বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

জলের নিনাদ

জলের শব্দ শোনা যায়; যতবার বৈঠা ওঠানামা করে। হেলেদুলে যাচ্ছে নৌকা ঢেউ ভেঙে ভেঙে। এসব ছন্দের মানে ক’জন জানে! এই যে জলের ফোঁটা, আর ওই তো সোনালি রোদ। তৃষ্ণা কি একেই বলে! নাকি শুধু খেলা। চঞ্চলা মেঘের সেই সাজ। হতে চায় সে বৃষ্টিতে অনুবাদ। এসব শব্দের মানে ক’জন খোঁজে! শুধু নেশার ঘোরে ভাঙছে সিঁড়ি মাতাল বাতাস। খুলছে কপাট বদ্ধ ঘরের। ঐ যে দেয়ালচিত্র। পূর্বপুরুষ দেখেছিল জোয়ার। ভেসে গেছে তাদের কাঠের পাটাতন। আচ্ছা নদী কেন হয় আঁকাবাঁকা?

এখন জলের শব্দ হচ্ছে গেলাসে। সুইমিংপুলে নৌকা বাঁধা আছে। বৈঠাগুলি তার প্লাস্টিক সিলিকনের।

স শ স্ত্র সু ন্দ র

dau

দেখো
বিবেকের করিডোরে
বুকের ভেতরে…অতল আত্মায়
অসংখ্য শিশু কষ্ট পোহাচ্ছে নিশিদিন;
অসীম ধৃষ্টতায় বাড়ছে জ্বালা
হৃদয় গহ্বরে…দৃষ্টির রেখায়…অস্থি-মজ্জায় …
ধূমকেতুর মত ছুটছে ওরা
প্রকম্পিত আকাশে, মেঘের কান্নায়
ধুঁকেছে অন্তহীন
মৃত্যু বেদনায়, নতুন নতুন জন্ম প্রহারে!…

এখানে সান্ত্বনা নাই
হিসেব নাই
কে কারে কাঁদায়…
তবু
মত্ত পতঙ্গের মতন
মানুষ বুকে ধরে এক আকাশ নীলিমা,
রূপোলী স্রোতের তলে পুঁতে রাখে স্বপ্নজাল!

দেখি
সূর্যের চুম্বন ঝরে বৃক্ষের ডগায়;
এলোকেশী রমণীর বুকে যেমন-
রক্তের ঝর্ণা ঝরে!
পৃথিবীর কি বা আসে যায়-
যে স্রোত নেমে আসে উজান বেয়ে
তার তলে বহমান আমাদের অজস্র স্বপন
যার আঁচলে
রচিত হয় সশস্ত্র বাসনা…
দ্রোহের অনিবার্য অভ্যুত্থান!

২৮/৭/১৮

জগন্নাথ

যিনি আমাদের জন্ম দিলেন
এবং তার চেয়েও চিরজীবী মৃত্যু দিতে
সব সময় প্রস্তুত

সেই অপাপবিদ্ধকে প্রণাম
যিনি আমাদের চালেডালে মিশিয়ে খাওয়ালেন,
আর দু’মুহূর্তের মধ্যে আদেশ দিলেন
কালান্তক ভেদবমি
সেই যমগন্ধবাহী উদ্দীপনাকে প্রণাম

যে-আচার্য গরমকালে থোকা থোকা কারখানা বসিয়ে, বৃষ্টিকালে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে,
এই শরতে তালা খুলে বাস্তুকারকে দেখাচ্ছেন মেশিনের পেটে পাক দিয়ে ওঠা কাশফুল,
সেই হালকা বাতাস ও উপজাতিনৃত্যকে প্রণাম

কেননা, তিনি ভিক্ষুককে ভিখারি হতে
আশীর্বাদ করেন, বোবাকে দেখান
জিভ টেনে উপড়ে নেওয়ার ভয়
তারই দয়ায় হৃৎপাত্রে ভালোবাসা অবিশ্বাস সমান-সমান, মৃৎপাত্রে
অশ্রুকণা পায়েসান্ন সমান-সমান
তাই জগন্নাথ হাতদুটিতে এক লক্ষ নমস্কার রাখি যদি, তো প্রশান্ত দু’পায়ে সমকক্ষ ধিক্কার প্রণাম

.
(‘তিনটি ডানার পাখি’ কাব্যগ্রন্থ থেকে)

মধ্য আকাশে সূর্য যখন

hhy

কেমন যেন পরিবেশ, ব্যস্ত মানুষের ভিড়
উত্তাপ আকাশ সীমা, ছায়া নেই সুনিবিড়,
ছুটছে মানুষ, যন্ত্র দানবের সাঁই সাঁই সুর
ঠিক দুপুর যখন উত্তাপ এক সমুদ্দুর।

কর্ম বিরতি শুরু হবে, গন্তব্যে ফিরতে মানুষ হারায় হুশ
দুপুরের খাওয়ায় ব্যস্ত হবে মানুষ
আকাশ ব্যস্ততা বাড়িয়ে দেয় উত্তাপ ছড়িয়ে
মানুষে দেহ রোদ্দুর নিচ্ছে ঘামে জড়িয়ে।

হুড ফেলা রিক্সায় মানুষ বসে থাকে ঠায়
যেমন ইচ্ছে চলছে গাড়ি, লাগছে জ্যাম, কার কী তাতে দায়
মানছে না আইন, এলোপাতাড়ি গাড়ি,
চিন্তার রেখা কপালে, কে কেমন করে ফিরবে বাড়ী।

কেউ সূর্যের পানে তাকিয়ে বিরক্ত
কেউ বা মুঠোফোনের অনুরক্ত,
যানে বসে বেহিসেবী সময় ক্ষয়ে যায়
বিতৃষ্ণার রেশ কেবল মনে রয়ে যায়।

এই শহর মূল্যবান সময় গিলে খায় শান্তি তাড়িয়ে
তাই দেখে আকাশ হাসে আর সূর্যের তাপ দেয় বাড়িয়ে
কী বিভৎস সময় যখন জ্যাম ডাকে বাড়িয়ে হাত
এই শহরে মূল্যবান সময়গুলো এভাবেই হয় বেহাত।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ময়মনসিংহ)

পৈশাচিক ভালোবাসা

বহুদিন থেকে ইচ্ছে হচ্ছে একটা পৈশাচিকরূপী প্রেমিক হতে
না! তোমরা যেমনিটি ভাবছো, ঠিক তেমনটি নয়-
তোমাদের কাছে তো পিশাচ মানেই হিংস্র,
সর্বস্ব কেঁড়ে নেওয়া এক নুপুংসুক হায়েনা!

আমি ঠিক তেমনটি ভাবছিনা, ভাবছি অনাবিল সুখের সায়র
দক্ষিণা সমীরণে ভেসে আসা কাঠপোলাপের স্নিগ্ধঘ্রাণ
কাশফুলের সুকোমল বিছানায় শুয়ে শুয়ে দুজন
নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে যাওয়ার গল্প অবিরাম।

আমি চাচ্ছি এক সুবোধ বালিকার অমলিন ভালোবাসা
যেখানে নেই কোনো দ্বেষ, হিংসা আর কামণার হলিখেলা
অদেখার বিরতিতে আকাশ-পাতালেও জাগবে বিরহ ব্যাথা
যেমন জীবনী শক্তি ছাড়া প্রাণ টেকেনা; তেমনই শুভ্র ভালোবাসা।

তার চেখে আমি হবো এক অনাবিল সুখস্বপ্ন
হৃদয় গহীনে লুকিয়ে থাকা এক হৃদকম্প
থেমে যাওয়া মানেই তার মৃত্যু অবধারিত
শ্যামল পৃথিবী ধূসর হবে, চোখের চাহনি হবে স্থির।

এই বিশ্বাস যেদিন পেয়ে যাবো
ভালোবাসা প্রাপ্তির শতভাগ আশ যবে মিটে যাবে
সেদিন আমার অন্তর্ধান হবে, এই লোকালয় থেকে দূরে বহুদূরে-
সীমানার ওপারে, যেথায় জীবন নিয়ে কেউ যেতে পরেনি আজো।

গোদনাইলের গান গাই

niii

আমাদের গোদনাইল খুবই সুন্দর পরিপাটি,
পাকা রাস্তায় মানুষ করে হাঁটাহাঁটি।
পূর্বদিকে শীতলক্ষ্যা নদী বন্দর উপজেলা,
পশ্চিমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নারায়ণগঞ্জ জেলা।

গোদনাইলে আছে ছোট-বড় অনেক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান,
আছে রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস আর শিল্প-প্রতিষ্ঠান।
আরও আছে খেলার মাঠ নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র,
আছে বাজার মার্কেট যেন সুখের প্রাণকেন্দ্র।

নারায়ণগঞ্জ শহর ঘেঁষে গোদনাইল অবস্থিত,
গোদনাইলের সৌন্দর্য দেখে মানুষ হয় স্তম্ভিত!
শহরে আছে যা গোদনাইলেও আছে তা-ই,
তাইতো সবাই সুখে-দুঃখে গোদনাইলের গান গাই।

ছবিটি অনেক আগে লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিলস্-এর পুকুর পাড়ে অবস্থিত ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ( ডিপিডিসি) নির্মাণাধীন ভবনের উপর থেকে তোলা।

নিতাই বাবু
২৩/০৬/২০২৩ইং।

এ্যাটাচম্যান্ট

মেঘের আলোয় লুকিয়ে রাখি মেঘালয়। অনাদি ঈশ্বর এসে ঢেকে দেবেন
আমাদের কামঘুম, সে প্রত্যয় নিয়ে গোণি প্রহর। বুঝে, না বুঝে আমরা
যারা খেলি প্লাস-মাইনাস খেলা, তাদের সমবেত তাঁবুতে ছিটাই কুয়াশামন।

সংগ্রহ শেষ হলে পাঠিয়ে দেবো তোমার ঠিকানায়। লগো দেখে তুমি তা
যুক্ত করে নিতে পারবে তোমার ডেস্কটপে। তারপর ম্যাচমেকিং করে দূর
আকাশের রঙের সাথে মিলিয়ে নিতে পারবে গৃহীত উত্তরের রঙ। চাইলে
ডিলিট ও করতে পারবে। তবে বলি, তার আগে শিখে নিও ‘সেভ ইয়র
সোল’। এ্যাটাচম্যান্ট করে পাঠিয়ে দিও অন্য কারো কাছে।যে জন যতনে
শিলং শহরে ……..
একজন অনিমিতা দেবরায়ের খোঁজে দিবানিশী ঘুরে।

জল-বারুদের গন্ধ

ও কিছু নয়, মাত্রতো কয়েকটি আলোকবর্ষ; নির্লিপ্ত প্রহর!
বেশতো বিচ্ছুরিত হচ্ছিল জলছটা, জলছত্র থেকে সবিতা ভোর
কুঁড়িয়ে এনেছিলাম, বেশ লাগছিলো তোমার ঝামেলা ডট কম!
কবিতার মায়াজালে বন্দিত্ব মেনে নিয়েছিলাম বলে, আমিও
তোমার মতো আরও কয়েকটি আকাশ কিনতে চেয়েছিলাম,
বাবার জায়নামাজের মতো ওরা সবাই আমার কবিতার খাতা!

একদিন আঁষটে দুপুর উন্মনা করেছিলো কীর্তনখোলার জলভোগ,
লকলকে উদার জমিন, ককটেল ফুটেছিল গোলাপের কাঁটার মতো,
এখন জলবারুদের গন্ধে মাতৃগর্ভেও শিশু কবিতা লিখে না!
প্রেমহীন ভালোবাসা অথবা ভালোবাসাহীন প্রেম
দুপুরের খররোদে সগর্বে আঁচড় কাটে!

আর একদিন যে কবি বিপ্লবের নামে ঝাঁঝালো শপথ নিয়েছিলো
একদিন টাউনহলের মোড় একাই দখল করার প্রতিজ্ঞা করেছিলো
তিনিও এখন বেশতো আছেন;
এখন একটার পর একটা পানকৌড়ি ডুব, সদ্য কন্যা সন্তানের
গর্বিত পিতা হওয়ার নগদ টিকেট!
তাঁকেও এনে দিয়েছে শৃঙ্গারের চরম পুলক সুখ।
অথচ বারবনিতার প্রেম এমনি হয়,
সবাই জানে, আবার কেউ জানে না…!!

অনুমান

এমন অন্ধকার! বৃক্ষছায়ার নিচে জড়ো হয়
বাচ্চাদের মতো লুকোচাপা খেলে
পুরোনা অভয়ারণ্য, স্টেশন পেরোলে বাজার
অনেক রাত্রি, বৈচিত্র্য দেখতে রাস্তার ধূলো-
অদৃশ্য মৃত্যুনাচের ভেতরে বিস্ময় চোখ
ঝুড়িভর্তি আলো হোস্টেলের রূপশাদা সাবান
রটিয়ে দিচ্ছে সেসব অনুমান…

হয়তো, এ পথে কারোর আগমন ঘটেছিল
এ্যাকোরিয়ামে নদী ঘুরে বেড়ানো জলঘাট
মেঘ থেকে বৃষ্টি নিছক পাখি দেখতে
আগের প্রস্তুতি সেরে আসা শৌখিন সরোদ
এই পরম যত্ন গড়াতে থাকে একেবারে হৃদয়ে!

তাল ও তেল সমাচা

tty

তালবাজ ও তেলবাজেরা
নিম্নের কবিতা টি থেকে দূরে থাকুন!..

তাল ও তেল সমাচার

তলে তলে তাল মেরে
তিল কে তাল বানানোর নেশায় মাতাল যত্তসব আবালের দল!…
দিনে দিনে আয়ত্ত করে গুরুচন্ডাল হাল!
তালে তেলে টইটম্বুর হলে
খুলে যায় বিশাল সম্ভাবনা, জ্বলে উঠে
আলাদিনের যাদুর চেরাগ!
খুলে যায় ঝাঁপ-তাল; লাজ লজ্জা
এবংকি
চার আঙুলের চকচকে কপাল!..

তালে তালে তালিয়া বাজে
ফন্দিবাজেরা ফন্দি খোঁজে
তলে তলে বুনে যায় নীলনকশার জাল
নৌকার তলায় ছিদ্র বানিয়ে হাওয়ায় তোলে পাল!

মোক্ষ বুঝে লক্ষ্যের পাণে ছুড়ে মারে তীর
গোলে মালে তালে গোলে সেজে যায় বীর!
তালে বেতালে এরাই আবার বাজায় মায়া বীন
তেলে তালে মিলে গেলে ফেরায় মীরজাফরি দিন!
( কি আর বাল পালাবি) তেলের পিচ্ছিলে আছড়ে পড়ে
তালের তলে খোদ তলাবি!!

মন আকা‌শে বিবর্ণ মেঘ

cho

‌বিবর্ণ মে‌ঘে ঢে‌কে যায় মন আকাশ
‌থে‌‌মে থে‌মে বু‌কে উঠানামা ক‌রে দীর্ঘশ্বাস
শুভ্র মেঘ সময় আমার আর নেই, আ‌মি ‌বিষণ্ণ
‌কেউ কী দু’দন্ড শা‌ন্তি নি‌য়ে আস‌বে আমার জন‌্য।

র‌বের কা‌ছে এই ফ‌রিয়াদ
দ‌মে দ‌মে ক‌রি তাঁরই ইয়াদ
ক‌ষ্টের সমুদ্দুর পার হ‌তে চাই, শুভ্র মে‌ঘে রাখ‌তে চাই মন
তাঁর দয়া হ‌লেই ত‌বে হ‌বে আমার সু‌খের ক্ষে‌তে ভ্রমণ।

দুঃখ য‌দি দিলা মাবুদ, সইবার ক্ষমতা দাও
কেন আমায় এত এত এত কাঁদাও
‌ঠো‌ঁটে ধ‌রে রাখ‌তে চাই হা‌সি
ও আল্লাহ তু‌মি জা‌নো, আ‌মি মানুষ‌কেও ভা‌লোবা‌সি।

নরম ম‌নের কিনা‌রে কেন কা‌লো মে‌ঘে‌দের হানা
আমার কেন নাই পি‌ঠে দু‌টো কল্প ডানা
আ‌মি মেঘ হ‌য়ে উ‌ড়ে যা‌বো নী‌লের বু‌কে
‌সেখা‌নে থে‌কে যা‌বো তোমার নাম জ‌পে খুব সু‌খে।

ও আকাশ মন আকা‌শে কিছু শুভ্র মেঘ দি‌য়ে যা
‌দে‌খে যা আকাশ আমার চোখ দু‌টো ভেজা
তুই বৃ‌ষ্টি ঝরাস না অথচ চো‌খে কত বৃ‌ষ্টি
‌তো‌‌কে দেখ‌তে পাই না আকাশ, আমার ঝাপসা দৃ‌ষ্টি।

র‌বের কা‌ছে প্রার্থনা এই, ‌ধৈর্য দাও বাড়া‌য়ে আরও
তোমার দয়া ছাড়া দয়া চাই না কা‌রো;
কষ্ট য‌দি দাও সই‌তে যেন পা‌রি, ‌
শুভ্র মে‌ঘের মত নরম নরম অনুভূ‌তি‌তে ভ‌রে দাও প্রভু ম‌নের বা‌ড়ি।

.
(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, স্তান অজানা)

প্রেমটেম

নদীর দিকে তাকালে টের পাওয়া যায় সব নিমিষে। তবু ভনিতা করছে নদী নিখুঁতভাবে। এবেলা ছিলো তৃষ্ণা। ওবেলা প্রচন্ড ক্ষুধা। তারপর মুক্ত হতে চাওয়া পাখির মতো। খড়কুটো মুখে এ ডালে- ও ডালে ওড়াউড়ি। কোন নীড় থাকে না অক্ষত। এতো ঝড়বৃষ্টি! বসন্ত এখনো নাকি রয়েছে বাকি! নতুন সুরে গাওয়া হয় গান। যেতে হয় পূর্ণিমা স্নানে। কবিতা লেখা হয় সেসব আদলে। হারিয়ে যাবে সমস্ত পান্ডুলিপি। যেভাবে সযত্নে মালা গেঁথে ছিড়ে ফেলা হয় নীরবে কতবার।

জোয়ার-ভাটায় যে তরী হারাল পথ। খুঁজে পেলে তার খোলস। হাহাকার করছে ফাঁকা বাতাস।

কবরের মাটি

100images

মা গো তোমার কবরের মাটি
এখন আমার বুকের মাঝে-
নিঃশ্বাসের আগে গন্ধ পাই যত!
আগে কোন দৃশ্যময় ছিল না মা-
এখন গুমরে মরা, বাতাসের আগে
দৃশ্যময় ভেসে যায় মা গো- মা
মেঘহীন বৃষ্টিগুলো চোখ থেকে
বুক গড়ে গড়ে হাতের মুঠোই
অসহ্য কষ্ট; আরটুকু আয়ু দিলে না
কোন আল্লাহ্? মৃত্যু কেনো নিঠুর।

০৯ শ্রাবণ ১৪২৯, ২৪ জুলাই ২৩

একদিন যাব

একদিন সত্যিই যাব
গলির সব খানাখন্দ, ভেঙে
পড়া ল্যাম্পপোস্ট এড়িয়ে
সেদিন আকাশ হাসবে
প্রতিবেশীর বাড়ির ফুল
হেসে উঠবে খিলখিল
গঙ্গার প্রত্যেক নৌকা তুরুতুর
তিরতির গল্প বলবে অবিশ্রান্ত
একদিন যাব, সত্যিই
সচকিত সিংহের প্রহরা সরিয়ে
দরজা খুলে রেখো।