বিভাগের আর্কাইভঃ অন্যান্য

2 - NA

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ০২

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই সেই দেশের জাতীয় পশু, জাতীয় মাছ, জাতীয় পাখি ইত্যাদি প্রাণী নির্বাচন করা আছে।
আমাদের বাংলাদেশে যেমন আছে-
জাতীয় পশু – রয়েল ব্যাঙ্গল টাইগার।
জাতীয় মাছ – ইলিশ।
জাতীয় পাখি – দোয়েল।
জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী – শুশুক।

এই চারটি আলাদা-আলাদা ক্যাটাগরির জীবকে একসাথে বুঝানোর জন্য আমরা বলছি “জাতীয় প্রাণীসমূহ”

প্রতিটি পর্বে ১০টি দেশের প্রাণীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো, সেই ধারাবাহিকতায় আজ আরো ১০টি দেশের প্রাণীদের হাজির করেছি। আসুন পরিচিতো হই তাদের সাথে।

১১। বেলারুশ

Wisent (বাংলা নাম জানা নেই)

সাদা সারস (White Stork)

==========================================

১২। বেলজিয়াম

সিংহ (Lion)

==========================================

১৩। বারমুডা

Humpback Whale (বাংলা নাম জানা নেই)

==========================================

১৪। বেলিজ
তাপির (Baird’s Tapir)

==========================================

১৫। ভুটান

Druk (কালপনিক)

Takin (বাংলা নাম জানা নেই)

==========================================

১৬। বলিভিয়া

Alpaca (বাংলা নাম জানা নেই)

Andean Condor (বাংলা নাম জানা নেই)

==========================================

১৭। বতসোয়ানা

জেবরা (Zebra)

==========================================

১৮। ব্রাজিল

Macaw (বাংলা নাম জানা নেই)

জাগুয়ার (Jaguar)

Rufous-bellied Thrush (বাংলা নাম জানা নেই)

==========================================

১৯। বুলগেরিয়া

সিংহ (Lion)

==========================================
২০। Cambodia

Kouprey (বাংলা নাম জানা নেই)

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত

নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট-Chart Plotter


Electronic Chart Plotter


Chart of Approaching to Mongla Port


Manual Chart work (Table) in a vessel

এই chart plotter দিয়ে সাগরে চলাকালিন আপনি যে এলাকায় চলছেন সেই এলাকা চিনিয়ে দিলে সে নিজেই মাপ-জোক করে আপনার নিখুত অবস্থান দেখিয়ে দিতে পারে এবং আপনার চলা পথ দেখিয়ে দিবে অর্থা আপনি যে পথ পেরিয়ে এসেছেন সেই পথ। অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ/ বিগত এক ঘন্টায় কতটা দুরত্ব অতিক্রম করলেন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্য আপনাকে জানিয়ে দিবে। পরে এই তথ্য দেখে বা আপনার চার্ট টেবিলে রাখা চার্টের সাথে মিলিয়ে দেখে নিবেন ইনি সত্যি বলছে নাকি বেঠিক বলছে।
এগুলি অতিশয় শিক্ষিত যন্ত্র তাই না? তাই বলে এরা যতই শিক্ষিত হোকনা কেন আপনাকে কিতু সাথে সাথে কাগজে বা চার্টে সমান তালে কাজ করে যেতে হবে।
ধন্যবাদ!
এর পরে আসছে VHF.

ধিক আপনাকে!

আপনি ক্ষমতার রাজনীতি করেন, খুবই প্রশংসনীয় কাজ। ধরে নেব আপনি সমাজ সংসার তথা ধরণী নিয়ে খুবই সচেতন একজন মানুষ। তা না হলে রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কেন! এই আপনি যখন জীবিকার সন্ধানে বটতলার মোড় হতে বাসে চেপে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন, লাশ হয়ে যে বাড়ি ফিরবেন না তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে? যদি হায়াত মউত আল্লাহর হাতে এই বিশ্বাসে নিজের বাচা-মরা সপে দিয়ে পথ চলতে শুরু করেন তাহলে এখানেই থামতে পারেন। আমার এ লেখা পড়া আপনার জন্য জরুরি নয়। পথ চলুন এবং মৃত্যুর জন্য নিজকে প্রস্তুত রাখুন। আর আমার মত আপনি যদি বিশ্বাস করেন জীবন-মৃত্যু কোন দৈব ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত পথচলার শুরু ও শেষ। তাতে সৃষ্টিকর্তার যেমন হাত রয়েছে তেমনি রয়েছে মনুষ্য ফ্যাক্টর। এবং এই জাগতিক ফ্যক্টরগুলোকে ড্রাইভ করার জন্যই সভ্যতার ধাপে ধাপে মানুষকে এগিয়ে আসতে হয়েছে বিভিন্ন সমাধান নিয়ে। রাজনৈতিক ক্ষমতা সে সমাধানেরই অংশ। আপনি বাসে বসে আছেন। মাধবদী পেরিয়ে পুরিন্দার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। বাসের ড্রাইভিং সীটে বসে আছেন চৌদ্দ বছর বয়সী এক তরুণ। তার লাইসেন্স নেই। অভিজ্ঞতা নেই। নেই সামাজিক তথা বিচারিক দায়বদ্ধতা। তার মাথায় একটাই দায়িত্ব; দিনশেষে মালিককে সন্তুষ্ট করে ঘরে নগদ কিছু নিয়ে যাওয়া। কারণ ঘরে মা-বাবা, ভাই-বোন সহ অনেকে এই নগদের উপর নির্ভরশীল। এবার ঘাড় ঘুরিয়ে বাসের সামনে, পেছনে, ডানে অথবা বামে তাকান। আপনার বাসের মত আরও অনেক বাস একই কায়দায় ঢাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পথে পথে যাত্রীরা অপেক্ষা করছে যানবাহনের। যে বাস আগে যাবে তার ভাগ্যেই জুটবে এসব যাত্রী। এবার শক্ত করে সামনের সীটের হাতলটা ধরুন। কারণ মৃত্যুর ফেরেশতা আজরাইল আপনার ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছে। পুরিন্দা আর পাচরুখীর মাঝামাঝি কোথাও আপনার বাস হলিউড মুভি ‘মিশন ইম্পসিবল’ কায়দায় দশটা পলটি দিয়ে ছিটকে পরল রাস্তা হতে। সাথে থেঁতলে গেল আপনার মগজ। আপনি এখন মৃত। মুখ দিয়ে লালা বেরুচ্ছে। একদল বুনো মাছি আপনার লাশকে ঘিরে নৃত্য শুরু করে দিয়েছে। অথচ আপনার তো এভাবে মরার কথা ছিলনা। আপনি তো ক্ষমতার রাজনীতি করেন। আপনার দাপটে থানার ওসি পর্যন্ত কেঁপে উঠে। অন্দরমহল হতে গৃহবধূকে উঠিয়ে আনতে আপনার অসুবিধা হয়না। এমন অসহায়ভাবে আপনাকে মরতে হবে এমনতো কথা ছিলনা! একজন চৌদ্দ বছর বয়সী বাচ্চা আপনাকে হত্যা করবে এমনটা কি স্বপ্নেও কল্পনা করে ছিলেন? মোটেও না। আর যদি এ যাত্রায় আপনি আজরাইলকে পরাস্ত করে বাস হতে আস্ত শরীরে বেরিয়ে আসতে পারেন তাহলে চলুন রাস্তার পাশে একটু বসি এবং কথা বলি।

যে চৌদ্দ বছর বয়সী বাচ্চা ড্রাইভিং সীটে বসে আপনাকে খুন করতে চেয়েছিল তাতে নিশ্চয় বিএনপি-জামাতের উস্কানি ছিলনা। ঐ ড্রাইভার আপনার দলের মন্ত্রী জনাব শাহজাহান খানের পোষ্য। প্রতিদিন নিজের জীবন তথা বাকি যাত্রীদের জীবন বাজি রেখে যা আয় করে তার একটা অংশ চলে যায় ঐ মন্ত্রীর পকেটে। যে জরাজীর্ণ রাস্তার কারণে বাসটা ছিটকে পরল সে রাস্তা মেরামতের কথা যোগাযোগ মন্ত্রী জনাব আব্দুল কাদেরের। তেনার এসব দেখার সময় নেই। তিনি সাজগোজ করে গায়ে আতর মেখে বিএনপি বিষয়ক ছবক নিয়ে সময় কাটান। লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর অপরাধে জন্য ড্রাইভারকে বিচারের মুখোমুখি করলে সেখানে মধু খাওয়ার মত জমা হবে আপনার দলের দাদারা, আসবে থানার পুলিশ, হাত পাতবে আদালতের বিচারক সহ আরও অনেকে। এবার ভাবতে চেষ্টা করুন যাদের সন্তান, মা-বাবা, ভাই-বোন এই ড্রাইভারের কারণে নিহত হল তারা রাস্তায় নামছে…প্রতিবাদ করছে…দাবি জানাচ্ছে আইনি শাসনের…চাইছে স্বাভাবিক জন্ম-মৃত্যুর নিশ্চয়তা। খুব কি অন্যায় করছে? মান এবং হুশের সমন্বয়েই মানুষ, যতদিন এগুলো থাকবে মানুষ প্রতিবাদ করবেই। এবার আয়নায় নিজের চেহারা দেখুন। লাঠি হাতে আপনি তাড়া করছেন প্রতিবাদকারীদের…আপনি ক্ষমতার রাজনীতি করেন। এ রাজনীতিতে টিকে থাকতে চাইলে আপনাকে হাতে লাঠি নিতেই হবে। মানব সভ্যতার সব সংজ্ঞায় আপনি একজন নিকৃষ্ট মানব। আপনি সভ্য পৃথিবীর অসভ্য সৃষ্টি।

ধিক আপনাকে!

1 - NA

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ০১

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেরই জাতীয় পশু রয়েছে।
ধরুন আপনাকে যদি বলি বাংলাদেশের জাতীয় পশু কি?
আপনি বলবেন রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
১০০ তে ১০০ পেয়ে পাশ।

এবার যদি জানতে চাই, বাংলাদের জাতীয় প্রাণীগুলি কি কি?
পাখির নাম দোয়েল, মাছের নাম ইলিশ এই পযর্ন্ত বলে যদি থেমে যান তাহলে ফুল মার্ক পাবেন না।
এই তালিকাতে আরো একটি প্রাণী রয়েগেছে………

যাইহোক, এই সিরিজে আমি পৃথিবীর প্রায় সবগুলি দেশের জাতীয় প্রাণীগুলিকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। আজ প্রথম কিস্তিতে ১০টি দেশের প্রাণীদের হাজির করছি, বাকিগুলিও একে-একে এসে যাবে।

১। এ্যালবেনিয়া :

ঈগল (Eagle)

সিংহ (Lion)

ড্রাগন (Dragon)

=============================================

২। আলজেরিয়া :

Fennec Fox (বাংলা নাম জানা নেই)

=============================================

৩। আরমেনিয়া :

ঈগল (Eagle)

ড্রাগন (Dragon)

=============================================

৪। এন্টিগুয়া & বারবুডা:

নীল তিমি (Blue Whale)

=============================================

৫। এ্যানগোলা:

Magnificent Frigatebird (বাংলা নাম জানা নেই)

=============================================

৬। আর্জেনটিনা :

পুমা (Cougar)

Hornero (বাংলা নাম জানা নেই)

=============================================

৭। অস্ট্রেলিয়া

কেংঙ্গারু (Kangaroo)

ইমু (Emu)

কোয়ালা (Koala)

=============================================

৮। অস্ট্রিয়া

Black Eagle (বাংলা নাম জানা নেই)

=============================================

৯। বাহামা

Blue Marlin (বাংলা নাম জানা নেই)

Flamingo (বাংলা নাম জানা নেই)

=============================================

১০। বাংলাদেশ

রয়েল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)

দোয়েল (Oriental Magpie Rob)

শুশক নামে পরিচিত (Ganges River Dolphin)

ইলিশ (Hilsa)

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত

আমি আজকাল ভালো আছি

আমি আজকাল ভালো আছি,
তোকে ছাড়া রাতগুলো আলো – হয়ে আছে
আমি আজকাল ভাল আছি।

১)
পারদের ওঠা নামা আমাকে ভাবিয়ে তোলে না আর
ঝিনুকের রঙ চিনে নিতে শিখে গেছি আমি এবার।

শোন নতজানু হয়ে কেউ বসে নেই কোথাও
ফিরে গেছি সব কিছু ফেলে।
আর একশো বছর আমি বাঁচবই, পড়ে দেখ,
লেখা আছে স্পষ্ট দেওয়ালে।

২)
এক লাফে Signal পেরোতে পা আঁকড়ে ধরে না,
অজস্র কালবৈশাখী আর আছড়ে পড়ে না।

শোন অভ্যেস বলে কিছু হয় না এ পৃথিবীতে
পালটে ফেলাই বেঁচে থাকা।
আর একশো বছর আমি বাঁচবই, জেনে রাখ,
হোক না এ পথঘাট ফাঁকা।

কন্ঠঃ অনুপম রায়
কথাঃ অনুপম রায়
সুরঃ অনুপম রায়
অ্যালবামঃ দ্বিতীয় পুরুষ

তুমি আকাশ ছাড়িয়ে অন্য এক আকাশ

আমি আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখি,
স্বপ্ন দেখি পাহাড় ডিংগিয়ে,
আমি আকাশটাকে নামিয়ে আনি
আমার কাছাকাছি হাতের মুঠোয়,
আমার এই আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন,
তোমাকেও ছুঁতে চায় ভীষন এক অহমিকায়।

আমি আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে বিভোর
এক বদ্ধ পাগল,
তোমাকেও ভেবে নেই আকাশ,
কিম্বা কোন এক নক্ষত্র রাশি,
তোমাকেও ভেবে নেই যেকোন
এক পাওয়া না পাওয়া
জোতস্না বিলানো চাঁদ, অথবা
শরতের মেঘ ভাসা নীলাম্বরী আকাশ। জোতস্না বিলাতে বিলাতে যে
চাঁদ সংগ দেয় আমাকে,
যে মেঘ উড়ে চলে আমার পথ ধরে
দিক দিগন্তের সীমানা ছাড়িয়ে।

তুমি যে সেই চাঁদ, সেই মেঘ,
সেই নীল আকাশ ছাড়িয়ে আরো দূর
কোন গ্রহ বা গ্রহপঞ্জির অজানা আকাশ,
তুমি যে আমার কাছে এক
শুধুই দিবাস্বপ্ন,
ভুলে যাই, ভুলে যাই,
বার বার ভুলে যেয়ে আবার
তোমাতেই বাড়াই হাত,
তোমাতেই দেই ভালোবাসার নৈবদ্য।।

নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট-GPS


GPS

GPS (Global plotting system) নিয়ে বলার মত বিশেষ কিছু নেই কারন আজকাল আপনার পকেটে মোবাইল ফোনেই রয়েছে এই সুবিধা। সাগরে যে GPS ব্যবহার হয় তা প্রায় একই ধরনের তবে সাগরে জাহাজের গতি/দিক ইত্যাদিও দেখিয়ে দেয় এবং আপনি কোথা থেকে কোথায় যাবেন তা একে বলে দিলে সেই আপনাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে এবং ঝর-বাতাস বা ঢেউ এর জন্য আপনার দিক পরিবর্তন হয়ে গেলে সে আপনাকে জানিয়ে দিবে “তুমি দিক হারিয়ে ফেলেছ”।
কত সহজ আজকালের নেভিগেশন তাই না?
আগামীর বিষয়ঃ Chart Plotter, এতক্ষণ সঙ্গে থাকুন ভাল থাকুন।

কালাজ্বরের দাউ দাউ

কালাজ্বরের দাউ দাউ

এইখানে একটা জীবিত নরক আছে-
বুকের ঠিক মাঝখানে
যন্ত্রণার ইপিল গাছটা কো-অপারেট
হতে হতে বংশানুক্রমিক হচ্ছে
আমি বোধের রাঙচিতায় মুখস্থ্য করছি
এইসব ইপিল গাছ-

এভাবেই বহুকাল আমার বুকে
চাষা হচ্ছে বংশ পরম্পরার কালাজ্বরের দাউ দাউ
কালাজ্বরের দাউ দাউ
ভয়ানক কর্পোরেট – জ্বলতেই থাকে।

এইসব দৃশ্যাবলী দেখে কেউ কেউ আমার গলায়
ভড়িয়ে দিচ্ছে তাবিজের ঠোস
প্রকারান্তরে আমি গলায় ঝুলিয়ে রাখছি মরা মানুষের হাড়গুল্ম।
লেখাঃ ১৪/৬/১৭ইং

নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট-SART


SART-Transmitting component.

SART থেকে সংকেত স্যাটালাইতে চলে যাচ্ছে এবং সেখান থেকে ফিরে আসছে।

Radar এ সংকেত গ্রহন।

SART সংকেত প্রেরন ও গ্রহন প্রক্রিয়া।

SART সংকেত প্রেরন ও গ্রহন প্রক্রিয়া।

SART (Search and rescue transponder) একটি অনুসন্ধান এবং রেসকিউ ট্রান্সপন্ডার ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা জাহাজ কোন বিপদে পরলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিকটবর্তী কোন জাহাজ বা স্থল স্টেশনের রাডারের জন্য সংকেত প্রেরন করে এবং রাডার সেই সংকেত গ্রহন করে যে জাহাজ থেকে সংকেত প্রেরন করা হয়েছে তার অবস্থান নিশ্চিত করে সাহায্যের জন্য ছুটে যায়। SART ট্রান্সপন্ডার দুর্ঘটনায় কবলিত জাহাজ অনুসন্ধান বা জাহাজ থেকে নামানো liferaft এর অবস্থান খুজে পেতে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে প্রেরিত সংকেত সরাসরি স্যাটালাইটে চলে যায় এবং সেখান থেকে স্থল স্টেশনের রাডারে ধরা পরে।
IMO (International Maritime Organization) এর নির্দেশ মোতাবেক GRT (gross registered tonnage) 500 টন এর অধিক সমস্ত GMDSS জাহাযে কমপক্ষে একটি SART বহন করতে হবে।
আগামীতে GPS নিয়ে আলাপ হবে এতক্ষণ একটু বিশ্রাম নিয়ে নিন। ধন্যবাদ!

প্রান্তিক কাব্য

প্রান্তিক কাব্য

পেয়ে না পেয়ে অতুষ্ট মন
চলে না চলে পথ ভ্রষ্ট জীবন
একিই ভাবে ভেবে না ভেবে অনন্ত কাল বুনেছি স্বপন
কিছু রাত অমানিশার কিছু’বা পূর্ণিমা লগন-
ছিলো নীল গগন,কাশবন আর খরস্রোতা নদীর প্রবণ;
প্রবণে -প্লাবনে ভেসে যাওয়া কচুরীপনার মতন
গানে ও গমনে খুঁজেছি জীবন।

অক্ষিরাহে জমেছে মদিরা অশ্রু, প্রান্তিক কাব্য
বুকের কপাট খুলে কতকাল আর দাঁড়িয়ে থাকবো একা
আর কতকাল পর হবো মানুষের মতন সভ্য!
অন্তরীণ বিরহে বেজে চলেছে বিলাপের সুর- লহরী
দয়া করো প্রভু হে-
বিষ পোড়ন বুকের ভেতর একটি বার ফুটিয়ে দাও নির্মলা মাধুরী।

______________
দা উ দু ল ই স লা ম।

নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট-AIS


AIS Transmitting component


Transmitting and receiving system via satellite.


Transmitting and receiving system via satellite.

AIS (Automatic identification system) এমন একটি ইকুইপমেন্ট যা দিয়ে সমুদ্রে চলমান বা জেটিতে অবস্থিত যে কোন জাহাজের অবস্থান বা পজিশন/ গতি/দিক এবং জাহাজের সমস্ত বিবরন জানা যায়। জাহাজটি কোন বন্দর ছেড়ে এসেছে , কোন বন্দরে যাচ্ছে সে কত ডিগ্রি কোর্সে কত গতিতে চলছে সব কিছুই দেখা যায় এমনকি আপনি ঘরে বসে প্রশান্ত মহা সাগর দিয়ে আমেরিকা বা জাপানের পথে চলমান জাহাজের অবস্থা দেখতে পাবেন আপনার হাতের মোবাইল ফোনে।

জাহাজটি কোন বন্দর থেকে লোড নিয়ে ফেয়ারওয়ে বয়া অতিক্রম করে তার সকল বিবরন এবং সে কোন বন্দরে যাচ্ছে, সে আনুমানিক কবে পৌঁছাবে সেই সব তথ্য দিয়ে দিলে তা সরাসরি স্যাটালাইটের মাধ্যমে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয়। Marine tracker বা এমন আরও অনেক app আছে যা আপনার মোবাইলে ইনস্টল করে জাহাজের অবস্থান ছবি সহ দেখতে পারেন। আশে পাশের সকল জাহাজ বা স্থল স্টেশন থেকেও জাহাজের IMO নাম্বার বা নাম দিয়ে সার্চ করলেই পাবেন।
আজ এই পর্যন্তই, আগামীতে কী নিয়ে বলব?

আপনি বাবা হওয়ার যোগ্য নন!

ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও সাথে পুলিশ বাহিনী দিয়ে স্বঘোষিত আওয়ামী সরকার হামলা চালাবে এটা অপ্রত্যাশিত ছিলনা। না হলেই বরং অবাক হতাম। বাংলাদেশের অতীত সরকারগুলোও এপথে হেটে গেছে। ৪/৫ দিন ধরে ফেরারি হওয়া ছুপা আওয়ামী ক্যাডাররা ফিরে আসছে ফেইসবুকে। কেউ প্রতিপক্ষ দলের আমির খসরুর ফোনালাপ, কেউ আওয়ামী অফিসে হামলার ‘করুণ’ কাহিনী নিয়ে ভার্চুয়াল দুনিয়া পুণঃ দখলের চেষ্টায় আছে। আওয়ামী লীগ সবই ফিরে পাবে। রাস্তার দখল নিতেও অসুবিধা হবেনা। তবে ক্ষতি যা হবার তা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। যে প্রজন্মের মগজে চেতনার বীজ ঢুকিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে সক্ষম হয়েছিল তা ঢিলে হয়ে গেছে। এর ফল কেবল রাজপথেই নয়, ব্যালট বাক্সেও প্রতিফলিত হতে বাধ্য। স্বভাবতই শেখ হাসিনা তার বে-আইনি ক্ষমতা ধরে রাখতে ভোটকেন্দ্রে জালিয়াতির মাত্রা দ্বিগুণ তিনগুণ করতে বাধ্য হবেন। তাৎক্ষনিক না হলেও এ ধরনের জালিয়াতির সুদূরপ্রসারী ইমপ্যাক্ট আছে, যা প্রতীয়মান হতে হয়ত একটু সময় লাগবে।

ভার্চুয়াল দুনিয়ার ছুপা আওয়ামী সমর্থকদের জন্যে শুভকামনা রইল। তবে একটা উপদেশ না দিলেই নয়। নিজেদের সন্তানদের যখন স্কুল-কলেজে পাঠাবেন তাদের গলায় একটা সাইন ঝুলিয়ে দেবেন…”আমার বাবা আওয়ামী লীগার”। কে জানে হয়ত নাবালক, অপরিপক্ব, মাতাল, উন্মাদ ড্রাইভারের দল যখন শিক্ষার্থীদের উপর বাস, ট্রাক তুলে দেবে আপনার সন্তানকে সাইনবোর্ডের কারণে রেহাই দেবে। আর যদি আপনার সন্তান চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে আলুভর্তা হয়ে যায়, সেদিন কিন্তু দুঃখ করতে পারবেন না। বরং হাসিমুখে বরণ করে নেবেন সন্তানের ভাগ্য। সেদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজকে প্রশ্ন করে দেখবেন আজকের শিশু-কিশোর তরুণ-তরুণীরা রাস্তায় বের হয়ে আপনার জন্য কি করতে চেয়েছিল। দলীয় সমর্থন যদি সন্তানের মৃত্যু চাইতেও জরুরি হয় তাহলে একটাই উপসংহার টানা যায় আপনাকে নিয়ে; আপনি বাবা হওয়ার যোগ্য নন!

নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট-SAT-C


SAT-C

SAT-C বা স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন হল একটি মোবাইল ফোন স্টেশন (MES) এবং ল্যান্ড আর্থ স্টেশন (LES) এর মধ্যে কাজ করে এমন টেলিযোগাযোগ কোম্পানী Inmarsat দ্বারা পরিচালিত একটি দ্বিপথ, প্যাকেট ডেটা সার্ভিস। এটি দিয়ে voice বা mail, image ইত্যাদি গভীর সমুদ্রে চলমান জাহাজ-অফিস-জাহাজে – ট্রান্সফার করা যায় তবে আমাদের নিকটবর্তি স্টেশন সিঙ্গাপুরে অবস্থিত স্টেশন এই ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন করে এবং এদেরকে প্রতি বছর একটা নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন এতে কম্পিউটারের মত কী-বোর্ড এবং প্রিন্টার রয়েছে।
মাধ্যম? অবশ্যই স্যাটেলাইট! এর এন্টিনা ব্রিজের ভিতরে বা বাইরে যে কোন স্থানেই স্থাপন করা যায়।
জানুয়ারী 1991-এ প্রাক-পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে এটি সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী হয়ে ওঠে।

আগামীতে নিয়ে আসব GPS, এতক্ষণে আপনারা একটু চা-বিস্কুট বা ইলিশ পোলাও খেয়ে আসতে পারেন।

নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট-RADAR


RADAR

Radar Screen

Radar Antenna
RADAR একটি সনাক্তকরণ ব্যবস্থা যা রেঞ্জ, কোণ বা বস্তুর বেগ নির্ধারণ করতে রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে। এটি বিমান, জাহাজ, মহাকাশযান, ইত্যাদির চারপাশে যা যা রয়েছে তা দেখাতে বা সনাক্ত করতে ব্যবহার করা হয়। উপরে দেখছে চলমান একটি radar, মাঝে দেখছে radar এর মনিটরে যা দেখাচ্ছে এবং দেখছেন radar এর antenna যা ব্রিজের উপরে মাস্তুলের সঙ্গে লাগান থাকে। র‍্যডার বিভিন্ন রেঞ্জ এর হয়ে থাকে ১০- ১০০ মাইল বা তার চেয়ে বেশী বা কমও হতে পারে। নির্ভর করে আপনার জাহাজ কত বড় এবং কোন পথে যাতায়াত করে। এটি একটি নির্ভরযোগ্য এবং অতি প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট। বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন মাপের র‍্যাডার আছে। সামুদ্রিক জাহাজ, উড়োজাহাজ, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বা স্থল ঘাটি যে কোন স্থানেই এর ব্যবহার বিস্তৃত। এটি ব্যবহারে স্যাটালাইটের সাহায্য প্রয়োজন হয়না সে নিজেই একটি ফ্রিকুয়েন্সি তৈরী করে। এর ট্রান্সমিটিং ব্যবস্থা একটি প্রতিধ্বনি তঐরি করে এবং এর সামনে বা আশেপাশে চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেয় এবং সেখানে বাধা পায় সেখান থেকেই সেই ইকো বা প্রতিধ্বনি ফিরে আসে। যেখান থেকে ফিরে এসেছে তার একটা দুরত্ব নিরূপন ব্যবস্থাই একে কর্মক্ষম করে।
আগামীতে লিখব SAT-C নিয়ে, এতক্ষন আপনারা এই শব্দনীড়ের অন্যান্ন লেখা পড়ে দেখুন আর ইচ্ছেমত মতামত দিতে থাকুন। ধন্যবাদ।

নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট-NAVTEX


Navtex

Navigational Telex একটি আন্তর্জাতিক স্বয়ংক্রিয় ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যম সরাসরি-প্রিন্টিং সার্ভিস যা ন্যাভিগেশন এবং আবহাওয়ার সতর্কবার্তা এবং পূর্বাভাস প্রদানের পাশাপাশি জাহাজের কাছে জরুরি সামুদ্রিক নিরাপত্তার তথ্য প্রেরন করে। আবার এইসকল তথ্য মনিটরেও দেখা যায়। আপনি জাহাজের ব্রিজে (যেখান থেকে জাহাজ পরিচালন করে) থাকুন বা না থাকুন এটি আপনার জন্য সতর্ক বার্তা বা তথ্য নিজেই প্রিন্ট করে রাখবে। ব্রিজে এসে তথ্য দেখে জেনে নিবেন আপনার যাত্রা পথে কোন সমস্যা আছে কিনা। মাধ্যম? অবশ্যই satellite! স্যাটালাইট এসে গভীর সমুদ্রে আমাদের জাহাজ চালনা অত্যন্ত সহজ ও নিরাপদ করে দিয়েছে।
আগামীতে লিখব Radar নিয়ে, একটু অপেক্ষা করুন please।