www.youtube.com/watch?v=dkk0C4_8EbU&feature=youtu.be
সুর, কন্ঠ এবং যন্ত্রঃ শতদল হালদার, দিগরাজ, বাগেরহাট।
বিভাগের আর্কাইভঃ সঙ্গীত
আধুনিক গান :: আমি মোমের আলো’কে চন্দ্র জেনে
আধুনিক গান :: আমি মোমের আলো’কে চন্দ্র জেনে
আমি মোমের আলো’কে চন্দ্র জেনে তারার বাসর সাজাই
সকল দু’খের সাক্ষী থেকে এই, গানগুলো লিখে যাই।।
১। বিন্দু মেঘের মোহনা থেকে
পথ খুঁজে আনি আমি-
তবুও তোমাকে হয় না তো বুঝা
আড়ালেই থাকো তুমি
মেঘ সরে যায়, সূর্য জাগে না ঢেউয়ের বীণা বাজাই।।
২। রাখবে না কেউ লিখে এই নাম
খাতার জীর্ণ কোণে
তবুও তো করি শব্দসাধনা
দাঁড়িয়ে নিগুঢ় বনে
জানি একদিন একাই যাবো, হাওয়ার ডিঙা ভাসাই।।
হৈ হল্লার বান
কি বাহনে চলছে দেহ- বুঝে না অন্তমহ
আমি দেখি -আমি বুঝি ! কেউ তা দেখে না –
বুঝে না -আফসোস শুধু স্পর্শকাতর ছুঁই না-
কেনো না আপনাগতিতে নদী আর নদী;
ভাব তরঙ্গে বয়ে যায় কত না রঙ ছবি।
তবুও তারা সত্যিকারে নদী হয়েছে সংসারে
সংসেজে ভাঙ্গছে কত কুল কিনারে
অভাব অভাব চারিধারে নেই যেনো সু-হার্দ !
-তবে এরাই তো নদীর গর্ভ বেঁধেছে সান-
পূর্ণজন্মে ডেকে আনে হৈ হল্লার বান।
২৩-০৫-১৮
———-
রবীন্দ্রনাথের গান: কখন ‘জাগে’, কখন ‘জাগে’ না
রবীন্দ্রনাথের গান: কখন ‘জাগে’, কখন ‘জাগে’ না
এক
কিশোরকালে যখন বলপূর্বক রবীন্দ্রনাথ শোনানো শুরু হয়, তিন টুকরো করে কেটেছিলাম ওই সংগীতকেক। প্রথম ভাগে গেয়ে গেয়ে পচে ওঠা, গেয়ে গেয়ে গভীরতা খুইয়ে শিশুদের দখলে চলে যাওয়া গানগুলো। যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তাহলে যা হবে আর কি। তার পেছনে ওঠানামার বিদ্যুতহীন একঘেয়ে অনেক দিয়েছ নাথ ধর্মসংগীত। আর শেষ ছোট অংশটা আনকোরা চমকলাগা। কোনও কোনও গোধূলিতে রবি ঠাকুর তুমি সন্ধ্যার মেঘমালার আড়াল থেকে বেশ আধুনিক এক্সাইটিং ব্যাপার-স্যাপার পাঠিয়ে দিতে!
পয়লা আর দোসরা গুচ্ছের গানগুলো গলায় তুলতে ইচ্ছেই করতো না। মা উচ্ছেভাজা দিলে যেমন ভাতের ঢিবিতে লুকিয়ে রেখে “খেলাম তো”, গুরুজিও টের পেতেন আমি কী জিনিস গুরু!
আসলে, গান শেখার জন্যে যতটা বড় হতে হয়, গান শোনার জন্যে অপেক্ষা করতে হয় অনেক বেশি। মানে দাঁড়াল, গাইয়ে বাচ্চেলোগ আর শুনিয়ে সিনিয়ার সিটিজেন। তাই ভালো গায়ক তুমি পাবে, তৈরি শ্রোতা পাবে না।
এর চেয়েও গভীর উপভোগের একটা সাম্রাজ্য আছে। সেখানে গায়ক আর শ্রোতা দুই মিলেই পরিপূর্ণ সংগীতসত্তা। তাই যে গাইতে নাচার, সে পুরোপুরি শুনতেও শেখেনি; এবং পালটা সরগমও সত্যি।
দুই
এবার শ্রোতার যত বোঝার বয়েস বাড়ে, সে তার গায়কসত্তাকে কাজে লাগিয়ে টের পায় হাজার-লক্ষবার গলাদলিত গানগুলোর শরীরে এখনও বহু বহু এরোজেনাস জোন, কেউ ছুঁয়েই দ্যাখেনি!
পঞ্চাশ বয়েসের গ্রীষ্মসন্ধেবেলা এমনি কচুকাটা এক রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে মেঝেয় বাবু হয়ে বসুন দেখি, সামনে সুমনকে ডিফাই ক’রে খাতার পাতা উড়ছে, বাঁহাত হারমোনিয়ামের ওপর ছড়ানো — আস্তে আস্তে সেই গান প্রেমিকা থেকে বউ হওয়ার মতো কোল ঘেঁষে বসবে আপনার।
শ্রোতা সব সময়ই অন্য গায়কের চশমা কিছুটা প’রে থাকে, নিজের পাওয়ার-এর সঙ্গে পুরো ম্যাচ করুক চাই না করুক। কিন্তু শুনিয়েবাবু, আপনি গাইয়েবাবা হয়ে এখন নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছেন তো গানটার কাঁধের গোলাপি তিল, পায়ের বুড়ো আঙুলের বাঁক, কনুইয়ের কালো দাগও — যেসব এতদিনের চেনাশোনা সত্ত্বেও কোনও সাগর সেন জর্জ বিশ্বাস আপনার কানে তোলেনি?
আরও একভাবে এই ক্লিশে হয়ে ওঠা গানগুলোর পুনরুজ্জীবন হয়। ভারতীয় সংগীত তো মেলোডিনির্ভর, নির্দিষ্ট অক্টেভের ওপর দাঁড়ানো। রাগ-রাগিনীতে আবার বারো থেকে বেছে মাত্র পাঁচ-সাত স্বর নিয়ে কারুকার্য। কাজেই একটা লুপ তৈরিই থাকে সুরের কাঠামোয় আর গায়কদের স্টেজে বসেই তাই শ’য়ে শ’য়ে হাতে-গরম সরগম সাপ্লাই দেওয়া সম্ভব হয়!
লুপ বলতে আবর্তন। শুধু রাগসংগীত নয়, যে-কোনও ঠিকঠাক গানেই সুরের চলনকে মন দিয়ে অনুসরণ করলে তার প্যাটার্ন আবিষ্কার করা যাবে। চোখে দ্যাখা যাবে সুরের গোটা মানচিত্রের মধ্যে কীভাবে গানটা বসানো। এর সঙ্গে কথার অর্থ মিলিয়ে নিলে গায়কির অর্ধেক গড়ে উঠল। বাকি অর্ধেকটা গাইয়ের গলা, উচ্চারণের ঢং এইসব নানাখানা দিয়ে তৈরি।
লুপ মানে অন্তঃস্পন্দন, রবীন্দ্রগানের চার স্তবককে জুড়ে দিচ্ছে আত্মীয়তায়, ফুলের ভেতর দিয়ে সুতো গিয়ে যেমন মালার জন্ম। কাজেই যতই বহুশ্রুত হোক সেই সংগীত, তার সুরের দোলনকে এই লুপ-চেনা-আলোয় নতুন ক’রে পাওয়া যাবে। আরও আকর্ষণীয় বিষয় হল, আবর্তনে সাড়া দেওয়ার ধরণ প্রত্যেক গায়কের বেলায় হবে আলাদা, তার নিজের স্বভাব অনুযায়ী।
গানকে নিঃশেষ করে গাওয়া চাই — রাতভ’র বৃষ্টির পরে দেহ যেমন; পলকা, ধবল, কাগজের মতো। হাফ নোট, সিকি নোট, মিড়, পাশাপাশি দুমাত্রাকে দেড় আর আধা-তে ভাগাভাগি — যে-কোনও গানের মতোই রবীন্দ্রসংগীতের প্রত্যেক সুরবৈশিষ্ট্যকে সাবাড় ক’রে গাইতে হবে — যেভাবে আপনি স্ট্র ডুবিয়ে ডাবের চূড়ান্ত জল টেনে নেন।
(আর এতটাই বাকি)
খবর দিও হঠাৎ কান্না পেলে
দুঃখ তোমার কেড়ে নিতে চায় যত,
এমন একটা নাছোড়বান্দা ছেলে।
দুঃখ তোমার কেড়ে নিতে চায় যত,
এমন একটা নাছোড়বান্দা ছেলে।
সুখের দিনে নাই বা পেলে পাশে,
খবর দিও হঠাৎ কান্না পেলে।
দুঃখ তোমার কেড়ে নিতে চায় যত,
এমন একটা নাছোড়বান্দা ছেলে।
সুখের দিনে নাই বা পেলে পাশে,
খবর দিও হঠাৎ কান্না পেলে।
তোমার খবর ভুল ঠিকানায় চিঠি,
তোমার খবর গেরোস্থালির গান,
কেমন আছো? আগেও যেমন ছিলে?
বৃষ্টি ভেজা এক জীবনের স্নান।
এক জীবনের বৃষ্টি দিয়ে তুমি,
সারাজীবন ভিজিয়ে দিয়ে গেলে,
একজীবনের বৃষ্টি দিয়ে তুমি,
সারাজীবন ভিজিয়ে দিয়ে গেলে।
মেঘলা দিনে নাই বা পেলে পাশে,
খবর দিও হঠাৎ কান্না পেলে।
হাতের পাতায় ভুলের বসত বাটী,
দূরের তারায় আকাশ ধোয়া জল,
বেঁচে থাকার এই টুকুই সম্বল।
হয়তো আমি ধূসর কোনো আলো,
অনাদরে ভাসিয়ে দিয়ে গেলে।
হয়তো আমি ধূসর কোনো আলো,
অনাদরে ভাসিয়ে দিয়ে গেলে।
মেঘলা দিনে নাই বা পেলে পাশে,
খবর দিও হঠাৎ কান্না পেলে।
মেঘলা দিনে নাই বা পেলে পাশে,
খবর দিও হঠাৎ কান্না পেলে।
শিলীঃজয় সরকার
আধুনিক গান :: এ জীবন শূন্য রেখে
আধুনিক গান :: এ জীবন শূন্য রেখে
এ জীবন শূন্য রেখে, চলে যদি যেতেই হবে
মরণছবি বুকে নিয়ে, কেন তুমি কাঁদবে তবে।।
১। লিখে রেখেছি জলের রূপকে পৃথিবীর আদি নাম
এবং এঁকেছি ঘন সবুজে জীবনের পরিণাম
তুমিও তো জানো,
এপিটাফে শুধু পাতাগুলো পড়ে র’বে।।
২। কেউ জানবে না আমাদের দিকে চেয়েছিল একা চাঁদ
প্রশ্বাস ঘিরে স্বপ্নপাখিরা, করেছিল চাষাবাদ
আলোর স্মৃতিও ক্রমে মুছে যায়
বাতিটুকু গেলে নিভে।।
খুব রেগে গেলে বুঝি
খুব রেগে গেলে বুঝি
আমি তোমার মন খুঁজি
হাতড়াতে হাতড়াতে পেয়ে যাব একদিন
এখন অনেক রাত আর রাগ করোনা
ঘুমাও সোনা
স্বপ্নে আসুক আলাদীন
আমি বিপর্যস্ত এক ভেতো প্রেমিকের আদল
মাসকাবারি বলতে পারো
বলতে পারো ঠোঙা
ছুঁড়ে ফেলে দাও ফুটপাতের কোণে কোণে
এখন ঘুমাও
দরকার ঘুমোনোর সোনা
ঘুমের ঔষধ খেওনা
ওটা আর কত খাবে
কপালে তোমার হাত রাখবো
ঘুম এসে যাবে
আমি বড্ড সাধারণ তোমার তুলনায়
তবু ভালোবাসি খুব তোমায় এভাবে
এইবার চোখ বুজো
আর কেঁদোনা তুমি
চোখ ফুলে যাবে কাল শুরু দিন প্রতিদিন
কাল বেরোতে হবে
আবার সব শুরু হবে
ঘুমাও সোনা
স্বপ্নে আসুক আলাদীন
প্লিজ এইবার চোখ বুজো
আর কেঁদোনা তুমি
চোখ ফুলে যাবে কাল সকালে দিন প্রতিদিন
কাল বেরোতে হবে
আবার সব শুরু হবে
ঘুমাও সোনা
স্বপ্নে আসুক আলাদীন
শিল্পীঃ রুপঙ্করবাগচী
কেন যাও জলের কাছে
প্রিয় গান …
কেন যাও জলের কাছে –
কেন যাও জলের কাছে, কেন জল এ মন টানে
ভেসেযায়, কাকে চায়, নদী কী তার অর্থ জানে?
যেতে দাও যাচ্ছে যে সে যাবার আগে,
দেখে যাক কী লেখা এইজলের দাগে।
লেখা হায়, মুছে যায়, তুমি কি তা রাখবে মনে?
জানি জল কূল ভেঙে যায় গভীর রাতে
জানি জল বুক পেতে দেয় অপেক্ষাতে।
বলে আয়, ডেকে যায়, তুমি কি তাই ভাবছ গানে?
রূপঙ্কর বাগচী
গান ০১
গান (ইচ্ছে হলো তাই চেষ্টা করলাম)
********************************
দিনে সাজাও রাতে ভাঙো
নিত্য মনের ঘর
কোথায় গেলে পাবো আমি
বিধি সাজানো সংসার।।
হৃদয় ভেঙে বৃষ্টি ঝরাও
ভাসাও দুই নয়ন
আকাশ ভেঙে তুমি আবার
সাজাও এ জীবন
তপ্ত বাওয়ে শীতল হাওয়ায়
ক্যানো তোলো ঝড়।।
জল দিয়ে জ্বালাও অনল
পোড়ে না এ মন
ভুলতে গিয়ে তোমায় আমি
ভুলি আপন জন
বিধি কোনসে জলে ভাসাও সাগর
ডোবে না মনচর।।
শয়নে ভাবি জাগ্রত ছবি
ভাঙরে ভুলো মন
হারালে সময় পাবি না খুঁজে
বলে রুদ্র আমিন।
একটি আধুনিক গান
একটি আধুনিক গান
তোমাকে জানার শেষ হ’লেই নদীতে চেয়ে দেখি
একটি ঢেউ হারিয়ে গিয়েছে, লুকিয়েছে প্রিয় পাখি ॥
* ঢেউয়ের রাজ্যে আমরাও ছিলাম
ভাসমান ছবি হয়ে
আকাশ দেখেছে-পাতারা দেখেছে
আরেকটু কাছে নুয়ে
শ্বাসের ভেতরে শ্বাস মিশে গেছে শুধুই তো একাকী।।
* কবিতার মতো ঝড়ের মেয়েরা
সেরেছে আলাপন
জানতে চেয়েছে আর কত বাকী
মিলনের দিনক্ষণ
আমি তো জানি বিরহের পাশেই আলো দেয় জোনাকি।।
আধুনিক গান ♦ তোমাকে জোসনা ভেবে
আধুনিক গান ♦ তোমাকে জোসনা ভেবে
তোমাকে জোসনা ভেবে রাতকে কাছে আসতে বলি,
জোনাকস্মৃতি খুঁজতে গিয়ে, আমি আমায় হারিয়ে ফেলি।।
* অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে,
কাগজ থেকে শব্দগুলো
হারিয়েছে মেঘ, ছায়ালতা
হাওয়ায় ঘেরা গোলাপ ফুলও
কেউ কি ভাবে এখানে এক পাহাড় ছিল…
একটি পাখি দেখতো শুধু চক্ষু মেলি।।
* আমার এখন অনেক কিছুই
হয় না দেখা
প্রভাতফেরির দীর্ঘ কোনো ছবি আঁকা
কিংবা কদম- হিজল তলে বসে থাকা
বিকেল’টা কে নতুন কোনো উৎস ভেবে…
রাতের দিকেই এগিয়ে যেতে পথ চলি।।
আধুনিক গান ♠ আমার নামটি
আধুনিক গান ♠ আমার নামটি
আমার নামটি থেকেই যাবে তোমার সূচনারেখায়
চাইলেও তা মুছা তো যাবে না, সড়কের আঁকাবাঁকায়।।
* হেঁটে যায় পথ, হাঁটে না তো স্মৃতি
থমকে থাকে কাল,
আমি তো খুঁজেছি পাতার সবুজে
শব্দের ছায়াসকাল,
জল জাগানিয়া ঢেউগুলো যেমন
কূলকে ভাসিয়ে যায়।।
* ভাসতে ভাসতেই দেশান্তরির
মায়াদাগ বুকে নিয়ে
ভোরের জ্যোতিকে সাক্ষী রেখে
সকল প্রেম সাজিয়ে
এখনও তো আছি বুদ হয়ে
এই জীবনের পানশালায়।।
আধুনিক গান ♦ বৃষ্টিকে তুমি
আধুনিক গান ♦ বৃষ্টিকে তুমি
বৃষ্টিকে তুমি কাছে ডাক, আমাকে কেন ডাক না
তোমার চোখের কাজল দিয়ে, আমার ছবি তো আঁক না
* বৃষ্টির মতো আমিও দেখ, শিখে নিয়েছি কাঁদতে
তোমার চুলের নীল ফিতা দিয়ে, লালগোলাপটি বাঁধতে
ঝড়ের নদীতে নৌকো ভাসিয়ে,
খুঁজছি স্মৃতির মোহনা।।
* উজানের আলো আমাকে দিয়েছে কত ভাবনার জল
ভাটির আঁধারে সাঁতার কেটেছি, খুঁজে যে প্রেমানল
তবু কেন তুমি আমার আরতি
সাদরে গ্রহণ করো না।।
সাহিত্য আড্ডা-৩
যেতে যেতে পথে হল দেরী
সাহিত্য আড্ডা‘র প্রথম দুইটা পোষ্টে এমন সাড়া পাবো এটা আমি কখনো ভাবিনি। নাম যদিও সাহিত্য আড্ডা কিন্তু এখানে আমরা ততোটা সাহিত্য বিষয়ক গুরুগম্ভীর আলোচনা করছি না। অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে সাহিত্য আড্ডা নামকরন কি ঠিক হল ? আসলে আমার মনে হয় আমাদের সম্পূর্ণ জীবনটাই সাহিত্য । জীবনের সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয়ই সাহিত্যের উপকরন। শব্দনীড়ে তো সবাই অনেক গুরুগম্ভীর লেখা প্রকাশ করেন । কিন্তু মন্তব্যের ঘরে দেখি আড্ডাটা ঠিক জমে উঠছে না । কবিতা পড়তে পড়তে যখন মাথা ঝিম ধরে যায় তখন এই আড্ডায় যদি আমরা একটু প্রিয় কিছু গান শুনে নেই তবে কেমন হয় ? অথবা কবিতা আবৃত্তি ? অথবা যে কোন কিছু ? যে কোন কিছু, যা আমাদের নিজস্ব সাহিত্য রচনা নয় কিন্তু আমরা পড়তে বা শুনতে ভালোবাসি ?
তবে আপনারা চাইলে আমরা এখানে মৌলিক বাংলা সাহিত্য নিয়ে গঠনমূলক, বস্তুনিষ্ঠ ও বিশ্লেষণধর্মী আলোচনাও করতে পারি । সাহিত্য আড্ডা নামটা ঠিক রেখে এর ক্রম অনুসারে আপনিও আপনার মত করে আড্ডার আহ্বান জানাতে পারেন । অথবা আপনার মত করে অন্য কোন শিরনামে। অন্যের আড্ডায় সাড়া দিতে পারেন মন্তব্য করে। আর যদি এর কোনটাই আপনার ভালো না লাগে তবে শুধু দেখে যান, পড়ে যান, শুনে যান । তবুও সাথে থাকুন।
আমার বিশ্বাস এক সময় আপনারও ভালো লাগবে । লাগুক না ! একটু ভালো লাগলে দোষ কি ? ক্ষতি তো নাই তাতে কোন !
আপনাদের জন্য আমার আজকের নিবেদন সন্দীপন-এর কণ্ঠে বর্ষা দিনের গান যেতে যেতে পথে হল দেরী
www.youtube.com/watch?v=99awnc0IgfQ
যেতে যেতে পথে হল দেরী
তাইতো পারিনি যেতে পারিনি
যেতে পারিনি -যেতে পারিনি
ভুল বুঝে তুমি চলে গেছ দূরে
ক্ষমা পাব আশা ছাড়িনি
আশা ছাড়িনি
আশা ছাড়িনি -আশা ছাড়িনি
যেতে যেতে পথে হল দেরী
তাইতো
আকাশ ভেঙে তখন
বৃষ্টি নেমেছিল
পায়ে যে পথ থেমে ছিল
থেমে ছিল -থেমে ছিল
আমি গিয়ে দেখি তুমি নেই একী
হার মেনে তবু হারিনি
হারিনি
যেতে যেতে পথে হল দেরী
তাইতো পারিনি যেতে পারিনি
যেতে পারিনি -যেতে পারিনি
যেতে যেতে পথে হল দেরী
তাইতো
চলে যে গেছ তুমি
আসিনি আমি দেখে
দাড়িয়ে থেকে থেকে ওগো
চলে গেছ -চলে গেছ
বুকে কাঁটা লয়ে
ব্যথা তবু সয়ে
মুখ থেকে হাসি করিনি করিনি
যেতে যেতে পথে হল দেরী
তাইতো পারিনি যেতে পারিনি
যেতে পারিনি -যেতে পারিনি
যেতে যেতে পথে হল দেরী
তাইতো
বাউল গান: প্রেম যাচিলাম দ্বারে দ্বারে
বাউল গান: প্রেম যাচিলাম দ্বারে দ্বারে
প্রেম যাচিলাম দ্বারে দ্বারে , খরিদ কেউ করলো না গো সখি
দুঃখ গেলো না।
মনের মতো মানুষ গো সখি ভবে পাইলাম না।।
১
যারে ভাবলাম আপন বলে
প্রাণ সঁপিলাম চরণতলে
সে করলো ছলনা ……
সরলে মিশাইলো গরল, আর ফিরে চাইলো না।।
২
দস্তা তামা আর পিতল
দেখতে একই প্রকার সকল
ভেবে দেখলাম না…..
পিতলকেই করিলাম বরণ, জানিয়া আকবরী সোনা।।
৩
জগতে রহিল খুঁটা ,
হইলাম সমাজে কুলটা
সইতে পারি না…….
বাঁকা চোখে সবাই তাকায়, প্রেমের দাম দিলো না।।
৪
মন মানুষের অন্বেষণে
ফকির ইলিয়াস ঘুরছে বনে
হইয়া ফানা……
পাইলে বন্ধু প্রেম সঁপিব, মানিব না কোনো মানা।।
_______________________
(বাউলের আর্তনাদ – গান নম্বর : ৩৪)