আমাকে ঋণী করো

da

এসো,
আমাকে ঋণী করো
মনে প্রাণে
যৌবনে প্লাবনে
করো ঋণে ঋণে জর্জরিত,
বিদীর্ণ করো
অঙ্গার করো
করো জীর্ণ কুন্তল, নিষ্প্রভ;
বিবাগী করো
উদগ্রীব করো
এই জন্মে যা শোধ অসম্ভব!
করো ঘায়েল
রুদ্ধ পায়েল
ঋণের শৃঙ্খলে হই দেউলিয়া প্রেমিক
প্রেমে- উদ্যমে
গুপ্ত সঙ্গমে
তোমাতেই করো সুরলিয়াজমের সৈনিক!

.
দাউদুল ইসলাম।

How to Write Your Essay Next Day

Whenever you’re trying to produce ideas for the essay you will be submitting to a school or University this week, what you can do is to go through the entire semester and come up with at least one essay the following day. This gives you time to reflect on what you’ve learned throughout the session and determine what additional information পড়তে থাকুন How to Write Your Essay Next Day

রক্তচোষাদের আজ্ঞাবহ

CL_1694193013719

অপরাধবোধে বিদ্ধ হয়ে আছি,
কত অনাচারের সাক্ষী হয়ে,
কত মানুষের করুণ মৃত্যুতে-
আমাকে শোকাতুর করতে পারেনি।

নিষিদ্ধ জনপদে অবাদ বিচরণে,
আদিমতায় সুখের অনুসন্ধান,
হাড় ভাঙা উপাদেয়-
সহাস্য বদনে সভ্যের মুখোশ।

সকিনা বিবির ছিন্নভিন্ন লাশ,
রুইতনের প্রতিবাদ রুখে দিয়েছি,
টাকায় বিক্রি আমাতে-
মনুষ্যত্ববোধ কখনোই জাগেনি।

ত্রাণের টাকায় প্রমোদতরী,
নিষিদ্ধ এলাকায় সদলবলে,
প্রকাশ্য দিবালোকেও ভয়হীন আত্মা-
পরার্থ চিন্তন কখনো আসেনি।

আমি বিক্রিত দাস,
অসংগতি চোখে পড়েনা আমার,
আমি রক্তচোষাদের আজ্ঞাবহ-
মানবিকতা আমার সংস্পর্শে আসেনি।

বিধবা জমিরনের জমিতে আমার লোভ,
চাঁদার সওদা করি প্রকাশ্য জনপদে,
আমি জুলুমকারীদের দলভুক্ত-
অন্যায়ে নতজানু-নতশির।

সুভাষিণীর পথ আগলে রাখা বখাটেরা,
আমার সম্মুখে বীরদর্পে চলে,
আমি নতশিরে চুপচাপ-
শত অনাচার সয়ে গেছে আমায়।

অপরাধবোধে বিদ্ধ হয়ে আছি,
কত অনাচারের সাক্ষী হয়ে,
অমানুষিক কার্যক্রমে আমি প্রস্তুত থাকি-
আমি আজ্ঞাবহ রক্তচোষাদের।

শঙ্খসখ

মুহুর্মুহু ভালোবাসা যখন বুকের মধ্যে আঘাত হানবে আমার – তখন আছড়ে পড়া ঢেউএর মতন;
তোমার ও’সব ভাবলেশহীন পা ফেলে চলে যাওয়ার কথাই মনে পড়বে। মনে পড়বে সবুজ দিন – সবুজ ঘাসের কথা।

বাহান্ন পৃষ্ঠার বইএর মাঝখানে আঙ্গুল ‘এসে দুই ভাগ হয়ে মিশেছে তোমার সিঁথির মতন। সিঁথি ধরে চলে পৌঁছে যাব নিরুন্তর বয়ে চলা অথর্ব এক জীবনের কাছে; যে জীবন আমার ||

আমার যাওয়ার ইচ্ছে ছিল এসব ধ্বনিপ্রধান গণ্ডী থেকে বেরিয়ে, শঙ্কা থেকে বের হয়ে শঙ্খসখ করে হেঁটে যাওয়া আনুমানিক বৃহস্পতির বলয়ে ||

[শঙ্খসখ]

ঋণঋণায়মান

ঋণঋণায়মান
এই যে বেঁচে থাকা তারই ডাকসাইটে নাম জীবন।
তবুও তো নানাভাবে চিঠি লিখে জীবনকে বোঝাতে হবে-
ভালোবাসি।
যে জীবন অস্বীকার করে –
প্রেম, ভালোবাসা আর চুমকুড়ি যত্ন আত্তি।।

শুভ জন্মাষ্টমী

sh

শুভ জন্মদিন যোগমায়া ও শ্রীকৃষ্ণ।
সে অনেক অনেক বছর আগের কথা। ভাদ্র মাসের অষ্টমীর এক দুর্যোগময় রাতে গোকুলে আজকের দিনেই জন্মেছিলেন একটি শিশুকন্যা এবং একই দিনে একই সময়ে মথুরার কারাগারে জন্মেছিলেন একটি শিশুপুত্র।

শিশুকন্যাটির বাবার নাম নন্দ, মায়ের নাম যশোদা। শিশুপুত্রটির বাবার নাম বাসুদেব মায়ের নাম দেবকী। এদিকে বাইরে প্রবল ঝড় বৃষ্টি। সদ্যোজাত মেয়েটির মা প্রসব যন্ত্রণায় অচেতন। অসম্ভব দুর্যোগের রাত। আকাশ যেন ভেঙে পড়েছে! তার মধ্যেই উত্তাল যমুনা পেরিয়ে এলেন বসুদেব। তাঁর বুকের কাছে পরম যত্নে ধরে রাখা সদ্যোজাত শিশুপুত্রটি। অচেতন যশোদার কোলে সেই শিশুকে রেখে সর্ন্তপণে তুলে নিলেন শিশুকন্যাটিকে। জন্মের কয়েক মুহূর্ত পরেই চিরকালের জন্য শিশুকন্যাটি তাঁর মায়ের কোল হারালো। সে জানতেও পারেনি মায়ের ভালোবাসা, আদর, যত্ন। কখনও সে জানেনি বাবার কাছে অবদার কাকে বলে। বলি হওয়া সেই একরত্তির মেয়েটির নাম যোগমায়া।

সেই বসুদেবের বুকে পরম যত্নে রাখা ছেলেটির কী হল? তার জন্য অপেক্ষা করছিল যাবতীয় সাফল্য আর সমৃদ্ধি। সে বড় হল মেয়েটির বাবা মায়ের কাছে পরম আদরে যত্নে। কৈশোরে দুরন্ত প্রেমিক সে। তাঁর বাঁশির সুরে উথলে ওঠে হাজার নারীর প্রাণ। বহু বছর পর অবশেষে সামনে এল প্রকৃত সত্য। জানা গেল সে কাদের সন্তান, কী তাঁর দায়িত্ব। ছেলেটি মথুরায় ফিরে গিয়ে অবসান ঘটালো অত্যাচারী কংস রাজার। দখল নিল সিংহাসনের। বাসুদেব এবং দেবকীকে কারাগার থেকে মুক্ত করলো। তাঁরা ফিরে পেলো তাঁদের সন্তান। দুনিয়া নতজানু হল ছেলেটির সামনে। স্বীকার করল তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব। তাঁকে ঘিরে থাকে অক্ষৌহিনী নারায়ণী সেনা, বিপুল ঐশ্বর্য।
শিশুপুত্রটিই শ্রীকৃষ্ণ। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।

মেয়েটির কিন্তু কোনও খোঁজ করেনি কেউ। কখনো কোনও নিভৃতক্ষণে যশোদার মনে পড়েছিল তাঁর মেয়ের কথা? আমরা জেনে এসেছি যুগ যুগ ধরে আত্মত্যাগেই নারীজন্মের পরম সার্থকতা।

আজ জন্মাষ্টমী। কৃষ্ণের সাথে সাথে আজ যোগমায়ারও জন্মদিন। মার্কণ্ডেয় পুরাণ মতে যোগমায়াই হলেন আদ্যা শক্তি মহামায়া। অগ্নিপুরাণ এবং ভাগবত মতে, তিনি কৃষ্ণের জন্মলগ্নে যশোদার কোল আলো করে জন্মেছিলেন আহ্লাদিনী হয়ে। কংসের হাতে নিজের প্রাণ দিয়ে রক্ষা করে যান ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে।

যোগমায়া বলিপ্রদত্ত এক নারীর নাম। আবহমান কাল ধরেই হয়ে চলেছে নারীর প্রতি অবহেলা ও বঞ্চনা। তাদের আত্মত্যাগের করুণ কাহিনী তলিয়ে গেছে কালের গহ্বরে।
——–

. চিত্র : আঁকা – আমি।

মন যেন এক প্রেম ফুল

ch

তুমি পাতা আমি ফুল, এসো খেলি লুকোচুরি
তুমি সবুজ আমি বেগুনি…..আমরা ভালোবাসার শাখে প্রেম কুঁড়ি;
তুমি হাসো আমি কাঁদি
তুমি কঠিন আমি হই আহ্লাদি।

এইতো জীবন ফুল ফুল প্রেম, আবার কাঁটা
আমাদের জীবন ঝগড়াঝাটি, বিবাদ ফ্যাসাদ
আবার খুব সাদামাঠা;
তুমি হাতুড়ি আমি মোম, তুমি জ্বলো আমি গলি
তবুও মাঝে মাঝে বুক বৃক্ষে ফুটে প্রেমের কলি।

আমি বিষণ্ণ তোমার বিষাদের ভরা মুখ
কত শত অভিমান দাঁড়িয়ে থাকে সম্মুখ
তুমি কালো মেঘ, আমি রঙধনু
কখনো বা বেজে উঠে বুকে ভালোবাসার বেণু।

তুমি পাতাল আমি আকাশ
কখনো মুহুর্মুহু দীর্ঘশ্বাস
আমি মনে রাখি না, তুমি ভুলো না
কখনো প্রেম ফুল দেব তুমি মন দোর খুলো না।

আমি ফিরে আসি, তুমি কঠোর, বুকে জমাও ঘৃণা
তুমি জানো এমন আচরণে শান্তি মিলবে না
তবুও বুকে পুষো বিদ্বেষ
আমিও অমান্য করি আদেশ নির্দেশ।

তুমি ক্যাকটাস, আমি কচুরীপানা ফুল
ফুল হয় না কখনো আমাদের যা ছিল ভুল
তুমি হাসো বাঁকা ঠোঁটে আমি কষ্ট পাই
আছি তবু কাছাকাছি, অসুখে বিসুখে বিপদে
আমাদের ভেতর আর হিংসা নাই।
.
(ক্যানন ৬০০ডি, ঢাকা)

আমি তুমি

______আমি তুমি

আমি তুমির লুকোচুরি
মেঘমল্লার মতো বৃষ্টির ঘ্রাণ
যেন মৃগনাভি কস্তুরী!
পৃথিবী ময়
বাসনায় বাসনায়
রোশনাই; জোছনার মাদকতা।

কালে কালে ছিন্ন পাতায়
মর্ম দহন গাছ তলায়; আমি তুমির
ফিরে পাবার অপেক্ষা!
রংধনু প্রলাপ
মেঘ আঁকে ঐ
উতল বায়ু খেলে যায় হরষে
নড়ে উঠে ঘাস ফুল
নড়ে উঠে গাছের পাতা
ওমনি উড়ে গেল পক্ষী ঐ
ঝোপ ঝাড় উজালা।

আমি তুমির প্রলাপ আঁকে ঐ
বুলবুলির খুনসুটি!
লাউ ফুলে
ভ্রমর ঐ গান গায়
আমি তুমির লুকোচুরি।

আজ ২০ ভাদ্র ১৪৩০

ডাক ডুগ-ই বাজাই

রেললাইনের পাশেই চায়ের স্টলে বসে আছি
মাঝেমধ্যে সাপের মতোন ট্রেন আসে-যায়
আমি তাকিয়ে থাকি এই আছি.. এই না-ই!

এখানে হাজার কিসিমের মানুষও আসে
কেউ কেউ চা খায়—
আর কেউ নাক দিয়ে…মুখ দিয়ে ধোঁয়া ওড়ায়!

ওড়াতে ওড়াতে মানুষগুলো রঙিন ঘুড়ি হয়
মুখে মুখে কথার খৈ ফুটে
রাজনীতি, সমরনীতি.. কাঁচাবাজারে ছুটে!

আমি কেবল হাবাগোবার মতো বসে থাকি
কিছুতেই ঠাহর করতে পারি না
এখন দিন না-কি…. এখন রাত না-কি!
তবুও মনে মনে সরস পঙক্তিতে কবিতা সাজাই
তবুও নিজের ভেতর নিজেই ডুগডুগি বাজাই!!

বধির হয়ে যাও

পরমা প্রকৃতিতে
ডুবে যাও
কৃতজ্ঞতায় নতজানু থেকে
তলিয়ে যাও..
মিলিয়ে মিশে যাও
মৌন শিলাস্তরের বুকে,
অশ্রু পতনে, রুধীরাক্তের হিমাঙ্কে
শূন্য হয়ে যাও…
বিলিয়ে দাও আপনাকে
অমিয় মধুরত্বে
… তারপর বধির হয়ে যাও!

আখর

ঝরা পাতার প্রতিটি আখরে তার নাম
বহুদিন জলের দাগে নাম অদৃশ্য ছিল
সেদিন সকালে আলো পড়ে সরোবরে
মৃদু হাওয়ায় কেঁপে ওঠে দেবদারু পাতা
তার নাম জ্বলজ্বল করে চোখের সমুখে
মৃদু স্বরে তার চেনা নাম ধরে ডেকে উঠি
জলে ভাসিয়ে ছিলাম সবুজ কেয়াপাতা
তারা প্রদীপ হয়ে তার নগরে ভেসে যায়।

নগর জীবন

ইট কংক্রিট এই নগরে
কোথায়ও ছায়া নেই!
প্রাচীরের দেয়ালে
উর্বরতা নেই!

পিচঢালা পথে
সবুজের হাতছানি নেই!

সূর্যোদয়ে
পাখির কিচির-মিচির নেই!
পূর্বালী বাতাশ নেই!

শূন্যের দিকে চেয়ে চেয়ে
কত দিন কেটে যায়
রাতের চন্দ্রালোকে

মেঘের আড়ালে চাঁদ
নক্ষত্রের লুকাচুরি
হিসাবের খাতা খুলে।

যাপিত জীবন
কেটে যায়
নিয়তির নিয়মে।

গোধূলীর আ‌লোয় চি‌নে নি‌য়ো পথ

ch

বি‌কেল দাও বি‌কি‌য়ে আমার কা‌ছে, মন ক‌রো নিলাম
‌তোমা‌কেও না হয় এক‌টি বি‌কেল দিলাম
‌গোধূলীর আ‌লোয় পথ ‌চি‌নে নি‌য়ে
‌কিছু মুগ্ধতা চ‌লো আ‌নি ছি‌নি‌‌য়ে।

চ‌লো ঘু‌রে আ‌সি বৃ‌ষ্টি ভেজা এই শহ‌রের অ‌লিগ‌লি
জা‌নো ম‌নের শা‌খে উ‌ঁকি দি‌য়ে‌ছে ই‌চ্ছের ক‌লি
‌ভেজা দি‌নের বু‌কে হে‌ঁটে বেড়াই, যা‌বে কোথাও?
ভাল্লা‌গে না ঘ‌রে ব‌সে অযথাই হাউকাউ।

‌চ‌লো মে‌ঠোপ‌থ ধ‌রে হা‌ঁটি
যেখা‌নে বৃ‌ষ্টি সে‌জে‌ছে প‌রিপা‌টি
ঘা‌সের উপর বৃ‌ষ্টির বিন্দু, আকা‌শে স্বচ্ছ মেঘ
তু‌মি একবার দাও না ছু‌ঁয়ে আমার আ‌বেগ।

বৃ‌ষ্টি ঝ‌রে গে‌লে আকাশটাও স্বচ্ছ আ‌লোয় ভরপুর
কাটা‌বে আমার সা‌থে এক‌টি দুপুর
যা‌বে বি‌কে‌লের বু‌কে হাট‌তে
পার‌বে আমায় নি‌য়ে যত গোপন কথা আমার সা‌থে বাট‌তে?

আকা‌শের বু‌কে রাখ‌বো বিষ নীল দু‌টো চোখ?
বিষ যত উ‌ড়ে যা‌বো, প্রকৃ‌তি হ‌তে টে‌নে নাও সুখ
আম‌ি না হয় বিষ কাঁটা তোমার গলায়
চুপ থে‌কো, হে‌ঁটো স‌ঙ্গে, কী যা‌বে আস‌বে কথা বলা না বলায়।

‌মে‌‌ঠোপ‌থের কিনা‌রে ঘা‌সের বাগান
‌যেখা‌নে আজ হ‌য়ে‌ছিল বৃ‌ষ্টির রিনিঝিনি গান
বৃ‌ষ্টির সুর থে‌মে গেল সহসা, ঘাস সাজ‌লো মু‌ক্তোর দানায়
চ‌লো না এসব মুগ্ধতা কুঁড়া‌তে, উ‌ড়ি বি‌কে‌লের বু‌কে কল্প ডানায়।

.
(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, গ্রীণ ম‌ডেল টাউন, ঢাকা)

ভাঁজকপাল

তোমার সৌন্দর্যের ভেতরে ওয়াশিংটন ক্ল্যাপস ওড়ে
আমেরিকা ঈগল মুখ বাড়ায়—শিশুর মতো; কেবল
ঢুকে পড়ে—হাতের তলায় কালো বেড়ালের ছায়া
একটা অনিশ্চিত রঙ—অনুমতিহীন তাকিয়ে আছে

নিগ্রো রমণীদের সেরানি ঘামের জলপাই প্রচ্ছদ
বরাভয় শিরার গহিনে পদচ্ছাপ ছড়িয়ে যায়—
হাওয়াঘর মুছে পরস্পর—ঝড় থেকে দিয়েছিল
নিকটস্থ গোলাপ,বেনামে পরাগ উড়ছে—এখানে
দোল খায় আসমানি কেতাব—শাদা বক। জড়াজড়ি
পৃথিবী গোল হয়ে শোকবিদ্ধ আলপিন জ্বলে ওঠে
হেরেমখানার চারপাশ।আটকা পড়ে পরিত্যক্ত
—শরীর, দেউলিয়া হবার আগে তাতার জঙ্গল হতে
প্রথম দেখা যায়—মৃত্যুর অর্গান হতে বেঁচে আছে।

জলপাহাড়

এত বৃষ্টি চারদিকে,
তবু ধুয়ে নিতে পারছে না আমাদের সম্মিলিত পাপ…
এত আগুন চারদিকে
তবু পুড়ে যাচ্ছে না অজগরের লকলকে জিভ

ঘূর্ণির প্রতিবেশী হয়ে থাকি
তবু উড়িয়ে নেবার শক্তি দেখি না
সবাই আমার চোখের দিকেই তাকায়
তবু পরিচিত কোনও মানুষ দেখি না…