বিভাগের আর্কাইভঃ অন্যান্য

ব্লগিং এর মূলমন্ত্র

এই ছবিটি লক্ষ করে দেখুন এখানে একটা ব্লগে যা যা প্রয়োজন বা ব্লগিং করতে যেসব উপাদান দরকার তার অনেক কিছুই লিখা রয়েছে।

আমরা একটা ব্লগে কি চাই?

সবাইকে এই কথাটাই মনে রাখতে হবে ব্লগিং কোন পেশা নয়। ব্লগিং করা সবারই একটা নেশা। এখানে প্রতিযোগিতার চেয়ে সহ অবস্থানটাই, সবার আগে বিবেচ্য। এখানে যে যা পারছে যে যা ভাবছে তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে ছোট্ট একটু মতামত চাইছে। নিজের চেয়ে জ্ঞানে গুণে বড় বা নিজের সমসাময়িক এমন সবার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইছে। তবে এখানে লিখতে লিখতে যে কেউ কোনদিন হুমায়ুন আহমেদ বা ইমদাদুল হক হয়ে যাবে না, তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে?

এখানে অনেকেই নয়; কেউ কেউ নিজের পরিচিতি অংশে নিজেকে এমন করে জাহির করছেন যেন, তিনি এ দেশের কোন একজন মস্ত মহাজন পদের জন্য নিজের বায়োডাটা সকলকে জানাচ্ছেন।

আসলে তার কোন প্রয়োজন আছে কি?
এখানে বিভিন্ন পেশার, বিভিন্ন চরিত্রের, বিভিন্ন পরিবেশের, বিভিন্ন পেশার ব্লগার রয়েছেন। কেউ হয়ত বিমানের পাইলট, কেউ হয়ত জাহাজের ক্যাপ্টেন, কেউ সরকারি সচিবালয়ের উপ-সচিব, কেউ কৃষক, কেউ ডাক্তার আবার কেউবা নিতান্ত কাঠমিস্ত্রি কিংবা সাধারণ দোকানদার। অতএব সঙ্গত কারণেই সবার মন, মনন, চিন্তাশক্তি, ধ্যান ধারনা, লেখার গভীরতা, ভাবনার প্রশস্ততা যার যার মতই। এদের কাউকে বাদ দিয়ে কিন্তু আমরা ব্লগিং করতে পারব না। সবাইকে নিয়েই আমাদের এক সাথে চলতে হবে। এতে যদি আপনার ভাল না লাগে তাহলে কে কি করবে বলুন! এখানে কারোও সাথে কারও প্রতিযোগিতা কাম্য নয়। কেউ কারো সাথে প্রতিযোগিতার জন্য এখানে আসেনি। প্রতিযোগিতা হয় সমসাময়িকদের সাথে। অসম প্রতিযোগিতা সুন্দর বা সহনীয় হয় না। সবাই সবার সঙ্গে মিশবে, ছোটরা নতুনরা বড়দের কাছে অভিজ্ঞদের কাছে শিখবে, আলাপ আলোচনা করবে তবেই না হবে সহ অবস্থান।

আর প্রতিযোগিতা যেখানে আছে, যে ব্লগেই এমন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা ছিল বা আছে সেখানে কি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পেরেছে কেউ? আর নিরপেক্ষতাই যদি না থাকে তাহলে আবার কিসের প্রতিযোগিতা? আমি ভাত রান্না করব, আপনি সুন্দর কবিতা লিখবেন, তিনি সুন্দর উপন্যাস লিখবেন, রহিম সুন্দর ফুল ফোটাবে, জামাল বাঘ শিকারের গল্প বলবে, কামাল রাঙ্গামাটি বা টোকিও বেড়াবার গল্প বলবে, মামুন খেজুরের রস খাবার ছবি দেখাবে, কোন সুন্দর বাগানের ছবি দেখাবে এদের কার সাথে কার প্রতিযোগিতা করবেন? কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়েই কি আর ব্লগ চলে? কখনও চলেছে বলে বিশ্বাসও করি না।

ছবিতে দেখুন সবাই মিলেমিশে কি সুন্দর ব্লগিং করছে!

আপনি একে দেখে নাক সিঁটকাবেন, ওর ব্লগে যাবেন না, এর ব্লগে মতামত বা আপনার প্রতিক্রিয়া জানাবেন না, এতে আপনার মান রক্ষা হবে না, এমনকি আপনার লেখায় মতামত করলেও নিতান্ত ভদ্রতা করে হলেও তাকে চা নাস্তা খাওয়ানো তো দূরের কথা ধন্যবাদ টুকু জানাতে কৃপণতা করবেন তাহলে আর এক সাথে থাকার ইচ্ছা কেন? আপনি বড় পদে চাকরি করেন কিংবা বড় ব্যবসায়ী বলেই যদি আপনি বড় মানুষ হয়ে থাকেন, বড় কিছু লিখতে পারেন তাহলে তো আপনি ব্যবসায়িক সফল ব্যক্তি, আপনি আর কেন ব্লগিং করে সময় নষ্ট করবেন?

প্রতিযোগিতার মনোভাব ছেড়ে, ছোট বড়র বিভেদ ছেড়ে আসুন আমরা সবাই একই শব্দনীড়ের ছায়ায় বসে হাসি তামাশা করে, আনন্দ পাবার চেষ্টা করি, সময়গুলোকে রাঙ্গিয়ে তুলি। ক’দিনেরই বা এই জীবন! আসুন সবাই সবাইকে ভালবাসি। পরস্পরকে ভালবেসে নিজ অবস্থান থেকে শব্দনীড়কে রাঙ্গিয়ে তুলি।

সকলে আমরা সকলের তরে প্রবাদটি শুধু কথায় নয় কাজে ফুটিয়ে তুলি। ধন্যবাদ।
আবার দেখা হবে আগামীতে কোন আনন্দ উৎসবে যদি কেও হাসের মাংস আর খিচুরি রান্না করে নিমন্ত্রণ করে!

1 - NA

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ১০

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই সেই দেশের জাতীয় পশু, জাতীয় মাছ, জাতীয় পাখি ইত্যাদি প্রাণী নির্বাচন করা আছে।
আমাদের বাংলাদেশে যেমন আছে-
জাতীয় পশু – রয়েল ব্যাঙ্গল টাইগার।
জাতীয় মাছ – ইলিশ।
জাতীয় পাখি – দোয়েল।
জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী – শুশুক।

এই চারটি আলাদা-আলাদা ক্যাটাগরির জীবকে একসাথে বুঝানোর জন্য আমরা বলছি “জাতীয় প্রাণীসমূহ”

প্রতিটি পর্বে ১০টি দেশের প্রাণীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো, সেই ধারাবাহিকতায় আজ আরো ১০টি দেশের প্রাণীদের হাজির করেছি। আসুন পরিচিতো হই তাদের সাথে।

৯১। New Caledonia
Kagu (এক ধরনের পাখি, নাম জানি না)

৯২। নিউজিল্যান্ড
কিউঈ পাখি (Kiwi )

৯৩। নাইজেরিয়া
ঈগল (Eagle)

৯৪। Nicaragua
Turquoise-browed Motmot (বাংলা নাম জানা নেই)

৯৫। নরওয়ে
চমরি গাই (Elk)

আসলে এক প্রকার বড় আকারের হরিণ

৯৬। পাকিস্তান
Markhor (বাংলা নাম জানা নেই)

খুব বেশি সম্ভব পাহাড়ি ছাগল

Chukar (বাংলা নাম জানা নেই)

শুশক (Indus River Dolphin) মিটাপানির ডলফিন

কুমির (Mugger Crocodile)

Mahasher (বাংলা নাম জানা নেই)

Bufo stomaticus (ব্যাঙ)

৯৭। প্যালেস্টাইন
Palestine Sunbird (বাংলা নাম জানা নেই)

৯৮। পানামা
ঈগল (Harpy Eagle)

৯৯। Papua New Guinea
Birds of Paradise (বাংলা নাম জানা নেই)

১০০। প্যারাগুয়ে Paraguay
শিয়াল (Pampas Fox)

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত

কবি- লেখক- ব্লগারদের সাক্ষাৎকার

আমরা যারা ব্লগে কিংবা নানা প্রকার অনলাইন ফোরামে লেখলেখি করি তাদের জন্যই এই সাক্ষাৎকার পর্বের আয়োজন।
মূলত ধরা হয়ে থাকে যে বর্তমান সময়ের লেখকদের চিন্তা-চেতনা বেশ এই সময়কে কেন্দ্র করেই এবং কখনো কখনো তা সময়ের বাইরে গিয়েও পাঠকদের ভাবাতে সাহায্য করে।

একজন লেখক বা কবির সাথে পাঠকদের সরাসরি মিথোষ্ক্রিয়ার তেমন কোন সুযোগ থাকে না। পাঠক তার প্রিয় লেখকের লেখা হয়ত পড়তে পায় কিন্তু তার চিন্তা জগতের বৃহৎ একটা অংশ প্রায় বলতে গেলে অপ্রকাশিতই থেকে যায় সাধারণ পাঠকের কাছে।
পাঠক যেন কিছুটা হলেও লেখকের সেইসব চিন্তা সম্পর্কে জানতে পারেন এবং লেখক যেন কিছুটা হলেও পাঠকের নৈকট্যে যেতে পারেন সেই প্রায়াস রেখেই এই অনলাইন সাক্ষাৎকার পর্ব।

প্রশ্ন-উত্তর পর্বে সাধারণ পাঠকদের বা সমালোচকদের পক্ষ থেকে প্রশ্নগুলো সাজিয়ে দিচ্ছি আমি জাহিদ অনিক।
(আমি নিজেও সাক্ষাৎকার পর্বে অংশ নিয়েছি।)

যাইহোক, আর কথা না বাড়াই, নিচে দেয়া গুগল ফর্মের লিংকে গিয়ে আপনি অংশ নিতে পারবেন সাক্ষাৎকারে। সেখানে কতগুলো প্রশ্ন লিখিত আকারে আছে আপনাকেও সেই প্রশ্নের উত্তর লিখিত আকারেই দিতে হবে।
এটা সত্যি যে সরাসরি সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও প্রদানে যে আমেজ পাওয়া যায় তার সিকি ভাগও এই লিখিত প্রশ্নোত্তর দিয়ে পাওয়া যায় না। তবুও———- কিছু তো পাওয়া যায়।

আপনাদের আন্তরিক অংশগ্রহণ কামনা করছি। সবাইকে ধন্যবাদ।

সাক্ষাৎকার লিংক —
কবি- লেখক- ব্লগারদের সাক্ষাৎকার

দ্রষ্টব্যঃ এই লেখাটি আমি আমার ফেসবুক ওয়াল সহ আরও একটা ব্লগে প্রকাশ করেছিলাম। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৮ জন লেখক-কবি ও ব্লগার অংশ নিয়েছেন এই ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে।

মন্তব্য

আমার ফেসবুক জীবনের আলোকে এবং ব্লগিং জীবনের আলোকে মন্তব্য বিষয়ে কিছু অভিজ্ঞতার কথা আলোকপাত করতে চাই।
শব্দনীড়েরও একটি অপশন আছে যেটা হচ্ছে “মন্তব্য প্রদানের প্রকৃতি”।

আমি দেখেছি বিশেষ করে কবি/লেখকদের ক্ষেত্রে ফেসবুকে অনেকে শুধু মন্তব্যের কারণে অনেকদিনের পুরোন বন্ধুকে ব্লক করা হয়েছে এবং তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্কে টানা পোড়েন শুরু হয়েছে। এটা কবি/লেখকদের ক্ষেত্রে হওয়াটা দোষের কিছু আমার কাছে মনে হয় নি। কারণ ফেসবুকে এমন অনেক কবি/লেখক আছেন যাঁদের বন্ধুর সংখ্যা ৫০০০ হয়ে গেছে। তারপর নতুন আইডি খুলতে হয়েছে। সেটাতেও ৫০০০ হয়ে গেছে। আমাদের বাংলাদেশে এমন কয়েকজন কবি/লেখক বন্ধু আছেন যাঁদের ৫টা আইডিতে ৫০০০ ফ্রেন্ড হওয়ার পর ৬ষ্ঠ আইডি ওপেন করতে হয়েছে। ভারতে আমার এক কবি বন্ধু আছেন যাঁর ৩টি আইডি ৫০০০ হওয়ার পর তিনি ৪র্থ আইডি ওপেন করেছেন। এগুলো তাঁদের করতে হয়েছে জনপ্রিয়তার জন্য।

একজন জনপ্রিয় কবি বা লেখকের কাছে যদি কেউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান আর তিনি যদি সেই ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট এক্সেপ্ট না করেন তাহলে তিনি একজন অহংকারী কবি/লেখক হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন বিধায় তাঁরা এক্সেপ্ট করে থাকেন। তবে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করার ক্ষেত্রে তাঁরা অবশ্যই দেখে নেন মিউচুয়াল ফ্রেন্ড হিসেবে কারা আছেন।

তাই ৩০,০০০ ফ্রেন্ড যাঁর আছে এবং যেহেতু তাঁর টাইমলাইন পাবলিক করা থাকে তাই কেউ তাঁর লেখায় মন্তব্য করলে কমপক্ষে ৪/৫ লাখ ভিউয়ার তা দেখতে পান। আর যদি সেই মন্তব্য এমন হয় যার কারনে উক্ত কবি/লেখক তার ইমেজ নষ্ট হবে বলে মনে করেন তাহলে তিনি উক্ত মন্তব্যকারীকে ব্লক করতেই পারেন।

ধরুন আপনি ভালো লিখতে পারেন এবং তার প্রমাণ বিভিন্ন ভাবে পাচ্ছেন। তখন আপনার মনে একটা আকাঙ্ক্ষা জাগতেই পারে যে, কোনও দিন হয়তো আপনার এই লেখালিখি আপনাকে বিশেষ একটি পর্যায় নিয়ে যেতে সক্ষম। এই ক্ষেত্রে ধরুন আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে ১৫০০ ফ্রেন্ড আছেন আর আপনার টাইমলাইন পাবলিক করা আছে তাহলেও আপনার লেখা ও মন্তব্য কমপক্ষে ১ লাখ ভিউয়ার দেখতে পারবে। এখন আপনার কবিতায় বা লেখায় কেউ যদি আক্রমনাত্মক মন্তব্য করে বা আপনার ভালো চায় না অথচ আপনার অনেক পুরোন দিনের বন্ধু আপনার অতীতের কিছু খারাপ দিক নিয়ে মন্তব্য করে বা তার ইংগিত দেয় যা আপনার লেখালিখির প্রতিভাকে পুরোপুরি বিনষ্ট করে দিতে পারে তাহলে আপনি কি করবেন?

পৃথিবীটা আসলে একটা অভিনয়ের মঞ্চ আর প্রতিটি মানুষ একেকটি ক্যারেক্টার। তাই মানুষকে জীবনের প্রয়োজনীয় মুহুর্তে বিভিন্ন ধরণের অভিনয় করতে হয়। অনেকে জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার আগে না বুঝে অনেক অসামাজিক কার্যকলাপ করে থাকতে পারেন। অনেকে সঙ্গদোষেও তা করে থাকতে পারেন। অনেকের বিভিন্ন ধরণের শারিরীক কিংবা মানসিক অসুস্থতা থেকে থাকতে পারে যা হয়তো এখন নেই অথবা চিকিৎসার কারণে কন্ট্রলে থাকতে পারে। আর এখন সেই আপনি আপনার নিজের সৃষ্টিশীলতা দিয়ে সামাজিক/আর্থিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত বা জনপ্রিয়তা পাবেন! তা হয়তো পুরনো বন্ধুদের অনেকেই নাও চাইতে পারে।

হয়তো বলতে পারে, “আরে! এই সেই বারাইক্যা না? হ্যাতে আবার কবি হইলো কবে?”

কিন্তু এখন বলবো, একটু ভিন্ন বিষয়ে আর তা হচ্ছে, আপনার পুরনো ইতিহাস জানেন না এমন অনেক কবি/লেখকের সাথে আপনার এখন পরিচয় হয়েছে আপনার সৃষ্টিশীলতা এবং মেধার কারণে। এর মধ্যে অনেকে থাকতে পারেন একটু সহজ সরল তাই তিনি হয়তো আপনার কবিতা বা লেখার অর্থ উপলব্ধি করতে পারেন নি তাই তিনি মন্তব্য করে বসলেন, “আপনার কবিতা বুঝি নি”। উনি কিন্তু সরল মনেই বলেছেন কিন্তু আপনার কাছে এই মন্তব্য পছন্দ নাও হতে পারে। আমিও অনেক সময় সরল মনে বেশ কটি মন্তব্য করেছিলাম কিন্তু তাৎক্ষনিক লেখক রিঅ্যাক্ট করেছেন এবং এটাই স্বাভাবিক।

অথবা এমনও অনেক কবিতা আছে যা একেক সময় পড়লে একেক রকম অর্থ মনে হতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে নেগেটিভ বা পজেটিভ বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য হতে পারে। আবার এমন অনেক পাঠক আছেন যাঁরা লেখালিখি করেন না কিন্তু কবিতা/গল্প পড়তে পছন্দ করেন এবং তাঁদের অনেকেই কবিতা না বুঝেও মন্তব্য করতে পারেন। এক্ষেত্রে আমরা যাঁরা লেখালিখির সাথে জড়িত তাঁদের মন্তব্য কেমন হওয়া প্রয়োজন?

আমরা অনেকে ভালো লিখে থাকতে পারি এবং সে কারণে এক ধরণের অহংকার জন্ম নিয়ে থাকতে পারে। যেমন মনে হতে পারে, “অন্যান্যদের চেয়ে আমিই সবচেয়ে ভালো লিখি এই সময়ে”। তাহলে বুঝতে হবে আপনি জ্ঞানের প্রথম স্তরে আছেন এবং এই স্তরটা অত্যন্ত ভয়ংকর। মানুষ যখন জ্ঞানের প্রথম স্তরে প্রবেশ করে তখন মনে করে আমি সব জেনে ফেলেছি। তখন সে অন্যান্যদের থেকে নিজেকে সেরা মনে করতে থাকে এবং এই স্তরে সে লেখালিখির জগত থেকে ছিটকে পড়ে যেতে পারে। জ্ঞানের দ্বিতীয় স্তরে প্রবেশ করলে একটু শান্ত হয়, অন্যকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং নিজেকে জাহির করা থেকে বিরত থাকতে চায় কারণ যে তখন বুঝতে পারে তার আরও অনেক কিছু জানার বাকি আছে।

আর যখন তৃতীয় স্তর অর্থাৎ শেষ স্তরে প্রবেশ করে তখন নিজেকে রিয়েলাইজ করতে শুরু করে। এগুলো বই থেকে পড়ে বলছি, আমার কথা নয় কারণ আমি অবশ্য এখনো জ্ঞানের প্রথম স্তরের শুরুতেই ঢুকতে পারি নি। আসলে বলতে চাচ্ছিলাম, আমারা যাঁরা লেখালিখির সাথে জড়িত তাঁদের মন্তব্য অন্যান্য কবি/লেখকদের ক্ষেত্রে কেমন হওয়া প্রয়োজন?

এক্ষেত্রে মন্তব্য করতে গেলেও ঝুঁকি আছে আবার মন্তব্য না করলে আপনি অহংকারী হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন। ◾ অনেকে জাস্ট পছন্দের লাইন কোট করে চলে যান কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, এটা লেখকের লেখার মান উন্নয়নে কতটুকু সহায়ক?

◾ অনেকে বেশ কবার পড়ে একটি মন্তব্য করেন। প্রশ্ন থেকে যায়, এখানে মন্তব্য ভেবে চিন্তে কৌশলে করা প্রয়োজন কি?

◾ অনেকে শুধু কিছু উৎসাহ মূলক কমোন কথা বলে চলে যান। প্রশ্ন থেকে যায়, এটার গ্রহন যোগ্যতা কতোটুকু?

◾ অনেকে সরল মনে যা বোঝেন তাই বলেন কিন্তু তা লেখকের পছন্দ নাও হতে পারে। প্রশ্ন থেকে যায়, এ ক্ষেত্রে কি করণীয়?

◾ অনেকে সরল মনে বলেই ফেলেন, আমি বুঝি নি। প্রশ্ন থেকে যায়, এমন মন্তব্য না করে চুপ থাকাই কি ভালো?

◾ আবার যে লেখাটি পড়তে কমপক্ষে ১০ মিনিট লাগার কথা সেই লেখায় অনেকে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে মন্তব্য দিয়ে থাকেন। প্রশ্ন থেকে যায়, এ ক্ষেত্রে মন্তব্যকারী কি জানেন না উনি কয় মিনিট সময় নিয়েছেন এটা দেখা যায়?

◾ আবার কে কতো মন্তব্য করলেন, কে কতো রেটিং করলেন এদিকেও নজর রাখতে হয়।

তাহলে এ ক্ষেত্রে কি করার আছে?

আমার স্বল্প জ্ঞানে মনে হয় মন্তব্যে কৌশলী হওয়া প্রয়োজন এবং আমরা যাঁরা লেখালিখি করি তাঁদের গঠন-মূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানানো প্রয়োজন। আমি মনে করি এখানে অনেক অভিজ্ঞ ব্লগার আছেন উনারা হয়তো মন্তব্যের ঘরে উনাদের মতামত জানিয়ে সহায়তা করবেন এ আশা পোষন করছি।

শুভকামনা শব্দনীড়ের সকল নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত, কবি, লেখক ও পাঠকগনকে!

9- NA

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ০৯

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই সেই দেশের জাতীয় পশু, জাতীয় মাছ, জাতীয় পাখি ইত্যাদি প্রাণী নির্বাচন করা আছে।
আমাদের বাংলাদেশে যেমন আছে-
জাতীয় পশু – রয়েল ব্যাঙ্গল টাইগার।
জাতীয় মাছ – ইলিশ।
জাতীয় পাখি – দোয়েল।
জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী – শুশুক।

এই চারটি আলাদা-আলাদা ক্যাটাগরির জীবকে একসাথে বুঝানোর জন্য আমরা বলছি “জাতীয় প্রাণীসমূহ”

প্রতিটি পর্বে ১০টি দেশের প্রাণীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো, সেই ধারাবাহিকতায় আজ আরো ১০টি দেশের প্রাণীদের হাজির করেছি। আসুন পরিচিতো হই তাদের সাথে।


৮১। Mauritius
ডোডো পাখি Dodo

ডোডো পাখির ইতিহাস কমবেশি সকলেরই জানা। শিকারিদের নিষ্ঠুরতা অনেকদিন আগেই পৃথিবীর বুক থেকে এদের বিলুপ্ত করে দিয়েছে।

৮২। মেক্সিকো

সোনালী ঈগল (Golden Eagle)

Xoloitzcuintli (এক প্রকার কুকুর)

Chihuahua (এক প্রকার কুকুর)

ঘাস ফড়িং বা (Grasshopper)

জাগুয়ার (Jaguar)

Vaquita (বাংলা নাম জানা নাই)

সামুদ্রিক কাছিম বা কচ্ছপ (Green turtle)

৮৩। মলদোভা

Aurochs

সর্ব শেষ ইউরোপে দেখা গেছে, ১৬২৭ সাল নাগাদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে এই প্রজাতিটি পৃথিবীর বুক থেকে।

৮৪। মোনাকো

ইউরোপীয়ান সজারু (European Hedgehog)

ইউরোপিয়ান খরগোস (European Rabbit)

গেছো ইঁদুর (Wood Mouse)

৮৫। মরক্কো

বারবারি সিংহ (Barbary lion)

সিংহের এই প্রজাতীটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বন থেকে।

৮৬। মায়ানমার

বাঘ (Tiger)

৮৭। নেমিবিয়া

Oryx (বাংলা নাম জানা নেই)

৮৮। Nauru

Great Frigatebird (বাংলা নাম জানা নেই)

৮৯। নেপাল

গরু (Cow)

৯০। নেদারল্যান্ডস

সিংহ Lion

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত

এই মধ্যরাত, এই মৃতশামুকের দাগ

এই মধ্যরাত, এই মৃতশামুকের দাগ

কঠিন পাথরের হাসি দেখে আমি আবার তাকাই। মধ্যরাত ঝুলে আছে বিবর্ণ দেয়ালে। এই দেয়ালে একটা ছবি ছিল গৃহমালিকের। তিনি দেশত্যাগ করেছেন অনেক আগে। আর রেখে গেছেন যে ধুলোচিহ্ন, এখন তারও অবশেষ খুঁজে পাওয়া যায় না আর। মধ্যরাতের মাঝখানে মাঝে মাঝে যে নক্ষত্র দেখি, তার গায়ে লেগে আছে একটি মৃতশামুকের দাগ। ভেতরে মুক্তো খুঁজে যারা এই শামুকটিকে হত্যা করেছিল, তাদের হস্তছাপ দেখে জেনে যাই এই পথ দিয়ে এগিয়েছে অনেক দুর্বৃত্ত সময়।

আমাদের অবিশ্বাস আমাদেরকে দেউলিয়া করে তোলে। সঞ্চয়ে আর কিছু অবশিষ্ট নেই দেখে বিশ্বস্ত সড়ককেও পর ভেবে ফাড়ি পথে অতিক্রম করি কাল। এবং
হতবাক মানুষেরা চেয়ে দেখে – নরকসভ্যতা দখল করছে ভূগোলের ছবিগুলো।

লেডিস ফার্স্ট

টোনা এবং টুনির মাঝে গভীর প্রেম। কেও কাওকে ছাড়া থাকতে পারে না। এমনকি তারা এক সাথে থাকবে বলে একই কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছে যাতে করে অন্তত কাজের সময় দুইজনকে খুব একটা বেশী সময় ধরে দূরে থাকতে না হয়।
একদিন তারা উভয়ে কাজ শেষ করে একটা পাব এ গিয়ে বসল। অনেকদিন পরে দুই জনে এক সাথে একটু সুরা পান করবে।

টোনা জিজ্ঞেস করল তুমি কি খাবে?
একটু সাদা ওয়াইন হলেই হবে।
টোনা টুনির ইচ্ছা জেনে বার কাউন্টারে গিয়ে টুনির জন্য একটা সাদা ওয়াইন আর নিজের জন্য এক পাইন্ট লাগার নিয়ে এসে টুনির পাশে বসে ওয়াইনের গ্লাসটা টুনির দিকে এগিয়ে দিল।
চিয়ার্স করে একটু একটু চুমুক দিচ্ছে আর অতীত, ভবিষ্যৎ বর্তমান নিয়ে নানা রকম গল্প করছে আর গ্লাস ফুরিয়ে গেলে আবার বার এ গিয়ে নতুন করে গ্লাস ভরে আনছে। এভাবে অনেকক্ষণ ধরে অনেক পান করে সবারই মাথা কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল।
টোনার সামান্য এক কথায় টুনি এমন রেগে গেল যে আত্মবিসর্জন দিবে বলে টোনাকে জানিয়ে দিল।
এতদিন ধরে আমরা একসাথে রয়েছি আর আজ তুমি আমাকে এই কথা বললে? আমি আর বেচে থাকতে চাই না। বলেই পাব ছেড়ে ঝরের মত বের হয়ে গেল।
তার পিছনে টোনা অসমাপ্ত গ্লাস ফেলে দৌড় দিল।
টুনি দৌড়ে একটা ট্যাক্সি নিয়ে তাতে উঠতে যাবে এমন সময় টোনাও টুনির সাথে ট্যাক্সিতে উঠেই বলল টুনি প্লিজ তুমি একা যেয়ো না দরকার হলে আমরা একসাথেই মরব।
এর মধ্যে টুনি ড্রাইভারকে বলল কাছের পাহারের নিচে যেতে, গন্তব্য শুনেই ড্রাইভার পাহারের দিকে ফার্স্ট গিয়ার, সেকেন্ড গিয়ার, থার্ড গিয়ার এবং অবশেষে ফোর্থ গিয়ারে দিয়ে ফুল স্পীডে ছুটে চলল।

কিছুক্ষণের মধ্যেই পাহারের নিচে এসে উপস্থিত।
টুনি পার্স খুলে মিটার দেখে ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে দুর্বার গতিতে পাহার বেয়ে উপরে উঠছে আর তার পিছু পিছু টোনাও।
পাহারের চূড়ায় উঠে টোনা বলল চল আমরা একসাথে লাফ দেই!
না, পাব থেকে যেমন আমি আগে বের হয়েছি তেমনি আমি আগে লাফ দিব।
না না তা কি করে হয়? তার চেয়ে আমিই আগে লাফ দেই।
না, আমি আগে লাফ দেব।
না, তা হতেই পারে না, আমি বলছি চল আমরা এক সাথে হাত ধরে লাফ দেই।
অসম্ভব, আমার পক্ষে তোমার হাত ধরা আর সম্ভব নয়।
তাহলে ঠিক আছে, দেখ আমিই আগে লাফ দিচ্ছি কারণ আমি সত্যিই তোমাকে খুব ভালবাসি।
বলেই টোনা লাফ দিল আর অবধারিত ভাবে নিচে পরে গিয়ে মৃত্যুর সাথেই আলিঙ্গন করল। টুনি যেমন পাহারের চূড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল তেমনি দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে টোনার মৃত্যুর দৃশ্য দেখে নিশ্চিত হয়ে আস্তে আস্তে পাহার থেকে নেমে বাসায় ফিরে গেল।

ঘটনাক্রমে ওই পাহার চূড়ায় এক দাঁড়কাক বিকেল বেলা হাওয়া খেতে এসেছিল এবং টোনা টুনির এই কথোপকথন এবং তাদের কার্যকলাপ সবই দেখছিল শুনছিল। তবে সে ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি যে, টোনাই আগে লাফ দিবে। দাঁড়কাক ভাবল এভাবে যদি টুনি টোনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে তাহলে একটা কথা চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে যে, “লেডিস ফার্স্ট” তাহলে মহিলারা অত্যন্ত পুলকিত হবে এবং অন্তত তারা আর এভাবে কারো সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার সুযোগ পাবে না।

মেধাকচ্ছপিয়া ট্রেইলে বুনো হাতির সন্ধানে

ট্রিপটা নিয়ে অনেকদিন ধরেই জল্পনা-কল্পনা হচ্ছিল, যাবো কি যাবো না সে দোলায় দুলতে দুলতে ঢাকা থেকে আমরা নয়জন বের হয়ে গেলাম ক্যাম্পিং এর উদ্দেশ্যে, বারোজন যাবার কথা থাকলেও অনাকাঙ্খিত কারনে তিনজন আমাদের সাথে আসতে পারেনি। রাতের বাসে ঘুমঘুম আরামেই পৌছে গেছি চট্টগ্রাম, ঠিক ভোরে ঠান্ডা হাওয়ায় চোখ মেলেই দেখলাম কর্ণফুলী ব্রীজ থেকে নদীটিকে, মুহুর্তেই মন চনমনে হয়ে গেল।


কক্সবাজার থেকে চল্লিশ কিলোমিটার ভেতরে একটা জায়গায় নেমে গেলাম আমরা। মাঝপথে নেমে যাওয়ায় দু একজন অবাক হয়ে জিজ্ঞাসাই করে ফেললেন এখানে নামবেন আপনারা!


বাস থেকে নেমে কিছুদূর এগিয়েই আমরা আমাদের অস্থায়ী বিশ্রামের জায়গায় পৌছে গেলাম, কিছুটা উপরে উঠেই দেখতে পেলাম পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য কিছু ট্রি এক্টিভিটিস তৈরি করা হয়েছে। কিছুটা বিশ্রামের পরই বুঝতে পারলাম আমরা একটা ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছি! কারন আমরাই প্রথম দল যারা এখানে ক্যাম্পিং করবো। উঠে গেলাম ট্রি এক্টিভিটিস উপভোগের জন্য।


একে একে আমরা সবাই এক ভিন্ন মাত্রার অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম, ভালোই লাগল, নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভাল ছিল, সেখানকার মানুষজনও বেশ ভাল মনে হল, আমার জন্য তারা তাদের গাছের কাঁঠাল, লিচু পাঠাল, আমরা তাদের আতিথেয়তা দেখে যারপরনাই মুগ্ধ হলাম। দুপুরে বের হলাম আশেপাশের জায়গা দেখতে যাতে আমরা ভাল একটি জায়গায় আমাদের ক্যাম্প স্থাপন করতে পারি।


চারপাশের শতবর্ষী গাছগুলো যেন আমাদের দেখে আনন্দিত, আর আমাদের কথা নাইবা বললাম।


মুগ্ধ হয়ে চারপাশ দেখছিলাম আমরা।


দুপুরের খাবারের পর আমাদের মধ্যে থেকে তিনজনকে ক্যাম্পে রেখে বাকিরা বের হলাম ট্রেইল ধরে হাঁটতে, ঝোপঝাড় বনবাদাড় হাঁটছি তো হাঁটছি, এ যেন অদ্ভুত নেশা।


সাথে একজন গাইড থাকাতে বেশ ভাল হয়েছে নয়ত তিনঘন্টার পথ আমাদের ন ঘন্টায় শেষ হতো কিনা কে জানে।


অনেক পরে কিছু বাড়িঘরের দেখা মিলল। সন্ধ্যায় ক্যাম্পে ফিরে এলাম।


ক্যাম্পফায়ারের সাথে চলল বারবিকিউ, গান, আনন্দ উচ্ছাস, কথোপকথন। সব মিলিয়ে একটা মোহময় আবেশ।


দিনে প্রায় তিনঘন্টা ট্রেইল ধরে হাটার সময় আমরা বুনো হাতি দেখতে পাইনি, কিছু হাতি দারা আক্রান্ত পরিত্যাক্ত বাড়িঘর দেখেছি। যাহোক আড্ডা চলছিল, রাত প্রায় দুইটা কিংবা আড়াইটা, তিনজন তাবুর ভেতরে আর বাকিরা বাইরে আড্ডা দিচ্ছিলাম। চলছিল হাতি নিয়ে হাসাহাসি, হঠাৎ মটমট শব্দে আমরা চমকে উঠলাম, আমাদের পাশ দিয়ে চলে গেল হাতির পাল, আমরা মোটামুটি ভয়ই পেলাম। হঠাৎ দুটো ফাঁকা গুলির আওয়াজ শুনলাম, হাতিরা কোথায় যেন মিলিয়ে গেল, পরে জানতে পারলাম আমাদের নিরাপত্তার জন্য আগে থেকেই কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী সেখানে ছিলেন, রাতটা কিভাবে পার হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি, সকালে বন বিভাগের কর্মকর্তারা এলেন সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য। কুশল বিনিময়ের পর সব গুছিয়ে আমরা রওনা হয়ে গেলাম কক্সবাজারের উদ্যেশ্যে।

কক্সবাজারে হোটেলে পৌছে কিছুক্ষণ সুইমিং পুলে দাঁড়িয়ে দূর থেকে দেখলাম পাহাড় ও সমুদ্র, মনটা অত্যাধিক শান্ত হয়ে গেল। আকাশ হঠাৎ কাল হয়ে গেল, সমুদ্রের রুপটাই যেন বদলে গেল, আমরাও কাছ থেকে সমুদ্রের এমন বিরল রুপ দেখার লোভে বিচে নেমে ধুলোর ঝড়ের মুখোমুখি হলাম।


বৃষ্টিতে ভিজলাম, আস্তে আস্তে সমুদ্র শান্ত হয়ে গেল।


অবাক হয়ে সমুদ্রের সৌন্দর্য দেখলাম।


গোধূলি বেলায় শান্ত সমুদ্রের পাড়ে বসে উপভোগ করলাম স্মরণীয় কিছু সময়।


সন্ধায়, গেলাম জীবন্ত মাছ দেখতে।

তারপর রাতে দশটার দিকে আমরা প্রবল আত্মতৃপ্তি নিয়ে ঢাকার উদ্যেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম। হলফ করে বলতে পারি এটা সত্যিই আমার জীবনের একটা না ভোলার মতন ট্রিপ ছিল।

8- NA

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ০৮

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই সেই দেশের জাতীয় পশু, জাতীয় মাছ, জাতীয় পাখি ইত্যাদি প্রাণী নির্বাচন করা আছে।
আমাদের বাংলাদেশে যেমন আছে-
জাতীয় পশু – রয়েল ব্যাঙ্গল টাইগার।
জাতীয় মাছ – ইলিশ।
জাতীয় পাখি – দোয়েল।
জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী – শুশুক।

এই চারটি আলাদা-আলাদা ক্যাটাগরির জীবকে একসাথে বুঝানোর জন্য আমরা বলছি “জাতীয় প্রাণীসমূহ”

প্রতিটি পর্বে ১০টি দেশের প্রাণীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো, সেই ধারাবাহিকতায় আজ আরো ১০টি দেশের প্রাণীদের হাজির করেছি। আসুন পরিচিতো হই তাদের সাথে।


৭১। লেবানন
ডোরাকাটা হায়না (Striped Hyena)

৭২। Liberia

সিংহ (Lion )

৭৩। Lithuania

নেকড়ে বাঘ (Wolf)

৭৪। Luxembourg

সিংহ (Lion )

৭৫। মালাউই

Bar-tailed Trogon (বাংলা নাম জানা নাই)

Thomson’s Gazelle (বাংলা নাম জানা নাই)

৭৬। Malta

Blue Rock Thrush (বাংলানাম জানা নাই)

হাউন্ড কুকুর (Kelb tal-Fenek বা Pharaoh Hound)

৭৭। Macedonia

সিংহ Lion (in Macedonian heraldry)

Sarplaninec (এক ধরনের কুকুর)

Lynx (বিড়াল জাতীয় প্রাণী)

Ohrid Trout (বাংলানাম জানা নাই)

৭৮। Madagascar

Ring Tailed Lemur (বাংলানাম জানা নাই)

৭৯। মালয়েশিয়া

মালয়শিয়ান বাঘ (Malayan Tiger )

ধনেশ (Rhinoceros Hornbill)

৮০। মালদ্বীপ

Yellow-fin Tuna (বাংলানাম জানা নাই)

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত

আমার “ভণ্ড” উপন্যাসের কিয়দংশ

আমার “ভণ্ড” উপন্যাসের কিয়দংশ

নীল,
কেমন আছো জিজ্ঞেস করছি না। এই অবস্থায় তুমি ভালো থাকবে এমন কোনো কথা অথবা ভবিষ্যৎ বাণী পৃথিবীর কোনো পাঁজিতে লেখা নেই। লেখা হবে এমনটাও আমি আশাকরি না। তোমাকে কতো নামে যে ডেকেছি তার কোনো গাছ পাথর নেই। এই সমস্ত নাম থেকে একটি নাম বাছাই করে তোমাকে সম্বোধন করা আমার জন্য হিমালয় পর্বত ভাংগার চেয়েও সুকঠিন কাজ। পৃথিবীর আর কেউ না বুঝলেও তুমি অন্তত তা বুঝবে। তবুও আমি তোমাকে সম্বোধনের জন্য “নীল” নামের বিশেষ্য পদটি বেছে নিলাম। এর হাজারো কারণ থাকতে পারে। তবে আমার কাছে এই মুহূর্তে একটিই কারণ নীল মানে আকাশের নীল। যে নীল কেবল দেখা যায়, ছোঁয়া যায় না! দূর থেকে ভালোবাসা যায়, হাতের মুঠোয় পুরে আদর করা যায় না।

আসলে কি জানো? মানুষের জীবন হলো সমুদ্রের ফেনার মতো। ফেনার যেমন নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই। ইচ্ছা-অনিচ্ছা নাই, বাতাস যেদিকে তাকে তাড়িয়ে বেড়ায় সেও সেদিকে যায়। মানুষ ও তেমনি। প্রকৃত পক্ষে মানুষেরও কোনো ক্ষমতা নাই। মানুষ যেমন কোনোকিছু সৃষ্টি করতে পারে না, তেমনি কোনোকিছু ধ্বংসও করতে পারে না। মানুষ তাই করে, সৃষ্টকারী মানুষকে দিয়ে যা করায়। সৃষ্টিকর্তার এজেন্ডা বাস্তবায়নে মানুষ একতিল সময় দেরি করতে পারে না। একটি চুল পরিমাণ এদিক-সেদিক করতে পারে না।

তোমার-আমার সম্পর্কটিও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। সৃষ্টিকর্তার যতোদিন ইচ্ছা পানপাতা দুটিকে একসাথে করে রেখেছেন, জবাফুলের মতো ফুটিয়েছেন, কামিনীর মতো সুগন্ধ ছড়িয়েছেন। যেমন খুশি খেলেছেন। এখন আবার তাঁর ইচ্ছা হয়েছে খেলা ভেঙে দিবেন। এখানে কারো কিছু যেমন করার নেই, তেমনি কিছু বলারও নেই। কোনো মানুষের এমন ক্ষমতা তিনি দেননি যে, তাঁর সাথে লড়বে। তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করবে। উপরন্তু আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে, তিনি যা কিছু করেন, করেছেন এবং করবেন —–তাতে আমাদের জন্য কোনো না কোনো কল্যাণ নিহিত করে রেখেছেন। অন্ধকারের ভেতরে যেমন আলো থাকে, পরাজয়ের ভেতরে যেমন জয় থাকে ঠিক ঠিক তেমন।

আর একটি কথা না বললেই নয়, সরষের ভেতর যেমন ভুত থাকে তেমন ভাবিও না। কারণ সরষের ভেতর তেলও থাকে। তোমার পত্র পড়ে যতোটা বুঝলাম, এ ঠেকানো আমার পক্ষে কেবল কঠিনই নহে। দুঃসাধ্য বলা চলে। তবুও আমাকে ক্ষমা করার দরকার নেই। বিধাতার বিধান অলংগনীয় বলে জানিও।

ইতি
তোমার একদা অচল

পুনশ্চঃ একদিন খুব খায়েশ করে তোমার নামের সাথে মিলিয়ে আমার নাম রেখেছিলাম “অচল”। কে জানতো.. আমার এই মিথ্যে নামটাই একদিন সত্যি হয়ে উঠবে!!

7- NA

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ০৭

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই সেই দেশের জাতীয় পশু, জাতীয় মাছ, জাতীয় পাখি ইত্যাদি প্রাণী নির্বাচন করা আছে।
আমাদের বাংলাদেশে যেমন আছে-
জাতীয় পশু – রয়েল ব্যাঙ্গল টাইগার।
জাতীয় মাছ – ইলিশ।
জাতীয় পাখি – দোয়েল।
জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী – শুশুক।

এই চারটি আলাদা-আলাদা ক্যাটাগরির জীবকে একসাথে বুঝানোর জন্য আমরা বলছি “জাতীয় প্রাণীসমূহ”

প্রতিটি পর্বে ১০টি দেশের প্রাণীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো, সেই ধারাবাহিকতায় আজ আরো ১০টি দেশের প্রাণীদের হাজির করেছি। আসুন পরিচিতো হই তাদের সাথে।


৬১। জাপান

Green Pheasant (সবুজ ফিজনট পাখি)

Koi (কার্ফ জাতীয় মাছ)

Raccoon Dog (এক প্রকার ভালুক জাতীয় ছোট প্রাণী)

লাল ঝুটি সারস (Red-crowned Crane)

৬২। জর্দান

Oryx (বাংলা নাম জানা নেই)

৬৩। কেনিয়া

চিতা (Cheetah)

আফ্রিকান হাতি (African Elephant)

৬৪। Kiribati

Magnificent Frigatebird (বাংলা নাম জানা নেই)

৬৫। উত্তর কোরিয়া

কাল্পনিক ঘোড়া Chollima

৬৬। দক্ষিণ কোরিয়া

বাঘ (Tiger)

৬৭। কুয়েত

উট (Camel)

৬৮। Laos

ভারতীয় হাতি (Indian Elephant)

৬৯। লাটভিয়া

White Wagtail (একধরনের লেজদোলা পাখি)

৭০। Lesotho
কালো গন্ডার (Black Rhinoceros)

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত

আমি পাথর অথবা ভিসুভিয়াস

আমি পাথর অথবা ভিসুভিয়াস

আমি পাথর হতে চাইলে তুমি এসে বল্লে হতেই পারো,
অতঃপর আমি পাথর হয়ে গেলাম
নিরেট, নিখাদ দগদগে নীলচে পাথর

এখন আমি গভীর ষড়যন্ত্রেও নিখুঁতভাবে দাঁড়াতে পারি অসহ্যময় পাহাড়ে হেলান দিয়ে

কারন,আমি যে পাথর
অথবা পাথরের মতই

আমার পিটের অপোজিটে ভিসুভিয়াস জন্মে
আমার অন্তরে গিরগিটের পেশাবে জন্মে গাঁজা
চোখ ছুঁয়ে জন্মে বিরহের নীলতট
ঠিক এভাবেই পাথর থেকে নীল
নীল থেকে ধূসর বুক –

নরকের ভয়ে যখন ঝুলে থাকে মাকড়াসা
তখন আমি ঠিকই বুঝতে পারি
নরকের ইদানিং চোখ জন্মেছে বেঢঙা,
বেঢঙা চোখ খুব করে চিনে নিচ্ছে সব পাপ তাপ

যে পাহাড়ে নিরঙ্কুশ বৈরীতার ঘাস জন্মাতো
পাথরেও এক সময় ফুটতো ফুল

আসলে কিছু কিছু পাথরের চোখ আছে দেখার
কান আছে শোনার
অথচ পাথরময় এই আমি, কিছুই দেখিনা,শুনিনা..

লেখাঃ ১২/৯/১৬ইং

6- NA

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ০৬

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই সেই দেশের জাতীয় পশু, জাতীয় মাছ, জাতীয় পাখি ইত্যাদি প্রাণী নির্বাচন করা আছে।
আমাদের বাংলাদেশে যেমন আছে-
জাতীয় পশু – রয়েল ব্যাঙ্গল টাইগার।
জাতীয় মাছ – ইলিশ।
জাতীয় পাখি – দোয়েল।
জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী – শুশুক।

এই চারটি আলাদা-আলাদা ক্যাটাগরির জীবকে একসাথে বুঝানোর জন্য আমরা বলছি “জাতীয় প্রাণীসমূহ”

প্রতিটি পর্বে ১০টি দেশের প্রাণীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো, সেই ধারাবাহিকতায় আজ আরো ১০টি দেশের প্রাণীদের হাজির করেছি। আসুন পরিচিতো হই তাদের সাথে।


৫১। Ichkeria (ইচ্কেরিয়া)

নেকড়ে (Chechen wolf)

৫২। ভারত

বেঙ্গল টাইগার (Bengal Tiger)

ময়ূর (Peacock)

কিং কোবরা (King Cobra)

হনুমান (Hanuman Langur) (জাতীয় আইকন)

ডলফিন (Dolphin)

৫৩। ইন্দোনেশিয়া

কোমোডো ড্রাগণ বা গোসাপ (Komodo Dragon)

Asian arowana (বাংলা নাম জানা নাই)

জাভান হাওয়াক ঈগল (Javan Hawk-eagle)

৫৪। আয়ারল্যান্ড

লাল পুরুষ হরিণ (Stag বা Red Deer )

Lapwing (বাংলা নাম জানা নাই)

৫৫। ইরান

এশিয়াটিক চিতা (Asiatic Cheetah)

পারশিয়ান চিতা বাঘ (Persian Leopard)

পরশিয়ান হরিণ (Persian fallow deer)

৫৬। Isle of Man

Manx বিড়াল

৫৭। ইসরায়েল

ইসরাইলি গজলা হরিণ (Israeli Gazelle)

Hoopoe (বাংলা নাম জানা নাই)

৫৮। ইতালি

ইটালিয়ান নেকড়ে (Italian Wolf)

৫৯। আইভরি কোস্ট

আফ্রিকান হাতি (African Elephant)

৬০। জামাইকা

Green-and-black Streamertail (বাংলা নাম জানা নাই)

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত

5- NA

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ০৫

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই সেই দেশের জাতীয় পশু, জাতীয় মাছ, জাতীয় পাখি ইত্যাদি প্রাণী নির্বাচন করা আছে।
আমাদের বাংলাদেশে যেমন আছে-
জাতীয় পশু – রয়েল ব্যাঙ্গল টাইগার।
জাতীয় মাছ – ইলিশ।
জাতীয় পাখি – দোয়েল।
জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী – শুশুক।

এই চারটি আলাদা-আলাদা ক্যাটাগরির জীবকে একসাথে বুঝানোর জন্য আমরা বলছি “জাতীয় প্রাণীসমূহ”

প্রতিটি পর্বে ১০টি দেশের প্রাণীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো, সেই ধারাবাহিকতায় আজ আরো ১০টি দেশের প্রাণীদের হাজির করেছি। আসুন পরিচিতো হই তাদের সাথে।

৪১। জার্মানি

কালো ঈগল (Black Eagle)

৪২। Gibraltar

Barbary Macaque (বাংলা নাম জানি না)

৪৩। গ্রিস

ডলফিন (Dolphin)

Phoenix (কালপনিক)

৪৪। Grenada

ঘুঘু (Grenada Dove)

৪৫। গুয়াতেমালা

Quetzal (বাংলা নাম জানা নেই)

৪৬। Guyana

Canje Pheasant (বাংলা নাম জানা নেই)

জাগুয়ার (Jaguar)

৪৭। হাইতি

Hispaniolan Trogon (বাংলা নাম জানা নেই)

৪৮। হ্যান্ডুরাস

(সাদা লেজ হরিণ) White-tailed Deer

৪৯। হাঙ্গেরি

Turul (কাল্পনিক)

৫০। আইসল্যান্ড

বাজপাখি (Falcon)

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত