বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

সময় এভাবে যায়

সময় এভাবে যায়। তুমি শেখোনি, কেমন হবে
সমগ্র প্রাণের আনন্দ, স্থলে-সবিস্তর ব্যলকনি
থেকে প্রায় টালিঘর এগোনো-শিরীষের বন-
অন্ধকার শুঁকিয়ে চোখের ওজন নেমে যাচ্ছিল
এন্তার নগরে বিশেষ সুপণ্ডিত ছায়া, পুস্তক অব্ধি;
কেউ বাঘ হচ্ছে! কেউ হরিণ অথবা জঙ্গল-
কী ভান, লোকালয়ে ঈর্ষার বেড়াল
দূরের খুইয়ে ফেলা চাঁদ যেন, সমুদ্র ধূলিঘরে-
মাছগুলোর পিঙ্গল কাঁটা আর মাংসে গাঁথা…
ভেসে ভেসে উধাও হচ্ছে টেরিয়ে দেখার মতো;

তেত্রিশবার পৃষ্ঠা ওল্টাতেই সহজ শিরোনাম
কী এক আনন্দ, মর্ত্য কাহিনি-
স্নায়ুর ভেইন কাঁপাচ্ছে কেউ, সখিদের চুলে
মেহেদি রং আর ক্ষত সেরে ওঠানো
অষ্টাদশী শরীরে ডেটলের গন্ধ, আধা বিভ্রমে
শোনা যায়-নলকূপ হতে সমুদ্র, গোসলের শব্দ!

বিবর্ণ আকাশে কেবর পাখিদের মেলা

3

বিবর্ণ আকাশ ছুঁয়ে পাখিরাই উড়ছে শুধু, মেঘ নেই
হোক ফিকে রঙ আকাশ, তবুও আকাশে রাখি চোখ
তুমিও এসো পাশে দাঁড়াও
আকাশে তাকিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে জোরে মন করো প্রশস্ত।

দেখো তাকিয়ে পাখিরা কী স্বাধীনতায় উড়ছে
আমরাও উড়তে পারি সব ব্যস্ততা ঠেলে
মনটারে স্থির করো
চলো ঘুরে আসি আকাশের শেষ সীমানায়।

কেমন যেন সময়গুলো হাওয়ায় যাচ্ছে উড়ে
বসন্তের হাওয়া এসে লাগছে মনে
মন কেমন কেমন করছে,
তুমি মনের ছেঁড়া পালে লাগাও সুখের হাওয়া।

আকাশে তাকিয়ে দেখ কত বড় তার বুক
মন আর রেখো না সংকীর্ণ
প্রশস্ত বুকে ভালোবাসার মেঘ উড়াও
আমার হাতে ধরে নিয়ে যাও দূরে কোথাও।

এবেলা দাঁড়িয়ে আছি একা,
আকাশে চোখ রেখেও হচ্ছি বিষণ্ণ
পাশে এসো, মনের বিষাদ জঞ্জাল দূর করে দাও
ঠোঁটে এনে দাও এক টুকরো হাসি।

মন আকাশে উড়ুক আজ শুভ্র মেঘ
তুলোর মন করে নিয়ো
তোমার করে নাও আমার মনের আবেগ
এসো আকাশ দেখি, কাছে এসে দাঁড়াও প্রিয়।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

অসময়ের বৃষ্টি

238

আকাশটা হঠাৎ কোন দুঃখের আবেশনে,
বক্ষ ছিঁড়ে অঝোরে কাঁদছে,
বেদনাহত টুপটাপ ফোঁটা পতনে-
দুঃখের গীত গাইছে।

পড়ন্ত বিকালে রাখালের বাঁশিতে সুর বাঁধেনি,
ভয়ার্ত আহ্বানে তাকিয়ে রয়েছে,
দিকবিদিকশুন্যে গরুর পালায়নে-
অসহায় চাহনি দূর বনে।

কালো মেঘের দলের কষ্টেসৃষ্টে,
টুপটাপ ফোঁটা বৃষ্টি ঝরছে,
অসময়ে বৃষ্টি আগমন ঘটেছে বলে-
এখনো স্বপ্নবাজ বালকের বাড়ি ফেরার নাম নেই।

পৃথিবীর অস্বচ্ছল মানুষের মতো একা বৃষ্টি,
বক্ষে শত কষ্টের রেখাপাত,
বিকাল হতেই যেন কেঁদে কেঁদে সারা-
আকাশটার এতো দুঃখ কি করে হলো?

আর্শীবাদে নতশির-উন্মাদ চিত্ত,
অসময়ে বৃষ্টির আগমনে,
কিঞ্চিত আপত্তি অসহায়ের-
মেঘদলের কষ্ট মননে পৌঁছায়নি তার।

হঠাৎ কি বুঝে অঝোরে কেঁদে হয়রান,
বুকে শত বেদনা বুঝি,
অযাচিত অশোভনে বহুদিনের অবকাশ-
বক্ষ ছিঁড়ে টুপটাপ পতন।

আকাশটা হঠাৎ কোন দুঃখের আবেশনে,
বক্ষ ছিঁড়ে অঝোরে কাঁদছে,
জানি না মর্মের বাণী-
বুঝাতে পারিনা আমিও অসহায়।

অসময়ে কাঁদুক মেঘেদের দল,
রাখালের বাঁশিতে মধুরতা হারাক,
পৃথিবীতে অস্বচ্ছল মানুষের বেদনায়-
বৃষ্টি পৌঁছাক তার পক্ষের বারতায়।

নুনের চোখ

326769_183

এক বাটি নুনের চোখে নাকি
এক গলা মুক্তার স্বপ্ন- তাহলে ঝিনুকের
কষ্ট কোথায়, বুঝে না- বুঝে না- না শুধু
মাছ রান্না করা গোলমরিচের আচড়;
এ সব রঙিন বাতাসে ভাসে না
বাঁশপাতার বাঁশিতেও গান ধরে না-
কি সুখ আছে নুনের চোখ; এক বার
এক বার মধুরচাক এক নজরে দেখে না;
সেই ঝিনুক পরে থাকে বালুচরে- সোনালি
আইল পাথারে- তবু সুখে থাক নুনের চোখ।

০৫ চৈত্র ১৪২৯, ১৯ মার্চ ২৩

যুদ্ধ

চারিদিকে যুদ্ধ আর যুদ্ধ,
নীরবে কাঁদে মৌন বুদ্ধ;
স্থলে যুদ্ধ, জলে যুদ্ধ,
শান্তির বাণী কাগজে রুদ্ধ।

আকাশে যুদ্ধ, পাতালে যুদ্ধ,
ধ্বংসের রাজ্যে আইরিন ক্ষুব্ধ;
শহরে যুদ্ধ, পাহাড়ে যুদ্ধ,
বারুদের গন্ধে যীশু ক্রুদ্ধ।

মনে যুদ্ধ, শরীরে যুদ্ধ,
প্রেম করেনা কাউকে মুগ্ধ;
মননে যুদ্ধ, নীতিতে যুদ্ধ,
নিদারুণ জ্বরে ভুগছে বিশ্বসুদ্ধ।

প্রিয়ার অবহেলা

প্রিয়া তোমার এক বিন্দু অবহেলা
জীবন করে দেয় দিক-দিশেহারা।

তুমি তো বয়ে চলা নদীর মতো
ছুটে চলেছো আপন খেয়ালে
কারও খাঁচায় বন্দি পাখির মতো
থাকতে চাওনি প্রেমের দেয়ালে।

বুকের ভূমিতে করি পুষ্প রোপণ
জল ঢেলে করেছি কতটা যতন
তুমি মাড়িয়ে গেলে পাষাণ চরণ
বুঝলে না আমার মলিন বদন।

যাবে যদি ছিঁড়ে প্রেমের শিকল
যাও চলে যাও হোক প্রেম বিফল।
প্রিয়া তুমি তো মুক্ত নভশ্চর
হলাম না হয় আমিই তোমার পর।

দুটি কবিতা

রেখার কাজকারবার

দক্ষ হাতের ছোঁয়া থামিয়ে দেয় সকল ভেঙে পড়া। এই আকাশও
একদিন ভেঙে পড়তে চেয়েছিল ঠিক তোমার সামনে। তুমি মগ্ন
চাহনী দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিলে দ্বিতীয় পতন।

যারা রঙ নিয়ে করে রেখার কাজ-কারবার, যোগ বিয়োগ তাদের কাছে সঞ্চয় সমান। পূরণ-ভাগের পরিমাণ বেড়ে গেলে দৃশ্যপটে বদলে যায়
ভাজ্য-ভাজক। কমে দেনামুখী দিন।

আমার দেনার অংকই আমাকে দেউলিয়া করেছে। তাই কোনো
ছোঁয়াই পারেনি বদলে দিতে ভাগ্যরেখা। কোনো শাস্ত্রকথাই আর লাগেনি কাজে। নির্ধারিত সমুদ্র ক্রমশ সেরেছে দ্বৈত হরণপর্ব।

সীমাবদ্ধ শূন্যতা ভেঙে

আজ এ কথাই থাক। আবার দেখা হবে, এই প্রত্নমন্দির ঘিরে
আমরা দেবো ফুল। ভাসাবো নদীর নিবাসে আমাদের রত্নরেণু
যারা দেখেও দেখবে না, অথবা জেনেও জানবে না এই গোপন
নৃত্যগাঁথা….
সীমাবদ্ধ শূন্যতা ভেঙে তাদের জন্যই রেখে যাবো সবটুকু আলোর বারতা।

পলাশ সম্ভোগ

330

রূপে তোর মহামায়া
নেশা ভরা ঘোর চোখে বাল্মীকি রোদ জ্বলে
মাতাল করা গন্ধে বিভোর আমি-
নিজেকে হারাই তোর উথাল পাতাল চুলে।

তাপে উত্তাপে হই উদগ্রীব বিরহী বিলাপে
বুকে তোর ধ্রুপদী সকাল, আড়ালের হিমে কাঁপে;
স্বপ্ন ফোটা উচ্ছ্বাসে
কমুদীনি সুবাস ভাসে প্রজাপতির বাগে, আগলের ঝাঁপে
বর্ণাঢ্য ফাগুন; লাজ লজ্জা ভুলে, মেতে থাকে পলাশী সম্ভোগে!

দ্বিগুণ মন্থনে উত্থিত আগুন
যদিও বুকে ধরে রেখেছিস বসন্তের একান্ত কোমলতা,
তোর অন্তরে বেঁধেছিস পূজার ঘণ্টা; প্রতিমার চোখে
সীমাহীন পিয়াস জাগে!
আমার চেয়ে বেশী কে আর জানে তা?

বুকের বামে ব্যথার পাহাড়

3362

বুকের বামে নীল সমুদ্দুর
জমা ব্যথার পাহাড়,
সময় করছে নিত্য বুকের
আমার সুখ অভ্যাহার।

দোষ কী তবে আমারই সব
কান্নাগুলো আমার
কষ্ট এসে ঘটায় বুকে
কান্ড তাই ধুন্ধুমার।

আমি কেন সয়ে যাচ্ছি
একার কী আমার ভুল
ব্যথাগুলো আর হলো না
ভালোবাসার ফুল।

আমার বুকে কেন তবে
দীর্ঘশ্বাসের লহর
কোন্ কারণে বিষণ্ণতায়
কাটে আমার প্রহর।

আপন মানুষ কেউ নেই আমার
সইছি ব্যথা একা
কেন তবে ললাটজুড়ে
আঁকা শনির রেখা।

কোন্ সে ভুলে জীবন আমার
কষ্ট ব্যথায় ভরা
কেন লেগে থাকে বুকে
বারোমাসি খরা।

কান্না কেন আমার একার
আমি কেন দুঃখী
ধৈর্য চেয়ে প্রার্থনার রই
চেয়ে উর্ধ্বমুখী।

দোসরা জীবন

কিছুটা অন্তর্মুখী আমি প্রায় পঞ্চাশে দাঁড়িয়ে আছি
এখনও শামুকের মতোন চিরায়ত খোলস বন্দি,
যেই পথ দিয়েই হেঁটে যাই… সেই পথই চিনি না
কত প্রেম কতোবার নিরবে এসে এসে ফিরে গেছে,
আমি এমনি অচল কখনও প্রেমিক হতে পারিনি!

কখনও সখনো নিজেকে জড়বস্তু ভেবে বুনিয়াদি
আত্মতৃপ্তিও কম নিইনি, এরও বেশ কিছু আগে…
যেদিন প্রথম প্রথম শিশ্ন উত্থান টের পেয়েছিলাম,
সেদিনও কাউকে কোনো প্রশ্ন না করেই নিজেকে
জীব বলে সাব্যস্ত করেছিলাম; এরপর আস্তিক,
নাস্তিক কতো কালই তো আসলো আর গেলো,
বানের জলের মতোন আমি কেবল ভেসে চলেছি!

এখন আমি নিজেই দর্শন, জ্ঞানপাপীদের পিছু পিছু
ঘুরি, দর্শক আর ধর্ষকের মাঝামাঝি; এখনও
বহির্মুখী পরাবাস্তব রীতির কিছুটাও আয়ত্ত করতে
পারিনি, তবুও চলছে কানামাছির দোসরা জীবন!!

কল্পনার গান

অবতীর্ণ হও প্রেম, চারপাশে বসন্ত
নাবিকেরা আসে ধূপের জোনাক
বনজাত ফুল-সবুজে কামনাবিধুর
শীতল শিয়রে বসো, দূর কাকাতুয়া
হাওয়া খায় জাহাজ, ওই হাট সমুদ্র

কেউ মুখ খোঁজে, রাখালের মতো
ঘাসের কার্পেটে কল্পনার গান-
ঝুলে আছে চাঁদ, যত রাত্রি নোলক
হায়! দূর নগরের পলাতক মেয়ে,
সটান জলে মাছরাঙার ডুবুরি দল।

অবিনশ্বর সুর

out.ll

সুর সম্রাজ্ঞী শ্রদ্ধেয়া লতা মুঙ্গেশকরের প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি!…

সময়ের বাঁধন চিড়ে
উড়ে গেলো
আমাদের চির বসন্তের কোকিল
অনন্তের অরণ্য উদ্যানে… চির জ্যোত্স্নার দেশে
যেখানে
বাতাসের শনশন তরঙ্গে
ঘুরে বেড়ায়… সা রে গা মা পা দা নি সা….
কোকিলা কণ্ঠে… নিবেদিত ভালবাসা!
জানি
মুক্ত বিহঙ্গে ফিরবে আবার হৃদয় নিংড়ানো সুর
মধুর ডাকে ভাঙবে নিদ্রা
সুষমা প্রভাতে
ধূমায়িত চায়ের কাপে!
মোহন জ্যোতস্নায় হিম ঝরা রাতের নীড়ে
দেখা হবে ছন্দময় শিশির প্রপাতে
রূপোলী চাঁদের অভিসারে..
উঠবে
শিল্পের নন্দিত জয়োধ্বনি
সমবেত কণ্ঠে গাইবে” প্রেম একবারই এসেছিল নিরবে….”
গেয়েই যাবে পৃথিবী… অবিনশ্বর সুরে!..

দেখে আসি অন্য শহরের আকাশ

325

এই যন্ত্র শহরের আকাশে কেবল কালো ধোঁয়া
উড়ে ধুলোর কণা, পাই না আর মুগ্ধতার ছোঁয়া,
দেখে আসি তবে অন্য শহরের আকাশ
এখানে কেবল ভ্রান্তি, ফেলতে হয় মুহুর্মুহু দীর্ঘশ্বাস।

ঘুরে আসি অল্প
শুনে আসি অন্য শহরের গল্প,
কে কেমন আছে, শহর কী পরিচ্ছন্ন
নাকি কালো ধোঁয়া, বৃক্ষ ছাড়া শহর শুকনো অরণ্য।

অন্য শহরের আকাশে আছে নাকি শুভ্র মেঘ,
নাকি কেবল আছে বৈরী হাওয়ার বেগ,
দেখে আসি সেই শহরের বুকে আন্তরিকতা আছে কী না,
বাজে কী না মানুষের মনের তারে মানবিকতার বীণা।

এখানে মানুষের সাথে নেই মানুষের মিল
চলতে হয় দিয়ে অভিনয়ের গোঁজামিল,
এখানে আকাশের তারে বাজে যন্ত্রের ভেঁপু সুর
দেখে আসি অন্য শহরের মানুষের বুকে কী সুখ সমুদ্দুর।

এই আকাশ ছুঁয়ে কেবল কাক’রা উড়ে
দেখি অন্য শহরের বুকে কী টিয়া ময়না শালিক কোকিল উড়ে ঘুরে
মেঘের ভেলায় কী মানুষের স্বপ্ন ভাসে,
দেখে আসি কোন কবি আকাশ দেখে কি না বসে
দূর্বাঘাসে।

আকাশের কিনারে সেখানে আছে কি না রঙধনু
দেখে আসি সেই শহরের গাছে পাতায় বাজে কি সুখ বেণু,
যন্ত্র শহর ছেড়ে একটু না হয় ঘুরে আসি,
খুব শুনি ইচ্ছে স্বচ্ছ হাওয়ায় বাজে পাতার বাঁশি।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

পাতাপ্রান্ত

কোনো কথা না বলেই রাত কাছে এলো। অথচ এখনও দুপুর-
কোনো সায় না দিয়েই পাতারা নড়ে উঠলো, আর
পাখিরা জানিয়ে দিল- তারা আর আমার সঙ্গে থাকছে না।

মানুষ একা হলে আশ্রয় নিতো পাতার ছায়ায়,
কথাটা ভুলে গিয়ে আমি ঘাটের দিকে পা বাড়ালাম।

ঘাট সরিয়ে নিল তার ছায়া…
পাখিদের নীরবতা আমাকে ভেদ করলো আবারও।

প্রিয়া তুমি এলে

im

যে মরুতে ছিল শুধু বালি পাথর
শুকনো নদী ছিল নিরব নিথর
যেথায় শুধু বইতো বালির ঝড়
তুমি নিয়ে এলে বৃষ্টির পসর।

তুমি এলে সাজে স্বপ্নের দোসর
ঘাস ফুল গাছ পাখিদের বাসর
তুমি এলে চাঁদের জোৎস্না হাসে
নক্ষত্র জ্বলে মিটিমিটি আকাশে।

বসন্ত ছড়িয়ে যায় চারিদিকে
সুরের মূর্ছনায় কোকিল ডাকে
মুখরিত জঙ্গলবাড়ি কলেজ ক্যাম্পাস
সজিব হয় ঈষা খা’র নিরব আবাস।
প্রিয়া তুমি এলে অমৃত স্বাদে ধানসিঁড়ি
তোমায় নিয়ে বাকি জীবন দেবো পাড়ি।