বিভাগের আর্কাইভঃ সাহিত্য

বিপ্লবের বহুবিদ ভ্রমণ

eliu

চে,
অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে
‘ছোটদের রাজনীতি’ পড়তে পড়তেই
আমি জেনেছি তোমার নাম!
আদৌ তোমার কোনো জন্মদিন
ছিল কী না –
তা,না ভেবেই আমি হিসেব করেছি
সূর্যের বয়স! এই পৃথিবীতে
অনেকগুলো সূর্য আছে;
অনেকগুলো বিপ্লব ভ্রমণ করে
বহুবিদ মেহনতী মানুষের পাঁজর-
তা জানতে জানতেই আমি লিখেছি-
চাঁদের গায়ে প্রিয় বিপ্লবীদের নাম।

চে,
৩৯ বছর সময় কোনো জীবনের
জন্যেই যথেষ্ট নয়!
কোনো বিপ্লবী বৃক্ষই এই সময়ে
মৃত্তিকায় গাড়তে পারে না শিকড়
কোনো নক্ষত্রই স্থির থাকতে
পারে না, পৃথিবী নামক গ্রহে !
তারপরও সমুদ্র লিখে রাখে
নিজের জন্মইতিহাস, যে আগুন
পোড়ানো ভুলে গিয়েছিল,
সেও যাপন করে অনন্ত জন্মঋতু।

চে,
বিপ্লব মানেই তোমার জন্মদিন!
যারা তত্ত্বকথা লিখে,
আর যারা প্রাণের বিনিময়ে আঁকে
বিপ্লব,তাদের মাঝ বড়দাগের পার্থক্য
থেকে যায়। কেউ মৃত্যু নিয়ে খেলা
করে, আর কেউ বরণ করে মৃত্যু!

চে,
তোমার জন্মদিন এলেই আমি
আরও কয়েকটি বৃক্ষ রোপণ করি,
আরও কয়েকটি পাখিকে মুক্ত করে দিই-
ওরা বেড়ে উঠুক।
ওরা উড়ে যাক।
যতদূর যাওয়া যায়-
যতদূর প্রাণে প্রাণে বেঁচে থাকে
দ্রোহ, ধ্বনি ও দৃষ্টি –
প্রজন্মের জন্যে আরেকটি
আকাশের বজ্রআঁকা সেতু।
🌹
#

চে গুয়েভারা-র জন্মদিনে
১৪ জুন ২০২৩, বুধবার
নিউইয়র্ক

ডালিমের দানায় সেই গল্প

ঘুড়ি ওড়ানো সকালে শিশুরা ছাই ওড়ায়, বোধহয়
পাখি উড়বে ভেবে, সারা নদী আর শস্য-পল্লিতে
সবকিছু স্বাভাবিক মনে করে। পাখির জুতো নেই
এমন করতালির সুরতহালে বারবার জন্ম পাচ্ছে
অনাগত শিশুর আনন্দ; পৃথিবী মেলে দেয় বটগাছ

আধুনিক দুপুর ভেঙ্গে বৃষ্টি হলে, মানুষ ঢুকে পড়ে
ছায়া পাকানো স্বপ্নের সত্ত্বায়, হাট পেরোলে-
ফর্সা সমাজ। কয়েক ভাগে বিভক্ত সুখ। রূপ-
ফুরিয়ে যাবার ভেতরে আমি অনেকটা নিজের
কাছে ফিরি। নিজেরে ভাড়া দিই, সংসারে। ফের
নিজেরে দেখতে ইচ্ছে করে। নদীর ড্রয়ার হতে
কে যেন ঘাম এনেছিল, মাটির মতো শরীর দেখে-

পতাকার সামনে দাঁড়ায়ে একবার স্বাধীন হলে
আমাদের শেষ দেখার জন্মান্তর রেখে যাওয়া
ইশকুলের কাকতালীয় সকল গান মুখোরিত হবে।
অসংখ্য চারাগাছ, ছুটির গলিতে বড় হওয়া
ডালিমের দানায় সেই গল্প, মাথার ভেতরে
লাল হতে থাকবে
গোধূলি ফুরিয়ে যাবার আগে আবার যা তা হব!

.
১৫ জুন ২০২৩

বাবা দিবসে … বিনিদ্র রাতের ভাবনা

স্তব্ধ শ্রাবণ রাতে
পেলাম না কবিতার দেখা,
মেঘেদের ডাকে বিদ্যুৎ রেখায়
অালোর নৃত্য চলে অন্ধকারের দুয়ারে।
মনে পড়ে……
বাবার বা হাতে আমার ডান হাত বন্দী
বাবা ডান হাতের ছাতাতে বৃষ্টির ঝাপটা সামলাতেন
আমার চেষ্টা ছিলো হাত মুক্ত করে এক দৌড়ে
পাকা রাস্তায় যাবো।

ভবিতব্য এনে ছেড়ে দিয়েছে
বর্তমানকালের চৌরাস্তা মাঝে;
বাবার ছাতাটি আজ আর কোথাও খুঁজে পাই না
আমার ছাতার নীচে নতুন প্রজন্ম সেই একই গল্পের নতুন শিল্পী।

বর্ষায় যেমন পুরাতন হলুদ পাতা খসে পড়ে মাটির বুকে তেমনি
স্মৃতির পাতা খসে খসে জন্ম নিচ্ছে আগামী প্রজন্ম

তবু কিছু রেখেছি মুষ্টিবদ্ধ হাতে….
পুরাতন গান নতুনের খাতায় কালো কালিতে এঁকেছি
বাবার চশমার মোটা ফ্রেমটির আমার চোখে
থেকে গেছে!
থেকে যায়?

অামার ছেলেবেলা রাতের শিশির হয়ে সবুজ ঘাসে ঝড়ে পড়ে
বাবার চশমা অমূল্য ভালোবাসার স্মারক বানিয়ে হৃদয়ে জমা রেখেছি
যখন সারা রাত জেগে বসে বসে
শিকড়ে স্মৃতির গল্প খুঁজি
গল্প খুঁজি!
জীবন খুঁজি?

শ্রাবণে রাতের মত আমিও রাত হয়ে যাই
চোখের বৃষ্টিজল শ্রাবণ রাতের বৃষ্টিজলে ধুয়ে নিয়েছি
আমি!!
খাঁচায় আমি?

বাবার সেই পুরাতন সাদা পাঞ্জাবি
কোথায় যেন হারিয়ে ফেলেছি
সেই থেকে…….. সেই থেকে
রক্তজবা চোখে নিয়ে বসে আছি…
আমার আর ঘুম আসে না।
==================♣♠

কদম পাপড়ি

কদম পাপড়ি ঝরা

কদম হেসেছিল বর্ষার কোণে
শাপলা বিলে ভেলা ভাসে- ভাসে
প্রাণচঞ্চল সাদা মেঘে ফাগ্লুনের লুকোচুরি।
আগুন যেনো সবুজপ্রান্তর দুর্বলা ঘাস
আইল পাথার আর থৈ থৈ খাল বিল
সবই আজ অম্লান কদম পাপড়ির ঘ্রাণ,
কৃষ্ণচূড়া রাস্তার মোড়ে রাঙা উঠন
তবু একাকার যত সব রূপালি সোনালি
স্মৃতিময় কদম চোখ- এখন আর কদম ছুঁয়া
হয় না- ছুড়াছুড়ি, অন্তরে কদম পাপড়ি।

০৪ আষাঢ় ১৪২৯, ১৮ জুন ২৩

কবিরা এরকমই যায়

[ খোন্দকার আশরাফ হোসেন- আপনাকে ]

দুহাতে তুলে রাখি কিছু বনঢেউ। আজ আমি কিছুই সাজাবো না।
না আকাশ, না পুষ্প, না আগুন। কারো গায়েই পরাবো না
নতুন কোনো পোশাক। কিছু অন্ধকার আমার প্রিয় হোক, কিছু
বিচ্ছেদ ছিন্ন-বিছিন্ন করুক আমার পাঁজর – এমন প্রত্যয় নিয়ে
আজ আমি নগরে বেরোবো যারা এর আগে দেখেছে মৃত্যু, যারা
এর আগে প্রেমকে পরিত্যক্ত ভেবে হারিয়েছে নিরুদ্দেশ, আমি
তাদের তালিকা বানাবো। তারপর এই জীবনকে বিদায় জানিয়ে
খুঁজে নেবো সমুদ্রজীবন। এই আয়ুকে মিশিয়ে দেবো কবিত্বের একক
অহংকারের সাথে। আর কবিতার বই খুলে সেরে নেবো কাটাকুটি।
জানি, কবিরা এরকমই যায়। কেউ জানে- কেউ জানে না। কেউ
ছায়া দেখে। কেউ খুঁজে পায়না রেখে যাওয়া মায়াচিহ্ন। কবিকে
শেষ পর্যন্ত যেতেই হয়। ঘুমে- ঘোরে আর ঘরের অদূরে। সে পংক্তি
আমিও লিখছি- ঠিক তার বিপরীতে, দেখা হবে অন্য কোনো ভোরে!

#
১৭ জুন/ ২০১৩
নিউইয়র্ক

কিছু কম হবে না, কিছু বেশিও না

এক
সাহার ফুটপাথ ধ’রে হেঁটে যাচ্ছি
লোকজন বেঞ্চিতে ব’সে চা খায়,
মাটিতে শুয়ে বেমালিক কুকুর।
মানুষ কার, তাই বা কে জানে

সাদা চপারের নীচে সলিড চলছে দুশোকুড়ি।
ট্যাক্সি অথবা মেঘলা দিন, লাল শার্ট কিম্বা কাকের
লাফিয়ে লাফিয়ে বাঁচা — পুরোটাই মনের ওপর।
একদিন আমরা অশ্বত্থগাছকে সম্বর্ধনা দিতে
রাজি হব। তার আগে শ্রীকৃষ্ণ এসে দাঁড়িয়েছে ওষুধের দোকানে আর শ্রীরাধা বিকেলে খোলে
ব্লাউজ সেন্টার

জীবন অল্প এসে বেশি চলে গেল
তর্জনীতে পেনসিল দাঁড় করানোর
খেলা খেলল প্রেম।

বেড়ালের বাচ্চা ছাড়া আদর করার কেউ আছ? —
সাহা একবার চেঁচিয়ে উঠেছিল!
একবার ফুটপাথে ঠেলা সাজিয়ে :
প্রতিটা ভোর পঁয়ত্রিশ টাকা,
যে আলোই ফুটুক — পঁয়ত্রিশ।

হে সাহা, মম হৃদয়ে রহ…

সন্ধ্যার আকাশ বড় মায়া‌বি

choo

মায়া‌বি আকা‌শের নি‌চে দা‌ঁড়ি‌য়ে
‌কিছু মায়া তুল‌তে চাই বু‌কে হাত বা‌ড়ি‌য়ে
‌মে‌ঘেরা স‌রে যায়
আকাশ তার বুক বিবর্ণতায় সাজায়।

‌তোমার বু‌কে দি‌তে চাই কিছু মায়া তু‌লে
‌মে‌ঘের মায়া পে‌য়ে তু‌মি য‌দি অহম যে‌তে ভু‌লে;
‌তোমার বু‌কের মায়া বু‌ঝি মে‌ঘেরা নি‌য়ে‌ছে কে‌ড়ে
‌সেই মায়াগু‌লো ফি‌‌রি‌য়ে আন‌তে চাই আকাশ হ‌তে পে‌ড়ে।

বু‌কে কিছু মায়া তু‌লে রা‌খো তু‌মি
ভু‌লে যাও অহম হিংসা যত গোয়ার্ত‌মি;
এক‌দিন নিঃস্ব হ‌বে, সব হা‌রি‌য়ে হ‌বে একা
পা‌শে কেউ নেই, কেউ কর‌বে না আর দেখা।

কী মায়াবী আকা‌শের রং,
আকাশ খু‌লে ব‌সে‌ছে সন্ধ‌্যায় রং‌য়ের আড়ং
তু‌মি সন্ধ‌্যার আকা‌শের নি‌চে দাঁড়াও এ‌সে
এক‌দিন মুগ্ধতার র‌‌ঙে যাও ‌ভে‌সে।

‌মে‌ঘের সা‌থে পা‌তো মিতালী
বু‌ক খু‌লে বসাও মায়ার ডা‌লি
মায়ার ডা‌লি‌তে কিছু ‌প্রেম রে‌খো কিছু ভা‌লোবাসা
সন্ধ‌্যার মায়ায় আচ্ছন্ন হও রা‌খি এটুকু আশা।

এত কিছু ভে‌বো না আর, আকা‌শে রা‌খো চোখ
‌বি‌কে‌লের ‌নি‌স্তেজ সূ‌র্যের মত হা‌স্যেজ্জ্বল ‌হোক তোমার মুখ
তু‌মি মায়াবী মানুষ হও, মায়ায় জ‌ড়ি‌য়ে রা‌খো সারা‌বেলা
মানুষ‌কে ক‌রো না আর একটু্ও অব‌হেলা।

(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, বিমান বন্দর জাদুঘর)

দান

বশীকরন মন্ত্র শিখেছিলে
সমর্পন জানোনি

অধঃপাতে যেতে যেতে
নিজেকে নিয়ে গেছো শেষপ্রান্তে
ভয়াবহ দাবদাহে পুড়ে গিয়ে দেখি
তুমি ক্ষমার অযোগ্য।

আজ কোন অনুতাপ নেই
নেই আক্ষেপ আর
হে পুরুষ, বহুবার মৃত্যু নেব
তবু তোমাকে নেবনা।

প্রত্যাবর্তনের কাল

কোথাও কী রেখে গেছে
সর্ষে ফুলের ঘ্রাণ?
তৃণের হরিৎ ছায়া?

এক চোখ বুজে পিপ-শোর দৃশ্যগুলো
দেখতে দেখতে
মনে হলো
এক্ষুণি সেই চিঠিটা লিখে ফেলতে হবে
যার খচড়া তৈরি হয়েছিলো পার্চমেন্টে,
হাজার বছর আগে।
লিখে ফেলতে হবে সেই গল্পটা
কীভাবে রঙ-বিভোর পাখির বুকে
বিঁধেছিলো পারিজাত কাঁটা।
গোলাপ আঁকতে গিয়ে
শুধু শূন্য এঁকে যাওয়া
সেই অসমাপ্ত ছবির কথাও
মনে আছে আমার……….

পাথর থেকে গড়িয়ে পড়া
বহুবর্ণ অক্ষরের গল্প বলতে বলতে
উড়ে যাচ্ছিল কাকাতুয়া
ঝুটিতে সূর্যের রং………

অতীতের ঘরে ফেলে যাওয়া
একটি পায়ের জলছাপ
একদিন খুঁজে পাবে কেউ; মনে হয়

ফিরবে সে, হাজার আলোকবর্ষ পরে।

চাঁদের মত তুমি

x167

ওই যে দেখ আকাশের চাঁদ
কী মধুময় হাসি তার,
মায়ের কোলে অবুঝ শিশুও
চোখ ফিরায় না আর।

বন্ধু তোমার মুখখান সদাই
হাসি হাসি মুখ,
মন চায় দেখি সারাক্ষণ তা
পাই যে হৃদে সুখ।

কতোবার চাই ‘ভালোবাসি’
বলেই ফেলি আজ,
তবু কোথায় পারলাম নাতো
পাই গো খুবই লাজ।

অমাবস্যার রাত হয় যখন
চারদিক ঘন ঘোর,
হই মন মরা তাই সবাই কয়
কী হয়েছে ‘তোর’ ?

আবার যখন হবো একসাথ
বলব আমার সাধ,
তুমি যে মোর হৃদাকাশের
ওই সে সুন্দর চাঁদ।

.
স্বরবৃঞ্জঃ ৪+৪/৪+১

আকাশে উড়ি ডানা মেলে

cchh

আজকে আমি পাখির ডানায় উড়ে যাওয়ার স্বাদ
করবো না আর ঝগড়া করে সময়টুকু বরবাদ
আজকে আমি আকাশ ছুঁবো, ইচ্ছে মনের মাঝার
হৃদ জমিতে বসেছে আজ ভালোবাসার বাজার।

ভালোবেসে বন্ধু আমার বলেছে আজ কথা
অনুভূতি সুখের তরে হয়ে গেল ভোঁতা।
আকাশে আজ উড়ি আমি কল্প ডানা মেলে
মেঘগুলো উড়ছে আহা নীলে এলেবেলে।

নীল বিরহ উবে গেল এক নিমেষে হাওয়ায়
উড়ুক উড়ুক খোলা হাওয়া আমার মনের দাওয়ায়,
মন খুলে আজ গাইবো সুরে মানবো নাকো মানা
এই পেয়েছি পিঠে আমার দুটো কল্প ডানা।

হাসবো জোরে উর্ধ্বমুখী দেখবো মেঘে শোভা
দিনখানি আজ আমার কাছে বড় মনোলোভা,
রোদ্দুর জ্বলে পাতায় পাতায় সজীব আমার সময়
কেউ করো না এসে হঠাৎ সময় আর অয়োময়।

মেঘের রাজ্যে যাই হারিয়ে ফিরাইয়ো না আমায়
কিছু সুখের ছন্দ তুলো জীবন কাব্যনামায়,
মনের সুখে থাকবো আমি উড়বো ঘুরবো ভাসবো
সুখের কথা করে স্মরণ একলা একা হাসবো।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

তবে কথা হোক

কথা হোক বনের আলোতে
জোসনায়-ভেজা চুলের স্মৃতি শুকাতে শুকাতে
বেদনায়,
বৃষ্টির লালিমায় মেঘ যেমন মুখ লুকোয়-
পরিণত ভোরগুলো গেয়ে যায় জীবনের জয়।

কথার আড়ালে থাকুক, অনেক কথার পাহারা
নিতে নিতে বর্ণময় নিশ্বাস-
জলের সমান্তরালে জল
ফুলের সমান্তরালে ফুল
সাজিয়ে আসুক কাছে,
জ্যোৎস্নাগন্ধ পেতে চায় যারা।

কথা হোক, রাত্রির বাহুতে রেখে চোখ
প্রতিবেশী পরাগেরা –
প্রণয়ের চিরসাথী হোক।

ইতিহাস

ধরো পৃথিবীর মধ্যভাগে রাখা হলো তোমাকেই
সাগর কিংবা মহাশূন্য পাড়ি দিতে হবে না।

পার হয়ে এসেছ হোমো স্যাপিয়েন্স-দের যুগ
আহ্নিক গতি – বার্ষিক গতি কি জানা নেই
উত্তর মেরু – দক্ষিণ মেরু সম্পর্কেও তুমি অজ্ঞ

প্রত্নতত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব, জিনতত্ত্বের মতো জটিল বিষয়
নিয়ে চিৎকার করছে ফারাও খুফুর পিরামিড
কান বন্ধ – দৃষ্টি অন্ধ, তুমি একজন বোবামানুষ

হায়ারোগ্লিফিকে লেখা মিশরীয়দের কৃতিত্ব, আদ
কিংবা সামুদ জাতির ইতিহাস মনে রেখেছে কয়জন?

পকেট উপুড় করে ফেলতে চাচ্ছি সব ইতিহাস
পৃথিবীর একটা অচেনা অন্ধ গুহায়
দৃশ্যের ভেতর যখন জন্ম নিচ্ছে অসংখ্য পাপ, নরকাগ্নি।

.
১৪০৬২০১৮

ভালোবাসা মানে

cat

ভালোবাসা মানে, বেঁচে থাকার যত আশা
ভালোবাসা মানে, কেউ সফল, কেউ নিরাশা
ভালোবাসা মানে, চোখে দেখা ঝাপসা কুয়াশা
ভালোবাসা মানে, একরকম ভয়ংকর সর্বনাশা।

ভালোবাসা মানে, হাসি গানের কতো তামাশা
ভালোবাসা মানে, আনন্দ উল্লাসের রঙ্গতামাশা
ভালোবাসা মানে, কাঁদতে হয় দিনরাত হরহামেশা
ভালোবাসা মানে, পাগলের মতো হয় বেদিশা।

ভালোবাসা মানে, বাসর ঘরে আনন্দের মেলামেশা
ভালোবাসা মানে, মাদকের মতো মরণ নেশা
ভালোবাসা মানে, কতো অভিমান কত গোশশা
ভালোবাসা মানে, গুরুদশা ভগ্নদশা চল্লিশা মরণদশা!

এর নাম হলো, স্নেহভালোবাসা প্রেম ভালোবাসা!

বুকে কাশি জমেছে বুঝি?

chh

বুকে জমেছে কফ তোমার, এক কাপ চা খাও
মাথায় ব্যথায় অস্থির এই যে চা নাও,
চা হলো এসব অসুখের বড়ি,
চুমুকে নাও শান্তি, ভাসাও সুখে জীবন তরী।

এমন হাসি খুশি ছাড়া
লাগে না পাগলপারা?
চুপচাপ এমন থাক যদি
দেহ মন হবে ব্যথার নদী।

এক কাপ চায়ের রইলো নিমন্তন্ন
মনটারে রেখো না ধুঁধু অরণ্য,
এবেলা ফুরফুরে কর মনের বাড়ি,
মুখটারে রেখো না জ্বলন্ত হাঁড়ি।

প্রজাপতি সময় যায় চলে ঐ
কিছু উচ্ছল সময় পেতে উতলা রই
চোখের কোণে বিষণ্ণতার বীজই বুনলে
জীবন হত বড্ড সুখের,তুমি মনের কথা শুনলে।

ঠান্ডা লেগেছে তোমার, কাশিতে ভেঙে যায় বুক
তবুও আমার জন্য অথবা চায়ের জন্য
রও না অপেক্ষায় উন্মুখ,
কেমন যেন তুমি নিরামিশি, হয়ে রো আদিম বন্য।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)