বিভাগের আর্কাইভঃ অন্যান্য

চেতনায় বাংলাদেশ

ভাবিনা তবু অতীত হানা দেয় মনের জানালায়
যখন ভাবি যে পথে আছি এ পথে আসারতো কথা ছিলোনা
তরীতো ভিড়ার কথা ছিল অন্য মোহনায়
জল দিয়েছিলুম পদ্ম ভেবে, মাকাল ছিল জানত কে? …
কুয়াশায় ডেকে দিয়েছে চারপাশ
হতাশার উত্তরীতে ম্রিয়মান শোক
অরণ্যে লেগেছে দাবানল, দগ্ধ জনপথ
চেতনায় হেনেছে আঘাত, অট্টহাসিতে রাহুর দল
খামছে ধরেছে আমার মস্তিষ্কের উর্বরতা
বিবেকের রাজপথে নেমেছে ঘোর অমানিশা
ধেয়ে আসছে দশ নম্বর হুসিয়ারি সংকেত
তলিয়ে নিয়ে যাবার শঙ্কায় আপাদমস্তক
ভাগ্যাকাশে ছেয়ে আছে ঘন এক কালো মেঘ
ভিজিয়ে দেবে চেতনার শুভ্রতাকে।
মনের নদীতে আজ প্রচুর পলি জমেছে
দুকুল ভাসিয়ে নিয়ে যাবে অচিরেই
ধ্বংস আর ধংসের উল্লাস চারি দিকে
ইস্রাফিল সিঙ্গা নিয়ে প্রস্তুত সব কিছু উড়িয়ে দিতে
চারি দিকে অন্ধকার, সুযোগ নেই ঠিকানা খুঁজে পাবার।
তখনো আমি স্বপ্ন দেখি তোমাকে পাবার
তুমি ফিরে এসো বাংলার ঘাসে, ফুলে–ফলে
মাখিয়ে দাও চেতনার রঙ সবার হৃদয় মন্দিরে
তবে তরী তার ভিড়িবে আপন ঠিকানায়।
শকুনেরা তবে আর খাবলে খাবেনা তোমার দেহ; নিথর হবার আগে
বার মাসই হবে বসন্ত, ফুল ফুটবে শাখে শাখে।।

4 - NA

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ০৪

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই সেই দেশের জাতীয় পশু, জাতীয় মাছ, জাতীয় পাখি ইত্যাদি প্রাণী নির্বাচন করা আছে।
আমাদের বাংলাদেশে যেমন আছে-
জাতীয় পশু – রয়েল ব্যাঙ্গল টাইগার।
জাতীয় মাছ – ইলিশ।
জাতীয় পাখি – দোয়েল।
জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী – শুশুক।

এই চারটি আলাদা-আলাদা ক্যাটাগরির জীবকে একসাথে বুঝানোর জন্য আমরা বলছি “জাতীয় প্রাণীসমূহ”

প্রতিটি পর্বে ১০টি দেশের প্রাণীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো, সেই ধারাবাহিকতায় আজ আরো ১০টি দেশের প্রাণীদের হাজির করেছি। আসুন পরিচিতো হই তাদের সাথে।

৩১। ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র

Palmchat (বাংলা নাম জানা নেই)

ধূসর মুখো পেঁচা (Ashy-faced Owl)

Hispaniolan Amazon (বাংলা নাম জানা নেই)

৩২। পূর্ব টিমোর

কুমির (Crocodile)

৩৩। ইকুয়েডর

Andean Condor (বড় আকারের শকুন)

৩৪। Eritrea

উট (Camels)

৩৫। El Salvador

Turquoise-browed Motmot (বাংলা নাম জানা নেই)

৩৬। ইস্তোনিয়া

Barn Swallow (বাংলা নাম জানা নেই)

৩৭। ইথিওপিয়া

সিংহ (Abyssinian Lion) বা (Judah এর সিংহ)

৩৮। ফিনল্যান্ড

বাদামি ভালুক (Brown Bear)

রাজহাঁস (Whooper Swan)

ইউরোপীয়ান মিঠাপানির মাছ (European perch)

৩৯। ফ্রান্স

Gallic Rooster (বাংলা নাম জানা নেই) (কোনো ধরনের মোরগ)

৪০। জামবিয়া

হায়না (Hyena)

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত

নাটক- মৃত্যু দুয়ার

স্থানঃ মৃত্যু দুয়ার দিয়ে অমরত্বে প্রবেশের দ্বারপ্রান্ত
সময়ঃ মধ্যরাতের পর থেকে সকাল

কুশীলবঃ (এই পর্যন্ত)
১) ১ম প্রহরী
২) ২য় প্রহরী
৩) ৩য় প্রহরী

প্রথম দৃশ্য

বিশাল ধু ধু প্রান্তর- চারিদিকে ঘন অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। অতিদূর হতে পোঁ পোঁ ভোতা সাইরেন শোনা যায় ।
(দুজন প্রহরীর একইসঙ্গে প্রবেশ-গায়ে কোন খাকি পোশাক, কান্ধে রাইফেল নেই তবুও এরা প্রহরী, দেখতেই মনে হয় তালপাতার সেপাই)

১ম প্রহরীঃ (২য় জনের দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে) তোমার নাম কি ভাই ? কোথা থেকে এসেছো?
২য় প্রহরীঃ ভাই বলছো কেন ? জানো না অন-ডিউটি ঊর্ধ্বতন’কে স্যার ডাকতে হয়। ঠিক করে আবার বলো, নইলে রিপোর্ট ঠুকে দেব।
১ম প্রহরীঃ আপনি আমি দুইজনেই আসছি গার্ড দিতে কেউ যেন অবৈধভাবে ঢুকে যেতে না পারে, আপনার কান্ধেও কোন ব্যাজ নাই- হাতে পিস্তল নাই, র‍্যাঙ্ক তো বোঝারই উপায় নাই। তবে আপনার গাল ভাঙ্গা, চুল অর্ধেক নাই; মনে হয় বড়ই হবেন বয়সে। সেইখান থেকেই বলতেছি যখন বলছেন, ‘আপনার নাম কি স্যার? নিবাস কোথায়?’
২য় প্রহরীঃ এইতো ! তোমার ভিতরে আদব লেহাজ আছে দেখেই বোঝা যায় তুমি ভদ্র বংশের শুধু একটু ঝালিয়ে দিতে হবে। চিন্তা করো না। আমার সাথে যখন কাজ করতেছো একদম র‍্যাতের মত সোজা হয়ে যাবে। আমি যখন প্রথম জয়েন করি তখনকার সময় তো আর নাই। আমাদের অফিসার ছিলেন মিঃ অনুপম। আহা ! যেমন নাম তেমনি তার আচার ব্যবহার। কাজও ছিল চমৎকার বিন্যস্ত। যে কথা বলতেন সেইটাই করতেন, কোন নড়চড় নাই। এখন তো আর সেই সময় নাই। আচ্ছা তুমি যেন কোন ব্যাটালিয়নের ছিলে ?
১ম প্রহরীঃ আমি ছিলাম ৮৭(খ) ব্যাটেলিয়ন, কিন্তু আপনার নামটাই তো জানা হলো না। কোথা থেকে আসছেন সেটাও বললেন না। নাম পরিচয় না জেনে একত্রে কাজ করতে কেমন যেন উসখুস করতেছে।
২য় প্রহরীঃ তোমাকে এইখানে আনা হয়েছে গার্ড দেয়ার জন্য। গার্ড মানে বোঝ ? নজর থাকতে হবে বাজপাখির মত, দৃষ্টি থাকতে হবে বাঁদুরের মত আর কান থাকতে হবে কুকুরের মত। তোমার সাথে আছি প্রায় দশ মিনিট হয়ে গেল, আমার বুকের উপরে বাম পাশে দেখতে পাও না খাস বাংলায় আমার নাম লেখা আছে নেইমপ্লেটে ! নাকি পড়তে লিখতে জানো না। টিপসই দাও?
১ম প্রহরীঃ অনুপম স্যারের কথা বললেন বলে, তিনি ছিলেন ৭৭ ব্যাচের। দেখলে মনে হয় না আপনি আমার থেকে দশ বছরের সিনিয়র। আপনার জ্ঞান বুদ্ধি আমার থেকে বেশী সেটা বোঝা যাচ্ছে তবে আপনি যে নজরের কথা বলছেন বাজ পাখির মত, বাদুরের মত; এইখানে যে ঘুটঘুটে অন্ধকার স্বর্গের অপ্সরা দুই হাত দূর দিয়ে হেঁটে গেলেও টের পাওয়া যাব না। আপনার বুকের উপরে লাগানো নেইমপ্লেট দেখা যাচ্ছে না।
২য় প্রহরীঃ হ্যাঁ সেটা অবশ্য মন্দ বলো নি, অন্ধকার বড্ড বেশী। আচ্ছা এই তোমার কাছে কোন টর্চ লাইট টাইট নাই ? থাকলে মারো তো, কাছেই কি যেন খচখচ করে উঠলো।
যাইহোক, আমার নাম অর্জুন। এটা অবশ্য আমার আসল নাম না। তবে সবাই আমাকে এই নামেই চেনে। খুব ভালো তীর মারতে পারতাম বলে আমাকে এই নাম দেয়া হয়েছিল। অনুপম স্যার আবার বেশিই মহাভারত পড়তেন।
১ম প্রহরীঃ টর্চের কোন ব্যবস্থা নেই। এটা একটা বিশেষ অভিযান বলে কোন ধরনের আলো দেয়া হয় নাই। আলোতে নাকি ওদের চোখের জ্যোতি বেড়ে যায় তাই এই মিশনে আলো একদম নিষিদ্ধ। আমার নাম–
২য় প্রহরীঃ (মুখের কথা কেড়ে নিয়ে) তোমার নাম পরে জানা যাবে, দুর্যোধন নিশ্চয়ই নয়। এখান দেখো তো কারও আনাগোনা টের পাও কিনা। রেল লাইনে কান লাগাবার মত শুয়ে পড়ে কান মিশিয়ে দাও মাটিতে, পাখির মত শূন্যে ভাসান দিয়ে কান পাতো বাতাসে – দেখো যদি কিছু শুনতে পাও। নাহলে এইখানে মাছিও নেই যে মারবে।
(বিপরীত দিকে ঘুরে, কিছুটা হেঁটে গিয়ে জোরে চেঁচিয়ে) আমি এইখানেই আছি। একটা লাঠি পুতে যাও। আমি একটু এলাকাটা ঘুরে ফিরে দেখি। আমি উত্তরে যাচ্ছি তুমি দক্ষিণে যাও। পূর্ব পশ্চিমে কেউ মরতে যাবে না। সাবধানে যেও। তুমি আমার যত ছোটই হয় না কেন, তোমাকে তাচ্ছিল্য করা ঠিক না। র‍্যাংঙ্ক এখন তোমার আমার একই। বেশী সৎ থাকলে যা হয় প্রমোশন পাওয়া যায় না।
১ম প্রহরীঃ কোন সমস্যা নেই স্যার, আপনি বলুন যা ইচ্ছে। আমি এই লাইনে নতুন না।
২য় প্রহরীঃ স্যার বলছ কেন ? নিজের ইচ্ছায় নাকি ভয়ে ? যা ডাকছিলে তাই ভালো। ভাই ডাকো। যেদিকে যেতে বলেছি সে দিকে যাও, কুড়ি মিনিট পরে এসো ঠিক এইখানে। এখন যাও, আমিও যাই। ফ্ল্যাগ পুতে যেতে ভুলে যেও না বুঝেছো দুর্যোধন।

২য় দৃশ্য

( কাঁটাতারের সীমান্ত ভেদ করে পঙ্গপালের মত সবাই কেমন ওইদিক থেকে এইদিকে চলে আস্তে চাইছে। সবাই অসভ্যের মত হাউকাউ করছে। এখানে এত সোরগোল অথচ এতক্ষণ দূরে থেকে কিছুই টের পাওয়া যায়নি। আরও আছে যেতেই শব্দ আরো স্পষ্ট হতে লাগলো। সবাই একেবারে মিছিল দিয়ে আসছে, হাতে ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড-ব্যানার। উদ্ভট সব ব্যানার পোষ্টার। কি লেখা নেই তাতে !

বাঁচতে বাঁচতে মরে গেছি- এবার তবে মরতে দাও
এর নাম বাঁচা হলে মরা তবে কারে কয় ?
জীবন যদি না চাইতেই পাই, মরণ কেন স্বেচ্ছায় নয় ?

টিপিক্যাল রাজনৈতিক স্লোগানের মত সামনে থেকে একজন ইন্ধন দিচ্ছে পেছন থেকে সবাই কোরাস দিচ্ছে-

বাঁচতে বাঁচতে মরে গেছি- এবার তবে মরতে দাও – মরতে দাও- মরতে দাও-মরতে দাও
এর নাম বাঁচা হলে মৃত্যু তবে কাকে বলে – মৃত্যু তবে কাকে বলে- মৃত্যু তবে কাকে বলে।
জীবন যদি না চাইতেই পাই, মরণ কেন স্বেচ্ছায় নয় ?- মরণ কেন স্বেচ্ছায় নয় ?- মরণ কেন স্বেচ্ছায় নয় ?- জবাব চাই ! জবাব চাই !

(মৃত্যুর এত মিছিল দেখে প্রহরীরা ভয় পেয়ে গেল। এত মানুষ মরতে চাইছে। পৃথিবীতে আর কেউ বাঁচতে চাইছেই না ! সবার পাখা গজিয়েছে। এত-বড় মৃত্যুর মিছিল দেখে প্রহরী এক দৌড়ে হাঁপাতে হাঁপাতে আগে পুতে রাখা ফ্ল্যাগের কাছে চলে এলো। এসে দেখে ২য় প্রহরী আগে থেকেই এসে হাজির।)

১ম প্রহরীঃ (হাঁপাতে হাঁপাতে) অর্জুন স্যার ! ওইদিকে কি হাল? এদিকের অবস্থা সুবিধার না। সব একেবারে পঙ্গপালের মত মরণের মিছিলে নেমেছে। এই ঢল একবার কাঁটাতার পেরিয়ে গেলে যমদূত পর্যন্ত পৌঁছে যাবে নিশ্চিত। এদের কেউ আটকাতে পারবে না।
২য় প্রহরীঃ শান্ত হও ! শান্ত হও ! তুমি অনেকটা পথ দৌড়ে এসেছো। কিছুটা বিশ্রাম নাও। বুক ফুলিয়ে ছাতি পর্যন্ত বাতাস ঢুকাও। এখন যা বলি মন দিয়ে শোন।
১ম প্রহরীঃ বলুন স্যার-
২য় প্রহরীঃ তোমার মনে আছে দুই বছর আগে ইলেকশনের সময় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের ইশতেহার কি ছিল ? তারা কি কি ওয়াদা দিয়েছিল ?
১ম প্রহরীঃ মনে আছে বৈকি, ঐ-তো বলেছিল- ‘যার জীবন তার তার, বাঁচতে যখন কষ্ট হয়- মৃত্যুতে বাধা নয়’।
২য় প্রহরীঃ সাব্বাস ! পুরোটাই মুখস্থ আছে দেখছি ! চকচকে মেধা তোমার, সিভিল সার্ভিসে কততম হয়েছিলে ? দশের বাইরে যাওনি নিশ্চয়ই?
১ম প্রহরীঃ একটুর জন্য ফার্স্ট হতে পারি নি স্যার, এমন একটা আন-কমন প্রশ্ন দিয়েছিল যেটা একদম সিলেবাসের বাইরে ছিল; পৃথিবীতে শেষ কবে মানুষ মারা গিয়েছিল তারিখ লিখ?
আপনিই বলেন স্যার ! মানুষ মরেছে সেই কবে কোন আমলে সেই ইতিহাস দিন তারিখ কি মনে রাখা সম্ভব ?
আমার বাপের আমলে না, তার বাপের আমলেও না, তার বাপের আমলে মনে হয় একজন মরেছিল, তাও খুব লুকিয়ে বাঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। ধরা পড়তে পড়তে মরে যেতে পেরেছিল, ধরা পড়লেই ঢুকিয়ে দিত আজীবন হাজতে।
২য় প্রহরীঃ ইশ ! গাধা তুমি ! দুইশ চারশো বছর আগের একটা তারিখ দিলেই হয়ে যেত, এত আগের ডেট কেউ খুঁজতে যাবে ? শত বছর আগের হিসেব দেখে এগজামিনারও ভেবে নিত ঠিকই লিখেছো ! যাইহোক, পেছনের ইতিহাস বাদ্ দাও, যে ইতিহাস সামনে সৃষ্টি হবে সেটা মনে রাখবো কিভাবে সেটা ভাবো। আন্দোলনের যা অবস্থা, মরতে তো এবার দিতে হবেই—

তৃতীয় দৃশ্য

(ভোরের আলো অল্প-অল্প ফুটতে শুরু করেছে। প্রহরী দুজনেই সারা রাত জেগে জেগে ক্লান্ত হয়ে প্রায় আধো-ঘুম পর্যায়ে। আর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের শিফট পরিবর্তন হবে। অন্য দুইজন প্রহরী আসবে। এদের ছুটি হবে। বেশী সময় নেই। এরই মধ্যে দিনের রিপোর্ট লিখে কেন্দ্রে জমা দিয়ে সাক্ষর দিয়ে যেতে হবে।
প্রথম প্রহরী ঝুঁকে ঝুঁকে কাগজের উপর রিপোর্ট লিখছে- ঠিক এমন সময়ে দৌড়াতে দৌড়াতে একজন প্রহরীর আগমন। )

৩য় প্রহরীঃ আমি ১৯ ব্যাটালিয়ন-১৭(ল) কেন্দ্রীয় কমান্ড–
২য় প্রহরীঃ পরিচয় দিতে হবে না, দেখে চিনেছি। কি ব্যাপার এক ঘণ্টা আগেই এসে গেছো? আর তুমি একা কেন ? তোমার সাথেরজন কোথায় ?
৩য় প্রহরীঃ আজকের পর থেকে মনে হয় আর কোন চৌকির দরকার হবে না। উপরের আদেশ আছে, যারা যারা মৃত্যুর জন্য আন্দোলন করছে তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যেতে। এমনভাবে ধরে নিয়ে যেতে হবে যেন তারা বুঝতে পারে যে তাদের দাবী মেনে নেয়া হয়েছে। এই কাজের জন্যই আমাকে পাঠিয়েছে আপনাদের খবর দিতে আর সাহায্য করতে।
১ম প্রহরীঃ হাজার হাজার লাখো লাখো মানুষ মিছিল দিচ্ছে, কয়জনকে ধরে নিয়ে যাবেন ?
২য় প্রহরীঃ আহ ! তুমি একদম বে-আক্কেল। কি শিখলে এই কয় বছরে ? সবাইকে ধরে নিতে হবে কেন ? যাদের হাতে ব্যানার-ফ্যানার ছিল তাদের পাঁচ-ছয়জনকে নিয়ে গেলেই হবে।
৩য় প্রহরীঃ একদম ঠিক বলেছেন জনাব, আপনার বুদ্ধির তারিফ করতে হয়। আমিও এমনটাই ভাবছিলাম।
২য় প্রহরীঃ কিন্তু আমি ভাবছি, এদেরকে নিয়ে করবে টা কি ? মেরে তো ফেলবে না, তাহলে কি মিটিং করবে ? পারস্পারিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক ? বৈঠকে এরা মানবে না। এদের খুন কাঁচা লাল, বড্ড তেজ। মৃত্যু এদের চাইই-ই
১ম প্রহরীঃ এত ভেবে কাজ কি ? চলেন আদেশ যা এসেছে পালন করি তারপর ঘুমাই। সারা রাত জেগে আছি। চোখ লেগে আছে। বাড়িতে আমার বৌ-বাচ্চা আছে।
২য় প্রহরীঃ তোমার বয়স বাড়ছে না কমছে ? কিছুই বুঝতে পার না ! কেবল ঘুমাতে চাও-
১ম প্রহরীঃ বয়স বাড়লেই কি আর কমলেই কি ? জীবনে তো মরতে পারবেন না। বয়সের চিন্তা তাই অনেক আগেই বাদ দিয়েছি।
৩য় প্রহরীঃ সে কিন্তু ঠিকই বলেছে স্যার, আমার পর-দাদু, কিছুই করতে পারে না। খেতে পারে না, কথা বলতে পারে না, হাঁটতে পারে না। একদম অথর্ব হয়ে আছে, সেজন্য গতমাসে মৃত্যুর জন্য আবেদন করেছিল। খারিজ করে দিয়েছে। মরতে যে আমরা পারব না সেইটা তো মেনে নিয়েই আছি স্যার।
১ম প্রহরীঃ এসব ফিলসফি বাদ দিয়ে চলেন, পূব দিকে যাই। বেলা হয়ে যাচ্ছে। ওখান অনেকে স্লোগান দিচ্ছিলো, ওদের কয়েকজনকে ধরে বেঁধে নিয়ে যাই-

– চলবে————–

জাহিদ অনিক
২১-৮-২০১৮

বঙ্গ মায়ের কোল

সৌন্দর্য পিপাসু মন আমাকে ঘুরিয়েছে দেশে দেশে
উঁচু উঁচু অট্টালিকা, যা গগন ছুঁয়েছে
হিমালয়ের চূড়াকে দেখেছি আকাশ ছুঁতে।
তুষার শুভ্র পাহাড়ের গায়ে খেলা করেছে গিরি নন্দিনী
তার মাঝেও যেন লুকিয়ে রয়েছে কোন এক ছলনাময়ী।
জল কেলিতে ছুটেছি সাগর পানে, উপ থেকে মহাসাগরে
দেখেছি হেথায় করুণ সুরে গাইছে এক বেহুলা বিষাদের তরে।
নর্তকির তালে তালে নেচেছি পাইনি কোন তান
তার দেশের দামী মাদক সেবন করেছি হইনি অবচেতন।
অপূর্ণতা নিয়ে অবশেষে ফিরেছি মায়ের কোলে
নেই তাদের মত গগন চুম্বী অট্টালিকা, বয়ে যায়নি মহাসাগর তোমার বুকে
খেলা করেনা কোন ছলাময়ি এক মিথ্যে আশ্বাসে।
তোমার যা আছে নেই কোন কপটতা তাতে
দুগ্ধ সম জল নিয়ে সরু নদী বহে তোমার বুকে
নিবিড় অরণ্য হাত ছানি দেয় অবসাদ গুছাবার তরে।
আকাশ ভেঙে নেমে আসে জল, নদী নালা টই টম্বুর
পাল তলে মাঝি নামে আনন্দে বিহ্বল ছুটে চলে বহুদূর
সবুজ ক্ষেতের মাঝে কিষাণির গান হৃদয় ছুয়ে যায়
নদীর ধারে ধারে ফুটে রয় কাশফুল শুভ্রতার ছোঁয়ায়।
মধু মাসে আম পাকে রসনা বিলাসে
শীতের আমেজে ঘুম আসে সকল অবসাদ ভুলে।

মা, তোমার মতো পাইনি কোন এক মমতাময়ী
যার কোলে মাথা রেখে টানতে পারি জীবনের ইতি।

সবুজের হলুদ ব্যাধি

কোন দগ্ধ রেখাই ছিলোনা কখনো আমার শরীরে
তোমার দগ্ধ মনের সাথে তাল মেলাতে সবার অগোচরে–
একদিন ঝাঁপ দিয়ে ছিলুম তপ্ত সাগরে
দিনে দিনে খসে পড়েছে সকল মাংস পেশি
এ ইতিহাস কেউ না জানলেও জানে শশি।

উদাস হতে মুদিরার গ্লাসে ঠোঁট মিলিয়েছি অহর্নিশ
পড়া–লেখা ছেড়ে জারুল তলায় বসিয়েছি সমাবেশ
কেউ ছিলোনা ওপাড়ায় আমায় সজাগ করে দিতে
যেমন খুশি তেমন চলেছি শুধু তোমার সাথে তাল মেলাতে!

সময়েরা গত হল তোমার ক্ষত গেলো সেরে
আমার আর ফেরা হলনা সুন্দর সংসারে
আমার উদাসি ভবঘুরে মন যেমন ছিল তেমনই আছে
যা হারিয়েছিনু তা ফিরে পাবার সুযোগ কে আবার দিবে?

তোমার অভিনয় ছিলোনা; অভিনয়তো করেছি আমি
যা করেছি তাতো ছিল সবুজের মাঝে হলুদ ব্যাধি।

স্বপ্ন

আমি নই নৈরাশ্যবাদী
আঁকতে চাইনা হতাশার ছবি
স্বপ্ন দেখি ধ্রুব তারা হতে
সকল অচেনা মানুষ চিনে নিতে।
ভাবিনা কোন দিন অরণ্যে হবো লীন
বুকে আছে স্বপ্ন সীমাহীন।
প্রিয়তমার বাহুডোরে
হারাবোনা চিরতরে
রইবো এই জগৎ মাঝারে।
সৃজিবো সুখের নীড়
জনতা তথায় করিবে ভিড়
কল্পনার রঙ মাখিতে হবো অনড়।
সময়ের স্রোতে —
আসিনি গা ভাসাতে
তাকিয়ে আছি সন্মুখপানেতে।
বুনেছি স্বপ্নের জাল
অনাচারিদের ঘনিয়ে এসেছে বিকাল।
স্বাধীন দেশের রক্ত পতাকা
অবমাননা করার আছে কার ক্ষমতা!

উড়িবে বিজয় নিশান
হবে সকল ভণ্ডামির অবসান।

নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট-Gyro Compass

SIM RGS 50

Gyro Compass


Magnetic Compass


আধুনিক সরঞ্জাম সজ্জিত একটি জাহাজের ব্রিজ (যেখান থেকে জাহাজ নিয়ন্ত্রণ/পরিচালন করা হয়)।

জাইরো কম্পাস একটি অ-চুম্বকীয় কম্পাস যেখানে পৃথিবীর সঠিক উত্তর (True North) প্রদর্শনের জন্য ক্রমাগত বিদ্যুৎ চালিত জাইরোস্কোপ দ্বারা পরিচালিত হয় যার অক্ষটি ঘূর্ণন এর সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর অক্ষের সমান্তরাল থাকে এবং পৃথিবীর দিকটি (pole) স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুঁজে পেতে সহায়তা করে যা চৌম্বকীয় “উত্তর দিক” প্রদর্শনের চেয়ে অধিক নির্ভরযোগ্য এবং এতে নানা কারণে উদ্ভূত পৃথিবীর কোন বিশৃঙ্খলা বা প্রভাব পড়েনা।

এই জাইরো কম্পাস ( সাগর ও আকাশে) জাহাজ নেভিগেশন করার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, জাইরোকম্পাস লৌহ নির্মিত জাহাজের চৌম্বক শক্তি/ক্ষেত্র এর উপরে কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনা বলে এটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। এগুলি আকাশ ও নৌ পথের জন্য বিশেষ উপযোগী। তবে জাইরো কম্পাস যতই থাক না কেন এর সঙ্গে একটি magnetic compass অবশ্যই থাকতে হবে কারন ম্যাগনেটিক কম্পাস কখনওই অক্ষমতা প্রকাশ করবেনা।

আজ এই পর্যন্তই, আগামীতে হয়তো দেখা হবে কোন কাক ডাকা ভোরে গরম চায়ের ঘ্রাণে (অবশ্য যদি কেও নিমন্ত্রণ করেন)।

3 - NA

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ০৩

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই সেই দেশের জাতীয় পশু, জাতীয় মাছ, জাতীয় পাখি ইত্যাদি প্রাণী নির্বাচন করা আছে।
আমাদের বাংলাদেশে যেমন আছে-
জাতীয় পশু – রয়েল ব্যাঙ্গল টাইগার।
জাতীয় মাছ – ইলিশ।
জাতীয় পাখি – দোয়েল।
জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী – শুশুক।

এই চারটি আলাদা-আলাদা ক্যাটাগরির জীবকে একসাথে বুঝানোর জন্য আমরা বলছি “জাতীয় প্রাণীসমূহ”

প্রতিটি পর্বে ১০টি দেশের প্রাণীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো, সেই ধারাবাহিকতায় আজ আরো ১০টি দেশের প্রাণীদের হাজির করেছি। আসুন পরিচিতো হই তাদের সাথে।

২১। কানাডা

বীভার (Beaver)

কানাডীয় ঘোড়া (Canadian Horse)

২২। চিলি

Andean Condor (বড় আকারের শকুন)

Huemul

২৩। চীন

চীনা ড্রাগন (Chinese Dragon) (কাল্পনিক)

লাল-মুকুট সারস (Red-crowned Crane)

Golden Pheasant (এটা ওদের বেসরকারি জাতীয় পাখি)

পান্ডা (Giant Panda)

২৪। কলম্বিয়া

Condor (বড় আকারের শকুন)

২৫। কোস্টা রিকা

Clay-colored Thrush (এক ধরনের গায়ক পাখি)

সাদা লেজ হরিণ (White-tailed Deer)

২৬। কঙ্গো

ওকাপি (Okapi) (অনেকটা জিরাফের মত প্রাণী)

২৭। Croatia

ড্যালমাশিয়ান কুকুর (Dalmatian)

২৮। কিউবা

কুমির (Cuban Crocodile)

২৯। সাইপ্রাস

Cypriot Mouflon (বাংলা নাম জানা নাই)

৩০। ডেনমার্ক

মূক রাজহাস (Mute Swan)

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত

নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট-AUTO PILOT




অটোপাইলট জাহাজের (আকাশ বা জলপথের) জাহাজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের একটি অবিচ্ছেদ্য উপাদান। আধুনিক অটোপাইলটগুলি জাহাজের নিয়ন্ত্রণে কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহার করে। সফ্টওয়্যারটি জাহাজের বর্তমান অবস্থান (অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ) পড়ে, এবং তারপর জাহাজকে তার দিক নির্দেশ করে তার পরিচালন কন্ট্রোল সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করে।

অটোপাইলট জাহাজের স্টিয়ারিং কন্ট্রোল সিস্টেম যা জাহাজের ডিউটি অফিসারকে ক্রমাগত স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই জাহাজের দিক বা কম্পাস কোর্স অনুযায়ী চলার ব্যবস্থা নেয়। স্টিয়ারিং কন্ট্রোল সিস্টেমে সংকেত প্রেরণ করে একটি অটো সিস্টেম কাজ করে।

ডিউটি অফিসার তার চলা পথের দিক নির্দেশনাগুলি ইনপুট/কমান্ড নির্দেশ করে দেয় অর্থাৎ যে মোড তারা চান, এবং সেই অনুযায়ী হেডিং করে এই অটোপাইলট স্ব্যংক্রিয় ভাবে জাহাজের দিক পরিচালন করে। তবে এই ব্যবস্থা কেবল মাত্র গভীর সমুদ্রে বা আকাশের জন্য নিরাপদ। হারবার বা বন্দরে ভেড়া বা প্লেন ওঠা বা নামার সময় ব্যবহার করা হয়না।
আগামীতে কি নিয়ে লিখব বলে দিবেন নইলে………………………………………

কালা আন্ধা হয়ে মরীচিকার পিছু নেয়া

ভারতীয়দের গোমূত্র পান নিয়ে আমাদের মাথাব্যথার অন্ত নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে আমরা খুবই সরব। অনেকে ছবি অথবা ভিডিও আপলোড করে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করে বুঝাতে চাইছেন প্রতিবেশী দেশের হিন্দুদের চাইতে আমরা কতটা উত্তম! ভার্চুয়াল দুনিয়ার স্বাধীনতায় আপনাকে স্বাগতম। উপভোগ করুন যতদিন পারেন। এ সুযোগ অনন্তকাল খোলা থাকবে এমনটা ভাবার কারণ নেই। ভারতীয় হিন্দুরা গো-মূত্র পান করে, তাতে আমার আপনার মাথা ব্যথার কারণ কি? গরুকে ওরা দেবতা মানে, তাই গরুর সবকিছুই তাদের কাছে পবিত্র ও পূজনীয়। ভারত সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের দেশ। সে দেশের সামাজিক মূল্যবোধের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে ধর্মীয় প্রভাব। প্রায় সব ধর্মের আদলে হিন্দু ধর্মেও আছে উগ্রতা। এর বহিঃপ্রকাশ গরুকে ঘিরে দেখা গেলে খুব কি অবাক হওয়ার থাকবে? পাশাপাশি আমরা যারা নিজেদের শ্রেষ্ঠ ধর্মের অনুসারী হিসাবে দাবি করি তারা কি মেনে নেব বাংলাদেশের অলিগলিতে শুকর নিধন ও এর বাজারজাতকরণ? এমনটা হলে নাঙ্গা তলোয়ার হাতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে পৈচাশিক উল্লাসে গনহত্যায় মেতে উঠতে দ্বিধা করবেনা। পার্থক্যটা এখানে কোথায়, ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বে? আমি শ্রেষ্ঠ আর বাকিরা নিকৃষ্ট, এ কোন শিক্ষা হতে পারেনা। এ স্রেফ শিক্ষার বাই-প্রোডাক্ট। এবার আসুন লেখার সাথে সেটে দেয়া ছবিটার দিকে।

একদল ধর্মভীরু গ্রামবাসী মোনাজাতের মাধ্যমে পরিত্রাণ চাইছে নদী ভাঙ্গনের ধ্বংসাত্মক বিপর্যয় হতে। আমি আপনি ভাল করেই জানি কোন মোনাজাতই এ ভাঙ্গন থামাবে না। কোন এক সুন্দর সকালে নদী কেড়ে নেবে আপনার এতদিনের সাজানো সংসার। এ বছর না নিলেও সামনের বছর তা ফিরে আসতে পারে। এ অভিশাপ কি আসলেই উপরওয়ালার অভিশাপ? যারা সারা জীবন ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর আস্থা রেখে সৎ জীবন যাপনে সচেষ্ট ছিল তাদের উপর কেন এ শাস্তি? এখানেই আসে অন্য এক ভারতের ভূমিকা। সমস্যার গোঁড়া কোথায় তা জানতে আমার হাটতে হবে নদীর গতিপথে। রিভার্স মুডে ফিরে যেতে হবে নদীর উৎসস্থলে। এ যাত্রায় আমাদের গন্তব্য হবে গো-মূত্র পানের দেশ ভারত। কারণ আমাদের প্রায় সবগুলো নদীর জন্ম ভারতে। ওরা উজানে আর আমরা ভাটিতে। বর্ষায় প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে নদীগুলো ফুলে ফেঁপে বেপরোয়া হয়ে উঠে। সর্বগ্রাসী আগ্রাসনে তলিয়ে দেয় জনপদ। প্রতিবেশী ভারত তার নিজের সীমানা নিরাপদ করার জন্যে নদী আটকে দেয়। বাধ তৈরি করে। অতিবৃষ্টিতে ওরা বাধ খুলে দেয়। অনেকটা বর্জ্য পদার্থের মত পানিকে ছুড়ে ফেলে আমাদের দিকে। আমরা তলিয়ে যাই। আমাদের নদীগুলো দ্বিগুণ তিনগুণ হয়ে খেয়ে ফেলে হাট-মাঠ-ঘাট, বাজার-বন্দর, স্কুল-কলেজ আর মসজিদ-মাদ্রাসা। আবার শুকনা ও অনাবৃষ্টির দিনে ওরা আটকে রাখে নদীর প্রবাহ। আমাদের নদীগুলো শুকিয়ে চৌচির হয়ে যায়। থেমে যায় নদী-পারের মানুষের জীবন। আমরা আবারও মোনাজাতে বসি সৃষ্টিকর্তার আনুকূল্য লাভের আশায়। সময় বয়ে যায়। আনুকূল্য আসেনা। আমরা নীরবে নিঃশব্দে এসব মেনে নেই অভিশাপ হিসাবে। কোন বিচারেই এসব অভিশাপ নয়, বরং মনুষ্য সৃষ্টি অপকর্ম। আর এর মূল হোতা আমাদের প্রতিবেশী ভারত। ভারত তার সীমানার ওপারে নদী নিয়ে ঝামেলা এড়ানোর জন্যেই রাজনীতিতে নাক গলায়। ক্ষমতায় বসায় নিজেদের সেবাদাস। আর আমি আপনি যারা এসব সেবাদাসদের ভোট দিয়ে বৈধতা দেই এক অর্থে বৈধতা দেই নদী ভাঙ্গনের।

প্রতিবেশিদের গো-মূত্র পান আমাদের সমস্যা নয়। আমাদের সমস্যা নদী, সমস্যা অন্যের রাজনীতিতে নাক গলানো, সমস্যা অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে সেবাদাসদের ক্ষমতায় বসানো। সমস্যা কালা আন্ধা হয়ে মরীচিকার পিছু নেয়া।

এলেবেলে – ৩২

পৃথিবী থেকে প্রেমের কবিতা কি উঠে গেল সব ?
পুর্ণেন্দু পত্রী’র কবিতার লাইন।
অনেক দিন বাংলা সিনেমা দেখা হয় না। সময় পেলেও দেখি না। কারণ ১০ মিনিট দেখার পর বোঝা যায় শেষ পরিণতি কি। দুপুরে একটা ছবি দেখা শুরু করলাম। রোমান হরফে লেখা বাংলার মানেই বুঝতেই পারিনি … সেখানেই কৌতূহল হলো। নামটা ছিলো tammar boyfriend.

দেখে ভাবছিলাম এটি আসলে কি হবে “তোমার বয়ফ্রেন্ড” না “তামার বয় ফ্রেন্ড”। শুরুর ৫ মিনিট পর বুঝলাম ছবিটির নাম “ঠাম্মারবয়ফ্রেন্ড”।

কাহিনী শুরু হলো বুড়ো ঠাম্মা বিয়ে করবেন এক ২৪ বছরের যুবককে …

১০ মিনিট পার হলো ঠাম্মার বিয়ের খবর শুনে শহর থেকে এসেছেন ছেলে এবং মেয়ে বউ এবং জামাই সহ সাথে একজনের ঘরে সদ্য এম এ পাস করা নাতনী…। কাহিনী শেষ আর কষ্ট করে ২ ঘন্টা সিনেমা দেখার দরকার নাই। এবার শেষের ৫ মিনিটে কি হবে আপনি চোখ বন্ধ করেই বলে দিতে পারবেন। এই হচ্ছে বাংলা সিনেমা। নাটকও তাই।

পুর্ণেন্দু পত্রী’র কবিতার লাইন দিয়ে লেখাটা শুরু করেছিলাম, কবি বেঁচে থাকলে হয়তো লিখতেন …।
“প্রেম আর পরকীয়া ছাড়া আর কি আর কিছু নেই”।

আমার তিন মামার এক মামা ছিলেন “অঞ্জু ঘোষ” এর ফ্যান। আমাদের সেই ছেলেবেলায় যখন রাজ্জাক শাবানা সুপার হিট তখন এফ, কবীর চৌধুরী পরিচালিত ‘সওদাগর’ ছবির মাধ্যমে চলচিত্র জগতে আলোড়ন তুলেছিলেন “অঞ্জু ঘোষ”। অঞ্জু ঘোষ এর ফ্যান বলেই মামাকে আমরা খুব খেপাতাম। মামা বলতেন “তোদের শাবানা তো নাচতেও জানে না।”

মামার কথাটা আসলেই ঠিক অঞ্জু ঘোষ যে ভালো নাচতে পারতেন তাঁর প্রমাণ মিলে অঞ্জু ঘোষের সর্বাধিক জনপ্রিয় ছবি “বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না” তে। উল্লেখ্য নায়ক রাজের সাথে ও একতা ছবিতে উনাকে দেখেছিলাম ছবিটির নাম “বড় ভালো লোক ছিলো”।

নাচতে জানা এবং নাচাতে জানা দুটোই আর্ট !

নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট-VHF


নতুন প্রজন্মের VHF


সাবেক আমলের VHF

VHF (Very high frequency) জাহাজ -জাহাজ- বন্দর ইত্যাদির সাথে কথা বলে যোগাযোগ করার এই যন্ত্র অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর সীমা ৫ মাইল থেকে ১০০ মাইল পর্যন্তো হয়ে থাকে। calling channel হলো 16 অর্থাৎ এই ১৬ নম্বর চেনেল শুধু মাত্র কাওকে ডাকার জন্য, সে সাড়া দিলে তাকে ভিন্ন কোন চেনেলে গিয়ে কথা বলতে হয় মানে চ্যানেল ১৬ কখনওই ব্যস্ত রাখা যাবে না। এটা শুধু মাত্র ডাকার জন্য ব্যবহার হবে। সাধারনত এই যন্ত্রে duel watch ব্যবহার করার ব্যবস্থা রয়েছে যেমন আপনি ২১ নম্বর চেনেলে কথা বলছেন আবার এই সময়ে্র মধ্যে আপনার চ্যানেল ১৬ ও কাজ করবে অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে যদি কেও আপনাকে ডাকে তাহলে আপনি শুনতে পাবেন এবং কথা থামিয়ে নতুন যে ডাকছে তার ডাকে সাড়া দিতে পারবেন।
অনেক কিছু নিয়েই সংক্ষিপ্ত প্যাচাল পারলাম একয়দিন এর বেশি আরও কিছু জানতে আগ্রহি হলে দয়া করে জানাবেন। কিছুদিন বিশ্রাম (কাজের দিকে মন দিয়ে) আবার হ্যতো ফিরে আসব আশা করছি। ধন্যবাদ!

সাগরে চলাচলকারী জাহাজ


আধুনিক কন্টেইনারবাহী জাহাজ


সাগরের রূপ

প্যেসাঞ্জার জাহাজের একটি ডেক এর অংশ


ODC (over dimension cargo) বা অতিরিক্ত ওজনবাহী submergible জাহাজ


আধুনিক equipment সজ্জিত জাহাজের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বা navigation bridge


জাহাজের saloon বা dinning room


যাত্রীবাহী এবং cargo বা tanker জাহাজের galley বা রান্নাঘর

বিঃদ্রঃ প্রতিটি ছবিতে ডবল click করলে ছবিগুলি বড় মাপে দেখা যাবে।
ছবিঃ internet থেকে নেয়া, আসলে আমার এমন কোন জাহাজ নেইতো তাই গুগল মিয়াভাইয়ের সাহায্য নিয়েছি, অন্যায় করেছি কি?