বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

এই স্বাদ অমলিন

ড্রেসিংটেবিলের আয়না কোনো কিছু মনে রাখে না
না হাসি, না বিষাদের মুখ, যতবার সামনে দাঁড়িয়ে
মৃত্যুকে রেখে আসি, ততবার স্মৃতির সিথান হতে
কচ্ছপের বালিজীবন, সমুদ্র পেতে পেতে
কপালের পেশিতে জ্বরের তাপমাত্রা ওঠানামা করে
সমস্ত শরীর বেয়ে খেলে-ঘোড়াক্ষুর লাথির মতো
অ্যাম্বুলেন্স ভর্তি সবুজ হাওয়া,
নেমে আসে চেনা বিকেল-গহিন জঙ্গলের
পাতাঝরা আলো, মন চায়-আলোটুকু,
কোনো কাচের বোতলে মুখবন্ধি করে রাখি,
হয় না। দু অক্ষরের গান শোনালেও
দ্রুত সন্ধ্যা হয়ে ফেরে চড়ুইয়ের মতো-রাত;
দরজার চৌকাঠের পাল্লায় চোখ রাখি,
কোনো টোকা পড়লে, সাহায্য চেয়ে নেব।
দু ভ্রু’র দূরত্ব যতটুকু ঠিক তেমন,
এমন আগ্রহ গড়াতে গড়াতে বহুবার জ্বরের সঙ্গে
ব্রাত্য হয়ে উঠেছে,
আর তুমি লুট হয়েছ জেনে, দ্বিতীয়বার জন্মাতে চাই

কেন জ্বর হয়-হেলেঞ্চা?
এখন তো বিধৌত চৈতি দুপুর, ট্রাকভর্তি তাপ-
অথচ টানা শীত লাগে, ভিড় করে টেবিলের আঙুর,
শাদা ট্যাবলেটগুলোর ভেতরে একটা ঘুম প্রয়োজন
বুকের হিলিয়ামে জমিয়ে থাকা নিঃশ্বাসের সঙ্গে
জ্যোৎস্না ফুরোচ্ছে, সময় ফুরোচ্ছে, বোধহয় তুমিও।
কেবল জেগে রয়েছি, ক্ষুধার দিকে, ফাঁকা পথে-
অধিক যুবকেরা বারবিকিউয়ে ব্যস্ত, ধোঁয়া ওড়াচ্ছে
খাই-খাই কামড়ের শব্দ, ওরা থেমে থেমে হাসছে…

সিগারেটে দিয়ে দীর্ঘ টান

সিগারেটে দিয়ে দীর্ঘ টান
ভাবি শত হারানো কথা,
স্মৃতিতে ভরে উঠে প্রাণ
জাগে কত গোপন ব্যথা।

ধোঁয়ায় ঢেকে যায় মুখ
কাঁদে বুক ভরা শোক,
অন্ধকারে ডুবে জীবনের সুখ
দুঃখে ভরে কবিতার শ্লোক।

ফিরে নারে মৃত সময়
আর্দ্র হয়ে আসে বোধ,
বুঝেনা কিছু ক্ষ্যাপাটে হৃদয়
কেমনে শান্ত হবে ক্রোধ।

অগ্নিশলাকা

পোড়াতে ভালো লাগে
কাক প্রতীক্ষার মতো সময়
অগ্নিশলাকায় ছুঁয়ে দেয়া ঠোঁট

আজকাল পূণঃপৌণিক হারে শিখে নিচ্ছি
নিজবৃত্তে বন্দি থাকার সমূহ কৌশল

ভুল জায়গায় অন্ধকারের ছায়া পড়লে
সওদাগরী জাহাজ ভুলে যায় পথ
বাড়ছে শুধু শখের ঝোলাটার ভার
সূর্যদুয়ারে দাঁড়িয়ে গেছি এক পৃথিবীর দেনা নিয়ে

এখন পুড়তে ভালে লাগে
অগ্নিশলাকার মতোই শুধু সাবলীল অপেক্ষা।

তুমি নেই বলেই ভুলতে চাই

index

সঠিক মনে নেই তোমায়
শেষ কবে স্বপ্নে দেখেছিলাম !
হঠাৎ,
কেমন উচ্ছিন্ন শব্দে জেগে উঠি;
ফাল্গুনের আগে মাঘের হিম শীতে
বিবর্ণ জড়ানো এক ঘরের কোণে।

রাত্রির শরীর বেয়ে জোছনা ঝরে
সময় বৃত্তের কাটি মেপে মেপে
পৃথিবীর উঠোন জুড়ে।
যা কেবল’ই ভাবায় ঘুমের ভিতর
গোলকধাঁধার মতন অনন্ত মাইল।

চারদিকে গাঢ় অন্ধকার নীরবে ঝরে
ভোরের নীলকণ্ঠ পাখির মতন
শিশির কণা ছুঁয়ে ছুঁয়ে নরম ঘাসে।

অনেক রাত্রি হলে,রোজ ঘুম ভেঙে যায়;
নক্ষত্রের নিচে ধূসর বিষণ্ণ পৃথিবীটা
ভীষণ ফাঁকা মনে হয় তখন !

হলুদ রঙের আলোয় আকাশ ভরে গেলে
নদীর ধারে জলের গন্ধ মেখে
প্রকৃতির নিবিড় পলকে ইচ্ছে হয়,
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখতে।

পুরনো স্কুলঘর,
ভাঙা সাঁকোর নিচে নীরব স্রোতধারা,
আষাঢ়ের বিকেলে নরম ঘাসে হাঁটা,
কিংবা…
দখিনের ভাঙা বটগাছ,
একটি শেষ না হওয়া পৌষের রাত্রি
আজো আমায় পিছু ডাকে
নি:সূর্য নির্জন প্রাণে তুমি নেই বলে।
তুমি নেই বলেই রোজ স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে
হয়;
রোজ ঘুমায় বটে স্বপ্ন দেখার জন্য নয়।

তুমি নেই এই কথা ভুলে থাকার জন্য।

অমিত যাতনা

32

যে লহমায়
নিবিষ্ট আমার সমগ্র জীবন
যে হাসিতে নিরাময় ব্যাধি
যেই রমণীর চোখের জলে –
বুকে নামে বাণ,
উথাল পাতাল…
যার একটি চুম্বনে বেঁচে রই আমি
প্রাণান্ত প্রেমে…অনন্ত কাল ;
তারে আমি দিইনি কিছুই! …
এক চোখে রেখেছি হিজল
অন্য চোখে তমাল!
এক ধ্যানে ঘুমাক পিয়াসুর মন
অন্তরীপে উঠে ঝড়- অন্য যাতনে
পোড়ে মন… হাল – বেহাল!

আমাদের সম্পর্ক বিষাদের সুতায় গাঁথা

আমাদের সময়গুলো বিষাদের সুতায় গাঁথা,
সময়ের বুকে মনোমালিন্যের পাটি পাতা,
তাতে তুমি একাই থাকো শুয়ে, ঠোঁটে নেই মধু বুলি,
আমায় নিয়ে আকাশ পাতাল ভাবনা বুঝি, বুকে খেলে হোলি!

কী বিষণ্ণতায় কেটে যায় তোমার প্রহর, হাসীহীন
ইচ্ছে করে, কী আছে খুলে দেখি তোমার বুকের গহীন,
আমার স্মৃতিশক্তি অল্প, তাই ভুলে যাই বিবাদ
তুমি জ্ঞানী,প্রখর স্মৃতি তোমার, মনে তাই করে যাও ঘৃণার আবাদ!

কী করে সময় হেঁটে যায় বুকের উপর মর্মর সুর তুলে,
শুনতে কী পাওনা? নিজের মাঝেই বাঁচো, দিন দুনিয়া ভুলে,
আমার ভিতর হাহাকার সময় চলে যাওয়ার আক্ষেপ পুষি,
দোষী না হয়েও হই সদা সর্ব দোষে দোষী!

কর্কশ সুর আমার, এমন তো আল্লাহর দান,
মেনে নিতে পারো নি তুমি নাদান,
তোমার সুরেও কী আর আছে মধু মিশানো? করো অনুভব,
মনে যদি না থাকে সুখ, থাকলেও কী! বিত্ত বৈভব!

এত কাছে আমরা, অথচ যোজন যোজন দূরে,
আমরা ঠোঁট খুললেই বাজে কথা বেসুর সুরে,
ঠোঁট উল্টিয়ে দূরে সরে গিয়ে একা থাকি,
আর এদিকে সময় আমাদের দিয়ে যায় ফাঁকি।

কী এমন বাতচিত, যে একটুতে রেগে গিয়ে সম্পর্ক ভুলি,
সাজাতে পারিনি আর জীবন পাতা, হাতে আমাদের বিষণ্ণ রঙ তুলি,
আর কখনো পাবো না ফিরে ফুলেল সময়, নৈরাশ্যের জলে ভাসি,
বেঁচে থাকতে সময় দেখবে না আর আমাদের ঠোঁটে তুষ্টির হাসি।

নরক গুলজার

সন্ধ্যা উড়ে যাওয়ার পরে একটা
বিকেল পড়ে আছে
সুন্দরময়ী নরক গুলজারে প্যাঁচানো
দূরের কোনো তর্ক-আনন্দ আর
তানপুরায় লিরিক বিষাদের জন্ম;

স্রেফ আলাদা হতে গিয়ে সুস্বাদু ঘাই
ফিরে আসে দ্বিগুণ বিসর্গ হাসি নিয়ে
খ্যাতির মর্ত্য-চৈতির কবুতরি চাঁদ
সুতরাং এই মুহূর্তে প্রতীক্ষা ঝরে পড়ছে
সদ্য নীল অবসরে নিজের আয়ু
লিখতে লিখতে সুতোর ববিনে
সেসব নির্জন চোখের দৃষ্টি যেন
বাহাদুরি করাত, ঋদ্ধ-আছ কি তুমি?
শূন্যতল থেকে বলে উঠি, একটু নড়োচড়ো!

যাযাবর চোখ

ঝিমিয়ে গিয়েছে ক্লান্ত পৃথিবী
থর মরুভূমিতে আলো ফেলে দিশেহারা চাঁদ
চকচকে বালি ঢেউয়ের মত ছড়িয়ে যায়
দূর থেকে ভেসে আসা গান
স্বপ্নের নিবিড়ে জড়িয়ে রাখে
এমনি ভাবেই হয় কোনো মায়াবী রাত
এমনি ভাবেই স্বপ্ন দেখে কোনো যাযাবর চোখ
মেঠো বাঁশির সুর বিছিয়ে আছে আঁধারে
ক্যাকটাসের পাতায় অশরীরী বাতাস
দূরে বালির ওপর বসে থাকে সোনা ছেলে
ঘুম ঘুম চোখ মনে অনেক প্রশ্ন
অথবা প্রশ্ন কিছু নেই সব উত্তরই তার জানা

গোপন গায়েবানা

আমার সংগ্রহে এখনও রয়েছে কিছু গোপন পাথর। গায়েবি
ডাক জানা পাখির পালক। আছে কিছু জলরশ্মি— যে জলে
আলোর মশাল হারিয়ে গিয়েছিল একদিন। অপরিচিত নৌকো
তার গলুই ডুবাতে ডুবাতে, রেখেছিল যাত্রীদের নাম লিখে
কাঠের তলানিতে। ফুটো হয়ে ভরে যাওয়া জল,হরণ করেছিল
একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকার প্রথম চুম্বনের দীর্ঘ বিবরণ।

গায়েবি এলেম শিখে যে পাহাড় আমার বুকের সমান্তরালে
দাঁড়াতে চেয়েছিল, তাকে আমি কখনও হিংসে করিনি।
বরং বলেছি, আমার দেহ যে মাটিতে গড়া,
সেই মাটি দিয়েই গঠিত পর্বতের চূড়ায় একদিন
হারিয়ে গিয়েছিল আমার প্রণয়ের শুভ্র বিকেলগুচ্ছ।

উম্মুখ প্রেম

উম্মুখ প্রেম

লাল সাদা প্রেম
উম্মুখ বাউল মনের কি ভাবনাময়
দিন রাতের স্বপ্ন-
কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বুঝা কঠিন
তবু লাল সাদা
প্রেম- গড়ে গড়ে যাচ্ছে মৃত্যু সুখের
মাটি ছোঁয়া ঘাসে-
ঘাসে অথচ বুঝার শক্তি হয়ে উঠে না,
লাল সাদা গায়;
শুধু নেশায় নেশায় চলচ্ছে উম্মুখ প্রেম!
প্রকৃতি হেরে যাচ্ছে-
নিয়মের কাছে লাল সাদা মেঘে মেঘে;

১৩ ফাল্গুন ১৪২৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি’২৩

বাংলা ভাষা

ভাষার লড়াই

বাংলা ভাষা আমার মায়ের
ভালোবাসি খুবই,
কথা কই বা কাব্য লিখতে
ছন্দ মালায় ডুবি।

বীর বাঙালি রক্ত ঢেলে
আনল বাংলা ভাষা,
জনগণ তাই বেজায় খুশি
পূর্ণ মায়ের আশা।

সালাম রফিক বরকত জব্বার
বাংলা ভাষার তরে,
রক্ত স্রোতে ভাসিয়ে প্রাণ
আনে বাংলা ঘরে।

ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ
বছরে যেই আসে,
বাংলার মানুষ আনন্দেতে
জয় উল্লাসে হাসে।

ফুল দেয় সবাই স্মৃতিসৌধে
অনেক দোয়া মাগে,
ভুলে না কেউ ভাষা পেলাম
তাঁদের প্রাণের ত্যাগে।

স্বরবৃত্তঃ ৪+৪/৪+২

নারী তোমার পরিচয় প্রেমে নয় ভালোবাসায়

নারী তোমার প্রেম নয়, ভালোবাসা চাই প্রতিনিয়তে
তোমার যৌবন তো সূর্যোদয়ে শুরু; শেষ সূর্যাস্তে
সারাটা জীবন পাড়ি দাও অভিনয়ে মত্ত হয়ে
প্রেম পিপাসু হারামী নর যে কামের তাড়নায় তোমায় অধীর করে তোলে!

প্রতিটি প্রাণীর ডিম্বানু জাগে হয়তো মাসের শেষে
শুক্রানু ক্ষণেক্ষণে খোঁচা দেয় হারামী নরের দেহে
অসহায় ডিম্বানু জেগে ওঠার আগেই ঘুমিয়ে পড়ে শুক্রানুর সাক্ষাতে
বছর কেটে যায় ফেরেনা স্বরূপে; নারীর প্রেম অসার হয় পুরুষের কামনাতে।

নারী, তোমার ভ্রু-যুগল আমায় আকুল করে
তোমার ওষ্ঠাধরে যেন পদ্ম ফোটে প্রতিরাতে
আনত মুখ চন্দ্র-মল্লিকার মতো ব্যাকুল করে তোলে আমায়
তোমার অবয়ব দেখে বিভোর হই, প্রেমে নয় ভালোবাসায়।

নারী, তুমি শান্ত হও। ভালোবাসা ছড়িয়ে দাও বিশ্বময়
পতিসেবা, প্রেম কিংবা শুধু কামে নয় তোমার পরিচয়
তুমি ভালোবাসার বটবৃক্ষ, সম্রাট শাহজাহানের তাজমহল
কামের অভিনয় থেকে বেরিয়ে এসো নারী, ভালোবাসাময় জীবন করো সচল।

দুখিনী বর্ণমালা

Scr3

থমথমে বোবাকান্না,
অসহায় আত্মনিবেদনে দুখিনী মায়েরা,
শতছিন্নের বস্ত্রাবরণে একি হাল জননীর-
কৃষ্ণচূড়ার ভূষণে সজ্জিতা ছিল বর্ণমালা।

বাংলার গাঁথুনিতে জোর নাই আজ,
বিদেশি শব্দের চাষাবাদে শৈল্পিক সাজ,
করুণ! মৃত্যু ঘনিয়ে এলো বুঝি-
অভাগীর ভূষণ ছেঁড়া হলো বারংবার।

পলাতক গুণিজনে করজোড়ে প্রার্থনায়,
বাংলার রূপ কীর্তন শুনেছি,
শহিদ বরকত,সালামের রক্তের দাগে-
এই বাংলার চিরাচরিত রূপাঙ্কন।

আজ মলিন বদনে কেন মায়ের চেহারা,
উদিত হচ্ছে, করুণ কাহিনি অবলোকন-
দূষিত জনপদে কৃষ্ণচূড়ার রং ধূসর-বিষন্ন,
অভাগী দুখিনী বর্ণমালা।

দেয়ালিকার বড় অক্ষরে প্রাণহীন কথা,
চাটুকারের সমাজে লজ্জিত অক্ষরগুলো,
প্রতিবাদের মিছিলে সামিল হবে-
আবারো বেজে উঠবে ফেব্রুয়ারির গান।

কত শত কথা জমে আছে,
দুখিনী বর্ণমালার পরিচয়ে অস্বস্তিবোধ,
জরাজীর্ণ দেহটা নিয়েই-
ফেব্রুয়ারির জন্য মরমর বেঁচে থাকা।

চারপাশে থমথমে বোবাকান্না,
অসহায় আত্মনিবেদনে দুখিনী মায়েরা,
আর কতকাল অতিবাহিত হলে তবেই-
কৃষ্ণচূড়ার রাঙা রঙে সাজবে বর্ণমালা।

দুখিনী বর্ণমালার ছিন্ন ভূষণে,
আর কত কেতন উড়াবে?
থাম! বাংলার গাঁথুনি আগে,
পরে হউক বিদেশি শব্দের চাষাবাদ।

ঈষৎ ভ্রম

উপোস বইসা আছি। তিনজনে-
এক প্রকার অগোছালো ভ্রমে
ছেঁড়া রাত্রি-খিদা আর মাঝবয়স
অসুখের মতো ধারণ করে যাচ্ছে

তিনজন একসঙ্গে হেসে উঠলাম
স্লাইস পাউরুটির নুনকৃত গন্ধ
তিনকাপ চা মনে পইড়্যা আছে
সাংঘাতিক খিদা, খাইয়্যা দিলাম
বিন্দুর মতো; সকলে চুপচাপ-

এই ঈষৎ বেদনার পাশাপাশি
একজন ভাত রাঁধুনি দরকার!

বিমূর্ত সকাল

322

এই যে
এতো বাঁচার নেশা,
সুখের আকুতি,
জীবনের উন্মাদনা…
মগ্ন জুয়ার আসর, জেতার সম্ভাবনা…
প্রার্থনার গভীরে গুপ্ত প্রার্থনা
এত প্রাপ্তি-
এত দেনা
এত মোহ, মৌজ- মাস্তি;
ভোগের বাহানা!

এই যে
এতো হাসি.. বিনয়,
এই অভিনয়, রাগ- অনুরাগ, গড়িমসি..
উত্তর দেবে-
মৃত্যুর মোহনায় দু’ফোটা নীরব অশ্রু
অথবা রক্ত মিশ্রিত ঘাম!
কেউ না কেউ। কিংবা সবাই…
গোপনে বলবে- আসলে
“লোকটা কে ভালবাসতাম”!…
একটি বিমূর্ত সকাল
ধুয়ে যাবে বৃষ্টির শীতল জলে….