বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

খেয়াল

আয়ুরেখা আশ্বিনের মহিষ শিং শুইয়ে রাখে
সাঁওতালি বাতাসে রোজ শাদা অ্যাপ্রন
সেবিকার মতো দূর হতে শাদাকালো গান
ভেসে এলে যার স্পর্শ লেগে ওঠে নতুন অসুখ-
মশালের তাপে জ্বলে সুরমাদানি, প্রিয়মুখ;
যাকে চেয়ে চেয়ে কিছু গোপন পার্থক্য জ্বেলে
শান্তিপ্রিয় যন্ত্রণায় জেগে আমাকে টেনে নিই

আসমানে নদীটির পাশে, শিরদাঁড়া পথে-
আয়নার মতো আলগোছ আঙুলে কাঁপিয়ে
একতারা আর বড় মধুর ডাকনাম তোমার
শরীর ভেঙে পড়া অস্তগামী সন্ধ্যার মতো
নারীর ভেতরে দীর্ঘ হাইফেনে গেঁথে দিই
ফলত দুইটার পরিচয় মুখোমুখি-খেয়াল
এমন সংখ্যাহীন শাসন তো কেবল অদৃশ্য পারি!

জলরঙ স্বপ্ন

3168

এক স্বপ্ন থেকে আর এক স্বপ্নের দূরত্ব কয়েক আলোকবর্ষ!

দুই স্বপ্নের মাঝে এসে দাঁড়ায়
সাংঘাতিক ভুল, যা শূন্যতার মুখোমুখি হবার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

স্বপ্নের সারথি ছিল জলরঙ, তেলরঙ, গাছ, পাখি, নদী, ফুল, নৌকো।
কোন এক ঝড়ের রাতে কে যেন তছনছ করে দিয়ে গেছে, ভ্যান গঘের সোনালি ধানক্ষেত।

স্বপ্নেরা ছিল ক্ষণজীবী
মৃত্যুতে কেঁপে উঠেছিল
মেরুদণ্ড, স্নায়ু,মজ্জা, মাংস

আমি এখন স্মৃতি সাম্রাজ্যের পাহারাদার
জেগে থাকি হোয়াং হো-র বুক চিরে।
কোন রাতচরা পাখি ভুল পথে চলে আসে,
আর অবিরাম স্পষ্ট উচ্চারণে জেগে ওঠে
পুরনো রক্তাক্ত স্মৃতি।

নিরাপদ দূরত্ব রেখে সরে যাই এক পৃথিবী থেকে অন্য পৃথিবীতে।

চুমুকেই প্রশান্তি

3172

হেমন্তের রোদ এসে বারান্দা নিয়েছে দখল,
শীত নেই অল্প, উষ্ণতায় সময় আমার ভরপুর
ছুটির ফুরফুরে অবসর, নেই কাজের তাড়া,
উষ্ণতা ঠোঁট ছুঁয়ে, প্রশান্তি নেমে আসে মনে এক সমুদ্দুর।

অবসরের বুকে বসে ভাবনার বুকে নেই ঠাঁই
কি চেয়েছিলাম, পেলাম কী!
যা পেলাম সেতো অবহেলার বোয়ামেই তুলে রাখি
খুলে দেখার সাধ্যি নেই আমার,
ফুরফুরে বেলায়ও মন হলো বিমর্ষ।

চোখের জল শুকিয়ে যায়, চোখের জ্বালা রয়ে যায়
মনে কষ্টের ঘা থেকে যায় অনন্তকাল,
আমি এবেলা চুপ কথাদের ভিড়ে হারিয়েছি,
উষ্ণ জল ঢেলে দেই ইচ্ছে মনের গহীনে।

পুড়েছি যখন আরও না হয় পুড়ে হব ছাই,
আমার কোন অভিযোগ নেই
অথচ সময়কেই করি হরপল দোষী সাব্যস্ত,
সময় কেন আমার ফেললো এনে তুচ্ছতার ডাস্টবিনে।

রোদ পোহাই দেহে পাই আরাম
আর মন যে পুড়লো, কেউ করলো শীতল হিম কথায়,
অভিমানের দুয়ারে তালা দিয়ে বসে থাকি একেলা,
চায়ের কাপটাই ভাবনার সাথী আমার দিবারাতি।

মনের নাজুক পরিস্থিতি, সামলে নেই মহুর্মুহু,
এখানে সব দিয়েও তুষ্টি এনে দিতে পারি না কাউকে
সব দিয়েও নিজেকে শেষে খুঁজে পাই
অবহেলা সমুদ্দুরে কাটছি সাঁতার।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস৷ ঢাকা)

স্ট্রাগল

CYMERA_20221114_215654

স্বপ্ন বুনি প্রতিদিন, প্রতিটা মুহুর্তে
ব্যর্থের কুঠারাঘাতে স্বপ্ন টুকরো টুকরো,
হিংসার উনুনে জ্বলে
মানুষের প্রতি মানুষের ভরসার দাঁড়িপাল্লা।

মনের শেলফে থরথর করে সাজিয়ে রাখা
ইচ্ছেগুলিও দিনদিন আত্মহত্যার পথ খুঁজে,
কিম্বা খুন হচ্ছে কটু কথায়,
অথবা ব্যঙ্গ্যার্থ হাসির জোয়ারে ভেসে যায়।

হীনমন্যতার অন্তরালে আঁটকে
আজ দিক বেদিক কতজনের নোনতা অবজ্ঞায়!
যা হিসেব কষলে শুধু ভাগফল অট্টহাসি
তবুও মানুষ মানুষের জন্য গল্প লিখি।

স্বার্থপরতার এই যুগে
মিষ্টি ভাষার মানুষগুলো পর্বতশৃঙ্গে,
আর তুমি শুধু তোমার একাকী গন্তব্য পথে
যে পথ বড্ড মলিন; ফ্যাকাসে।

ধূসর রঙের দিন

316

সে দিনটি ছিল ধূসর রঙের, যূথিকা!
সূর্য তোমার বুকে মুখ লুকিয়ে রেখেছিল,
যখন তোমাকে আমি বললাম, বিদায়–যূথিকা!

বৃত্তের পরে বৃত্ত বসিয়ে প্রথম আলোই ভোরের পানপাত্রে
যেই তুমি বিদায় চুমু দিয়েছিলে আমায়,
সেই থেকে বিবর্ণ ছায়া তাড়া করে অন্তরীক্ষে!

জানো যূথিকা,
একটি ঘটনা শুধু মাত্র একটি সম্ভাবনা;
নচেৎ ডাহা মিথ্যা কিছু,
অথবা-আছে জীবনের গল্প, কিছু মেঘলা প্রতিচ্ছবি!

ধুলো মাখা শ্লেট, রং তুলি ক্যানভাস অস্পষ্ট চিত্র;
কুড়িয়ে পাওয়া কাঁকন খুঁজে নির্জীব হাত সঙ্গত!
প্রসঙ্গতই সে দিনটি ছিল ধূসর রঙের, যূথিকা!

প্রণয় কোন বস্তু না

images জলস্থল

ভালোবাসা তো কাঠ নাই
তাই চোখের বরাবর দরজা নাই;
অদৃশ্য চৌকাঠ শূন্যতেই
ঘুরা- রঙ বাহার ছবি শুধু আকাশ
কিংবা মাটির গায়ে অঙ্কন!
এতটুকু ভালোবাসার মাটি বাতাসের
গন্ধ যে উত্তর দক্ষিণ ভাসে
কেউ, তাকে কতখানি প্রণয় বলে মুখে;
অন্তরে ভালোবাসা লুকে-
অতঃপর প্রণয় জল স্থল কোন বস্তু না।

০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৪ নভেম্বর ’২২

মেঘের তোরণে

Hand holding heart.

অপূর্ব চাঁদনী মুখ তার ভাসে
অপার্থিব প্রেমের প্রত্যাশায়
নিশি জাগা পাখিরা বিষণ্নতার
বিকেল বেলা ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
আকাশে ভাঙা গড়া চাঁদ
মেঘের তোরণে ভেসে যায়
টুপটাপ শব্দে ঝরে পড়ে পাতা
তখন আকাশের অস্তরাগের লাজ
প্রতীক্ষার বিকেল গড়িয়ে যায়
মেঘের ভেলায় বয়ে চলে চাঁদ
তখনি পাতায় খসখস আওয়াজ
সে এল একরাশ ভালোবাসা নিয়ে।

ক্ষুধা না লজ্জা

315

বিকেলের বিষণ্ণ চোখ থেকে ঝরে পড়ে লাল অশ্রু
মাটি শ্রমিকের কোদালে এঁটে থাকা মাটি, চিটচিটে বগলে
ছেঁড়া ব্লাউজে প্রতীয়মান সংগ্রামী ইতিহাস!
যুদ্ধ কোন খেলা নয়, স্নান ঘাটে ভেসে যাওয়া বুকের পঙ্কজল
অথবা গুমরে উঠা অন্ত্রের ক্ষুধা… হাহাকার

ক্ষুধা বোঝেনা কবিতা
ক্ষুধা বোঝে গ্রাস, ভোগ…… ক্ষুধা বোঝে সঙ্গম

যুবতীর রক্তিম ওষ্ঠে গোধূলির হাসি
আকাশের বুক চিড়ে উঁকি দেয় মেঘের স্তন!
কোথাও কেউ বুঝতে চায়না ক্ষুধা না লজ্জায়
কিসের ভারে নুয়ে যায় -নদী সংলগ্ন কাশ বন!!

© কাব্যগ্রন্থ ” অচিন বুদবুদ” থেকে।

কয়েকটি ভোরের ইতিহাস

আমাদের আলোচনা চলছিল ঘরের সমুদ্রসীমা নিয়ে। আর কীভাবে বৃষ্টি গড়িয়ে পড়বে পাতার চালায়, তা নিয়েও ভাবিত ছিলাম আমরা। তবে এভাবে ঘর বদলে বাধ্য হবো, তা কখনো কল্পনায় ছিল না।

কয়েকটি ভোরের ইতিহাস’ও এর মধ্যে পড়ে নিয়েছিলাম আমরা। সূর্য উঠে কাকে প্রথম স্পর্শ করে, কোনো পতাকা মোড়া সকালে একজন যোদ্ধাকে কীভাবে সমাহিত করা হয় এর দৃশ্যাবলি’ও খুব কাছে থেকে দেখে নিয়েছিলাম। একটি রুমাল উড়াতে উড়াতে।

পোড়া ঘর, বিচ্ছিন্ন আগুনের ঘ্রাণ রেখে যাবার পরও মানুষ সেই ভিটেয় দাঁড়ায়। কিছু পায় কী না জানি না, তবে অন্যমনস্ক হয়ে চুম্বনে সিক্ত করে কালের নজর। তারপর বদলে দেবার অথবা বদলে যাবার প্রস্তুতি নেবার জন্য মুছে দেয় জীবনের শেষ আঁধার।

কয়েকটি পাতা,
সেই আঁধারে নিজেদের মুখ দেখে।

কবিতার কথা

একদা নিস্তব্ধ রাত্রির কাছে কাদঁতে শিখেছি
কত শামুকের পা সেদেঁছি, কত ঝিনুকে পা কেটেছি
তবুও একটা কবিতা লিখতে পারিনি!
অথচ একদিন শতরুপে ভালোবাসা এসেছিলো
যাত্রীর ভিড়ে নৌকোয় আমার ঠাঁয় হয়নি
এখন হাজার রুপে রুপালি ভালোবাসা আসলেও
আমার কোনো পরওয়া নেই.. কেননা
এখন আমি কবি নই, পথের মাঝেই পথ খুঁজি।

এখন আমি অন্ধকারে ডুবসাঁতরে হাঁটতে থাকি
যেদিকে কোনো জনমানুষ নেই সেদিকে
যে চাঁদ একবার কলংকে মরেছে,
সেই চাঁদের আর কলংকের এতো ভয় কী!
মাঝে-সাজে উঠোনে রোদ্দুর দেখে হেসে উঠি
আচানক পিপীলিকার মতো কেউ চেপে ধরে টুটি!
তবুও নাবালক ব্যাঙ এর মতো বৃষ্টিতে ছাতা খুঁজি
তবুও ভালোবাসা বলতে কবিতাকেই বুঝি…!!

তুমি তো চলে যাবে

তুমি তো চলে যাবে,
যাবার আগে আর কিছুক্ষণ
থেকে যাও…

যেমন করে থেকে যায়
ভোরের শিশির ঘাসের শরীরে শরীর মেখে।
তেমন করে থেকে যাও কিছুক্ষণ।

তুমি তো চলে যাবে,
যাবার আগে আর কিছুক্ষণ
কথা বলো…

যেমন করে রাতের বকুল
আর ভোরের শিউলি ঝরে পড়ে আমার উঠোনে।
তেমন করে তুমিও ঝরে পড়ো আমার ভিতরে।

তুমি তো চলে যাবে,
যাবার আগে আর কিছুক্ষণ
স্মিত হাসি হেসে যাও…

যেমন করে হাসে থুরথুরে বৃদ্ধ
মাঘের শীতে ভোরের সূর্য দেখে ওলের চাদরের
ভিতরে।

যাপিত জীবন

শোকাচ্ছন্ন অপরাহ্ণ পরে
অতৃপ্ত স্বপ্নগুলো তাড়া করে ফিরে,
আমি নিশিদিন পালিয়ে বেড়াই
নতুন ভোরের তরে।

সাজানো ঘর, চেনা পথঘাট
সব ভুলে, যাব চলে বহুক্রোশ দূরে।
যেখানে অতীতের দীর্ঘশ্বাস
ভবিষ্যতের ধোঁয়াশা মেঘ
কিছুই স্পর্শ করবে না মোরে।

না মৃত্যু, না জীবন
এ যেন মুক্তির অবগাহন,
পশ্চাদের নেই কোন টান
সম্মুখের নেই হাতছানি
রুদ্ধ হবে মৃত স্বপ্নের আনাগোনা
রবে শুধু বাঁচিবার তৃষ্ণা একটুখানি।

বহুপথ ঘুরে ভিন্ন দেশী ঘরে
স্বস্তি না হোক, শান্তি যদি পায় মন,
সেই স্বর্গেই হোক তবে শেষবেলার
মোর যাপিত জীবন।

শিল্পীত বাবুই

যেদিন চাইনিজ একটা গুলি
বাবুইয়ের শিল্পীত ঘরে আঘাত হানে
সেদিনই বুঝে গেছি এরা অসুন্দর,
শিল্পের মর্যাদা আশা করা
অবান্তর। এদের কুৎসিত মুখ অসুস্থ চিন্তা;
আমাদের মানসিকতায় মিশ খায় না।

আমাদের পৃথক যাত্রা। অসুন্দর মুখে
কিছু কালিমা মেখে দিতে হবে;
তিলে তিলে জড়ো করা শিল্প ধ্বংসের
প্রতিশোধ নিতে হবে।

নাজায়েজ হানাদার শিল্প বুঝে না,
সুন্দর বুঝে না। সত্য বুঝে না। তারা
মানুষ বুঝে না। অমানুষ, বর্বরদের
দিতে হবে শিল্প স্বাদ।

হানাদার বাহিনী যখন নালায়,
নর্দমায় হাবুডুবু খাচ্ছিল তখন শিল্পীত
বাবুই এক পায়ে দাঁড়ানো তালগাছে
বুনছিল নতুন কুটির।

শিল্পের ধ্বংস নেই, সত্যের মৃত্যু নেই
মানুষ ফিনিক্স মত পাখির মত; ধ্বংস থেকে উঠে
দাঁড়ায়। হানাদার পালিয়েছে, বাঙালি
শিল্পের গর্বে উঠে দাঁড়িয়েছে।

কী এক অন্ধকার মন পাড়াতে

সময় ফুরিয়ে গেলেও কী মনের ইচ্ছেগুলো যায় ফুরিয়ে,
দেহের রঙ বিবর্ণ হতে পারে মনে রঙ যায় না বুড়িয়ে;
মনের আকূতি কেউ শুনতে পায় না, বুড়ো বয়সে মন যার
কেউ আর বাসে না ভালো তখন, মন করে উজার।

অবহেলা পেতে পেতে কেউ অনন্ত যাত্রায় বাড়াতে চায় পা;
মনের ঘরে কত বড় বিষাদের ঢেউ তা যায় না মাপা,
একাকিত্বের বুকে সঁপে দিয়ে বুড়োদের, অন্যান্য’রা সুখ কুঁড়ায়,
সময়ের বুক হতে কিছু মোহ নির্যাস কুঁড়িয়ে মন জুড়ায়।

একদা সময় তাদেরও আসবে, সে কথা বেমালুম ভুলে
কেউ কেউ নিজের আমলনামায় একাকিত্ব রাখে তুলে;
বয়স বাড়লেই পরিবারের খাতায় সে পুরোনো জরাজীর্ণ পাতা,
কেউ খুলে না আলগোছে, দয়া মায়ায় আহ্লাদে তার জীবন পাতা।

দুঃসহ জীবন যেন যার যার, বিতৃষ্ণার ঢেউ অন্যান্যদের চোখে মুখে;
ওরাও ভাবে না একদিন অশীতিপর দাঁড়াতে এসে সম্মুখে,
বুড়োদের মনের ইচ্ছের খবরগুলো অজান্তেই রুমের ছাদে যায় মিশে,
একটা জরাজীর্ণ সময়ের বুকে কেউ কেউ হারান দিশে।

নিজের মত করে আর যায় না ধরা সময়, কী এক অন্ধকারে থাকে ছাওয়া;
তুমি যা করেছো বিগত জীবনে, তাইতো ভবিষ্যতে হবে তোমার পাওয়া;
খোঁজ নাওনি বুড়ো বাবার, অথবা মা’য়ের, নিয়েছিলে খোঁজ?
অবহেলা অবজ্ঞায় পার করেছো সময় রোজ রোজ।

বয়স তো ফুরাবেই এবং মৃত্যু অমোঘ সত্য
তুমিও হতে পারো বুড়োদের আনন্দ সুখে থাকার পথ্য,
কেউ সেবায় মন রাখো, কেউ রাখো অবহেলা,
যে যার মত ভবিতব্যে ভাসাবে স্বয়ংক্রিয়তার সুখ অথবা বিষাদের ভেলা।

নরম অপবাদ

মাটির স্তনে চুমু খেয়ে পড়ে রই
আমি এক সদ্যজাত শিশু
শুক্রবারে যে কবিতার জন্ম হলো

না হলে অনাধুনিক মানুষ হই
কেননা চারপাশে বড় হচ্ছিল
আধুনিক ট্রমা, প্রাথমিক চাহনি
নরম অপবাদ আর সাপ শিল্প

একটু পরে পরে ছুঁয়ে দেখি
স্বাদ, গূঢ় উত্তেজনা আর কৈশোর
এক পৃষ্ঠা ওলটাতেই ফের পৃথিবী
দুপুরের রিকশা ধরে ফিরছি
আবার নরম বিস্কুটের দোকানে
সুন্দরের হিলিয়ামে যাদুর চোখ!