বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

আমাদের গাঁয়ের বিকেল

314

তালপুকুরের পাড়ে
কিংবা মেঠোপথের ধারে,
বিকেল এলেই মেঘ বালিকার দল,
নানা রঙ্গের খেলায় হইচই কখনো বাঁধায় কোন্দল!

বিকেল এলেই সব ভাই বোন এক সঙ্গে,
কেটে যেত হেসে খেলে রঙ্গে,
বিকেলের হাওয়া লাগিয়ে গায়
আমরা গল্পে হতাম মত্ত তাল খেজুরের ছায়!

বিকেল পড়তো গিয়ে গোধূলির কাঁধে,
আমরা পড়ে যেতাম আকাশে তাকিয়ে মুগ্ধতার ফাঁদে
আমাদের সেই হইচই বেলা আকাশ কী রেখেছে মনে,
আজ এখানে আকাশে তাকিয়ে বেলা গড়ায় স্মৃতি রোমন্থনে।

ক্ষেতের আলে কিংবা পথের পথ হেঁটে দৌঁড়ে
কেটে যেত কৈশোর বেলা, সে কী স্বপ্ন ঘোরে,
ফড়িং লেজে বেঁধে সময় নিয়ে গেলো দূরে কোথায়,
আমরা হারাচ্ছি শূন্যে যেন, পড়ছে টান ভবিষ্যতের সুতায়।

এখানে যন্ত্র হয়ে গেল মন
জাগে না আর বুকের তারে সুখ শিহরণ,
আমি সেই সন্ধ্যার আযানের সুর আজও শুনতে পাই,
নীড়ে ফেরা আমরা পাখির দল… মায়ের ডাকে ঘরে ফিরে যাই।

এখানে সন্ধ্যার আযানে কেউ ফিরে না নীড়ে
মানুষ হারায় যে যেমন পারে ব্যস্ততার ভিড়ে,
এখানে আকাশে দেয় না কেউ একটুও উঁকি,
মুগ্ধতা ছুঁতে কর্ম ফেলে নেয় না কেউ সময় হারানোর ঝুঁকি।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও, মিয়াবাড়ী, চুনারুঘাট)

কালের করায়তন

বিপুল আনন্দ নিয়ে ভেসে যায় হেমন্তের ফুল। পাতাগুলো
কাছে দাঁড়িয়ে দেখে ওইসব গমন। আর যে প্রাজ্ঞ আলো
সাথী হবে বলে কথা দিয়েছিল, তারাও পথ পাল্টে
অন্য সড়কে উড়ায় নিশান। রাত্রিচরী পাথর জেগে থাকে একা।

জেগে থাকে অগ্রহায়ণের নক্ষত্র। ঝুমকোলতার ছায়ায়
বিগত মুখ দেখে কান্নারত পাখি ভাবে-
দেখতে কেমন বিধাতার হস্তরেখা, যে আঙুল বাঁশরি বাজায়
সে ও কি- বোঝে ছিদ্রের বেদনা।

কালের অক্ষরে রেখাছায়া জাগে। সবিনয়ে
প্রেম তার বা’পাশে ঘুমায়।

শুধু শুধু

শুধু শুধু

এ কথা সত্য তোমাকে দেখতে পাই না
খুব কাছে দৃষ্টির বহরে ঠিকই দেখতে পাই
বুঝতে পাই- এ যেনো হেঁটে যাচ্ছো!

ওখানে দাঁড়িয়ে আছো আর পছন্দ অপছন্দ
বিরক্ত হওয়া সময়, জানি খুব কাছের কেউ না
মন ভাবনার উচ্ছলে উঠার নদী ছিলে নদী
সব সময় ভাল থাকার দোয়া করার শুভাকাঙ্ক্ষি
তারপরও যদি বিরক্ত অপছন্দ মনে করো;

তাহলে আমি মানুষ না, অন্যকিছু- সত্যিই
সংসার জীবন কঠিন, ভয় লজ্জার নিয়ম শুধু শুধু।

১৯ চৈত্র ১৪২৯, ০৩ এপ্রিল ২৩

বাপজান

চলো.. এবার সভ্যতার পাটাতন উল্টে দিই
গুড়িয়ে দিই কামুক নগর থেকে শহর
বস্তাবন্দি করে সমুদ্রে ডুবিয়ে দিই এইসব প্রহর!

চলো.. আবার জংলী হই আন্দামান থেকে
আমাজান, দু’উরুর সন্ধিতে রক্ত দেখে দেখে
আর কতো কাঁদবে বাপজান…?

চলো.. ফিরে যাই দিগম্বর বেলা; অতঃপর
যতো খুশি খেলতে থাকো আদিম খেলা..
ওহে কাবিলের উত্তরাধিকার!
যে জন্মছে নারীর গর্ভে.. সেই কেড়ে নেয়
তার অধিকার!

ডিকশনারি ঘেঁটে কোনো শব্দ পাইনি.কেবল
বেজন্মা ছাড়া; কবিতা লিখি বলে সব দায়
কাঁধে তুলে নিতে নিঃশর্ত রাজি আছি…
কেবল একটিবার স্বীকার যাও তুমি পথহারা

সাঁওতাল মেয়ে

024x478

মেঠোপথের আল ধরে আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে
হেঁটে আসে সেই সাঁওতাল মেয়ে ~
মাথায় তার চুড়ো করা খোঁপা
ঠোঁটে পানের লাল,
কাঁধে ঝোলা রুপার দুল,
নাকে তিলক মাটির ফোঁটা,
দুগালে দুটো আলতার ফোঁটা
পায়ে রুপোর নূপুর
মেঘলা দূপুরে আলুথালু বেশে গান গেয়ে
রিনিঝিনি পায়ে হাঁটে ওই সাঁওতাল মেয়ে~

ত্রস্তনয়ন কাজলে আঁকা
টিকোলো নাকে চকচকে ফোঁটা
আলতায় রাঙা ছোট পা দুটি ফেলে
একরাশ খুশি রেখে গেল ওই সাঁওতাল মেয়ে ~
বাঁশপাতা সরসর করে কেঁপে ওঠে
সর্ষেফুল ঢেউ তুলে মিলিয়ে যায়
একঝাঁক পাখি নীল আকাশের বুক চিরে
এলোমেলো হাওয়ায় দাগ কেটে যায়
সব কিছু ছাড়িয়ে কোমল পা দুটি ফেলে
বনপথে হারালো ওই সাঁওতাল মেয়ে।

আগুনের স্কেচে ফুলের গন্ধ

এই সব ঘিরে, এই শব ঘিরে নগরে স্মরণ মুখের
ভালোবাসা চর্চায় গান শেখা উচিত
অস্তগামী বিকেলের প্রমাদ, শরীর আর ছায়া
কাঁপানো গানের মতো; একবার উত্তীর্ণ হতে
কেননা, ফুল আর স্তন নিয়ে লিখবার প্রয়োজনে
শিং মাছের মতো একটা যতিচিহ্ন ফিরে এলে
প্রতিটি জায়গা থেকে হারিয়ে, কুড়িয়ে কেবল
যা পাওয়া যায় সেটা হয়তো উঁইখোটা আর্তনাদ;

আশ্চর্য এক নিয়ম ভেঙে নাচের ঘাগরায়
যে সকাল এসে প্রতিদিনের পাখি উড়িয়ে নেয়
তার কেরামতি লাজুক গেরস্থালি পাথরের মূর্তি
কী জানে, রোজ পুরনো এইদিনে বাজার ছিল
ভীষণ কামাতুরা! একটি ময়ূর পেখম মেলছে
অমন করে, শরীরের ভেতর ট্রয় এনে ঠিক দারুণ
আগুনের স্কেচে ফুলের গন্ধ, লিখুন-স্নান সারছে

১৪ ফেব্রুয়ারি ২৩ | ঢাকা

লোডশেডিং এর পরে

ফুরিয়ে যায় জেনারেটরের আয়ু। থেকে যায়
মানুষের প্রাণশক্তি, যারা সারারাত দাঁড় বেয়ে নদীকে করেছিল
কাবু, তারাও এসে দাঁড়ায় পাশে- চারদিকে বেজে উঠে
মায়াময় অন্ধকারের গান।

মানুষ অসাধ্য সাধন করে এর আগেও দাঁড়িয়েছে সকল
প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে, রুখে দিয়েছে বাণের কালোথাবা।

এবং আঁধারের ছায়ায় দেখেছে প্রিয়তমা রমণীয় ভোর,
আলো ঘরে তুলবে বলে খুলে দিয়েছে সবকটি জানালার শিকল।

ফুরিয়ে যায় চন্দ্রনক্ষত্রের গান।
বাউলের কণ্ঠে যে গান ভেদ করেছিল,
হেমন্তের ধানী মাঠ-
তা থেকে যায়। বনেদি জমির আ’লে
একটি মশাল হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন
একজন কৃষক। বিদ্যুৎ কিংবা
বনৌষধির প্রতি তার কোনো
অভিযোগ নেই আর….

.
#
রিরাইট, ১ নভেম্বর ২০২২
নিউইয়র্ক 💐

মিঠে রোদ আকাশে

318

বিকেল বড্ড ছোট, আকাশটাও দ্রুত সূর্য হারায়
দিন যাবে রাতের বাড়ি পশ্চিমে পা বাড়ায়,
ভাতঘুমের আশা বাতিল করে চলো বিকেল দেখে আসি,
হেমন্তের রোদ ভালোবাসি, চলো দেখে আসি!

ছুটির দিনের সময় নয় অবহেলা আর
চলো হই বিকেলের পিঠে সওয়ার।
গোধূলির রং আসি চিনে
ভাল্লাগে না আকাশ দেখা বিনে।

রোদ মরে যায় ঐ বিকেলের আলোয়
সময় কাটবে বন্ধু নিশ্চয়ই ভালোয়
মিহি হাওয়া বইছে পাতায় পাতায়,
কিছু মুগ্ধতা চলো তুলি মনের খাতায়।

এখানে ঘরের ভেতর গুমোট হাওয়া
যায় না এক বিন্দু শান্তি পাওয়া
চলো সময় কাটাই খোলা আকাশের নিচে
এমন সুখ তো নয় মিছে।

বেলা পড়ে এলো ওই
এই তুমি গেলে কই
চলো মিঠে রোদ খেয়ে আসি
দেখে আসি পশ্চিমে ডুবে যাওয়া সূর্যের হাসি।

কি আর চাই বলো,
এটুকুনই, বাহিরে ঘুরতে আমায় নিয়ে চলো
হেমন্তের আকাশ দেখতে মন বড় চায়
চলো বিকেলের শিশির লাগিয়ে আসি পায়।

.
(samsung এস নাইন প্লাস ঢাকা)

তিমিরাবৃত আত্মা

33

হে নিরঞ্জন
হে প্রভাকর
আমার অন্তর তিমিরাবৃত
বিক্ষিপ্ত… নিষ্প্রভ, ক্ষত বিক্ষত!..
গ্রন্থিতে ডাইনীদের ফুৎকার
মনোমদ আচ্ছন্ন পাপাচারে
তুমি মহান
মহা পবিত্র, অবিনশ্বর
আমাকে আলো দাও
আমার ধাঁধাঁর্চ্ছন্ন সফরে
চাঁদের উজ্জ্বলতা আর তারকারাজিদের পাথেয় করো ;
হে আমার প্রতিপালক
আমার ইচ্ছাকে নিভৃত করি তোমার ইচ্ছার সাধনে
উপেক্ষা করি বিস্মৃতির ডাক
মনের গভীরে মন পোড়া লাভা
নির্গত করি অশ্রুত স্রোতে… নির্বাক অনিমেখে
অরণ্যের সংসারে একাত্ম হই তোমারই জন্যে!
তুমি নির্মল করো
মঙ্গল ঊষার স্বর্ণোজ্জ্বল সকালে
আমার আত্মাকে দীপ্তমান করো
আমি কায়মনো কৃতজ্ঞতায়… মহোচ্ছর্ন হই
নব নব মহিমায়….!

.
২৬/৩/২৩

আমার কাছে কবিতা

কবিতা মানে ফুলের মতো ফুটে উঠতে হবে ময়লার ভাগারে অনাদরে বেড়ে ওঠা গোলাপ গাছটার মতো সুগন্ধি ছড়াতে হবে।

কবিতা মানে সূর্যের মতো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে, আলো ছড়াতে হবে আবার ক্রোধের উত্তাপেও পোড়াতে হবে।

কবিতা মানে শুধু কোকিলের মধুর কণ্ঠস্বর নয় ; কবিতা মাঝে মাঝে কিন্তু কাকের আর্তনাদের মতোই ঝাঝালোও হয়।

কবিতা মানে বন্দুকের নলের সামনে বুক পেতে দিয়ে অক্ষরের রক্তপাতে জন্ম দেওয়া এক একটা শব্দবোমা।

কবিতা মানে সমাজের অলিতেগলিতে বেআইনি ঘাঁটিগুলো সব বিদ্রোহের আগুনে পুড়িয়ে ফেলে নতুন সমাজ গড়া।

কবিতা হলো সেই বিদ্রোহী শক্তি ;যে তার আপনার রাস্তা আপনিই বানিয়ে সীমান্তের কাঁটাতার ছিঁড়ে ফেলে এক হয়।

কবিতাতো সেই ওজন যা অক্ষরকে শক্তিশালী করে, কারো পায়ের কাছে বসে না থেকে নিজের পা কেই শক্তিশালী করে।

কবিতা মানে মঞ্চে উঠে শুধু আবৃত্তি করলাম হাততালি পেলাম তা নয় ; কবিতা হলো হতভাগাদের জন্য নতুন শ্বাস।

সুখ আঁধার

ttyui

সুখ পাখি রে চেনা দায়
ঘর কোণায় থাকিস রে তুই!
ডাকলে কাছে না পাই-
সুখ পাখি রে চেনা দায়!
দুঃখের দুঃখী আমি ‍শুধু
বলে গেলো না কেউ-
আমার ঘরে আয়।

উড়াল দিল ইচ্ছা ডানায়
অশ্রু জলে কেমন করে সহ্য
আমি অধম অসহায়-
তোক ছাড়া নাই উপায়
কোন চোখে দেখবো আবার
আপনে আপন জগত সংসার
এই হলো সুখ পাখির সুখ আঁধার।

দুঃখের দুঃখী আমি ‍শুধু
বলে গেলো না কেউ-
আমার ঘরে আয়।

১৪ চৈত্র ১৪২৯, ২৮ মার্চ ২৩

ভালোবাসার রঙ গোলাপী

33

ভালোবাসার রঙ গোলাপী জানো কি তুমি?
কী মায়াবী রঙ তাই না?
গোলাপী রঙ ফুল দেখলেই মুগ্ধতায় ভরে বুক ভুমি
গোলাপী ফুল দিয়ো;
না, লাল নীল হলুদ ফুল চাই না।

কিছু ফুল গোলাপী রঙ শাড়ীতে সাজে
শাড়ীর পাড় সবুজ
এমন আমাকেও পারো সাজাতে সন্ধ্যা সাঁঝে
এমন গোলাপী পরি সাজতে যে মন অবুঝ!

নিয়ে এসো সঙ্গে করে কাঁচের চুড়ি
আর দুটো গোলাপী রঙ ফুল
বিকেলের হাওয়ায় হতে ইচ্ছে প্রেম ঘুড়ি,
হারাতে চাই তোমার সনে সংসার কূল।

উড়ে যেতে চাই বন হতে বনারণ্যে
কিছু সময় হাতের মুঠোয় দিয়ো তুলে
কাজ ফেলে কিছু সময় নিয়ে এসো আমার জন্যে
যেয়ো একদিন কিছু জরুরী কাজ ভুলে।

এমন করে তাকিয়ো না, লজ্জা পাই
বেহুদা আবদার তাই কি?
গোলাপী রঙে আজ পরী সাজতে চাই
এ ছাড়া বলো হীরে মতি হেম চাই কি?

দীর্ঘশ্বাসের প্রহরগুলো দিতে চাই ছুটি
বায়নাতে মন রাখো যদি;
এই অবেলা উপহার দাও গোলাপী রঙ ফুল দুটি,
হয়ে যাবো নিমেষেই তোমার বয়ে চলা প্রেম নদী।

.
(ক্যানন ৬০০ডি, চুনারুঘাট)

এখন কবিতা লিখি না – ১৬

তীরে যে নৌকো বাঁধা ছিল
আলগা হয়েছে নোঙর
উপড়ে গিয়ে ভেসে যাবে এবার মাঝনদীতে – হয়েছে সময়।
মাঝি থাকে না কখনও শেষ পারানীর। দাঁড় ও হালবিহীন নৌকো চলে যাবে মোহনার দিকে।
তুমি তীরে দাঁড়িয়ে শেষবার দেখে নিও,
সে নৌকো তোমার কখনও হয়তো প্রিয় ছিল!

জমে ওঠা প্রাচীন সম্পদ

ক্ষেতের ফসল ভরা মাঠ
পিতৃপুরুষদের পরিচয় রাখতে গিয়ে
আজ রিক্ত, শূণ্য

অনাবাদী জমি পরিত্যক্ত গহনার মত
সূর্য্যের আলোয় চকচক করে
অবাধ্য হাত তবু বারবার জলসিঞ্চনে ব্যস্ত

জড়োয়া রোদ মিনে করা জঙ্গলে
স্রোতের মত ছড়িয়ে পড়েছে

অর্থের প্রলাপ হাওয়ায় ভেসে আসে
সিন্দুকে জমে ওঠা প্রাচীন সম্পদ

মেঘও রেখে যায় পাশে ভূমিষ্ট ছায়াডোর

কয়েকটি বিলাপ গেঁথে গেঁথে মেঘও রেখে যায় তার ভূমিষ্ট ছায়াডোর
পৃথক কোনো স্বার্থ নেই নিমগ্ন মাটিরও,
মেঘ ও মাটি পরস্পরের দেখা পেলে নিমিষেই মিতা হয়ে যায়
সবগুলো মিথ অস্বীকার করে তারা পরে নেয় একই পোশাক।

ভোরের পরিষেবা গ্রহণ করে সেরে উঠে সমগ্র ক্রান্তিকাল থেকে।
নদীরা নিরক্ষর নয়। তাই তারাও পড়তে পারে মেঘমাটির লিখিত
অঙ্গীকার। নিশ্চিত নিদ্রা চোখে নিয়ে যে চাঁদ শুয়েছিল অন্তরের
অগ্নিকোণে, তারও জাগার পালা শুরু হয়।

পালা করে আমরা পাহারা দিয়েছি যে ফালগুনের আভাস,
চেয়ে দেখি তার ঠিক দশগজ দূরে-
রূপসী বাংলা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন জীবনানন্দ দাশ।