টুপচুপ মেয়ের পায়ের শব্দ শুনি
কালো তেলরং ছোট্ট বাঁশি নাক
এদিকে ওদিকে ফুসলিয়ে যায়
ব্লাউজ ছাড়া আঁচলের ফাঁকে
উদ্ধত স্তনের নিরাবয়ব হাতছানি।
বিকেলের মরা আলোর আঁতুড়ে
তক্ষুনি সন্ধ্যা জন্মিয়ে ট্যাঁ ট্যাঁ কাঁদে
দেখতে না দেখতেই সদ্য জন্মানো
তড়াং বাছুরের মতোই সন্ধ্যেও
বেলের আঠালো রসে সিক্ত
কিশোরী আর তারপরেই উনিশের
সটান প্রজাপতি যুবতী।
মেয়েটা ত্যারচা তাকিয়ে শুধু
চোখের ইশারায় ওপেন হার্ট সার্জারি
করে ফেলে অনায়াসে, দক্ষ সার্জেন,
হার্টলেস আমি অন্তরায় গুনগুন
করলেই কোত্থেকে মস্ত ক্যানভাস
ঝুপ করে সামনে পাট পাট খুলে যায়।
সন্ধ্যার দশ আঙুলের দশ নখ প্যাস্টেল
সাত রঙের প্রাগৈতিহাসিক ভাবনাকে
কাচকলা দেখিয়ে দশ রঙের ফোয়ারা,
গ্যালারিতে পাশাপাশি পিকাসো,
দালি, হুসেইন দর্শক নিশ্চুপ।
তুলির টানে পরতে পরতে পপসম্রাট
ওই ঝাঁচকচক এক একটা ফুলঝুরি
ছড়িয়ে ছিটিয়ে একাকীত্বের অন্ধ
অবন্ধু উধাও হলে তুলির
শেষ টান অবাক চোখের সামনে
টানা হয়, অবাক … অবাক …
কখন যেন মেয়ে সন্ধ্যে মিলেমিশে
অপার্থিব অয়েল পেন্টিংয়ের
ম্যাজিক হয়ে গেল!