বিভাগের আর্কাইভঃ অন্যান্য

স্বপ্ন দেখা

স্বপ্ন প্রতিটি মানুষই দেখে। কারণে অকারণে দিনে-রাতে স্বপ্ন দেখেই যাচ্ছে। কেউ ঘুমের ঘোরে স্বপ্নের ডানা মেলে এদেশ-ওদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমিও স্বপ্ন দেখি প্রতিদিন, প্রতি রাতে। স্বপ্ন দেখি দিনের বেলাতেও। স্বপ্ন দেখা আমার নতুন কিছুই নয়। স্বপ্ন ছোটবেলা থেকেই দেখছি। ছোটবেলা ঘুমের ঘোরে যদি স্বপ্ন দেখতাম, আর যদি সেই স্বপনের দৃশ্যগুলো মনে থাকতো; সেই দৃশ্যগুলো মায়ের কাছে বলতাম। আগেকার সময়ে স্বপ্ন দেখা নিয়েও অনেক কুসংস্কার ছিলো। ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখাও অনেকে বিশ্বাস করে থাকতো। আমার মা-ও একজন কুসংস্কার প্রিয় মানুষ ছিলেন। মায়ের কাছে যখন স্বপ্নের দৃশ্যগুলোর কথা বলতাম, তখন আমার মা সেসব দৃশ্যগুলোর বিশ্লেষণ করতেন।

যদি স্বপ্নে কোনও সাপ দেখতাম, তাহলে মা বলতেন, ‘সাবধানে থাকিস! বিপদ হতে পারে।’ যদি মৃত: মানুষ দেখতাম, তাহলে মা বলতেন, ‘আপনা দেখলে পরের হয়, পরেরটা দেখলে নিজেদের হয়। তুই কি মরা মানুষ নিজের কাউকে দেখেছি?’ যদি বলতাম, ‘না মা, আমি স্বপ্নে অপরিচিত একজনকে মরতে দেখেছি।’ তাহলে মা দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে বলতেন, ‘সর্বনাশ হয়েছে রে! কী জানি হয়! জিজ্ঞেস করতাম, ‘কি হবে মা?’ মা ধমক দিয়ে বলতেন, ‘স্বপ্নে পরের মরা দেখা ভালো না! এতে নিজেদের ঘাড়ে বিপদ এসে ভর করে।’ এরপর থেকে আমার মা খুব টেনশনে থাকতেন। ক’দিন পর দেখতাম আমাদের কারোই কোনও বিপদ হয়নি! তখন মাকে জিজ্ঞেস করতাম, ‘মা, তুমি না বলেছিলে স্বপ্নে পরের মরা দেখলে নিজের কাঁধে বিপদ এসে ভর করে! আজ কয়েকদিন গত হলো, কই আমাদের তো কারোই কোনও বিপদ হয়নি।’ তখন আমার মা আমাকে শান্তনা দিয়ে বলতেন, ‘বিপদ কেটে গেছে,বাবা। সব সময় কি আর স্বপ্ন ফলে? তবে এসব দেখা ভালো না। স্বপ্ন শয়তানেও দেখায়।’ জিজ্ঞেস করতাম তা আবার কেমন স্বপ্ন মা?’ মা বলতেন, ‘শয়তানে তোকে ঘরের বাইরে নিয়ে বলবে হিসু দেয়। তুই যদি শয়তানের কথায় হিসু দিস, তাহলে সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখবি যেই বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলি, সেই বিছানায় হিসু দিয়ে ভিজিয়ে রেখেছিস।’

আসলেও এমন আকাম-কুকাম মাঝে মাঝে আমার ঘটে যেতো। এরজন্য আমার মা ঠাকুর, মোল্লা, মুন্সি, ওঝা বৈদ্য, গ্রাম্য কবিরাদের কাছ থেকে কেজি খানেক তাবিজ-কবজ আমার গলায় বেঁধে রাখতেন। সেই তাবিজের গাট্টি গলায় ঝুলিয়ে মাসের পর মাস আমার বিছানা ভিজানোর দায়ে সাজা ভোগ করতে হতো। তারপরও হঠাৎ হঠাৎ শয়তানের প্রবঞ্চনায় পড়ে বিছানা ভিজিয়ে রাখতাম। অবশ্যই ছোটবার সেই শয়তান মনে হয় বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাকে ছেড়ে অন্য কারোর কাঁধে চড়েছিল। কিন্তু সেই ছোটবেলার স্বপ্নের শয়তানের শয়তানির কথা আমার আজও মনে আছে। ছোটবেলার স্বপ্নগুলোর কথা যখন মনে পড়ে, তখন একা একা ভাবি!

সেই ভাবনা থেকে আমি এখনো ঘুমের ঘোরে খুবই সাবধানে থাকি। কারণ, ঘুমের ঘোরে সেই ছোটবেলার শয়তানটা যদি আবার ওইসব আকাম-কুকাম ঘটায়! তাই খুব সাবধানে স্বপ্ন দেখি। মা বলতেন, ‘ঘুমের ঘোরে কখনো খাবার খাবি না। ঘুমের ঘোরে খাবার খেলে পেটখারাপ হবার সম্ভবনা থাকে।’ তাই আমি ঘুমের ঘোরে কখনো কোনও রাজপ্রাসাদে যেতাম না। কারণ সেসব রাজপ্রাসাদে অনেকরকমের দামী-দামী খাবার থাকে। যদি লোভে পড়ে খেয়ে ফেলি! তাহলে তো আমার পেটের পীড়া নিয়ে ভুগতে হবে। তাই আমি ওইস নামি-দামি রাজ-রাজাদের প্রসাদে না গিয়ে থেকে যেতাম গরিবের ভাঙা ঘরে। নহয় বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে থাকা কোনও বস্তিতে। বস্তিঘরে কোরমা, পোলাও, চিকেন বিরিয়ানি থাকে না। বস্তি ঘরে থাকে পান্তাভাত। ভূলবশত জল ঢালা পান্তাভাত খেয়ে ফেললেও, অন্তত পেটখারাপ হবে না। গরিবের পান্তা ভাতে ভিটামিন আছে। শান্তা ভাতে পেটখারাপ হবার কোনও লক্ষ্মণ দেখা দিবে না।

আবার আমি স্বপ্নে কখনোই প্যারিস, লন্ডন, আমেরিকার শিকাগো শহরেও যাই না, যাইওনি। কারণ আমি গরিব মানুষ! লেখাপড়া কম জানেওয়ালা একজন অধম মানুষ! লন্ডন, আমেরিকা, ফ্রান্স, প্যারিসের ইংরেজি ভাষা আমি জানি না, বলতেও পারি না। ভাষা না জানলে, আর না বুঝলে যে বিপদে পড়তে হয়, সেটা আমার খুব ভালো জানা আছে। তাই আর ঘুমের ঘোরে স্বপ্নেও ওইসব ইংরেজি ভাষাভাষীদের দেশে আমি যেতাম না। আমি বাঙালি। বাংলা আমার মায়ের ভাষা, মাতৃভাষা। তাই আমি স্বপ্নের মাঝে থেকে যেতাম, আমাদের নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁনমারি বস্তি কিম্বা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে যত্রতত্র ফেলে রাখা দুর্গন্ধময় বর্জ্যের পাশে থাকা বস্তি ঘরে।

ঘুমের ঘোরে কখনো বিমানে চড়িনি, দমবন্ধ হয়ে যাবে বলে। আমার ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে চড়া হতো আগেকার সময়ের গরুগাড়ি, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি, আর গরিবের ভাঙাচুরা রিকশায়, নাহয় নারায়ণগঞ্জ টু সদরঘাট মুড়িরটিন বাসে। ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে সাবমেরিন চড়ে মহাসাগরের তলদেশে যাইনি কখনো, নিরুদ্দেশ হয়ে যাবো বলে। যদি সাবমেরিনে চড়ে পানির নিচে গায়েব হয়ে যাই, তাহলে আমার দুখিনী গিন্নী সারাজীবন আমার জন্য কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাবে। তাই অসহায় গিন্নীর কথা চিন্তা করে স্বপ্নে কখনো সাবমেরিনে চড়িনি।

তবে হ্যাঁ, একবার নাসার মহাকাশযান যানে চড়তে চেয়েছিলাম। অত্যাধুনিক রকেটে চড়ে চাঁদের দেশে যেতে চেয়েছিলাম, চাঁদের বুড়ির সাথে দেখা করতে। উদ্দেশ্য ছিলো, চাঁদের বুড়ির যুগযুগ ধরে কাটা সুতাগুলো পাইকারি দরে কেনার। অনেকেই বলতে পারেন, ‘এই সুতা দিয়ে কী হবে?’ কী হবে শুনুন তাহলে–
:আমাদের দেশে এই কাটা সুতার প্রচুর চাহিদা আছে। এদেশের জুট ব্যবসায়ীরা এগুলোকে জুট বলে। এই জুট মেশিনের সাহায্যে আবার তুলা তৈরি হয়। সেই তুলা দিয়ে আবার সুতা তৈরি হয়। আবার লেপ-তোষক তৈরি হয়। আরও নানারকম পদ্ধতিতে নানারকম কাজে ওইসব জুট ব্যবহার করা হয়। গার্মেন্টসের টুকরো কাপড়ের জুট থেকে বড়-বড় কাপরের টুকরা বেছে নিয়ে, ঐগুলা দিয়ে ছোটদের জামা-প্যান্ট-সহ আরও অনেককিছু তৈরি হয়। তাই বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক স্থানে এই জুটের জন্য সময়-সময় খুন-খারাবির মতো কাণ্ডও ঘটে যায়। গার্মেন্টসের জুট আর টেক্সটাইল মিলের জুটের জন্য দলা-দলি সৃষ্টি হয়! সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়! মারা-মারির সৃষ্টি হয়!

এসব জুট একসময় গার্মেন্টস টেক্সটাইল মিলের মালিকরা ময়লা আবর্জনার সাথে ফেলে দিতো। সেই ফেলানো ময়লা আবর্জনার জুট এখন লক্ষলক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশের শিল্পনগরী এলাকায় এই জুটের জন্য সিন্ডিকেটেরা বড়-বড় নেতাদের পায়ে-পায়ে ঘুরছে। এসব দেখে মনে মনে ভাবতে থাকি, ইশ! যদি চাঁদের দেশে গিয়ে বুড়ির কাটা সুতাগুলো এদেশে নিয়ে আসতে পারতাম! তাহলে তিনদিকে উপকার হতো, লাভবানও হতো।
প্রথমত: ☛ চাঁদের বুড়ি তো যুগযুগ ধরে দিনের-পর-দিন, রাতের-পর রাত সুতা কেটে বোঝাই করে রাখছে। এতে করে চাঁদের বুকে কাটা সুতা হয়ে যাচ্ছে পাহাড় সমান। এর কারণে দিন-দিন রূপালি চাঁদটা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। চাঁদের বুড়ির কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে ঐগুলা কিনে আনলে, চাঁদের বুড়িও বেশকিছু টাকা হাতে পাবে। সেইসাথে চাঁদের কিরণ আরও উজ্জ্বল দেখা যাবে এবং চাঁদের ভারসাম্যও কিছুটা রক্ষা হবে।
দ্বিতীয়ত: ☛ চাঁদের বুড়ির কাছ থেকে কাটা সুতাগুলো আমাদের দেশে আনতে পারলে এদেশে জুটের চাহিদা অনেকাংশে মিটে যাবে। জুট নিয়ে খুনা-খুনি, মারা-মারি, দলা-দলি কম হবে। বড়-বড় নেতারাও একটু আরামে ঘুমাতে পারবে। জুট ব্যবসায়ীদেরও ভালো ব্যবসা হবে।
তৃতীয়ত:☛ চাঁদের বুড়ি থেকে নামমাত্র মূল্যে জুটগুলো কিনে এনে আমাদের দেশের জুট ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করলে বেশকিছু টাকা লাভ তো অবশ্যই হবে। সেই টাকা দিয়ে আমার মতো অনেক অভাবী সংসারের অভাব দূর হবে।
এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমের ঘোরে ঠিকই নাসার মহাকাশ যানে চড়ে চলে গেলাম চাঁদের দেশে।

নাসার মহাকাশযান থেকে রোবট সাজে সজ্জিত হয়ে রকেট থেকে নেমে যখন চাঁদের বুড়ির সামনে গেলাম, তখন চাঁদের বুড়ি তেড়ে এসে আমার দুইগালে ঠাস-ঠাস দুটো থাপ্পড় মেরে জিজ্ঞাসা করলো–
:তুই না নেহাৎ গরিব মানুষ? গরিব হয়েও নাসার মহাকাশযান যানে চড়ে পৃথিবী থেকে এখানে আসলি কেন?’
চাঁদের বুড়ির প্রশ্নের জবাবে আমি কান ধরেই বললাম–
:বুড়ি মা, আমিতো আপনার সাথে কথা বলতে এসেছি। আগে আপনার পা ছুঁয়ে নমস্কার করে নিই, তারপর নাহয় এখানে আসার উদ্দেশ্যটা বলি!’
আমার কথা শুনে চাঁদের বুড়ি বললো–
:নমস্কার লাগবে না। তুই আমাকে ছুঁতেও পারবি না। তোর সাথে করোনাভাইরাস আছে। তুই আমাকে ছুঁলে আমিও আক্রান্ত হয়ে পড়বো। তাই যা বলার দূরে থেকেই বল! বল উদ্দেশ্যটা কী?
আমি কাঁপতে কাঁপতে বললাম–
:বুড়ি মা, আপনার কাটা সুতাগুলো পাইকারি দরে কিনতে এসেছিলাম। আমি ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি আপনার সূতো কাটার কৃতিত্বের কথা। তাই ভাবলাম! আপনার কাটা সুতাগুলো পৃথিবীতে নিয়ে আমাদের দেশের জুট ব্যবসায়ীদের কাছে কম দামে বিক্রি করে দিবো। এতো আমাদের দেশের জুট ব্যবসায়ীদেরও জুটের চাহিদা মিটবে, আর আমার সংসারে লেগে থাকা অভাবও দূর হবে।
এই কথা বলার পরই চাঁদের বুড়ি আমাকে আরেকটা জোরে থাপ্পড় দিয়ে আমার এক কানের কানের পর্দা ফাটিয়ে দিলো। তারপর বললো–
:তুই কি বোকা? এখানে কি কোনও সুতা তৈরির ফ্যাক্টরি আছে? আমার কি খেয়ে-দেয়ে আর কাজ নেই? আমি কি বসে বসে শুধু সুতাই কাটবো?
আমি বললাম–
:তাহলে বুড়ি মা, আমি যে ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি, আপনি একটা বটগাছের নিচে বসে বসে যুগযুগ ধরে শুধু সুতাই কাটছেন! তাহলে আমি কি ভুল শুনেছি?
আমার কথা শেষ হতে-না-হতে আমাকে আরেকটা থাপ্পড় মারতে চাইলো। তা দেখে আমি একটু সরে দাঁড়ালাম। থাপ্পড় আর আমার গালে লাগলো না। দ্বিতীয় থাপ্পড় থেকে রক্ষা পেলাম। তারপর চাঁদের বুড়ি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বললো–
:আমি এখানে আছি চাঁদকে দেখে রাখার জন্য। যাতে রাহু চাঁদকে গিলতে না পারে। আমি হলাম মা বুড়ি। চাঁদকে পাহারা দিয়ে রাখি। তুই যা এখান থেকে!
এই বলেই আমাকে একটা ধাক্কা দিয়ে চাঁদ থেকে নিচে ফেলে দিলো। আমি সেদিন বায়ুমন্ডলে ঘুরতে ঘুরতে খুব কষ্টে বআসায় পৌঁছেছিলাম। কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম একটুও টের পেলাম না। সকাল ১০টায় গিন্নীর পাগলা ঘণ্টার আওয়াজে ঘুম থেকে ওঠে নিজে নিজেই বলতে লাগলাম, আমি বাসায় এলাম কী করে? এই ভাবেই একা একাই হাসতে থাকি। মনে মনে বলি, ‘এ আমি কী দেখলাম! সত্যি কি স্বপ্ন দেখলাম?’

বোন

বোন…!
জীবনে এই একটা সম্পর্কের অভিজ্ঞতা কখনো হয়নি আমার। তবে অনেকের জীবনে বোনের প্রভাব, স্নেহ, ভালোবাসা দেখে কতদিন আর কতরাত যে মন খারাপ করে কাটিয়েছি জানিনা, কখনো কখনো কেঁদেছিও। এইতো কয়েক বছর আগেও আম্মার সাথে বোন নিয়ে ঝগড়া করতাম। সবার বোন আছে আমার কেন নেই ? আম্মা হাসতো আর বলতো তাড়াতাড়িই বোন এনে দেবে যদি তাকে অনেক আদর করি এই শর্তে আর আব্বা বলতো পালক বোন এনে দেবে। এখন বড় হয়েছি তাই এসব আর বলিনা।
.
যখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়তাম তখন আমার এক ক্লাসমেটের বাড়িতে যেতাম মাঝে মাঝেই। দেখতাম ওর বড় বোন ওর জন্য কোনদিন আম ভর্তা করে রেখে দিতো, কোন দিন বড়ই বা জলপাই। তাছাড়া ওর স্কুল ড্রেস ওর বোনই ধুয়ে আয়রন করে রাখতো। কোনদিন সময় না থাকলে খাইয়ে দিতো আর টিফিন রেডি করে রাখতো তাছাড়া ওর হাত খরচের টাকাও ওর বোন দিতো। এতো গেলো স্নেহের কথা আবার অকারণে ঝগড়া করাটাও চোখে পড়তো, সম্পূর্ণ দোষ ভাইয়ের থাকলেও বকা খেতো বোনটা আর আশ্চর্যের বিষয় যে, সে মেনেও নিতো এমনকি কোন প্রতিবাদ বা প্রতিরোধও করতোনা অথচ যেখানে বোনটার এক থাপ্পড়ের উপর কিছু করতে হতোনা সেখানে হামেশাই বোনটাই মার খেতো কিন্তু কখনোই ছোট ভাইটাকে মারতোনা। চোখের সামনে ওর বড় বোনের আদর দেখতাম, ঝগড়ার মাঝেও একটা বিশাল স্নেহের আকাশ ছিলো। সেই স্নেহগুলো ঠিক অন্যরকম, অন্যভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে সেগুলোকে।
.
এছাড়া আরেক বন্ধুর ছোট বোনের প্রতি ভালোবাসাটাও উল্লেখ করার মতো। একবার আমরা পিকনিকে যাই আমার ঐ বন্ধু ওর বোনের জন্য অনেকগুলো খেলনা কিনেছিলো আর আমি কিনতে পারিনি কারণ কাকে দেবো ? তখন আমার ছোট কোন কাজিনও ছিলোনা। তবে ওকে পছন্দ করে দিয়েছিলাম আর মনে মনে কষ্ট পেয়েছি এই ভেবে যে, যদি আমারও ছোট একটা বোন থাকতো।
.
এরপর যখন কলেজে গেলাম তখনও এমন অনেক ভাইয়ের জীবনে বোনদের ভালোবাসাটা অন্যরকমভাবে প্রতিফলিত হতে দেখেছি। সব কথা যেন অকপটে বোনের কাছে বলা যায়, গোপনীয়তা যেন একমাত্র বোনের কাছে এসেই ঠাঁই পায়, কিন্তু আমি আমার মনের কথা অভিভাবক স্বরূপ কাউকে বলতে পারিনি বড় বোন না থাকায়। অনেক দোষত্রুটি বোনের কারণে হাওয়া হয়ে যেতে দেখেছি অনেকের। একবার আমরা কয়েকজন ক্রিকেট খেলা নিয়ে ঝগড়া করেছিলাম তারপর আমার এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে লুকিয়েছিলাম। যখন বিচারটা ওদের বাড়ি পর্যন্ত গেলো তখন ওর বোন অনেককিছু বলে বিষয়টা মিটমাট করে দিলো। ওকে ঘরে রেখেই বললো আজকে আসুক হারামজাদা ওর ঠ্যাং ভাঙ্গমু, অথচ বাদীপক্ষ চলে গেলে ওকে শুধু শাসিয়ে দিলো আর কিছুই করলোনা এমনকি আমাদের সবাইকে মুড়ি ভর্তা করে খাওয়ালো সেদিন। দূরে কোথাও গেলে বোনের বারবার খোঁজ নেয়া দেখেছি তবে এগুলো অন্যদের জীবনে দেখা।
.
কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক আমি বিশ্বাস করি ভাই আর বোন কখনো এক না। ভাইয়ের সাথে খুব একটা বন্ধুত্ব হতে দেখিনি কারো জীবনে আর নিজের জীবনেতো নয়ই, নিজের ভাই থাকলেও আমার থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত সে। ভাইয়ের সাথে সর্বোচ্চ যেটা হয় সেটা সাময়িক মিল। ভাইয়ে ভাইয়ে অনেক মিল থাকলেও বছর কয়েক পরেই জমিজমা নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ হতে দেখেছি কতশত তার কোন হিসেব নেই কিন্তু বোনের সাথে বোনের বা ভাইয়ের সম্পর্কটা স্বার্থের কারণে হতে বা ভাঙ্গতে দেখিনি কখনো।
.
নিজের বোন বলতে কয়েকটা কাজিন আছে তবে কোন এক অজানা কারণে ওরা আপন করে নিতে পারেনি আমাকে। এইতো একবার এক কাজিনের কাছে চিপস চেয়েছিলাম সে বলেছিলো তুমি কি আমার আসল ভাই? তোমারে দিমুনা (যদিও না বুঝেই বলেছিলো তবে কথাটায় গভীরে আঘাত পেয়েছিলাম)। বাবা আর চাচাদের মধ্যে সামান্য ঝগড়া বা কথা কাটাকাটি কাদের বাড়িতে হয়না? এসবের কারণে অনেক সময় ওরা আমার কাছেও আসেনা।
সে যাই হোক এসব ব্যপারে আমি অভিমান করেও করিনা কারণ লাভ নেই।
.

আজ সকালে এক কাজিন কোথা থেকে কিছু খেঁজুর এনেছে জানিনা। আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছে আর আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে খেঁজুরগুলো খাচ্ছে। আমি কেন জানিনা বাচ্চাদের মতো চেয়ে বসলাম কিন্তু ও দিবেনা। অনেক জোরাজুরির পরও রাজী হলোনা। পরে পাঁচ টাকা দিয়ে এই একটা খেঁজুর কিনে নিলাম ওর থেকে…!
.
২৭/০৬/২০১৯

অজ্ঞতা নাকি ভন্ডামী

আমাদের ধর্ম পালন দেখে খুবই দুঃখ লাগে। নিজের সুবিধার্থে ইসলামকে আমরা ব্যবহার করছি। যেমন, জ্বিল হজ্জ মাসের প্রথম তারিখ থেকে কোরবানী ঈদ উপলক্ষ্যে অনেকে দাঁড়ি-গোঁফ কাটেনি। আমি তাদের প্রশ্ন করলাম, কেন তারা কাটেনি? উত্তরে আমি বিব্রত হই। এই সময়ে দাঁড়ি-গোঁফ কাটলে আল্লাহ নাকি গোনাহ দিবে। এই কেমন যৌক্তিরে ভাই? হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, এক মুঠো সমপরিমান দাঁড়ি রাখতে, আর যদি দাঁড়িতে ক্ষুর লাগানো হয় তাহলে নবী (সঃ) গলায় ক্ষুর বসানো সমান গোনাহ হবে। অথচ বর্তমানে ধর্ম কে নিজের মত সাজিয়ে যুক্তি দিয়ে নিজেকে মুসলমান দাবী করছে। আপনি আল্লাহর হুকুম পালনে নামাজ পড়ছেন কিন্তু হিন্দু নাপিত দিয়ে দাঁড়ি চাটাই করে উনার বন্ধু নবী করীম (সঃ) কে অপমান করছেন। এইটা কি আপনাদের অজ্ঞতা নাকি আল্লাহর সাথে ভন্ডামীর পরিচয়?

পশ্চিম পাকিস্তানীরা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীদের মুসলমান মনে করতো না। কারণ বাঙালিদের আচার-আচরণ ও সংস্কৃতি বিধর্মীদের সাথে মিল। তাই তারা পূর্ব পাকিস্তানীদের উপর নির্যাতন চালিয়ে ছিল। অথচ পশ্চিম পাকিস্তানীরা চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, খুন ধর্ষণ তথা যত অপকর্ম ইসলামে নিষেধ করেছে সে সকল অপকর্মের সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল আর নিজেদের মুসলমান দাবী করে পূর্ব পাকিস্তানীদের উপর নির্যাতন চালিয়েছিল। বর্তমানেও ঠিক বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষ সকল অপকর্ম করবে আর তখনই তাদের মুসলমানিত্ব দেখাবে আপনি যখন যৌক্তিক প্রতিবাদ করবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রামীন সমাজে নামাজ পড়া মানুষগুলোকে আমরা ভালো মনে করি, কিন্তু অন্তরালে তার কুৎসিত চরিত্রটা আমরা দেখি না। শুধু নামাজ পড়লেই যদি সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করানো যেত তাহলে কোরআন-হাদিসে এতো বিধিনিষেধ নাজিল হতো না। আর মানুষেরও মৃত্যু হতো না।

কিছু লোক আছে যারা নামাজ পড়ে আমি ভালো হয়ে গিয়েছি প্রমাণ করার জন্য। আর কিছু লোক আছে বয়স হয়েছে আর কত! তাই। আল্লাহকে ভয় করে যদি নামাজ পড়তো তবে আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ সকল অপকর্ম থেকে নিজেকে বিরত রাখতো।

আপনি বা আপনারা তো নামাজ পড়েন, তাহলে কয়েকটা জিনিস থেকে আপনারা নিজেদের বিরত রাখতে পারেন কি-না দেখি। যেমন, লোভ-লালসা, হিংসা-পরশ্রীকাতরতা, গীবত-পরনিন্দা, সামাজিক অন্যায় বিচার এবং অন্যের অনিষ্ট সাধন করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

সাম্যবাদী করোনার চরিত্রের অধঃপতন

১.
বলা হয়ে থাকে, করোনা ভাইরাস সাম্যবাদী। ধনী-গরীব, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে সমান চোখে দেখে। চরিত্রের বিবেচনায় করোনা ভাইরাসকে তাই সমাজতান্ত্রিক বলেও চিহ্নিত করা যায় বৈকি! একথা সত্যি বটে ভাইরাস আক্রান্তের বেলায় ধনী গরীব মানছেন। এক্ষেত্রে শ্রেণি নিরপেক্ষ বলা যেতেই পারে। কিন্তু রাষ্ট্র কাঠামো ও সমাজ ব্যবস্থা নিরপেক্ষ নয়।

২.
করোনা ভাইরাস বিষয়ে জনসচেতনতামূলক সরকারি-বেসরকারি প্রচার-প্রচারণাগুলো আমরা সবাই দেখছি। সব জায়গাই বলেছে, ঘরে থাকুন। বেশি করে প্রোটিন-জাতীয় খাবার আর ফল-মূল ও শাক-সবজি খান। মানে এগুলো খেলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। শরীরের প্রতিরোধের কাছে ধরাশায়ী হবে এই আলোচিত ভাইরাস।

প্রোটিনের উৎস মাছ-মাংস-ডিম-দুধ-বাদাম। দামী খাবার। উচ্চবিত্তের খাবার। ধরে নিচ্ছি, নিম্ন-মধ্যবিত্তরাও মোটামুটি প্রোটিনের ব্যবস্থা করতে পারলো। কিন্তু গরীবের উপায় কী? গরীবদের শুধু ডাল। ডালে প্রোটিন আছে। তা বটে! মোটা চালের ভাত আর ডাল। ডালই শেষ আশ্রয়।

গরীবের টাকা নেই। সিস্টেম মতো সন্তানের জন্য উচ্চশিক্ষা নেই; ভালো চাকরী নেই; বড় চাকরী নেই, বড় বেতন নেই। ভালো বাসস্থান নেই এবং ডাল ছাড়া পুষ্টিকর খাবার নেই; রোগ-বালাইয়ের শেষ নেই; বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। তাতো যাবেই। তাইতো? তাহলে করোনাও ধনীর প্রতিরোধে অসহায়। আর গরীব প্রতিরোধের ঢালস্বরূপ ডালের আর ক্ষমতাই কতটা? গরীব ধরাশায়ী।

৩.
রাষ্ট্রের বড় মাথা। বড় ভাবনা। রাষ্টযন্ত্র দখল করে আছে বড় বড় ব্যবসায়ীরা। সংসদের ভিতর কতজন বণিক শ্রেণীর জানা আছে তো? তাই বড় মাথায় বড় বড় বণিকের কথা থাকে। তাদের জন্য প্রণোদনা আসে। ডুবে যাওয়া লঞ্চকে টেনে তুলতে যায় উদ্ধারকারী জাহাজ। আর লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পপতিদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ।
এসব প্রণোদনার অর্থ আসে কোত্থেকে? বাণিজ্যের পেছনে ঢেলে দেয়া হয় রাষ্ট্রের কোষাগারে থাকা কৃষক-কামার-কুমার-তাঁতি-জেলের অর্থ। এভাবেই বণিকেরা লাভ গুলো গচ্ছিত রাখে নিজেদের একাউন্টে। আর লোকসানের ভারটুকু চাপিয়ে দেয় জনতার কাঁধে।

এভাবে চক্করে পরে গরীব হয় প্রতারিত। করোনা মহামারির এই দিনে গরীব শ্রেণী নাভিশ্বাস উঠে মরছে। কিন্তু রাষ্ট্রের মগজ ব্যবসায়ীদের দখলে। তারা লুটপাটে মেতে উঠেছে।

৪.
এই দুর্দিনে কীভাবে চলে কৃষক-শ্রমিক-কুলি-মজুর-তাঁতি-জেলে-কুমার-দেহপসারিনী-গৃহপরিচারিকাদের সংসার? উবার-পাঠাও চালিয়ে, টিউশনি করে, কাপড় আয়রন করার দোকান দিয়ে, পার্ট-টাইম সেলসম্যান এর কাজ করে যারা চলতো, কী করে চলছে তাদের?

বিদায় ঢাকা: করোনায় কাজ হারিয়ে ঢাকা থেকে অনেকেই পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে যাচ্ছেন, শিবচরের কবির নামে একজন ছোট ব্যবসায়ী রাজধানী থেকে বিদায় যাত্রা করেছেন এ মিনি ভ্যানে করে। ছবিটি পোস্তগোলা থেকে তোলা : (নূর হোসেন পিপুল)

মানুষ ঢাকা ছাড়ছে, ছাড়ছে অন্য শহরও। খবরের কাগজ আর ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে ভাসছে মাল-বোঝাই ট্রাকের ছবি ও খবর। বহু মধ্যবিত্তের জীবনও প্রকাশ করতে না পাড়ার বোবা কান্নায় নীরব হাহাকার। একেবারে গরীবের তো মাথা ঢাকলে পা উদাম। কাজ নেই। আয়-রোজগার নেই। সঞ্চয়ও কারো শেষ, কারো বা তলানিতে।

৫.
প্রতিদিন এক ভদ্রমহিলাকে দেখি করোনার নানা তথ্য নিয়ে আসে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত নারী-পুরুষের অনুপাত জানিয়ে দেয়। বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যানও রসিয়ে রসিয়ে বলেন যেন কত সুখকর কাহিনী বলে যাচ্ছেন। আমার তো মাঝে মাঝে এক বয়োবৃদ্ধ অর্থমন্ত্রীর মতো বলতে ইচ্ছা করে -রাবিশ। আপনারা কি ভাবেন? যা খুশি ভাবুন। কিন্তু আক্রান্তদের শ্রেণি-পরিচয় জানতে পান কি?

আমরা খবর পাই আক্রান্তদের অধিকাংশই অভিজাত শ্রেণির বাসিন্দা। বেদনাক্রান্ত হয়ে শুনতে পাই চীন থেকে এয়ার এম্বুলেন্সে ডজন খানিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এনেও বাঁচানোই যাচ্ছে না অভিজাতদের। বাস প্রমাণ হয়ে গেল করোনা ধনীদের শত্রু, আর বলা হয়- গরীব খেটে খায় তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তাই তারা তেমন আক্রান্ত হয় না, মরে না।
ব্যাস হয়ে গেল! কথা কি এখানে শেষ?

অভিজাতদের চিকিৎসার সুযোগ ও সামর্থ্য বেশি। কিন্তু গরীবের মধ্যেও যারা একেবারে গরীব, অজপাড়াগাঁ, দুর্গম চর বা হাওরাঞ্চলে যারা থাকে অথবা মফস্বলে ও উপজেলা অঞ্চলে যে গরীব জনগোষ্ঠী আছে, চিকিৎসার সামান্যতম সুযোগ না থাকায় তারা যে স্বাস্থ্য পরীক্ষাই করাতে পারছে না, বেহুদা মরে যাচ্ছে বেখবরে তার তদন্ত বা পরিসংখ্যান হাসিমুখে বর্ণনা করে কি কোন অভিজাত সংবাদ পাঠক?
সোজা হিসাব তাদের পরীক্ষাই হয় না, তাই তারা আক্রান্তও হয় না।

৬.
সরকারি কর্তাদের জন্য প্রণোদনার ঘোষণা এসেছে। সরকারি প্রাণ চলে গেলে পরিবার পাবে অর্ধ কোটি টাকা। আর করোনা হলে দিবে এক মিলিয়ন। দামী প্রাণ ওদের। সরকারতো ওদেরই, লাগে টাকা দেবে করদাতাগণ।
হায়! বেসরকারি প্রাণ। আহা! আধমরা হয়ে কেবল বেঁচে থাকা। মুড়ি -মুড়কির চেয়েও সস্তা। ধনতন্ত্রের উৎসবের অকাতরে বলি হয় এইসব প্রাণ।

৭.
উন্নয়ন বহু যুগ উপর থেকে নিচে চুঁইয়েছে, এবার নিচ থেকে উপরে যাবার বন্দোবস্ত করে দেখুন। গাছের শেকড় থেকে যেভাবে কাণ্ড ও পাতায় যায় প্রাণ রস, সেইভাবে উন্নয়নকেও চালনা করুন। এই আহ্বান জানিয়ে লেখাটি শেষ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমি জানি এভাবে হয় না কিছুই। অধিকার কেউকে দেয় না, আদায় করে নিতে।

কোথায় সেই প্রচেষ্টা?

ভেবে দেখেছো কিঃ ২

বাংলাদেশের অন্যতম বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মালিক নুরুল ইসলাম বাবুল মারা গেছেন। দৈনিক যুগান্তর, যমুনা টেলিভিশন এবং যমুনা ফিউচার পার্ক এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন।

গত ১৪ জুন ২০২০ নুরুল ইসলামের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওইদিনই তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা ভাইরাসে তার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানে ১০ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা চলছিল। তিনি ৩৮টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন বলে জানা গেছে।

দেশবরেণ্য শিল্পপতি, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেশের কবি-সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী ও নারী নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সব সময় দেশের মানুষের কথা ভাবতেন। দেশের শিল্প উন্নয়নে তার বিশাল ভূমিকা রয়েছে, বিশেষ করে তার মেধা, দক্ষতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আধুনিক চিন্তার সাহসী উদ্যোক্তা ছিলেন। শত পরিশ্রম করে গড়ে তোলেন অসংখ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান। সেখানে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি দেশের অর্থনীতির একজন নক্ষত্র ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন স্বপ্নদ্রষ্টা শিল্পোদ্যোক্তাকে হারিয়েছে

তাকে নিয়ে ফরাবী হাফিজ, সংবাদ পাঠক, চ্যানেল ২৪ –
এর একটি লেখা বেশ ভাবিয়ে তুলছে আমাকে। কিছুটা সংক্ষেপে নিচে উদ্ধৃত করলাম। ফেসবুকের এক স্ট্যাটাস থেকে পাওয়া লিখাটি। (লেখাটি আমার নয়)


……….
বাঁচার অনেক আকুতি ছিল যমুনা গ্রুপের
চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের!!

শেষ সময়ে উনি স্টিভ জবসের মতো যেই ডাক্তারকে দেখতেন তাকেই বলতেন,”আমার সব সম্পদ দিয়ে দিবো। শুধুমাত্র আমার কষ্টটা একটু কমিয়ে দাও! আমি যে আর সহ্য করতে পারছি না।”

তিনি যখন এ্যাপোলোর আইসিইউতে, হস-পিটাল ম্যানেজমেন্ট এর কার্যক্রম দেখে মনে হয়েছে পুরো হসপিটালেই একজন রোগী।

হবারই কথা! আফসোস করছিলাম আর কথা বলছিলাম এক ডাক্তারের সাথে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে এয়ার এম্বুল্যান্সে চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১০/১২ জন ডাক্তার আনা হলো। কিছুতে কিছুই হলো না।
কি কঠিন মৃত্যু!

মৃত্যুর সময়ে একজন কাছের মানুষের হাতের স্পর্শও পান নি! কারো সাথে বিদায় শব্দটি বলতে পারেন নি! পরিবার প্রিয়জন কেউই পাশে ছিলো না, থাকার সুযোগও নেই। ভিষণ নিঃস্তব্দ সেই রুমটায় আমি গতকাল গিয়েছিলাম। ভুতুড়ে পরিবেশ, আধো আলো। চারপাশে সবাই অর্ধমৃত মানুষ! আহারে… সম্পুর্ণ সুস্থ লোকটি হঠাৎ এক অজানা ভাইরাস করোনার আঘাতে ২৫ দিনের মধ্যে নাই হয়ে গেলো।

ভেবে দেখেছো কি, কার জন্য কিসের জন্য এতো প্রতিযোগিতা ও পরিশ্রম?

দীলখুশ মিয়ার সন্দেশঃ আপনার ম্যাচের খোলে কয়টা চাল

হাই হ্যালো।
কেমন আছেন আপনারা?
আমি?
করোনাক্রান্ত পৃথিবীতে বন্দি ছিলাম। তবে যারা ভেবেছেন দীলখুশ মিঞা অক্কা পাইছে তাঁদের নাকে মুখে গোলাপের সুবাস ঢেলে জানিয়ে দিলাম “আবে বউয়ের বড় ভাইয়ের পোয়া, আমি আছো বেঁচে আছি। ভালো আছি।’
সবাই বলেন আলহামদুলিল্লাহ।

তবে পৃথিবী ভালো নেই। শুনুন মমতাদির লেখা একটা কবিতার অংশ বিশেষ।

বস্তাপচা ময়লায় ঢেকে গেছে পৃথিবীটা
মানুষ, মানুষ থেকে দূরে।
ছোঁয়া যাবে না— স্নেহের পরশকে।

কালও যা ছিল
হাতের ছোঁয়ায় আর্শীবাদ
আজ তা পরশমণর
স্পর্শ থেকে বাদ…

আহারে!
এইতো পৃথিবী এখন।
বাদ দেই এসব দুঃখ দুঃখ বাস্তবতা।
একটা কহিনী কই। হাসবেন না যেন। ওকে ডান।
………..
হ্যালো! এটা কি কাস্টমার কেয়ার?

– হ্যাঁ ম্যাডাম বলুন। আমরা কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি।

– বলছি আমার ছেলেটা আমার সিমটা খেয়ে ফেলেছে।

– দেখুন, আপনি ওকে ইমিডিয়েট ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান, এখানে ফোন করে সময় নষ্ট করছেন কেন?
– না আমি বলছিলাম আমার সিমটাতে ২০০ টাকার টক টাইম আছে।

– তাতে কি?

– যতক্ষণ না পর্যন্ত সিমটা বের করা হচ্ছে ততক্ষণ আমার ছেলেটা যদি কথা বলে তাহলে আমার ব্যালেন্স কাটা যাবে না তো!

– কাস্টমার কেয়ারের এক্সিকিউটিভ অজ্ঞান! আপনি? জানি আপনার নার্ভাস সিস্টেম বাড়ই শক্তিশালী। আপনি অজ্ঞান হবেন না। হাসবেন। হাসুন না মন খুলে।
যদি এই করোনা কালে আপনার হাসি পায় তবে আপনার জন্য এই নিন একটা লাল গোলাপ।

আচ্ছা আপনি ম্যাচের খোলে কয়টা চাল পেয়েছেন? ভাবছেন এটা আবার কেমন প্রশ্ন! আচ্ছ, আসেন রফিক আর পলির ঘটনাটি খেয়াল করি।
……… ……..
রফিক আর পলির আজ বাসর রাত…
রফিক পলি কে কিস করছে…..এসময় দেখে পলির কাছে একটা ম্যাচের খোল আর একটা ৫০ টাকার নোট।

রফিকঃ ম্যাচের খোল কেন?

পলিঃ তোমার কাছে আমি কিছুই লুকাবোনা…
যখন আমি আমার কোন বয়ফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করতাম তখন একদানা চাল আমি এটার মধ্যে রাখতাম।
রফিক কিছু না বলে ম্যাচের খোলটি হাতে নিয়ে খুলে দেখে খোলের মধ্যে মাত্র তিনটি দানা। সে কিছুটা গম্ভীর হয়ে মনে মনে ভাবলো যাক মাত্র তো তিনটি দানা এই ভেবে সে পলিকে মাফ করে দিল।

তারপরও রফিক ৫০ টাকার ব্যাপারে কৌতুহল থামাতে না পেরে বলেই বসল…
রফিকঃ আচ্ছা ম্যাচের কাহিনী তো বুঝলাম কিন্তু তোমার হাতে ৫০ টাকার নোট কিসের??

পলিঃ গতকালই আমি ২ কেজি চাল ৫০ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি!

আপনি ম্যাচের খোলের ভিতর চাল গুনতে থাকুন।
আমি চললাম।
দেখা হবে আবার এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আজকের মতো বিদায়।
আল্লাহ হাফেজ।

একটি গল্প এবং আমরা ব্লগার

কিছুদিন আগে একজন চায়নিজ বান্ধবীর সাথে কথা হচ্ছিল। টপিকগুলো ছিল খুবই সাধারণ। যেমন-আমার দেশ, আমাদের কালচার, মানুষ, পোষাক, ইত্যাদি সম্পর্কিত। পর্যায়ক্রমে সে আমার সম্পর্কে জানতে চায়। আমার জীবনের লক্ষ্য, শখ, অবসরে কি করতে পছন্দ করি এসব ছোট-খাট বিষয়ে। আমি তাকে বলে যাচ্ছিলাম, বিড়ালের সাথে টিভি দেখা, পছন্দের খাবার তৈরী করা, ছবি তোলা, কাজের ফাঁকে ব্লগিং করা, ইত্যাদি। ব্লগিংয়ের কথা শুনে বিস্ময়ের চোখ নিয়ে তাকালো আমার দিকে!
-তুমি ভ্লগ কর? কিসে কর? ফেসবুকে নাকি ইউটিউবে? আমি দেখতে চাই, তোমার চ্যানেলের লিংক দাও!
তার এই কথা শুনে আমি কি বলব বুঝতে পারছিলাম না। আসলে শব্দ উচ্চারণের দিক থেকে চায়নিজ বা জাপানি জাতি এখনো অনেক অদক্ষ। সেক্ষেত্রে বাঙালিদের অবস্থান অনেক ভাল। আমরা যদি ডক্টর বলি তারা বলে দক্তর! আরো অনেক দৃষ্টান্ত আছে যা বলতে গেলে কয়েক পাতা লিখতে হবে। যখন (Vlog) এবং (Blog) এর পার্থক্য তাকে জানালাম তার বিস্ময় আরেকটু বেড়ে গেল। সরাসরি আমাকে জিজ্ঞাসা করল-ব্লগ কি?

যাইহোক, ব্লগ নিয়ে আমাদের দেশের মানুষের অবস্থা আরো ভয়াবহ! মা, চাচী, ফুপু, খালা, টাইপের কেউ যদি জানতে পারে আপনি ব্লগার তাহলে তো কথাই নাই, চোখের পানিতে সাঁতার কাটিয়ে হোক অথবা মাথার দিব্যি দিয়ে হোক আপনাকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে তাদের গোয়েন্দা ভূমিকায় দেখা যাবে। বাবার বন্ধুরা দাঁত উঁচিয়ে বলবে, আকরামের ছেলেটা শেষ পর্যন্ত জঙ্গিতে যোগ দিল?
পাড়া-প্রতিবেশী বা হুজুর টাইপের মানুষ আপনাকে নাস্তিক বলবে!
বন্ধু-বান্ধব কম পেতে পারেন।
তাছাড়া, তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে এমন টাইপের কথা ফ্রি-তে শুনবেন।

বর্তমান সময়ে কিছু মানুষের ব্লগিং অবাক করার মতো। দেখলে মনে হয় ব্লগিং নয় ফেসবুকিং করে। মনে যা চায় কিছু একটা পোষ্ট করেন, উত্তর-প্রতিউত্তের কোন ধার-ধারেন না। বিষয়টা আমার কাছে মনে হয়- আপনি আপনার বাসায় মানুষকে দাওয়াত দিলেন কিন্তু তাদের সাথে কথা বলার প্রয়োজন মনে করলেন না! আমার মতে, একজন ভাল ব্লগারের গুণাবলী হল মন্তব্যের উত্তর দেয়া, অন্যের লেখায় মন্তব্য করা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া, ব্লগকে ফেসবুকের মতো ব্যবহার না করা, ব্লগ সম্পর্কে মানুষকে সঠিক ধারনা দেয়া।

একমাত্র আলোচনা বা মতামতের মাধ্যমে গড়ে উঠবে সু-সম্পর্ক, ভালবাসা, ভ্রাতৃত্ব, সুন্দর সমাজ।

ঝরা পাতার রঙ

সময়গুলো ঝরাপাতার মতন ঝরছে-
নতুন করে সোনালি মাঠ অভিমান ছেড়ে
ঘ্রাণ যুক্ত ফসল ফুলছে;
আনন্দ ঘন উঠান এখন প্রস্তত –
ধানের খরগুলো আগের মতো
গো মারা হয় না রোদেই শুকান হয়।

ভাবনাতে করোনার আতঙ্কিত-
তবুও থেমে নেই দুর্বাঘাসের ঘাসফড়িঙ র
উড়া রঙবিরল প্রজাপতিদের আনাগোনা
হতবাক শুধু বিবর্তন কিছু মাঠ ঘাট আর
সোনালি স্মৃতির বাঁধন;

ধূসর মাটির বুকে ঘুমপারানির পালঙ্কপোষ
এতো সময় চলছে ঝরা পাতার রঙ আওয়াজে-
অতঃপর ধূলিময় চোখ কিংবা
সহয্যময় চাপা থাকা কষ্টগুলো।

২৫ চৈত্র ১৪২৬, ০৮ এপ্রিল ২০
——————————

Ликвидность акций: что это и зачем нужна, как рассчитать ликвидность на фондовом рынке

Часть находится в собственности ее учредителей, государства, крупных акционеров (держатели более 5% от общего количества), под арестом или в залоге. Компания может увеличить объем свободно обращающихся акций путем продажи части своих пакетов с помощью SPO, как это сделала Русагро (AGRO). Одна из целей — повышение ликвидности акций, благодаря чему компания может попасть в расчет индекса MSCI Russia, на основе которого пассивные фонды осуществляют свои инвестиции.

  • Закрытые акции (closely-held shares) – бумаги, принадлежащие одному или нескольким учредителям компании.
  • Именно на него имеет смысл опираться при первичном анализе ликвидности акции.
  • Данный принцип позволяет участникам торговли получать доход за счет колебания курса.

Таким образом, изменение показателя free-float напрямую влияет на объём покупок и продаж акций индексными фондами и другими инвесторами, ориентирующимися на структуру различных индексов. Это отношение количества акций в свободном обращении к общему числу акций эмитента. Его значения Московская биржа пересчитывает каждый день и публикует на своем сайте. Однако там есть данные только для акций 1 и 2 уровня листинга. Для компаний 3 уровня листинга можно воспользоваться данными Investfunds либо Smart-lab. Небольшое значение коэффициента free-float свидетельствует о том, что объемы торгов этими акциями низкие.

Free-float — ещё один показатель рынка ценных бумаг (его часто связывают с другим показателем — ликвидностью акций). Free float означает долю акций, находящихся в свободном обращении на рынке. С английского языка словосочетание free float можно перевести как «свободно плавающий». Основная информация, которую даёт нам показатель free-float, – это ликвидность ценных бумаг. Чем больше акций находится в свободном обращении, тем больше объём торгов такими акциями и тем ниже величина спреда – разницы между лучшей ценой спроса и лучшей ценой предложения. Соответственно, чем выше free-float, тем меньше проблем с покупкой и продажей бумаг нужного объема.

Коэффициент Free Float на FinanceMarker

Чем больше из них не аффилированы друг с другом, тем меньше риск. Например, в случае появления большого количества продавцов из-за недостатка индивидуальных держателей акций возникает ситуация внезапного снижения их стоимости. Спекулянтам так же невыгодна торговля акциями с низким Free-Float, т.к. Из-за нехватки предложения образуется широкий спрэд, который приводит к убыткам.

Ориентируясь на высокую ликвидность и низкую волатильность, инвесторы (и особенно инвесторы, оперирующие крупными капиталами) обычно предпочитают акции с более высоким коэффициентом free-float. То есть рост доли акций в свободном обращении, как правило, ведёт https://prostoforex.com/ к росту спроса на эти акции и к соответствующему росту их курсовой стоимости. Зная о подобных закономерностях и о мотивации действий индексных фондов и других крупных участников фондового рынка, частные инвесторы могут выстраивать свои стратегии поведения.

free float это

Одной из главных областей практического применения показателя free-float является расчёт фондовых индексов. Бывает, что коэффициент количества свободных акций гораздо выше способности активов быть быстро проданными по цене, близкой к рыночной. Теперь следует рассмотреть, как же работать с данным торговля на центовом счете форекс, советы и обзор показателем. Все крупные биржевые игроки успешно применяют на практике эту величину. Уделяя ей особое внимание при совершении перспективных сделок. Какой бы не был рейтинг и слава у предприятия, при низких показателях Фри Флоат опытные инвесторы не будут покупать ценные бумаги такой организации.

Разница между высокой и низкой ликвидностью

Это происходит вследствие некоторых корпоративных действий эмитента, таких как стратегическая скупка бумаг на открытом рынке, погашение казначейских облигаций, либо обратный выкуп акций. В результате обратного выкупа изъятые из обращения акции могут аннулироваться, что в итоге приводит к увеличению стоимости оставшихся в обращении акций. Когда изъятые бумаги упраздняются, коэффициент Free-Float падает. Free Float это коэффициент, показывающий какая доля от всех ценных бумаг компании крутится в свободном обращении на фондовом рынке среди частных инвесторов. Чем выше значение Free Float, тем лучше это отражается на ликвидности, а акция менее подвержена ценовым спекуляциям.

free float это

Данная группа участников рынка рассчитывает на получение дохода за счет дивидендных выплат, а также за счет изменений рыночной цены при продаже активов через продолжительный период времени. Если сравнивать их с предыдущей группой, они не ставят перед собой цели управлять деятельностью организации. По мере роста количества обращаемых акций эмитент привлекает больше инвестиций. Акции компаний второго эшелона характеризуются умеренной ликвидностью. Например, недвижимость отличается низкой ликвидностью, потому что на её продажу уходит много времени. Даже если уже есть покупатель, подготовка документов и оформление сделки в Росреестре займут не менее семи рабочих дней.

Теперь вы понимаете, какие бумаги стоит покупать, а какие нет. Но это пока только верхушка айсберга, а чтобы осветить все детали, учитывающие особенности такой торговли, понадобится не одна статья. В этой статье я расскажу, как определить их доходность, что такое коэффициент free float и как его использовать для грамотных инвестиций. Важно учитывать, на какую дату эта информация была опубликована, поскольку структура акционеров может периодически меняться.

Осуществление обратного сплита поможет в решении проблем акционерного общества за счет уменьшения числа бумаг в состоянии фри флоат. В результате операции держатель десятка акций, стоимостью 50 центов за единицу после обратного сплита получает одну, цена которой достигает 5 долларов. Невысокий показатель free float характеризует актив как низколиквидный. Это значит, что чем меньше объём доступных акций, тем меньше инвесторов могут владеть ими.

Считается, что количество акций в свободном обращении непосредственно влияет на волатильность. Это связано с тем, что при небольшом количестве акций на рынке любая более-менее значительная сделка резко меняет баланс между спросом и предложением. Коэффициент Free Float показывают долю акций,  обращающихся на фондовом рынке и доступных для покупки в данный момент. Free float дословно переводится с английского как “свободно плавающий” или как его еще называют коэффициент свободного обращения ценных бумаг.

free float сущ. —

Такая торговля была аналогичной классическим финансовым взаиморасчетам. Это значит, что более половины из всего объема акций Сбербанка просто лежит у мажоритарного акционера (Банк России). При принятии инвестиционных решений индекс FF компании будет вам в помощь.

The Dutch Have Solutions to Rising Seas. The World Is Watching … – The New York Times

The Dutch Have Solutions to Rising Seas. The World Is Watching ….

Posted: Thu, 15 Jun 2017 07:00:00 GMT [source]

Иногда компании с туманными перспективами выбрасывают большую часть своих акций на рынок в надежде привлечь неопытных инвесторов. Определяется free float биржей на основании информации, предоставленной самим эмитентом. Затем индексный комитет выдает рекомендации о присвоении индекса фри флот конкретной бумаге. Компания с акционерами менее 100 и коэффициентом ликвидности менее 0,1 % могут получить индекс free float равный нулю. Рассматриваемый инструмент может становиться как больше, так и меньше.

Что влияет на ликвидность акций

Считается, что во всех этих случаях свободная продажа этой части акций на бирже является маловероятной в обозримом будущем. Соответственно, такие акции не доступны к покупке на бирже, и поэтому они не относятся к free-float. Обычно величина free-float выражается в процентах либо в денежных единицах. Низкий free-float акций свидетельствует о том, что частным лицам доступно малое количество акций для заключения сделок купли-продажи, поэтому ликвидность в этом случае будет низкой.

free float это

Узнайте из статьи, что такое коэффициент Free Float, как его использовать, что он показывает. От чего зависит этот показатель и почему меняется, а также многую другую информацию. Есть и обратный сплит, который является зеркальным отображением предыдущей торговой операции. Называемый также консолидацией, обратный сплит сокращает количество активов в состоянии фри флоат. Этот термин представляет собой объем акций, которые доступны для публичных торгов участникам рынка. Простыми словами – это количество обращающихся бумаг, которое, зачастую, наиболее достоверно демонстрирует стоимость бизнеса, позволяет эффективно определить рыночную капитализацию.

Полная рыночная капитализация рассчитывается как совокупная стоимость всех акций корпорации. Для оценки стоимости бизнеса специалисты используют и другой способ оценки компании – рыночная капитализация акций в свободном обращении (free float market capitalization). Результаты показали отсутствие взаимосвязи между free float и ценами. Было подтверждено, что высокая доля акций в свободном обращении повышает ликвидность и уменьшает волатильность. Есть ряд вариантов, позволяющих увеличить суммарное число акций в свободном обороте.

Один из ключевых факторов, влияющих на ликвидность акций, — их вхождение в состав фондовых индексов и биржевых инвестиционных фондов. Ценные бумаги, которые входят в список третьего уровня, считаются низколиквидными активами. Как правило, это акции новых эмитентов, которые не соответствуют требованиям биржи, предъявляемым для вхождения в списки первого или второго уровня. Если говорить о градации акций по уровню ликвидности, то для их ранжирования можно использовать уровни котировальных списков. Так, акции компаний первого эшелона, или голубые фишки, считаются самыми ликвидными и надёжными. В эту группу включаются акции крупнейших корпораций страны, например Газпрома, Лукойла, Норильского никеля.

It (2017) – IMDb

It ( .

Posted: Fri, 12 Aug 2016 05:35:05 GMT [source]

На нашем сайте используются cookie для сбора статистической информации. Free-float (англ. «свободно плавающие») — это акции, находящиеся в свободном обращении на фондовой бирже. • Пакеты акций свыше 5%, за исключением долей инвестиционных, пенсионных и иных фондов. Действия, направленные на увеличение free-float, в таких случаях могут стать позитивным драйвером.

অদৃশ্য ঘণ্টাধ্বনি

অদৃশ্য ঘণ্টাধ্বনি
কোথায় ও
কোন ঘণ্টা বাঁধা নেই?
তবুও ঘণ্টার আওয়াজ ভেসে আসে
যেন মেঘের চাতাল হতে!
ঢ়েরা পেটার মতো
সারা পৃথিবী জুড়ে বিমর্ষ এক ঘণ্টাধ্বনি
বেজে চলেছে তো চলছে
যেন এক রাজার আদেশ? এখনি তাঁর দরবারে
হাজির হতে হবে;
না হলে শাস্তি অশেষ বিড়ম্বনার!

নাকে খত দেবার মতো
আর ও পথে হেঁটো না; ও যে নষ্টের পথ
সরল সোজা পথে হাঁট, হে পথিক বর।

এ কি অদৃশ্য ঘণ্টাধ্বনি?
হতাশার বাজনা বাজে মর্মমূলে; চেতনার আগলে কড়া নারে সহসা
ক্ষিপ্রতায় ক্ষয়ে যায়, অমোঘ লালিত অস্পৃশ্য কপোট যত
ভেসে যায় লালিত লোভ রৌদ্র ধুলি কণায়!
যেন অমোঘ বান ঐ ঘণ্টা ধ্বনির
বেজে চলেছে তো চলছে।

১৪২৬/বসন্ত কাল/ চৈত্র মাস।

সততা যার যার

গতকাল সকালে চার্জার রিকশায় এক জায়গায় যাচ্ছি। দিনাজপুর শহরের সড়কে যাতায়াত করলে উন্নয়নের রোল মডেল প্রত্যক্ষ করা যায়। মোটরসাইকেল, চার্জার রিকশা কিংবা বাইসাইকেলে বেশ উপলব্ধি হয়। একে আমরা বলি উন্নয়নের ঝাঁকুনি। যা হোক এটা সেই গল্প নয়, যা বলতে শুরু করেছি। পথে যেতে যেতে পুবে তাকিয়ে দেখি, দোকানের বারান্দায় টেবিল পেতে যে ম্যাকানিক ছেলেটি, সে অপলক তাকিয়ে আছে। আমি দূর থেকেই জিজ্ঞেস করলাম, –
‘ভালো আছো রাজু?’
সে মাথা নেড়ে জানাল, ভালো আছে। ছেলেটি আমার কলেজ সহপাঠির একমাত্র পুত্র। আমার কলেজ বন্ধু ইন্টারে পাস করতে না পেরে রেডিও মেকানিকের কাজ শিখে নেয়। ভালো ইনকাম করে। ইলেকট্রিনক্সের উপর দুর্দান্ত আগ্রহ আমার। বাজারে নতুন মডেলের ক্যাসেট রেকর্ডার এলে পুরোনোটা পানির দরে বিক্রি করে নতুন কিনতাম। সেই নেশা অবশ্য এখন নেই। এখন হাতের মোবাইলে দু-তিন হাজার গান। তবে যখন ঢাউস সাইজ ডিলাক্স মডেলের ক্যাসেট রেকর্ডার ছিল, সিডি প্লেয়ার, রেডিও ইত্যাদি সব আমার বন্ধু সার্ভিসিং করে দিত। আমি যথাসম্ভব সম্মানী দিতাম। বন্ধু বলে কথা। তার কাজের ফাঁকে ফাঁকে সুখ-দুঃখের গল্পও হতো। সামনের চা স্টল থেকে চা-সামুচা নিয়ে আসতাম। ইত্যাদি। এখন সে খুব কম বসে। তার ছেলেই কাজ করে। সারাদিনে ভালো ইনকাম হয়। সেই ছেলেও বেশিদূর পড়ালেখা করতে পারেনি অথবা করেনি। বাবার কাছে থেকে ইলেকট্রনিক্স মেকানিক বিদ্যা ভালোই রপ্ত করে নিয়েছে। কখনো তার কাছে বিবিধ সামগ্রী সার্ভিসিং করাতে যাই। কোনো দরদাম করা যায় না। মানসম্মানের ব্যাপার। সে কাজ করে দেয়। আমি তার হাতে টাকা দিই। বন্ধু কোনোদিন দূর থেকে এসে জিজ্ঞেস করে, –
‘কী সমস্যা হলো?’
‘এই চার্জারটা জ্বলছে না, জ্বললেও একমিনিসট পর নিভে যাচ্ছে।’
‘ওর ব্যাটারি গেছে।’
এভাবেই মাঝেমধ্যে টুক-টাক কাজ করিয়ে নিই। দিন কয়েক আগে একটি হেডফোন দিয়েছিলাম। রাজুর সময় হয় না। বড় ব্যস্ত। অবশেষে একসময় বললাম, ‘অবসরে করে ঠিক করে দিয়ো।’ হেডফোনের সমস্যা সামান্য। সম্ভবত রাইট সাইট স্পিকারের কানেকশন লুস বা কেটে গেছে। তিনদিনের মাথায় এক সকালে হেডফোন পেলাম। বাড়ি এসে দেখি চলছে। তবে ভলিউম কন্ট্রোল আগের মতো স্মুথ নয়। সেটা পালটে গেছে। তবু যা হোক চালিয়ে নেওয়া যায়। তিনদিনের মাথায় আবার আগের ডিস্টার্ব। মোবাইল করে বললাম সমস্যার কথা। রাজু জবাব দিল।
‘সময়ের বড় অভাব আঙ্কেল।’
‘তুমি কেমন কাজ করে দিলে, দু-তিনদিনে নষ্ট হয়ে গেল। আরও একবার দেখ, চার্জ যা হয় দেওয়া যাবে।’
‘সেটা বড় কথা নয় আঙ্কেল।…আচ্ছা দিয়ে যাইয়েন।’
একদিন পুনরায় দিয়ে আসলাম। রাজু কাজ ধরে না। আমি আশপাশের কম্পিউটার দোকানে মনোমতো হেডফোন খুঁজে পেলাম না। অনলাইনে হেডফোন পাচ্ছি তো অর্ডার করতে গিয়ে দেখি ‘আউট অব স্টক’। কী আর করা। রাজুকে রিকোয়েস্ট করলাম আরও কয়েকবার।
‘আচ্ছা আঙ্কেল, আগামিকাল সকালে দেখব। আপনার কাজ দিয়েই দিন শুরু করব।’
‘ভেরি গুড।’
পরদিন সকাল প্রায় দশটায় ফোন দিল রাজু। ভাবলাম কাজ হয়ে গেছে। আসলে কিছু হয়নি। সে জানাল, রাইট সাইডের স্পিকার কেটে গেছে। আমি নাকি খুব জোরে বাজাতে গিয়ে নষ্ট করে ফেলেছি। তাকে বললাম, –
‘আমি তো কম্পিউটারে গান শুনি। কারও বিরক্তি যাতে না হয়। তা যা হোক, ঠিক করা যাবে?’
‘স্পিকার পালটাতে হবে।’
‘খরচ কেমন পড়বে বলো।’
‘স্পিকার মনে করেন সাড়ে তিন শত টাকা।’
আমি অবাক। একটি সাধারণ হেডফোন। কিনেছিলাম সাড়ে সাত শ টাকায়। কানেকশন মেরামত বাবদ দুই শত খরচ হলো। এখন স্পিকার পালটাতে সাড়ে তিন শত। মেকানিক চার্জ কম করেও একশ। অর্থাৎ মোট খরচ দাঁড়ায় সাড়ে ছয় শত। মোবাইলে জানালাম আমি যাচ্ছি।
তার কাছে গিয়ে স্পিকার দেখি। একটি বিবর্ণ পুরোনো জিনিস। এটা কখনোই এই হেডফোনের নয়। রাজু আমাকে ভালো মক্কেল পেয়েছে। তাকে বললাম, –
‘ঠিক করার আর দরকার নেই। একটি নতুন কিনে নেব।’
‘এই মডেল তো পাবেন না।’
রাজু বিরস বদনে জবাব দিল। আমি হেডফোন খোলা অবস্থায় ফেরত নিয়ে আসলাম। বাসায় পরিত্যক্ত সামানের মধ্যে রেখে দিলাম। বিদায় বন্ধু। অনেকদিন কানে লাগিয়ে কত না গান শুনেছি। মন আকাশে ভেসে গেছে কত বার আবেগের মোহনায়। আজ তাকে বিদায় জানতে হলো। একদিন সকলকেই বিদায় জানাতে হয়।
গতকালকের একজন তরুনের নিষ্পলক দৃষ্টিতে কী খুঁজে পেয়েছি জানি। আমরা এ কোন সমাজ রেখে যাচ্ছি? কীভাবে মানুষ এমন হয়ে যায়? আমি সব সহ্য করে গেলাম। কখনো মন বলে, কলেজের সহপাঠি বন্ধুকে বলি, ছেলেকে কেন সৎ করে গড়ে তুলতে পারলে না? কখনো ভেবে নিই, কী দরকার, মানুষ তো এমনিই। সততা যার যার জীবন তার তার। মন খুব খারাপ হয়ে গেল।

কুলু কুলু বয়ে চলে গাঁয়ের অজয় নদী বইছে অজয় আপন বেগে (ষষ্ঠ পর্ব)

কুলু কুলু বয়ে চলে গাঁয়ের অজয় নদী
বইছে অজয় আপন বেগে (ষষ্ঠ পর্ব)

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

নামটি অজয় নদী
সুশীতল জল,
কুলু কুলু বয়ে চলে
সদা অবিরল।

নদীচরে বক বসে
শালিকেরা আসে,
পানকৌড়ি ডুব দেয়
কভু জলে ভাসে।

জল নিতে আসে বধূ
রাঙাপথ ধরে,
কলসীতে জল নিয়ে
চলে নিজ ঘরে।

বালকেরা স্নান করে
অজয়ের ঘাটে,
স্নান হলে দলে দলে
রাঙাপথে হাঁটে।

রাঙাপথ এসে মিশে
গ্রাম সীমানায়,
আঁকাবাঁকা গলিপথ
গাঁয়ের রাস্তায়।

অজয়ের নদীঘাটে
পড়ে আসে বেলা,
ক্রমে ক্রমে সাঙ্গ হয়
দিবসের খেলা।

অজয় নদীর ঘাটে
সূর্য পড়ে ঢলে,
সোনালী কিরণ ঝরে
অজয়ের জলে।

অবশেষে সন্ধ্যা নামে
অজয়ের ঘাটে,
শেয়ালেরা হাঁক দেয়
চাঁপাডাঙা মাঠে।

পরাধীনতার কবর

যখন অশালীন আগুন মানবতা, নীতি ও আদর্শকে
গ্রাস করে ;
তখন জ্বলন্ত আগুনের মতো চিৎকার করে রাষ্ট্রের প্রান্তর ।
আর একটা পাগল ক্রোধের আগুনে এই শহরটাকে
জ্বালিয়ে দেয় ;
এবং ঘৃণার চোখে তাকিয়ে থাকে এ পোড়া শহরের
আঙিনায় ।

যখন এই শহরের কোন ব্যালকোনীতে বসে ধর্ষনের
খবর পড়ি ;
তখন মনে হয় যেন আত্মঘাতী হই আর যা ইচ্ছা হয়
তাই করি ।
প্রতিনিয়ত যখন ভঙ্গুর শরীর থেকে জীবন ছিনতাই
হয়ে যায় ;
অনাকাঙ্খিত মৃত্যু তখন এই শহরেই অনেক সস্তায় পাওয়া যায়।

পত্রিকার ব্যালকোনী জুড়ে যখনই স্থান পায় খুনির মুক্তির খবর ;
রাষ্ট্র তখন মানচিত্রের মাঝে খুঁড়ে চলে পরাধীনতার এক কবর ।

হুদাই

১.
আলো সরল পথেই চলে। আর তাই আপনি ওয়ালে টর্চ মারলে ঐ ওয়ালেই পড়বে, জানালা দিয়ে ঘুরে ফিরে পাশের বাড়ির সুন্দরী জরিনার ওপর পড়বে না। এখন টর্চের আলোর সামনে একটা কার্ডবোর্ড রাখলে তার ছায়া ওয়ালে পড়বে। ছায়া অন্ধকার এবং আলোর এত ক্ষমতা নাই যে সে কার্ডবোর্ড ভেদ করে ওয়ালে আছড়া পড়বে। আলোহীনতার কারনে ছায়ার অংশটা অন্ধকার হবে। এটা সবাই জানে, এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু নাই। এখন বাসার দুস্ট শিশুটি একটা সুই নিয়ে কার্ডবোর্ড ফুটো করে দিলো। তাহলে ওয়ালে দেখবেন ছায়ার মধ্যে একটা ফুটো পেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে একটাই ফুটো পাবেন। কিন্তু শিশুটি ধারনাতিত দুস্ট হওয়ায় ঐ ফুটোর পাশে আরেকটা ফুটো করে দিলো। তো স্বভাবতই মনে হতে পারে ওয়ালে আপনি দুটো ফুটোই পাবেন।

কিন্তু না, তাকিয়ে দেখলেন অনেকগুলো ফুটো লাইন ধরে। মনে হতে পারে কোনো ম্যাজিক বা কিছু একটা ভুল বা ফুটো আরো কোথাও আছে। আপনি যেটা করলেন আরো কার্ড বোর্ড নিলেন এবং দুটো ফুটো করে বোর্ডে টর্চ মেরে দেখলেন ফোটার সংখ্যা টর্চের মাথা থেকে কার্ডবোর্ডের দূরত্বের সাথে বাড়ছে কমছে। এমনকি ফোটাগুলোর উজ্জলতাও। প্রশ্ন আসতে পারে আলো যদি এমন ঘুরায় ফেরায় যায় তাহলে ওয়াল ভেদ করে জরিনার কাছে যায় না কেন?

এরকম একটা পরীক্ষা, এমন সন্দেহ নিয়ে পদার্থবিদরাও চিন্তায় পড়েছিলেন এবং এখান থেকেই কোয়ান্টাম ফিজিক্সের ব্যাসিক ধারনা প্রতিষ্ঠা পায়। তারা এর সমাধান দেয় অনেকটা এভাবে: পুষ্কুরীনিতে আপনি যখন ঢিলটা মারলেন তখন তার চারপাশে গোলাকার ঢেউয়ের সৃষ্টি হইছে। এখন আপনি একটা কাজ করলেন ৮-১০ টা খুটি ফাকা ফাকা রেখে পুস্কুরিনীর তলদেশে পুতে একটা গোলাকার বৃত্তের সৃষ্টি করলেন এবং তার মধ্যে একটা ঢিল ছুড়লেন। একটু ভালো করে দেখেন এবার তার চারপাশের গোলাকার ঢেউ একটা প্যাটার্ন সৃষ্টি করছে। খুটি বরাবর সামনের দিকে কোনো উচু ঢেউ নেই কিন্তু দুটো খুটির মাঝখানে ফাকা বরাবর প্রথমে একটা, পরে সেটা থেকে দুটো এবং একটু পর চারটা এমন করে ছোট ছোট ঢেউয়ের সংখ্যা বাড়ছে। ঠিক এই জিনিসটাই আলোর সাথে হচ্ছে।

তার মানে আলো আসলে কনিকা নয়, এগুলো একেকটা ঢেউ। তাহলে আমরা যে অমুক কনিকা সমুক কনিকা পাওয়া গেছে বলি এটা কি ভুল? না, সেগুলো আমরা গননার সুবিধার্থে বলি। আর কনিকা হলেও যে পিং পং বলের মতো টু টু করে ফাল পাড়বে সেটা না। প্রতিটা ঢেউয়ের চূড়া একটা বিন্দু এবং বিন্দু গুলোর আচরন অনেকটা পিং পং বলের মতো। তাই বলে আপনি বলতে পারবেন না এটা শুধু ফাল পাড়তেছে। পিং পং বল যেমন ডানে বায়ে ঘুরে, সামনে এগোয়, বাউন্স করে এই পয়েন্টগুলোও সেরকম করে। এবং আপনি যখন তাদের বিন্দু মনে করে হিসাব করেন তাহলে তখন আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে একটা কনিকা নির্দিস্ট অনেক জায়গাতে থাকতে পারে।

আর এজন্যই শ্রোয়েডিঙ্গার তার তার বিড়ালের থট এক্সপ্যারিমেন্ট দ্বারা বুঝাতে চেয়েছেন কেন এটা একই সময় জীবিত ও মৃত!
এতুকু যদি বুঝতে পারেন, নিদেপক্ষে অনুধাবন করতে পারেন তাহলে আমার কথা শুনে রাখুন, আপনি এখন পুরো কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিজে বুঝে ক্লাস থ্রি এর একটা পিচকিকে সে বিষয়ে জ্ঞান দিতে পারবেন এরকম মজাদার এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে, দারুন তাই না?

২.

পঞ্চইন্দ্রিয়ের ব্যাখ্যাতীত সবকিছুই আমাদের কাছে অলৌকিক লাগে। একসময় মনে হতো বৃষ্টি পড়া সুর্য দেখা, পীরের দোয়ায় গর্ভবতী হওয়া বিশাল কেরামতি। যদিও মানুষজনের জ্ঞানবুদ্ধি বাড়ার সাথে সাথে বুঝতে পারে আসলে ঐ পীরটা ছিলো একটা লম্পট চরিত্রের।

পোস্ট শেষ। ভাবলাম হুদাই একটা জিনিস লেখে পোস্ট করি।

শুভ জন্মদিন প্রিয় মুরুব্বী আজাদ কাশ্মীর জামান

শুভ জন্মদিন প্রিয় “মুরুব্বী” আজাদ কাশ্মীর জামান

শব্দনীড় ব্লগের প্রাণপুরুষ, বাংলা ব্লগের অন্যতম নক্ষত্র, ইতিমধ্যে যার হাত ধরে হাজারো ব্লগারের পথ চলা ও সাফল্য গাঁথা রচনা রচিত হয়েছে আজ সেই শুদ্ধজাতকের জন্মদিন!…
শুভ জন্মদিন প্রিয় “মুরুব্বী” আজাদ কাশ্মীর জামান…

আসলে আমরা সব সময় মঞ্চের লোক গুলিকেই দেখি,
মঞ্চ যিনি সাজিয়ে দেন তাকে কখনো দেখিনা
পর্দায় ভেসে আসা চিত্র টি দেখি কিন্তু চিত্রের রুপকার কে দেখিনা;

আলো জ্বালাতে সবাই পারে
ইলেক্ট্রিক বোর্ডের নির্দিষ্ট সুইচ অন করে দিলেই আলো জ্বলে উঠলো
কিংবা দিয়াশলাই মেরে বাতি জ্বালানো-
কিন্তু খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন যারা আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করতে পারে,
তারা জানে আলো জ্বলানোর নেপথ্যের কাজ গুলো,
জানে এবং নিপুন হাতে সেই কাজ গুলো করে দেয় বলেই আমরা সহজে সুইচ টিপে আলো জালাতে সক্ষম হই।
আর আপনি হচ্ছেন আলোকরনের সেই নেপথ্যের মানুষ।

অনেক অনেক শুভ কামনা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা!…