বিভাগের আর্কাইভঃ প্রকাশনা ও রিভিউ

লিটলম্যাগ পতঙ্গ

শব্দনীড়ে কবি মোকসেদুল ইসলামের লিটল ম্যাগাজিনের জন্য নাম চেয়ে দেয়া পোস্ট অনেকে হয়ত করেছেন অথবা করেননি। তবে নাম এসেছিল অনেকগুলিই। আমরা অনেক ভাল ভাল প্রস্তাব পেয়েছি। এত নামের ভীড়ে নাম সিলেকশনে আমাদের বেশ ভিরমি খেতে হয়েছে। শেষে পতঙ্গ নামটি সিলেক্ট হয়। শব্দনীড়ের সকলের শুভকামনা প্রত্যাশি নতুন লিটল ম্যাগাজিন ‘পতঙ্গ’।

শব্দনীড় মূলত সাহিত্যমনাদের আড্ডাখানা। তাই আশাকরি অনেক বন্ধুদের স্বতস্ফূর্ত সহযোগীতা পাব।

শবনম – পুস্তক পর্যালোচনা

সৈয়দ মুজতবা আলী, নাম শুনলেই যাদের চোখের সামনে ভেসে আসে রসগোল্লা গল্পের ঝান্ডু দা’র কথা, শার্টের কলার ধরে একটি রসগোল্লা নাকের কাছে নিয়ে বলছে, ও পারণ খাবি নে? তোর গুষ্ঠি খাবে।
তাদের ভাবনা-চিন্তায় একটু না অনেকখানি আমল পরিবর্তন এনে দিবে শবনম।

আমাদের উপমহাদেশীয় সাহিত্যে একটা মাপ কাঠি আছে, কিসের ভিত্তিতে সে মাপকাঠি ধরা হয় জানি না। তবে সাহিত্যিকদের কেউই বোধহয় সেই তুলাদণ্ড থেকে বাদ যায় নি।
কোন লেখক যদি একবার রম্য গল্প লিখে বিখ্যাত হয়ে গিয়ে একটা প্রেমের গল্প লিখে থাকেন পাঠক তখন বলেন, “ওরে বাবা তিনিও রম্যের পাশাপাশি প্রেমটাও বেশ ভাল লিখতে পারেন”। কিছুতেই তাকে সেই সম্মানটা দেয়া হয় না যেটা দেয়া হয় অন্য কোন প্রেমের গল্প লেখা লেখককে।

যার কথা বলছিলাম বা বলতে চাচ্ছিলাম তিনি আর কেউ না, তিনি সৈয়দ মুজতবা আলী। যাকে আমরা সবাই একনামে চিনি রম্য লেখক হিসেবে। তিনিই যে একখানা আস্ত প্রেম-বিরহের উপন্যাস লিখে ফেলবেন এবং সে লেখা যে এতটা ভাল হবে তা কেউ আশা করেছিল কিনা জানি না, আমি অন্তত কিছুটা অবাক হয়েছি।

শবনম উপন্যাস সম্পর্কে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন “বাঙ্গালী তরুন-তরুনীদের প্রেমে পড়ার পূর্বে অবশ্যই সৈয়দ মুজতবা আলীর শবনম উপন্যাসটি পড়ে নেয়া উচিত। এমন শিক্ষণীয় প্রেমের উপন্যাস বিশ্ব সাহিত্যে আর একটিও নেই।”
কথাটির সত্য মিথ্যা বিচার পাওয়া যাবে গোটা উপন্যাসটি পড়ার পরেই।

এই উপন্যাসের ভূমিকা লিখেছেন মুহম্মদ এনামুল হক এবং উৎসর্গ করা হয়েছে রাজশেখর বসুকে।

শবনমঃ প্লট ও পর্যালোচনা

আফগানিস্তান। সময়টা বাদশা আমানুল্লাহর শাসনামল। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাগমান শহরে আয়োজন করা হয়েছে নৈশ বল-ডান্সের। সেই বেলেল্লাপনা বল ডান্স দেখতে যাওয়া এক তরুণীর সাথেই প্রেম হয়ে যায় পরদেশী এক তরুণের। তরুণ সে দেশে একেবারেই নতুন। গিয়েছেন হিন্দুস্তান থেকে অধ্যাপনা করতে।
তরুণ অধ্যাপক যার প্রেমে পড়লেন তিনি যে সে দেশেরই রাজকুমারী সেকথা মনের ভুলেও ভাবেন নি ভিনদেশী যুবক। ভাবলেও সে ভাবনাকে পাত্তা দেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। প্রেম কি এতসব ভেবে হয়? হয়েছে কখনও?

যে দুইটা চরিত্রের কথা বলছিলাম তাদের মধ্যে স্ত্রী চরিত্রটির নাম শবনম, বয়স আঠারো-উনিশ। কিন্তু উপন্যাসে তার সংলাপ পড়ে মাঝেমধ্যে মনে হয়ে তার বয়স হয়ত ৩৫, কখনও মনে হয়েছে তার বয়স ১৬ কিংবা ১৭।
পুরুষ চরিত্রটির নাম মজনূন। বাংলা আর ইংরেজি ভাল জানেন কিন্তু ফার্সী ও ফ্রেঞ্চ খুব একটা পারেন না ভালো।

একে অন্যের নাম পরিচয় জানার এক মুহূর্তে মজনূনের ফার্সী ও ফ্রেঞ্চ সম্পর্কে শবনম রহস্য করে বলেছে,

আপনার ফ্রেঞ্চ অদ্ভুত, আপনার ফার্সীও অদ্ভুত। অদ্ভুত মানে খারাপ? ফার্সী উচ্চারণে কেমন যেন পুরনো আতরের গন্ধ, ঠাকুরমা সিন্দুক খুললে যেরকম বহু দিনের জমানো মিষ্টি গন্ধ বের হয় সেরকম। অন্য হিন্দুস্তানীরা যেরকম ভোঁতা ভোঁতা ফার্সী বলে সেরকম নয়” ।

সৈয়দ মুজতবা আলী শবনমের বর্ণনা লিখেছে এভাবে,

প্রথমে দেখেছিলুম কপালটি। যেন তৃতীয়ার ক্ষীণচন্দ্র। শুধু, চাঁদ হয় চাপা বর্ণের, এর কপালটি একদম পাগমান পাহাড়ের বরফের মতই ধবধবে সাদা। সেটি আপনি দেখেন নি? অতএব বলব নির্জলা দুধের মত। সেও তো আপনি দেখেন নি। তা হলে বলি বন-মল্লিকার পাপড়ির মত।
নাকটি যেন ছোট বাঁশী। ওইটুকুন বাঁশীতে কি করে দুটো ফুটো হয় জানি না। নাকের ডগা আবার অল্প অল্প কাঁপছে। গাল দুটি কাবুলেরই পাকা আপেলের মত।

আফগানিস্তানে লেবু তেমন হয় না। প্রণয়ের প্রথম দিকে মজনূন শবনমকে উপহার দিয়েছিল পাঞ্জাবীর পকেট হাতড়ে পাওয়া একটি ভারতীয় লেবু।

লেবুটি পেয়ে শবনম বলেছিল,

এটা কি ? ওঃ ! নেবু? লীমূন । লীমূন-ই-হিন্দুস্তান যার ভেতরেরটা টক!

সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লেখক লিখেছেন,

ওরে মূর্খ! দিলি একটা নেবু!
তাও শুনতে হল ভিতরটা টক!
না, সে মীন করে নি।
আলবাৎ করেছে।
না।

শবনম। শবনম মানে তো শিশিরবিন্দু, হিমকণা। সে তো শিউলি। শরৎ-নিশির স্বপ্ন-প্রভাতের বিচ্ছেদ বেদনা। সে যখন ভোরবেলা সর্ব বন্ধন থেকে মুক্ত হয়, সে কি স্বেচ্ছায়?

উপন্যাসের সবথেকে আকর্ষণীয় অংশ মনে হয়েছে নানা ফরাসি ও ফ্রেঞ্চ কবিতার অনুবাদ। শবনম ও মজনূন অনেক কথা বলেছেন কবিতায় কবিতায়। এই উপন্যাসে যথেষ্ট কাব্যিক ও ভাষা-তাত্ত্বিক মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন সৈয়দ মুজতবা আলী।
অসংখ্য ঘটনা, ভীতি, শিহরণ ও কাব্যিক ব্যঞ্জনার মধ্য দিয়ে আগাতে থাকে উপন্যাস শবনম।
এক পর্যায়ে মজনূনের কুড়ে ঘরে নিয়মিত আসা যাওয়া চলতে থাকে শবনম বানুর। কখনও দিনের আলোয় বোরখায় নিজেকে ঢেকে, কখনও রাতের আঁধারে।

বোরখা সম্পর্কে শবনমের স্পষ্ট কথা, লোকে বলে বোরখা নারীদের বন্দি করে রেখেছে, আমি তো দেখি বোরখা নারীর সুবিধের জন্যই, ইচ্ছে করলেই নিজেকে লুকিয়ে ফেলা যায় বোরখার আড়ালে।

প্রেম যেখানে থাকে সেখানে ভয়ও থাকে, ভয় লজ্জা দ্বিধা না থাকলে প্রেম ঠিক প্রেম বলে মনে হয় না। অবাধ প্রেম কোন নর-নারীকেই আকর্ষণ করে না। প্রেমের এই ভয়, না পাওয়ার ভীতি এসব নিয়ে মজনূন যেন সর্বদা চিন্তিত থাকত। কোথাকার কোন হিন্দুস্তানের যুবক সে, তার কাছে কেন আফগান কুমারী বিয়ে দেবেন রাজা!
এসব প্রশ্নের কেবল একটাই জবাব দিত শবনম, “আমার কাছে ওষুধ আছে”

কি দাওয়াই ছিল শবনমের কাছে যা চিন্তামুক্ত করে দিবে পরদেশী মজনূকে? সত্যিই কি কোন দাওয়াই ছিল নাকি সব প্রেমিকাই যেমন বলে তারকাছে জাদু আছে শবনমও সেরমকই বলেছিল, এসব প্রশ্নের পাওয়া যাবে উপন্যাস শুরু করার অল্প সময়ের মধ্যেই।

লুকোচুরির এই প্রেমের এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয় তারা বিয়ে করবে। বিয়ে হয়। একবার না, দুইবার বিয়ে হয় শবনম ও মজনূনের। দুইবার কেন বিয়ে হল সে ব্যাখ্যা জানার জন্য গোটা উপন্যাস পড়তে হবে না, অর্ধেক পড়লেই জানা যাবে।

আফগান মেয়েদের বিয়ের পরে মাথার জুলফ কেটে দিতে হয়, যাতে করে বোঝা যায় তিনি বিবাহিতা। বাঙলা জুলপি কথাটা জুলফ থেকে এসেছে। ইরান তুরানের কুমারীদের অনেকেই দু গুচ্ছ অলক(চুল) রগ থেকে কানের ডগা অবধি ঝুলিয়ে রাখে। এটাই জুলফ।
বিয়ের পরে শবনমের জুলফ কাটা নিয়েও বেশ কিছু চিত্তাকর্ষক সংলাপ রয়েছে উপন্যাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে।
বিয়ে হল। বাসর রাতে জামাইকে ঘরে ঢুকতে দেখেই কোনায় কোনায় লুকিয়ে থাকা কনের বান্ধবীরা গেয়ে উঠল,


রুটি খায় নি, দাল খায় নি, খায়নি কভু দই,
হাড়-হাভাতে ওই এল রে- খাবে তোরে সই!
মরি, হায় রে হায় !

শবনম উপন্যাসে প্রেম পর্ব দেখা হল, বিয়ে পর্ব দেখা হল।
পড়তে পড়তে মনে হতেই পারে এই উপন্যাসের তাহলে শেষ অবধি হয়ত শুভ সমাপ্তি। যখন থেকে ভাবতে শুরু করবেন এই উপন্যাসের রয়েছে দারুণ এক হ্যাপি এন্ডিং ঠিক তখন থেকে কয়েক পাতা এগুলোই একটা চিরকুট পাওয়া যাবে।

শবনম লিখেছে,
“বাড়িতে থেকো। আমি ফিরব”।

কোথায় গেল শবনম? কেনই বা গেল ? ঠিক কতদিনের জন্য গেল?
এসব অনেক জটিল প্রশ্ন। সব প্রশ্নের উত্তর রিভিউতে দিয়ে দেয়া যায় না। এত বড় একটা উপন্যাসের মূল এই অংশটুকু লেখক লিখেছেন অনেক শব্দের বিন্যাসে। যারা ভাল পাঠক তাদেরকে কিছুতেই বই ছেড়ে উঠতে দেবে না, শব্দের মারপ্যাঁচে পড়ে যেতেই হবে।

শবনম ঘরে নেই। বিরহে দিন কাটাচ্ছে মজনূন। কয়েক ঘণ্টা হয়ে গেল শবনম ফেরে নি, দিন হয়ে গেল তাও ফেরে নি শবনম। মাস হয়ে গেলে? শবনম কি ঘরে ফিরবে? কেনই বা এই অন্তর্ধান?
এতটা ভালবেসে শেষে কেন চলে যেতে হল? এ বিরহের মানে কি ?

ভিনদেশী যুবক মজনূন কি করবে? কোথায় কোথায় খুঁজবে সে তার স্ত্রী শবনমকে। সেকি তাহলে তার নামের মতই হিমিকা হয়ে সকালের রোদ ওঠার সাথে সাথে শুকিয়ে গেছে?
কিন্তু সে যে চিরকুটে লিখেছে, “বাড়িতে থেকো। আমি ফিরব”।

একা একা দিন যাপনে মজনূনের কেবল একটা কথাই মনে পড়ত বারবার। শবনমই তাকে বলেছিল,
– আমার বিরহে তুমি অভ্যস্ত হয়ে যেয়ো না।

শবনম বলেছে সে ফিরবে। উপন্যাস যখন প্রায় শেষদিকে, আর মাত্র সাত/ আটটি পাতা বাকী।
বইটি হাতে নিয়ে আমি ঝিম দিয়ে বসেছিলাম। আর পড়তে চাইছিলাম না। অনেকটা নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধেই পড়তে হল। একটা করে লাইন পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম পরের লাইনেই হয়ত লেখা দেখতে পাব শবনম কথা রেখেছে, সে ফিরেছে।

উপন্যাসের পাতা এক সময় শেষ হয়ে যায়, শবনম কি কথা রাখে ? সে কি ফিরে আসে?
সে যে বলেছিল, “বাড়িতে থেকো। আমি ফিরব”।

চমৎকার এই উপন্যাসটি পড়া শেষ হয়ে গেলেও এর রেশ রয়ে যাবে অনেকদিন। যখন পড়ছিলাম আমি যেন ভাবছিলাম আমার আশেপাশেই কোথাও আছে শবনম।
পুরো উপন্যাসটি একপ্রকার জাল বিস্তার করে ঘিরে রাখবে পাঠককে যা খুব কম লেখকই করতে পেরেছেন।

___________
জাহিদ অনিক
১০/০৮/২০১৭

আরেক পোশাকের টানে

আরেক পোশাকের টানে

বেহুলা বাংলা, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত আরেক পোশাকের টানে কবিতা গ্রন্থটি কেউ যদি সরাসরি ডাক যোগে পেতে চান তাহলে এই নম্বরে ০১৭৭৬১৬২২২৮ আপনার ঠিকানা এস এম এস করুণ এবং ১৫০ টাকা বিকাশ করুন।

কয়েকদিনের ভেতরে লেখক আপনাকে বইটি ডাকযোগে পাঠিয়ে দেবেন। উক্ত ফোন নম্বর লেখকের। এছাড়া কয়েক দিন পর থেকে ইনশা আল্লাহ মেহেরপুরের রাজ্জাক লাইব্রেরি ও দোয়েল বুক হাউজে পাওয়া যাবে।

নেটে রকমারিতে এই বইটি পাওয়া যাবে। এছাড়াও ঢাকায় কনকর্ড টাওয়ার, বাংলা বাজার ও বিবিধ লাইব্রেরিতে বইটি পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও বইটি প্রকাশক কর্তৃক সিলেট, চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের বিবিধ লাইব্রেরিতে সীমিত আকারে মার্কেটিং হবে ইনশা আল্লাহ।

শব্দনীড় ই-ম্যাগ: নববর্ষ ১৪২৪ সংখ্যায় আপনার লিখা দিন

emag1424

সুপ্রিয় ব্লগারগণ

জীবনের ধর্মানুযায়ী কখনো কখনো সময়ের বৈরিতার শিকার আমাদের হতেই হয়। তবে বৈরিতার করাল গ্রাসে হারিয়ে না গিয়ে কোনো এক জ্বলজ্বলে নব প্রভাতে নতুন করে আবারো সবকিছুকে শুরু করাই হয় সফলতার অন্যরূপ। প্রতিটা জীবনের সাথেই এই সময়ের বৈরিতা অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। তেমনি করে, শব্দনীড়ও এমনি এক সময়ের বৈরিতার শিকার হয়ে মাঝখানে কিছুটা সময় প্রায় নিশ্চল হয়ে পড়েছিল। তবে হারিয়ে যায়নি, সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে নব উদ্যমে আবারো শুরু করেছে পথচলা। শব্দনীড়ের সকল লেখক পাঠকের জন্য এ যেন পরম পাওয়া। বাংলা ব্লগগুলোর এমন দুর্দিনেও অসীম সাহসিকতার সাথে শব্দনীড়ের এই সফলতাকে অভিনন্দন জানাই।

সকলের পদচারণায় যখন মুখরিত এই নীড় তখন আরও একটি সুসংবাদ নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সামনে। এইতো কিছুদিন হলো; ঋতুর আবর্তে এলো প্রাণের বৈশাখ। আর এই বৈশাখের সকলের আনন্দকে স্মৃতিতে একই সুঁতোয় গেঁথে রাখার প্রয়াসে প্রাণের এই শব্দনীড় হতে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে …
শব্দনীড় ই-ম্যাগ: “নববর্ষ ১৪২৪ সংখ্যা”

Divider 7a

শব্দনীড়ের সকল নিবন্ধিত ব্লগার এই লিটলম্যাগের সংকলনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আসুন সকল ব্লগারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে আরো প্রাণবন্ত করি তুলি এই আয়োজনকে। ই-লিটলম্যাগ সম্পর্কিত বিস্তারিত উল্লেখ করা হলোঃ

search_btn* লেখার বিষয়বস্তুঃ উন্মুক্ত
aaa_2

stock-vector-tick-sign-36206047 * লেখা জমা দেবার বিভাগসমূহঃ
aaaaa2013

red ০১. অনুগল্প।
red ০২. ছোট গল্প।
red ০৩. গল্প।
red ০৪. রম্যরচনা।
red ০৫. কবিতা।
red ০৬. ছড়া ও পদ্য।
red ০৭. কবিতা বা সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ।
red ০৮. শিশুতোষ সাহিত্য।
red ০৯. ভ্রমণ কাহিনি।
red ১০. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্মৃতিকথা।
red ১১. চিঠি।

Prog * তিনটি বিভাগে একটি করে মোট তিনটি লেখা জমা দিতে পারবেন।
Prog * লেখার লিংক মন্তব্যের ঘরে উল্লেখ করে লেখা জমা দিতে পারবেন।
Prog * ই-মেইলের মাধ্যমেও লেখা জমা নেয়া হবে।
Prog * ই-মেইলঃ [email protected]

stock-vector-tick-sign-36206047 *লেখা জমা দেয়ার শেষ তারিখঃ ১০ই মে ২০১৭।

তবে আর দেরি কেন! লিটলম্যাগকে সমৃদ্ধ করার জন্য প্রকাশ করে ফেলুন আপনার সেরা লেখাটি। সকলের জন্য অশেষ শুভকামনা এবং ধন্যবাদ। শুভ ব্লগিং।

story

একটি প্রস্তাবনা

আমরা সকলেই অবগত আছি, সময়ের বৈরিতাকে পাশ কাটিয়ে, নব উদ্যমে পথ চলতে শুরু করেছে এই প্রিয় শব্দনীড়। লেখক পাঠকের মেলবন্ধনে এই নীড় এখন মুখরিত। তবে কেন আর নিরবতা! আসুন সকলে মিলেই মেতে উঠি উল্লাসে।

কেবল বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের পাঠকের কাছে ই-ম্যাগ এখন সর্বাধিক জনপ্রিয়। যা অতি সহজেই পৌঁছে দেয়া যায় পাঠকের দ্বারপ্রান্তে। আর তার ভিত্তিতেই এবারে শব্দনীড় থেকে প্রকাশিত শব্দতরীর ই-ম্যাগ প্রকাশের প্রস্তাব রাখছি। সবে যেহেতু এলো প্রাণের বৈশাখ, সংখ্যাটি হতে পারে কোনো বৈশাখী সংখ্যা। এবার আসুন সহব্লগাররা মিলে নির্ধারণ করে ফেলি কি হবে শব্দতরী ই-ম্যাগের বৈশাখী সংখ্যার নাম।

সকলকে নাম প্রস্তাবের আহ্বান জানাই।
আমার প্রস্তাবিত নামঃ

১। শব্দনীড় ই-ম্যাগ
২। শব্দতরী ই-ম্যাগ

সংখ্যাঃ
১। প্রাণে বাজে বৈশাখী মাদল
২। প্রাণের বৈশাখ

শব্দনীড়ে আমরা একটি বাক্য সবসময়ই দেখতে পাই, “নক্ষত্ররা হাতে হাত রেখে হয় ছায়াপথ”। আর তাই এই উদ্যোগকে সফলরূপে বাস্তবায়ন করতে, সকলের আন্তরিক মতামত আশা করছি।

লিটলম্যাগ শব্দতরী প্রকাশের ভাবনা

‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নে,ই, তা প্রকাশ করতে যদি লজ্জাবোধ হয়, তবে সে ধরনের চিন্তা না করাই বোধ হয় ভাল।’

— প্রাচীন গ্রীক কবি ইউরিপিডিস (৪৮০-৪০৬ খ্রীঃ পূঃ)

১৭৩১ সালে এডওয়ার্ড কেভ সম্পাদিত `Gentleman’s Magazine’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে ম্যাগাজিন শব্দটি চালু হয়। Magazine অর্থ- বারুদশালা। বারুদ ঠাসার মতোই শব্দ-অক্ষরের মাল-মশলা মজুদের আধার হিসেবে ম্যাগাজিন শব্দের এই প্রতীকী ব্যবহারই পরবর্তীতে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

প্রকৃত অর্থে লিটল ম্যাগাজিনের চরিত্রই হচ্ছে প্রতিবাদী ও তথাকথিত প্রতিষ্ঠান বিরোধী। আর তাই প্রথাবিরোধী মেধাবী সৃষ্টিশীলদের সাহিত্যচর্চার শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হচ্ছে এই লিটল ম্যাগাজিন।

‘দেশ’ পত্রিকার মে ১৯৫৩ সংখ্যায় ‘সাহিত্যপত্র’ প্রবন্ধে বুদ্ধদেব বসু লিটল ম্যাগাজিন সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে লেখেন-

লিটল কেন? আকারে ছোট বলে? প্রচারে ক্ষুদ্র বলে? না কি বেশি দিন বাঁচে না বলে? সব কটাই সত্য, কিন্তু এগুলোই সব কথা নয়; ঐ ‘ছোট’ বিশেষণটাতে আরো অনেকখানি অর্থ পোরা আছে। প্রথমত, কথাটা একটা প্রতিবাদ: এক জোড়া মলাটের মধ্যে সব কিছুর আমদানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বহুলতম প্রচারের ব্যাপকতম মাধ্যমিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। লিটল ম্যাগাজিন বললেই বোঝা গেলো যে জনপ্রিয়তার কলঙ্ক একে কখনো ছোঁবে না, নগদ মূল্যে বড়োবাজারে বিকোবে না কোনোদিন, কিন্তু- হয়তো কোনো একদিন এর একটি পুরোনো সংখ্যার জন্য গুণীসমাজে উৎসুকবার্তা জেগে উঠবে। সেটা সম্ভব হবে এই জন্যেই যে, এটি কখনো মন যোগাতে চায়নি, মনকে জাগাতে চেয়েছিলো। চেয়েছিলো নতুন সুরে কথা বলতে।

সাহিত্যের পত্রিকা- তার মানে সৃষ্টিশীল, কল্পনাপ্রবণ সাহিত্যের। যে সব পত্রিকা সাহিত্য বিষয়ক জ্ঞানের পরিবাহক, ইতিহাস, পুরাতত্ত্ব বা পাঠমূলক গবেষণায় লিপ্ত, দৃশ্যত কিছু মিল থাকলেও সাহিত্যপত্রের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। তারা বিশেষজ্ঞের পত্রিকা, জ্ঞানের একটি বিশেষ বিভাগে আবদ্ধ, আপন সম্প্রদায়ের বাইরে তাদের আনাগোনার রাস্তা নেই। কিন্তু সাহিত্যপত্রের দরজা খোলা থাকে সকলেরই জন্য, কেননা সাহিত্য যেখানে সৃষ্টি করে সেখানে তার আহ্বানে কোনো গণ্ডি নেই, যদিও সে আহ্বান শুনতে পায় কখনোবা পনেরো জন কখনো পনেরো লক্ষ মানুষ। আজকের দিনে যাদের কণ্ঠ লোকের কানে পৌঁছাচ্ছে না, যারা পাঠকের পুরনো অভ্যাসের তলায় প্রচ্ছন্ন হয়ে আছে, তাদের এগিয়ে আনা, ব্যক্ত করে তোলাই সাহিত্যপত্রের কাজ।
——————

এই পোষ্টের কোন ভাবনাই আমার নিজের নয়। কিন্তু ব্লগে প্রকাশিত মানসম্মত লেখা নিয়ে একটি লিটলম্যাগ প্রকাশের ভাবনা আমার অনেক দিনের। শব্দতরী কি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আবার প্রকাশ করা যায়?

16326463_1863049787243629_108599990_o

অদ্ভুত মানুষগুলো

16326463_1863049787243629_108599990_o

আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অদ্ভুত মানুষগুলো’ প্রকাশিত হয়েছে তিউড়ি প্রকাশন থেকে।
বইটি সম্পর্কে কিছু কথাঃ মানুষ মূলত অদ্ভুত জীব। তবে সেটা যতোটা না দেখতে ততোটাই আচরণে, চলাফেরায় এমনকি নাওয়া-খাওয়াতেও ।‘অদ্ভুত মানুষগুলো’ নামক কবিতার বইটিতে দেখানো হয়েছে মানুষ কতোটা স্বার্থপর ও লোভী হতে পারে। মনুষ্যত্ববোধ, পরোপকার, ভালোবাসা এসব বর্তমানে চার দেয়ালে বন্দি। মানুষ নিজ স্বার্থের জন্য হেন কাজ নেই যা সে করতে পারে না। প্রেমিকা তার প্রেমিক কে, ভাই তার ভাই কে পর্যন্ত খুন করতে পারে। এমন কি- মা, যে কি না প্রচণ্ড কষ্ট করে দশমাস তাকে পেটে ধরেছিল, যে তাকে মানুষ করেছে সেই মাকে পর্যন্ত খুন করতে পারে। অশালীন আর অশ্লীলতায় ডুবে থাকছে মানুষগুলো। কিন্তু এই অদ্ভুত মানুষগুলোর প্রেম-ভালোবাসারও দরকার হয়। ভালোবাসা পেলে তারাও মানুষ হয়ে উঠতে পারে। আর তাই পাঠকেরা বেশ কিছু প্রেমের কবিতা পাবেন এ বইটিতে। যা পাঠ করলে নিজের মধ্যেও ভালোবাসা উথলে উঠবে।

কাব্যগ্রন্থটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার লিটলম্যাগ চত্বরের ‘চিবিমা’র স্টলে। স্টল নং -৩৯। আর কুরিয়ারের মাধ্যমে নিতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন – ০১৭১০২২৮৮১৬ এই নম্বরে। কিনতে পারেন রকমারি থেকেও।

প্রকাশনীঃ তিউড়ি প্রকাশন
প্রচ্ছদঃ সারাজাত সৌম
মূল্যঃ ১৩৫ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৮

স্মৃতিতে দেবী ও কবি

দেবী ও কবি’র রিভিউ

দেবী ও কবি’র প্রচ্ছদ এঁকেছিলেন সহব্লগার বন্ধু সুমন আহমেদ।


অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান স্যার দেবী ও কবি’র মোড়ক উন্মোচন করছেন।


অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান স্যার দেবী ও কবির মোড়ক উন্মোচনে নজরুল মঞ্চ।
বাংলা একাডেমি।


শ্রদ্ধেয় কথা সাহিত্যিক, সহ ব্লগার খালিদ ওমর ও আমি মিডিয়ার সামনে।


দেবী ও কবি তে অটোগ্রাফ নিচ্ছেন শ্রদ্ধেয়া লুবনা আপা।


দাদু (ইজি রেসিপি) দাদাভাই খালিদ ওমর ও ড.আনিসুজ্জামান স্যার।

আনন্দ সমাচার

অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, অমর একুশে বইমেলা-২০১৭ উপলক্ষে আমার দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। গ্রন্থ দুটি যথাক্রমে-
১। ডাম্বুলার প্রেম (ছোটগল্প সংকলন)
====================
এ গ্রন্থটিতে সর্বমোট ০৯টি ছোটগল্প রয়েছে। প্রত্যেকটি গল্প সহজ-সরল এবং সাবলীল ভাষায় রচিত। জীবনবোধে অনন্য। আমার বিশ্বাস প্রতিটি গল্পে পাঠক নিজেকে খুঁজে পাবেন।

২। ভালোবাসার নির্বাচিত কবিতা (কাব্য গ্রন্থ)
========================
এ গ্রন্থটিতে সর্বমোট ১১৯টি কবিতা আছে। প্রতিটি কবিতায়ই হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা ভালোবাসার বর্ণিল ব্যাঞ্জনায় প্রস্ফুটিত। পাঠকের ভালো লাগাই আমার একমাত্র কাম্য।।

দুটি গ্রন্থ-ই প্রকাশ করেছে স্বনামধন্য জলছবি প্রকাশন। প্রকাশকঃ এ কে এম নাসির উদ্দিন আহমেদ কাবুল, প্রচ্ছদ করেছেন যথাক্রমে- চারু পিন্টু এবং মোস্তাফিজ কারিগর।
দুটি গ্রন্থ-ই ০৬ ফর্মার। আশা করি, গ্রন্থ দুটি পাঠক হৃদয়ে কিছুটা হলেও দোলা দিবে। কোনো সুহৃদ বন্ধু যদি গ্রন্থ দুটি পেতে চান তাহলে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইল।। তাছাড়া বইমেলায় জলছবি, দাঁড়িকমা এবং ম্যাগনাম ওপাস স্টলেও বই দুটি পাওয়া যাবে।।

সকলের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি —।।

সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও শব্দতরী প্রকাশনা উৎসবে আপনি আমন্ত্রিত

সুপ্রিয় ব্লগার বন্ধুরা। শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হতে যাচ্ছে! আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে শব্দনীড় সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ পোস্টের মাধ্যমে শব্দনীড় বন্ধুদের স্বতস্ফূর্ত এবং আন্তরিকতায় আস্থা রেখে সৃজনশীল লিখা আহবান করা হয়। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে প্রচুর লিখা আমাদের হাতে এসেছে। বিধায় লিখা প্রাপ্তির ঘরে আমরা প্রাপ্ত লিখার লিঙ্ক নিয়মিত প্রকাশ করতে থাকি। পাশাপাশি সকল পাঠক এবং ব্লগারদের প্রতিটি লিখায় ভোট দেবার আহবান জানানো হয়। লিখা প্রাপ্তি থেকে পাঠক ভোট প্রদান পর্যন্ত সকলের অভূতপূর্ব সাড়ায় আমরা বিমোহিত হয়েছি। আমরা কৃতজ্ঞ।

প্রদত্ত ভোট সতর্কতা এবং স্বচ্ছতার সাথে গণনার মাধ্যমে প্রতিযোগীদের প্রাপ্ত ভোট ঘোষণা আনুযায়ী গ্রহণ সম্পন্ন হয়। তবে প্রতিযোগিতায় পাঠকের বহুল অংশগ্রহণ থাকলেও ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায় নি! প্রকাশিত হয় সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ ভোটের ফলাফল এ পাঠক ভোটে নির্বাচিত মোট ত্রিশটি লিখা। যা অপেক্ষমান থাকে চূড়ান্ত বিচার কার্য সম্পাদনে সম্মানিত বিচারক মণ্ডলীদের বিচার কার্যে প্রতিটি লিখায় নাম্বার প্রদানের। পরিশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বিচারক মণ্ডলী তাঁদের রায় দেন। উঠে আসে তিন ক্যাটাগরির তিন জনের তিনটি করে সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ চূড়ান্ত ফলাফল। দেখুন।

চূড়ান্ত বিজয়ী: ক্যাটাগরি- ০১ (কবিতা, ছড়া, সঙ্গত, অনুবাদ) : ০১. কবি, কবিতা ও বিবেকের কথা – মহাকালের প্রতিচ্ছবি। ০২. ইয়েটস ও একটি প্রিয় কবিতা – কে এম রাকিব। ০৩. আমি পাগল হয়ে যাওয়ার আগে – নাহিদ ধ্রুব।

ক্যাটাগরি- ০২ (ছোটগল্প, অনুগল্প, শিশুতোষ, চিঠি) : ০১. গাওয়াল – মিশু মিলন। ০২. হাজতী – জিয়াউল হক। ০৩. আইল্যা – মাহাফুজুর রহমান।

ক্যাটাগরি- ০৩ (প্রবন্ধ, সমসাময়িক, রম্য রচনা, ভ্রমণ) : ০১. আহসান মঞ্জিল – ছবি। ০২. রবির উপর বাউলের ছায়া – কবীর হুমায়ূন। ০৩. মানবতাবোধে উজ্জীবিত সৃজনশীল ও সফল মানুষের পৃথিবী দেখতে চাই – মাসুম বাদল।

চূড়ান্ত ফলাফলে যারা বিজয়ী হলেন তাদের সবাইকে আয়োজক কর্তৃপক্ষ এবং শব্দনীড়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন এবং চূড়ান্ত ফলাফল বাছাইয়ে সহযোগিতার জন্য সম্মানিত বিচারক মণ্ডলীর প্রতি কৃতজ্ঞতা। যারা বিজয়ী হতে পারেন নি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ সহ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে একে সার্থক করে তোলার জন্য এবং যারা ভোট প্রদান করেছেন এবং প্রতিযোগিতাকে সুন্দরভাবে সমাপ্তির পথে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন তাদের সহ সকল ব্লগার, পাঠক দের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান স্বেচ্ছা দায়িত্ব নেয়া সুমন আহমেদ।

উদ্যোগ নেয়া হয় সৃজনশীল এবং চমৎকার আঙ্গিকের একটি অনন্য ই-লিটলম্যাগ এর। প্রতিযোগিতায় প্রাপ্ত লিখা গুলো সম্পাদনা হীন ভাবে সেখানে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। উদ্দেশ্য বহুদিন পর কোন এক অলস দুপুরে কিংবা সন্ধ্যায় যখন লেখক তাঁর লেখালেখির স্মৃতি রোমন্থনে যখন খুলে বসবেন এই ই-লিটলম্যাগ, হয়ত সেদিন পুরনো লিখাটি পুনরায় পাঠ করে অতীত এবং বর্তমানকে সামনে রেখে নিজেই নিজের লিখাকে মূল্যায়ন করতে সমর্থ হবেন যা কোন নবীন লিখিয়েকে পথ দেখাবে। প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে সার্থক হয়ে উঠে। অভিনন্দন সকল বিজয়ীকে। আশা করা হয় সৃষ্টির এ হাত কখনও থেমে যাবে না। শব্দনীড় সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ ই-লিটলম্যাগ। ফাইল সাইজ: ১১.৪ এমবি।

আহবান করা হয় শব্দতরী পঞ্চম বর্ষ, প্রথম সংখ্যার জন্য লেখা আহ্বান। সেরা সৃজনশীল লিখা গুলোন সহ স্বপ্রণোদিত হয়ে যারা শব্দতরী সম্পাদক বরাবর লিখা পাঠিয়েছেন; সম্পাদিত সেই লিখা গুলোন নিয়ে অবশেষে বহুল আকাঙ্খিত শব্দতরী মোড়ক উন্মোচনের অপেক্ষায়। এই মহোৎসবে আমরা আপনাকে চাই।

সুধী।
অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আগামী ৩রা জুন ২০১৪ বিকেল ৫ টায় পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার হলে (নিচতলা) শব্দনীড় সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা ২০১৪ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও শব্দতরী, ৫ম বর্ষ. প্রথম সংখ্যার প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে আপনার স্ববান্ধব উপস্থিতি কামনা করছি।
ধন্যবাদান্তে জিয়া রায়হান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি :

মাহফুজুর রহমান
নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক
বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক, উপদেষ্টা চন্দ্রাবতী একাডেমি।

বিশেষ অতিথি :

আনজীর লিটন
বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার।

গোলাম মোহাম্মাদ কিবরিয়া
বিশিষ্ট সমাজসেবক, সভাপতি বাংলাদেশ সমিতি, রোম, ইতালী।

প্রতীক করিম
জেনারেল ম্যানেজার, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড।

মালেক টিপু
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক।

অনুষ্ঠান সূচি :
শব্দতরী প্রকাশনা উৎসব
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
চা চক্র ও আড্ডা।

আয়োজনে : ব্লগারস ফোরাম। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া : শব্দনীড়।

সৃজনশীল লিখার চূড়ান্ত বিচার কার্য সম্পাদনে সম্মানিত বিচারক মণ্ডলী যারা ছিলেন : ০১. মাহবুব আলী। ০২. অ্যারেস শঙ্খবীর। ০৩. নাজমুল হুদা। ০৪. ইমেল নাঈম। ০৫. সীমান্ত প্রধান। ০৬. মুহাম্মাদ আমানুল্লাহ। ০৭. এমদাদুল হক তুহিন। আমরা আশা করবো বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অবশ্যই আপনারা উপস্থিত থাকবেন। আপনাদের জন্য থাকবে সম্মাননা স্মারক। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও শব্দতরী প্রকাশনা এই উৎসবে আপনি সবান্ধবে আমন্ত্রিত। সম্ভব হলে ফেসবুক আইকনে sc14 ক্লিক করে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

মৃত্তিকার মেঘলা ভ্রমণ :: কবি আবু মকসুদ

প্রকাশিত হলো বহুল আকাঙ্খিত মৃত্তিকার মেঘলা ভ্রমণ
লিখেছেন আমাদের সকলের প্রিয় কবি প্রিয় মুখ কবি আবু মকসুদ। কাব্যগ্রন্থের প্রায় প্রত্যেক কবিতা সিরিজ আকারে আমাদের এই শব্দনীড়েই প্রকাশিত হয়েছে। যার কারণে লিখাগুলোর উপর কবি’র যেমন মায়া রয়েছে তেমনি নিষ্ঠ পাঠক হিসেবে আমাদেরও রয়েছে ভিন্নমাত্রিক এক ভালোবাসা। আমরা অপেক্ষা করেছি অপূর্ব এই সৃজনী কাগজে কালো অক্ষরে প্রকাশিত হোক।

প্রবাসে যিনি খুঁজে ফিরেন দেশ এবং দেশের মাটি। শব্দনীড় এ তাঁর প্রোফাইলে আমরা পাই তারই স্বগোক্তি … কবিতার দিকে তাকিয়ে একদিন দেখেছিলাম সবটুকু টেমস নদীর জল। মনে হয়েছিল, এই জল মনু-খোয়াই-কুশিয়ারা-সুরমা বয়ে এসে যুক্ত হয়েছে এই অববাহিকায়। ঢেউগুলো বাঁক বদল করে। বদলে যায় কবিতাও। আমি আমার কবিতাগুলোতে চলমান সময়ের বিবর্তনকে পরখ করতে চেয়েছি, নিজের মতো করে। বলতে পারি তাতে কোন কার্পণ্য ছিল না।

অক্ষর সমুদ্রে ভেসে যেতে যেতে যে ভালোবাসা তৈরি হয়, সে ভালোবাসা মাটির প্রতি- মানুষের প্রতি। তা নতুন করে বলার কিছুই নাই। যে কথাটি বলতে পারি, পৌষ-মাঘে নদী চরে যে ঘাস জন্মায়, কিংবা দুফসলা জমিতে হয় যে ধানের আবাদ- দুই উত্থানই আনন্দ দেয় কৃষকের প্রাণে। আমার কবিতায় আমি কৃষক হয়েই জোয়াল কাঁধে নিতে চেয়েছি। থেকে যেতে চেয়েছি সময়ের সন্তান হয়েই।

নব্বই দশকের একজন উল্লেখযোগ্য প্রকৃতি কবি আবু মকসুদ। তিনি ‘মৃত্তিকার মেঘলা ভ্রমণ’ কাব্যগ্রন্থে এ রহস্যময় জগৎ নির্মাণ করেছেন খাঁটি আধুনিক কবির দৃষ্টিতে। কবিতা নির্মাণের যে গোপন সূত্র তিনি প্রয়োগ করেছেন তা আপাতদৃষ্টিতে অলঙ্কার বিহীন- উপমা-উৎপ্রেক্ষার ভারে আক্রান্ত নয়। মুক্ত গদ্যে রচিত এসব কবিতার মূল অবলম্বন অতি পরিচিতি শব্দরাশি আর কবির টুকরো টুকরো ভাবনা ও ভাবের চেয়ে ভাবনা প্রধান এসব কবিতা। পাঠ করলে বুঝা যায় যে ভাবনাও একজন কবির হাতে অনায়াসে একটা রহস্যময় জগতে পাঠককে নিয়ে যেতে পারে। পাঠককে অন্যরকম এক মুগ্ধতায় খামচে ধরে।

একজন কবি বলতে যা বুঝায় আবু মকসুদ তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তার এ গ্রন্থের কবিতাসমূহে আমি বা তুমির উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ব্যক্তি কবিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। রুচি ও ভাবনায় একজন পূর্ণাঙ্গ সচেতন আন্তর্জাতিক মানুষ বলেই এভাবে আমিত্বকে অনায়াসে দূরে রাখতে পেরেছেন মকসুদ। সন্দেহ নেই : এটি একজন কবির বড় সাফল্য, যা মকসুদ অর্জন করেছেন প্রজ্ঞাদীপ্ত মননশীলতার নিরলস চর্চার মধ্য দিয়ে। ফলে কবিতাগুলো হয়ে উঠেছে সব বোদ্ধাপাঠকের কবিতা। ভাবনার সঙ্গে ভাবনাকে নিপুন দর্জির মতো সেলাই দিয়ে মকসুদ চমৎকার এক শব্দের নকশীকাঁথা তৈরি করেছেন ‘মৃত্তিকার মেঘলা ভ্রমণ’ গ্রন্থে – যে গ্রন্থ চিরকালীন এক রহস্যের জাল বিস্তার করে যাবে প্রকৃত কাব্য পাঠকের মনে। – আসাদ মান্নান।

মৃত্তিকার মেঘলা ভ্রমণ :: আবু মকসুদ। প্রকাশক : কোরাস পাবলিশার্স
মূল্য : ৮০ টাকা। প্রাপ্তিস্থান : বহেরাতলায় চর্যাপদ এবং উতঙ্ক স্টল।

শব্দতরী, ব্লগারস ফোরাম, লিটলম্যাগ চত্ব্বর
স্টল নং ৩২ অমর একুশে বইমেলা ২০১৪।
ব্লগারস ফোরাম প্রকাশনা’র শব্দতরী ষ্টলে আপনারা সবান্ধবে আমন্ত্রিত। ধন্যবাদ।

“শব্দনীড় নবীন বরণ সংখ্যা ২০১৩” (পরিমার্জিত সংস্করণ )

প্রিয় শব্দনীড় এ প্রতিদিন নতুন নতুন ব্লগার ব্লগে নিবন্ধন করছেন এবং লিখা পোস্ট করছেন। দিনের পর দিন শব্দনীড় পরিবারের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের স্বপ্নগুলো আরো বড় হচ্ছে। আমরা যেন ক্রমাগত সাহসী হয়ে উঠছি। দিনদিন প্রতিদিন। শিখছি। পড়ছি। একে অপরকে জানছি।

ব্লগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। লিখা পাঠানোর প্রতিযোগিতা, আড্ডা, পরামর্শ। ব্লগারদের লিখা নিয়ে প্রকাশিত হয় ই-বুক বা ই-ম্যাগাজিন। যেখানে নতুন পুরোনো সকলের সম উচ্ছাসে উদ্ভাসিত হয় প্রযুক্তির আরো একটি দিক। ব্লগের লিখা পরের পাতায় চলে যায়। খুঁজে বের করতে হয়। সেখানে একটি ই-ম্যাগাজিন বুক শেলফে রাখা অলঙ্কারের মতো। উপহার দেবার মতো।

কলেজ জীবনের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের কথা কি মনে পড়ে? ভুলে যাবার কথা নয়।
শব্দনীড় এগিয়ে যাবে তার আপন গতিতে। কেননা যেখানে ব্লগাররাই ব্লগের প্রাণ।

… তো আসুন হয়ে যাক ব্লগীয় নবীনবরণ উৎসব

ই-ম্যাগাজিনঃ শব্দনীড় নবীনবরণ লিখা দিন। এমন একটি পোস্ট প্রকাশ করেছিলাম এই শিরোনাম এ। সময়টা ছিলো ৩১শে জানুয়ারী ২০১৩ইং। তারপর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হলো দেশে অস্থির একটি সময়। কোন কিছুই যেন এগুতে চাইলো না। অপেক্ষা করতে হলো অনেকটা সময়। অনেকেই জানতে চেয়েছেন কতদূর কি হলো। সদুত্তর করতে পারি নি। আমরা সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম নৈমিত্তিক সব কাজে। দায় ভারের একটা বেদনা বোধ নিয়ে বিষয়টি প্রায় ভুলেই যাচ্ছিলাম। ঠিক এই সময়ে শব্দনীড় সুহৃদ সকাল রয় এগিয়ে এলেন। বাড়িয়ে দিলেন হাত সহযোগিতার।

প্রাথমিক ভাবে সকাল রয় সম্পন্ন করলেন। কারিগরের প্রতিটি সৃষ্টি এক বৈঠকে কখনই পূর্ণতা পায় না। রয়ে যায় ত্রুটি। আরো পরিচ্ছন্ন করবার ইচ্ছে তাগিদ। সত্য স্রষ্টাকে বাঁধ ভাঙ্গা অপেক্ষা করতে হয় মানসম্মত কিছু উপহারের। অপেক্ষা করতে হয় দিনের পর দিন। এরই মাঝে এগিয়ে এলেন শব্দনীড় এর অহংকার সুমন আহমেদ। ব্যক্তিজীবনে অতিব্যস্ত এই মানুষটি অঙ্গ সৌষ্ঠবে ই-বুকটি’র ০১ থেকে ১২তম পাতা’র নতুন আঙ্গিক দেবার প্রয়োজনে। যথেষ্ট পরিশ্রম দিলেন ঈদ এবং তার পরের দিন। যেন সম্পূর্ণ হলো একটি মহা অধ্যায়। অতৃপ্তি থেকে তৃপ্তি।

এখন আমি বলতে পারি, যে চেতনা আর রুচি বোধের স্বপ্ন নিয়ে একটি নান্দনিক ই-বুক এর স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম; তার পূর্ণতা পেলো আজ। কাজের ক্ষেত্রে সমমনা মানুষের কতটা প্রয়োজন তা যিনি জানেন তিনি ই জানেন। সুমন আহমেদ বদলে ফেললেন ইন্টারফেস। অশেষ কৃতজ্ঞতা। এই একটি মানুষের ভিতর আমি দেখেছি এক আকাশ সম্ভাবনা। যিনি রূপ থেকে রূপান্তর করে ফেলেন নিমিষে। নান্দনিক সৃষ্টিতে যার জুড়ি মেলা ভার। তাঁর জন্য শব্দনীড় সম্মান।

পরিশেষে সফল হলো। তৈরী হলো এবং মুক্তি পেলো একটি ই-বুক। আমাদের স্বপ্ন এবং ভালোবাসার একটি সংখ্যা। শব্দনীড় নবীন বরণ সংখ্যা। আজ পবিত্র ঈদের দিন সংখ্যাটি প্রকাশ করতে পেরে আনন্দ অনুভব করছি। সংখ্যাটি তৈরীতে যারা সময় দিলেন তাঁদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ।

সংখ্যা সমন্বয়ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।
মূল পরিকল্পনা : মোক্তাদির রশিদ আদর।
প্রচ্ছদ পরিকল্পনা ও অলংকরণ : সুমন আহমেদ।
ই-বুক সহযোগিতা এবং পৃষ্ঠা অলংকরণ : সকাল রয়।

যাদের লিখা এ্যালবাম বন্দী করা হলো :

প্রশ্নহীন স্মার্টদের বলছি : শঙ্খবীর
আমরা এবং তোমাদের পরিবর্তন : শঙ্খবীর

প্রবাসের দিনলিপি : তির্যক নীল
স্মৃতির অসুখ : তির্যক নীল

দায়ী কি অভাব নাকি স্বভাব : নিঃশব্দ যাত্রী
মাধবীলতার সাথে কথোপকথন : ফিদা
আমার কবিতা ভাবনা-২ : ফিদা
৪৮ : ফিদা

সীমা লঙ্ঘন : সেলিনা ইসলাম
শহর : তায়েবুল জিসান
প্রহরী : তায়েবুল জিসান

আমরা কি অপরাজনীতির কাছে হেরেই গেলাম : সাঈদ মোহাম্মদ ভাই
শ্বেত ময়ূরী প্রণরেনী : সাঈদ মোহাম্মদ ভাই
প্রবুদ্ধ সভ্যতা : সাঈদ মোহাম্মদ ভাই

কবি ও কবিতা : প্রলয় সাহা
মুখোমুখি : প্রলয় সাহা

উড়ো খবর : বনফুল
যমুনার পাশে : আলমগীর সরকার
দীঘির জলে পদ্মফুল : আলমগীর সরকার

মনে করিয়ে দেব : মোহাম্মদ আনু
আমরা কেবলি কবিতা খুঁজি : মেঘবালিকা
যুদ্ধজয়ী : মেঘবালিকা
সেই ফিঙ্গে পাখিটা : রাফি নিয়াজ

একদিন আমি : অজরখেচর
বাড়ি ফেরা : অজরখেচর
ভয় : অজরখেচর
ভালোবাসা কি জানে : নাহিদ ধ্রুব
ভালোবাসার দরদাম : আনু আনোয়ার
চুপচাপ : আনু আনোয়ার
মেঘের উপর বাড়ি-ফটোব্লগ : কামাল উদ্দিন

অন্ধকার সরণী ধরে শেষ হবে এ পথচলা : কায়েস সামী
অজানা প্রেমের বুক ফাটা কান্না : এম.এ. বাসেত
পুরোনা কান্নার জল আর একটি ডায়েরি : মুক্তিযোদ্ধা-১৩
মিথীলা ২ : আরাফ করিম
লিফটের সেই মেয়েটি : মিসবাহ মনজুর

অন্দরমহল : নৈসর্গিক নোমান
অচেনা বিছানায় চুরি সম্মান বা এই আমরা : মেংগো পিপোল
কয়েকজন নিশাচর মানুষের গল্প : বৈশাখী ঝড়
ঘটনাবিহনি একরাত্রি : কে এম রাকিব

নীরব যন্ত্রণা : সেলিনা ইসলাম
বৃষ্টিগ্রস্ত : সুপণ শাহরিয়ার
আমার প্রিয় জবার মতো মেয়ে : সীমান্ত প্রধান
দুর্বোধ্য সময়ে ওপারে : ছিন্নপত্র
ভুল : আযাহা সুলতান

মা এবং অনুভূতি : জেসমিন
অবনীর দুঃখ : রাজিব সরকার
দ্বিতীয় জীবন : অকৃতি শাপলা
সেমুলী : আমির হোসেন
ইচ্ছা পূরণের গল্প : সোহেল মাহামুদ
বনভোজন : ঘাসফুল

শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন যারা : হরবোলা। রেজওয়ান তানিম। আমিন আহম্মদ। ফরিদুল আলম সুমন। ছন্দ হিন্দোল। দোয়েল। সকাল রয়। মুরুব্বী।

তালিকায় কারো নাম বাদ পড়লে পুনরায় সংশোধন করা যাবে। লিখক পাঠক এবং সম্মানিত সংগ্রাহক সবাইকে জানাচ্ছি প্রীতি এবং শুভেচ্ছা। শুভ ব্লগিং।

১১৬ পৃষ্ঠার ফাইল সাইজ : ৮.৫৯ মেগাবাইট। ডাউনলোড করুন লিঙ্ক থেকে।

শব্দনীড় নবীন বরণ সংখ্যা ২০১৩।

পোস্ট দাতার ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

ফকির আবদুল মালেক এর ‘আপন সত্তার গৃহস্থালি’র মোড়ক উন্মোচন করলেন … কবি মহাদেব সাহা … ছবি ব্লগ

ব্লগারস ফোরাম প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত কবিতার বই আপন সত্তার গৃহস্থালি। কবি ফকির আবদুল মালেক এর চার ডজন কবিতা নিয়ে বইটির প্রচ্ছদ করেছেন কবি নিজেই। আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করলেন কবি মহাদেব সাহা।

আপন সত্তার গৃহস্থালি
ফকির আবদুল মালেক
কাব্যগ্রন্থ
প্রকাশক: ব্লগারস ফোরাম

পাওয়া যাচ্ছে যথারীতি আপনার পরিচিত ঠিকানায় –

শব্দতরী
ব্লগারস ফোরাম
স্টল নং ৩২
লিটিল ম্যাগ কর্ণার
রোকেয়া চত্বর
একুশে বইমেলা ২০১৩।

বেশী বেশী বই পড়ুন।
অন্যকেও বই পড়তে কিংবা কিনতে উৎসাহিত করুন।
সকল লেখক পাঠকদের জন্য রইলো মহান একুশের শুভেচ্ছা।

ব্লগারস ফোরাম প্রকাশনায় আরো বেশ কিছু বইয়ের সন্ধান পাবেন এখানে –
ব্লগারস ফোরাম প্রকাশনা: আজ ‘আপন সত্তার গৃহস্থালি’ এবং ‘তোমাকে’ … মোড়ক উন্মোচন করবেন কবি মহাদেব সাহা।
এবং একুশে বইমেলা ২০১৩: শব্দতরী স্টলে আপনি আমন্ত্রিত।

grh01

grh02

grh03

grh04

grh05

grh06

grh07

grh08

grh09

ব্লগারস ফোরাম প্রকাশনা সকলের একাগ্র মমতা এবং আন্তরিক ভালোবাসায় এগিয়ে যাক। আগামীতে দেখা হবে আরো নতুন প্রকাশনা নিয়ে। ধন্যবাদ।

ব্লগারস ফোরাম প্রকাশনা: আজ ‘আপন সত্তার গৃহস্থালি’ এবং ‘তোমাকে’ … মোড়ক উন্মোচন করবেন কবি মহাদেব সাহা

apon-sottargrehosthali

ব্লগারস ফোরাম প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত কবিতার বই আপন সত্তার গৃহস্থালি। কবি ফকির আব্দুল মালেক এর চার ডজন কবিতা নিয়ে বইটির প্রচ্ছদ করেছেন কবি নিজেই। প্রচ্ছদ দেখে বোঝা যায় ভিতরের উপাদান যথেষ্ট ভারীই হবে। হালকা চালের না। ভিতরের প্রবেশ করেও নিরাশ হতে হবে না পাঠককে। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে মার্কিন কবি ওয়াল্ট হুইটম্যানকে। ভূমিকায় কবি লিখেছেন কাব্য চর্চায় তিনি হুইটম্যানের শিষ্যত্ব গ্রহন করেছেন। প্রতিটি লিখায় তিনি হু্ইটম্যান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখেছেন। কখনো করেছেন অনুসরন কখনো বা অনুকরণ। হুইটম্যানকে অনুসরন অনুকরণ কিম্বা অনুপ্রাণিত হওয়া নতুন না কবিদের জন্য। আমাদের নজরুলও তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তার অগ্রপথিক তো সরাসরি হুইটম্যানের অনুবাদ বলেই সমালোচকরা দাবী করেছিলেন।

হুইটম্যানের –
From Nebraska, from Arkansas,
Central inland race are we, from Missouri with
the continental blood interven’d,
All the hands of comrades clasping, all the
Southern, all the Northern,
Pioneers! O pioneers!

আর কবি নজরুলের –
আয়ারল্যান্ড, আরব, মিসর, কোরিয়া, চীন,
নরওয়ে, স্পেন, রাশিয়া_ সবার ধারি গো ঋণ।
সবার রক্তে মোদের লোহুর আভাস পাই,
এক বেদনার ‘কমরেড’ ভাই মোরা সবাই।
সকল দেশের মোরা সকল।
রে চির-যাত্রী পথিক দল,
জোর্ কদম্ চল্ রে চল।

এমন কি নজরুলের ‘বিদ্রোহী’কে ওয়াল্ট হুইটম্যানের ‘সং অব মাইসেলফ’ কবিতার সাথে সমালোচকরা মিলিয়ে ফেলেছিলেন। যদিও এসব অনুবাদ অনুকরণ অনুসরন নিয়ে বিস্তর বির্তক আছে তাই আমরা বরং সরল স্বীকারোক্তি কারী ফকির আব্দুল মালেক এর আপন সত্তার গৃহস্থালী’র কাছেই ফিরে যায়। আপন সত্তার গৃহস্থালী শুরু হয়েছে বিস্ময়ের এমনি অবয়ব কবিতা দিয়ে।

“বিস্ময়ের এমনই অবয়ব! এমনি দৃশ্যায়ন, এমনি শব্দরাজী!
এমনি অন্তহীন সংযোগ, প্রত্যেকে পরের সাথে যুক্ত
প্রত্যেকে সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির,
প্রত্যেকে পৃথিবীকে ভাগ করে নেয়ং সকলের সাথে।”

আপন সত্তার গৃহস্থালি
ফকির আব্দুল মালেক
কাব্যগ্রন্থ
প্রকাশক: ব্লগারস ফোরাম

apon-sottargrehosthali 02

কবি সেলিমা রহমান এর কবিতা নিয়ে অসাধাণ মানের একটি কাব্যগ্রন্থ। পাঠক মাত্রই ভালো লাগবে। বইটি প্রকাশ করেছে ব্লগারস ফোরাম। দৃষ্টি নন্দন প্রচ্ছদ এঁকেছেন প্রতিভাবান প্রচ্ছদ শিল্পী সুমন আহমেদ

তোমাকে
সেলিমা রহমান
কাব্যগ্রন্থ
প্রচ্ছদ: সুমন আহমেদ
প্রকাশক: ব্লগারস ফোরাম
দাম -১৫০ টাকা।

মোড়ক উন্মোচন করবেন কবি মহাদেব সাহা।
আজ বিকেল ৫টায়।

Line_zpsb0385eef

উন্মোচনের পরপরই পাওয়া যাবে যথারীতি আপনার পরিচিত ঠিকানায় –

শব্দতরী
ব্লগারস ফোরাম
স্টল নং ৩২
লিটিল ম্যাগ কর্ণার
রোকেয়া চত্বর
একুশে বইমেলা ২০১৩।

বেশী বেশী বই পড়ুন।
অন্যকেও বই পড়তে কিংবা কিনতে উৎসাহিত করুন।
সকল লেখক পাঠকদের জন্য রইলো মহান একুশের শুভেচ্ছা।

ব্লগারস ফোরাম প্রকাশনায় আরো বেশ কিছু বইয়ের সন্ধান পাবেন এখানে –
ক্লিক করুন লিঙ্কে – একুশে বইমেলা ২০১৩: শব্দতরী স্টলে আপনি আমন্ত্রিত।

ব্লগারস ফোরাম প্রকাশনায় সেলিমা রহমান এর ‘তোমাকে’

tomake

কবি সেলিমা রহমান এর কবিতা নিয়ে অসাধাণ মানের একটি কাব্যগ্রন্থ। পাঠক মাত্রই ভালো লাগবে। বইটি প্রকাশ করেছে ব্লগারস ফোরাম। দৃষ্টি নন্দন প্রচ্ছদ এঁকেছেন প্রতিভাবান প্রচ্ছদ শিল্পী সুমন আহমেদ। যার একের পর এক প্রচ্ছদ ইতিমধ্যেই সৃষ্টিশীল পাঠক তথা লিখক সমাজে ভিন্নধর্মী স্বকীয় মর্যাদায় স্থান করে নিয়েছে। মুগ্ধতায় ছেঁয়ে যায় মন। সৃষ্টি শিল্পে তাঁর রং তুলি কথা বলুক অবিরাম।

আসুন প্রাণের মেলায় ব্লগারস ফোরাম এর “শব্দতরী” স্টলে। পরিচিত হন নতুন বই এর সাথে। বিকাল থেকে সন্ধ্যা রাত্রি চলুক সহ ব্লগারদের সাথে পরিচিতি এবং জম্পেস আড্ডা। খোলামেলা আলাপে জমে উঠুক ব্লগ কিংবা ব্লগিং থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবন। সামান্য বিশ্রাম। হাতে থাক ধূমায়িত চা অথবা কফি।

তোমাকে
সেলিমা রহমান
কাব্যগ্রন্থ
প্রচ্ছদ: সুমন আহমেদ
প্রকাশক: ব্লগারস ফোরাম
দাম -১৫০ টাকা।

পাওয়া যাবে যথারীতি আপনার পরিচিত ঠিকানায় –

শব্দতরী
ব্লগারস ফোরাম
স্টল নং ৩২
লিটিল ম্যাগ কর্ণার
রোকেয়া চত্বর
একুশে বইমেলা ২০১৩।

বেশী বেশী বই পড়ুন।
অন্যকেও বই পড়তে কিংবা কিনতে উৎসাহিত করুন।
সকল লেখক পাঠকদের জন্য রইলো মহান একুশের শুভেচ্ছা।

ব্লগারস ফোরাম প্রকাশনায় আরো বেশ কিছু বইয়ের সন্ধান পাবেন এখানে –
ক্লিক করুন লিঙ্কে – একুশে বইমেলা ২০১৩: শব্দতরী স্টলে আপনি আমন্ত্রিত।

tomake01a