বিভাগের আর্কাইভঃ আড্ডা

শব্দনীড় রঙ্গমঞ্চ-আমাদের এইসব দিনরাত্রি-৭ (এপার ওপার)

195347ID - Copy

মুখে বলিঃ গেলুম, খেলুম, এলুম, দেখলুম, গেলাম, আসলাম, খাইলাম, দেখলাম
খাইঃ ইলিশ মাছ, পুই ডাটা, চিংড়ী মাছের মালাই কারি, টেংড়া পুটি আর পাবদা মাছের ঝোল, খিচুরি আর ডিমভাজি
পরিধান করিঃ ধুতি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, শারি-ব্লাউজ
বই পড়িঃ সমরেশ, নিমাই, মানিক, জসিম উদ্দিন, জীবনানন্দ, হুমায়ুন, সুনীল, মিলন, খালিদ উমর।
কালপুরুষ, সাড়েচুয়াত্তর, চৌরঙ্গী, পদ্মা নদীর মাঝি, নক্ষত্রের গোধূলি।
ছড়া পড়িঃ আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা মামা বাড়ি যাই, আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে
গান গাইঃ এসো হে বৈশাখ, আকাশে হেলান দিয়ে পাহার ঘুমায় ওই, কফি হাউজের আড্ডা, একটা গান লিখ আমার জন্য, কারর ঐ লৌহ কপাট
ভাবনাঃ মা-বাবা, ভাই-বোন সংসার সুখের করতে হবে

এ ব্যাপারে আপনার ভাবনা কি?

আহ্বান

অভিমান যে আমারও হয়না তা নয়!
যখন দেখি অনেকগুলো প্রিয় মুখ সাথে আছেন অথচ সহব্লগারের লেখায় চোখ বুলিয়ে নেয়ার তাগিদও বোধ করেন না! আবার মন্তব্যের উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রেও কুন্ঠিত। চুপচাপ সয়ে যাই, হারিয়ে যাই নীরবে!!

একদা মন্তব্য দেয়ার প্রতিযোগিতা হত। কে আগে মন্তব্য দিতে পেরেছি! কিছু না হোক শুভেচ্ছা বার্তায় কৃপণতা ছিলোনা কখনো। আমরা কি সেই সৌজন্যবোধ হারাতে বসেছি!!!

আসুন আমরা আমাদের প্রিয় শব্দনীড়কে প্রাণবন্ত করে তুলি।
লেখা পোস্ট করার সময়ের সঙ্গে আর পাঁচটা মিনিট বাড়িয়ে দিয়ে সহব্লগারের লেখায় চোখ বুলিয়ে নিই। আপনার দেয়া উৎসাহে তৈরি হবে আগামী দিনের একজন ভালো লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক কিংবা কথা সাহিত্যিক।

কথা দিচ্ছি, শত কাজের চাপের মাঝে ক্ষণ সময়ের জন্য হলেও আপনাদের সঙ্গে দেখা করে যাবো আমাদের প্রিয় শব্দনীড়ের পাতায়…

শব্দনীড় রঙ্গমঞ্চ-আমাদের এইসব দিনরাত্রি-৮ (অফিস নাকি খিচুরি) —

6212958942_1da7f94202_b

আচ্ছা, ভাবতে পারেন, অফিসে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হবেন এমন সময় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলো। আহ! কতদিন পরে এমন রিমঝিম বৃষ্টি! এমন দিনে একটু রোমান্স না হলে কি হয়? তার সাথে দুপুরে খিচুরি আর ইলিশ ভাজা! কিন্তু অফিস! মাত্র সেদিন ছুটি নেয়া হয়েছে বলে আজও যে ছুটি নিবেন তেমন সাহসও নেই। ঘরে একটা ছাতি অবশ্য আছে কিন্তু তাতে এই বৃষ্টির একটা ফোটাও ঠেকাতে পারবে না আবার ওদিকে দুই এক ঘণ্টার মধ্যে এই বৃষ্টি থামবে তেমন কোন আশা নেই।
এই অবস্থায় কি করবেন? রোমান্স আর ইলিশ খিচুরি নাকি অফিস?

শব্দনীড় রঙ্গমঞ্চ-আমাদের এইসব দিনরাত্রি-৬ (অফিস সিডিউল)

Crazy Boss Yelling at Employees
Crazy Boss Yelling at Employees

প্রাইভেট কোম্পানির মালিক বা অ-নে-ক বেতনের ঈমানদার, দক্ষ, কর্মঠ এবং উপযুক্ত কর্মচারিরা অ-নে-ক টাকা বেতন পেয়ে ভোরে উঠে অফিসের দেয়া গাড়ি হাকিয়ে অফিসে চলে যান আবার কোম্পানির উন্নতি করে করে রাতের ১২্টা বাজিয়ে সেই কোম্পানির দেয়া গাড়ি হাকিয়ে বাড়ি ফিরেই বিছানায় আছড়ে পরেন। তারা বাড়িতে সংসারের নানা কাজ যেমন বাজার করা, ছেলেমেয়েদের স্কুলে আনা নেয়া, বিদ্যুৎ বিল দেয়া এবং সাংসারিক কাজের জন্য নানা ধরনের কাজের মানুষ কিংবা পোষ্য রাখতে পারেন।

মূল কথা হলো তার সংসারের জন্য বা ব্যাক্তিগত বা পারিবারিক জীবনের জন্য কোন ভাবনা নেই। অথচ ২০, ২৫, ৩০, বা ৪০ হাজার টাকার সহকারিদেরও তাদের সাথে ওই রাতের ১২টা পর্যন্ত আটকে রাখেন এদের কিন্তু সংসারের বাজার করা ইত্যাদির জন্য কোন লোক নেই সবই এদের নিজেকেই করতে হয়।

কোন কাজ নির্দিষ্ঠ সময়ে শুরু করা একটি প্রয়োজনীয় ব্যাপার আবার নির্ধারিত সময়ে শেষ করাও যোগ্যতার বিষয়। আমার মনে হয় যারা নির্দিষ্ঠ সময়ে কাজ শেষ করতে পারেন না, টেবিল গুছিয়ে না রেখে নানা রকম ফাইলপত্র কাগজ ইত্যাদি দিয়ে টেবিলে স্তুপ করেন তারা সবচেয়ে অযোগ্য। যদিও মালিক মনে মনে ভাবেন বাহ! আমার ধনু মিয়া কত কাজ ক–রে—রে!

মালিক অফিসে এসে কম্পিউটার খুলে দুই একটা মেইলের জবাব দিয়েই শুরু করে মোবাইলে বা সামনে বসে থাকা বন্ধুজন অথবা চাটুকারদের নিয়ে আড্ডা। সারাদিন আড্ডা সেরে বিকেল ৪ টায় শুরু করেন অফিসের কাজ। এর কারণ কি? সন্ধ্যার পর অফিসে আলো জ্বেলে অফিস করার মানে কি? আমার মনে হয় যাদের চুরি করার ধান্দা আছে তারাই কেবল রাতের অন্ধকারে অফিসে আলো জ্বেলে কাজ করে এবং কর্মচারিদের ধরে রাখে। মালিকের বা চামচা বড় বস এর বৌ-পোলাপান বাগি দিয়া আইছে কিন্তু কর্মচারিরা যে এই বৌ-সন্তানের মাঝেই শান্তি খুজে পেতে চায়, চায় জীবনের আলো! স্ত্রী সন্তান সারাদিন পথের দিকে চেয়ে থাকে কখন স্বামী বা বাবা আসবে!

কর্মচারিদের কি স্ত্রী-সন্তান নেই? তারা কেন ওদের অযোগ্যতা, খামখেয়ালী বা চুরির ভাগিদার হবে?

অফিসে রাতে বাতি জ্বালিয়ে কাজ করে কে?
১। যারা সময় মত নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করতে পারে না।
২। যার ঘরে শান্তি নেই অর্থাৎ সহজ কথায় স্ত্রীর সাথে বনিবনা নেই।
৩। যারা নিজের কাজ কি এটাই বুঝতে পারে না।
৪। যারা কাজের সময় আড্ডা দিয়ে সময় কাটিয়ে সময় নষ্ট করে।

এইসব উচ্চপদস্থ কর্মচারি বা মালিকদের ব্যাপারে আপনার কি মনে হয়?

শব্দনীড় রঙ্গমঞ্চ-আমাদের এইসব দিনরাত্রি-৫ (Home delivery)

Home-delivery

একটা ভাবনা বেশ কয়েকদিন থেকেই মনে দোলা দিচ্ছে!
কখনও ভেবে দেখেছেন বাড়িতে রান্না বান্না করে খাওয়া দাওয়া কত্ত ঝামেলার ব্যাপার! বাজার করা, তারপর সেগুলি বাজার থেকে বাড়িতে এনে জায়গামত তুলে রাখা, রান্নার আগে পানি খরচ করে ধুয়ে কাটিকুটি করা তারপর সবার শেষে এই গরমের মধ্যে গনগনে চুলার পাশে দাঁড়িয়ে বা বসে রান্না করা। কি মহাযজ্ঞরে বাবা!
এত ঝামেলার দরকার কেনরে ভাই?

খুব সহজে আজকালের সবকিছুর মত যেমন কমুনিটি হল, ইভেন্টস ম্যানেজমেন্ট টিম, অফিস পাড়ায় টেবিলে টেবিলে সময়মত খাবার পৌছে দেয়া বা এমনি কত কি প্রচলন শুরু হয়েছে কাজেই এত ঝামেলায় না গিয়ে হোটেল/রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনে এনে খেলেইতো চলে যায়! রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবারও দরকার কী? গিয়ে আনারও দরকার নেই, Home delivery ও আছে শুধু একটা ফোন করলেই ঘরে খাবার হাজির, তাই না? পিঠা খেতে ইচ্ছা করছে তাতেও সমস্যা নেই, পিঠা, পিজা, পান্তা ভাত, নানা রকম বাহারি ভর্তা কি না পাবেন? বাসন পেয়ালা ধোয়ার দরকার নেই, কাজের বুয়া রহিমার মায়ের পায়ে ধরারও দরকার নেই!

আপনি এ ব্যাপারে কি ভাবছেন?

9

শব্দনীড় রঙ্গমঞ্চ-আমাদের এইসব দিনরাত্রি-৪ (ফ্ল্যাট বাড়ি)

A

আচ্ছা বলুনতো নাগরিক বসবাসে ফ্ল্যাট বন্দী জীবন আর গ্রামে বা শহরের নিজ বাড়িতে মুক্ত জীবনে কি কোন ব্যবধান আছে?
আপনি কি মনে করেন?

10856638523_561ee54f3d_b

১৪২৪ সালের মেনু

karalla

সকল বন্ধুকে জানাচ্ছি সুভসন্ধ্যা।
আজ এই সুভসন্ধ্যায় আপনাদের সবার জন্য ১৪২৪ বাংলা বর্ষ শুরুর একটি নতুন মেনু উপহার নিয়ে এসেছিঃ
সকালে নিদ্রা ভঙ্গের পর প্রাথমিক কাজকর্ম সেরে নিশ্চয়ই নাশতার টেবিলে বা মাদুরে এসে বসবেন! এতদিন অনেক মজার খাবার যেমন ইলিশ ভাজা, চিংড়ির ভর্তা সাথে কাচা আমের চাটনি দিয়ে পান্তা খেয়ে বছরটি শুরু করেছেন। তাই না? আজ এমন এক মজার মেনু দিচ্ছি যা জেনে আশা করি সবার মুখে জল চলে আসবে। এই জন্যেই সার্বিক প্রস্তুতি নেয়ার সুবিধার্থে আগেই মজার রেসিপিটা জানিয়ে দিলাম। দয়া করে আমাকে কেউ ভুল বুঝবেন না!
P1050552

P1250631

তাহলে জেনে নিন, দরকার হলে একটা কপি প্রিন্ট করে বাড়ির Establishment Minister এর হাতে ধরিয়ে দিন। আগেই দিয়ে দিন আর সাথে একথা বলতে ভুলবেন না যে কাল সকালেই এই উপাদেয় স্বাস্থ্য রক্ষাকারি নাশতা দিয়ে বছরের শুরু করতে চাচ্ছেন! যা খেলে সারা বছর রক্ত বিশুদ্ধ থাকবে, মন চাঙ্গা থাকবে এবং যথারিতি বছর ব্যাপি শরীর মন সুস্থ্য থাকবে।
এমন সুপরামর্শ দেয়ার জন্য আমাকে ধন্যবাদ না দিলেও আমি মাইন্ড করব না!!!!!!!

images

এবার মেনু জেনে নিন, মনে রাখার সমস্যা থাকলে এর একটা কপি প্রিন্ট করে এক্ষ্নই Establishment Minister এর হাতে ধরিয়ে দিন!
১। এক বাটি করল্লার সুপ
২। পিয়াজ কাচামরিচ সহ করল্লার ভর্তা
৩। করল্লা ভাজি
৪। করল্লার কাটলেট
৫। করল্লা আর কাকচি/বাতাসি কিংবা টেংরা মাছের চচ্চরি
৬। করল্লা আর ইলিশ/চিংরি মাছের ঝোল বা ভূনা
৭। কিমার পুর দেয়া করল্লার দোলমা
৮। ভেজিটেবল রাইস (শুধুমাত্র করল্লা সহযোগে)
সবার পরে একটু বগুরার দৈ। (এজন্যে ভাবতে হবে না এই দৈ আমাদের প্রিয় বন্ধু “মুরুব্বী” সরবরাহ করবেন)।

Vegetable-Cultivation-on-Gher-7

এত কিছু থাকতে করল্লাবর্গ দিয়ে কেন এই মেনু তৈরী করেছি নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে, তাইনা? দেখুন করল্লার কত গুন!!
০ রক্তের চর্বি তথা ট্রাইগিস্নসারাইড কমায় কিন্তু ভাল কলেস্টেরল এইচডিএল বাড়ায়।
০ রক্তচাপ কমায়।
০ ক্রিমিনাশক।
০ ভাইরাস নাশক-হিপাটাইটিস এ, হারপিস ভাইরাস, ফ্লু, ইত্যাদির বিরুদ্ধে কার্যকর।
০ ক্যান্সাররোধী লিভার ক্যান্সার, লিউকেমিয়া, মেলানোমা ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।
০ ল্যাক্সেটিভ পায়খানাকে নরম রাখে, কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে।
০ জীবাণুনাশী-বিশেষ করে ই কোলাই নামক জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর।
মেনুটা কেমন লাগল আশা করি জানাতে আলসেমি করবেন না।

10471

শব্দনীড় রঙ্গমঞ্চ-আমাদের এইসব দিনরাত্রি-৩ (সহযাত্রী)

bus-passenger

বাসে করে কোথাও যাবার জন্য বাসে উঠে দেখলেন দুইজনের সিটে একজন ভদ্রলোক (সুন্দর সার্ট প্যান্ট পরনে দেখে বুঝলেন ভদ্রলোক) বসে আছে আর একটা সিট ফাকা আছে, কাছে এসে ক্ষণিক অপেক্ষা করে দেখলেন ভদ্রলোকের কোন বিকার নেই তখন বলেই ফেললেন একটু চেপে বসুন, না এতেও ভদ্রলোক কিছুই করলেন না যেমন ছিল তেমনি বসে রইল।
এই অবস্থায় কি করবেন?

শব্দনীড় রঙ্গমঞ্চ-আমাদের এইসব দিনরাত্রি-২

Dhaka City (7)

আমাদের তিলোত্তমা ঢাকা মহানগরীর রাস্তার জ্যাম উপভোগ করেননি এমন কেও আছে কি? কোন কোন রাজপথে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হলো কিন্তু তবুও দেখা যাচ্ছে রাস্তার জ্যামের কোন পরিবর্তন হয়নি। যে পথ ২৩ মিনিটে যাওয়া যায় সেখানে আড়াই ঘন্টা লেগে যায়।

মেট্রোরেল, উড়াল সড়ক বা এহেন স্বপ্নের থিউরি ব্যাতীত মহানগরীর এই দুরবস্থা দূর করা যায় বলে কি আপনি মনে করেন? কিংবা এ ব্যাপারে আপনি কি ভাবছেন?

সামনে আছে শুভ দিন শব্দনীড়ে যোগ দিন

Coffee-Production

বাহবা! বাহবা! দেখিয়া বড়ই প্রীত হইলাম শব্দনীড়ে এখন ১৮ জন নিবন্ধিত সদস্য এবং ৭৯ জন অনিবন্ধিত সদস্য জেগে আছেন। সবাইকে ধন্যবাদ।

কোথায় গেলে ভাই দিলখুশ মিঞা
কোথায় গেলে ভাই আনু মিঞা
কোথায় গেলে ভাই ফকির ভাই
কোথায় গেলে ভাই তোমরা সবাই?
কই গেলা ভাই নীল দিদি
নিয়া আইস দারচিনি!

একটা কথা, সবাই কিন্তু কফি খেয়ে যাবেন দারচিনি দেয়া কফি!

ও গিন্নী (স্বপ্নে দেখা), দেখ কত মেহমান আইছে, সেদিন যে বাগানের কফি তুইলা আনলাম তাই দিয় অন্তত এক হাড়ি কফি বানাও নীল দিদি দারচিনি নিয়া আইব একটুখানি কফিতে দিও আর সাথে এলাচি বিস্কুট দিও। দেরি কইরো না তারা কত কাম কাজ ফালাইয়া আইছে!

রাইতের আয়োজনেও কিছু বাদ রাখি নাই। বইসা পড়েন।

শব্দনীড় রঙ্গমঞ্চ … আমাদের এইসব দিনরাত্রি

যদি কিছু মনে না করেন পোস্টে যারা স্বতস্ফুর্তভাবে অংশ নিয়ে এই পোস্ট সাদরে গ্রহন করে মতামত জানিয়েছেন এবং বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
আজ অফিস থেকে ফিরতে অনেক দেরি হয়ে গেল বলে আমি সারাদিন কিছু বলার সুযোগ পাইনি। হোটেল শেরাটনের সামনেই ১ ঘন্টা জ্যামে বসে ছিলাম।
অনেকেই নানা নাম প্রস্তাব করেছেন যেমনঃ

মুরুব্বী-
১. আমাদের এইসব দিনরাত্রি
২. বড় মুখে ছোট কথা
৩. ছোট মুখে বড় কথা
৪. ম্যান ভার্সেস ম্যান
৫. চলতি হাওয়ার পরিপন্থী
৬. জীবন যেখানে যেমন
৭. কাজ নয় কথা বেশী
৮. ঘটন অঘটনে ঘটন চক্র
৯. পথ থেকে পথ … গলি থেকে রাজপথ

দিলখুশ মিয়া-
১. গোল টেবিল বৈঠক
২.সাপ্তাহিক আড্ডা
৩.কথার পিঠে কথা
৪.আমাদের ভাবনা
৫.ওমরের জলসা
৬. মুরুব্বীর জলসা
৭. জলসাাঘর

মোকসেদুল ইসলাম
১। ‘আমি কিছু বলতে চাই’

খেয়ালী মন
১। শব্দনীড় রঙ্গমঞ্চ

জনাব ফকির আবদুল মালেক ভাইকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম নাম বাছাই করার জন্য কিন্তু তিনি যেহেতু কুড়ার গোস্ত দিয়ে খেসারি ডাইলের রুটির নেমন্তন্ন খাইতে গেছে কাজেই তার অবর্তমানে আমিই নাম বাছাই করে নিলাম। এতে খেয়ালী মন এর “শব্দনীড় রঙ্গমঞ্চ” এর সাথে মুরুব্বীর “আমাদের এইসব দিনরাত্রি” এই সংমিশ্রণ ঘটিয়ে “শব্দনীড় রঙ্গমঞ্চ- আমাদের এইসব দিনরাত্রি”

যেহেতু আমাদের চলা পথের নানা ঝুট ঝামেলা, নানা ঘটনা অঘটন, হাসি কান্না, বলা না বলা কথা, কাজের বদলে কথার খৈ ফুটিয়ে চলছে তাই আমি এই নামটি সঙ্গত মনে করেছি।
কী? কেমন লাগছে?
অবশ্য যদি আর কোন উত্তম প্রস্তাব থাকে তবে তা সাদরে গ্রহনযোগ্য।
সবাইকে আবার ধন্যবাদ!
তাহলে অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী কার্যক্রম প্রথম পোস্ট এর।
দেখা হবে শব্দনীড় রঙ্গমঞ্চে

images (3)

যদি কিছু মনে না করেন

যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটা প্রস্তাব নিয়ে আসতে চাই!

আমরা যারা দৈনন্দিন কাজে ঘর ছেড়ে বের হয়ে নানা কিছু দেখি, নানা সমস্যা অনুভব করি যেমন, যানজট, অতিরিক্ত রিকশার জন্য পথে হাটা দুষ্কর, ফুটপাথে যেখানে মানুষের চলাচল করার কথা সেখানে মটর বাইক চলছে, আশেপাশের নানা বিচিত্র মনুষ্য চরিত্র কিংবা নানা বিদঘুটে ঘটনার সম্মুখিন হই ওই সব বিষয় নিয়ে আমাদের কার কি ভাবনা বা আমরা এগুলিকে কে কেমন চোখে দেখছি, কি করেইবা এর সমাধান করা যায় এইসব জরিপ করার জন্য পারষ্পরিক মতামত জানতে একটা নিয়মিত আড্ডার আয়োজন করতে চাই। এতে যার যা মনে হয় সেই এই শিরোনামে পোস্ট দিতে পারেন অর্থাৎ সবার জন্য উন্মুক্ত, এটা যে আমাকে একাই দিতে হবে এমন নয়। আপনি যা ভাবছেন তাই নিয়েই আসুন একটা আড্ডায় বসি।।

যদিও জানি আমাদের সামান্য পরিসরে এই আলাপে এইসব সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে না তবুও আমরা সবার সাথে আলাপের মাধ্যমে নানা অজানা তথ্য বা ধারনা পেতে পারব। এই আড্ডার শিরোনামের জন্য আমার মাথায় এই মূহুর্তে কয়েকটা নাম মনে হচ্ছে এর মধ্যে থেকে আপনাদের যেটা ভাল লাগে জানাবেন কিংবা আপনার নিজের কোন প্রস্তাবও নির্দ্বিধায় জানাতে পারেন সবার মতামতের প্রেক্ষিতেই “শিরোনাম” নির্ধারিত হবে। তাহলে আমি যা ভাবছি দেখা যাক,

১। জরিপ ও অনুসন্ধান
২। আমি কিছু বলতে চাই
৩। প্রবহমান আমার দেশ

এবার আপনার পালা, মন্তব্য আকারে জানিয়ে দিন, যথারীতি আগামী ৩ দিন পর্যন্ত আপডেট হতে থাকবে এবং এর পরে ফকির আব্দুল মালেক আমাদের দেয়া নামের মধ্যে থেকে একটা নাম বাছাই করবেন।

দীলখুশ মিঞার সন্দেশ… কৌতুক যুদ্ধ

সকলকে দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।

হাই হ্যালো।

আমি এসেছিলাম কিছু হাসিখুশি সময় কাটাতে। ভুল করে ঢুকে গিয়েছিলাম কবিতা পড়ায়। এমন নাকানি চুবানি খেয়েছি, বলার ভাষা নাই। তবু কষ্ট করে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলাম, কিন্তু রাতে এসে এক কবি (মহিলা) এমন শিক্ষা দিয়েছেন যে আমি পালিয়ে এসে ভাবছি আর যাব না কবিতার তলায়। তারচেয়ে আসুন দেখি আপনাদের হাসাতে পারি কিনা। এখানকার সবায় এমন গম্ভীর কেশে কথাই বলতেই চান না!

আজ ২৬ মার্চ। আসুন একটা যুদ্ধ চালাই। কৌতুক যুদ্ধ।

আমি শুরু করি। তারপর আপনারা মনের ইচ্ছেমতো।
….

পাকিস্তানি এক ক্যাপ্টেন প্রায় নাচতে নাচতে এসে জেনারেলকে বললেন—
: স্যার, আমি এইমাত্র এমন একটা জিনিস আবিষ্কার করেছি, যা ৫০ জন মুক্তিসেনার সঙ্গে লড়তে সক্ষম।
জেনারেল: কী সেটা?
: ২০০ জন পাকসেনা।

……..
এক পাকিস্তানি সার্জেন্ট ২০ জন সেনাসদস্যের একটি দলের উদ্দেশে বললেন, ‘আমি ঠিক করেছি, তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে অলস যে, তাকে সবচেয়ে সহজ কাজটা দেব। কে সবচেয়ে অলস? ১৯ জন সদস্যই হাত তুলল। সার্জেন্ট হাত না তোলা সদস্যটিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি হাত তুলছ না কেন?’
সৈন্য: স্যার, হাত তুলতে কষ্ট হয়।

…….
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সাবেক এক পাকিস্তানি সেনা তার নাতির কাছে যুদ্ধের স্মৃৃতি রোমন্থন করছিল—
নাতি: দাদু, যুদ্ধের সময় তুমি তো একজন সেন্ট্রি ছিলে। রাতে পাহারা দিতে তোমার ভয় করত না?
দাদু: মাঝেমধ্যে করত।
নাতি: কখন?
দাদু: যতক্ষণ না আমি ঘুমিয়ে পড়তাম।
……
জেনারেল ইয়াহিয়া রাগান্বিত হয়ে এক সেনাকে বরখাস্ত করে দিয়ে বললেন, ‘আমি নিশ্চিত, আর্মি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর তুমি আমার মৃত্যু কামনা করবে, যাতে করে তুমি আমার কবরের ওপর থুথু নিক্ষেপ করতে পারো।’
সৈন্যটি বলল, ‘না স্যার। বরখাস্ত হওয়ার পর আমি আর লাইনে দাঁড়াতে চাই না।

এবার আসুন সেরা কৌতুকটা আপনাদের শুনাই।

কৌতুকটা প্রতমবারের মত চয়ন করা হলো ক্ষূদেব্লগারের ঝুড়ি থেকে। তাই এটা পড়তে গেলে নিশ্চয় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন নিম্নরুপ_

**কৌতুকটা অত্যাধিক হাসির তাই হাসতে হাসতে যেকোন অঘটন ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই থাকে।

**আপনি কৌতুকটা পড়তে গেলে অবশ্যই একজন ডাক্তার পাশে রাখবেন। কারন যদি হাসতে হাসেত আপনার দম বন্ধ হয়ে আসে তখন ডাক্তার ডাকার সময় পাবেন কি না এই নিশ্চয়তা আপনাকে কে দিবে।

**তাছাড়া ৬০ উদ্ধ কোন লোক এই কৌতুকটা পড়তে পারবেন না কারন এই কৌতুকটা এমনই একটা মজার কৌতুক যে হাসতে মাতার তার ছিড়ে যেথে পারে।

**কৌতুকটা কোন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি পড়তে পারবেন না, কারন হাসতে হাসতে ইনারা হাটফেইল্ড করতে পারেন।

**এছাড়াও কৌতুকটা শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে, কোন অবস্থাতেই যেন তারা এটা পড়তে না পারে, কারন তারা এটা পাঠ করলে আর কোনদিন স্কুলমূখী হবেনা সারা জীবন কািঠয়ে দিতে চাইবে এমন মজার মজার কৌতুক পড়ে পড়ে।

আহ্হারে দেখছেননি কি কান্ডটাই না হইল আপনাগো শর্ত দিতে দিতে কৌতুকটাই কি ছিল ভুলে গেলাম! পাঠক বৃন্দ কেউ মাইন্ড কইরেন না অবশ্য যখনই আমার মনে পড়বে কৌতুকটা তখনই আমি আপনাগো দরবারে তা হাজির করবই করব। কেমন——–?

এতক্ষন বরং আপানাদেরটা শেয়ার করুন

তো হয়ে যায় কৌতুক যুদ্ধ।

আমার বাড়িতে নিমন্ত্রণ

এই বাড়িট আমার। কোস্টারিকা শহরের এক প্রান্তে এই বাড়িটা কিনেছিলাম ১৮৬৫ সালে যখন আমার বয়স মাত্র ৩৫ বছর। কে কে এই বাড়িতে নেমতন্ন গ্রহন করতে আগ্রহী দয়া করে জানাবেন। না না ভাবনার কিছু নেই এখানে একসাথে আপনাদের মত ১০/১২টা পরিবার বেড়াতে পারবে। খাওয়া দাওয়ার কথা ভাবছেন? আরে না না, পাশেই সমুদ্র, ওখানে অনেক মাছ পাওয়া যায় আর বাড়ির ভিতরে রিতিমত ৩২ একর জমিতে একটা গরু আর একটা হাস, মুরগী, টার্কির খামার রয়েছে। শাকসব্জির কথা ভাবছেন? না না এ ব্যাপারে কিচ্ছু চিন্তা করবেন না ২৮০ একর জায়গা জুরে রয়েছে বিশাল শব্জি, ফুল আর ফলের বাগান।

 photo My Home 1_zpssx2cmyuu.jpg

বিকেলে এখানে বসে নিজের গরুর দুধ দিয়ে নিজের বাগানের কফি খাওয়া যাবে। কি বলেন ভাল লাগবে না? সাথে যে যা খেতে চাইবেন সবই করা যাবে। ১০জন বিশ্বের নামকারা শেফ এখানে কাজ করে ৫টা কিচেনে।

 photo My Home 2_zpsveifmpmf.jpg

রাতে ঘুমাবার সময় কোন চিন্তা নাই বাড়ির চারিদিকে পূর্ণিমার চাঁদের আলোর মত সিকিউরিটি লাইট জ্বলে, এর মধ্যে ইচ্ছা করলে কবিতা আঁকতে পারবেন, ছবি লিখতে পারবেন আবার সাথে যদি আপন মানুষ থাকে তাহলে একান্তে বসে প্রেম করতেও পারবেন। এমন নিরিবিলি জায়গা আর কোথায় পাবেন? মশা মাছির জন্য ভয়? একেবারেই অসম্ভব! সারাদিনরাত ধরে প্রাকৃতিক ওষুধপত্র স্প্রে হতেই থাকে।
কী ভাল লাগছে না? তাহলে শব্দনীড়ের সবাই মিলে আসুন। আড্ডা, গল্প, খানাপিনা আনন্দ সব হবে।
 photo My Home 3_zpsi0nitriy.jpg