বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

এইতো আমি

3179

এইতো আমি
অন্ধকারের অনন্ত সরোবর
থেকে জেগে ওঠা একখণ্ড সোনালী আলো।
কোন একদিন আমায় ছুঁয়ে যাবে
অপেক্ষার এই দৃষ্টিনন্দন দ্রাঘিমা পেরিয়ে
তুমি হয়তো দেখে নেবে আমায়।

এখন যেভাবে রয়েছে এই জল ছোঁয়া মাটি
বিস্তৃত এই সমুদ্রের জলসীমায়
কোন একদিন আবার ফিরে আসব
ফিরে আসবো অনন্ত স্বপ্নের জাল বুনে
হয়তো এখানে নেই ফসলের মাঠ
এখানে ঢেকে যাবে জীবনের গল্প গুলো
জন্ম থেকে জন্মান্তরের পথ ধরে …

যে জল ভেসে নিয়েছে আমায়
যে জল ভেসে নিয়েছে তোমায়
যে জল সাগরের বুকে চোখের কাজল মুছে দিয়ে
বেদনাত্মক জীবনের সূচনা করে।
তা একদিন গভীর ঘন মেঘ ফেরে ঢেকে দেবে তাঁর মুখ।

মাঝরাতে কিংবা শেষরাতে

3150

মাঝরাতে কিংবা শেষরাতে
… শিশিরের শব্দে
ঘুম ভেঙে গেলে পৃথিবীর ‘পরে
… খোলা আকাশে
ফুটফুটে জোছনার হলুদ বিছানায়
… তোমাকে দেখি।

কার্তিক কিংবা অঘ্রাণ,ঢের যুগ আগে
… ঐ মেঠো চাঁদ,
শসাফুল কিংবা শিশিরের হিম জল,
… শস্যের ক্ষেতে
হলুদ পাতারা ঝরে পড়ে রোজ রোজ
… ফসলের ঘ্রাণে,
ঘুম আর ঘুমন্তের পারাপারে চেয়ে।

… এই নদী কিংবা
ঐ দূরের পাহাড়,অথবা উত্তাল সাগর,
… বাঁশপাতা কিংবা
আকাশের তারা শুধু তোমায় দেখে
… রোজ জেগে থাকে।

সব দুঃখই পাখি হয়ে যায়

সব দুঃখই পাখি হয়ে যায়।সকল বেদনাই চৈতন্যের
জল হয়ে সমুদ্রে ভাসে। কোনো পরদেশী জাহাজের
পাটাতন তা ছুঁতে পারে, কখনও থেকে যায় অস্পর্শের অতল।

ঝড়গুলো বিভক্ত হয়ে প্রদক্ষিণ করে উত্তর এবং
দক্ষিণ মেরু। যারা পূর্বে থাকে, তারা তাকায় পশ্চিমে।
সূর্য ডুবলো বলে, জোনাকিরা গায়ে জড়ায় রাতের সন্ন্যাস।

দুঃখের অপর নাম সন্ন্যাস-সমুদ্র
বেদনার অন্য নাম কাকাতুয়া পাখি

যারা দুঃখ পেতে চায় না, তারা নির্বাক হাসে
যারা হাসতে ভুলে গেছে, তারা স্মরণ করতে
পারে না কান্নার সর্বনাম।

অথচ আমরা জানি,
আদম-হাওয়া একদিন কাঁদতে কাঁদতেই
পৃথিবীর পথযাত্রী হয়েছিলেন!

একটি স্বপ্ন অথবা দুঃস্বপ্ন

কিছুক্ষণ হয় একটা স্বপ্ন অথবা দুঃস্বপ্ন দেখেছি
তখন রাত যেমন নেই, তেমনি দিনও নেই
অক্ষরেখা বরাবর দিনবদলের তাবিজ কবচ আছে,
অথচ আমার আসক্তিহীন স্বপ্ন বেচারার
কোনো পুংলিংগ যেমন নেই, তেমনি স্ত্রীলিংগও নেই!

কিছু কিছু কবিরাজি ব্যথা আতশবাজির চেয়ে
কোনোঅংশে কম নয়, ওদের যতোই….. গোঁয়ার
গোঁফের আড়ালে লুকিয়ে রাখি না কেনো
মরিচ পোড়া গন্ধে ভালোবাসা ঠিকই টের পায়,
সে ভালোবাসার হয়ত কোনো উদাহরণ নাই
সে প্রথম প্রেমিকা, দ্বিতীয়া স্ত্রীর মতোন বাজখাঁই!

তবুও বেলা আর খেলা একদিন গড়পড়তা হবেই..
ভোজবাজির মতো নাভিমূলে জন্ম নিবে বটবৃক্ষ
সাগর পাড়ির আকণ্ঠ ইচ্ছায় জলাবদ্ধতার গণকবর
এতোকিছু হতাশার পরেও কে চায় দুঃস্বপ্নের রক্তচক্ষু
এরচেয়ে বরং পরের জন্মের কথা ভাবা যাক…
ভাবা যাক……. ক্ষমতা নয় ভালোবাসার উৎস!!!

তবুও আমি

স্মৃতি ঝরা অতীত ধূসর মেঘে অন্তহীন মনে হয়,
অনুভূতির কোনো রং থাকে না!
লাল হলুদ কমলা সব রকম বা –নীল রঙের
অতীতগুলো ঝরে পড়ে কুয়াশার মত!

এক পলক শুধু এক পলক চেয়ে দ্যাখো ঐ সীমান্তে,
যেখানে স্বপ্নরা আজো বেঁচে আছে!
ভোরের হাওয়ায় অনুভবে বলে যায় আছি অপেক্ষায়!

ধূসর মেঘে রঙিন স্বপ্ন হাসে, শরৎ হেমন্ত শেষে শীতের
কার্নিশে পাতা ঝরা বিষণ্ণ সমুদ্র!
তুমি আমি সেই আছি,তবুও সময় বিপরীত আমাদের;
আয়নায় ঝুলন্ত চিত্রে একই মুখোশে
ভিন্ন অবয়ব!

রং চটা ঘরে ময়লা কার্পেট ঝেড়ে ঘুমাতে গেলে শুধুই
মনে হয় এই আমি সেই আমি নই!

অতঃপর…
চোখ মুছতে মুছতে ঘুম ভাঙলে নিজেকে চিনতে ভুল
হয় না! সব কিছু ভুলেই সেই আমি!

শীতে ওম বাটে সকালের সূর্য

32

উষ্ণতা বাট‌তে পূর্বাশায় ‌জে‌গে ও‌ঠে সূর্য,
চা‌রি‌দি‌‌কে তখন বে‌জে ও‌‌ঠে মানু‌ষের ব‌্যস্ততার তূর্য;
বারান্দায় রোদ্দুর হুম‌ড়ি খে‌য়ে প‌ড়ে,
উষ্ণতা বিলায় সূর্য আমার ঘ‌রে।

আকাশ জু‌ড়ে কেবল সূর্যটাই একা হে‌ঁটে বেড়ায়,
মেঘ’রা দূর‌দে‌শে হয়‌তো, অন‌্য কোথাও নিরালায়;
বাংলার আকা‌শে শুভ্র মেঘ’রা আর নেই,
অ‌তি উষ্ণতা পালা‌লো আহা দিন কা‌টে আন‌ন্দেই।

এখা‌নে দি‌নের বু‌কে কুয়াশার আবরণ
‌শি‌শি‌রের র্স্পশে ‌দেহম‌নে জা‌গে সুখ শিহরণ;
আকাশ বিবর্ণ তা‌তে কী, হিম হাওয়ার তার বু‌কে উ‌ড়ে
‌দি‌নের গা ঢে‌কে যায় স্বচ্ছ আ‌লোর রোদ্দু‌রে।

আল্লাহর নিয়ামত ভরা এই দু‌নিয়ার বুক
কখ‌নো দুঃখও আ‌সে কখ‌নো বুক ভরা সুখ;
সূ‌র্যের আ‌লোর মতই ঝলম‌লে আ‌লোয় ভরা আজ মন বাগান
এখা‌নে বু‌কের কিনা‌রে সুখ‌ পোকা গায় শা‌ন্তির গান।

কান পে‌তে শু‌নি মানু‌ষের সুর সুরাসুর
যতটুকু সুখ পাই, আলহামদু‌লিল্লাহ ব‌লে কাটাই মোহ ঘোর;
তবুও র‌য়ে যায় বু‌কে অস্ফুট কিছু দুঃখ‌বোধ
দূর্ভাবনা মন উড়‌লেই নি‌ভে যায় সুখ ‌রোদ।

ব‌্যথা উ‌ড়ি‌য়ে নীল আকা‌শের বিবর্ণ মে‌ঘে
‌কোথায় রাখা আ‌ছে সুখ আ‌মি খুজি ‌আ‌গে
‌পে‌য়ে যাই সু‌খে বে‌চে থাকার উপকরণ
‌যেটুকু পাই স্ব‌স্তি দু’হা‌তে ক‌রিয়া লই বরণ।

.
(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

হিয়া

321

হৃদয় গলে বেরিয়ে আসা প্রাণের স্পন্দন
তুমি বললে অশ্রু
আগুনের খোলা চিতা হতে নির্গত আত্মা
তুমি বললে দীর্ঘশ্বাস!
একবার ও চোখে চোখ রেখে দেখলে না
বহমান নদীর নির্বাক ঢেউ….

বিস্মৃতির অতলে

রূপকথারা কবেই হারিয়ে গেছে
বিস্মৃতির অতলে।
পরিযায়ী প্রেম নিঃশব্দে ফিরে যায়
আপন নক্ষত্রলোকে।
একটা অসমাপ্ত কাব্যের মত
বিরান ভূমিতে ভালোবাসা পড়ে থাকে
একরাশ ঝরা ফুলের মত।

তবু তার সূত্র ধরে নিভু নিভু
শিখায় কাঁপে ফেলে আসা
মধুর মুহূর্তগুলি।

পিছনে পায়ের দাগ রেখে আসি

বিমুগ্ধ-আবেশ কেটে গেলে শরাব মিথ্যে হয়ে যায়
তবু লালপানির পেয়ালা হাতে বসে থাকি;
জীবন দোল খাচ্ছে অবিরত ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো।

এখনো এ ঘরের সব কোন ছেয়ে আছে শেষ বিকেলের সুরভি-মদিরা
এখনো মুছেনি তানপুরার শেষ ঝংকারের রেশ
গোধুলীর কনে দেখা আলোর ঘেরে ফুটি ফুটি সন্ধ্যামালতী
আকাশে পাখসাট বাজে- বিহঙ্গম ফিরছে কুলায়;
নিষ্প্রাণ স্ট্যাচুর মতো এক জোড়া মানব-মানবী
নির্বাক।ওদের সব কথা শেষ হয়ে গেছে।

তুমি তো জানতে –
চাঁদের কতটা গভীরে গেলে স্পর্শ করা যায় চরকাবুড়ির সুতো
আমাদের জন্য বাকী ছিল আরো এক তৃতীয়াংশ পথ।
ফিরে আসা যথার্থ ফিরে আসা হয়না আর
বারবার ভুল হয় প্রত্যাবর্তনের অলিখিত শর্তগুলো
অমলিন আঁকা থাকে পদযাত্রার ছাপ;

ফিরে আসি। পিছনে পায়ের দাগ রেখে আসি।

দিনলিপি

সকল দিন চলে যায়, ফিরে আসে না!
প্রাচীর; কেবলি অপেক্ষা-
গাছ সবুজ পোশাক পরিয়াছে
সোমত্ত হৃদয় থেকে শোভিত রং
ভেতরে উপশিরোনামের প্রগাঢ়
চুম্বনের উপলক্ষ, এমন তাই
এই কারণ সহজ করে মেনে নেওয়া
টের পায় নির্জন তিশিখেতের রোদ

এমন দৃশ্য, এত লোক পাঁজরে
তুলে নিচ্ছে যার-তার একজন,
ফুরফুরে কল্পনার অন্তঃসত্ত্বা
নিয়মিত গহীন খনিজের ধাতুজল
অস্থি-হাড় ছিটানো পাতার ভেঁপু
-হাওয়া, এই নির্ণেয়র দিনলিপি-
আকাশের তকমায় অনেক কথা-আর!

ইহা কোনো লিখিত অক্ষর নয়

পাথরদানার নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য থাকে না। এমন কী জলেরও, অনন্ত
জীবন পাবার থাকে না কোনো বাসনা। নদীর ঢেউ আর চোখের অশ্রুর
পার্থক্য দেখে যে চিত্রকর আঁকেন তার মূল্যবান চিত্রকর্ম, তিনি কি জানেন—
এই লিখিত অক্ষরগুলো একদিন রক্তলেখায় ব্যবহৃত হয়েছিল, এই শব্দের ফিনকি
সেরেছিল আমাদের ভালোবাসার সর্বশেষ উদ্ধার। যে কাহিনি পড়ে কেঁদেছিল
নক্ষত্রনগর— সেই মাটির বুকে এর আগেও হারিয়ে গিয়েছিল কিছু পাথর,
যাদের আকার ছিল অনেকটা অক্ষরের মতো।

ইহা কোনো লিখিত অক্ষর নয়। এই যে দেখা যাচ্ছে কালো কালো দাগ—
তা স্মৃতিমিত্র সেন-এর চোখের কাজল। কাঁদতে গিয়েই তা কাগজের বুকে
ঠাঁই নিয়েছিল। স্বভূমি ছেড়ে যাবার আগে—
এই নদীও তাকে বলেছিল, বিদায়— বন্ধু বিদায় !

একা মানে নিঃসঙ্গ নয়

3187

নিজের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অথবা অধীক সমর্থন থাকলেই যে নিজের বা নিজ পক্ষের অবস্থান সঠিক তা কিন্তু ঠিক না;
কখনো কখনো সংখ্যালঘু বা একা পক্ষও বিজয়ী হতে পারে বা সঠিক হতে পারে।

পৃথিবীর ইতিহাসে বেশির ভাগ কালজয়ী বিজয়ী বীরেরা তাদের যুদ্ধ বা পথ চলা একাই শুরু করেছিলেন, নবী রাসুলদের প্রায় সবাই তাদের বিশ্বাস ও প্রথা একাই শুরু করেছিলেন! সেই দলে আছেন অসংখ্য বৈজ্ঞানিক রাজনৈতিক ধর্মযাজক সহ অনেকেই।

এমনিতে বর্তমান সমাজে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ যারা অত্যাধিক তৈলবাজ, মিথ্যা অভিনয়কারী, দুমুখো আচরণকারী, হালে বড়লোক, এবং লোকদেখানো ভাবসাব…
এদের বাহবা পাবার সম্ভাবনা সবসময় বেশীই থাকে। কিন্তু দিনশেষে এরাই আবার মুখ লুকানোর জন্য জায়গা খুজে!..

আসলে মনে রাখা উচিত আপনি সবসময় একা!..
যতোই বন্ধু কিংবা তথাকথিত দোস্তোরা আপনাকে ঘিরে থাকুক না কেন দিন শেষে আপনার বিবেক (যদি থাকে) আপনার আত্মা আপনাকে একা করে দেয়,মুখোমুখি করে দেয় নিজের সামনে নিজেকে।

আরেকটা কথা মনে রাখা উচিত –
লৌকিকতা সবসময় ভঙ্গুর… আপনি হয়তো লৌকিকতার গন্ডিতে পড়ে গেছেন, আর নিজের অবস্থান কে ঠিক জাহির করতে একের পর এক মিথ্যা আবরণে সত্য কে ছাপিয়ে রাখছেন- কিন্তু কতক্ষণ? কতদিন?
একদিন না একদিন সত্য সূর্যের উদয় হবে
তখন সে যখন সমস্ত অন্ধকার গিলে খাবে তখন আপনি লুকাবেন কোন অন্ধকারে…?

(একা মানে নিঃসঙ্গ নয়)

ইনভিজিবিলিটি

gD

রাতগুলো কান্নার মতন এমন জরুরী নয়
এখানকার রঙ ওখানে ছড়িয়ে
কতই আর চিহ্নহীন হবে সাগর!

লোনা ঢেউছন্দ উঠে আসবে আরো কাছে
না চাইলেও ভাবতে হবে
ছিল না কেউ এখানে।

করুণ আর্তি যেটুকু দাঁড়ানো চোখের দরজায়
তাকে দেখা হয়নি এতকাল
যদিও দূরত্ব এক চোখ থেকে অন্য হাসি পর্যন্ত।

মিলিয়ে যাবে হাওয়ার কণ্ঠলগ্ন কাল
নেমে আসবার সময়ে দেখা হয়ে যাবে ফের
পাহাড় থাকবে শরীরে, মন সমতলে।

ঝরাপাতার গান

রাস্তার একপাশে মাথা নিচু করে হাঁটছিলাম
আমার সাথে হাঁটছিল একাকি ষোড়শী চাঁদ
হাঁটছিল আদমসুরত, সপ্তর্ষিমণ্ডল ওরাও..!

কেউ কোনো কত্থা বলছিলাম না.. না আমি
আর না ওরা; প্রহরের পর প্রহর শুকোয়
আচানক কথা বলে উঠে একটি গাছের গোড়া!

ইদানিং পাতাঝরার মতোন মানুষও ঝরে যায়
আকস্মিক উল্কাপাতের মতোন….
একবার মাটিতে গড়ালে আর কিছুই নাই!
তবু্ও প্রতিদিন হালনাগাদ করি জীবনের খাতা
কেবল ভুলে যাই জীবন মানে শুধুই ঝরাপাতা!

তু‌মি আকা‌শের মত মন ক‌রো এবার

321

অল্প‌তেই অতু‌ষ্টি ম‌নে, অল্প স্বার্থ দেখ‌লেই দূ‌রে চ‌লে যাও
‌তোমার কারণ শা‌ন্তি আমার উধাও
‌তোমার ম‌নের পথ কাঁটায় ঘেরা
তু‌মি আকা‌শের মত মন ক‌রে নাও।

তু‌মি আকাশ দে‌খো এক‌দিন, এমনই চাই
‌তোমার কারণ মন এ‌লো‌মে‌লো, এক বিন্দু শা‌ন্তি নাই
‌তোমার ম‌নের পথ এব‌ড়ো থেব‌ড়ো,
হাঁট‌তে গে‌লেই হোচট খাই।

তু‌মি আকা‌শের মেঘ দে‌খে এক‌দিন মুগ্ধ হও
আমায় ব‌্যথা দি‌য়ে কী ক‌রে এত শান্ত রও
‌তোমার ম‌নের বাড়ী পাথ‌রে পূর্ণ
এমন তু‌মি কখ‌নো যে আমার নও।

তু‌মি আকা‌‌শে তা‌কি‌য়ে দে‌খো এক‌দিন পা‌খির ওড়াউ‌ড়ি
‌তোমার ঠো‌ঁটের বু‌লি আগুন, নিত‌্যই ‌নির‌বে পু‌ড়ি
‌তোমার মন যেন আ‌গ্নেয়‌গি‌রি
ভা‌লো‌বে‌সেও মন কর‌তে পা‌রি‌নি চু‌রি।

তু‌মি এক‌দিন র‌‌ঙিন ঘু‌ড়ি উড়াও
‌কেন অযথাই বিষা‌দে পুড়াও
‌তোমার ম‌নের অ‌লিগ‌লি‌তে ‌ঝোপঝাড়
এক‌দিন এক‌বেলা না হয় ভা‌লো‌বে‌সে মন আমার সু‌খে জুড়াও।

তু‌মি মে‌ঘের হল্লা দে‌খে, মুগ্ধ হও, হও সুখী
‌তোমার সা‌থে কথা বল‌তে হরপল নি‌তে হয় ঝু‌ঁকি
‌তোমার ম‌নের প‌থ প‌রিচ্ছন্ন ক‌রো, শান্ত হও
ম‌নে কত প্রেম এক‌দিন আমার ম‌নে দি‌য়ে যাও উ‌ঁকি।

(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)