ট্যাগ আর্কাইভঃ শাওনের কবিতা

কিছুই রবেনা জেনো

Dhongso

ক্ষীরের মতো নরম মাটিতে রুয়ে দেয়া গোলাপের চারাগাছটা,
একদিন যৌবনে ভরে দেবে শতশত ফুলের ঘ্রাণে পুরোটা আঙিনা।
সুপারির ভরে নুয়ে যাবে একদিন তার সদ্য গজানো চারাটিও,
তারপর একদিন মরে যাবে এমন করে রুয়ে দেয়া সবকটি চারা।।
.
গ্রীষ্মের তাপদগ্ধ মাটি; উনুনের মত জ্বলবে তীব্র যন্ত্রণায়,
একদিন তারপর বর্ষায় ধুয়ে যাবে তার বুক; ক্ষয়ে যাবে কিছুটা।
এই যে নদী; কত জোয়ার/ভাটা, ভাঙ্গা/গড়া প্রতি মৌসুমে মৌসুমে,
থেমে যাবে একদিন মানুষ খাওয়া এই জলেদের ঢেউয়ের আন্দোলন।।
.
হাতের তালুতে লেখা ভালোবাসার ফুটে উঠা নামটিও,
একদিন মুছে যাবে হৃদয় থেকে; অনুভূতিরা হয়ে যাবে দৃষ্টিহীন।
বইয়ের পাতায় লেখা যত ইতিহাস; যত কবিতাচক্রের ছন্দ,
তাও একদিন মুছে যাবে, রবেনা তার অভিভাবকেরা।।
.
আকাশের এত ভরাট নীলের বুক; সাদা অথবা কালো রঙের মিছিল,
ঝরে যাবে কান্নার ঘোর লাগা দুপুরে; সন্ধ্যায়; রাতে কিংবা অন্যসময়।
হিমালয়ে জমা বরফের গভীর ঘন আস্তরণ; হীম শিশির,
সবকিছু হয়ে যাবে কোন একদিন আপন পরিচয় হারা।।
.
দু’চোখের কোণে বাসা বেঁধে জমা সকল স্বপ্নেরাও,
হঠাৎ একদিন ভেঙ্গে যাবে যেন মনে হবে স্বপ্ন কী জানতাম না কখনো।
এই পৃথিবীর সবকিছু, এই আমরা, আমাদের যাকিছু আছে,
এসব কিছুই রবেনা কোন একদিন, কিছুই রবেনা জেনো।।
.
০২/১১/২০১৮
ছবি: গুগল থেকে

নিয়মের খেলা

kd91_xlarge

অজস্র দক্ষ সংসারী পাখি,
হঠাৎ একদিন পথ ভুল করে,
হারিয়ে যায় অবেলার হাওয়ায়।
সারারাত পাহারায় থাকা,
নামহীন নক্ষত্রও আচমকা কখনো,
খসে পড়ে নিভে যায় গভীর অন্ধকারে।
এমনই কত যত্নে মোড়ানো ভালোবাসাও,
ধীরে ধীরে কোন একদিন,
মরে যায় কেবলই অবহেলায়।।
.
২৭/১০/২০২০

অনু কবিতা- ২৯৯

Exif_JPEG_420

তুই একা হেঁটে যা শিশিরের পথে,
কান পেতে শোন বাতাসের গুঞ্জন।
ছিঁড়ে দে সব ‍মায়ার বন্ধন যত,
পুড়ে ফেল স্মৃতির ডায়রিটা তোর।
নিজেকে আপন করে, গলা ছেঁড়ে গা,
বেঁচে থাকবার গান।।
.
২৬/১০/২০২০

অনু কবিতা- ৩০১

কোথায় যেন আজও রয়ে গেছে সে নিকটে আমার,
রয়ে গেছে তার আঙুলের ঘ্রাণ, শীতল পরশ।
পৌষ রাতের শিশিরের মতো সারা রাত ধরে,
আজও যেন ঝরে পড়ে সে বুকের ভিতর।।
.
১০/১১/২০২০

অণু কবিতা- ২১৫

হয়তো আকাশ, নদীজল, তীরের হাওয়া,
সব জেনে গেছে, তুমি কার নিবিড় বকুল হয়ে আছো।
কেবল বিষণ্ণ সন্ধ্যা, ব্যাকুল তিয়াসের কণ্ঠ জানে,
তোমার নাম কেবল খুদিত আমার বুকের গভীরে।।
.
০৩/০৬/২০১৯

স্মরণে নজরুল

নজরুল তুমি কই ? বাজাও বিষের বাঁশি,
সত্য ন্যায়ের পাল তুলে দাও অসত্যেরে ফাঁসি।
দারিদ্রে পিষ্টে যে জন মরে দাও তারে সুখ আনি,
নিষ্পাপ জনের লৌহ কবাটে দিয়ে যাও আঘাত হানি।।
.
মুছে দাও তুমি বিভেদ মানুষে সকলে করো একজাতি,
ঘৃণার দেয়াল ধুলায় লুটায়ে দিয়ে যাও প্রেমের খ্যাতি।
অত্যাচারে ঘাতে ঘাতে আজ মরিছে অবুঝ শিশু,
সকলের হিয়ায় বাঁধিতে দরদ এসো হয়ে আজ যিশু।।
.
নীতির মঙ্গায় ঘৃণিত হচ্ছে দেশ ললাটের নেতা,
সাম্যের গান আবার শুনায়ে প্রীতি দিয়ে যাও যথা।
দূরে তুমি থেকোনা আজি এই বঙ্গ হারায় প্রাণ,
তাবেদারী রোধে বিদ্রোহ করে সার্বভৌম করো দান।।
.
২৭/০৮/২০১৬

বৈপরীত্য

এবেলায় আমি খুব ভীষণ রকমের শান্ত প্রভাতের আকাশের মতো,
তবে ভিতরের অবস্থা ঠিক বিপরীত যেন বৈশাখী ঝরো প্রস্তুতি প্রতিক্ষণ।
আমার বাহিরে মাতাল করা পারফিউমের সে কী অপূর্ব ঘ্রাণ,
অথচ ভিতরে কী উপচে পরা ভ্যাপসা উৎকট গন্ধ।।
.
এইতো বেশ লাগে আমায় চোখে সানগ্লাস, হাতে ঘড়ি, নতুন মডেলের টি’শার্টে,
তবে ভেতরে এক উলঙ্গ বিশ্রী রকমের আমি রয়ে গেছে।
আমার বাহিরটা দেখে যে কেউ অনায়েসেই বলে উঠবে কী দারুণ টলটলে মুখ,
অথচ ভিতরে যদি কেউ দেখে তবে নির্বাক হয়ে যাবে, চোখের অন্ধত্ব কামনা করবে মুহূর্তেই।।
.
বাহিরে আমার কী নির্মল স্বচ্ছতা, ঝলমলে আলোক সভা যেন জোৎস্না ঝরে,
অথচ ভিতরে কোটি বছরের দাগ কাটা ভাঙ্গা কাঁচের স্তুপ বহন করে চলেছি।
হাতের তালু, কব্জি, আঙুল, পা থেকে মাথা অবধি কী দারুণ ফর্শা রঙের প্রলেপ দেয়া,
অথচ ভিতরে কী স্পষ্ট অন্ধকার যেমন চোখহীন কোন মানুষের কাছে পৃথিবীর রূপ।।
.
আমার বাহিরে মুখরিত বসন্ত, কচি ডোগার সে কী অনিন্দ্য নৃত্য পুরোটা জুড়ে,
অথচ ভিতরে এক বিষণ্ণ বিমর্ষ বিষাদে ঢাকা আকাশ, খরায় চৌচির ফাঁটা জমি।
নেই কোন ভালোবাসা, কারো ভেজা আবেগ, তীব্র উষ্ণতায় জড়িয়ে থাকা ছোঁয়ার সামান্য প্রয়োজন এ আমার বাহিরের বক্তব্য,
অথচ কী দাবী নিয়ে প্রতিক্ষণ আর্তনাদ করে ভিতরের সেই আমিটা তা কেউই জানেনা, কখনো জানেনি, জানবেওনা।।
.
২৯/১০/২০১৮

রমণী

এই যে পৃথিবী জুড়ে কতশত রমণী,
বিশ্বাস করো আর না করো,
এদের প্রত্যেকের ভিতরে আছে উদার আকাশ, মহাসিন্ধু।।
.
যদি একবার এদের কারো ভিতরে কেউ প্রবেশ করতে পারে,
তবে জেনে রেখো পৃথিবীর এই আকাশ, মহাসিন্ধু,
তার কাছে মনে হবে তুচ্ছের থেকেও বেশি তুচ্ছ।।
.
তবে মনে রেখো রমণীর ভিতরেই কেবল প্রবেশ করতে হবে,
কিন্তু বাইরের চামড়ার রং কিংবা দেহকে দুয়ার করে নয়।।
.
২৪/১০/২০১৮

অণু কবিতা- ২১৮

নিয়ন আলোয় তোমার শহর, জেগে থাকে রোজ।
ধূসর আঁধার ঢাকে আমায়, শূন্যতে নিখোঁজ।
তোমার পাড়ায় সুরের বাঁধন, বেঁধে রাখো গানে,
আমার ঘরে ব্যথার হাওয়া, বয়ে যায় আনমনে।।
.
০৮/০৬/২০১৯

ভালোবেসে দেখেছি

ভালোবেসে দেখেছি, এলোকেশী রমণীর প্রশস্ত বুকের ভিতর,
আমার নিঃশ্বাস ফেলবার জায়গাটুকুও পাইনি আমি।
কেবল প্রত্যাখ্যাত হয়েছি আমি উদাসী বলে, দিকভ্রান্ত বলে,
আমার এই উড়ন-চণ্ডী জীবনে কেউ বাসা বাঁধার সাহস করেনি।
.
সেবার বর্ষায় ভিজে ভিজে একগুচ্ছ কদম এনেছিলাম,
একটা পুষ্প বিলাসী রমণীও খুঁজে পাইনি সেদিনের আষাঢ়ে।
অনেক গভীর রাতে হাজারো কথা জমিয়ে বসেছিলাম,
তারপর শ্রোতাহীন গল্পেরা উড়ে গেছে ধূসর অন্ধকারে।।
.
ভালোবেসে দেখেছি, মায়াভরা চোখের রমণীর বুকে,
একটুও মায়া জাগেনি আমার জন্য।
অজস্র দেয়া কথা ভুলে রমণীর কাছে অবিরাম বর্ষার মতো,
দীর্ঘ আকুতি করেও পাইনি এতটুকু ভালোবাসার অল্প ছোঁয়া।
তারপর থেকে আমি একা, কেবল প্রত্যাখ্যানে ফিরে আসা,
নতমুখী হৃদয়ের অসহ্য যন্ত্রণায় কেবলই দগ্ধ হচ্ছি আজকাল।।
.
০৭/০৭/২০১৯

তোমার প্রতিফলে


আমার একাকীত্বের সময়গুলো কত যে বিষণ্ণ মনে হয়,
অথচ তুমি ভালোবাসি বলতেই সবটা সময় হয়ে যায় সজীব প্রাণ এক।
আমার শূন্যতা ঘেরা চারপাশ কত যে নির্জন মনে হয়,
অথচ তোমার গোপন স্পর্শে ফিরে পাই এক ভোর কোলাহল।
যখন আমার বিকেলগুলো ঝরে পড়ে শুকনো পাতার মতো,
তখন তোমার চোখদুটো; বিকেলগুলো রাঙিয়ে দেয় হাজার রঙে।
কেবল তুমি আছো বলেই আমার পুরোটা হৃদয় জুড়ে এত গান, এত ভালোবাসা,
যেন শুভ্র আবেশের ঝুম বৃষ্টিতে ভেজা প্রতিটা প্রহর।।
.
২৪/০১/২০২০

১৪ আগস্ট আমার জীবনে একটা বিশেষ দিন আর সেই দিনকে উপলক্ষ্য করে এই কবিতা পোস্ট করলাম…

অণু কবিতা- ২১০

মনে কি পড়ে…?
চেনা পথে দাঁড়িয়ে ছিলাম…
নত চোখে তাকিয়ে ছিলাম…
হারিয়ে যাওয়ার প্রবল স্রোতে…
তোমার নামটি ডেকেছিলাম…
ব্যর্থ বুকে সকল চেপে…
আমার দুহাত বাড়িয়েছিলাম…
.
৩১/০৫/২০১৯

মেঘ

তোমাকে ভালোবেসে মেঘ বলে ডাকতাম আমি,
অনেকদিন হলো তোমাকে মেঘ বলে ডাকিনা।
তোমাকে এখন আর অন্যকেউ মেঘ নামে ডাকে কিনা তাও জানিনা,
জানিনা এখন অন্যকারো বুকের ঠিক কতটা জুড়ে মেঘ হয়ে আছো।।
.
তবে আজকাল আকাশ মেঘলা হলে খুব জোড়ে জোড়ে ঐ মেঘেদের মেঘ বলে ডাকি,
ঐ মেঘেরা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে অঝোর বর্ষণে ভিজিয়ে দেয়।
মুছে দেয় আমার কান্না ঠিক যেন তোমার মতোই আদরের হাতে,
তখন মনে হয় এই মেঘ আর তুমি মেঘের মাঝে কোন ফাঁক নেই।
আজ এই ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের দিনে তোমাকে খুব মনে পড়ছে,
এমন হাজারো মেঘের দিনে তোমাকে খুব বেশি মনে পড়বে মেঘ।।
.
০৬/০৭/২০১৯

রবীন্দ্রনাথ নিয়ে আমার কথা


রবীন্দ্রনাথের কোন এক জন্ম বার্ষিকীতে আমার এক বন্ধুকে বলেছিলামঃ দোস্ত, আমার তো টু-জি নেটওয়ার্ক আর তোর তো থ্রি-জি নেটওয়ার্ক আছে, কয়েকটা রবীন্দ্র সঙ্গীত ডাউনলোড করতো শুনবো।
বন্ধুটি বলেছিলোঃ কিরে হঠাৎ ঠাকুরের গান কেন ?
আমি বলেছিলামঃ আরে হঠাৎ না, আমি মাঝে মাঝেই রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনি। তাছাড়া আজ তাঁর জন্মদিন তাই কিছু নতুন কালেকশন শোনতাম আরকি। আর উনি সম্মানিত মানুষ নামটা ভালোভাবে নিতে পারিস না ?
আমার বন্ধু উত্তরে বলেছিলোঃ রাখ তোর নাম, তুইও কি বাংলা সাহিত্য পড়ে পড়ে ঠাকুরের মুরিদ হয়ে গেলি নাকি ? আর শালায় বছরে কয়বার জন্ম নিছে ? কয়দিন আগেও না টিভিতে শোনলাম ভ্যাঁ ভ্যাঁ করতেছে। (জানিনা ও টিভিতে কী দেখেছিলো, সম্ভবত রবীন্দ্র সঙ্গীতের অনুষ্ঠান দেখেছিলো।)
তারপর আমি আর ওর সাথে এই বিষয়ে কোন কথাই বলিনি কারণ ওকে রবীন্দ্রনাথ বুঝানো আমার কাজ না আর ও জানেও না যে, এক রবীন্দ্রনাথ ছাড়া শুধু বাংলা সাহিত্য পুরোটা অপূর্ণই থাকেনা বরং বিশ্বসাহিত্যও ষোল কলায় পূর্ণ হয়না।
.
এরপর একদিন রবীন্দ্রনাথের জন্ম বার্ষিকী আসলো (২০২০ এ), দেখি আমার ওই বন্ধু রবীন্দ্রনাথের “অনন্ত প্রেম” কবিতাটি পোস্ট করে তার বিশেষ কাউকে ট্যাগও করেছে। (গভীর ভালোবাসা বুঝানোর জন্য অথবা তাকে মুগ্ধ করবার জন্য।)
আসলে রবীন্দ্রনাথের প্রতি এমন লোক দেখানো প্রেমিক/প্রেমিকা হাজারো আছে। সমান্য স্বার্থের জন্য এরা রবীন্দ্রনাথের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে পারে আবার ধর্মান্ধতার বসে তাঁকে গালিগালাজও করতে পারে। এদের আমি এড়িয়ে চলি কারণ যারা রবীন্দ্রনাথের মতো মহান ব্যক্তিত্বের ভালোবাসা নিঃস্বার্থভাবে বুকে ধারণ করতে পারেনা তারা কখনোই নিঃস্বার্থ প্রেমিক/প্রেমিকা হতে পারেনা।
.
অনেক আগে রবীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করে একটি কবিতা লিখেছিলামঃ
.
তোমার সৃষ্টি ধারায় খুঁজে পাই প্রেমের ঐকতান,
তুমি প্রেমে বেঁচে আছো, প্রেমেই হয়েছ মহান।
দিয়েছ তুমি ব্যথিত হিয়ায় প্রেমের চির সুর,
করেছ তুমি শানিত প্রাণ করে হিংসা দূর।।
.
আজও তুমি আছ সবার স্মরণে একই নামে,
চলে যাওনি রয়েছ মিশে ‘অনন্ত প্রেম’ শিরোনামে।
যেখানে ভুলের সয়লাব, আপন হতে চায় পর বারেবার,
সেথায় জাগাও উদার মানস আনন্দ সুখাধার।।
.
তোমাকে তাই রেখেছি মনের গহীন অন্দরে,
তুমি রবীন্দ্র, প্রেমের গান গেয়েছ ভুবন জুড়ে।
এ আমার যত প্রেমের সুর, দিলাম তোমার তরে,
‘সোনার তরী’তে মহাকাল পরে তুলে দিও থরে থরে।।
.
প্রেমে রবীন্দ্র রবীন্দ্রে প্রেম
০৬/০৮/২০১৬
.
আসলে রবীন্দ্রনাথের অংকিত নায়িকা চরিত্রের মতো শাড়ি পড়ে, কপালে ইয়া বড় টিপ পড়ে অথবা পাঞ্জাবি আর ধুতি পড়ে রবীন্দ্রনাথের নায়ক সাজলেই রবীন্দ্রনাথের প্রতি প্রকৃত সম্মান বা ভালোবাসা প্রমাণ হয়না বরং হঠকারিতারই প্রমাণ হয়। রবীন্দ্রকে ভালোবাসতে হলে রবীন্দ্র পড়তে হবে, জানতে হবে এবং বুঝতে হবে। আর তার পৃথিবীময় প্রেমের দর্শণকে অন্তরে ধারণ করতে ও তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
.
বিঃদ্রঃ রবীন্দ্রনাথের জন্ম বার্ষিকীতে পোস্টটি লেখা…
০৭/০৫/২০২০