূপ,
তোমায় ভালোবেসে নিবেদন করছি,
নজরুল বন্দনা কিংবা স্মরণিকা-
কসুরে ভয় করছি না।

ঊনিশত নিরানব্বই-
কত শত মানুষের পৃথিবীতে আগমন,
তুমি ও চুরুলিয়ার মাটিতে নেমে আসলে,
না!
বিজয়ের ধ্বনি বাজেনি,
অন্নহীন কত রাতের অবসান।

মক্তব,মসজিদ কিংবা রুটির দোকান-
তোমার পদব্রজে ক্লান্ত হয়ে উঠতো,
বেড়ে উঠার দিনগুলো তুমি নজরুল নও-
কোন এক দুখু মিয়া ছিলে।

আস্তে আস্তে কত বসন্তের দিন পার করে-
তুমি মহান পুরুষ,কবি বিদ্রোহী,
হুম,
বিচিত্র বিচরণে,গল্প,কবিতা,গানে-
তুমি বুঝিয়েছো পৃথিবীটা তোমারও।

বাংলার পথপ্রান্তরে,
যদি কবিতা লিখা হয়-
তুমি শত শব্দে সজ্জিত মহনায়ক হবে,
তোমার বন্দনায় আসর বসবো কবিদের।

তোমার জন্মদিনে এই বলতে পারি,
পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে-
স্মরণে-বরণে-
মহাকালসম, রবে মানবহৃদে।

স্তরের স্থিরচিত্র

এসো প্রাণের বদলে আগুনকেই শুকিয়ে,
স্তরে স্তরে এই পথে রাখি।
যে পথে সহস্র কররেখা উঁচিয়ে
একদিন হেঁটে গিয়েছিল সহস্র পালক।
যে রোদে, একদিন বিন্যস্ত হয়েছিল আমাদের
উজ্জ্বল ভাগ্যরেখা। আর বাজপাখিরা গোলাপের
প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দখল করতে চেয়েছিল, গোলাপের
ভালোবাসার আকাশ।

আকাশে মূলত প্রাণগুলোই নক্ষত্র হয়ে স্থির হয় অবশেষে।
সারি সারি মেঘ, তাদের জন্য রাখে প্রেমের দ্যোতনা।
আর গভীর রাত্রির ভেতর
চাঁদ ও সড়ক ডুবে যেতে যেতে
আঁকে পৃথিবীতে বয়ে যাওয়া
প্রথম প্লাবনের চূর্ণরেখা।

খণ্ডিত সময়ের চিত্র

স্মৃতিগুলো ধরে রেখো
দ্বন্ধ আর দ্বেষে সময়গুলো পেরিয়ে যাচ্ছে।

পরম বিশ্বাসী বন্ধু আমার
রাজপথে নামার আগে মানুষ চিনে নিও।

সময়ের প্রতিনিধি অনেকেই হতে চায়
সৃষ্টি ও শিল্পমননে নিবেদিত যে তার দিকে বাড়িয়ে দিও হাত।

এ পৃথিবী বিশাল রণক্ষেত্র
নৈরাশ্য ঘিরে ধরার আগেই বোধদয় হোক সবার।

স্বতন্ত্র স্বত্ত্বায় জেগে ওঠো
জঙ্গম পাথরে বেঁধেছে যে প্রাণ ভালোবাসা তারই প্রাপ্য জেনো।

যৌক্তিক আবরণ খুলে রাখো তবে
রহস্য নিয়ে তর্ক করি না আর পৃথিবীটা যখন হয়েছে আমক-শ্মশান।

বসন্তবৌরির ডাক

uyiii

অনেকদিন পরে পাপড়ি খুলে গেল,
কেমন আছিস বসন্তবৌরি?

এখন বিকেল দেখিনা রঙীন
বিকেলগুলোয় ধার নেই আর
এখন সোজা কথা বলতেও
ভুলভাবে নেশাগ্রস্ত হই,
থাক যত বাজে কথা –
কেমন কাটালি ঐ বিহীনসময়?

শেষবার ঝগড়ায় ভুলেই ছিলাম
তোর অনাথ বাড়ির চলতি গল্পকথা
তোর অনর্থক বন্ধুত্বের অপছন্দ কাহিনীমালা।
থাক তেঁতো স্বাদ, আয় দাবদাহ কিম্বা
লেটেস্ট ফ্যাশন নিয়েই কথা শুরু হোক
কিম্বা তোর অহঙ্কারী বাবা বিষন্ন মা,
সেই হারানো বিকেলের মতোই।

আয় আবার শেষ পীত আলোর কণা
গায়ে মেখে ফুচকার জলের বিন্দু
চেটে নিই তোর আঙুলের গোলাপী আভায়।
এখনো মনখারাপী শুষ্ক আবহাওয়া ঘিরে
শ্বাসকষ্ট তোর কল্পবিলাসে!

এ নিস্পৃহ সময় কাটিয়েছি দুস্থ রামের গ্লাসে,
এই কবছর বসন্তবরণ ভিআরএসে ছিল
সারাটা সময় জুড়ে শুধু শীত শুধুই বরফপাত।

শুধুই বলার থাকে সারা দিনমান?
শুধুই কি কাজের কথায়
প্রত্যাশায়
নষ্ট করি এ প্রান্তসময়?
আজকাল সব কিছু থেকে যায়
অনুভবে
বুকের অদৃশ্য তানপুরায় কবে
যেন বেজেছিল সূক্ষ টোড়ির তান
জানিস না তুই!

আর আজ ফিরেই যদি এলি …

সত্যিই কি এসেছিস বসন্তবৌরি
যা চলে গেছে, ফেরে না কেন কিছুতেই…!

রংবাহারি ফুলের মেলা

বাগানের ফুলটি জানে
ফুটলে ভালোবাসা হয়

যুঁইফুলের গন্ধ মেখে
অমৃতপাত্রে হাত রাখি।

বাহারি পাতার ঝাড়ে
মৃদু কম্পন খেলে যায়

দুটো পদ্মের পাপড়ি
খসে পড়ে মৃদু ঠোঁটে।

গভীর গন্ধে ঘন শ্বাস
হাতের পাতায় মুখটি

গাল থেকে ঝরে পড়ে
চুয়া চন্দন আর আবীর।

পোড়োবাড়ী

এই দেহ ভর্তি অশ্রুপাত
ভীষন ভীমের তান্ডব, প্রচন্ড অত্যাচার।
অন্ধকার তুমি চোখ খুবলে খাও
পরিনত মানুষের মত খামচে ধরো জিহবা
লালন করি তবু পানিপথের যুদ্ধ,
হেরে যাব জেনেও জেগে উঠবার বাসনা।

বিপুল পিপাসা তবু জমাই এখানে
অন্ধ চোখের জল গলে নেমে যায়
নিষিদ্ধ বিষাদ আর গীতিকবিতার হলদে জামা।

অক্ষত নেই কিছু

daa

অক্ষত নেই কিছু
অক্ষত থাকেনা, থাকতে পারেনা। বেড়ে চলছে মাথা পিছু ঋণের বোঝা
আনুপাতিক হারে বাড়ছে ক্ষত, যন্ত্রণা! ধুলোর কাছে বৃক্ষের ঋণ!
ক্ষত ঢাকতে
বৃক্ষের কাছে ছায়ার ঋণ, শিশিরের কাছে ঘাসফুল, মেঘের কাছে বৃষ্টির ঋণ!
ক্লেদ ঝরাতে-
বোঝা পড়ার দিন আসে না- কখনো সীমাহীন আনন্দ, কখনো কঠিন কষ্টের ছুঁতো,
গুনতে গুনতে প্রহর যায় ভেসে…
ক্ষতের পর ক্ষত… ক্ষতের পর ক্ষত!…
অক্ষত নেই কিছুই। অক্ষত থাকেনা। থাকতে দেয় না। অন্তর জুড়ে গহন-
গহীন আস্তাকুঁড়ে পড়ে আছে প্রথম যৌবনের রঙ্গিন খাম, নিশিজাগা কবিতা, স্বাধীন চেতা স্বপ্ন!…
এসব ক্ষত শুকিয়েছে- মরে
মৃত্যুপুরীর দমবদ্ধ ঘরে জমেছে ক্রমবর্ধমান ভার; চাপা ব্যথা
আর বেড়েছে ঋণ- অন্ধকারের কাছে , ধুলো মলিন আড়ালের কাছে, কবরের মতন
নিস্তব্ধ মৌনতার ঋণ! গল্পের বাহিরে যে সব সত্য মিথ্যা, যে সব রঙ, রস, চন্দ্র মোহন
কোন রাতের ঋণে নিমজ্জিত – সে সব অব্যক্ত কথা।
যে উঠে আসতে চেয়েছিলো ক্ষতের ভেতর থেকে, প্রবীণ বালিহাঁসের সঙ্গীহীন ক্রন্দনের সাথে
মিশে থাকা নিবিড় গন্ধ থেকে, বয়ে চলা এক অন্তহীন ক্ষরণ থেকে।…
জীবনের স্কন্ধে জ্বলন্ত পিণ্ড বয়ে নিয়ে
যে অক্ষত নদী মোহনা খুঁজে খুঁজে এতটা কাল আমি ক্ষতের রচনা লিখে যাচ্ছি
আমি জানি না আমি কি করে শোধ করবো এই দহন ঋণ!…

কোথায় আর আসলে কাছে

325

এ তো শুধু ঠোঁটের বুলি
আসলে কই আর কাছে,
আমায় ছেড়ে থাকলে দূরে
জানটা তোমার বাঁচে।

হাত বাড়িয়ে কী হবে গো
মন বাড়িয়ে দিলাম
মনটা তোমার কর এবার
আমার নামে নিলাম।

যাচ্ছে সময় উড়ে দূরে
ধরার যে নেই সাধ্য
এসো বাজাই মনের তারে
বন্ধু প্রেমের বাদ্য।

কত বিকেল এল গেল
হয় না করা গল্প,
এস তবে বসো কাছে
সময় থাকলে অল্প।

যায় বয়ে যায় জীবন তরী
মনের মূল্য কোথায়,
সময় পেলে এসো বাঁধি
মনটারে প্রেম সুতায়।

এসেছ আজ কাছে আমার
দেব না আর যেতে
তোমার জন্য রেখেছি এই
প্রেমের মালা গেঁথে।

তুমি আসছো তাই বুঝি আজ
গাইছে পাখি সুরে,
ব্যস্ততাদের তুলতে কাঁধে
আর যেয়ো না দূরে।

দরবার ও তরবারি

একদিন আমিও দরবার খুলে টাঙাবো লাল চাদোয়া
তারপর ডেকে বলবো- এসো হে নক্ষত্রসমাজ,
এসো সূর্যপরীরা,
আমার হাত ধরে গ্রহণ করো আলোর বয়েত,
তোমরা যারা এই পৃথিবীকে আর ছটা দিতে পারছো না
তারা বদলে দাও নিজেদের খোলস
তারপর অন্য কোনো নামে ফেরি করো ঝাড়বাতি।

একদিন আমিও তরবারি হাতে চলে যাবো সকল স্বৈরাচারীর
গর্দানের কাছাকাছি, যারা দরবার খুঁজে
এখনও বেহাল দশায় – মানুষকে বোকা বানাবার জন্য
বাজপাখির মতোই করে ছড়ায় বাজনীতি ( রাজনীতি নয় ),
তাদের উদ্দেশে –
শামসুর রাহমানের মতোই লিখবো কবিতা
‘উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে’…………. পৃথিবী !

পুরনো আলনা

একটা শরীর, পুরনো জামার আলনা

বহুকাল ধরে গন্ধ জমে আছে। এবং
অতিক্রম করে যাচ্ছে বনখরগোশের
মতো বোতামের দ্বিভাঁজে, নুনের চুম্বন-
নগরের কলকব্জা, জিরে মশলার উৎসব
মাছবাজারের থোকথোক উদাম সন্ধ্যা

এমন নাতিদীর্ঘ মসলিন বনিবনা
দাগায়ে যায় জলপাই রং, এখানে-
ষোড়শীর কালো তিলের ওপরে
কেবল আলপিনের মতো চিহ্ন,
কতগুলো কঙ্কাল মৃতদের ইঙ্গিত
পেরিয়ে পালকে দাঁড়ায়-শঙ্খচিল
হরধ্বনির স্নিগ্ধ আলোয় হিসেবকিতেব

এই সাঁকোর হাওয়ায় বহু শৈশবের যাত্রা!