জ্বর জ্যোৎস্না

একটা আলজিভ বিকেল। নুডলসের মতো
—চিকন। ভেজা শরীর, উর্বর বুক দেখা যায়।
সে দৌড় দিতে ভুলে গেছে। রেশমগুটি থেকে
সুতো হাসে। শাদা কবুতর—তিলগ্রন্থ ওড়ায়-
চুম্বন আর উরুতে বেড়ে ওঠে রুটিকারখানা

মৌনসন্ধ্যা। সেরকম গাঢ়, ভেতরে গোপন জ্বর
জ্যোৎস্না নেই। হারিকেনের বিষণ্ণ রঙ, উপল
পাতার তল ভেসে আসে। তাতে জেলেবাড়ি
পার হওয়া যায়। শানবাঁধানো—পুকুর। পাখিরা
গোসলে সাঁতরায়, পৃথিবীর সব আনন্দ তাদের।
রবারগাছ মূর্ছাঘুমে—মনে হয় নৃত্য করা হলুদ
পাতা টের পেলে প্রবেশের পথ খুঁজে বেড়াবে।
দূরের ধানকল ঘাসের আত্মহত্যা থামিয়ে
সিল্ক রোদের মাঠ শুয়ে পড়ে। নতুন পুনর্পাঠে…

কত অচেনা পথ হয়ে যায় চেনা

chh

চেনাপথগুলো ছেড়ে আসি, সে পথ হয় অচেনা
হয় না সেই পথে হেটে আর মুগ্ধতা কেনা;
অচেনা পথ হয় চেনা হাটলে জীবনের বাকে বাকে
ভিড় জমায় মনে নতুন মুগ্ধতারা ঝাকে ঝাকে।

চেনা পথ অচেনা হয়, তুমিও কি আমার অচেনা পথ
হয়নি চেনা তোমাকে আর,
হলো না আর নেয়া ভালো থাকার শপথ
তোমার আমার সম্পর্কটা হয়ে ওঠলো না মায়ার।

তুমি আমার অচেনা পথ, আমিও হইনি চেনা তোমার
কেউ কাউকে বলতে পারিনি, ভালোবাসি বেশুমার;
কেমন যেন সময় আমাদের সম্পর্ক করতে থাকলো বিচ্ছিন্ন
আমরা তবুও হাঁটি অচেনা পথ ধরে, পাশে আছি, মন ভিন্ন।

কোথায় হারালাম, কেন এমন হলো, হলো না কেউ কাউকে চেনা
তুমিও হতাশায় নিমজ্জিত, সত্যল? বলবেনা?
হাসিহীন তুমি থেকে যাও একাকি
ভেবে দেখো সময় কতটুকু আর বাকি।

দুজনার পথ দুটো, অথচ একই পথে হাটি তবু
আমরা বিষণ্ণতা কুড়িয়ে অসুস্থ করে রাখি মনের বিভু।
সমঝোতায় হলো না আর সংসার পাতা
আমাদের জীবন নামায় বিষাদের কাব্যরগাথা।

দীর্ঘশ্বাসের লহর ছড়িয়ে দিই অচেনা পথে হেটে হেটে
কেউ আর দেখি না কারো মন ঘেটে
চুপ কথার রাজ্যে হারিয়ে আমরা সুখ খুজি
কখনো মন ব্যেথায় ডুবে গেলে আলগোছে একাকিত্বের বুকে মুখ গুজি।

.
এই মেঘ এই রোদ্দুর দীর্ঘশ্বাস

একটি বাউল গান [] তোমার কোনো পরিচয় নাই

তোমার কোনো পরিচয় নাই,
আমি যদি ডাক না দেই
আমি তোমার ছবির বাহক
সাথেই আছি- কোথায় নেই!

১। সব কর্তৃত্ব আমায় ঘিরে
পাপ আর পূণ্যের সব বিচার,
তোমার হুকুম পালন করি-
আমার তো নাই অধিকার,
আমি ছাড়া তুমি বেকার,
লুকিয়ে আছ আলোতেই ।।

২। যুগে যুগে তোমায় খুঁজে
করছে যারা আত্মদান,
কোথায় নিয়ে রাখছো তাদের
কিসের বিচার, কি বিধান!
বলো প্রেমের কি প্রতিদান
দূরে সরাও নিমিষেই ।।

৩। ফকির ইলিয়াস বলে মায়ার
কঠিন শিকল নিয়ে পা’য়
পারি না আর চলতে আমি
বেড়েই চলছে দেনা-দায়
বাঁঁচবো আছি এই ভরসায়
শুধু তোমার পরশেই ।।

.
#
নিউইয়র্ক

এলোকেশী

তখন তার এলোচুল বাতাসকে করছে শাসন
এমন মেঘলা দিনে ভিজতে ইচ্ছে করে ভীষণ
সুবাসে তার মাতাল চারপাশ যখনতখন
এমন নেশায় কতবার হয়েছে ইচ্ছে মরণ
চাতকের মতো চেয়ে থাকি, হয় যদি বর্ষণ
বাড়ছে তৃষ্ণা যত দেখি ঢেউয়ের আন্দোলন।

long-hair-girls-dp-28

ধূসর এ আঙিনা তার পরশ পেয়েছে যখন
এই অবেলায় হলো যেন বসন্তের আগমন
হাসি তার নির্ঝরিণী বারবার হচ্ছে প্রসারণ
ভাসছে চাঁদের খেয়া করতে তাকে দর্শন
কোথায় শিখেছে সে এমন নিখুঁত বশীকরণ
সকাল-বিকাল করছে কেবল হৃদয় হরণ।

জানি আসবে জ্বর তবু মন শুনছে না বারণ
আসছে ঝড় চোখের ভেতর করছে সম্মোহন
চোখবুজে যতবার করছি আত্মসমর্পণ
নির্ঘুম সারাবেলা তবু স্বপ্নলোকে বিচরণ
জানবে না কেউ এই এলোমেলো হবার কারণ
শুধু নিশ্বাসে-প্রশ্বাসে থাকবে তার আলোড়ন।

একদিন তোমাকে ফেরাবে

—————-একদিন তোমাকে ফেরাবে

সেই স্মৃতিগুলো,
একদিন তোমাকে ফেরাবেই;

সেই পুরাতন পথ!
আগোল খোলা আকাশ তো, কত কিছু ভুলেছো? খসে পড়া পালকের মতো
ঝরে গেছে কতক? কাঠবাদাম তলে, বৃষ্টি ছোঁয়ার মাতম;
ঝরা পাতায় সাঁড়ি বেঁধে চলে পিঁপড়ার দল। স্মৃতির ভির করা উঠানে
সজনে ডালে ভেজা কাক; উঁকি দিয়ে দ্যাখে
এখনো কতক খসে পড়া স্মৃতি তোমার।

ফিরবে বলে বাসন্তী বেলা
তোমার আরধ্য বিরহ অভিমানে কাঁদে; বলে উঠে চুপিসারে
অরন্য বিলাপ। ঝিঁর ঝিঁরে বৃষ্টিতে নেতিয়ে পড়া লজ্জাবতী যেন
বৃষ্টির ছোঁয়া মুর্চ্ছা যায়।

আঙ্গিক খোলসে লুকিয়ে ছিল কিছু স্মৃতি
তুমি তাও ভুলে যেতে বসেছ; বিষম খেয়ে তন্দ্রা
অভিমানে আবসা পথে হাঁটে
যাক তা সরে যাক আসমান জমিন ভেদে
তবু্ও যাতনা বার বার ফিরে; কটুম পাখি যায় ডেকে
একদিন তোমাকে ফেরাবে।
========

ভাদ্র মাসের তাল

কথা প্রসঙ্গে এবার ভাদ্রের কথায় আসি
আগে যখন কালে-ভদ্রে ভাত বাসি হতো
এখন বাসি হয় নগদ টাকায় কেনা হাসি
তবুও আমি এই ভাদ্র মাস বড় ভালোবাসি!

আগের দিনে ভাদ্রের গরমে পাকতো তাল
এখন কথায় কথায় গরম হয় মাথার চাল
আগে চুল পাকলে ফকফকা সাদা হতো
আর এখন হয় নিঁখুত কালো অথবা লাল!

তেজারতিতে তেজি ভাব মোটেই আর নেই
তবুও বায়নার চৌকাঠে সখিনা ফুলায় গাল
আপাদমস্তক কাপড়ে ঢাকা তবুও উলংগ দেহ
আশেপাশে দশ-বারোজন হাঁটে… তবু্ও
মুখ খিচিয়ে বলে..আমার সঙ্গী নাই কেহ!
——————

জালস্বপ্ন

বড্ড স্মৃতিভ্রম হচ্ছে ইদানিং আমার
যান্ত্রিক শহরে এসে সব ভুলে যেতে বসেছি আমি
এখন আর ঘুম ভাঙ্গেনা দোয়েল কয়েল শালিক আর ময়নার গান শুনে!
ভুলতে বসেছি মধ্যরাতে ঝিঝির মিষ্টি-মধুর ঘুম পাড়ানি সুর।
আমি এখন হয়তো আর পরখ করতে পারবো না; কোনটি শালিক কোনটি ময়না!
কলমিলতার ফাঁকে ফাঁকে ডাহুকের ছানা হয়তো আজো ভেসে বেড়ায়
ঝুরিঝুরি হয়তে আজো বিরহ বেদনায় নিস্তব্ধ রাত কাটায় কোন গাছের ডালে
চোখে এখন আর ভাসেনা সারি সারি শ্বেতবলাকার সান্ধ্য-আয়োজন
‘নিম’ বলে হুতুম ডাক দিয়ে যায় হয়তো আজো মহাযাত্রীর অন্তিম শয়ানের পাশে!
কুসংস্কার বলে হয়তো উড়িয়ে দেই অতি-আধুনিক সভ্যসমাজে-
তবে কি মরেনি সেইদিন যেইদিন হুতুম ডাক দিয়েছিল তোমার চালের ওপর দিয়ে।
জোড়া শালিক দেখে তুমিও কি স্বপ্ন দেখ নি ভালোবাসা পাওয়ার
হয়তো মিথ্যে হয়তো ছিল অলীক; ছিল মিথ্যে স্বপ্ন, তবুও দোলা লেগেছিল জলে!
টুনটুনি হয়তো এখনো বাসা বুনে নিচু কোন গাছের ডালে
ছোট্ট পাখিটি স্বপ্ন অশেষ; শুন্য নীড়ে হাহাকারে মাতে ঝড়ের শেষে
বাবুই পাখির শক্তগাথুনি বাসা বাঁধে তাল তমালের পাতায় পাতায়
ঝড়ের তালে দোলে; দুলছে যেন মহাকাল, ভাঙে গড়ে অনন্তকাল।
সাজের বাহারে ময়না টিয়া, বাঙালি ললনার প্রতিমূর্তিরূপে
জন্মান্তর বাঙালি মিত্রতা গড়েছে বিনে সুতার মালায় প্রকৃতির সাথে
তবুও মানুষ আজ ছুটে চলেছে যন্ত্রের নগরে মিথ্যে সুখের আবাহনে।

রবীন্দ্ররচনা বলি

আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে তুমি একটা কথা কিছুতেই শুনতে পাচ্ছ না উদাসীন যে পাঁচ হাজার টাকার কমে পাঁচজনের সংসার চলে না। প্রণামীর খুচরোয় রোজকার সবজি-বাজারটা হতো, হারামির হাতবাক্স বসিয়ে সেও মন্দিরকমিটি খেয়ে গেছে

এদিকে গত বছর দিব্যি আকাশভরা সূর্যতারার মধ্যে বাবার স্ট্রোক হয়ে গেল। পুঁজিপাটা খুইয়ে পাথুরিয়াঘাটায় মালিকের বাড়ি গিয়েছি — দেখি পাইকা হরফের ওপর গণেশের বাহন অধিষ্ঠান, মালিক প্রেসের মেশিন বেচে ভাড়াটে বসাবে। ফিরে এসে তিন দিন মুখ খুলি না, কোন আলোকে প্রাণের প্রদীপ জ্বালাব ভেবে ভেবে শুক্কুরবার সাইকেলে ফের দত্তবাড়ির নিত্যপুজোয় বেরিয়ে তো-ছি, এখন ডানহাতে প্যারালিসিস শালগ্রামশিলা আর বাঁহাতে হ্যান্ডেল ধরলে ব্রেক নেই, বাকশক্তি থেকেও রহিত… তা যা হবার তাই হবে — রব্বা রব্বা অ্যাক্সিডেন্ট হবে

এর চেয়ে বড় শট খেয়েছি ছোটবেলায়, ইলেকট্রিকের কাজ করতে গিয়ে। কাল যখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টেনেহিঁচড়ে আনছ তোমরা, তার মধ্যেই ভেবে নিলাম, আবার নিলামে উঠে কারেন্টের মিস্ত্রি হয়ে যাব, গোলকিপার হয়ে এবার সব শট আটকে দেব রোনাল্ডো-রিভাল্ডোর। আজ এই ব’লে তোমার জ্ঞানচক্ষুর শাটার তুলে দিয়ে যাচ্ছি উদাসীন যে, তু-মি যা-রে জা-নো সে তো কেহ নয়, আমরাই ‘বিশ্বকবি’ সিনেমায় নায়কের স্টান্টম্যান সাজি রোজ, ধ্রুবকাল…

.
[‘জগৎমঙ্গল কাব্য’ বই থেকে]

যারা রক্তের বন্ধনকে শত্রুতায় পরিণত করে

আমাদের সমাজ ও পরিবার থেকে উচ্ছনে যাওয়া কিছু বিবেকহীন অপদার্থ মানুষদের বলছি যারা রক্তের বন্ধনকে শত্রুতায় পরিণত করে।

১. হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী ভাড়া করেছেন?
২. বিচারিক কাজকে ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য প্রভাবশালী মানুষের দ্বারস্থ হয়ে বিচারককে ফোন দিচ্ছেন?

৩. ভুয়া কাগজপত্র ঠিক করে জোর করে অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মহলে ধরনা দিচ্ছেন?
৪. সেই সকল লোকেরা কি জানে আপনি গিলটি অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন?

৫. আপনি কি সত্যিই মনে করেন বিচারক ন্যায় অন্যায় বোঝেনা? আপনি কি মনে করেন ন্যায়ের পক্ষে কথা না বলে অন্যায়ের পক্ষে থাকবে বিচারক?

৬. আপনার কি ধারণা কারো মাধ্যমে ফোন দিলেই বিচারক আপনার পক্ষে রায় দেবে? দুনিয়াতে ন্যায় অন্যায় বলে কিছু নেই?

Noted: আমাদের দেশে ম্যাক্সিমাম সম্পদ নিয়ে ঝামেলা হয় ভাইদের সাথে আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি। একটা অপরাধ থাকতে যেমন হাজারটা অপরাধ করতে হয় আর সেটা সামাল দেওয়াটা কি খুবই সহজ?

মন কথনিকা-৪৯৭৩

মন কথনিকা-৪৯৭৩

উঠলে ভোরে ঘুম সরে না, যায় না জেগে থাকা
ভোরের আলোয় হলো না আর মনেতে সুখ আঁকা,
রাত বারোটা ঘুমালে হায়, কেমনে উঠি ভোরে
সকাল হলে দেখি বিছনায় আছি ঘুমের ঘোরে।

মন কথনিকা-৪৯৭৪

কেমন যেন আবহাওয়া, কুয়াশাতে ঢাকা
জৈষ্ঠ্য মাসে ঘাসের বুকে শিশির বিন্দু আঁকা
বদলে যাচ্ছে ঋতুগুলো বদলে যাচ্ছে মানুষ
রঙ্গের মানুষ বৃক্ষ কাটে, উড়ায় স্বার্থের ফানুস।

ইন্ধন আর মুখোমুখি

একবার—হাতের মুঠোয় ধূসরপক্ষ রঙ কচলাতে
ঝাপসা হয়ে এল, চারা বাচ্চাদের দৌড়ানো বিকেল।

ঘাসেরা—মণিপুর গৃহযুদ্ধে মুখ লুকিয়ে টেলিগ্রাম
ভাষায় মেঘবই খুলে পড়ছে। ইন্ধন আর মুখোমুখি
দুইটি—মেয়েলোক। পাখিদের অন্ধ জগতে ঘুমিয়ে
গেছে—ঘন বন, তির্থপুতুল; সময় গড়ায়—অনুবাদে

ডোরাকাটা বাঘের কাঁধে চড়ে—পায়রাগুলো উড়ছে।
পোড়াঘরের ওপর; প্রাক্টিস প্যাডে ঈর্ষার বেড়াল
সাজুগুজু থিয়েটার—গান।কারা যেন আলো দেখিয়ে
গজারিফুলের মতো দ্বিতীয় মৃত্যুর দিকে ঝরিয়ে দিচ্ছে
উড়ো পাহাড়। আপন বোন—স্বচ্ছলতার স্বদেশ—
কোথায় যেন রেখে এসেছি, তোমাকে; এই নিন্দার
ফাতরা সময়ে নিঃসঙ্গ ধাবমান পৃথিবীতে—জোরে
কাঁদতে নেই। তাতে আগুন নদী—রূপালি বরফ গলে!

প্রতিফলন

ঝরণার পাশে পাথরের সিঁড়িতে
জলে পা ডুবিয়ে মেয়েটি বসে আছে
হাতে তার একটি প্রদীপ জ্বলছে
পুরাতন সাদা সিফনের জামাতে
আলো পড়ে বেশ চিকচিক করছে
তার সোনালী চুল আলতো বাঁধা
আকাশে সোনালী ও নীল আঁকা
তার প্রতিফলন পড়ে প্রতিটি ঢেউয়ে।

পোড়ারমুখী

আজ আর কোনো কবিতা লেখা হয়নি
সমস্ত পৃথিবী জুড়ে কেবল কাজ আর কাজ
রেললাইনের মতোন একটা সর্পিল জীবন
এতো যে হারে তবুও নেই লাজ….তবুও
সামনে-পেছনে দলা পাকায় কাজ আর কাজ!

আজ সারাদিন নুন ছিলো না রান্নার ঘর
আমি ইতি যাই.. উতি যাই কে রাখে খবর
তবু দেবদারু গাছ একটা শিক্ষা দেয় জবর!

এই ভাদ্রে তালপড়া দেখিনি কত না দিন
ভুলে গিয়েও ভুলতে পারিনি আশ্বিনের ঋণ!
তবুও পোড়ারমুখী শুধু চাল-ডাল খুঁজে
নুন-ই যে লবণ সেই কথাটি কি আর সে বুঝে!!

বাংলাদেশ, দ্যা ল্যান্ড অব মুজিব

ff

আপনার ছবির দিকে তাকালেই
অনেকগুলো আকাশ এসে আমার
হাতের মুঠোয় ধরা দেয়!
অনেকগুলো পথ, পথের মিছিল,
আর মিছিলের মানুষেরা,
‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিতে দিতে
অতিক্রম করে বিশ্বের না না প্রান্ত
‘লিটল বাংলাদেশ’ কিংবা
‘শেখ মুজিব ওয়ে’ তে দাঁড়িয়ে
এই প্রজন্ম, মার্কিনী হাওয়ায়
ওড়ায় বাংলাদেশের পতাকা।

আপনার ছবির দিকে তাকালেই
অনেকগুলো কবিতা,
আমার মগজের কোষে ঢেউ তোলে,
একটি দোয়েলের জন্যে ভালোবাসা
একটি শাপলার জন্যে প্রেম;
লিখিত হতে থাকে পত্র-পল্লবে-
আমার দুপাশে দাঁড়িয়ে স্যালুট
জানায় পৃথিবীর তাবৎ লাল ও সবুজ।

‘বাংলাদেশ, দ্যা ল্যান্ড অব মুজিব’
বলে যে মেক্সিকান সাংবাদিক
আমার বুকপকেটে হেলে থাকা
কোটপিনটি সোজা করে দিয়েছিলেন;
সেটাতে ওই মানচিত্র ছিল-
পতাকা দেখেই তিনি জড়িয়ে
ধরেছিলেন আমাকে,
আর বলেছিলেন-
উঁচু-শির মুজিবের মতোই এগিয়ে
যাচ্ছে আজকের বাংলাদেশ।

🇧🇩

নিউইয়র্ক / ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আমাকে ঋণী করো

da

এসো,
আমাকে ঋণী করো
মনে প্রাণে
যৌবনে প্লাবনে
করো ঋণে ঋণে জর্জরিত,
বিদীর্ণ করো
অঙ্গার করো
করো জীর্ণ কুন্তল, নিষ্প্রভ;
বিবাগী করো
উদগ্রীব করো
এই জন্মে যা শোধ অসম্ভব!
করো ঘায়েল
রুদ্ধ পায়েল
ঋণের শৃঙ্খলে হই দেউলিয়া প্রেমিক
প্রেমে- উদ্যমে
গুপ্ত সঙ্গমে
তোমাতেই করো সুরলিয়াজমের সৈনিক!

.
দাউদুল ইসলাম।