বিভাগের আর্কাইভঃ জীবন

তিতলি ও তার মা

তিতলির বাবা মারা যাওয়ার তিন দিন পরে তিতলি পালিয়ে যায়, অথচ এর প্রয়োজন ছিল না। রাহুলের সাথে তার সম্পর্কের বাধা বাবাই ছিলেন, মায়ের অমত ছিল না। এখন তাদের সম্পর্ক নির্বিঘ্নে বিয়ের দিকে গড়াতে পারতো। মৃত্যুর তিন দিন পরে পালিয়ে যাওয়া একটা বিরাট ধাঁধা হয়ে দেখা দিয়েছে। একদিকে স্বামীর শোক অন্যদিকে মেয়ের পালিয়ে যাওয়ার কলঙ্ক, দিশেহারা তিতলির মা।

পালিয়ে যাওয়ার একুশ দিন পরে তিতলি ফিরেছে, কিন্তু বিধ্বস্ত হয়ে ফিরেছে। রাহুলের সাথে যে স্বপ্ন দেখেছিল; সে স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রেমিক রাহুলের সাথে বর্তমান রাহুলকে তিতলি মিলাতে পারছে না। তিতলি বুঝতে পেরেছে বাকিজীবন রাহুলের সাথে কাটানো অসম্ভব, সে ফিরে এসেছে।

মায়ের সাথে তিতলির সম্পর্ক সবসময় ভালো ছিল, মা-মেয়ে জমতো বেশ কিন্তু পালিয়ে যাওয়া এবং ফিরে আসার পরে সম্পর্ক আগের পর্যায়ে নেই। তিতলি অনুশোচনায় পুড়ছে, মায়ের কাছে অনেকবার মাফ চেয়েছে। মায়ের রাগ কমছে না, তিতলি না ফিরলেই যেন ভালো হতো।

তিতলির বাবার মৃত্যুর আড়াই মাস পরে মায়ের বিয়ে হয়, তিতলির অমতেই হয়। তার মতের তোয়াক্কা কেউ করেনি। তিতলির পছন্দের মত মায়েরও পছন্দ ছিল, বাবার মৃত্যু মায়ের পছন্দকে সহজ পরিনাম দিয়েছে।

তিতলি মায়ের সাথেই থাকে কিন্তু এ থাকা মায়ের পছন্দ নয় সে অন্য আবাসনের খোঁজ নিচ্ছে।

তিতলির বাবার মৃত্যুর চার মাস সতের দিন পরে পুলিশ তাদের বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে। তিতলি এবং তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছে, তারা খবর পেয়েছে তিতলির বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। তারা কোর্টের অনুমতি নিয়ে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করবে।

তিতলি ভয়ে কাঁপছে, বাবার মৃত্যুতে তার হাত আছে। তিতলির মাও ভয়ে কাঁপছে স্বামীর মৃত্যুতে তার হাত আছে। মা মেয়ের মধ্যে বিস্তর দূরত্ব ছিল, এই দূরত্ব এখন নাই। দুজন এক হয়ে পরামর্শ করছে কিভাবে খুনের মামলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

অতি জরুরী সতর্কতাঃ আরো বড় বিপদ, ওমিক্রন

omicron

করোনা ভাইরাসের অতি বিপদজনক নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ ঘোষণা করেছে। এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক দেশ ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ওই অঞ্চলের কয়েকটি দেশের যাত্রীদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

বাংলাদেশে যে কোন সময় করোনা ভাইরাসের নতুন এই ধরন ঢুকে যেতে পারে, এবং নিশ্চিত ঢুকবেই। গত কিছুদিনে দেশে সংক্রমণ কম থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে দেশের মানুষ খুব ঢিলেঢালা ভাব দেখাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন যেভাবে জনসমাগম হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা হচ্ছে, তাতে যে কোন সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই সময় হতে ব্যক্তি সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।

# অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া শপিংমল, মার্কেটে যাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
# জনসমাগম, হাট বাজার এসব জায়গা যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করতে হবে।
# রেস্টুরেন্টে বা হোটেলে বসে খাওয়া বন্ধ করতে হবে আপাততঃ।
# কোথাও ঘুরতে যাবার ইচ্ছা থাকলে এখন বাতিল করুন, গিয়ে হয়তো বিপদে পড়তে পারেন। তাই এসব বিলাসিতার খরচ বন্ধ করুন।

# অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় বিলাসিতার খরচ বন্ধ করে টাকা হাতে রাখুন। ভবিষ্যতে খারাপ সময় আসছে।

# মাস্ক ব্যবহার করুণ, স্যানিটাইজার ব্যবহার করুণ।
# সবচাইতে ভয়ের কথা করোনা ভাইরাসের নতুন এই ধরন আগের ডেল্টার চাইতে অন্তত দশ গুন বেশি শক্তিশালী, এবং টিকা দেয়া থাকলেও নাকি কাজ হবে না। আল্লাহর ওয়াস্তে যার যার জায়গা থেকে সতর্ক এবং সচেতন হোন।

আল্লাহ একমাত্র ভরসা। সবার মঙ্গল কামনা করি।

ডিম ভাজি

তিন তেরো আটত্রিশ হলে সমস্যা কি ছিল বুঝতে পারছি না, উনচল্লিশই হতে হবে কেন।

প্রায় অর্ধ ঘন্টা ধরে নীল ডাউন হয়ে আছি তাও আবার ক্লাসের বাইরে, নীল ডাউনে অসুবিধা না; অসুবিধা হল ডানা নামের যে মেয়েটার সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করছি সে মেয়েটা দেখে ফেলেছে আমি নীল ডাউন হয়ে আছি। দারুণ লজ্জার ব্যাপার। ইজ্জত পুরো পাংচার।

গতকাল ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অনেক কিছু বলেছি; আমি ক্লাসের প্রথম ছাত্র, লেখাপড়া আমার জন্য ডালভাত। আমি প্রথম এটা ঠিক তবে শেষ দিক থেকে প্রথম, আর প্রায়ই ডালভাত ছাড়া খাবারের কিছু জুটে না।

মেয়েটা নতুন এসেছে। একে সুন্দরী তাও আবার ম্যাজিস্ট্রেটের মেয়ে। আমার মত এলেবেলে ছেলের সাথে কথা বলার গরজ নেই। তাই নিজেকে হাজির করতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অনেক কিছু বলেছি।

কতটুকু প্রভাবিত হয়েছে বলতে পারছি না কিন্তু সকালে দেখা হলে আমার দিকে চেয়ে হেসেছে, তার হাসি আমার কাছে ধনাত্মক মনে হয়েছে।

শুধুমাত্র একের জন্য মার খেয়ে গেলাম, তিন তেরো আটত্রিশ অনেকক্ষণ হিসাব করে বের করেছিলাম, কিন্তু স্যার যখন আমাকে গর্দভ বলে নীল ডাউনের শাস্তি দিলেন তখন বুঝলাম কোনো গলদ রয়ে গেছে।

অর্ধ ঘন্টা ধরে নিল ডাউনে থাকতে থাকতে তেরো নামতা পুনরায় স্মরণ করতে গিয়ে মনে হল আমি মাত্র এক নাম্বার থেকে দূরে ছিলাম।

আমার ক্ষেত্রে প্রায় এমন হয় সামান্যের জন্য কাঙ্খিত কিছুই পাওয়া হয়না। যেমন গত কাল ডিম ভাজি ছিল, আমি স্কুল থেকে ফিরতে দেরি করায় আমার ছোট ভাই; আমার অংশের ডিম ভাজিও খেয়ে ফেলল।

অথচ আমি যদি বন্ধুদের সাথে আড্ডা না দিয়ে সময়মতো বাড়ি ফিরতাম ডিম ভাজি অবশ্যই খেতাম।

স্যারের শাস্তি সমাপ্ত হয়েছে, টিফিনে ছোট একটা সিঙ্গারা মিলেছে। সিঙ্গারা খেয়ে চাপকলের পানি পর্যাপ্ত পান করেছি।

ডানা মেয়েটা দুইবার আমার পাশ দিয়ে হেঁটে গেছে, দুবারই চোখাচোখি হয়েছে। তার মুখে হাসি ছিল, আমার নীলডাউন তাকে খুব একটা প্রভাবিত করে নি। ম্যাজিস্ট্রেটের মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব হলে, আমিও একদিন ডিম ভাজি খাব।

চাই কি ম্যাজিস্ট্রেটের বাসায়ও খেতে পারি, শুনেছি সুস্বাদু খাবারের অভাব তাদের নেই। নিয়মিত কিছু প্রোটিন খেতে পারলে আমার স্মরণশক্তি আরো উন্নত হবে, ডাক্তারের কথা; মিথ্যা বলছি না।

স্মরণশক্তির উন্নতি হলে মাত্র একের জন্য ক্লাসের বাইরে আর নীলডাউন করতে হবে না।

অন্তিম

‘বিগ-ব্যাং’ কিংবা ঈশ্রাফিলের ফুতকারে
পুণরুত্থিত হবো আবার-
প্রলম্বিত ময়দান বিশ্বে কি হাতে দাঁড়াবো
যখন দুনিয়া উগড়ে দেবে সব আগুন
সমস্ত সাগর জুড়ে দাউ দাউ জ্বলবে অননুমেয় প্রবলতম আগুন

আর মানা বা না মানা সবার বিচার যখন হবে শুরু
কি রবে আমার এই হাতে তখন
যখন রবে না খোলা পথ নতুন আর কোনো কর্মের….

আমার বয়সি স্বভাব ♥

জীবনপথে বিভাজন সমর্পিত বিষ
বালু দাগ মুছে দেয় বাতাসের শীষ;
তবু আমি জেগে থাকি ভাঙ্গনের পথে
স্বপ্নের চলাচল নির্ভীক রথে।
পথ হাসে, রথ হাসে, হাসে কত জন
বেখেয়ালে পণ্য যাপিত জীবন;
কষ্টের সখা আসে গাঢ়তর রাত
দু কলম লিখে রাখে আমার বরাত।

চোখ জ্বলে জলপরে সুখ খোঁজে মন
সুখের বেহাগী সুরে মগজে কাঁপন;
কাঁপন ধরায় শীত বয়সি অভাব
ঘরজুড়ে বাস করে বিষধর সাপ;
পথেপথে ঘোরে জীব জীবনের যানে
কতটা পেলে বলো উত্তর ও মানে!

হয় না পূরণ সব থাকে কিছু বাদ
সুরের সাগরতলে করুণ আবাদ
ডুবে আছে বেশভূষা সৌখিন রসে
হয়না আপন প্রেম অাসে না সে বশে।

.
** নিজের তোলা প্রিয় একটি ছবি।

কথাসুরের করুণা

ভি-ওয়ান বাসের পেছনের সিটগুলো উঁচুতে থাকে। সেই উচ্চতার আবার দুই ধাপ: মাধ্যমিক, হায়ার সেকেন্ডারি। হঠাৎ চিৎকার শুনে দেখি হাতদুয়েক দূরে একটা মেয়ে আমাকে আঙুল তুলে হিন্দিতে শাসাচ্ছে — কী হল, পেছনে অতটা খালি জায়গা রেখে দাঁড়িয়ে আছেন, আর আমরা এখানে চাপ খেয়ে মরছি। এগোন ওপাশে!

অপমানিতের হাসি হেসে বললাম, ম্যাডাম ওই জায়গাটা উঁচু, দাঁড়াতে গেলে মাথায় আটকাবে, আপনিও পারবেন না।
— আপনি বুঝি সবজান্তা?
— তাহলে এসে দেখতে হয়।
— আপনার ঘাড়ের পর দিয়ে যাব নাকি? জায়গা দিন।

এই রে! পেছনে পেছন ঠেকিয়ে দু’সারি লোক দাঁড়িয়ে আছি। আমার সামনেই আবার এক ভদ্রমহিলা ব’সে, যার স্পর্শিত না-হওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকারের দিকে সব সময় সতর্ক নজর রাখতে হচ্ছে। তবু নৌলিমুদ্রা মনে ক’রে পেটে খাবোল দিলাম, সবাইকে গুঁতিয়ে আমার পেছন দিয়ে সেই বোমারু বিমান পার হয়ে গেল। তার সঙ্গে সর্বভারতীয় মিডিয়ার কাছে “বুড়োগুলো ভয়ানক ধান্দাবাজ, নিজেরা একগাদা জায়গা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, অন্যকে এগোনোর সুযোগটুকু পর্যন্ত দেবে না, কত্তো বড় অসভ্য!” — এইরকম প্রেস রিলিজ।

কিন্তু উচ্চতর মাধ্যমিকের সিলেবাস দেখেই ফেল করল মেয়েটা, থেমে গেল সেই নীচের ধাপে, মানে আমার ঘাড়ের ওপর। প্রায় বেকেলাইটে তৈরি তার বগল-ব্যাগ শঙ্খ ঘোষের কবিতার পাঠক নিশ্চয়ই, আমার পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ না তুলে ছাড়বে না।

— ম্যাডাম, আপনি যে আমার জায়গাটায় দাঁড়িয়ে পড়লেন!
— ‘আমার জায়গা’ মানে!!! ইয়ে আপকা খরিদাহুয়া জগা হ্যায় কেয়া???

মুগ্ধ হয়ে গেলাম! চোখের ওপর গাঢ় হল ন’-হাজার ফুট ওপরের সূর্যাস্ত, যেখান থেকে একের পর এক কুয়াশার ফিতে নেমে পাইনবনের মাথা জড়িয়ে ধরছে…। ওই প্রকৃতির যেমন কোনও ব্যাখ্যা চলে না, তেমন এই যুক্তিরও। ডোকরা শিল্প অথবা পটের ছবির মতো বিরল হয়ে ওঠা জটিল মেয়েলিপনার চিহ্ন পেয়ে আমি ভালো ক’রে তাকিয়ে দেখি গনগন করছে তার নাকের পাটা, গোল তরোয়ালের মতো ঝলসাচ্ছে হাতের কব্জি।

কয়েক নিঝুম মুহূর্ত পার হয়।

অচ্ছা চলতা হুঁ দুয়ায়োঁ মে ইয়াদ রখনা
মেরে জিক্‌র কা জুবাঁ পে সুয়াদ রখনা

প্রথমে বাসের কেউ কিছু খেয়াল করে না, ইনক্লুডিং মাইসেলফ।

দিলকে সন্দুকো মেঁ মেরে অচ্ছে কাম রখনা
চিট্‌ঠি-তারোঁ মেঁ ভি মেরা তু সলাম রখনা

তারপর দু’একজন কান থেকে হেডফোনের রিসিভার খুলে আমার দিকে বিচিত্র চোখে তাকায়। তখন বুঝতে পারি, গান গাইতে শুরু করেছি! সর্বনাশ! এই বাসেই আমার চার-পাঁচজন কোলিগ ব’সে, অফিসে রাষ্ট্র হয়ে গেলে…? নিজের আবেগকে দ মানে দমন করা দরকার, কিন্তু গান ততক্ষণে আমাকে চিৎ করে বুকের ওপর চেপে বসেছে।

সুতরাং একদিকে “সন্দুকোঁমেঁ” শব্দে তার-ষড়জ থেকে লোলেগাঁওয়ের দড়ির সেতুর মতো এক ঝুল দিয়ে কোমল নিষাদে গিয়ে দাঁড়াই, অন্যদিকে আমার মন বিড় বিড় করতে থাকে: এই নাও, কথাসুরের করুণা পান করো। কেন এত রাগ তোমার জানি না। নির্যাতিত শিশু, বাড়িতে স্বাধীনতা না পাওয়া, অফিসে হয়রানি, নাকি তুমি এই রকমই — এক কোপে মুন্ডু নামানোয় বিশ্বাসী! যে হও সে হও, দ্যাখো শুধু তোমারই জন্যে কেউ লিখে গেছে, কেউ গেয়ে রেখেছে…

অন্ধেরা তেরা ম্যায়নে লে লিয়া
মেরা উজলা সিতারা তেরে নাম কিয়া

শোনো, গান আরও বলছে কতবার তার সকালকে তোমার উঠোনে বসে বসে সন্ধে করেছে সে। গুনেগেঁথে নাও গানের “ও পিয়া” ডাকের ভেতর যত লক্ষ প্লিজ-প্রজাপতি উড়ে বেড়ায়!
মেয়েটার চোখে খুব আস্তে আস্তে জ্যোৎস্না ফুটছে দেখতে পাই। চিবুকের সব খর-রেখা মরে যাচ্ছে; দুটো ঠোঁট মুখের মধ্যে মুড়ে নিয়ে বাসের ছাদে কল্পিত আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে সে…।

[‘গণসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত আর অরিজিৎসিংগীত’ গদ্য থেকে]

জয়পরাজয়

জগতের সকল সৃষ্টির মধ্যে অসম্ভব একটি সৃষ্টির নাম মানুষ; এই গ্রহে মানুষই একমাত্র অসম্ভব বুদ্ধিমান। মানুষ তার জায়গা থেকে অসাধারণ, আত্ম সন্ধানী। তবে কোন কর্ম করতে গিয়ে হাল ছেড়ে দেওয়ার জন্য মানুষের জন্ম হয়নি। মানুষের সৃষ্টি ও জন্ম হয়েছে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। এই পথে যসবে পড়া যায় আসবে। পরাজয় যেভাবে মানুষকে কষ্ট দেয় সেভাবেই জয় মানুষকে আনন্দ ও সুখী করে। মানুষ ভুল করে, হেরে যায়, আবার বিজয়ী হয়। তবুও মানুষকে পরাজয় ভুলে সামনের দিকে পথ চলতে হয়।

সেখানে আপনার জন্য কি অপেক্ষা করছে সেটা বড় কথা নয় বড় কথা হচ্ছে শত বাঁধাবিপত্তি বিপদ অপেক্ষা করে তাকে তার মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। জীবন থেমে যাওয়ার জন্য নয় জীবন হলো এগিয়ে যাওয়ার জন্য। ভুলের জন্য হতাশা নয় দুঃখ নয় কষ্ট নয়। ফুলের পরে সমাধানের পথ খুঁজে বের করাই হল একজন মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য।

জগত জীবনে কোন কাজেই আধুরা থাকে না কেউ না কেউ সেই জায়গাটা নতুন করে তৈরি করে দেয় সেখান থেকে নতুন করে শুরু করে এবং সেটা সম্পন্ন হয় সেখান থেকেই সফলতা সূচনা যা ভবিষ্যতের আলোতে পা রাখার প্রথম পদক্ষেপ। মানুষের জীবনে বিপদ-আপদ বাঁধাবিপত্তি ঘাত প্রতিঘাত আসবে থাকবে আর এ নিয়ে দুঃখ করার কোনই কারণ নেই যেখানেই বিপদ যেখানে বাধা সেখানেই বিপত্তি সেখানেই সমাধান।

অতএব এগিয়ে চলুন এগিয়ে চলতে বাধা আসবে সে বলে হাল ছেড়ে দেবেন সেটা হতে পারে না। হাল ছেড়ে দেওয়া মানেই হেরে যাওয়া সেই আর সেই হেরে যাওয়া মানেই অস্তিত্বহীন জীবন সেখানেই একজন মানুষের প্রকৃত বিলীন হওয়া নির্দেশ করে।

অনুভূতির দস্তাবেজ

295914_n

আমরা সর্বদা আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখি, ছুঁতে পারি না। তোমার স্বপ্ন দেখি কিন্তু পড়তে পারি না। তাই স্বপ্নে উড়ি কল্পনায় উড়ি ভাবনায় উড়ি উড়তে উড়তে মহাকাশের গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে যাই বাস্তবতা এই যে, আমরা আজ আকাশে উড়ি চাঁদে যাই, মার্চে যাই জাহি এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে এক নক্ষত্র থেকে আরেকটি নক্ষত্র। আমাদের মানব ইতিহাসে এটা কোন সহজ ব্যাপার ছিল না। আজ আমরা তা সম্ভব করতে পেরেছি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশের মাধ্যমে। আমরা এখন চাঁদে নভোযান পাঠাই মার্চে নভোযান পাঠাই রোবট পাঠাই। আমাদের তৈরি ভয়েজার এখন আমাদের এই মহা সৌরজগতের বাইরে প্রায় ১৪ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। অথবা ১৪৮ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট দূরে অবস্থান করছে।

যা মানব ইতিহাসের বিরল এবং প্রথম। এখন ভয়েজার যেখানে অবস্থান করছে সেখান থেকে পৃথিবীর কোন অস্তিত্বকে দেখাই যায় না বালুর মত যদি ক্ষুদ্র কণা থাকে সেটাও দেখা সম্ভব নয়। অথচ এই পৃথিবী এই গ্রহে আমরা বসবাস করছি এই মহা ব্রহ্মাণ্ড কতটা বড় কতটা মহান কতটা বিশাল আর কতটা বিস্তৃত তার অসীম সীমা আমাদের বোধগম্য নেই। আমাদের কেন এখন শুধু এই পৃথিবীতেই সীমাবদ্ধ নেই তা বহমান এই মহাজগতের পথে চলমান রয়েছে যেখানে মানুষ পৌঁছেনি কিন্তু পৌঁছে গেছে মানব ইতিহাসের সেই ছায়া মানব রচিত করেছে আমাদের মতই আর একজন মানুষ আজ থেকে ২০০ বা ৩০০ বছর পূর্বেও মানুষ (বিজ্ঞানী) ঘোষণা দিয়েছিল মানুষ কোনদিন আকাশে উঠতে পারবে না।

তবুও সেই মানুষেরা আকাশে ওড়ার স্বপ্নকে বন্ধ করতে পারেনি কিছু জেদি পাগল মানুষই মানুষের আকাশে ওড়ার স্বপ্ন সাধ পূরণ করতে পেরেছেন যাদের কাছে সভ্যতা আজ ঋণী। এখন আমরা চাইলেই অল্পসময়ের মধ্যে পৃথিবীর যেকোন স্থানে যেতে পারি অবস্থান করতে পারি এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে যেতে পারি যেতে পারি যদিও এই অসীম যাত্রা পথের শেষ নেই। এই অবস্থানে পৌঁছাতে মানুষকে মানবসভ্যতাকে কম মূল্য দিতে হয়নি এই অচেনা পথ পাড়ি দিতে মানুষকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে মানুষ এখন মার্চে কলোনি স্থাপন করছে চাঁদে কলোনি স্থাপন করছে মানব বসতির জন্য যাদেরকে রেখে আসা হবে তারা আর কখনো পৃথিবীতে ফিরবে না।

আমাদের এই প্রাণচঞ্চল সুন্দর সবুজ শ্যামল পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করবে না প্রত্যাবর্তন করতে পারবে না আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের কাছে পৃথিবী নামক এই গ্রহটি এখন খুবই ছোট খুবই ক্ষুদ্র খুবই নগণ্য। তবুও এটাই আমাদের প্রকৃত আবাসভূমি এটাই আমাদের আদিভূমি যেখানে আমরা জন্মগ্রহণ করেছি যেখানে আমরা বেড়ে উঠেছি যেখানকার সবুজ প্রকৃতির মধ্যে খেলাধুলা করে নিজেদের জ্ঞান সঞ্চয়ের করেছি এবং এই মহাকাশের সবকিছুই অবলম্বন করছি। এই মহাজগতে এমন অনেক সূর্য রয়েছে এই মহাজগতে এমন অনেক চাঁদ রয়েছে এই মহাজগতে এমন অনেক গ্রহ নক্ষত্র মিল্কিওয়ে ছায়াপথ রয়েছে গ্যালাক্সি রয়েছে প্লানেট রয়েছে যার দ্বারা আমরা অনুভব করতে পারি আমাদের এই মহাজগতে আমরা শুধু একাই নয়।

দূর থেকে আমাদেরকে কেউ না কেউ দেখছে, দূর থেকে আমাদেরকে কেউ না কেউ ফলো করছে, দূর থেকে আমাদেরকে কেউ না কেউ অনুসরণ করছে। যদিও আমাদের এই বিষয়টি কেবলমাত্র অনুভূতির দাঁড়ায় তা সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবুও এই সত্যকে কেউ উড়িয়ে দিতে পারেনা তবুও এই মহাবিশ্বকে কেউ বাতিল করতে পারে না যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব বিদ্যমান। এমন অসংখ্য প্লানেট রয়েছে এই মহাজগতে যা আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে যেখানে আমাদের নভোযান এখনো পৌঁছাতে পারেনি সেখানে আমাদের তৈরি কোন মহাকাশ যান আর আকাশ ছুতে পারেনি, মাটি ছুঁতে পারেনি।

এমনকি আমাদের এই সময় ও সময় যাত্রা কোথাও চলমান আবার কোথাও অস্থির আমাদের সবচেয়ে কাছের যে অ্যানড্রোমিডা গ্যালাক্সি (Andromeda Galaxy) রয়েছে যার জন্ম হয়েছে আজ থেকে প্রায় এক হাজার কোটি সাল পূর্বে সেখানে পৌছাতেও (২.৫৩৭ million light years) লাগে। (আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আলোর গতি পরিমাপ করা হয় যারা জানেন তারা শুনতে পারেন আর যারা জানেন না তারা জানুন। আলো প্রতি সেকেন্ডে ১,৮৬,০০০ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে বা ছুটে চলে। যদি সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে সময় লাগে ৮ মিনিট ৩২ সেকেন্ড তাহলে একদিন এক সেকেন্ডে যদি ১,৮৬,০০০ কিলোমিটার গতিতে আলো ছুটে আসে তাহলে এক মিনিট থেকে ১ ঘন্টা এক ঘন্টা থেকে দুই ঘন্টা তারপরে ২৪ ঘণ্টা তারপর মাস তারপরে বছর এই এক বছরে কত কিলোমিটার আলো তার গতিতে ছুটবে তাকে 1 light years. বলা হয়।)

মহাকালের পথ ধরে সেই অতীতে বিশাল ব্রহ্মাণ্ডে মহাকাশের কোলজুড়ে জন্ম নিয়েছিল এক গ্যালাক্সি অনেকগুলো প্রোটোগ্যালাক্সির রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ও সংকোচন এর মাধ্যমে (মিলন) যার জন্ম। তাহলে অন্য গ্রহ নক্ষত্রের পথে যাত্রা করলে আমাদের জন্ম মৃত্যু আর অস্তিত্বের কি হবে সেটা এক সাধারণ জ্ঞানে অনুমেয়।

শ্রাবণ সখা

18649

জানিস এখন টুপটাপ শব্দ বাতাসে। আর আমি কান পেতে নিঃশ্বাস বন্ধ করে শুনতে চেষ্টা করছি। যদি তোকে কিছুটা হলেও শোনা যায়। বড় বেশি ভেজা চারপাশ।শব্দেরা তরঙ্গে তরঙ্গে তবু খেলে যায় লুকোচুরি। আমার আঙুলের ডগা বেয়ে ছুঁয়ে যায় মন, চোখ। অনেকটা অবকাশ হয়ে তুই কোন ফাঁকে আলগোছে এসেছিস আমার মনের জানলায়।

জানালার ওপারে বৃষ্টির হাতছানি। মনে পড়ে এমনই কোনো দিন আর দাদুর পাশে চুপটি করে বসে। মন দিয়ে শোনা গল্প রুপকথার। রাজকুমার আর রাজকুমারীর দুঃখ ব্যাথার। শুনতে শুনতে কখন যে কল্পনার পথে পথে দিলাম পাড়ি, অনেক অনেক দূরে চলে যেতাম, আমার পরিচিত লোকালয় ছেড়ে।

আজ সেই রূপকথা হারিয়েছি। সুতো কেটে উড়ে গেছে স্বপ্নের ঘুড়ি। একা আজ আমি সবার মাঝে। এখন আর হয়না দাদুর পাশে বসা, নেই দাদু আজ, নেই সেই রুপকথা। তবু আজও আছে সেই, পাতা ভেজানো, মন খারাপ করা বৃষ্টি গুড়ি গুড়ি।

তখন আমি তোকে দেখি, মনে মনে, আলতো আড়াল রেখে। মনে মনে তোর চোখে চোখ রেখে হারিয়ে যাই বহুদূর। তোকে দেখি আর রোজ রোজ ভাবি, পুড়ে যেতে বড় বুঝি সুখ! ঝলসে ঝলসেও কি আরামে থাকিস তুই! একটু একটু করে অন্যরকম হয়ে যায় সময়। তবুও অনেকটা চলা বাকি থেকে যায়। এই এত দূর থেকে আনমনে ভাবি, পুড়ে যাওয়া মন থেকে কি করে ভাসাস চন্দনের গন্ধ? আর এই গন্ধ, আর এই ভেজা ভেজা দিন, এই সব নিয়ে চলি আমি আমার পথ।

স্নান সেরে ভোরের মঙ্গল প্রার্থনায় তুই থাকিস অনেকটা জুড়ে। নিষ্পাপের অভিমানে, ভালো থাকিস তুই।

যদি কোন মানুষ নিজের শত্রু নিজে হয়

মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু হল রাগ,জেদ,ক্ষোভ কিংবা প্রতি হিংসা আর লোভ। কেউ যখন এই কর্মগুলোর আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে যায় তখন সেই মানুষ জগত জীবনের সবচাইতে কঠিন ও নির্দয় রূপ ধারণ করে। তার কাছে সত্য সকল সত্য মরীচিকা মনে হয়। আর তাই যা করছে সেটাকে সঠিক বলেই মনে করে। আর এই ব্যপারগুলো যে অত্যন্ত বিপদজনক ও জীবননাশকারি, নির্দয় পাষাণ রূপ ধারন কারী, কিম্বা অত্যন্ত বিবেকবর্জিত চিন্তা সেটা তার বিন্দুমাত্র অনুমেয় নয়।

এই সকল মিথ্যে দাম্ভিকতা তার মস্তিষ্কের নিউরনে গ্রথিত তবে এই ভুলটা সবাই সাথে সাথেই বুঝতে পারেনা কোন এক সময়ে সে মানুষ তার ভুল বুঝতে পারে কিন্তু সেখানে আর কোনোভাবেই সংশোধনের কোন পথ থাকেনা। তখন যন্ত্রণা ক্ষোভ আফসোস ঘৃণা লজ্জা ছাড়া নিজের কাছে কিছুই অবশিষ্ট নেই। তাই বলবো কোন কিছু ঘটার আগেই নিজেকে একা সময় দিন। ভাবতে থাকুন নিজের সাথে নিজের বুঝ পরামর্শ করুন প্রয়োজনে একে অন্যের সাথে বসুন বোঝাপড়া করুন মনে রাখবেন ঐ সমস্ত বিষয় বস্তু যদি আপনার মস্তিস্কের নিউরনে জায়গা করে রেখে দেয় তবে আপনি অবশ্যই ভুল মানুষ।

আপনার জীবনে যা কিছুই ঘটুক না কেন আপনার মধ্যে যে হিংসা বিদ্বেষ রয়েছে তা ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে অগ্রসর হওয়ার আগেই নিজেদের ভুলগুলো সামনাসামনি বসে সমাধান করে নেয়া অত্যন্ত শ্রেয় ও বুদ্ধিমানের কাজ। যা একজন দূরদর্শী সম্পন্ন মানুষ হিসেবে আপনাকে অত্যন্ত বিচক্ষণ মানুষ বলেই পরিচয় বহন করিয়ে দেবে। কেউ যদি সেই ভুলটা বুঝতে নাও পারে তারপরেও যেকোনো একজনকে নত হয়ে সমাধান করুন যদি মনে করেন তাকে ছাড়া আপনার জীবন অসম্পূর্ণ। আর যখন ভাববেন সে মানুষটা কোনকিছুই ঋতু আজ করছে না শুধু ঘৃণায় ছড়াচ্ছে তবে মনে করবেন সেই মানুষটি আপনার জীবনে কিছুই নয় তার জন্য কোন অস্তিত্ব নেই আপনার মাঝে। তাকে আপনার মস্তিষ্ক থেকে চিন্তা চেতনা থেকে ঝেড়ে ফেলুন নয়তো আপনার জীবন আর কোনোভাবেই জীবন থাকবে না তা খুব দ্রুত অন্ধকারে পতিত হবে যেখান থেকে ফিরে আসার পথ অবরুদ্ধ।
তবে আমি আমার এনালাইসিসে জানতে পেরেছি এই মানুষদের কোন পরিবার নেই কোনো সংসার জগত নেই কোন সারওয়ানডিং নেই কোনো বন্ধু নেই কোন মিত্র নেই তবে অদূরদর্শি চিন্তা চেতনাবোধের অভাবে এরা সর্বদা শত্রুই জন্ম দেয়।

কোনভাবেই তারা তাদের জগৎ জীবনের জন্য ভালো কিছু করে যেতে পারে না। বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে এরা মিষ্টভাষী হতে পারে প্রথমে তাদের আচার-আচরণে ব্যবহারে কখনোই বুঝতে পারবেন না যে তারা এ ধরনের কাজে নিযুক্ত রয়েছে কিন্তু সময় যত গড়িয়ে যাবে আপনি আপনার জায়গা থেকে তা পরিষ্কার দেখতে পাবেন। এদের মধ্যে কোন অনুশোচনাবোধ জন্মে না এরা হাইনা নেকড়ের চেয়েও ভয়ঙ্কর যা কিনা সুস্থ মানুষের সুস্থ জীবনের চিন্তা চেতনা বলে বিবেচিত হয় না।

এরা যদি একটু বিবেক বুদ্ধি দিয়ে নিজেকে অনুভব করার চেষ্টা করত নিজে কি করছে তা ভাবার চেষ্টা করত জানার চেষ্টা করত বোঝার চেষ্টা করত তবে এরা কখনোই এ ধরনের ভুল কাজ করতে পারত না। অন্যায় করতে পারত না আর করতে পারত না বড় ধরনের প্রতারণা ধোকা জেদ ও ক্ষোভের বশে একজন মানুষের জীবন নাশ হয়ে যেতে পারে শেষ হয়ে যেতে পারে তার ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যেতে পারে তার মূল্যবোধ শেষ হয়ে যেতে পারে পারিবারিক সামাজিক জীবন ব্যবস্থা। তবে এই ক্ষেত্রে আরেকটি ব্যাপার বলতে পারি এরা এই সবকিছুতে দূরদর্শী যদি হয়ে থাকে আর এটাকে তারা যদি এনজয় বলে ধরে নেয় তাহলে এরা রক্তপিপাসু জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট। মানব সমাজে তাদের মানব হিসেবে পরিচয় দিলে অবশ্যই অন্যায় বলে গৃহীত হবে।

অস্তিত্ব ও জীবন

384200_n

• জীবন কি?
• জীবনের পরিভাষা কি?
• আমাদের এই ব্রহ্মাণ্ডের সকল বস্তু কি জীবনের
অস্তিত্ব প্রমাণ?
• এই ব্রহ্মাণ্ড কি?
• এই ব্রহ্মাণ্ডের কি জীবন নেই?
• ব্রহ্মাণ্ড কি জীবন নয়?

মানব অস্তিত্বের ৪৬ হাজার বছরের ইতিহাস একদিনে তৈরি হয়নি। এটা রেভ্যুলেশন এর মাধ্যমে অতীত থেকে বর্তমান বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলছে।

• এখানে আর কি কোনো সীমাবদ্ধতা রয়েছে?
• আর কি কোন বিবর্তনের পথ রচিত হচ্ছে?

হয়তো হচ্ছে আমরা তা বুঝতে পারছিনা প্রকৃতিতে যা ঘটে চলছে সেটা নানাভাবে উঠে আসে কিন্তু আমাদের এই বিবর্তনের পথ ধরে আপন অস্তিত্বের জেগে ওঠা এক জটিল সমীকরণ।

এভাবেই প্রত্যেকটি বস্তু কিম্বা প্রত্যেকটি কণার উদ্ভাবিত জীবনীশক্তি মানুষকে পৌঁছে দিয়েছে এক অনন্যতর জীবনের দিকে।

যা থেকে মানুষ আজ আহরণ করছে এত কিছু
যা থেকে মানুষ ভবিষ্যতের দিকে ছুটে চলছে এক অমর পথের অমোঘ যাত্রায়।

• প্রাচীনকাল থেকে আমাদের বর্তমান সভ্যতার জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে মানবের অজস্র গবেষণায় সম্ভবত মানুষ তার অজান্তে তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সৃষ্টির প্রত্যেকটি বিন্দুকে একে একে যত্নের সহিত জীবন দিয়েছেন। সেই হিসেবে বলা যায় সভ্যতার অগ্রযাত্রায় মানুষ তাদের জীবন পরিচালনার জন্য নিজেকে আরও শক্তিশালী আরও দুর্বার দুর্দম ঘোড়ায় সওয়ার করে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে তার শক্তিকে বাড়িয়ে চলছে।

মানুষ আজ আকাশে ওড়ে আকাশপথে বিচরণ করে। চাঁদে যায় মার্চে যায় যায় এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে। তারা এখন নতুন একটি কলোনি তৈরির প্ল্যান করছে। এবং তারা একদিন ঠিকই প্রতিস্থাপন করবে সেই কলোনি তিনি মানবসভ্যতা নতুন করে বেঁচে থাকার স্বাদ গ্রহণ করবে আরেকটি গ্রহে। তাইতো মানুষের জটিল-কঠিন পথকে সহজ করার জন্য তাদের সঞ্চারিত জ্ঞানের মাধ্যমে খুবই নিখুঁতভাবে সাফল্যের সহিত তার যাত্রাপথকে উন্নততর করে চলছে এবং নিত্য নতুন সৃষ্টির দিকে নিজেকে মনোনিবেশ করেছে।

আমরা তা দেখছি আহরণ করছি নিত্যনতুন সৃষ্টি। তাদের সুদুরপ্রসারী চিন্তাভাবনার মাধ্যমে যেভাবে তাদের মস্তিষ্ক জ্ঞানকে অনন্যও উন্নততর করেছেন এক মহাসমুদ্র জ্ঞানের চেয়েও অসীম।

তাইতো আমরা প্রতিনিয়ত অনুভব করছি
• একটি গাড়িতেও জীবন দিয়েছে!
• একটা ট্রেনের ও জীবন আছে
• একটি ক্যামেরার ও জীবন দিয়েছে
• ইলেকট্রিসিটির ও জীবন রয়েছে
• হাতে রাখা মোবাইলটার ও জীবন রয়েছে
• ব্যবহার করার ল্যাপটপ কম্পিউটার কারো জীবন রয়েছে
• আকাশে উড্ডয়ন রত ওই যানেরও জীবন রয়েছে।

আমাদের এই অন্তর্জগৎ মহা ব্রক্ষ্মাণ্ডের চেয়েও দীর্ঘ তার চেয়েও দূরদর্শী দৃষ্টি শক্তি সম্পন্ন তার চেয়েও বড় তার চেয়েও দ্রুতগামী। ব্রহ্মাণ্ডের এই জগত সংসারে মানুষ অর্জন করেছে এক মহা জ্ঞানশক্তি, বুদ্ধি, বিবেক, চেতনাবোধ যা এক মহা চিন্তার ভান্ডার। এক মহা অসীম জানার ভান্ডার। এই মহাজাগতিক সংসারে মানুষের তৈরি যা কিছু রয়েছে প্রত্যেকটি বস্তুরই জীবন রয়েছে?

তাহলে জীবন ছাড়া কি রয়েছে! প্রকৃতিতে বয়ে চলা বেড়ে ওঠা যা কিছু রয়েছে প্রত্যেকটি বস্তু প্রত্যেকটি কণারই জীবন রয়েছে। সম্ভবত আমরা যেখানে জীবনের লক্ষণ আমাদের মস্তিষ্ক জ্ঞানে আজো কোনভাবে কোন অবস্থাতেই খুঁজে পাইনি সেখানে আরো গভীরভাবে জীবন তার অস্তিত্ব রেখে যায়। সেখানে আরও জ্ঞান আহরণের ব্যাপার রয়েছে সেখানে আরও চিন্তার ব্যাপার রয়েছে গবেষণার ব্যাপার রয়েছে আর মানুষ এখানে পৌঁছাবে এটা নিশ্চিত।

কেউ কেউ বলতে পারে … সেখানেই হয়তো আমাদের সীমাবদ্ধতা। আমি যতটুকু বুঝি আমাদের যেখানেই সীমাবদ্ধতা ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয় জানবার। যা আরো গভীরভাবে জ্ঞান অর্জনের পথ উন্মোচন করে। সৃষ্টির পথ উন্মোচিত করে রহস্যের পথ উন্মোচিত করে।

বারীনীয়

আমরা সব একা ফুল। আবার কোনও ফুল সঙ্গে আনে সুতোও।

স্কুলযুগের শেষকালে আমি এক রাজনৈতিক মতবাদ মিক্সড উইথ চিন্তাধারা-র ‘ছোঁয়া’-য় পড়েছিলাম। ছোঁয়া প্রথমে ছদ্মবেশে সাহিত্য-সমালোচনার সরু লাইন ধরে এগোল, তারপর বিজ্ঞান-দর্শন-অর্থনীতি করতে করতে হঠাৎ তুলে দিল সব পর্দা-হ্যায়-পর্দা: এতদিন তোমাকে যা বলেছি, সব দলের তত্ত্ব। ঠিক মনে হচ্ছে তো আমাদের পার্টি জয়েন করো।

চিরকালের অসৎ, ভিতু, ফাঁকিবাজ ছেলেটি পলায়ন করে। সে বড় হয়, চাকরি আসে, সংসারধারণ, কিন্তু সেই ছোঁয়া একইরকম ছিল — রোগা, কালো, চোখের জায়গায় কাদামাটিতে দুটো মার্বেল-গুলি বসানো — মা দুর্গার সিংহ যেন।

খবর পেতাম, স্পর্শ আবার নতুন কিছু ছেলে ধরেছে, যাতায়াত করছে অন্য কোনও স্কুল কি কলেজে। অভ্যস্ত প্রেমিক যেভাবে প্রত্যেক সঙ্গিনীর একই আদরের নাম রাখে, ছোঁয়া তার পূর্বোক্ত স্কিম নিয়ে ফিরফিরতি এগোতো পা টিপে টিপে…শুধু এইটুকু আবিষ্কার করার জন্যে যে জাল ফুটো ক’রে “পক্ষী উড়িয়া পলায়”।

কমিউনে তার সামান্য বিছানার কোনে বসে জিগ্যেস করেছি, শংকরদা, (স্পর্শ বা ছোঁয়ার আর এক নাম শংকর ঘোষ) আপনার স্বপ্ন তো সফল হওয়ার নয়। তবু কীসের আশায় লেগে থাকেন? বিষণ্ণ এক ভালোবাসার হাসি হাসতেন: একটাই তো জীবন। নয় ভুল আদর্শের পেছনেই বইয়ে দিলাম!

এখন ভাবি, মতাদর্শ মানুষের তৈরি, তার ভুল বা ঠিক হয় না, হয় মানুষের। তাই একই কথা আমি বললে ভস্ম, তুমি উচ্চারণ করলে ভাস্বর!

তো ভাস্বরের সঙ্গে আমার দ্বিতীয় জন্মের দেখা হল আলোকিত কোম্পানি বাগানে, যার চেনা নাম কলকাতা বইমেলা। দেখি একটা ফুল সুতো হাতে ঘুরছে, মালা তৈরির নেশায়। আলাপ হয়, ঠিক তেমনই ঝাঁকুনি দিয়ে হাত আঁকড়ে ধরা, আমার অবাক লাগে! কালো নয়, রোগাও নয়, তাহলে কে… কে আবার, বারীন ঘোষাল — পাশ থেকে বন্ধু বলে দেয়। আমি এতক্ষণে মুখের দিকে তাকিয়েছি — চোখের কাদামাটিতে গাঁথা দুটো মার্বেল-গুলি, মা দুর্গার সিংহ যেরকম।

ফ্রড অথবা ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি

এই সংসার জগতে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা নিজেদের সুবিধার্থে নিজেদের কার্য সাধিত করার জন্য আপনার বিশ্বাস অর্জন করবে। হতে পারে আপনার অনেক কিছু যা অত্যন্ত গোপনীও হতে পারে আপনি তাকে বললেন। হতে পারে অন্যভাবে সংগ্রহ করলো। আপনার যাবতীয় কথাবার্তা শুনবে আর নিখুঁতভাবে বিশ্বাস অর্জন এসবের পেছনে মূল অবস্থান হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে আপনাকে দুর্বল বানানো। একজন মানুষ বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে তার কাছ থেকে অনেক কিছুই আদায় করে নিতে পারে সেটা হোক অর্থনৈতিক অথবা প্রতিদিনের রোজনামচা এই সকল ইনফর্মেশন এর মাধ্যমে তার লক্ষ্যের পথ তৈরি করতে সমর্থ হয়। এই সুযোগটা গ্রহণ করে সে মানুষ তার সবকিছুকে হাতিয়ে নেবে।

আমার দেখা একটি ঘটনা
আরেকটা দিক দিয়ে একটি নারী শর্টকাট ধনী হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করে সেটা হল বিয়ের মাধ্যমে, এটা কেমন হবে! বিয়েটা হবে ক্ষণস্থায়ী। সেই মেয়েই ভালো জানে, সে তার কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের জন্য বিয়েটা কতদূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে হতে পারে সেই নারী তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে যতদিন সময় নেবে ঠিক ততদিন এই বিয়েটা কার্যক্রম এবং বলবত থাকবে।

যখন একজন পুরুষের মন এবং বিশ্বাস অর্জন করতে পারবে সেই পুরুষ তখন তাকে অবশ্যই তার গোপন ইনফর্মেশন ব্যাংকের হিসাব আর সারা জীবনের উপার্জনের স্থাবর-অস্থাবর যা কিছু রয়েছে তার সকল কিছু সেই মেয়েটিকে বলতে বাধ্য হয়। একজন আরেকজনের প্রতি বিশ্বাস এর জন্যই ঘটে থাকে।

এটা বলতে বাধ্য হয় এমন নয় যে সে বলবে না। একজন বিশ্বস্ত মানুষ যখন একজন পুরুষের কাছাকাছি থাকে কাছাকাছি অবস্থান করে তখন সেই পুরুষটা সেই নারীর প্রতি দুর্বল হয়ে যায়। একজন ছেলের অর্থ-সম্পদ ব্যাংক ব্যালেন্স যেখানে যা রয়েছে তার সকল ডাটা ইনফর্মেশন যখন সেই ফ্রড মেয়েটি হাতে পাবে পাওয়ার পর তাঁর স্থাবর অস্থাবর যা কিছু রয়েছে তার মধ্য থেকে যে পরিমাণ হাতিয়ে নেয়ার প্রয়োজন সেই পরিমাণ সে নিয়ে নেয়।

এবং যখন বুঝতে পারে এই মুহূর্তে এখানে অবস্থান করা রিস্কি হয়ে যায় তখন সেই মেয়েটিই নানা মিথ্যাচার নানান অজুহাত দেখিয়ে তার অবস্থান জানিয়ে দেয় এবং খারাপ ব্যবহারের মাধ্যমে তাকে বিগড়ে দেয় একটা পর্যায়ে তর্ক বিতর্ক মনোমালিন্য ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয় তখন দু’জন দুজনের প্রতি খারাপ ব্যবহার শুরু করে আশেপাশে জানাজানি হয়।

কেউ কেউ নিজের আত্মসম্মান কিংবা লোক লজ্জার ভয়ে প্রকাশ করেনা এই ফ্রডরা সেখানেও সুযোগ গ্রহণ করে এবংএখান থেকেও যদি তার কোনো চাহিদা থাকে সেটা সে পূরণ করে। পুরুষটি তার চাহিদা পূরণ করতে বাধ্য হয়।আমাদের সমাজে এমন ঘটনা অহরহ ঘটে চলছে।

আমাদের সমাজে এই সমস্ত নারীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তারা ধন-সম্পদ অনেক কিছু হাতিয়ে নেয়ার পরেও নানা ধরনের হুমকি ধামকির মাধ্যমে টাকা চেয়ে বসে। যদি দিতে অপারগ হন যদি দিতে অস্বীকার করেন তাহলে নানা ভয়-ভীতি দেখাবে। এদের বিরুদ্ধে যদি কোন এভিডেন্স যদি তাহলে অবশ্যই আপনি এদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। সেটা ন্যায়ের পথে।

এসমস্ত নারীরা কখনোই সংসারী হতে পারেনা। সংসারী নয়। এরা জাস্ট বিয়েকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে। এটা তাদের দারুন একটি বিজনেসঅ বলা যায়। এরা একটা পুরুষ ছেড়ে আর একটা নতুন কোচের সন্ধানে ডাটা কালেক্ট করবে ইনকামের সোর্স তৈরি করার জন্য। এই সমস্ত নারীর সাথে তার পরিবারও কখনো কখনো জড়িয়ে পড়ে কিংবা পরিবারের অবাধ্য নারীরাও এ ধরনের কাজে লিপ্ত হতে পারে যা পিতামাতার জন্য লজ্জাস্কর ব্যাপার।

তারা যখন এ ধরনের অপরাধ করে তখন বুঝতে হবে তার কোন পরিবার নেই। তার কোন সমাজ নেই তার কোন গার্ডিয়ান নেই তার কোন ভাল জগত নেই। এবার সর্বদা অন্যায়ের পথে বিচরণ করে। কিন্তু কোনভাবেই দেখে বোঝার উপায় নেই। তারা হয়তো আপনার চারপাশে ঘোরাঘুরি করে চলাচল করে বসবাস করে। সমস্ত জায়গায় অবস্থান করে সেখানকার মানুষজন কখনোই বুঝতে পারে না তার পরেঅ এই সমস্ত নারীর ভেতরে এই ধরনের জঘন্যতম চরিত্র লুকিয়ে আছে। তাদের কন্ঠ অত্যন্ত সুন্দর মার্জিত ভদ্র নম্র মিষ্টভাষী কখনোই কারো সঙ্গে খারাপ আচরণ করবে না।কিন্তু প্রয়োজন মোতাবেক সে তার রুপ দেখিয়ে দেবে।

কিন্তু যখন দেখবে তার স্বার্থে আঘাত লাগছে বুঝবেন তখন সে আপনাকে কোনোভাবেই ছাড় দেবে না। এই নারীদের চাহিদা পূরণ হওয়ার পর তার হাজবেন্ডের জায়গা থেকে সরে যেতে চায়। এবং শেষ পর্যন্ত সরে যাবে। আর আপনি যখন বুঝতে পারেন মেয়েটি আপনার সর্বস্ব লুটে নিয়েছে তখন আর কিছুই করার থাকেনা।

কোন কোন ক্ষেত্রে যদি আপনার জীবনে এমন কিছু ঘটনা তৈরি হয় তাহলে আপনি তার সম্পর্কে ডাটা কালেক্ট করবেন ইভেন এ নিয়ে যদি নুন্যতম অন্তরে সন্দেহ পোষণ করেন তাকে চোখে চোখে রাখুন নজরে রাখুন সে কি করে কোথায় যায় কার সাথে কথা বলে কার সঙ্গে দেখা করে এ টু জেড ফলো করবেন।

এই নারীদের স্বভাব কোন ভাবে বোধগম্য নয়। আপনার কাছ থেকে সে যতই অর্থ-সম্পদ হাতিয়ে নিক না কেন আপনাকে ব্ল্যাকমেইলিং করার জন্য বারবার টাকা চাইবে তারা ভাবে যদি আপনি বারবার তাও জালে আটকা পড়েন তাহলে আপনার সর্বস্ব হারাবেন এটা নিশ্চিত।

জীবনে এমন কিছু হলে ঘাবড়ে যাবেন না। ভয় পাবেন না খুব দ্রুততার সহিত তাদের বিরুদ্ধে একশন নিন কিন্তু সে আগেই যেন বুঝতে না পারে বা আপনি তাকে সন্দেহ করছেন সেটা কোনভাবেই যেন অনুভব করতে না। পারে তাতে সে এলাট হয়ে যাবে এবং আপনার কোন ক্ষতি করে দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি হতে পারে যদিও অর্থনৈতিকভাবে আপনি অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

তারা আপনার সকল ধরনের ডকুমেন্ট নষ্ট করার পরিকল্পনা করেই মাঠে নামে তাই বলব আপনার হাতের স্মার্ট ফোনটি কখনই সেই সমস্ত বিশ্বস্ত নারীদেরকে হাতে তুলে দেবেন না। আপনার বিশ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে আপনার সকল ধরনের ইনফরমেশন তার জায়গায় স্থানান্তর করবে যা আপনি কোনোভাবেই ঘৃণাক্ষরেও বুঝতে পাবেন না।

তবে যেকোন অপরাধী অপরাধ করে কোনদিনও সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে পারে না। ইংরেজিতে একটা প্রবাদ রয়েছে ক্রাইম নেভার ফেঁস ক্রাইম করে কেউ ঘরে যেতে পারেনা। ক্রাইম করে কেউ যদি ভাবে পার পেয়ে যাবে তাহলে তার ধারণা ভুল। ওরা যেখানেই সংঘটিত হোক না কেন তার সিন রেখে যায় তার প্রাতঃকর্ম ধরা পড়ার জন্য একটি তথ্য ই যথেষ্ট ওই একটি মোটিভ অপরাধীকে শনাক্ত করার জন্য আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট।

কিন্তু অপরাধ যত বড় যত ছোটই হোক না কেন তার ক্লু অপরাধীরা রেখে যায় পারফেক্ট ক্রাইম কখনোই সম্ভব নয়। কিংবা প্রাইম করার পরে অপরাধী তার জায়গা থেকে যখন নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখায় তার পরেও সেই ভয়-ভীতির মাধ্যমেও অনেক ডেটা ছেড়ে যায় এমন কিছু ডকুমেন্ট ছেড়ে যায় যে সব অপরাধী তার পাতানো জালে নিজেরাই আটকে যায়।

এমনই একজন মানুষ আমি সনাক্ত করতে পেরেছি যে তার মায়াজালে আবদ্ধ করে কোন একজন মানুষের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে এবং তার সঙ্গে ফ্রড করেছে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেছে ঘর থেকে গহনা স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছে ইভেন ঘর থেকে টাকা বের করে নিয়ে সে গায়েব হয়ে যায়।

আমাদের এই সমাজে কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে বিয়ে একটা বিজনেস। পুরুষের বিশ্বস্থতা অর্জন করবে কাবিননামা বেশ মোটা অংকের ধরবে অবশেষে যে কোন ঝামেলা পাকিয়ে সংসার ত্যাগ করবে তারপর উকিল নোটিশ পাঠাবে ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়ার জন্য।

তা নয়তো ছেলেকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করবে এবং মোহরানার মোটা অংকের টাকা টি আদায়ের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করবে অনেকে আত্মসম্মানের ভয়ে মুখ খুলবেনা এবং চুপচাপ সেই চাহিদা পূরণ করে দেবে এবং অপর প্রান্ত থেকে সেই মেয়েটি তার অবস্থান থেকে তার চাওয়াটা তার আগ্রহ তার এই গল্পটা খুব সূক্ষ্মভাবে প্রাপ্তির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবে।

এ সমস্ত নারীরা কিম্বা তার পরিবারের প্রতি অতিভক্তির মাধ্যমে চরম ভাবে বিশ্বাস অর্জন করে এমনকি সুন্দর সুসম্পর্ক তৈরি করে যে সম্পর্কের মাধ্যমে পরিবারের সকলের মন জয় করে।

আর এই সুন্দর সুসম্পর্ক বজায় রাখার অবস্থা পর্যন্ত উপরন্ত এসময়ের মধ্যে আরও বাড়তি যা কিছু রয়েছে সেটা হাতিয়ে নেবে কিছু কিছু নারীদের জন্য এই শর্টকাট ধনী হওয়ার পথ যখন খুব দ্রুত কেমন ধরনের ধনী হওয়ার পথ অবলম্বন করে তখন অনেক সাধারন মানুষ সহজ-সরল মানুষ এই ফাঁদে পা দেয় যা অত্যন্ত বিপদজনক ও আইন গর্হিত কাজ।

একজন সাধারন মানুষ নিঃস্ব হতে পারে যা অপর প্রান্তের পেশাজীবী চতুর ধূর্ত ক্রিমিনাল তার কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে তার অবস্থান আরো শক্তিশালী করে নেন।

এই ক্রিমিনালদেরকে আপনি যদি খোলা মাঠে ছেড়ে দেন তাহলে আরও সাধারন মানুষের ক্ষতি করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে যদি আপনি এই ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন তাহলে সমাজের অনেক মানুষ সচেতন হতে পারবে। তাদের সম্পর্কে সম্যক ধারণা পোষণ করতে পারবে জানতে পারবে বুঝতে পারবে অনুধাবন করতে পারবে ও তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।

এমনকি পারিবারিক সামাজিক অবস্থান অক্ষুন্ন রেখে তার সুন্দর জীবন পরিচালনা করতে পারবে কারন আত্মসম্মানের ভয় সবার রয়েছে তবে যারা ক্রিমিনাল যারা ফ্রড যারা এই ধরনের ক্রাইম এর সঙ্গে সর্বদা জড়িত তাদের কোন দেশ নেই সমাজ নেই রাস্ট্র নেই পরিবার নেই।

এদের আইনের অন্ধকার কুঠুরিতে বন্ধ রাখাই শ্রেয়। একটা কথা মনে রাখবেন নারী অধিকার আইন নারী নির্যাতনের আইন কার্যকরী অবস্থানে প্রয়োগ করা যায় তবে অবশ্যই সেটা সঠিক আবার এই আইন যদি একজন পুরুষকে ফাঁসানোর কাজে ব্যবহার করা হয় আর তা যদি প্রমাণিত হয় তবে এর শাস্তির বিধান সম্পর্কে হয়তো তাদের ধারণা নেই।

নারীরা বরাবরই নারী অধিকার আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল। তারা নারী অধিকার আইনের গলদ ফায়দা উঠিয়ে একজন মানুষকে অসহায়ও করে নিঃস্ব করে ধ্বংস করে।

তবে এমন একটা সময় আসবে যখন পুরুষ অধিকার আইন ও বাস্তবায়ন হবে পুরুষ নির্যাতন আইন যখন বাস্তবায়ন হবে তখন নারীর অধিকার আইনের ও কিছু সীমালংঘন দিক রয়েছে যেটা বন্ধ হবে আর পুরুষ অধিকার আইনের যদি কোন খারাপ দিক থাকে সেটাও ধরা পড়বে। তবে আমরা যত কথাই বলি না কেন অপরাধ করে কেউ ঘরে যেতে পারেনা অপরাধী তার অবস্থান মাফিক যথেষ্ট শাস্তি পাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই বলবো সর্বদা সচেতন থাকুন নিরাপদ থাকুন স্বচ্ছ সুন্দর ও সঠিক পথ অবলম্বন করুন তবেই জীবন সুন্দর ও সুখময়।

কী লিখি তোমায়!

কী লিখি তোমায়!

সুহৃদ,
মনটা গত কিছুদিন যাবত বিক্ষিপ্ত ভাবনায় কখনও অস্থির, কখনও এলোমেলো থাকছে। মন কিছুতেই বশে আসছেনা। এই যে লাগাতার অস্থিরতা এটা মনের দোষ বা গুণ নয়, মনের উপর লাগাতার সময় পরিবেশ পরিস্থিতির বিভিন্ন মাত্রার যে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, তাতেই মন বেচারা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।

মন যখন আমার বশে থাকেনা, আমি নিজেকে তখন বশে আনার চেষ্টা করি। সারাক্ষণ কথা বলি মানুষটা কথাবার্তায় সংযমী হয়ে উঠি, দিনের বেশির ভাগ সময় নীরব থাকি। তাতে মনের খোলা জানালা দিয়ে এলোমেলো ভাবনারা আসে ঠিকই, তবে খুব বেশিক্ষণ স্থায়ীত্ব পায়না।

এই যে আমি এতক্ষণ ধরে লিখে চলেছি, দিকভ্রান্ত শব্দগুলোই জানান দেয় মনের অস্থিরতার কথা। এমন এলোমেলো কথা আমি সাধারণ অবস্থায় বলিনা, ভাবিওনা। বেশি কথা বলি, সারাক্ষণ কথা বলতে ভালো লাগলেও কথা বলার সময় কথা গুছিয়ে বলা আমার অভ্যাস। মন যখন বশে থাকেনা, চাইলেও কথাগুলো গুছিয়ে উঠতে পারিনা বলেই নীরব থাকাকেই শ্রেয় মনে করি।
নীরব থাকারও তো নিয়ম কানুন আছে। চাইলেই নীরব থাকা যায়না। নীরব থাকাকে অনেকে ‘গরিমা, অহঙকার, দম্ভ’ ভেবে মাঝে মাঝে ভুলও করে। এটা নিজের জীবন দিয়ে বুঝেছি।

খুব ছোটবেলায় আমি শান্ত চুপচাপ থাকতেই পছন্দ করতাম। নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্লাসের বন্ধুদের অনেকেই আমাকে পেছনে ‘ দেমাকি, অহঙ্কারী’ বলতো। পেছনেই বলতো, কারণ মিথ্যে কথা সামনাসামনি বলা কঠিন। তাছাড়া আমাদের ছাত্রজীবনে ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল, ফার্স্ট বয়দের শিক্ষক শিক্ষিকাগণ ভালোবাসতেন, প্রশ্রয়ের চোখে দেখতেন। ফলে তাদের সম্পর্কে যখন তখন বাজে কথা বলে, ‘অহঙ্কারি দেমাগি’ ডেকে কেউই শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিরাগভাজন হতে চাইতোনা।

তারপরেও কথা থেমে থাকতোনা। পেছন থেকে যে বলে, সে তো জানেনা পেছন থেকে ফিসফিসিয়ে বললেও সেই কথা সামনের দিকে যায়। কথা পেছন দিকে যায়না। স্বভাব শান্ত থাকাতো আমার দোষ ছিলনা, কিন্তু এই স্বভাবের কারণে সমবয়সীদের কাছে ‘দেমাগি, অহঙ্কারী’র খেতাব পেয়ে মন খারাপ হতো, শান্ত মুখচোরা আমি আরও নীরব হয়ে যেতাম। কিন্তু এভাবেই কতকাল, মানুষ মাত্রেই পরিবর্তন চায়। আমি পরিবর্তিত হতে চেষ্টা করি। শান্ততার বেড়া ভাঙতে চেষ্টা করি, অশান্ত, চঞ্চল হয়ে ওঠার জন্য কিশোরী মনে প্রতিজ্ঞা করতে করতেই একদিন চঞ্চল, কথাবার্তায় কলকল হয়ে উঠি। এবং স্বভাবে এই উত্তরণ ঘটেছিল নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হবার পর।

সেই থেকে বলি, কথা বলি, ভাল কথাও বলি মন্দ কথাও বলি। ধর্মের কথা বলি, অধর্মের বিপক্ষে বলি। ন্যায়ের পক্ষে বলি, অন্যায়ের বিপক্ষে বলি। বলতে বলতে বলতে বলতে একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ি। সেই ক্লান্তিই একসময় আমার মাঝে শিশুকালের শান্ততা, নীরবতা ফিরিয়ে নিয়ে আসে। ফিরিয়ে আনার কিছু নেই, ওগুলো তো ছিলই আমার মধ্যে, চারিত্রিক কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়েই মানুষ জন্মায়। জন্মের সময় নিয়ে আসা বৈশিষ্ট্য হারায়না, নষ্ট হয়না আড়ালে চলে যায় মাত্র। প্রয়োজনে আড়াল সরিয়ে আবার সামনে এসে দাঁড়ায়।

আমার নীরবতাগুলোও আজকাল আড়াল সরিয়ে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে বলেই আমি নীরব থাকি। যে আমি ফেসবুকে ঘন্টায় ঘন্টায় বড় বড় স্ট্যাটাস লিখে কথার ঝড় তুলতাম, সেই আমি এখন লিখবার মত কোন কথা খুঁজে পাইনা। আগে বিষয় না পেলে নিজে বিষয় বানিয়ে নিতাম। নির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে লিখতে না পারলে ওয়ালমার্টে আট ঘন্টা কাজ করতে গিয়ে কি কি অভিজ্ঞতা হলো, তা দিয়েই তিন পৃষ্ঠা লিখে ফেলতাম। সে এক সময় ছিল, তিন চার বছর আগের কথা বলছি, নাওয়া খাওয়া ভুলে লিখতে বসে যেতাম এত ভাল লাগতো লিখতে।

বললাম যে, এখন মন অস্থির তাই নীরব থাকি। অস্থিরতার কারণগুলো খুব স্পষ্ট, আমি শান্তি ভালোবাসি, শান্তিতে আমি একা থাকবো তা নয়, আশেপাশে সকলেই শান্তিতে থাকবে, তবেই আমি শান্তিতে থাকতে পারবো। কথা হচ্ছে, আশেপাশে কেউই শান্তিতে নেই। পৃথিবীর কোন দেশেই নয়, কম বেশি অশান্তি সব দেশে বিরাজমান। আগে শান্তিতে থাকতো বিদ্বান, জ্ঞানী, নিঃসম্বল এবং ধনবানেরা। এখন মূর্খ মার্গ, ধনী দরিদ্র কেউই নিশ্চিন্ত আরামে একটা রাত অন্তত ঘুমাতে পারেনা। যে মানুষটির কোন শত্রু নেই, কোথা থেকে যেন তাকেও শত্রু এসে আঘাত করে। মানুষ শত্রু না পেলে প্রকৃতিই শত্রু হয়ে যায়। হঠাত জলোচ্ছ্বাস, টর্ণেডো, কালবোশেখি ঝড়, বজ্রপাত, ভূমিকম্প সুনামি— প্রকৃতিই কি কম কায়দা জানে শত্রুতা করার!

মানুষ শত্রুর কথা যত কম বলা যায় তত ভাল। কিন্তু আজকাল কারো বলাবলির অপেক্ষায় কেউ থাকেনা। সকলের জীবন অনিশ্চিত হয়ে গেছে। একদল মানুষ রাস্তা বরাবর নিশ্চিন্ত মনে হাঁটছে, ঠিক সে সময় বলা নেই কওয়া নেই অচেনা শত্রু এসে হাজির। চলন্ত ট্রাকটা হয়তো তাদের উপর তুলে দিল, শত্রুর চেহারা দেখার আগেই তারা ট্রাকের চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে মরে গেলো। অথবা হয়তো অফিসে বসে কাজ করছে সকলে, কোম্পানির জিএম থেকে শুরু করে গেটের দারোয়ান, এর মধ্যেই কখন বোমা ফাটলো, দারোয়ান থেকে অফিসের জিএম আগুনে ঝলসে পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেলো।

এই তো কয়েক মাস আগের কথা রাজীব নামের বাপ মা মরা ছেলে, টিউশনি করে লেখাপড়া করে, কলেজ যাওয়ার পথে বাসে ঝুলন্ত হয়ে দাঁড়িয়েছিল, কোথা থেকে আরেক বাস এসে এমন চাপা দিল যে হাতটাই ছিঁড়ে গেলো, সেই থেকে সে মারাও গেলো। এগুলো তো অচেনা শত্রুর কথা বললাম, চেনা শত্রুর কথা উঠলে তো আর কথাই নেই। এই ফেসবুকে এসেই অভিজ্ঞতা হয়ে গেলো শত্রুতা কত রকমের হতে পারে! একজনের সাথে মতে মিলেনা, শুরু হয়ে গেলো শত্রুতা। একজন আরেকজনের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে যাবে, তা কি করে হয়! শুরু হোক শত্রুতা, ধুয়ে মুছে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক সকল জনপ্রিয়তা।

ধর্ম নিয়ে শত্রুতা এখন চরমে, এই শত্রুতা মানুষের জীবন মরণের মাঝখানে এসে দাঁড়িয়েছে। এই শত্রুতার জের ধরে একজন মারবে, অন্যজন মরবে। আমি আমার ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, সেও তার ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। এখানে শত্রুতা হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু তবুও শত্রুতা, প্রাণঘাতী শত্রুতা। কি নিয়ে? দুজনের ধর্মীয় মূল্যবোধ, চিন্তাভাবনা, প্রেক্ষাপটে মিল নেই বলে।

দুজন চিন্তা করে দুভাবে, এটাই শত্রুতার জন্য যথেষ্ট। আমি যে ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, তোমাকেও তা করতে হবে। তুমি যদি তা না করো তাহলে একদম নীরব থাকবে নয়তো মারা পড়বে। যুক্তি তর্ক করা, যুক্তি খন্ডন করার ভদ্র নীতি রীতি এখানে চলবেনা। হয় মেনে নাও, নয় সরে যাও, মাঝামাঝি কোন অবস্থান বলে আর কিছু নেই বর্তমান সময়ে।

তোমার যুক্তি শোনার ধৈর্য আমার নেই, আমি যে তোমাকে পালটা যুক্তি দিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করবো সেই সময়, জ্ঞান, বিদ্যা, ধৈর্য্ কোনটিই আমার নেই। কাজেই উড়ুক ঘুড্ডি আকাশে, চলুক কাটাকুটির খেলা।

এখানেই আমার সমস্যা। পয়সা দিয়ে ঘুড্ডি কিনেছি, সূতোয় মাঞ্জা দিয়েছি, আমার বাড়ির সীমানার আকাশে ঘুড্ডি উড়াচ্ছি। শুধু কাটাকুটি খেলবে বলেই তুমি গায়ে পড়ে এসে আমার ঘুড্ডিটাকে ভোকাট্টা করে দিয়ে উল্লাস ধ্বনি দিতে দিতে চলে যাবে, আর আমি কিনা লাটাইয়ে ছেঁড়া সূতো পেঁচাতে পেঁচাতে ঘুড্ডির জন্য শোক করবো! কেন, কী ক্ষতি হতো তুমি তোমার আকাশে তোমার খুশিতে ঘুড্ডি উড়াতে, আর আমি আমার আকাশে। আমাদের বন্ধুত্বতা না হোক, শত্রুতা তো হতোনা! শত্রু বাড়িয়ে লাভ কি! আমার ঘুড্ডি ভোকাট্টা করে দিয়ে তুমি কি পেলে!

একজন বাষট্টি বছর বয়সী লেখক, পুস্তক প্রকাশককে নিরস্ত্র অবস্থায়, বিনা প্রতিরোধে গুলী করে হত্যা করে কি লাভ হলো! মানুষটা জীবনের অর্ধেকের বেশি কাটিয়ে ফেলেছেন, বাঁচলেই আর কয় বছর বাঁচতেন। বড় জোর কুড়ি বছর, কী ক্ষতি হতো তাঁকে কুড়িটা বছর নিজের মত করে নিজের আকাশে ঘুড়ি উড়াতে দিলে?

এই কথাগুলোই বুকের মাঝে তোলপাড় করে, মাথার ভেতর ভন ভন করে। কেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এত হত্যা, কেন আমেরিকার বিরুদ্ধে বিশ্বের সকল দেশের এমন বৈরী মনোভাব, কেনইবা বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলোর বর্তমান- ভবিষ্যত নিয়ে আমেরিকা অযথা মাতবরি করে অশান্তির আগুন বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়তে দিয়েছে! কেনোইবা খোদ আমেরিকার পথে ঘাটে, শপিং মল, স্কুল কলেজে বন্দুক হাতে আততায়ী প্রবেশ করে, কেনইবা নিরপরাধ বাচ্চা বুড়ো শিশুদের হত্যা করে, কী আনন্দ পায়! এগুলো ভেবে খুব কষ্ট হয়, অশান্তি লাগে। অজানা মৃত্যু ভয়ে বুকে কাঁপন ধরে।

আগেও অশান্তি হতো মনে নানা কারণে, ফেসবুক ওপেন করে বসলেই মন ভাল হয়ে যেত। আজকাল আর তা হয়না, আমার আনন্দভুবনে কেমন করে যে এত বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে!
ফেসবুকে এখন আমার আর লিখতে ইচ্ছে করেনা। কেমন যেন অচেনা লাগে সব কিছু, অচেনা লাগে সবাইকে। ফেসবুকেও শত্রুতা, ফেসবুকেও ঝগড়া। সব কিছুতেই দুই গ্রুপ দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। এ বলে, আমাকে দেখ, ও বলে, আমাকে দেখো। দুই পক্ষই শক্তির তেজ দেখিয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে মরীয়া হয়ে যাচ্ছে।
দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, ক্রসফায়ারে বিচার বহির্ভুত মানুষ মারা যাচ্ছে, রাজনৈতিক মতবিরোধ চরমে, কেউ কাউকে সম্মান করেনা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, বর্তমান প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে যার যেমন খুশি নরমে গরমে কথা বলেই যাচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে কথা কাটাকাটি, ধর্ষণ ঘটনায় এক দল ধর্ষিতার পক্ষে, আরেকদল ধর্ষকের পক্ষে বলছে, অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্য একদল ফান্ড রেইজ করছে, আরেক দল তাতে বাধা দিচ্ছে, এই থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে একে অপরের প্রতি কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির কুৎসিত প্রতিযোগিতা।

ফেসবুকে এখন আর সুবাতাস বহেনা, এখানে এখন আর পাখি ডাকেনা, নদী কুলকুল শব্দে বয়ে যায়না। ঈদ পূজা নিয়ে প্রাণ খুলে আনন্দ কথা লিখা যায়না, আইডি ব্যান হয়ে যাওয়ার ভয়ে মনের কথাটুকু প্রকাশ করা যায়না।
এখানে ভয়ের বাদশারা রাজত্ব করে, চারদিকে ছোট ছোট ভয়েরা খেলা করে। যারা মানবতাবাদী ছিল তারাও ভালর পক্ষে কথা বলতে ভয় পায়, মন্দের বিপক্ষে কথা বলতেও ভয় পায়। তারা ধর্ষিতার পক্ষে দাঁড়াতেও ভয় পায়, ধর্ষণের বিপক্ষে কিছু বলতেও ভয় পায়।

আমার শৈশবের শান্ততা, নীরবতারা ফিরে ফিরে আসে, ছোটবেলায় অচেনা জায়গায় যেতে ভয় পেতাম, অচেনা মানুষকে ভয় পেতাম। এই ফেসবুক আমার কাছে অন্যরকম লাগে, প্রায়ই অপরিচিত লাগে। অপরিচিতের মাঝে আমি স্বস্তি পাইনা, অচেনার ভীড়ে নিজেকে খুঁজে পাইনা, তাই বোধ হয় আজকাল শৈশবের নীরবতাকেই আঁকড়ে ধরেছি। ব্যথায় মন ভারী হয়ে থাকে, গুছিয়ে কথা বলতে পারা আমিও আর গুছিয়ে বলতে পারিনা আমার কিসের ব্যথা। কবিগুরুর গানের কথাটুকুই মনের ভেতর কেঁদে মরে, “যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা, তোমায় জানাতাম”।

একজন অদিতির গল্প!

25167

অদিতির সাথে পরিচয় না হলে ঈশ্বর সৃষ্ট মানুষের যে সংজ্ঞা তার অনেক কিছুই হয়ত অজানা থেকে যেতো। বাইরে দেখা মানুষটার ভেতর যে একই রকম হয়না অদিতি তার ঐশ্বরিক প্রমাণ।

অদিতি ভট্টাচার্য্য। বয়সে আমার চাইতে দুই বছরের বড়। লম্বা চুল আর শাড়িতে খুব সুন্দর লাগে তাকে। আকারে ছোট হওয়ায় প্রথম দেখায় ইননোসেন্ট ইননোসেন্ট মনে হয়। আমার কাছেও তাই মনে হয়েছিল। পশ্চিম বঙ্গের এই বাঙ্গালী মহিলার সাথে পরিচয় নিউ ইয়র্কে। সদ্য প্যানসেলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়া হতে নিউ ইয়র্কে মুভ করেছি। ট্রান্সফার নিয়ে সেলসম্যানের চাকরিটা ফিরে পেয়েছি এই মেগা শহরে।

ডিসেম্বরের এক সন্ধ্যা। কনকনে শীত। বিরামহীন তুষারপাতে তলিয়ে গেছে শহরের সবকিছু। চাকরির প্রথম দিন। সেজেগুজে হাজির হয়েছি কর্মক্ষেত্রে। কমিশন ভিত্তিক কাজ। বিক্রি করতে পারলেই কেবল পয়সা। স্টোর ম্যানেজার পরিচয় করিয়ে দিল ডিপার্টমেন্ট ম্যানেজারের সাথে। লাতিনো এই মহিলা খুব আন্তরিকতার সাথে আমাকে স্বাগত জানালেন ফ্লোরে। বাঁকা হাসি দিয়ে জানালো এই বিভাগে ১২ জন মহিলার বিপরীতে কেবল ১জন পুরুষ সেলসম্যান কাজ করছে।

শীতের রাত, কাস্টমার বলতে কেউ নেই। এমন আবহাওয়ায় আশাও করছেনা কেউ। আমি হাত গুটিয়ে কাউন্টারের পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। বাইরের তুষারপাতে মুগ্ধ হচ্ছি। কর্কশ গলায় চীৎকার করে উঠল কেউ একজন। কাউন্টারের ভেতর হতে বেরিয়ে যাওয়ার কড়া নির্দেশ দিল। আমি অবাক হলাম কারণ ফ্লোর ম্যানেজার আমাকে এখানে রেখে গেছে। ম্যানেজারের উপর আরও কেউ থাকতে পারে তার আন্দাজ ছিলনা। মহিলা আর কেউ নন, অদিতি মুখোপাধ্যায়। খাঁটি ভারতীয় উচ্চারণের ইংরেজীতে বুঝিয়ে দিল কাউন্টারের কাছাকাছি আসার আমার কোন অধিকার নেই।

ম্যানেজার দৌড়ে এসে পরিচয় করিয়ে দিল বাকি সবার সাথে। আমি এখানকার নতুন আগমন শুনে করোলা তিতার মত মুখ তিতা করে ফেলল অদিতি। মিন মিন করে জানালো চাকরি করি আর না করি, কাউন্টারের পেছনে এভাবে দাঁড়ানো নিয়ম বর্হিভূত। এবং এভাবেই শুরু। প্রতিদিন কিছু একটা নিয়ে খুনসুটি করে। দফায় দফায় উপদেশ দেয়… এভাবে না, ওভাবে। এখানে না, ওখানে।
আমি শুধু শুনি আর চিন্তা করি, হু দ্যা ফাঁ* সী ইজ!

আমি ইচ্ছা করেই কমিশনে ঢুকতে ৭দিন সময় নেই। কটা দিন দরকার প্রোডাক্ট গুলো ভাল করে চেনার। স্টক রুমের কোথায় কোন প্রোডাক্ট সেটা জানাও ছিল জরুরি।
মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি, বীচ, আই উইল পে ইউ ব্যাক!
উপদেশ সেশনের এক পর্যায়ে এই মহিলা জানতে চাইলেন আমি চলার মত ইংরেজি জানি কিনা। ইতিপূর্বে ২/১ জন বাংলাদেশি এখানে চেষ্টা করেও নাকি টিকতে পারেনি দুর্বল ইংরেজির কারণে।
উত্তরে হাসি দিয়ে জানালাম, সময়ই বলে দেবে আমার ইংরেজির দৌড়।

রুশ আমার দ্বিতীয় ভাষা। ইংরেজি তৃতীয়। রেগো পার্কের এই এলাকাটা রুশদের ঘাঁটি। তবে সপ্তাহ খানেক কাজ করার পর বুঝতে পারলাম আমার গ্রাহকদের শতকরা ৫০ ভাগই হিসপানিক। স্প্যানিশ ভাষা এখানে মূল ভাষা। বাকি সব হাতে রেখে বিক্রয় কাজে স্প্যানিশ ভাষার যে সমস্ত বাক্য দরকার তার উপর ক্রাশ তালিম নেয়া শুরু করলাম। খুব জটিল কোন মিশন ছিলনা।

মাস খানেক পর নিজকে তৈরী মনে হলো। এবং আমি বিপুল বিক্রমে নেমে পরলাম কাস্টমার শিকারে। ইতিমধ্যে ধারণা পেয়ে গেছি অদিতি ডিপার্টমেন্টের ২য় সেরা সেলসপার্সন। তার উপর ডমিনিকান রিপাব্লিকান এক মহিলা। ওরা দুই বান্ধবী গেল প্রায় ১২ বছর ধরে এখানে রাজত্ব করছে।

প্রথম যেদিন রুশ ভাষা ব্যবহার করে কাস্টমারের কাছে পণ্য ধরিয়ে দিলাম অদিতির চোখে মুখে প্রচন্ড অবিশ্বাস। চোস্ত উচ্চারণের ইংরেজির ভাণ্ডারটা একটু সময় নিয়ে খুলতে হলো।

ততদিনে অদিতি বুঝে গেছে সাধারণ কোন কো-ওয়ারকার নিয়ে খেলছেনা সে। মাস না ঘুরতে সবাইকে টপকে উঠে গেলাম ১ নাম্বারে। ১২ বছরে এই প্রথম সত্যিকার চ্যালেঞ্জের মুখে পরতে হলো মহিলাকে। আমিও নাছোড়বান্দা। কোন কাস্টোমার ছাড় দিতে রাজি নই।

দুই মাসের মাথায় ফ্লোরের বাকি সবাইকে নিয়ে গোপন মিটিংয়ের আয়োজন করল অদিতি। আমার কারণে নাকি বাকি কেউ কোন আয়-রোজগার করতে পারছেনা।
প্রথম সাড়ির কয়েকজনকে নিয়ে গেল স্টোর ম্যানেজারের কাছে। অভিযোগ দিল আমার বিরুদ্ধে। বিগ বস ডেকে পাঠালেন আমাকে।

আমার বিক্রয় জাস্টিফাই করতে কোন অসুবিধা হলনা। ম্যানেজারকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ফ্লোরের এক্টিভিটি নজর রাখার জন্যে অনুরোধ করলাম।
মহিলা সেলসপার্সনদের প্রায় সবার হয় স্বামী অথবা স্বামীর পাশাপাশি নাগর এসে ভিড় জমায় কাজে। ওখানে সময় ব্যায় করতে হয় ওদের। ফলে সাফার করে কাষ্টমারের দল। আমি ছিলাম এসবের বাইরে।
ধোপে টেকেনি অদিতির অভিযোগ। এসব অভিযোগ আমাকে আরও আগ্রাসী হতে সাহায্য করল।

ইতিমধ্যে বিক্রিতে দুর্বল ২/১জন কো-ওয়ারকার ভিড়িয়ে নিলাম আমার দলে। তাদেরই একজন ছিল ত্রিনিদাদ টোবাগোর শ্যারণ।
কথা প্রসঙ্গে শ্যারণ জানালো প্রতিদিন স্টোরের মুল ফটকে দাঁড়িয়ে অদিতি নাকি তার ভগবানের দরবারে প্রার্থনা করে আমার অসূস্থতার জন্যে।
কিন্তু আমি অসূস্থ হইনা। বরং এই মহিলার এতদিনের হানিমুন কি করে আঁতুর ঘরে নেয়া যায় তা নিশ্চিত করতে থাকি।

থ্যাংক্স গিভিং দিবসে আমরা সবাই একে অপরের সাথে উপহার বিনিময় করি। আমিও করি। সে যাত্রায় অদিতিকে বাংলাদেশি গানের একটা সিডি উপহার দিলাম। পরের দিন সিডিটা ফেরত দিয়ে জানালো এসব গার্বেজ গান নাকি সে শোনানা। রবীন্দ্র সঙ্গিত আর প্রথম ও একমাত্র গান।

অপমানটা হজম করতে একটু কষ্টই হলো। তবে তা ফিরিয়ে দিতে আমাকে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি।
অদিতির স্বামী ও তার ১৫ বছরের ছেলে কোলকাতা যাচ্ছে। সবাইকে ঘটাকরে জানালো অদিতি। এসব আমি এক কান দিয়ে শুনি আর অন্য কান দিয়ে বের করে দেই।

স্বামী সন্তান চলে চলে যাওয়ার পরদিনই আমাকে একটা প্রস্তাব দিল। জ্যাক্সন হাইটসের সিনেমা হলে ভাল একটা হিন্দি ছবি এসেছ। আমাকে নিয়ে ছবিটা দেখার প্রস্তাব দিল। মুভির পর তার নাকি পরিচিত ভাল একটা রেস্তোরা আছে, ওখানে ডিনারেরও আমন্ত্রণ।

কো-ওয়ারকারদের বাকি কেউ এমন প্রস্তাব দিলে আমি নিশ্চয় লুফে নিতাম এবং বিছানায় রাত কাটানোর সুযোগও হয়ত হাতছাড়া করতাম না
(ছিলাম ব্যাচেলর)।
কিন্তু এ ছিল অদিতি। ভয়াবহ চরিত্রের ভারতীয় এক মহিলা।
সুযোগটা নিলাম তবে তা ছিলা প্রতিশোধের।

বিনয়ের সাথে জানিয়ে দিলাম হিন্দি আমি কম বুঝি। আর বুঝলেও ওসব বস্তাপঁচা, অবাস্তব, অলীক কাহিনীর ছবি আমি দেখিনা। আমার জন্যে এসব সময়ের অপচয়।
অপমানে লাল হয়ে গেল তার গোলগাল মুখ।

মোট ৬ বছর চলেছিল আমার চাকরি। আমার অত্যাচারে ইতিমধ্যে অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। অদিতি প্রায়ই অবসরে যাওয়ার কথা বলে। আমি শুনি আর হাসি। হাসি আর মনে মনে কল্পনা করি চাকরির প্রথম রাত!

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরি নিয়ে সান আন্তোনিও চলে যাওয়ার কথা আগেরদিন পর্যন্ত কাউকে জানাইনি কেবল ম্যানেজার ছাড়া।
অদিতিই প্রথম বলল তার চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। সবকিছু ফাইনাল।
শোনার পর আমি বললাম আমার প্রস্থানের সময় ও তারিখ।
অদিতি থ হয়ে গেল।

দু’বছর পর নিউ ইয়র্ক বেড়াতে গিয়ে শুনেছিলাম অদিতির বিদায় পর্ব। চাকরি আগেই ছেড়ে দিয়েছিল। নতুন করে ফিরে আসার দরখাস্ত গ্রহন করেনি ষ্টোর কর্তৃপক্ষ। কারণ ওরা আর ফুলটাইম এম্পপ্লোয়ি হায়ার করেনা।
আমার চৌদ্দগুষ্টি আর দেশ উদ্ধার করে লম্বা এক ভাষনের মধ্য দিয়ে শেষ করেছিল তার ক্যারিয়ার।