বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

আমার প্রিয় কবিতা … আপনারও ভালো লাগতে পারে

আমার প্রিয় কবিতা …
আপনারও ভালো লাগতে পারে

ফটোশপে বানানো ছায়া

আলো দিয়ে বানাবার কথা ছিল ঘর, তা দখল করে নিচ্ছে
ফিকে রেখা। মানুষের মনে জমে থাকার কথা ছিল যে
বিনীত ধর্মের বয়ন, তা চলে যাচ্ছে মিথ্যের দখলে।
কিছু প্রতারক ছবিদোকান খুলে, বিক্রি করছে, মেকি
হাড়-মাংস, অনুভুতি,অহংকার, প্রেম,এবং ভূমিমাটি।

যাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা ছিল, তারা বেছে
নিয়েছে অন্ধপ্রায় জীবন। যে পাখিগুলো কবিদের পক্ষে
উড়বে বলে জানিয়েছিল প্রত্যয়- ওদের বন্দী করেছে
কিছু বেনিয়া শিকারী। অবশ হয়ে পড়েছে কিছু রাজনীতিকের হাত

ছবিদোকান থেকে মিথ্যে ছবি কিনে, তা বাজারে ছড়াচ্ছে
কতিপয় সুবিধাবাদী। আর আমরা যারা তালিয়া বাজাচ্ছি,
তারা নিজেরাও জানি না, একদিন এই ছবিদোকানে
নিলাম হয়ে যেতে পারে আমাদের ঘর-সংসার, আমাদের ছায়া।

মুখ দেখা যায়

তফাত জেনে স্পর্শ গড়ায়। আত্মজীবনী
থেকে বহুপুরাতন মৃত্যু পরস্পর ডাকে,
কারোর মুখ নিয়ে বেঁচে থাকার রুটিনে
শাদা বেড়ালের চোখ, হরফে সেসব লেখে
দোরের সামনে ছেড়ে আসা পঠিত রোদ
পাহাড়, গ্রাম, বর্ষা এবং চিরকাল তুমি।

ফের মরে ওঠা ঘাস, বাস্পঘরে দোল খায়।
পৃথিবীর পাশাপাশি জ্যোৎস্না কঙ্কালে রাত
কৈশোর রেখে আসা সেই সন্ধ্যার মতো;
কোনো এক ফেনাস্রোতে ভাসিয়ে আনে

হাসতে হাসতে ক্রোধ কুড়োনো সমতল গাছ,
ছায়ার সঙে বন, পাখি-উঠোন। একই পথে
নির্বিকার মহাকাশ থেকে বৈদ্যুতিক তারে
এসব দিনে যৌথ করতালিতে মুখ দেখা যায়…

.
৮ জুন ২০২৩

সহ ব্লগারেরা এসো…..

out.-3d

বাংলা ব্লগের প্রাণ
নির্মোহ ভালোবাসার অনির্বাণ পুরুষ
আজাদ কাশ্মীর জামান!
প্রেরণা ও প্রেমে নিজেকে করেছেন উন্নত শিরস্ত্রাণ!..

নিভু নিভু প্রোফাইল ছবিতে আছেন আবু সাঈদ আহম্মেদ,
যদিও তিনি শব্দের কারিগর….
কথা সাহিত্যের প্রখর সূর্য
কাজে নিবিষ্ট মন, মানবিক এক তূর্য!

ব্লগ দুনিয়ার আশীর্বাদ তার নাম জামান আরশাদ।
দারুণ মমতাবান আর রয়েছে প্রাজ্ঞ জ্ঞান।

সবার প্রিয় আপা লুবনা মুক্তি, অদম্য প্রেরণা
যিনি- আসলেই এক অনন্য শক্তি
শ্রদ্ধা সম্মানে ভক্তিমান!

স্থির শিল্পের যাদুকর ব্লগগুরু জিয়া রায়হান
নিবিষ্ট ধ্যানে ক্যামেরায় ডুবে যান অহর্নিশ
ছবিতা আর কবিতায় দক্ষ হাতে চলেন সমান।

ব্লগবাড়ির গোড়াপত্তনে যার কর্ম শৈলী নিপুন হস্ত,
দুরন্ত দুর্নিবার সাইক্লোন শিবলীর মর্ম রয়েছে বিন্যস্ত!…

ধ্যানে জ্ঞানে করেছেন সন্ধি
প্রিয় কবি ফকির আবদুল মালেক
নান্দনিক স্ফূরণে বুনেছেন
‘একাকিত্বের জবানবন্দি ‘!..

মননশীল কবিতা রচনায় যার কথা না বললেই নয়
নতুন নতুন কবিতায় রোজ নিজেকে দেয় জানান
ভুতু সোনার কারিগর কবি চারু মান্নান! চারু মান্নান

অসাধারণ মানুষ আমাদের জাকির হোসেন
আবৃত্তি আর মননশীলতায় এখনো সবাইকে ভালোবাসেন।

ভোমরার গুনগুনানিতে শব্দ কুড়ান
কথা সাহিত্যের খালিদ ওমর, নক্ষত্রের গোধূলির বয়ানে আচ্ছন্ন করে রাখতেন সমগ্র আসর।

চট্টগ্রামের রত্ন আ স ম এরশাদ
যত্ন করে পূরণ করতেন
সহব্লগারদের সাধ আহ্লাদ।

গল্প ও রান্না
রান্নার গল্পে রুচির বন্যা বইতো শাহদাত উদরাজী ভাইয়ের চমৎকার সৃজনে
পোস্ট পড়লেই ক্ষুধা পেতো পেটে লাগতো চিনচিনে..

ছবি নামে কবিতার প্রেমে অবিরাম হেঁটেছেন
কাজী ফাতেমা ছবি,
ঝলমলে লেখার আলোয়
আসলেই এক জ্যোতির্ময়ী কবি।

প্রান্তিক কবি প্রিয় এসকে দোয়েল
সাজাতেন গদ্য প্রীতি –
আত্মিক অর্থেই সত্যিকার সাধক তেঁতুলিয়ার বাতি!…

তেলের মতো নিজেকে জ্বালিয়ে আলো দিতো সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম রুবেল- কবিতা আর গল্লে বইতো আনন্দধারা, চিত্তাকর্ষক উদ্বেল!..

আরো কত গুনীমান্যি
কত ফুল ও নক্ষত্রের কোলাহল
আমাদের ব্লগবাড়ি হতো মুখরিত, ঐকান্তিক উজ্জ্বল!..

নগন্য আমি
অতি ক্ষুদ্র!.. হত দরিদ্র গাঁও গেরামের মানুষ
শুদ্ধ অশুদ্ধ কত কি লিখি – সেদিকে থাকেনা হুঁশ!
ডাকছি তোমাদের
সহ ব্লগারেরা এসো-
আত্মার নন্দনে বসো..
জানি ভালবাসো… তবুও
মনের সনে মনের সাক্ষাতে মিষ্টি করে হেসো!….

সহ ব্লগারেরা এসো….. দাউদুল ইসলাম
২৭/৬/২৩

পাথুরে প্রলাপ

আসুন ভালো কথা বলি অথবা নীরব থাকি
ব্যথা, বেদনা এসব জীবনেরই অংশ
আসুন, এবার পাথর দিয়ে পাথর ঢাকি!

সব ভুল যেমন ভুল নয়
সব ভালো যেমন ভালো নয়
সব জল যেমন জল নয়
তেমনি সব বেদনাও জাতি সাপের বাচ্চা নয়

সড়ক পথও পথ, রেলপথও পথ
তবে এক নয় রাজার মত আর প্রজার মত!
রাজা মশাই যা-ই বলেন তাই সইত্য
কবিরাজ যা বলেন তাই পইথ্য
আর প্রজা যা বলে সেটাই অকইথ্য!!

অভাগা বৈকাল

অভাগা বৈকাল

কঠিন আর সহজ
কখন যে একাকার হয়ে বসে
মনে ভাবা মুশকিল;
নিয়ম আর অনিয়ম চমৎকার
খেলা হচ্ছে শুধু ‍শুধু!
আমাদের উঠন জুড়ে-ফসলি
মাঠ বড় অভাগা বৈকাল
মনে আনন্দ নেই যেনো শ্মশান
তবু ধৈর্য দেখা যাক-
সময়ের চাকা কোন দিকে যায়;
এক অভাগা বৈকাল।

১১ আষাঢ় ১৪২৯, ২৫ জুন ২৩

পল্লবী

out.

বৃষ্টিভেজা তোমার মুখ
ভালোবেসে বুঝি বেড়েছে অসুখ
তুমি কি একটি কবিতা?
রাতের তারা হয়ে জ্বলজ্বল করো?

খরস্রোতা নদী তোমার বুকে
ভালোবাসা হয়ে জেগে থাকে।

চোখের তারায় মোমবাতির শিখা
মৃদু হাওয়ায় থরথর কাঁপে,
মনে হয় দূরের কোনো শহর
থমকে থেমে আছে।

বৃষ্টি বিহার

পাখিদের চিত্ত ক্লান্ত
ম্রিয়মাণ ডানায় ঝেঁকে বসে বিষাদের ভার
শালিকের ঠোঁটে হলুদ গ্লানি, মৌন মাতমে
নীল- পানকৌড়ি, মাছরাঙার;
বৃষ্টি বাসনায়
বন্দনায় ডুবেছে বৃক্ষ তরু লতা সমস্ত বনফুল
অবিন্যস্ত চুলে
প্রহর গুনে ভবের বাউল, বৈষ্ণব কুল!..

কে জানে
কোন গহ্বরে লুকিয়ে আছে মেঘ, কোন সুদূরে?
কোন আগুনের বনে পুড়ছে প্রাণের আবেগ; শাসানো রুধীরাক্ষের লাল হাশরে!
কোন অভিসারে আসবে বৃষ্টি, কবে ছিঁড়বে লাটাই
করুণার ফটক খুলে নামবে শিউলীর ধারা,
হিজলের স্রোতে ভাসবে কবি, ভিজবে খরাক্রান্ত কবিতারা….

পথ ভোলা পথিক
বিস্তৃত মরুর অকুল তৃষ্ণায় বিদগ্ধ শ্রমণ
অবিরাম ধুকছে চিত্ত দু’চোখে দুর্মর অন্ধকার
অবিরাম ছুটছে ক্ষুধার্ত মানুষ, অবুঝ শিত, নব যৌবনা…
শূন্যতার পাঁজরে অনাকাঙ্ক্ষিত বিহঙ্গ সঙ্গম
কান্নার স্বর, আর্তচিৎকার….

শিল্পীর তুলিতে আড়ষ্ট শিল্পের আঁকিবুকি
জলরঙের বৃষ্টি বিহার!..
……….

বিকল্পিক

আমার শেকলেরা বহুদিন নূপুরের নামাবলি
রেখেছিল গায়ে।
সিঁদুর যেমন ক্ষত, লোহা হ্যান্ডকাপ্,
চিরায়ত নারী ঢং – য়ে
অতর – সতর হয়ে
শতেক খোয়ারি পড়ে ফেলে
ধুন্ধুমার পড়ি – মড়ি জঙ্গুলে
হাওয়ায় সেই এয়ো চিহ্নেরা
দুদ্দাড় পিঠটান,
বেবাক উধাও…

এবার তোমারই নতুন পালা
নির্বিকল্প সন্ন্যাসীর সাজে
অতসীর বনে বনে
নূপুর বিকল্প খুঁজে ফেরা…

চাঁদভাঙা রাতে

উনুনে উদার আকাশ। ছিল সবই, আঙিনার হলুদ বকুল
শিমুলের উজ্জ্বলতা, চিত্রা নদীর বাঁক ফেরা ভ্রমণ। তার
পরও অবসন্ন বিকেলকে সাথী করে ছুটেছি চাঁদভাঙা রাতে,
তোমাকে পাবো বলে অতিক্রম করেছি রক্ষণের সপ্তদশ
সীমান্ত। দেয়াল খুলে দিলে যে কেউ হতে পারে যে কোনো
দেশের বাসিন্দা। আমি কেবল সীমান্ত পেরিয়েছি। কেউ
আমাকে আশ্রয় দেয়’নি। না রাষ্ট্র, না রাত, না রাজাসন…..
#

তোমার সঙে লেগে আছে

ঘাসের দস্তানা পার হয়ে, আমাদের গানঘর।
এমন ধ্যানের নোঙ্গরে সুর আর দূরের বন্দর,
বন্দরে দুলছে মিঠাই, লাল আনারে ছড়ানো
সেসব বাজার। ইচ্ছার সঙ্গে সমতল আকাশ
খিদের শরীরে নিউট্রিশন আটকায়ে একটা
দ্যুতিচেরা শীতল মসলা ট্রাক ফিরে যাচ্ছে
সেখানে-নতুন আনন্দের মতো;
কার্পাস তোলায় জ্যোৎস্না আলো তুলে নিচ্ছে
রোদ শেষে মাছেদের সমুদ্র,গাছেদের ক্রাশ

অথচ…
তুমি,আমেরিকা চলে যাচ্ছ। বরফের দেশে!
এত রোদ, এত ফিরফিরে বাইজিবাতাস
সারা বিকেলের প্রস্তুত থেকে
তোমার সঙ্গে লেগে আছে। বারণ, একই কথা…

৬ জুন ২০২৩

বদলে গেল মৌসুম

chh

আগের মত আকাশে বেলা অবেলা
বসে না নীলে মেঘের মেলা,
কী দিন কী রাত আকাশটা কী বিবর্ণ,
সাদা রঙে আকাশের বুক থাকে পূর্ণ।

এমন আকাশে কি রাখা যায় চোখ
হয় না পাওয়া দৃষ্টির সুখ,
আমি মেঘ খুঁজে বেড়াই আকাশের এ প্রান্ত হতে অন্য প্রান্ত
না, নেই মেঘের ওড়াউড়ি, আকাশটা শান্ত।

চাই এই বৈশাখেও শুভ্র মেঘেরা মেলুক ডানা
চাই আকাশের বুকে দিক কালো মেঘ’রা হানা,
যখন চোখ জুড়ে নামে ক্লান্তি}
দৃষ্টি রাখলেই যেন চোখে ফিরে আসে শান্তি।

একটি মেঘে পূর্ণ আকাশ চাই
উঁকি দিলেই আকাশে যেন সুখ পাই
চাই পাখি’রা উড়ুক মেঘ ছুঁয়ে,
চোখের ভ্রান্তি যেন মেঘ দেখলেই যায় ধুয়ে।

মৌসুমের বুকে ফুটুক মেঘ ফুল
মেঘগুলো শুভ্র নরম তুলতুল
চোখে নেমে আসুক শান্তি ধারা
কেটে যাক এবেলা রোদের খরা।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

প্রদীপ ও প্রার্থনার গল্প

সকল প্রার্থনা, প্রদীপ হয়েই জ্বলবে জানি তোমার
চোখে। আলোর ঝলক; ধারণ
করবে চোখ, ললাটে বৃষ্টির দাগ
স্পর্শ করবে বনেদি আগুন-
না ছুঁয়ে দেখা ঈশান কাছে এসে
বলবে,
নেবে! তুলে নেবে এই বৃষ্টিবিতান!

মেঘেরা ফিরে যাবে ঘরে। সূর্যপিতার আদেশ পেয়ে
রাতও বিছিয়ে দেবে তার নমস্য সুন্দর। আমি কিছু
পবিত্র পাপের আরাধনা সেরে আবার ঝড় গোণতে বসবো।

আমার বসে থাকায় কারো কিছু যাবে আসবে না। কিংবা
দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ জানতে চাইবে না এর কারণ। এসব
রহস্যের চাঁদ থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বেশ আগেই।

মানুষ ফেরায় মুখ। অথবা মুখ ঘুরে দাঁড়ায় ছায়ার বিপরীতে।
শুধু অখণ্ড থেকে যায় মানুষের রক্তশিল্প। আর ঘামঘোরে
যারা ডুবে থাকে, শুধু তারাই দেখে ,এভাবেই মুগ্ধ প্রেমপতন!
#

ধর্মের কল

আমাদের চৌহদ্দি ঘিরে আছে বিষধর সরিসৃপ
ক্ষুধার্ত শকুনেরা জোটবদ্ধ হামলে পড়ার আয়োজনে! নীরবে ধুকছে সমস্ত নন্দন কানন
ধুলির আস্তরে চাপা পড়েছে শিল্পের মনন- দর্পণে
মানুষে অমানুষে একাকার শ্রমণ মাতাল সমীরণে!
তালে – বেতালে বাজছে পতনের দামামা, অনল
গরলে নাচছে ব্যঙ্গমা, বাতাসে নড়ে ধর্মের কল।

উপলব্ধি

CL_1687274096453

অপূর্ব আবরণে মনুষ্য দেহের সৃজন,
অন্তরস্থ উপলব্ধিতে সুখ-দুঃখ যত,
নিশ্বাস দূরত্বের পরমাত্মীয়তে বোধগম্য নয়-
খোলসে আবদ্ধ আত্মার ভালোত্বের খবর।

এক বিছানায় কাটানো দুই আত্মায়,
ভিন্নতা, কল্পনা কিংবা পরার্থবোধে,
পোশাকের আবরণে নগ্নতার দায় এড়ানো-
উপলব্ধিশূণ্য মানুষে সৌহার্দ্য কিসের?

বহুমূল্যের ভূষণে তুমি যদিও বড়বাবু,
আত্মকথনে তুমি আজ অসহায়,
অন্তরস্থ উপলব্ধিতে পৃথিবীর সব সুখ-
পরার্থ অমঙ্গল কামনায় লাভ কিসে?

খোলসে আবদ্ধ আত্মার অসুখে,
কবিরাজের শতপদী ঔষধে,
মিলবে না সুরাহা-
উপলব্ধিহীন আত্মার মরণই শ্রেয়।

পোশাকটা খুলে ফেলে নগ্নতায়,
বনজীবনে ফিরে আসাতে সুখ বুঝি,
নরখাদকের মুখে রক্তের দাগ-
উপলব্ধিহীন মানুষে ন্যায়বোধের মূল্য কি?

পোশাকটা মানদণ্ড যদি সভ্যের,
নগ্নতার সাক্ষী কেন ঘুটঘুটে অন্ধকারে,
ষোড়শীর পাঁজরের হাড়ে কিসের উপলব্ধি-
সভ্যদের রক্তে দোষিণী ষোড়শীরা।

অপূর্ব আবরণে মনুষ্য দেহের সৃজন,
অন্তরস্থ উপলব্ধিতে সুখ-দুঃখ যত,
কথাদের সাথে সখ্যতায়-
নতুন জীবনের গল্প বুনা।

পোশাকের আবরণটাই সব আজ,
ভেতরের আমিত্বের সন্ধান জানা নাই কারো,
উপলব্ধি নেই খোলসের সত্তার-
মৃতের নগরে যাওয়াই শ্রেয়।

পোশাকটা সব আজ,
আত্মার খোঁজ নেই কারো,
এক বিছানায় কাটানো দুই দেহ পরস্পর পর-
উপলব্ধিহীন খোলসের দায় কিসে?

তোমায় আমি

ind

তোমায় আমি শ্মশানের অখণ্ড নীরবতা এনে দেব
তোমায় আমি কাঁঠাল চাঁপার সুগন্ধে ভরিয়ে নেব
তোমার আহত শরীর ওষধি প্রলেপে শুশ্রূষা করব
তুমি শুধু তোমার আশীর্বাদী হস্ত এ ভাবে না বলে
না কয়ে আমার বিরান দালান হতে সরিয়ে নিও না।