বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

আদার ব্যাপারীর জাহাজ কেনা

ddfg

যেদিন থেকে ব্যবসা খুলে
হোন ব্যাপারী আদার
সেদিন থেকে জাহাজ কেনার
শখ যে ছিলো দাদার!
আদার ব্যাপার করে তো আর
জাহাজ যায়না কেনা
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
বাকি লেনা-দেনা!

আদার ব্যাপারীদের নিতে–
নাই জাহাজের খবর
দুঃখ বুকে চেপে দাদা
বরন করে সবর।
হঠাৎ করে আদা হলো
পাঁচশ টাকা কেজি
খুশির ছুটে দাদা ফোনে
করছে হ্যেঁ জি, হ্যেঁ জি।

আদার ব্যাপার করে ও যে
জাহাজ কেনা যায়
গতকালের ঐ দাদারে
আজকে চেনা দায়।
পাঠ্য বইয়ের প্রবাদ বাক্য
ভুল’ বলেছেন দাদা
তখন থেকেই স্বপ্নে বিভোর
আরো কিছু গাধা।

সংশোধিত গ্রহতন্ত্র

মানুষের কাতারে দাঁড়াবার দৌড়ে আমি বারবারই পরাজিত হই।
আমার শয়নকক্ষে যে অর্ধভাঙা ঝাড়বাতি দু’দশক থেকে ঝুলে
আছে, তা বদলাবার সাধ্য আমার জুটেনি এখনও। তাই মাঝে
মাঝে বাতিটির অর্ধ আলোয় নিজেকে চিনতে বার বার ভুল করি।
নিজস্ব কোনো ইমেজ না থাকায় কখনও ঢেউ, কখনও ধ্বনির কাছ
থেকে ধার নিই উত্থান অথবা পতনের সর্বশেষ সংজ্ঞা।

যে ঘরের সামনে আমি এই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে আছি, এই ঘরের
বা’পাশে বহুকাল আগে একটি গ্রহগাছ ছিল। সে গাছের ছায়ায়
দাঁড়িয়ে যে কয়েকজন বালক-বালিকা বাল্যশিক্ষার পাঠ নিতেন,
তাদের একজন ছিলেন আমার প্রপিতামহ। তার রোজনামচা পড়ে
জেনেছি, গাছটি নিজের পাতায় ধরে রাখতো গ্রহণকাল। তাই
গাছটিকে ‘গ্রহগাছ’ বলেই আখ্যা দিয়েছিলেন পাড়া-প্রতিবেশী।
এটাও জেনেছি, সেকালের মানুষ আলোর উৎস সন্ধানে খালি পায়ে
হাঁটতেন মাঠের পর মাঠ। গ্রামের পর গ্রাম।

এসব ভাবতে ভাবতে আমি যখন গ্রামশূন্য ভূখণ্ডের মধ্যপ্রদেশে দাঁড়াই—
তখন দেখি, দু’টো পালকহীন পাখি আমার মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে।
চামড়াশূন্য মানুষের দৌড়দৃশ্য আবারও আমার চোখে ভাসে। যারা অন্ধকারকে
স্বাগত জানিয়ে নগর থেকে আলোবিন্দুকে বিদায় জানিয়েছিল—
তাদের প্রতি আমার করুণা হয়।

জগতে যারা গ্লানি কিংবা ধিক্কারের করুণা নিয়ে বাঁচে, তারা কি
আদৌ কোনোদিন দৌড়াতে পারে !

আমি পুনরায় দৌড়াবার জন্য পায়ের পেশিগুলো শক্ত করতে থাকি।
দেখি— আমার প্রতি ধেয়ে আসছে অন্ধকার। যে সংবিধান মানুষের
কল্যাণে নিবেদিত হবার কথা ছিল— তার শরীরের ক্ষত দেখে আমি
আঁতকে উঠি। যুথবদ্ধ সংশোধনী হরণ করেছে আমার চেতনার স্বাধীনতা।
মৃত্তিকায় নত হবার প্রগাঢ় মূল্যবোধ।

আমি সবগুলো সংশোধনীকে অমান্য করে একটি গ্রহের ঈশান কোণের
দিকে দৌড়াতে থাকি। আমার রক্তের পরতে পরতে বাজতে থাকে
সংঘর্ষ বিষয়ক দ্বৈত সেতার।

বর্ষাস্নাত হিজল

DD

আমাকে ভুলেছ তুমি
বর্ষাস্নাত হিজল,
আমার আতপ্ত তুমি
হাস্য উজ্জ্বল,
আকাশ দিয়েছে পাড়ি
শূন্য হাতে,
গভীর স্নেহান্ধ আনাড়ি
চুমুতে,
অবশেষে দাঁড়াই ঘুরে
মুখোমুখি-
নির্লিপ্ত হিজল স্বপ্নাতুরে
জড়িয়ে রাখি
অনন্ত সুখে মাখামাখি।

দুপুর

সব বিকেলের গাঢ় আলোয় জিব মেলেছে
এক সংকেত চিহ্ন নিয়ে, দূর হতে ঢুকে পড়ে
সাপখেলা দুপুর, এখানে দরজার খিল খুলে
প্রবেশ করে জীবনের কথা, ভাতের চেয়ে…
তবু জ্যোৎস্না খায়, অন্ধ বাঁদুড়। দাঁত থেকে
রাত্রি বেরোয়, তাতে লেগে আছে সাক্ষরতা।

তোমাদের দুপুর আর আমাদের দুপুরবেলার
বিস্ময়ের রূপ বুঝতে গেলে কোনো এক
শুক্রবারের আশপাশে গিয়ে ধূসর কল্পনারস
খুঁজে নিয়ো, নিয়ম করে টুকে রেখ সেসব গীত।
পুরনো হলুদকোটা রং মাড়িয়ে পাড়ি দিচ্ছে
স্ত্রীদের ঝলসানো আগুন, সেখানে চাইলেই
ঝিঙেফুলের শৈশব বড় হতে হতে ভুলে যায়
কে কার নিকট আটকা পড়ে, নির্জন শাসনে!

.
৩০ মে ২০২৩

চলো শাপলা চত্বরে আজ

chhoo

ছুটির দিন বিকেলের রোড, থেকে যায় ফাঁকা,
সেই রোডে থাকে গোধূলি রঙ আঁকা
ব্যস্ততা আর ছুটে চলা হন্তদন্ত লোক নেই
নেই গাড়ির বহর, চলো ঘুরি রিক্সায়
সময় কেটে যাবে আনন্দেই।

শাপলা ফোটা মতি মিয়ার ঝিলে
জল ছিল কি তখন, জানতে ইচ্ছে এ দিলে,
এমন পাপড়ি মেলা শাপলা ফুল
তার উপরে বিকেলের আকাশ, শুভ্র মেঘ তুলতুল।

রিক্সায় ঘুরুন্টি মেরে আসি, যাবে
রিক্সায় বসে আইসক্রিম খাবে?
বিকেলের আকাশে রক্তিম মেঘের আনাগোনা
আজ হাওয়ার আওয়াজ শুনি, যন্ত্রের আওয়াজ যায় না শোনা।

আকাশের বুকে উড়ে বেড়াচ্ছে পাখিদের দল
মাঝে মাঝে শুভ্র আর রক্তিম মেঘেদের কোন্দল,
না করো না গো, রিফ্রেশ হতে চাও না,
ঘরের ভেতর উত্তপ্ত হাওয়া,
একটি বিকেল তোমার কাছে আছে পাওনা।

সন্ধ্যার আযান হলে ফিরে আসবো ঘরে
কাজ তো সাজানোই আছে থরে থরে,
মন হলে ভালো, কাজ করতে নেই আর অনীহা
আমার সাথে ঘুরো, বাড়িয়ে দাও কাজের স্পৃহা।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, মতি মিয়ার ঝিল)

ভিসা ভোট

vissa

অবাধ সুষ্ঠু ভোট দানে
আমেরিকার ভিসা
বাহ বাহ কি চমৎকার!
কেউ আর বলতে পারবে না
মামা বাড়ির আবদার;

কি সাঙ্ঘাতিক চিন্তা রে বাবা
হোক না অবাধ সুষ্ঠু ভোট
ইতিহাস শুধু সাক্ষী থাক
অসুষ্ঠু ভোটে ভিসা নাপাক
নতুন আঙ্গিকে হোক ভিসা ভোট।

১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯, ২৯ মে ২৩

তোমায় নিয়ে বাঁচি

CL_16837028270982

গ্রীষ্মের খরতাপে অস্থির এই নগরে,
চাতকের ন্যায় অসহায় মানুষে,
প্রশান্তির উপলব্ধি আনে-
একটুখানি শীতল বাতাস।

থমথমে দুপুরে ক্লান্ত পথিকের পথ,
দীর্ঘায়িত হয়ে পড়লেও,
নিরাশার অনুযোগের মোচন ঘটে-
ছায়া দানকারী গাছটার অকৃপণতায়।

পৃথিবীর সুখগুলোর শত ভাগে,
ভালোত্বের সংস্পর্শ হৃদয়ে প্রশান্তি আনে,
খরতাপ গ্রীষ্মের প্রাণহীনতায়-
চাতকের উপলব্ধি কষ্টের উপলক্ষ্য আনে।

জাগতিক শত গল্পে,
শত অভিযোগ-অনুরোধে,
খরতাপে জ্বলন্ত দেহটায়-
শীতল বাতাস সুখানুভূতি জাগায়।

তবে,
এইসব জাগতিকজ্ঞান বিতরণে পারঙ্গম নই,
গ্রীষ্মের খরতাপ-শীতল বায়ুতে-
আমি আবদ্ধ নই।

আমি প্রেমহীন নগরে,
প্রাণের সঞ্চারে বেরিয়ে পড়েছি,
জাগতিক মোহে আবিষ্ট নই-
শুধু তোমাতে বেঁচে আছি।

পৃথিবীর গল্প গুলো হারিয়ে যাবে,
চাতকের হাহাকারও থামবে,
মোহে জড়াবে না কেউ-
যখনি আবদ্ধ হবে প্রেয়সীতে।

আমি দ্বিধাহীনভাবে বাঁচি,
তোমার পানে চেয়ে,
কবিতা হই কিংবা কবি-
তোমাতেই যেন বেঁচে থাকি।

আবারো শীতল প্রবাহে প্রশান্তি আসবে,
মানুষে সৌহার্দ্য রচিবে,
চাতকের উপলব্ধিতে শান্তি-
আমিও বাঁচবো তোমায় নিয়ে।

বেঁচে থাকা

ভালো থেকো, বেঁচে থেকো / অমৃত ইচ্ছা তোমার বলয় / মাথায় রেখেও সর্বদা বাঁচা যায় না / আসলে বেঁচে আছি কী না / বুঝতেই কেটে যায় এক পূর্ণ জন্ম / পূণ্য যজ্ঞ থেকে জন্ম নিয়েও / যাজ্ঞসেনী বনবাসে যায় / কীচক ও দুর্যোধনের শ্লীলতাহানির হরিণ হয় / বেঁচে থাক বললেও / সর্বদা বেঁচে থাকা যায় না।

স্মৃতিদগ্ধ সুখিমানুষ

আমি আজ সেই ঝড়ের কথা বলছি –
যে ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল স্বপ্ন বাসর
পরস্পর স্থান বদল করেছিলো আকাশ পাতাল ;
আদ্রতাহীন স্বপ্নের ঘর্ষণে যে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ঘটেছিল—
তাতে সব স্মৃতি পুড়ে সেদিনই হয়েছিল ছাই।

আজ আমি সুখি মানুষের উপমা দিতে দূরে যেতে হয়না
আমি পুড়ে যাওয়া স্মৃতিহীন এক সুখি মানুষ।
পুরনো স্মৃতি আজ ভেসে বেড়ায় না মানস পটে
ছায়াপাত ভেসে নিয়ে গেছে ছাই ভস্মগুলো
কোন এক নর্দমার উর্বরতা বাড়াচ্ছে হয়তো !

যে স্মৃতি মানুষের কান্নার অনুষঙ্গ
সে স্মৃতিতো আমার পুড়েছে অনেক আগে।
হাত বাড়ালেই এখন দেখি অসীম আকাশ ; অবারিত সবুজ মাঠ
ধূসর মরুভূমি খুঁজে পাইনা ত্রিসীমানায়।
বিরহ গীতি লিখতে বসে পাইনা খুঁজে
লুকোচুরি খেলা কোন এক কিশোরীর
শুধু দেখি স্বর্ণলতার ডালে খেলছে রঙিন প্রজাপতি।

সাকিনা’র রূপে মশগুল

সাকিনা তোমার রূপে হয়েছি মশগুল
তোমাকে অনুভব করা মস্ত বড় ভুল,
সাকিনা মন চায় তোমায় শতকোটি চুমি
তুমি যেন ভালবাসার পবিত্র ভূমি।

সাকিনা জানি তোমাকে ভাবা বড় অপরাধ
মন চায় নেই তোমার স্বাদ।
সাকিনা আমি তোমার নেই মনে
যে হারিয়ে যাবো, তোমার ভালবাসার বনে।

সাকিনা তোমাকে পেলে হতাম খুব সুখী
কিন্তু হচ্ছে না কখনো
তোমাকে ভেবে ভেবে হবো দুঃখী….

28/05/2023

ফ্রিকোয়েন্সি শূন্য হলে

সূর্য অস্ত যাচ্ছে
শহর জুড়ে ভাসমান অন্ধকার
আর আমরা প্লাস্টিক ফুলগুলো সাজিয়ে রাখি
খুঁটে নিতে যৌথ আলোর নির্যাস
গভীর রাতে ক্ষীণ-আলোয় জমে ওঠে কথোপকথন

একদম শাল থেকে আম বৃক্ষ পর্যন্ত
বিষদৃষ্টি যতোসব মানুষের চোখ
এভাবে ফ্রিকোয়েন্সি শূন্য হতে থাকলে
আমরা আঁধারের বুকে ঘুমিয়ে পড়ি।

ভালো মানুষই যে বেশি

ttt

এই যে হাসি আনন্দের ক্ষণ, নির্দ্বিধায় হেঁটে বেড়ানোর পথ
মানুষের কোলাহলে নিজেকে বন্দি না ভাবা,
এই যে সহস্র মানুষের ভিড়ে এলে বিপদের হাতছানি,
কেউ কী ফেলে যায় সেথায় একাকি!

এখানে এই শহর, নগর অথবা গাঁয়ে
ছড়ানো ছিটানো ভালো মানুষের মন
এখানে মানুষের মাঝে মানুষের আন্তরিকতার ফুল ফুটে,
মানুষের ঠোঁটের কোণে ঝুলে থাকে
মানুষের জন্য ভালোবাসা।

এখানে পথে প্রান্তরে, অলিগলিতে
কই দেখি না তো মন্দ মানুষের আস্ফালন
কেউ দুর্ঘটনার হলে স্বীকার, কেউ পড়লে অযাচিত বিপদে
মানুষই তো চলে আসে উদার মন নিয়ে,
শ্রম মেধা আর ঘামের মূল্যে বিকায় মানবিকতা।

এই যে একাকি পথে যাওয়ার বেলা, ভয়হীন চোখ
যে যার মত হেঁটে যাই ফেলে কদম
কই কখনো কেউ বদ মতলবে দাঁড়ায়নি সম্মুখে,
কেউ বলে উঠে নি সহসা মন্দ কথা।

এখানে এই পথের বাঁকে ভালো মানুষেরই বসবাস
ক’জনা মন্দ পারে নি টলাতে ভালোদের মানবিকতার আসন,
মানুষ মানুষের জন্য,
তাই বুঝি পৃথিবীটা এত মনোরম।

বলো না আর মন্দ মানুষে ভরে গেছে শহর,
তোমার মাঝেও কিছু মন্দ ওঁৎ পেতে রয়
সুযোগে তুমিও মন্দদের দলে যেতে পারো অনায়াসে
অচিরেই মনটারে বাঁধো মানবিকতা আর আন্তরিকতার সুতায়।

প্রকৃতি সুন্দর

আর কিছু নেই! সন্ধ্যার আলো খেয়ে
ফলের বাজার শুয়ে আছে
নিজেদের শোকসভা নিয়ে ব্যস্ত পেয়ারাগুলো;

বাবা, এককেজি পেয়ারা কিনতে গিয়ে
একটা চারা কিনে বাড়ি ফেরে
গাছ বড় হবে, তারপর ফল!মা কেবল হাসে-
কাঠবিড়ালি এখন শান্তিচুক্তি করতে পারো
আমি মধ্যিখানে মা-বাবার সংসার দেখি।

মেঘও রেখে যায় পাশে ভূমিষ্ট ছায়াডোর

কয়েকটি বিলাপ গেঁথে গেঁথে মেঘও রেখে যায় তার ভূমিষ্ট ছায়াডোর
পৃথক কোনো স্বার্থ নেই নিমগ্ন মাটিরও,
মেঘ ও মাটি পরস্পরের দেখা পেলে নিমিষেই মিতা হয়ে যায়
সবগুলো মিথ অস্বীকার করে তারা পরে নেয় একই পোশাক।
ভোরের পরিষেবা গ্রহণ করে সেরে উঠে সমগ্র ক্রান্তিকাল থেকে।
নদীরা নিরক্ষর নয়। তাই তারাও পড়তে পারে মেঘমাটির লিখিত
অঙ্গীকার।নিশ্চিত নিদ্রা চোখে নিয়ে যে চাঁদ শুয়েছিল অন্তরের
অগ্নিকোণে, তারও জাগার পালা শুরু হয়।
পালা করে আমরা পাহারা দিয়েছি যে ফালগুনের আভাস,
চেয়ে দেখি তার ঠিক দশগজ দূরে-
রূপসী বাংলা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন জীবনানন্দ দাশ।

দুটি কবিতা

প্রবাহিনী

দুঃখ বুঝিনা যা জমাট।

রাত্রিকোলে শিখণ্ডি নাচ প্রথম পেখম মেলে
মেঘলা দিনের রোদ-আঁচলে
তুমিই প্রথম নারী
অথবা হাজার জনের ভেতর একলা ছবি।

নদীও এমন আছে গভীরতা জানা যায়নি
যে নারী বয়ে যায় আমি তার সর্বশেষ প্রেমিক।
_____________________________

অসুখ

আমি মৌয়ালি- আমি চাক ভাংবো,
তোমার ভূগোল থেকে পৌঁছে যাব আমি,
পৌঁছে যাব অন্য কোথাও

জেগে ওঠো প্রেম

আসো গন্ধম বৃক্ষের নিচে সংসার পাতি।