বিভাগের আর্কাইভঃ অন্যান্য

লেখার প্রতি মনোযোগ

এই সমাজের মাঝেই আমরা অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার ভাষা লিখে থাকি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, মনের কথাগুলো লিখতে গেলে বানানগুলো মোটেও ঠিক নাই।

আমি মনে করি, ভুল লেখার প্রতি অভ্যাস করলে ভুলেই হবে। তাই যতটুকু সম্ভব শুদ্ধ লেখার প্রতি মনোযোগ দেয়া উচিৎ।
……………………
হাফেজ মাসউদ

আত্মচিন্তন-৯

আত্মচিন্তন-৯

সমগ্র বিশ্বে একই সাথে যুক্তি, প্রযুক্তি, অযুক্তি আর কুযুক্তি সমান তালে বেড়ে চলেছে। যে পক্ষের জোড় যত বেশি তারা ততোটা আধিপত্য বিস্তার করবে আর অপর পক্ষ নিষ্পেষিত হবে। যে কোন এক পক্ষ অবলম্বন করলে পড়তে হয় অপর পক্ষের রোষানলে। এমতাবস্থায় মধ্য পন্থা অবলম্বন করা বুদ্ধিমানের কাজ মনে হতে পারে, কিন্তু বিবেকবানের কাজ নয়। আমরা নিজেরা কে কোন পক্ষ অবলম্বন করবো তা শুরুতেই বোঝাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পক্ষ এবং পক্ষপাতিত্ব কখনো কখনো ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শ থেকে ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্যে তৈরি। আবার কখনোবা একই মতাদর্শের ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সংগঠনের দ্বারা একই বা বিভিন্ন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য তৈরি। আমরা না বুঝেই এই রকম এক বা বিভিন্ন আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে আত্মবিসর্জন দিতে সচেষ্ট হই। তাতে প্রকারান্তরে আসলে আমরা অন্যের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার হই মাত্র। ফলাফল আসলে সময়, মেধা, শ্রম, অর্থ এবং অনেক সময় জীবনের অপচয়।

আমাদের সীমাবদ্ধতা, আমরা বুঝিনা যে আদর্শের কোন বিকল্প হয় না। একই আদর্শের ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যাও হয় না। আদর্শ একক এবং আদর্শ।

উদাস দুপুরে

চৌদ্দশ তেইশ ছাব্বিশ চৈত্রে আরামে নদীর ধারে
মটরবাইক চড়ে গেলাম সাপটে বসি দক্ষিণ পাড়ে
বড়শি আর ফিকাজালে মাছ ধরেন কয়জন জেলে
ডুবে দু’জন পাথর তুলে ধার স্তুপে রাখেন ঢেলে
বাটা-চিলি মাছ ধরে হাত উচিয়ে ডাঙ্গায় ফেলে।
উজানে ভারত বাঁধ জলহীন করতোয়া মরন ফাঁদ
চোখ জুড়ায় সবুজ মাঠ ফাঁকে চিকচিক বালুর বাঁধ
নদী জলে স্নানের তরে কৃষাণ-কৃষানীর দৌড় ঝাপ
বক –সারস-মাছরাঙ্গার শিকার ধরতে বাড়ল চাপ
সবুজ ক্ষেতের আড়ালে পান কুয়াড়ি এক ঝাঁক।
দক্ষিণা হাওয়াই বালুর ফুলকি নদীর জলে পড়ে
ক্ষনিকে ধারের স্বচ্ছ জল ময়লা আর্বজনায় ভরে
পাদুকা খুলেই বসে পড়ি সবুজ ঘাসে নদীর পাড়ে
কুচুরিপানা ধীরে ভাসে মাছ ভুটকাই জল ধারে
উদাস দুপুর মন মাতালো করতোয়ার কোলে।
প্রকৃতিই মন ভুলাল করতোয়ার ধারে কাল ফুরাল
বাঁশ বন আড়ালে চিকচিক বালুচর দুচোখ জুড়াল
মনে হয় ছোট সৈকতে রুপালি সবুজের হাত ছানি
ক্লান্তি আর নাইকো কাজে তৃষ্ণান্ত মন চাই পানি
উদাস দুপুরে নদীর কিনারে প্রকৃতি ভরা আত্মস্মৃতি।
০৯.০৪.১৭

সাহিত্য আড্ডা-২

বর্ষা বন্দনা

বর্ষা আমার প্রিয় ঋতু। শুধু প্রিয় বললে বর্ষার প্রতি আমার অনুভূতি যথাযথ তীব্রতা নিয়ে প্রকাশ পায় না। বর্ষা আমার ভালোলাগা ঋতু, ভালোবাসার ঋতু। জীবনের প্রতিটা দিনের সাথে আমি বর্ষার এক গভীর সম্পর্ক খুজে পাই। প্রতিটা মুহুর্ত যেন বর্ষার একেকটা রুপ নিয়ে আমার কাছে ধরা দেয়। বর্ষা যেন মিশে আছে আমার অস্তিত্বের সাথে একাত্ম হয়ে।

আমার মনে হয় যে কোন সাহিত্য প্রেমী বা প্রকৃতি প্রেমী মানুষেরই বর্ষার সাথে রয়েছে এক সুগভীর অনুভুতির সম্পর্ক। কখনো তা এক ঘন কাল মেঘে ঢাকা থমথমে আকাশের মত এক বুক কষ্টের। কখনো তা আবার গুচ্ছ গুচ্ছ হাল্কা শ্বেত শুভ্র মেঘলা আকাশের মত শুদ্ধতার। কখনো সারাদিন গুড়ি গুড়ি করে ঝরে পড়ার মত বিষণ্নতার। কখনো অঝোর ধারায় ঝরে পড়ার মত অভিমানের। আবার কখনোবা প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাতের মত ধ্বংসের। কিম্বা শিলা বৃষ্টির মত অভিশাপের।

আমি সারা বছরই বর্ষার গান শুনি। তবে বর্ষায় বৃষ্টি নামলে যে গানগুলো আমি সবচেয়ে বেশী শুনি তার মধ্য থেকে একটি আপনাদের আজ উপহার দিচ্ছি। আপনাদের প্রিয় বর্ষার গান গুলির লিংক মন্তব্যে দিলে আমরা সবাই তা শুনতে পারবো। বর্ষা নিয়ে আপনার ভাললাগার অনুভূতিও আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে
www.youtube.com/watch?v=hi-C4kD6G9Y

আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে
মনে পড়লো তোমায়
অশ্রু ভরা দুটি চোখ
তুমি ব্যথার কাজল মেখে
লুকিয়েছিলে ঐ মুখ।।

বেদনাকে সাথী করে
পাখা মেলে দিয়েছো তুমি

কত দূরে যাবে বলো।
তোমার পথের সাথী হবো আমি।।

একাকিনী আছো বসে
পথ ভুলে গিয়েছো তুমি

কোন দূরে যাবে বলো।
তোমার চলার সাথী হবো আমি।।


শিল্পী: নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী
সুর: লাকী আখন্দ
কথা: কাওসার আহমেদ চৌধুরী

অভিসার (অণুগল্প)

অভিসার_অণুগল্প।

মেয়েটি ছেলেটির পিছু পিছু রুমটাতে ঢুকে গেল। আশপাশের ভাড়াটিয়াদের উৎসুক চোখ ও লালসা ভরা মুখভঙ্গিকে থোরাই পরোয়া করে ছেলেটি। রুমে ঢুকে আলতো করে ভদ্র ভাবে দরোজাটা ভেজিয়ে দিল ছেলেটি। ছিটকিনিটা লাগানো হল না, আড়চোখে দেখে নিল মেয়েটি।
আজ ওরা অভিসারে এসেছে।
কয়েক বছরের প্রেম আজ বুঝি পুর্ণতা পেতে যাচ্ছে!

চারিদিকে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে মেয়েটি। একি! এ কোথায় এলো সে? ব্যাচেলর রুমটি হঠাত করে এমন হয়ে গেল কিভাবে? সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখে একটা খোলা দরোজা দেখা যাচ্ছে। সেখান থেকে ভেসে আসছে পাখির কিচিরমিচির ও বাতাসের শব্দের সাথে আটপৌরে নির্জন দুপুরের ঘ্রান। মনটা ওর ভাল হয়ে গেল- ভীষণ ভাল। ঘাড় বেকিয়ে ছেলেটির পানে একবার চাইল। সে তখন মেয়েটির থেকে ভদ্র গোছের দুরত্ত বজায় রেখে একটা পা দেয়ালে ঠেক দিয়ে দাঁড়ানো। মেয়েটির একটা ভ্রু প্রসারিত হতেই টিকটিকি মানব তার অবস্থান থেকে নেমে এসে মেয়েটির একটা হাত ধরল। একটু কেঁপে উঠে মেয়েটিও পরম মমতায় নির্ভরতার সাথে হাতে হাত রাখল। দুজনে সেই পথ ধরে সামনের দিকে আগাতে থাকে। একটা ঝলমলে বিকেলে তারা একটা শান বাঁধানো পুকুর ঘাটে এসে একটু থামে। ছেলেটি মেয়েটির চোখে চোখ রাখে। পুর্ণ দৃস্টিতে চার চোখের তারায় তারায় কথা হয়ে যায়। মেয়েটির সম্মতি লক্ষ্য করে ছেলেটি ঢোক গিলে।

তবে হাত ধরা অবস্থায়ই সে মেয়েটিকে একটু দূরে সরিয়ে দেয়। অপ্রত্যাশিত এই দূরত্ব মেয়েটির মনে চিন্তার উদ্রেক করে। সে আরো একটু কাছে আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। কিন্তু মেয়ে বলেই সহজে জড়তা কাটানো ওর পক্ষে সম্ভব হয় না।

ছেলেটি সব কিছু লক্ষ্য করে। এবার সে মেয়েটির পা থেকে জুতো জোড়া খুলে নাঙ্গা পা দু’টি সিড়ির প্রথম ধাপে পানিতে ডুবিয়ে দেয়। নগ্ন পা দেখে তার শরীরের উপর থেকে নিচের দিকে তপ্ত শোণিত দ্রুত থেকে দ্রুততর হতে থাকে। মেয়েটির চোখের তারায় আগুন জলে উঠে। মাথার উপরে সাদা মেঘ বালিকারা নীলাকাশে অলস সময় পরিভ্রমনে ব্যস্ত। তবে এরই ভিতর দিয়ে নিচের এই বিষন্ন বালিকার মাথার চুলকে এলোমেলো করে দিতে বালিকাদের ভুল হয় না। তাতে যদি ওর মন ভাল হয়! ছেলেটি মেয়েটির শরীর থেকে বুনো ফুলের ঘ্রাণ পায়। একটি বুনো ফুলের অঘ্রাতা যৌবনকে ওর মুহুর্তেই ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু মেয়েটির দিকে তাকিয়ে সে শান্ত হয়ে আসে। ওর কপালে ঘামে ভেজা ক’গাছি চুল লেপ্টে আছে… ঠোটের উপর মুক্তো বিন্দুর মত চিকচিক করছে ঘামে ভেজা ত্বক। দু’ঠোট হাল্কা ফাঁক হয়ে আছে অস্ফুটে কিছু বলার অপেক্ষায়। এত কিছু ছেলেটিকে সহজেই প্রলুব্ধ করার মত পরিবেশ-পরিস্থিতির সৃস্টি করে দিলেও সে মেয়েটির হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নেয়।

ওর দেহ-মনের সকল বাসনাকে এক পলকে ফ্রিজ করে দেয় একটি অনুভুতি। ভালবাসি! ভালোবাসার অভিসার তো গোপনে হয় না।
একবুক ভালবাসা নিয়ে ছেলেটি মেয়েটিকে কাছে টেনে নেয়!
ওরা দুজনে হাত ধরাধরি করে রুম থেকে বের হয়ে আসে- সকলের সামনে দিয়ে হেঁটে হেঁটে চলে যায়… ওদের তো এখন আর গোপন করার কিছু নেই। হাঁটতে হাঁটতে ওরা দুজনে কোনো এক যায়গায় ক্লান্ত হয়ে একটু জিরিয়ে নেবে। তখন কথা হবে…
তারপর আবার পথচলার শুরু!

#অভিসার_অণুগল্প_২৮০

সাহিত্য আড্ডা-১

শব্দনীড় বাংলা সাহিত্য ব্লগ ! আসুন আমরা সাহিত্য নিয়ে একটু আড্ডাবাজি করি !

আমরা যদি ভাবি, শব্দনীড়ে আমরা শুধু আমাদের স্বরচিত লেখা প্রকাশ করবো এবং অন্য সবাই আমার লেখা পড়বে ও মন্তব্য করবে কিন্তু আমার অত সময় নেই অন্যের লেখা পড়ার বা মন্তব্য করার; এমন ভাবলে ব্লগ জমবে কিভাবে ? ব্লগিংকে উপভোগ্য করে তোলার জন্য দরকার একে অন্যের লেখাকে মূল্যায়ন করা এবং সুন্দর পরিশীলিত মন্তব্যের মাধ্যমে পারস্পরিক আন্তঃসম্পর্ক গড়ে তোলা । আমার মনে হয়, আমরা তখনি কোন একটি ভালো লেখার নির্জাস নিজের মধ্যে ধারন করতে পারি যখন আমরা তার উপর যথাযথ মন্তব্য করতে সমর্থ হই । আপনি কি মনে করেন ?

আড্ডার ছলে অনেক বিরক্তিকর কথা কি বলে ফেললাম ?
তাহলে শব্দনীড়ের বন্ধুদের বিনোদিত করতে আমার অনেক প্রিয় একটি গান আপনাদের সাথে শেয়ার করি ! আপনাদের ভালো লাগলে পরবর্তীতে আবারো আসবো আরও কোন প্রিয় গান নিয়ে !

আলগা করো গো খোপার বাঁধন

– কাজী নজরুল ইসলাম

www.youtube.com/watch?v=LuWCrG-1idk&list=RDLuWCrG-1idk

আলগা করো গো খোপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
আলগা করো গো খোপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
বিনোদ বেনির জরিন ফিতায়
বিনোদ বেনির জরিন ফিতায়
আন্ধা ইশক মেরা কাস গায়ি
আন্ধা ইশক মেরা কাস গায়ি
আলগা করো গো খোপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি

তোমার কেশের গন্ধে কখন
লুকায় আসিলো লোভী আমার মন
তোমার কেশের গন্ধে কখন
লুকায় আসিলো লোভী আমার মন
বেহুঁশ হো কার গির পারি হাথো ম্যায়
বেহুঁশ হো কার গির পারি হাথো ম্যায়
বাজু বান্ধ ম্যায় বাস গায়ি
বাজু বান্ধ ম্যায় বাস গায়ি
আলগা করো গো খোপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি

কানেরও দুলে প্রাণ রাখিলে বিধিয়া
আঁখ ফিরা দিয়া চোরি কার নিন্দিয়া
কানেরও দুলে প্রাণ রাখিলে বিধিয়া
আঁখ ফিরা দিয়া চোরি কার নিন্দিয়া
দেহেরও দেউরীতে বেড়াতে আসিয়া .
দেহেরও দেউরীতে বেড়াতে আসিয়া
অউর নেহি ওহ ওয়াপাস গায়ি
অউর নেহি ওহ ওয়াপাস গায়ি
আলগা করো গো খোপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
বিনোদ বেনির জরিন ফিতায়
আন্ধা ইশক মেরা কাস গায়ি
আন্ধা ইশক মেরা কাস গায়ি
আলগা করো গো খোপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি

যেন বেঁচে থাকতে পারি

আরেকটু বেঁচে থাকতে চাই
দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারলে আরো ভাল
প্রতিদিন আমি অজানা মেঘের তথ্য পাই
প্রতিদিন স্বপ্নের পাখি হয়ে ভেসে বেড়াতে চাই
প্রতিদিন আমি নতুন কিছু ভেবে পাই
আজ বাজারে যাব কিছু কিনে আনব
কালকেও বেঁচে থাকলে বাজারে যাব
মানুষের সাথে প্রতিদিন দেখা হবে
প্রতিদিন আমার বাচ্চা বাবা বলে ডাকবে
স্ত্রী বলবে কথা বলবে -তুমি ডাকে
যেন আমার আরেক নাম –তুমি
আরেকটু বেঁচে থাকলে মন্দ কিসের ?

আমার মানসিক স্তরের ভিত্তি ও পাপ বোধ

আমার মানসিক স্তরের ভিত্তি ও পাপ বোধ
——————————

তীব্র এক পাপ বোধ আমাকে কষ্ট দেয়
প্রতিদিন-ই আমি কিছু খারাপ কাজ করি ঠিক-ই
কিন্তু তা আমার মানসিক কষ্টের কারণ হয়ে দাড়ায়

সেদিন একটি খারাপ কাজ করে মন খারাপ হয়ে গেল
নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম এই বুলে-
আমার ভালর সীমা এই পরযন্তই ,যতটুকু ভাল আমি করি
আমার খারাপের সীমা এই পরযন্তই যতটুকু খারাপ আমি করি
এর বাইরে যাওয়া আমার সম্ভব নয়

আমার খারাপ অভ্যাসগুলো মানুষ জানুক বা না জানুক
আমার খারাপ গুলো আমার ভেতরে আছে আমার
মানসিক স্তরের ভিত্তি হিসেবে
আমার ভালগুলোও সেরকম

আমি যদি কোন একটি খারাপ কাজ থেকে নিজেকে নিবৃত্তি
করতে না পারি
তবে আমার মানসিক স্তর ঐ পরযন্তই
কোন না কোন ভাবে আমার আবেগকে ঠেকিয়ে রাখলেও
আমার কাছে স্বভাব আবার ফিরে আসে

সবচেয়ে বড় কথা –আমি মানুষটা যে অভ্যাসগুলো উপর
প্রতিষ্ঠিত,যেগুলো আমাকে ঘুরাবেই
কি করব নিজের সাথে যুদ্ধ করে
তার পরেও যুদ্ধ করে যাচ্ছি।

এলেবেলে-২৮

সুইস ব্যাংকই নিরাপদ

প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রবাহ কমে গেছে, এনিয়ে চিন্তিত অর্থমন্ত্রী। প্রবাসীরা এখন সুইস ব্যাংকে টাকা রাখছে (সুত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাংক )। প্রবাসীরা এতদিনে বুঝে গেছে ঐ টাকা বাংলাদেশের চেয়ে সুইস ব্যাংকে রাখাই নিরাপদ।

বাংলাদেশের প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি দরকার হয় না। বৈধপথে সে টাকা প্রবাসে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের জটিল দেয়াল পার হতে না পেরে হুন্ডি ব্যবসায়ীর শরণাপন্ন হতে হয়।

আবার যারা রেমিটেন্স বিদেশে পাঠান তাঁদের তো এসব ঝামেলা নেই। আন্ডার ওয়ারের ভিতর দিয়েই উনারা এসব সেষ করেন। একবার বিদেশ যাবার সময় বিমানবন্দর থেকে ডলার কেনার পর উনারা আমার পাসপোর্টে লিখে দিলেন কত ডলার আমি কিনেছি। এটা বাংলাদেশ আর ভারতে দেখেছি … অন্য কোন দেশের ব্যাংক বা মানি একচেঞ্জের পাসপোর্টে লিখার ক্ষমতা নেই (অন্তত আমি যে কটা দেশে গিয়েছি সেখানে দেখি না)।

সুইস ব্যাংকই ভালো। এক লক্ষ টাকায় এক হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হয় না।

আমাদের দেশের কয়েকজন উচ্চপদস্ত ব্যাংকারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেলে সর্বোচ্চ কত টাকা পর্যন্ত ফিরে পাওয়া যাবে। উনারা বলতে পারেন নি। বিশ্বাস না হয় তো আপনার সঞ্চিত অর্থ যে ব্যাংকে আছে সে ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইতে পারেন।

সুতরাং সুইস ব্যাংকেই ভালো। সুইস ব্যাংকে হিসাব খোলা বাংলাদেশের ব্যাংকে হিসাব খোলা থেকে অনেক সহজ (সুত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাংক)। শুধুমাত্র পাসপোর্ট থাকলেই আপনি বিদেশের ব্যাংকে হিসাব খুলতে পারবেন।

বুক ভরা আশা নিয়ে অনিশ্চিত যাত্রা

———-
হতে পারে আমার ‍উপর কেউ অসন্তুষ্ট
কেউবা আমার উপর সন্তুষ্ট
হতে পারে আমার পুণ্যময় জীবন
কিংবা এক সমুদ্র পাপ নিয়ে আমি
মনের অজান্তে ঘুরছি
যে পথ দিয়ে হাটছি সে পথে
ডাল ভেঙ্গে মাথায় পড়তেই পারে
কিংবা ঝড় আসতেই পারে
এক কথা জীবন মানে কি?
বুক ভরা আশা নিয়ে অনিশ্চিত যাত্রা
নৌকা উঠলাম পাড়ে ফিরতে পারব কি?
অনেক যত্ন করেও আমার আধমরা গাছটি
বাঁচবে, তার-ই বা নিশ্চয়তা কিসের?

বিনা কারনে মন খারাপ

সেদিন বিনা কারনে মন খারাপ হল
ভাবলাম মোবাইলটা আচড়ে ভেঙ্গে ফেলি
মন খারাপের একটি কারণ বের হবে অন্তত

সেদিন এক বন্ধু বলল তার মন খারাপ
কিন্তু কারণ বলতে পারল না
বললাম আমার মত কিছু একটা ভাঙ
তাহলে মন খারাপের কারণ বের হবে

আসল কথা হল-সব চাহিদা মিটে গেলেও
মন খারাপ করে
কারণে বা অকারণে মন খারাপ করে
তবে কারণ খুঁজে না পেলে দেয়ালে হাতটা
জোরে ঘাই মারুন আল বলুন
হাতে ব্যথা হয়েছে তাই মন খারাপ করছে।

বুক ভরা আশা নিয়ে অনিশ্চিত যাত্রা

বুক ভরা আশা নিয়ে অনিশ্চিত যাত্রা
———-
হতে পারে আমার উপর কেউ অসন্তুষ্ট
কেউবা আমার উপর সন্তুষ্ট
হতে পারে আমার পুণ্যময় জীবন
কিংবা এক সমুদ্র পাপ নিয়ে আমি
মনের অজান্তে ঘুরছি
যে পথ দিয়ে হাটছি সে পথে
ডাল ভেঙ্গে মাথায় পড়তেই পারে
কিংবা ঝড় আসতেই পারে

এক কথা জীবন মানে কি?
বুক ভরা আশা নিয়ে অনিশ্চিত যাত্রা
নৌকা উঠলাম পাড়ে ফিরতে পারব কি?
অনেক যত্ন করেও আমার আধমরা গাছটি
বাঁচবে, তার-ই বা নিশ্চয়তা কিসের?

বাবা ফিরে আসবে না!

রাস্তাতে সেদিন এক বৃদ্ধকে দেখে বাবাকে মনে হল
ভাবলাম ইশ সত্যিই যদি বাবা ঘুরে আসত
এক লাফে কাছে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরতাম

ঘরে আনলার দিকে তাকিয়ে বাবার পুরানো
পাঞ্জাবিটার দিকে চোখ পড়ে গেল
ভাবলাম ইশ সত্যিই বাবা যদি ঘুরে আসত
বাবা যা চাইত তাই দিয়ে খুশি করতাম

সেদিন বাবার হাতের লেখা একটা বাজারের মেনু
আমার চোখে পড়ল
মনে হল বাবার হাতের লেখা ,বাবার জামা কাপুড়
সব চেয়ে উপরে ,আরো উপরে যতটা যত্নে রাখা যায়
সেভাবে রেখে দিই

বাবা তুমি যদি ফিরে আসতে তোমার ওযু এক ঘন্টা
আগে তোমার পা ধুয়ে দিব বলে দাড়িয়ে থাকতাম
তোমার পরিচ্ছন্ন জুতো দুটো গায়ের জামা খুলে
আরেকটু পরিচ্ছন্ন করে দিতাম

বাবা আসবে না, রাস্তার ধারে কোন সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত
বৃদ্ধ দেখলে বাবার কথা মনে হবে
চলার রাস্তা দেখলে মনে হবে
এই পথ দিয়ে আমার বাবা একদিন হেটেছিল
বাবার প্রতিটি ব্যবহৃত জিনিস আমাকে
বাবার কথা মনে করিয়ে দিবে।

আত্মচিন্তন-৮

পথ ও পথিক

একমতে একসাথে একপথে সবাই দলবদ্ধভাবে চলতে শুরু করলেই তাতে চলার পথ সঠিক হয়ে যায় না । পথের শেষে গন্তব্য ভূল প্রমানিত হলে তা পথিকের জন্য যেমন বিপদজনক তেমনি পথের শুরুতেই পথ চেনা পথিকের একার জন্যও তা কম কষ্টের নয় । কারন পথ চেনা পথিককে চলতে হয় একা । ভুল হোক আর সঠিক হোক মানুষ একা চলতে পারে না । মানুষের চলার পথ বড়ই বন্দুর ! নিঃসঙ্গ মানুষ বড় অসহায় !

পথ বড় না পথিক বড় ? এ প্রশ্নের উত্তর জটিল মনে হলেও অনিস্পন্ন নয় । পথিকই বড় । কেননা পথিক যেমন অগ্রপথিকের অবদানে পূর্বে রচিত পথ দিয়ে চলে নির্ঝঞ্জাট, তেমনি কোন কোন পথিকই আবার জীবন বাজি রেখে নতুন পথের রচনা করে পরবর্তী পথিকদের জন্য । নিজেই হয় অগ্রপথিক । পথিক বিনা পথ নিরর্থক, যেন জনহীন অরণ্য । কিন্তু পথ বিনা পথিক নয়, কেননা পথিকই পথ তৈরি করে ।

শুধুমাত্র পরিচিত পথে হাঁটলে জীবনকে যেমন জানা হয় না, তেমনি চেনা হয়না নিজেকেও । নতুন পথ আবিস্কারের সব প্রচেষ্টাই সার্থক হয় না । যে পথিক নতুন পথের রচনা করে পরবর্তী পথিকদের জন্য তাকে বিসর্জন দিতে হয় আত্মস্বার্থ, কখনো কখনো সমস্ত জীবন । কিন্তু তবুও পথের বুকে পদ চিন্হ একে একে চলা দূর্বার, দূর্দম পথিক এগিয়ে চলে গহীন অরণ্যে দিক নির্ণয়ের নেশায় । একদিন অন্ধকারের শেষে আলোকিত পথের দিশা পাবে বলে অহোরাত্রি এই ছুটে চলা !