বিভাগের আর্কাইভঃ অন্যান্য

ভুটান গোটা জাতি একটা বৃহত্তম পরিবার তাই সারা বিশ্বের বিস্ময় সৌন্দর্যের এই লীলাভূমি

প্রাকৃতিক নৈসর্গের লীলাভূমি ভুটান। আপেল, আঙ্গুর, কমলার দেশ ভুটান। করোনা মোকাবেলায় ভুটান বেশ সফল। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ২০ জন। একবার ভুটানে গিয়ে মোট ১২ দিন ছিলাম। ভুটানের আয়তন ১৪৮২৪ বর্গমাইল।জনসংখ্যা আট লক্ষের মতো। ৭০% বৌদ্ধ, ২৯% হিন্দু। ভুটানে মুসলমানের সংখ্যা মোটে ৭০০০ জন।

এখনো ক্রিজে টিকে আছে হিমালয় দুহিতা ভুটান। ভূবেষ্টিত এই দেশটি বিশ্বের কাছে এক রোল মডেল। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভুটানে কেউ মারা যায়নি। দেশটির শীর্ষ দৈনিক কুয়েনসেল তার অনলাইন প্রচ্ছদে এই অঞ্চলের আক্রান্তদের তথ্য দিয়ে চলছে। যেখানে ভুটানের নাম নেই। তারা লিখেছে, করোনা রোগী এই অঞ্চলে: ভারত এক লাখ ৬ হাজার ৪৭৫, সিঙ্গাপুর ২৮ হাজার ৭৯৪, বাংলাদেশ ৩২ হাজার ০৭৮, থাইল্যান্ড ৩০৩৩ এবং নেপাল ৪০২।

অবশ্য গোটা অঞ্চলের মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের থেকে অন্যরা অনেক ভালো অবস্থানে আছে। মালদ্বীপে করোনা রোগী ১২০৪ এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯১ জন। মারা গেছেন ৪ জন।
ভুটানে করোনা রোগী ২১ জন। প্রতিবেশী মিয়ানমারও উদ্বেগজনক অবস্থানে এখনো নেই। তাদের করোনা রোগী ২০৬ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০৮ জন। মারা গেছেন ৬ জন। যদি মনে করা যেতে পারে জান্তা শাসিত দেশটি যথেষ্ট তথ্য লুকানোর সুযোগ রেখেছে। শ্রীলংকাও অনেক ভালো অবস্থানে। শ্রীলংকাতেও মোট রোগী ১০৫৫ এবং মারা গেছেন মাত্র ৯ জন। নেপালে মারা গেছেন ৩ জন।

এই অঞ্চলের পাঁচটি দেশে মোট মৃতের সংখ্যা মাত্র ২৮ জন নির্দেশ করছে যে, সবটাই ছোট দেশ কিংবা জনসংখ্যা কম বলেই খাটো করে দেখা যাবে না। ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতার দিকটিকে উপেক্ষা করা যাবে না। এগুলোর কোনোটিই উন্নত নয়। এসব দেশের ক্ষমতাসীন নেতারা অবশ্য তাই বলে গর্ব করেন না। বলেন না যে, যুক্তরাষ্ট্র বা অমুক দেশের থেকে ভালো আছি। ভুটান সত্যি বিশ্বের বিস্ময়। এই পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়, বিশ্ববাসীর চোখ ভুটানের উপর। তারা দেখছে ভুটান কি করে মোকাবেলা করছে। চলতি সপ্তাহে বহু আন্তর্জাতিক মিডিয়া রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে, ভুটান কি করে সাফল্যের সঙ্গে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে।

গত সোমবার ইংল্যান্ডের হাউস অব লর্ডসে ব্যারোনেস বাসকোম্বে ভুটানের রাজার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ভুটান যেভাবে কোভিড–১৯ মোকাবেলা করছে, তার দক্ষতার প্রশংসা করেন। ভুটানকে অভিনন্দন জানান। ভুটানবাসির নিরাপদ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে ব্যরোনেস বলেন, মাই লর্ডস, আমি ভুটানের রাজার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি এবং তার জনগণকেও। কারণ তারা এই ভাইরাস অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে।

যখন এই ধরনের স্বীকৃতি আমাদেরকে একটা সুখানুভূতি এনে দেয়। কিন্তু আমাদের ভুললে চলবে না যে, এটা আমাদের সামনে আরো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। কারণ এখনও করোনা বিরোধী লড়াই শেষ হয়ে যায়নি। আমাদেরকে আরো অনেকটা পথ এগিয়ে যেতে হবে। আমাদেরকে যেটা অবশ্যই বুঝতে হবে, ভুটানকে বিশ্ববাসী কেন প্রশংসা করছে, তার কারণ বহু দেশ ত্রুটিপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এবং সেসব দেশে করোনা ভাইরাস এক ভয়ঙ্কর আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ভুটানবাসীর সৌভাগ্য যে ভুটানের সিংহাসনে এক সদাশয় বিচক্ষণ রাজা রয়েছেন। তিনি এই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। স্মরণকালের ইতিহাসে এরকমের মরণঘাতী ব্যাধি মোকাবেলার কোনো নজির বিশ্বের কাছে নেই।

এটা এমন একটা সময় যখন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ভাইরাসের রাজনীতিকরণে ব্যস্ত রয়েছেন এবং তারা তাদের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছেন। আর তাই অনেকেই মনে করেন, নেতৃত্বদান গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববাসী তাই সেদিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। আর সেকারণেই আজ বিশ্ববাসী শ্রদ্ধার চোখে ভুটানের চোখে চোখ রাখছে। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে বলছেন, কি করে সম্পদের অপ্রতুলতা এবং নানা প্রতিকূলতার মধ্যে থাকা ভুটান করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাফল্যের পরিচয় দিতে পেরেছে। এটা সম্ভব হয়েছে তার কারণ যেকোন প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে ভুটান এক জাতি এক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় দিতে পেরেছে। যেন গোটা জাতি একটি বৃহৎ পরিবার।

সামনের দিনগুলোতে আমাদের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে তা হচ্ছে বিদেশ প্রত্যাগতদের নিয়ন্ত্রণ। যেসব দেশ করোনা আক্রান্ত, সেসব দেশ থেকে যারা আমাদের দেশে ফিরে আসবে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করাই হলো ভুটানের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু অবশ্যই আমাদেরকে বর্তমানের চেতনায় সেই চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে হবে। সীমান্ত দিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর প্রবেশ সবথেকে বড় ঝুঁকি ভুটানের সামনে। আমাদের অবশ্য শক্তিশালী সার্ভিলেন্স পদ্ধতি রয়েছে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে এর উপর আমরা সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করতে পারি না। সে কারণে ব্যক্তি যিনি আক্রান্ত হবেন, তার সততা এবং নৈতিকতা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনি যদি সীমান্ত পেরিয়ে কোথাও ভ্রমণ করেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই টেস্ট সেন্টারে যেতে হবে। এবং আপনার ভ্রমণ বৃত্তান্ত প্রকাশ করতে হবে। তাহলে আপনাকে খুঁজে বের করা সহজ হবে। এমনকি সংক্রমণের বিস্তার রোধের ক্ষেত্রেও তা সহায়ক হবে। পত্রিকাটি বলেছে, আজ আমাদের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে এবং আমাদেরকে এই ধারা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। আমরা এমন কিছু করবো না, যা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপরে একটা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

ভুটান খাদ্য ঘটতি নিয়ে চিন্তিত। কারণ তাদের খাদ্যসামগ্রীর সিংহভাগই ভারত ও বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল। কুয়েনসেল অন্য একটি সম্পাদকীয়তে বলেছে, সীমান্তের ওপারের উৎসগুলোতে ঝুকি তৈরি হলে আমরা কি খাব, সেটা ভাবতে হবে এখনই।

(সূত্রঃ মানবজমিন)।

উড়ন্ত চিঠিতে শেষ জিজ্ঞাসা

প্রিয় মায়া
ঘ্রাণহীন কাগজের ফুলের মত নিশ্চয়ই ভালো আছো। তবে তুমি যেন সতেজ হও আর্শীবাদ রইলো। তোমার সাথে দেখা কিংবা কথা বলার আর কোনো সুযোগ হবে না তাই আমার মনের কিছু কথা রেখে গেলাম, যদি কখনো তোমার চোখে পড়ে সেই আশায়।

কতোটা অমানুষ হলে সব মানুষই দূরে সরে যায়?
কতোটা নিষ্ঠুর হলে ঝড়-তুফান বা মহামারীতে কেমন আছি কেউ খোঁজ রাখে না?
কতোটা দোষী হলে গর্ভধারিনী মুখ ফিরিয়ে নেয়?

কত? কত?

এতোটাই পাপ করেছি যে আজ আমি নিঃস্ব। আমি হিসেব মিলিয়েছি কতোটা আমি মূল্যহীন!
আমি স্বর্বস্ব হারিয়েছি, উঠে দাঁড়াবার মত শক্তি নেই।
এই পঙ্গুত্ব জীবন নিয়ে পৃথিবীর রঙ-তামাশা দেখার চেয়ে পৃথিবীকে বিদায় জানাবো বলে আজ আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি।

তুমি আমার আক্রোশ দেখেছো কিন্তু আক্রোশের কেন সৃষ্টি বুঝারো চেষ্ঠা করোনি। আমি চলে যাওয়ার পর হিসেব কষে নিও।

তবে সত্যি আমি তোমাকে ভালবাসি, যথেষ্ঠ ভালবাসি। কিন্তু ভালবাসার মানুষকে যে মুখে অপমান আর আঘাত করেছি সে ভালবাসার কোনো মূল্য নেই। নিজের পালিত কুকুরটি যখন উন্মাদ হয় তখন তাকে মেরে ফেলতে হয়। আর তুমিও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছো।

যাবার বেলায় কয়েকটা বেশ উপাধি নিলাম-
মিথ্যুক, মিথ্যাবাদী, ক্রিমিনাল, প্রতারক, বোক…..!

আমি আমার দোষে নিজেকে দন্ডিত করলাম। আর তার শাস্তি ফাঁসির দড়িতে মৃত্যু নিশ্চিত করা।

ভালো থেকো প্রিয় মায়া, ভালো থেকো প্রিয়তমা। অমবস্যা যেন তোমায় না ছুঁয় সে প্রত্যাশায়…

ইতি
তোমার কোনো একসময়ের
অবলা অবুঝ বালক

ভালো নেই

ভালো নেই
ভালো থাকার ইচ্ছেটাও সাত-সমুদ্র দূর
রাগটাও এখন আর হয় না, যেন শীত ভোরের শীতল জল
অনুরাগের কণাগুলো বেসমালভাবে লাঞ্ছিত
কারো জন্য উচাটন নয় শুধু হাজার প্রশ্নের তুফান
সহানুভূতির মৃদু পরশে উত্তরটা চাই
টিপটিপ জোনাকির আলোয় আর জ্বোৎস্না ভেজা রাতে,

তুমি আজ ঝিঁঝিঁ পোকা
নিস্তব্দ রজনীতে তারা গুনি অসহ্য যন্ত্রণায়
প্রতিশ্রুতির হিসেব কষি ভাগফল বরাবর শূণ্য
অরক্ষিত টান পথে প্রান্তরে
নিতান্ত ভালবাসার নিশ্চুপ হাহাকারে,

মিষ্টি হাসি ঠোঁটে লেপ্টে বলেই কি ভালো আছি!
সেই নর্তকী সমুদ্র, কিচিরমিচির পাখিদের অরণ্য, নাম না জানা সুগন্ধ মিশ্রিত বাতাস
সব ঠিকই আছে শুধু আমি শুনতে পাই কর্কশ সুর, নিষ্ঠুর ভয়াল অমবস্যার গান,
দেখতে পাই প্রতিটি মানুষের কপালে স্বার্থের টীকা
কষ্টের তীব্র তাপদহে চৌচির স্বপ্নের সাজানো বাগান
ভালবাসি” শুনলে আঁতকে উঠি কে যেন বিষাক্ত তীর ছুঁড়েছে কর্ণকুহুরে
ইচ্ছে, স্বপ্ন, ভালবাসা অহেতুক চাহিদার তামাশা
বেদড়ক শ্বাস জিয়ে আছে বলেই হয়তো বলি ভালো আছি।

এক মুঠো সুখ পাবো বলেই হয়তো ভবঘুরে
তাই
আমি আমাকে বিলিয় দিলাম আমরণ।

সময় থাকলে পড়তে পারেন

সময় থাকলে পড়তে পারেন-
মাঝে মাঝে শরীরের দিকে তাকায় আর আশ্চর্য হয়। একটি শরীরে কত লক্ষ নিওরন, কোষ ও কলা থাকে আমার জানা নেই। তবে সাধারণ মানুষ হিসেবে এতটুকু জানি- এই শরীরে সুন্দর নিয়ম মেনে চলে। যেমন আমরা খাই সেটা থেকে রক্ত , পুষ্টি ও শক্তি তৈরি, হাড় ও রক্ত- মাংস তৈরি হয়। শরীরে প্রশ্রাব পায়খানা আলাদা আলাদা জায়গায় জমা হয় এবং সেগুলো শরীর মলমূত্র হেসেবে ফেলে দেয়। আমরা যদি শরীরের দিকে তাকায় অবাক হয়ে যাবো। চোখ কান কণ্ঠ মাথা কি সুন্দর নিয়ম মেনে চলে।

যেমন আমরা কণ্ঠের মাংস নড়িয়ে কত সুন্দর কথা বলি। জিহ্বা দিয়ে বিভিন্ন স্বাদ নিই, ত্বক দিয়ে অনুভব করি। আবার মন দিয়ে, মস্তিষ্ক দিয়ে ভাবি বা চিন্তা করি বা উপলব্ধি করি। শরীর এমন একটি প্রক্রিয়া আজ যৌবন কাল বার্ধক্য নিয়ম মেনে চলে। এখানে প্রতিনিয়ত নতুন রক্ত তৈরি হয়, কোষ তৈরি হয়। শরীরটাকে আল্লাহ সুন্দর করে চামড়া দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন।

আবার আমরা যে শরীর নিয়ে আছি সেটা কত বড় জীবাণু সমুদ্র বা রোগ বালাই মোকাবেলা করে টিকে আছে-ভেবেছেন কি? মাঝে মাঝে ভাবি মাত্র তিন দিন যদি প্রশ্রাব পায়খানা আল্লাহ বন্ধ করে দেন কিংবা শরীরে যদি মাত্র দুই দিন কঠিন কোন ব্যাধি হয়- তাহলে কি করে থাকতে পারব। কিংবা কয়েক মিনিট যদি অক্সিজেন না পায় তাহলে—?

(‘বস্তুত চোখ তো অন্ধ নয়, বরং অন্ধ হচ্ছে বক্ষস্থিত হৃদয়।’ – আল কোরআন)

যদি আর কখনো ফিরে না আসি…………..

করোনার আতঙ্কে করিডোরে বন্দি জনজীবন
জনশূন্য হয়ে গিয়েছে নগর,
ফুসফুসে বসুন্ধরা অবরুদ্ধ চারিদিকে মৃত্যুর মিছিল
হৃদপিণ্ড ছেঁকে ছেঁকে নিচ্ছে অক্সিজেন,
কর্তব্যের কড়া নজরে চব্বিশ ঘন্টা মানুষের সামাজিক দূরত্ব বাস্তবায়নে
এই উন্নতশীল দেশে আত্মরক্ষাহীন ভাবে
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ডাক্তার নার্স,
বর্তমানকে উৎসর্গ করে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে অনাগত উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সুন্দর পৃথিবীর জন্য,
এ কঠিন মুহূর্তেও তোমাকে চাই
অদ্রি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ভরিয়ে দিও তোমার প্রেমে ওষ্ঠ অধর,
ভালোবেসে এই প্রণয়ী দগ্ধ হৃদয়কে শীতল করে দিও
চলুক জলস্রোতের মায়ার লহরে এক প্রণয়ী ঢেউ,
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে স্বীকারোক্তি দিবো কঠিন মুহূর্ত গুলোতেও তোমার প্রেমে ডুবিয়ে দিও,
তোমাকে ভালোবেসে ধন্য আমি সুপ্রিয়
এ মহামারিতে যদি মরে যাই যদি আর ফিরে না আসি
যদি গ্রাস করে ঘাতক করোনা ভাইরাস,
যদি আর কবিতা লিখা না হয় এই সময় যদি মৃত্যু মৃত্যুর মিছিল আমাকে করে আহ্বান,
এমন লকডাউনে স্তব্ধ শহরে যদি বন্ধ থাকে সকল পরিবহন
জন অনুপস্থিতি ছাড়া যদি এই সমাধি হয়ে যায়
ভয়ে কেউ না আসে জানাজায়
তুমি কি ভুলে যাবে আমায় ?
স্মৃতি গুলো ভাঁজ করে রেখে দিও মনে রেখো শহীদ স্বরণে
অনুভব করো কবিতার প্রতিটি চরনে,
ক্ষমা করে দিও সুপ্রিয় যদি আর কখনো ফিরে না আসি………….

— ফারজানা শারমিন
১৩ – ০৪ – ২০২০ ইং

১০ টাকায় ১ কেজি চাল

তিন দিন হলো চুলা জ্বলে না রহিমা বানুর।
ঘরে এক মুঠো চাল নেই। দুই মেয়ে আর এক ছেলে ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদছে।

মহামারি করোনা ভাইরাস এর জন্য সরকার সব কিছু লক ডাউন করছে। মানুষের বাসায় কাজ করে চলতো সংসার। এখন সেটাও বন্ধ।

এর ভিতর কোথা থেকে শুনছে ১০ টাকা কেজি চাল দিচ্ছে। টাকা বলতে হাতে মাত্র ৫৫ টাকা।
তবুও এক বুক আশা নিয়ে গেলো চাল নিতে।

কাদের মোল্লা জানালো সব চাল শেষ। অনেক অনুয় বিনয় করেও রহিমা বানু এক মুঠোও চাল পেলো না।

ভেজা চোখে যখন হেঁটে আসছিলো তখন কিছু ছেলে রাস্তায় স্লোগান লিখছিলো
” শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ । “

তু‌মি আমার শাকচুন্নি

তু‌মি আমার শাকচুন্নি
তু‌মি মর‌লে গরু জবাই ক‌রে মাংস বেলা‌বো
হ‌বে অনেক পু‌ন্যি
তু‌মি আমার শাকচুন্নি
তু‌মি প্র‌তি‌দিন ব‌েঁ‌চে থাক
আ‌মি প্র‌তি‌দিন ম‌রি
রাত হ‌লে বেশ ভা‌লোই লা‌গে
সকাল হ‌লে – তোমার কা‌লো ত্ব‌কের চেহারা
ম‌নে হয় ভুত পেত্নী
তু‌মি আমার শাকচুন্নি

তোমার হা‌তের রান্না খে‌য়ে তৃ‌প্ত হ‌য়ে ম‌রি
‌তোমার ধোয়া জামা প‌রে রাস্তা দি‌য়ে চ‌লি
প‌রের সুন্দর বউ দেখ‌লে ভা‌বি ব‌লে ডা‌কি
হা ক‌রে , ফ্যাল ফ্যাল ক‌রে চোখ ছানা ক‌রে ফে‌লি
তু‌মি হ‌য়ে যাও আবার আমার শাকচুন্নি

প্র‌তি‌দিন অনেক ভা‌লো ভা‌লো কথা ব‌লো তু‌মি
‌তোমার আদর খে‌য়ে খে‌য়ে রাত দিন শুধু ম‌রি
আদরগু‌লো ফু‌রি‌য়ে গে‌লে
তু‌মি হ‌য়ে যাও আবার আমার শাকচুন্নি

তোমার হা‌তের চা খে‌য়ে
‌তোমার খুব প্রশংসা ক‌রি
‌টি‌ভি খু‌লে সুন্দর নারী দেখ‌লে
তু‌মি আবার হ‌য়ে যাও আমার শাকচুন্নি।

কভিড নাইনটিন….

কভিড নাইনটিন……………

প্রযুক্তিভিত্তিক পৃথিবী দখলের অহর্নিশ প্রয়াসে
আর বিজ্ঞানের উপর নির্ভর করে নতুন প্রজাতির আবিষ্কার,
সৃষ্টি ও ধ্বংসের সকল কলাকৌশল নিয়ন্ত্রণ আজ মানুষের হাতেই,
আকাশে বাতাসে নিপীড়নের ক্রন্দন, ঘৃণা ও বিদ্বেষ
আর জঘণ্য ভয়াবহ সন্ত্রাসী কবলে আজ ক্ষুদ্র সমাজ সম্প্রদায়,
ক্ষমতার দম্ভে পৃথিবীতে শুরু হয়েছে কলঙ্কিত অধ্যায়,
অথচ ক্ষমতার পতন ইতিহাসের ধ্রুব সত্য,
কভিড নাইনটিন আজ তারই নিদর্শন
উহান থেকে সমস্ত চীন এমনকি বিশ্বে ছড়িয়েছে,
ক্ষুদ্রতম এই ভাইরাসে বিশ্ব আজ স্তব্দ
সমস্ত ক্ষমতার দাম্ভিকতায় আজ ফাঁটল ধরেছে
মহামারীর ছোবলে পড়ার আতঙ্কে,
বিষাদের সুর ধ্বনি চারিদিকে অদৃশ্য করোনার থাবার দাপটে,
এ কেমন মৃত্যু ?
ক্ষমা করো হে দয়াময় !
শেষ বারের মত মরহেদ দেখানো হয়না বিশেষ আয়োজনে,
গোসল কিংবা জানাযাও নয়,
সন্তানেরা নির্বাক তাকিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে,
শেষ দেখাও হয়না প্রিয়তমার সাথে কিংবা কোন আত্মীয় স্বজনের সাথে,
শেষ কথাটি বলা হয়না আর,
আহ্ কি করুণ মৃত্যু !
চারদিকে শুধুই নিরব শোক আর লাশের মিছিল
বাতাসটাও আজ বড্ড ভারী লাগে
একটা ভাইরাস পৃথিবী বদলে দিলো
কবে হবে মুক্তি কে তা জানে,
কাঁপছে পুরো বিশ্ব আজ করোনার আগমনে………..

— ফারজানা শারমিন
৩১ – ০৩ – ২০২০ইং

যেখানে করোনা’র লড়াইয়ে গরিব মানুষ সেখানে দর্শকের সারিতে দেশের বিত্তশালীরা

সময় সময় দেশে যখন কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিতো, সেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতো। তখন সরকার আন্তরিকতার সাথে সেসব ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিভিন্নরকম ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে দেখা যেতো। সরকারের ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে টিন, চাল, ডাল, তেল, লবণ-সহ নানারকম খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতো। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন-সহ দেশের বিত্তবান, রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিভিন্ন সমাজসেবী ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতো। যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা খুব তাড়াতাড়ি সংকটময় সময় থেকে সেরে ওঠতে পারে। মহান সৃষ্টিকর্তা না করুক- এখনও যদি এদেশে কোনও প্রাকৃতিক ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডোর মতন এমন দুর্যোগ দেখা দেয়, তাহলে কিন্তু সরকার হাতপা গুটিয়ে বসে থাকবে না। শত সমস্যার মাঝেও সরকার দুর্যোগ মোকাবিলা করা-সহ দেশের জনগণকে বাঁচাতে এগিয়ে যাবে। এটাই কিন্তু সব দেশের সরকারের দ্বায়িত্ব কর্তব্য।

বর্তমানে মহান সৃষ্টিকর্তার দয়ায় আমাদের দেশে সেসব ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডোর মতন কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়নি। তবে ইদানিংকালে বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে যেই মরণঘাতী করোনাভাইরাস দেখা দিয়েছে, সেটা এখন আমাদের দেশেও মহামারি আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। বর্তমানে এটাও আমাদের জন্য একরকম দুর্যোগ। এই দুর্যোগের কবলে পড়ে সারাবিশ্বের সব দেশের মতো আমারও কাবু হয়ে যাচ্ছি। এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে অনেকজন। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।

বর্তমানে আমাদের দেশের সরকার এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস প্রতিহত করতে এবং দেশের জনসাধারণকে এই রোগ থেকে বাঁচাতে নানারকম পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। পাশাপাশি রোগ বিশেষজ্ঞ-সহ চিকিৎকরাও নানারকম পরামর্শ দিচ্ছে। যাতে সচেতনতার সাথে ধৈর্যসহকারে খুব তাড়াতাড়ি এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস কেভিড-১৯ রোগ প্রতিহত করা যায়।

কিন্তু দুঃখের কথা দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, এর আগে আমাদের দেশে যখন কোনও দুর্যোগ দেখা দিতো; তখন সরকারের আদর- সোহাগ ভালোবাসা পাবার জন্য দেশের অনেক জননেতা, জননেত্রী ব্যানার টানিয়ে দুর্যোগ এলাকায় পরিদর্শন করতো এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করতো। পাশাপাশি দেশের বিশিষ্ট সমাজসেবকরাও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের লক্ষ্যে নিজ নিজ তহবিল থেকে নানারকম সাহায্য করতো। অনেকেই দিতো নানারকম খাদ্যসামগ্রী-সহ টাকা পয়সাও।

কিন্তু বর্তমান এই সংকটময় সময়ে দেশের নির্বাচিত সরকার ছাড়া এই সংকটময় সময়ে কোনও বিত্তবানদের দেখা যাচ্ছে না। এদেশের কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিকেও তাঁদের নিজ এলাকায় কেউ দেখছে না। শোনা যাচ্ছে না যে, এই নেতায় ওটা দিচ্ছে। সেই নেতায় সেটা দিচ্ছে। কই, কেউ তো এখন পর্যন্ত কোনও জায়গায় গিয়ে কাউকে একটি মাস্কও কারোর হাতে তুলে দেয়নি? বরং ক্ষমতার আসনে বসে বসে বড় বড়ে বুলি ছাড়ছে। আর আমরা তাঁদের সেসব বড় বড় বুলি ভক্তিভরে শ্রবণ করছি, আর করোনা ভাইরাসের সাথে লড়াই করে মরছি। আর তাঁরা বিত্তবান, বিত্তশালীরা নীরব দর্শকের ভুমিকা নিয়ে টিভির পর্দায় গরিবদের দুর্দশার খবর শুনছে। আবার কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে অসহায় মানুষদের পেটানোর দৃশ্য দেখছে।

এই সংকটময় সময়ে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, তাঁরা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা, ব্যবসায়ীরা, সমাজসেবকরা মানবাধিকারের মহান মানবগোষ্ঠীরা এখন কোথাও? তাঁরা কি নভেল করোনাভাইরাসের ভয়ে হাতপা গুটিয়ে ঘরবন্দী হয়ে আছে? সরকারের পাশাপাশি তাঁরা কি পারে না জায়গায় জায়গায় গিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিহত করার জন্য কিছু প্রতিরোধক উপকরণ এদেশের জনগণের হাতে তুলে দিতে? যেখানে এদেশে শীত মৌসুমে সামান্য শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিলে কত নামীদামী ব্যক্তিবর্গ ছোঁড়া-ফাঁড়া কিছু কম্বল বিতরণ করার জন্য মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল, আজ দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে কেউ হাতপা গুটিয়ে ঘরে বসে, কেউ নীরব দর্শকের মতো করোনাভাইরাসের ভয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে করুণা চেয়ে চেয়ে মরছে।

পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই, তা-হলো আপনারা বিত্তবান বিত্তশালীরা নিজ ঘরে বসে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যাদি মজুদ করে ঘরেই বসে থাকুক! নীরব দর্শকের মতো তামশা দেখুন! আর বসে বসে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করুন, যাতে আমরা এদেশের গরিব মানুষেরা করোনাভাইরাসের সাথে লড়াই করে আপনাদের বাঁচতে পারি।

মনে রাখবেন এদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ-সহ বিত্তবান ব্যক্তিরা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর মহামারি রোগ কোনও দেশের ধর্ম, বর্ণ, জনগোষ্ঠীর জন্য নির্ধারিত হয়ে জন্য আসে না। যখন আসে তো ধনী গরিব সবাইকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। বর্তমান সময়ের এই মহামারি করোনা ভাইরাসও কিন্তু গরিব মানুষদের জন্য নির্ধারিত নয়। এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের কবলে পড়েছে সারাবিশ্বের মতন এদেশের সবাই। তবে এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি এদেশের অসংখ্য গরিব মানুষ। মানে নিত্যদিন যাঁদের নুন আনতে পানতা ফুরায় তাঁদের অবস্থাই বেশি বেগতিক।

কিন্তু এদেশের এসব গরিব মানুষদের কথা এই সংকটময় সময়ে এদেশে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ-সহ বিত্তবান ব্যক্তিরাও একটু ভেবে দেখছেন না। বরং বর্তমানে রাস্তা-ঘাটে, হাটে-বাজারে সবস্থানে এইসব গরিব খেটে খাওয়া মানুষগুলোর উপরই চালাচ্ছেন লাঠিপেটা। তাঁদের অপরাধ হলো, ঘর থেকে বেরিয়েছে কেন? কিন্তু কেন বেরিয়েছে, সেই খবর আপনারা কেউ রাখছেন না। গরিবরা ঘর থেকে না বেরুলে ঘরে বসে খাবে কী?

হয়তো এর জবাবে এদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ-সহ বিত্তশালীরা শান্তনা দিবেন, “আমরাও তো বর্তমানে ঘর থেকে বেরুচ্ছি না! একটু কষ্ট হলেও আপাতত ঘরেই থাকুন!” কিন্তু খাবারের নিশ্চয়তা কেউ দিচ্ছেন না, বিন্দুমাত্র সাহায্য সহযোগিতাও কেউ করছেন না।

তাহলে আবারও শুনে রাখুন! আপনারা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ-সহ বিত্তবান ব্যক্তিরা এদেশের গরিব মানুষকে এমন সংকটময় সময়ে সাহায্য সহযোগিতা না করে; প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের ভয়ে ঘরে বসে যতই মহান সৃষ্টিকর্তাকে ডাকুন-না-কেন– মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এই প্রাণঘাতী রোগ থেকে এদেশের গরিব মানুষেরাই মুক্তি পাবে। হয়তো আপনারই এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, তা যেন না হয়! মহান সৃষ্টিকর্তা যেন এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষা করে। মহান স্রষ্টা সবার সহায় হোক!

স্মরণে

আজও শ্রাবনের আকাশ কাঁঁদে,
ঢাকে শোকের ছায়ায়।
তোমার স্মরণে কাঁদে বাংলা
আছো প্রাণের মায়ায়।
ভুলি নাই তোমাকে
ভুলবোনা কোনোদিন।
বাংলার আকাশে জ্বলবে
জ্বল জ্বলে চিরদিন।
যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা গৌরী বহমান
ততোদিন রবে কীতি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।

তোমায় নিয়েই গল্প হোক…

এক লাইনের কি কবিতা হয়? জানিনা। হলে এগুলোকে কবিতা ভাবতে পারেন। নাহলে সহজ সরল ভাষায় বলবো, মহাশয় তার প্রিয়তমাকে ভেবে কিছুর মনের ভাব, আবেগ, প্রেম উজার করেছে। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের। পড়তে পড়তে নিজের প্রিয়তমাকে মনে করলে আরো ভালো লাগতে পারে !

❖ যখন তোমাকে দেখি তখন পলক ফেলাকেও সময় নষ্ট মনে হয় !
❖ তোমার প্রত্যেকটা অঙ্গের উপর আলাদা আলাদাভাবে প্রেমে পড়তে চাই।
❖ আমি তোমাকে ঠিক তেমনই ভালোবাসি যেমন ফাঁসির সাজা প্রাপ্ত অপরাধী তার জীবনকে ভালোবাসে !
❖ যখন তোমাকে দেখি তখন মনে হয় – তুমি আমার চোখের, মনের, শরীরের, আত্মার ”শুকুন”।
❖ তোমার দেখা পাওয়াকে… সৌভাগ্যের ব্যাপার মনে হয়।
❖ কোন এক বৃষ্টির দিনে, রাস্তার কোন ফাঁকা চায়ের দোকানে… তোমার সাথে আটকে পড়তে চাই।
❖ লাল গোলাপ হোক বা পূর্ণিমার চাঁদ… তোমার হাসির থেকে সুন্দর এই পৃথিবীতে কিছুই নাই।
❖ তোমার বুকে মাথা রেখে তোমার হার্টবিট গুনতে চাই।
❖ তোমার আইসক্রিমের চামচ হলেও নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতাম।
❖ একদিন পাখী হয়ে তোমার ছাদে বসতে চাই। স্নানের পর তোমার চুল শুকানো আর ধোয়া কাপড় মেলে দেওয়া দেখতে চাই।
❖ আমার অবহেলাগুলো তোমার ভালোবাসার সামনে নতজানু হয়ে পরাজয় স্বীকার করেছে।
❖ আমি ব্যস্ত হলেও… আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে, শিরায় শিরায় শুধুই তুমি বয়ে চলেছ।
❖ আমি কল্পনায় তোমাকে জড়িয়ে ধরলাম। তুমিও কল্পনায় অনুভব করে নাও।
❖ পৃথিবীর সব কষ্ট, চিন্তা, চাপ ভুলে যাওয়ার জন্য তোমাকে একবার দেখায় যথেষ্ট।
❖ তোমার চেহারার দিকে তাকিয়ে আমি ১০০ বছর কাটিয়ে দিতে পারি। সেটা কি তুমি জানো…
❖ একদিন তোমার সাথে হাঁটবো। তোমার হাত ধরে হাঁটবো। এমন এক পথে যার কোন গন্তব্য নেই।
❖ কেউ বিনা মেকআপেও এতো সুন্দর লাগতে পারে… তোমাকে ভালোবেসে জানলাম।

ছবিঃ তৌসিফ হকের আকা।

আমার দেশ

আমার দেশের মাটির বুকে
মনটা আমার গাঁথা
দেশকে নিয়ে সকল সময়
ঘামাই শুধু মাথা।’’
সভা সেমিনারর করছি কত
বলছি উন্নযনের কথা
তারপরেও বাড়ছে কেনো
গরীব দুঃখির ব্যাথা।”
“অভাব অনটন বেকার জীবন
যেথায় শিকলে বাধা
উচ্চাভিলাশ আর দুর্নীতিতে
লাগছে গোলক ধাঁধাঁ। ”
“লোভ হিংসা আর রেষারেষি
বাড়ছে নানা বেশে
সুস্হ মানুষ ফিরছে লাশ
কোন অজ্ঞানতার বশে।”
“দেশটাকে আজ ঢেলে সাজাবো
মেধা শ্রম সাথে
তাইতো ছেলেরা বুক পেতেছিলো
রক্ত ঝরা পথে।”

বসন্তে রং লাগে মনে…… পুলক জাগে হৃদয়ে বসন্ত আসিল আজি প্রথম পর্ব

বসন্তে রং লাগে মনে…… পুলক জাগে হৃদয়ে
বসন্ত আসিল আজি প্রথম পর্ব।

তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ফাগুনে জেগে ওঠে বৈচিত্র্যের সমাহার। জেগে ওঠে বাংলার যৌবনোদীপ্ত নবরূপ। শীতের পাতাঝরা থেকে বিদায় নিয়ে প্রকৃতির কোলে ফাগুন এনে দেয় একটি নব জন্মের আহ্বান। গাছে গাছে নতুন পত্রপল্লব।দিকে দিকে ফুলের সমাহার। কোনো রেনুকার বেনুকায় শোভা পায় পুষ্পমঞ্জরীর ঢালি।

কবিদের কণ্ঠে বাজে “আকাশে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা কারা যে ডাকিল পিছে! বসন্ত এসে গেছে” এরূপ আরো অনেক কাব্য, গান, ছড়া, উপন্যাস কবি- সাহিত্যিকদের মনে সাড়া দেয় এই বসন্ত।

বাংলার ঋতুদের মধ্যে সর্বশেষ এই ঋতুরাজ বসন্ত। ফাল্গুন আর চৈত্র নিয়েই এই বসন্ত। ফাল্গুন শব্দটি এসেছে ফাল্গুনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে আর চৈত্র শব্দটি এসেছে চিত্রা নক্ষত্রের নাম অনুসারে। শীতের খানিকটা রুক্ষতা পেরিয়ে আর্বিভাব হয় বসন্তের।
মায়াময় বসন্ত সবাইকে কেড়ে নেয় নিজের ভালবাসার মোহে। যেন প্রেমিকা তার প্রেমিককে মায়া বন্ধনী দিয়ে আবদ্ধ করে রাখে, তেমনি নব ফাগুন সবাইকে নিজের মায়ামন্ত্রে আচ্ছন্ন করে রাখে।

নব বসন্ত বাঙালির প্রাণে নতুনত্বে প্রাণ সঞ্চার করুক এটাই হোক বসন্ত বরণের অভিপ্রায়। আসুন, আমরা সবাই নব বসন্তের রঙে রাঙিয়ে তুলি নিজেদের। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

নব বসন্তের কবিতা-১
কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

বসন্ত আসিল আজি বসুধার মাঝে,
প্রকৃতি সাজিল তাই অপরূপ সাজে।
তরুশাখে ফুলেফলে পাতায় পাতায়,
বসন্তের রং লাগে পাখি গীত গায়।

প্রভাতপাখিরা জাগে সোনারোদ ঝরে,
শালিকের দল নাচে অজয়ের চরে।
নব নব কিশলয় তরুর শাখায়,
পবন পরশে দোলে স্নিগ্ধ হাওয়ায়।

বসন্তের দোলা লাগে দেহ মন প্রাণে,
প্রাণ মন আবেশিত কোকিলের গানে।
গুন গুন করে অলি পুষ্পিত কাননে,
বসন্তের রং লাগে পলাশের বনে।

বসন্ত এলো আজি এই বসুধায়,
পাখি সব করে রব সুরে গীত গায়।

বসন্ত জেগেছে

বসন্ত দোলায় দুলছে কানন
পাতা ঝরা ঝংকারে।
ডালে ডালে মঞ্জুরিত
গাছ সেজেছে অলঙ্কারে।
হীম বুড়ী চুপটি করে
উবে গেল হীম ঘরে।
দক্ষিনা হাওয়া ছড়িয়ে হাসি
রং ছড়ালো সাজ ঘরে।
মৌমাছিরা মৌ বনে
মহুর্মহু হানছে বাণ।
তির তিরিয়ে উড়ছে প্রজাপতি
নাচ্ছে উড়িয়ে বাহারী নিশান।
ঘুম ভাঙ্গাতে গাইছে অলি
কলির কানে দিলহারা।
কুহু কুহু কোকিলেরা
দোসর খোজে মাতোয়ারা।
দিকে দিকে সবুজেরা
কিশলয়ে সেজেছে।
সাজ সাজ রবে
বসন্ত জেগেছে।