বিভাগের আর্কাইভঃ অন্যান্য

কবিতা পাঠ–১

কবিতা পাঠ–১
আজকের কবিতা–মুখোমুখি,
কবি–আমিনুল ইসলাম,।

প্রথমেই শ্রদ্ধেয় কবির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,যে ওনার কবিতাটি আমি আমার মত ব্যাখ্যা করার জন্য,,!কেন না কবির ভাবনার সাথে আমার ভাবনা নাও মিলতে পারে,,!প্রিয় কবি আমি একজন পাঠক, আর পাঠক হিসবে আমি আমার স্বল্প জ্ঞানে আলোচনার করার চেষ্টা করেছি যাতে করে আমি কিছু শিখতে ও জানতে পারি,,তাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন,!

“মুখোমুখি” শিরোনামে কবিতা একটি মুগ্ধ কর বিরহ প্রেমের কবিতা। এ কবিতায় কবি একটি প্রেমের সুন্দর উপখ্যান তুলে এনেছেন,!

কবির প্রেমিক মন সর্বদায় প্রিয় মানুষের পাশে থাকতে চায়,খুব কাছাকাছি থাকতে চায়,প্রিয়ার অভিমানী মুখটা যতই লুকিয়ে রাখুক না কেন কবির প্রতি থেকে তবুও সে থাকতে চায়,,,!

যদিও শংকা থাকে কবির মনে কখন কি হয়ে যায় দুজনার,,!তারপরও কবি জানে যে তার মনের মানুষের এমন বসাতে ই সুখ অনুভব হয়,,যা কিনা কোনো কিছুর বিনিময়ে পাওয়া সম্ভব নয়,!এটা হাজার হাজার বছরের সাধনার বিষয়,!

কবি যখন দেখলেন যে তাঁর প্রিয়া প্রেম নিবেদনে
বিরুপ প্রকাশ করছে,তখন কবি প্রিয়াকে এখানে
এ কথাও বলেছেন,

“তুমি জানো কি মুখোমুখি বসার উপলদ্ধি,!”

এখানে কবি সরাসরি প্রশ্ন করেছেন তার মনের মানুষকে,,!কেন কবির প্রতি তার এত অভিমান,এত অবহেলা,কবি জানতে চেয়েছেন!

কবি আরো জানতে চেয়েছেন য়ে কিভাবে চোখে চোখ রেখে ভাব বিনিময় করতে হয়,ইশারায় কিভাবে না বলা কথাগুলোর প্রক্রিয়া জানানো হয়,,!কবির প্রেমিকা কি আদৌ এগুলো জানে কবি তাঁর প্রিয়ার কাছে অনেক আকুল কন্ঠে জানতে চেয়েছেন,,!

কবি যখন বুঝতে পারলো যে তাঁর মনের মানুষ কিছুই বলবে না তখন নিজেই তাকে বুঝিয়েছন এমন সব শব্দ দিয়ে যাতে করে যেন তার বুঝতে কোনো সমস্যা না হয়,,!সত্যি তাই প্রিয় মানুষদের এমন মধুর করেই বুঝাতে হয়,, কবি সেটা জানেন,,,!

তাই তো কবি কাগজের বুকে কবির ভালোবাসা বা ফুলের সাথে সূর্যের ভালোবাসা,জলের সাথে চাঁদের ভালোবাসা আরো কত কিছু,,!কবি বুঝিয়েছেন ভালোবাসা কখনো মিথ্যে আাশা নয়,ভালোবাসা হলো চিরন্তন সত্য,স্বপ্নবুকে স্বপ্ন আঁকা,চাতক পাখির মত,!

অতপর কবি যখন দেখলেন কোনো কিছুতেই প্রিয়ার মন ফিরানো গেলো না,তখন কবি বেশ বিরহ আবেগ কণ্ঠে বলে গেলেন প্রিয় মানুষকে
”পাশাপাশি বসে,পাশাপাশি চলে,শুধু মাত্র সহচর হওয়া যায়,কখনো প্রেমিক হওয়া যায় না,,”

এখানে কবি অনেক দুঃখ ও কষ্টের সাথে এমনটা বলেছেন,,!কারণ তাকে অনেক ভালোবাসে তাকে অনেক স্বপ্ন বুকে বেঁধেছেন,!কিন্তু দেখলো কবির ভালোবাসার কোনো মূল্যায়ন হচ্ছে না তখন কবি
এ কথা গুলো তাঁর প্রিয়াকে শোনালেন,,!

শ্রদ্ধেয় কবি খুব সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় তার মনের মানুষকে বুঝিয়েছেন ভালোবাসার মানে,!
এতে আশা করি কবির প্রিয় আর কখনো অভিমান করে থাকবে না কবির প্রতি,,!

নিম্নে কবিতাটি পড়ার সুবিধার জন্য তুলে ধরা হলো,!

মুখোমুখি
——-আমিনুল ইসলাম

কিছু সময় বাধ্য হয়ে কাছাকাছি আসা,
অভিমানী মুখ অপেক্ষা করেও পাশাপাশি বসা।
পাশাপাশি বসতেই জেগে উঠে অস্বস্তিবোধ
ঘটতে পারে কাঁধে কাঁধে সংঘর্ষ
হতে পারে হাতে হাতে স্পর্শ
গায়ে হেলান পড়ার ভয়
মুখোমুখি বসাতেই তোমার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ।

তুমি জানো কি মুখোমুখি বসার উপলব্ধি!
চোখে চোখ রেখে ভাব বিনিময়,
মনের কথাগুলো ইশারায় প্রকাশে অভাবনীয় প্রক্রিয়া।
বাতাসের সাথে নিশ্বাসের শব্দের প্রেরিত বার্তা,
কম্পিত ঠোঁটের সান্নিধ্য লাভের প্রচেষ্টা।

দেখেছো কি তুমি চেয়ার টেবিল মুখোমুখি অবস্থান !
কাগজের বুকে কবির ভালোবাসা আদানপ্রদান!
কবিতা আর পাঠকের মুখোমুখি প্রণয়!
সূর্যমুখী আর সূর্যের ভাব বিনিময়।

দেখেছো কি দর্পণের মুখোমুখি যৌবনের প্রতিচ্ছবি!
নদী স্বচ্ছজলে চাঁদের জলছবি,
স্নিগ্ধ আলো বিনিময় রবি -শশী,
চাতকের পিপাসা নিবারণে নয়ন উর্ধমুখী।

পাশাপাশি বসে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হয় সহচর
প্রেমিক হওয়া বড়োই দুস্কর।

কবিতাটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে,,!আশা করবো আপনাদেরও ভালো লাগবে,!
কবির কলম চলুক দূর্বার গতিতে এই দোয়া করি,,!

©সুজন হোসাইন
২৪/০৯/১৮

দেশ – বৈদেশ

এখানের (অস্ট্রেলিয়া) বাড়িগুলো দেখলে কেমন একটা শান্তি শান্তি ভাব হয়। অধিকাংশ বাড়িগুলো একতলা বা দুতলা এবং টালির ছাদ। ছোট ছোট গেট। আমার কাছে অনেকটা নির্জন গ্রামের মত লাগে। রাস্তাঘাট ক্লিন – গাড়িগুলো প্রতিটা বাড়ির সামনে দাঁড় করানো। গ্যারেজ থাকলেও যেহেতু এখানে সবারই গাড়ি থাকতেই হয় এবং ইজি বাহন রিক্সার মত কোনোকিছু সম্ভব না।

অভিবাসী হয়ে আসলে যে কাজগুলো প্রথম সেরে ফেলতে হয় এগুলো হল ইংলিশ কোর্স সেরে ফেলা টেক্স ফাইল করা এবং মেডিকেল টেস্ট সেরে ফেলা। এরপর আস্তে ধীরে জব অথবা ব্যবসা যাই করার করা যাবে। আজ ইংলিশ কোর্সে ( নেভিটাস) নিজেদের এন্ট্রি করতে গিয়ে ইরাকী এক মেয়ের সাথে পরিচয় হল। দেখতে অনেকটা বাংগালী মেয়েদের মতই কিন্তু বেশ লম্বা আর মিষ্টিমত মেয়েটার সাথে তার একবছরের শিশু। সেও নেভিটাসে ইংলিশ কোর্সে ভর্তি হতে এসেছে। ইরাক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ বলে সে কিছুটা হতাশ। তার স্বামী ইরানের। ইরাকের ভাষা আরবী হলেও ইরানের ভাষা ফার্সী । আমাকে জিজ্ঞেস করল আমি কেন এখানে রেসিডেন্সি নিয়ে এসেছি।
আমি কিছু বলবো বলবো ভেবে চুপ রইলাম।
আমার মনে হলো আমরা মনে হয় ভাসমান হয়েই রইলাম। মানুষ তো আসলে অনিশ্চিত জীবনের দিকেই ফিরে। আজ ধানমন্ডি হলে কাল যে মায়ানমার কিংবা এমেরিকা থাকব না সে কে বলতে পারে!!


আজ শীত কম বলে ভাবলাম হাফ হাতা সোয়েটার পড়ে বের হই।
এখানে ২ থেকে ১২ /১৩ বা ২২ পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠানামা করে।
বাংলাদেশে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রী হলে দেশের অর্ধেক মানুষই হয়তো মারা যেতো। যাই হোক ট্রেনে করে পাঞ্চবোল (যেখানে আমরা থাকি ) থেকে ব্যাঙ্কসটাউন গেলাম। শীত লাগছিলো না যে তা নয় কিন্তু ভাবলাম ব্যপার না। নেভিটাসের ক্যাম্পাসে ঢুকতেই শীত কম লাগলো। হিটার অথবা চারদিকে ব্লক বলে একটু হালকা উষ্ণ থাকে ক্যাম্পাস। কিন্তু ক্লাস রূমে বসতেই আফসোসে মরে গেলাম। কোট অথবা ভারী শীতের কাপড় না পড়ার দুঃখে মনে হলো আত্মহত্যা করি। আমাদের ম্যাডাম বললেন তোমার কি খারাপ লাগছে ? তুমি চাইলে বাইরে ঘুরে আসতে পারো।

ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে ঘুরতে লাগলাম। শীত বেশি লাগলে সমস্যা হলো ঘুম ও আসে বেশী। এখানে সব কিছু এত অরগেনাইজড। আভেন আছে। পানির হিটার আছে। তবে কেউ কোনো কিছু নোংড়া করতে পারবে না। যেহেতু বাংলাদেশের মত গরীব দেশের মত এত এত পিয়ন নাই যে সবাই নোংড়া করবে আর পিয়ন /চাপরাশি ক্লিন করে দেবে। অফিসার শিক্ষক সবাইকেই নিজের কাজ নিজেই করতে হয়।
অনেকগুলো ফাকা রুমের একটা রুম হলো প্রেয়ার রূম। ভাবলাম সেখানে বসি। ওমা ঢুকতেই দেখি সেখানে বিছানা পাতা। কম্বল আছে। কিছু জায়নামাজ বিছানো ফ্লোরে, পাশে একটা লম্বা টুলে কিছু হিজাব আর রেহালের উপর কোরান শরীফ। কম্বল গায়ে দিয়ে শুতেই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি বারটা বাজে। ততক্ষণে তাপমাত্রা কমলেও এতটা কমেনি। তবু চলে।

২ টা বাজার পরে বের হতেই দেখি রোদ বেড়েছে। কিনতু বাংলাদেশে শীতের দুপুরে এতোটা রোদ থাকে যে শীত পালায়। এখানে রোদের যেনো বা তেজই নাই। রোদ ও মৃদু। নেভিটাস ক্যাম্পাস থেকে একটু হাঁটলেই পার্ক। খেলার বড় মাঠ। আর সামনে ব্যাঙ্কসটাউন লাইব্রেরী। মাঠের মাঝে রোদ কিন্তু আশে পাশে এতো ছায়া ছায়া – দোকান বিল্ডিং এর ছায়া – গাছের ছায়া। তাতে শীত বেড়ে যায় আরো। শীতে অশান্তি লাগে। এতো শীত ভালো লাগে না। সূর্যের তেজ কেনো বাড়ে না এইটা গবেষনা করতেছি আসার পর থেকেই —


এই নদীর নামটা জানা হলো না। কিন্তু পুরো নদীর ধারটাকে বলে ‘ডলস পয়েন্ট’। এতোটাই বিস্তৃত এই নদীর ধার আর কত যে নীল তার পানি। স্রোত পুকুরের মত। দেখলেই মন কেমন করে। অথচ এত সুন্দর নদী এর নাম নেই – হয়তো আছে, আমি জানি না।
এই নদীটার একটা নাম দিলাম আমি মনে মনে।
পৃথিবীর সুন্দর দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার একটা বিশেষ স্থান রয়েছে। কিন্তু কেনো যেনো আমার এর পরিবেশ ফেইস আমার দেশের মতই লাগে। আহা আমার জলা নদী, আমার গ্রামের গাঙ, সরু রাস্তা আর ধু ধু ধান ক্ষেত – সেও তো খুব নীরব। জীবনানন্দের সময়ে আরো নির্জন ছিলো এই ধানক্ষেত নদী আর সরু পথ।

মাঝে মাঝে যখন একা হাঁটি, আনন্দে অথবা স্বাধীনতার আনন্দে আমার দৌড় দিতে ইচ্ছে করে। দেশে কি আমার স্বাধীনতা ছিল না ? ছিলো অবশ্যই। দেশেও তো পাল ছিড়ে ছুটে যাবার মত স্বাধীন ছিলাম। তবু এই দেশের পরিবেশ আমার শান্ত নিরিবিলি গ্রামের মতই লাগে। শুনশান নীরব রাস্তাঘাট, গাড়ি চলে যাবার হুশ হাশ শব্দ আর শান্ত নির্জন ঘরগুলো একতলা অথবা দুতলা। প্রচুর জমি -আর জমির অভাব নেই বলে শহরের বিল্ডিং গুলো উপরের দিকে মাথা তুলে না। এতে সুবিধা হলো আকাশ দেখা যায়।

আমার চোখ আকাশের দিকে চলে যায়, মসৃন নীরব ফুটপাত আর মাঝে মাঝে ফুটপাতের পাশের দোকানে প্রায়ই আরব নারী পুরুষের চলাফেরা বেশ লাগে – আরব নারী পুরুষ আসলেই ভীষন সুন্দর। মাখনের মত গায়ের রঙ, পর্যাপ্ত হাইট – মেয়েরা প্রায় পাঁচ ফিট পাঁচ /ছয় বা সাত আর ছেলেরা পাঁচ আট বা নয় বা তার চাইতে বেশী। মেয়েরা প্রায়ই মিডি টাইপের জামা, ফুল হাতা টি শার্ট টাইপ গেঞ্জি আর মাথায় হিজাব। চোখে ঘন কাজল আই শেডো সহ ধরনের কসমেটিক্সের ব্যবহার করবেই। ভালোই লাগে। এদের চোখ আরো সুন্দর। আমার সাথে নেভিটাসে মিয়ামি নামের এক লেবানিজ মেয়ে আছে। ওর ছাব্বিশ বছর বয়েস। তিন বাচ্চার মা সে। ওর চুল সোনালী আর কালোর মিশেল। গায়ের রঙ ভীষন সুন্দর। খুব ফ্যাশনেবল। আমি জিজ্ঞেস করলাম তিন বাচ্চা নিয়ে তুমি এতো মেনেজ করো কিভাবে ?
সে বলে – আরে আমি শুধু চোখই সাজাই। আর চুল গুলো কালার করেছি বলে চুলে হাত বোলালো । বুঝলাম সে আসলেই ভীষন সুন্দরী।

ছেলেরা প্রায়ই দাড়িসহ ভীষন সুপুরুষ। এখানে ওরা বেশ ভদ্র। আরব পুরুষদের দুর্দান্ত বদনাম আছে। জানিনা এখানের এরা এমন কিনা। মাঝে মাঝে দেশের জন্য মন কেমন করে। আমার মা বাবা ভাই বোন আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব কলিগ সবার জন্যই মন কেমন করে। যে জব করতাম সে জবের জায়গাটার জন্যেও ভীষন মায়া লাগে।
তবু
‘আমার হারিয়ে যাবার মানা নেই। – সত্যিই মানা নেই –
কিন্তু মানুষের শিকড় থাকে গভীরে, অসীমের পানে ছেড়ে দিলেও সে তার মূলে ফিরে আসে। আমার শিকড় কোথায় ? আমাদের শিকর কোথায় !! সে মাটির গভীরে আরো গভীরে প্রোথিত –
আহা মাটি আমার সে সোনার চেয়েও খাঁটি —

14

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ১৪ (সমাপ্ত)

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই সেই দেশের জাতীয় পশু, জাতীয় মাছ, জাতীয় পাখি ইত্যাদি প্রাণী নির্বাচন করা আছে।
আমাদের বাংলাদেশে যেমন আছে-
জাতীয় পশু – রয়েল ব্যাঙ্গল টাইগার।
জাতীয় মাছ – ইলিশ।
জাতীয় পাখি – দোয়েল।
জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী – শুশুক।

এই চারটি আলাদা-আলাদা ক্যাটাগরির জীবকে একসাথে বুঝানোর জন্য আমরা বলছি “জাতীয় প্রাণীসমূহ”

প্রতিটি পর্বে ১০টি দেশের প্রাণীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো, সেই ধারাবাহিকতায় আজ শেষ ৭টি দেশের প্রাণীদের হাজির করেছি। আসুন পরিচিতো হই তাদের সাথে।

১২৯। যুক্তরাজ্য (United Kingdom)
সিংহ (Lion)

ইউরোপিয়ান রবিন (European Robin )

(হরিণ) Red Deer

লাল শিয়াল (Red Fox )

মুক রাজহাঁস (Mute Swan)

Unicorn (কাল্পনিক)

বুলডগ (Bulldog)

লাল চিল (Red Kite)

১৩০। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ঈগল (Bald Eagle)

আমেরিকান বাইসন (American Bison)

১৩১। উরুগুয়ে Uruguay
Rufous Hornero (বাংলা নাম জানা নেই)

১৩২। ভিয়েতনাম Vietnam
বাঘ (Tiger)

মহিষ (Water Buffalo)

ড্রাগন (Dragon)

১৩৩। ভেনেজুয়েলা Venezuela
Turpial (বাংলা নাম জানা নেই)

১৩৪। জাম্বিয়া Zambia
ঈগল (African Fish Eagle)

১৩৫। জিম্বাবুয়ে Zimbabwe
এ্যান্টিলোপ (Sable Antelope)

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত

কবি অথবা সার্কাসের জোকার

কবিতা সবার পড়ার দরকার নাই। আমি অনেককে চিনি জানি যারা স্কুলের বই ছাড়া আর কোন কবিতা পড়েন নাই এবং তারা দিব্যি ভালো আছেন। আমার থেকে ভালো আছেন। তাই, সকলের কবিতা পড়ার দরকার নাই। সাধারণ পাঠকের কোন দায় ও দরকার নাই কবিতা পড়বার। কবিতার যে অত গভীরতা সেটা আর কে বুঝবে কবি ছাড়া। সত্যি কথা বলতে, আমি কিছু কিছু কবিতা সাধারণ পাঠকের জন্য লিখি না। কেবল কবিদের জন্যই লিখি। আমার তো মনে হয়, যিনি কবিতা লিখেন একমাত্র তিনিই কবি নন, যিনি কবিতা পড়তে জানেন তিনিও কবি। কেননা, সবাই কবিতা পড়তেও জানেন না।

কবিতার মধ্যে বিষণ্ণতা থাকে, কিন্তু যখন আমি লিখছি তখন আমার মন ভালো থাকে। কবিতার এই দ্বি-মুখী আচরণটা তো একজন সাধারণ বা গণ পাঠক ধরতে পারবেন না। ধরতে পারার কথাও না। রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতার কয়েকটা লাইন পড়ার পরে আমার যদি মনে হয় এই বিচ্ছেদটা আমার, কবি আমার জন্যই লিখেছেন; তাহলে সেটা পাঠ করে আমি আমার তৃপ্তি টুকোই কেবল পাব। কবি যে সত্ত্বা থেকে লিখেছেন সেটা পাব না। সেটা পেতে হলে আমাকে কবিতার মধ্যে ঢুকে যেতে হবে, কবিতার শব্দ অক্ষর অলিগলি ঘুরে পৌঁছে যেতে হবে রবীন্দ্রনাথের বেডরুমে। লাবণ্যকে বিদায় জানিয়েছে অমিত, কিন্তু সেই অমিতকে ধারণ করতে কবির যে কষ্টটা হচ্ছে সেটা অনুভব করতে হবে।

ডেসডিমোনাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পরে ওথেলো তো আত্মহত্যা করে মুক্তি পেয়ে গেল কিন্তু দুই দুইটা খুন করে শেকসপিয়রের যে অপরাধ-বোধ নেই সেটা কে বলবে? সেই যন্ত্রণাটা অনুভব করতে হবে না প্রিয় পাঠক?
প্রেমের কবিতা যিনি লিখেন তিনি নিজে কতটা অপ্রেমে আছেন সেটা আগে অনুভব করতে হবে-
ক্ষুধার কাব্য যিনি লিখেন তিনি নিজে কতদিন না খেয়ে থেকেছেন- কত রাত তিনি নিজে জল খেয়ে কাটিয়েছেন সেটাও জেনে নিতে হবে। সাহিত্য বিচার লেখা বই না নভেল দিয়ে করা হলেও লেখকের ব্যক্তিগত জীবনকে উপেক্ষা করা একেবারেই উচিত নয়।
সবাই যদি বলেন যে,
কবির ব্যক্তিগত জীবন অচ্ছুত অস্পৃশ্য; ওটা ছোঁয়া যাবে না– তাহলে ঐ বেচারা কবিকে মরতে হবে না খেয়ে, প্রেমের কবিতা লিখতে হবে প্রেম না করেই। মৃত্যুর পরে তোমরা ব্যবচ্ছেদ করলে করবে- তোমাদের কৃপা।

রবীন্দ্রনাথ এত যে প্রেমের গান লিখেছেন তিনি নিজে কতটা প্রেম পেয়েছেন সেটাও ভেবে দেখতে হবে। কিংবা তিনি এই যে এত প্রেম পেয়েছেন, সেগুলো সত্যিই কি প্রেম? ঠিক তিনি যে রকম প্রেম চেয়েছেন সেই রকম প্রেম? মনে তো হয় না। পেলে আর এত কেন লিখবেন? যেটা পাওয়া যায় না সেটাই চাওয়া হয় কবিতায় গানে।
বলা হয়ে থাকে যে, বাংলা গানে রবীন্দ্রনাথ একই সাথে সর্বস্ব ও সর্বনাশ—
সর্বনাশের মাথায় বাড়ি দেয়ার আগে অবশ্যই অবশ্যই ভাবতে হবে সর্বনাশটা যে হলো, কেন হলো? এত আকুতি আর কারও গানে নেই কেন? রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুল-সংগীত, লালনগীতি এরপরে আমরা আর কোন গীতির নাম শুনি না কেন?
আমাদের চাহিদা কি তবে মিটে গেছে? কে মিটিয়ে দিয়ে গেল?
আমার দেখা দশ জন কবির মধ্যে আট জন কবিতা লিখতে চান না। তারা এককথায় শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে লিখেন। এবং সেগুলো গার্বেজ ছাড়া আর কিছুই না।

এইবার, কবির কথা বাদ দিলে আমাদের কথা অর্থাৎ পাঠকের কথা ভাবতে হয়।
পাঠক কারা? যারা পড়েন তারা সবাই কি পাঠক?
যিনি দুই-চারটা কবিতা লিখে ফেললেন তিনিই কি কবি? হাজার হাজার কবিতা লিখে রেকর্ড করতে পারলেই কি তিনি কবি?
ধরুন, কোন একটা কারণে আপনার মনটা বেশ ভারী হয়ে আছে। একটা খাতা কলম টেনে কয়েকটা লাইন লিখলেন। তারপর আপনার মনে হলও যে, “নাহ ! খারাপ হয়নি”।
খারাপ যে হয়নি সেটা তো আপনিই বুঝলেন, কিন্তু কি হয়েছে সেটা কি জানেন? আপনি কি এটাকে কবিতা বলেই ভেবে নিয়েছেন? যদি ভেবে নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার এই কবিতার পাঠক হবে তারাই যারা ঐভাবেই নিজেদের পাঠক ভাবেন।
আজকাল এই যত্রতত্র কবি গজিয়ে ওঠার দায় আর কারও নয়, কেবল ও একমাত্র পাঠকের।

কবিতা তো আসলে চাইলেই কেউ লিখে ফেলতে পারে না, সেটা একটা নিজস্ব কিছু, নিজের মধ্যে ধারণ করার মত।
সবাই প্রেম করছে – প্রেমিকা নিয়ে হাত ধরে ঘুরছে তাহলে আমারও একটা প্রেম করা দরকার; এটা ভেবে নিয়ে কাউকে ভালোবাসার কথা বললে সেটা যেমন শুধু প্রেমই হবে ভালোবাসা হবে না, তেমনি সবাই লিখেছে বলে আমিও লিখব এবং খারাপ তো লিখছি না, এটা ভেবে লিখলে আসলে সেটা সত্যিই হিজিবিজি ছাড়া আর কিছুই হবে না।
ভালো যেমন সবাই বাসতে পারে না, দুই একজন পারে। বাকীরা প্রেম করে, রিলেশনশিপ করে। তেমনি কবিতাও সবাই লিখতে পারেন না, এক আধজন পারেন বাকীরা খিস্তিখেউড় করেন।

কবিতা কেন লিখতে হয়, কিভাবে লিখতে হয়, কতটুকু লিখতে হয় এসব যেমন ভাববার কোণ বিষয় নয়, তেমনি না ভেবেও লেখা উচিত না। আপনি আপনার কবিতার আয়ু কতটা চান সেটা আপনার ফুসফুসের দমের উপরেই নির্ভর করে।

এত এত কথা কেন লিখলাম সেটা একটু বলা উচিত। আমার এই বালখিল্য-পনা তো কেউ শুনতে বা পড়তে চায় নি। অনেক গার্বেজ তো লিখে ফেলেছি। আসলে এতকিছু লিখলাম কারণ, প্রায় দুই দিন ধরে একটা কবিতা লেখার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ফলাফল লবডঙ্কা।

আপনারা যারা বই-টই বের টের করছেন, তারা একটু বলবেন, কার পয়সায়? নিজের নাকি প্রকাশকের?
আমি তেমন বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কবিতা লিখি না। লেখালেখি করে দেশটাকে পালটে দেয়ার মত মহৎ কোন ইচ্ছে আমার নেই। আমি লিখি কারণ আমার লিখতে ইচ্ছে করে। মন খারাপ থাকলে লিখি, মন ভালো থাকলেও লিখি।
আপনারাও লেখেন, আপনাদের লেখাগুলো পড়ি। ভালো লাগলে জানাই। ভালো না লাগলেও মাঝেমধ্যে জানাই।
আপনারাও আমার লেখা পড়েন, ভালো লাগলে হাতে তালি দিবেন আর খারাপ লাগলে জানাবেন- সার্কাসের জোকার না হয়ে আর থাকতে পারলাম কই?


পুনশ্চঃ কবির মাহাত্ম্য দেখাতে গিয়ে এখানে সার্কাসের জোকারকে কোনভাবেই হেয় করা হয়নি। কেবল সঙ সাজা যে কবিদের সাজে না সেটাই লেখা হয়েছে। ক্লাউন নিশ্চয়ই একটি অন্য প্রাণ। জোকারের মূল্যও কোনো অংশেই কম নয় ।

————————-
কবি অথবা সার্কাসের জোকার
@জাহিদ অনিক

ব্যাস্ততা এবং ল্যাপটপের ধীর গতি

আজ সকালে অনেক দূর গিয়েছিলাম ব্যাক্তিগত কাজে। ফিরেছি রাত ৯টায়।
তারপর একটি কবিতা আবৃত্তির ডিরেকশনের কাজ করলাম ভোর ৪ টা পর্যন্ত।
এদিকে ল্যাপটপে ইদানীং ঝামেলা হচ্ছে, ধীর গতিতে কাজ করছে তাই এতো সময় লাগলো।
অবশ্য ঈ স্ক্যান সরিয়ে ঈ সেট আন্টি ভাইরাস নিয়েছি।
কাল দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত একটি সাহিত্য আসরে থাকবো।
দস্যু ভাইয়ের পদ্ম ফুলের পোষ্ট পর্যন্ত পড়া আছে বাকিগুলো আমার হিসেব করা আছে।
কাল রাতেই বাকি সব পোষ্ট পড়ে নেবো। একদিনে ১৫ টার বেশী পোষ্ট আসে না।
আজ এবং আগামীকাল শব্দনীড়ে থাকতে পারছি না বলে আন্তরিক ভাবে দুঃক্ষিত!

13

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ১৩

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই সেই দেশের জাতীয় পশু, জাতীয় মাছ, জাতীয় পাখি ইত্যাদি প্রাণী নির্বাচন করা আছে।
আমাদের বাংলাদেশে যেমন আছে-
জাতীয় পশু – রয়েল ব্যাঙ্গল টাইগার।
জাতীয় মাছ – ইলিশ।
জাতীয় পাখি – দোয়েল।
জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী – শুশুক।

এই চারটি আলাদা-আলাদা ক্যাটাগরির জীবকে একসাথে বুঝানোর জন্য আমরা বলছি “জাতীয় প্রাণীসমূহ”

প্রতিটি পর্বে ১০টি দেশের প্রাণীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো, সেই ধারাবাহিকতায় আজ আরো ৮টি দেশের প্রাণীদের হাজির করেছি। আসুন পরিচিতো হই তাদের সাথে।

১২১। সুইডেন Sweden
সিংহ (Lion)

চমরি গাই (Elk)

১২২। তাইওয়ান Taiwan
কালো ভালুক (Formosan Black Bear)

নীল ম্যাগপাই (Formosan Blue Magpie)

১২৩। থাইল্যান্ড Thailand
থাই হাতি (Thai Elephant)

১২৪। টোগো Togo
জলহস্থী (Hippopotamus)

১২৫। তুরস্ক Turkey
ধূসর নেকড়ে (Grey Wolf )

১২৬। ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
Scarlet Ibis (বাংলা নাম জানা নেই)

Rufous-vented Chachalaca (বাংলা নাম জানা নেই)

১২৭। উগান্ডা Uganda
Grey Crowned Crane (বাংলা নাম জানা নেই)

১২৮ United Arab Emirates
বাজ পাখি (Peregrine Falcon)

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত

ফরিদ সাহেবের রোজনামচা

ফরিদ সাহেব এখন অবসর জীবন যাপন করছেন। এতদিন সরকারি চাকরি করে ক্লান্ত হয়ে হাত পায়ে যখন নানা উপসর্গ যেমন গিরায় গিরায় ব্যথা, মাজায় ব্যথা দেখা দিচ্ছিল তখন একেবারে সময় মত এলপিআরের অফিস অর্ডার পেল। বাংলাদেশের একেবারে দক্ষিণে সাগর উপকূল ছাড়িয়ে সুন্দরবনের ধারে মংলায় সুন্দর মনোরম পরিবেশে জীবনের অনেকগুলি বছর কাটিয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দোতলার বারান্দায় বসে বাসার বাম দিকে মংলা নালা আর পশ্চিমে একটু দূরে পশুর নদী এবং সামনে একটু ডানে সুন্দরবনের অবারিত সবুজ সেই সাথে পাখপাখালির কিচিরমিচির শুনে শুনে সুখেই কাটিয়ে দিয়েছে দিনগুলি। অবসর পেয়ে পৈত্রিক বাড়ি ঢাকায় এসে ঢাকা শহরের অন্ধ গলির পাশে বন্ধ অন্ধকার বাড়িতে হাঁপিয়ে উঠছিল। এতদিন যখন ঊর্ধ্বতন কর্তার নানা রকমের হুকুম তামিল করা, সরকারি নানা ধরনের কাজকর্ম দেখাশুনা করা এবং অধস্তনদের নানা রকম সমস্যা নিয়ে তা নিরসনের জন্য জটিল ভাবনায় ব্যস্ত থাকত সেখানে এখন সারাদিন শুয়ে বসে শুধু শুধু গায়ে গতরের ওজন আর সর্বাঙ্গের ব্যথা বাড়ান ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। এমনি এক সময় মেঝ মেয়ে একদিন মা বাবা আর বোনদের ডেকে বেশ আনন্দের সাথে জানাল তার একটা চাকরি হয়েছে। ভাল পদ, ভাল বেতন তবে থাকতে হবে একেবারে প্রত্যন্ত এক উপজেলায়।

বাহ! বেশ ভাল কথা!
হ্যাঁ আব্বু আমিও এমনি একটা চাকরি খুজছিলাম। এখানে বছর দুয়েকের অভিজ্ঞতা নিয়ে এলে আমার পরের ডিগ্রিটা নেয়া হবে। ওতে প্র্যাকটিকাল এক্সপেরিয়ান্সের দরকার।
বেশ ভাল হয়েছে, তাহলে জয়েন করে ফেল। জয়েন করার লাস্ট ডেট কবে?
এইতো সামনের ১৭ তারিখ কিন্তু তোমরা আমার সাথে যাবে না?
তোমরা কারা?
মা আর তুমি!
হ্যাঁ যাব। আমরা গিয়ে তোমার থাকা রান্না খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়ে আসবইতো
না শুধু দিয়ে আসলেই হবে না, আমার সাথে ওখানে থাকতে হবে
থাকতে হবে? বল কি! এই দুই বছর ওখানে থাকতে হবে?
এখানেই বা কি করবে? এখানে তোমার কি কাজ?
ফরিদ সাহেব ভেবে দেখল মন্দ কি? এখানে বসে বসে হাড়ে ঘাস গজাবার সময় হয়ে গেছে
কিন্তু বাবা তোমার মা না হয় তোমার রান্না বান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকবে কিন্তু আমি কি করব? আমার সময় কি করে কাটবে ওই অজ গ্রামে?
তুমি চিন্তা করোনা আব্বু আমি তোমার জন্য একটা অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করে দিব
কি ব্যবস্থা করবে, কোথায়?
আহা আগে চলইনা তখন দেখব কি করা যায়!
বেশ চল।

সুনামগঞ্জের আগাম টিকেট করা হলো। সুনামগঞ্জে নেমে আবার পাশের এক উপজেলায় যেতে হবে। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যা যা সাথে নেয়া দরকার বা কোচে যেতে যা যা নেয়া যায় সেগুলি বাঁধাছাঁদা করে শুভক্ষণে শুভ লগ্নে রওয়ানা হলো। বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌঁছে আবার একটা সিএনজি নিয়ে চাকরীস্থলে পৌঁছল। প্রথমেই থাকার জন্য একটা হোটেলে আশ্রয় নিয়ে বের হলো খাবার সন্ধানে। আশেপাশে বেশ কয়েকটা রেস্টুরেন্ট দেখে একটায় ঢুকে পরল। খাবার পাট সেরে এলাকাটা ঘুরে ফিরে দেখার জন্য রিকশায় উঠে বসল। চারদিকে হাওরে থৈ থৈ পানি, দূরে ভারতের মেঘালয় পাহাড় ছায়া ছায়া দেখা যায়। বেশ সুন্দর এলাকা। ছোট্ট উপজেলা শহর ঘুরে আসতে বেশিক্ষণ লাগল না।
পরদিন কাগজপত্র নিয়ে জয়েন করার জন্য মাঝু অফিসে চলে গেল। জয়েন করে অফিসের বস আর কলিগদের সাথে আলাপ পরিচয় হলো। সবাই জানতে চাইল কোথায় উঠেছেন?
হোটেলের নাম বলতে সবাই চিনতে পারল। সাথে মা বাবা এসেছে জেনে সবাই অবাক হলো।
বলেন কি আপনি কি একই মেয়ে?
না না আমার বড় আর ছোট দুই বোন আছে ঢাকার বাড়িতে।
ও তাহলে আপনি বুঝি বাবা মার খুব প্রিয় মেয়ে?
তা একেবারে অস্বীকার করা যাবে না তবে বাবা রিটায়ার্ড মানুষ তাই মা বাবাকে নিয়েই এসেছি তাছাড়া বাবা মা আমাদের তিন বোনকেই খুব স্নেহ করেন। কখনও কোথাও একা থাকিনি তাই একা আসতে দিতে রাজি হয়নি। ওনারা না এলে আমার এখানে জয়েন করা হতো না।
বেশ ভাল কথা। তাহলে এখন আপনার জন্য একটা ভাল বাসা খুঁজতে হয়।
বস সবাইকে ডেকে মেয়ের জন্য একটা বাসা দেখতে বলে দিল। একজন বলল
আপা কাছেই একটা সুন্দর বাসা আছে চলেন বিকেলে যেয়ে দেখবেন। কাছেই, আপনি হেটে অফিসে আসতে পারবেন।
হ্যাঁ যাব, সাথে আব্বু আম্মুকেও নিয়ে যাব।
বিকেলে অফিস সেরে মেয়ে তার এক কলিগকে সাথে নিয়ে হোটেলে উপস্থিত। পরিচয়ের পালা শেষ করে বলল
চল, আব্বু আম্মু দুইজনেই চল মনির ভাই একটা বাসা দেখাতে নিয়ে যাবে। কাছেই, হেটেই যেতে পারব।
চল।

বাসা দেখে খুবই ভাল লাগল। এত তাড়াতাড়ি এমন জায়গায় মেয়ের অফিসের এত কাছে এত সুন্দর বাসা পাবে ভাবতেই পারেনি। তিন রুম, বারান্দা, দুই টয়লেট তাতে আবার টাইলস বসান। উপজেলা শহরে এমন বাসা! চমৎকার! ঢাকার তুলনায় ভাড়া এত কম যে ভাবাই যায় না! তবে সমস্যা হলো এখানে রান্নার গ্যাস নেই। অবশ্য লাকড়ি দিয়ে রান্নার জন্য খুবই সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। বেশ বড়সড় রান্না ঘর আর তার এক পাশে টেবিল সমান উঁচুতে দুইটা লাকড়ির চুলা, উপরে এক্সাস্ট ফ্যান আর লাইটের ব্যবস্থা রয়েছে, চুলার নিচে আবার বেশ কিছু লাকড়ি রাখা যায়। ওরা সবাই এমন ব্যবস্থা দেখে অবাক হলো। এর আগে কোথাও এমন ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। বাসায় ঢুকতে রাস্তার মুখে পাশেই আবার এলপি গ্যাসের বোতলের দোকানও দেখেছে একটা। মনির সাহেব জানাল এখানে রান্নার লাকড়ির দাম বেশ সস্তা। লাকড়িতেই রান্না বান্না হবে তবে জরুরী কাজের জন্য একটা সিলিন্ডার রাখলেই হবে। ব্যাস আর কি! বাড়িওয়ালার সাথে ভাড়া ইত্যাদি নিয়ে আলাপ সেরে পাকা কথা হয়ে গেল। ঢাকার মত কোন অগ্রিম দেয়ার ঝামেলা নেই। আগামী কাল ধোয়া মুছা করে তার পরেরদিন বাসায় উঠবে এমন কথা হলো। যথা সময়ে হোটেল ছেড়ে বাসায় এসে উঠল। এবারে ছুটল হাড়ি পাতিল, রান্নার আয়োজন, বিছানাপত্র ইত্যাদি কেনাকাটা করতে। বাল্ব, ফ্যান, বাসন পেয়ালা, চামচ খুন্তি, রুটি বানাবার বেলন পিড়ি, দাও বটি, তোষক জাজিম বালিশ মশারি কম কিছুতো লাগে না! ছোট শহর বলে হাতের কাছেই সব পাওয়া যায়। একটা নিয়ে এসেই শুনে আর একটা আনতে হবে। আবার ছুটল। আবার ছুটল। আবার ছুটল। এবারে মোটামুটি থাকার মত একটু ব্যবস্থা হলো। মাঝুর মা ডাল, আলু ভর্তা ভাত রান্না করল। আস্তে আস্তে খাট, ডাইনিং টেবিল চেয়ার ফ্রিজ সহ আরও অনেক টুকি টাকি কেনা হচ্ছে একে একে। প্রায় প্রতিদিনই তিন চারবার করে মাঝুর বাবাকে বাজারে যেতে হচ্ছে। কাছে বলে হেঁটেই যায় আবার হেঁটেই আসে। তবে মাঝুর বাবা ফরিদ সাহেব মাছ কিনতে পারেননা বলে দেখে শুনে মাছ কেনার জন্য মাঝুর মা তার সাথে যায়। এখানে এসে এত সব কিছু সুবিধা হলে কি হবে হাউজ এসিস্ট্যান্ট বা কাজের মানুষ সখিনা কিংবা আবদুল কাওকে পাওয়া যাচ্ছে না মোটেই।

এদিকে ফরিদ সাহেব এখানে আসার আগে যেমন করে ভেবেছিলেন ওখানে যেয়ে আমার সময় কাটাব কি করে! আসলে দেখা যাচ্ছে কোথা দিয়ে যে তার দিনগুলি কেটে যাচ্ছে তা টেরই পাচ্ছেন না। যেমন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই মাঝুর মা মধুর কণ্ঠে আবদার করেন: শোন আমিতো আটা মাখাচ্ছি তুমি একটু সিংকের বাসন পেয়ালা গুলি ধুয়ে দাও না!
বেশ ধুয়ে দিচ্ছি। এই নাও তোমার সিংক খালি করে দিলাম।
বাহ! বেশ কাজ করেছ এবার এক কাজ করতে পারবে?
কি কাজ?
যা গরম পরেছে রান্না ঘরে মোটেই টিকতে পারছি না ওদিকে মাঝুর অফিসে যাবার সময় হয়ে এলো তুমি রুটি গুলি বেলে দাও আমি সেঁকে নিচ্ছি।
আচ্ছা দাও আমিই বেলে দিচ্ছি
এই ভাবে কেউ রুটি বেলে! এ তো বাংলাদেশের মানচিত্র বানিয়েছ! সারা জীবন ভরে কি শিখেছ? কিচ্ছু শিখলে না! রুটিও বেলতে পার না!
বাংলাদেশের মানচিত্র রুটি বেলা এবং সেঁকা হয়ে গেল। ফরিদ সাহেব এসে একটু বারান্দায় দাঁড়াল। বাইরে ডোবার পরে রাস্তা। রাস্তা দিয়ে বাস, লেগুনা সিলেট সুনামগঞ্জে যাচ্ছে আসছে তাই দেখছে। এর মধ্য এবার আর এক আবদার রেডি। রান্না ঘর থেকে মধুর ডাক ভেসে এলো, তুমি কোথায়? শুনছ এদিকে একটু আস না!
ওমনিই ফরিদ সাহেব এসে হাজির।
বল কি জন্য ডেকেছ
পেঁপে ভাজি করেছি এবার ডিম ভাজতে হবে, মাঝুতো পোচ খায় না ওর জন্যে একটা ডিম ভেজে দিই কি বল!
দাও, এজন্যে আবার আমাকে ডাকছ কেন?
একটু মিষ্টি হেসে, দুইটা পিয়াজ মরিচ কেটে দাওনা!
বেশ দিচ্ছি।
আহা করছ কি? এই এত মোটা করে কেউ মরিচ কুচি করে? আরও পাতলা করে কাট।
ডিমের পোচ এবং অমলেট হয়ে গেল, রুটিতো আগেই হয়ে গেছে। এবার মাঝু রেডি হয়ে টেবিলে এসে বসল। সবাই এক সাথে নাস্তা করছে।
শুনছ চা টা একটু ঢেলে আনতে পারবে? ওখানে দেখ চায়ের কাপ রেডি আছে
কথাটা শুনে মাঝু জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে মার মুখের দিকে তাকাল, আব্বুকে বলছ কেন, আমি আনতে পারি না?
থাক না তোমার আব্বু খুব ভাল চা বানাতে পারে।
সবার নাশতা এবং চা পর্ব শেষ হলো। মাঝু অফিসে চলে গেল।

তুমি আবার এগুলি ধোয়ার চেষ্টা করবে না সেই আজানের সময় উঠেছি আমি একটু গড়িয়ে নিয়ে আসছি।
মাঝুর মা বললে কি হবে মাঝুর বাবা রান্না ঘরে গিয়ে নাশতার বাসন পেয়ালা চায়ের কাপ সব কিছু ধুয়ে রেখে আসল। একটু পরে মাঝুর মা বলল বাজারে যেতে হবে। দেশী মুরগি পেলে আনবে আর সবজি, কাঁচামরিচ টমেটো আনবে আর চিংড়ি মাছ পেলে নিয়ে আসবে একটু ভর্তা বানাব।
মাঝুর বাবা আবার দুইটার বেশি সদাই হলে কোনোদিনই মনে রাখতে পারে না তাই স্লিপ প্যাড আর কলম নিয়ে লিখে নেয়ার জন্য আবার ডাইনিং টেবিলে বসল।
কি কি যেন বললে আবার বল না!
আচ্ছা তুমি কি কাজের মানুষ নাকি যে তোমাকে লিখে নিতে হবে? যা যা পাবে যা ভাল লাগবে নিয়ে আসবে।
না মানে ভুলে গেলেতো আবার যেতে হবে তাই লিখে নিয়েই যাই না কেন। তাছাড়া লিখতে পারি আর তা কাজে লাগাব না?
বাজারে থাকতেই মাঝুর বাবার পকেটে মোবাইল ফোন বেজে উঠল।
হ্যালো, কি ব্যাপার? আর কি লাগবে?
শোন, দেখতো লাউ আছে নাকি বাজারে!
না লাউতো দেখলাম না
চিংড়ি মাছ পেয়েছ?
হ্যাঁ নিয়েছি
আচ্ছা চলে আস তাহলে, রিকশায় এসো হেটে আসবে না কিন্তু
আচ্ছা দেখি।
বাজার থেকে ফিরে এসে দেখে মাঝুর মা রান্না ঘরে রান্নার আয়োজন করছে।
এই যে দেখ তোমাকে তখন নিষেধ করলাম বাসন পেয়ালা ধুবে না কিন্তু দেখ কি করেছ!
কি করেছি?
এই যে দেখ ডিমের প্লেটে যেমন তেল ছিল ওমনিই রয়ে গেছে
ও তাই নাকি?

তোমার ধোয়া এমনই হয় মনে হয় সখিনারা ধুয়েছে, তোমাকে দিয়ে কোন কাজই হবে না কি করে যে চলেছ এতদিন!
আরে ঠিক আছে কেউতো আর দেখছে না! চালিয়ে দাও না! এত এমন করছ কেন? আমিতো তোমার একটু আয়েশের জন্যেই চেষ্টা করেছি!
থাক এমন আয়েশের দরকার নেই, এগুলি আমাকে আবার ধুতে হবে, বুঝেছ?
তখনকার ঝর মোটামুটি ওখানেই থেমে গেল। আবার দুপুরে বাথরুম থেকে ডাকাডাকি।
কি হলো?
শোন এই কাপর গুলি ভাল করে ঝেরে বারান্দায় শুকাতে দাও
আচ্ছা দিচ্ছি।
গোসল সেরে এসে মাঝুর মায়ের আর এক দফা সুবচন প্রক্ষেপণ শুরু হলো
তোমাকে বললাম ভাল করে ঝেরে শুকাতে দিতে আর একি করেছ? কাপড়গুলা ঝাড়তে পার না?
আহা ইস্ত্রি করে নিলেই হবে এতে এত অস্থির হবার কি আছে?

থাক আর সাফাই গাইতে হবে না এখন যাও মেয়ের লাঞ্চে আসার সময় হয়েছে রান্নাঘর থেকে ভাত তরকারি পেয়ালায় বেরে টেবিলে নিয়ে আস আমি নামাজ পড়ে আসছি।
আবার বিকেল বেলা। শুনছ! বারান্দা থেকে শুকানো কাপড়গুলা নিয়ে এসে খাটে রাখ ভাজ করতে যেও না আবার। আমি ভাজ করব। কাপড় আনা হলে জানালা গুলি বন্ধ করে মশার কয়েল জ্বালিয়ে ওঘর থেকে কয়েকটা ছোট শুকনা লাকড়ি রান্না ঘরে এনে রাখ দেখি রাতের জন্য ভাত রান্না করতে হবে।
রাতের খাবার হয়ে গেল।
শোন, তরকারি গুলি বাটিতে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারবে?
হ্যাঁ তা আর পারব না? দাড়াও রাখছি।
বেশ রেখে আস।
ফরিদ সাহেবের অবস্থা এমনিই চলছে।
একদিন ফরিদ সাহেব মেয়েকে বলল বাবা তুমি না বলেছিলে আমাকে একটা অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করে দিবে, মনে আছে?
থাকবেনা কেন?
তাহলে ব্যবস্থা করছ না কেন?
এ আবার নতুন করে কি করব! তুমি একটা জব করছ না?
সে আবার কি করছি?
কেন আম্মুর আবদুলের কাজটা করছ না?

এখনও কারো পোষ্টে যান নি

আজ কবিতা বা গল্প নয় একটি ভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করতে চাই। আমাদের মাঝে ভুলবোঝা-বুঝি না হওয়ার প্রয়াসে এই লিখা। শব্দনীড়ে আমি নতুন তাই এখানকার প্রতিটি অপশন ক্লিক করে দেখতে গিয়ে একটি বিষয় চোখে পড়েছে তাই শেয়ার করছি।

শব্দনীড়ে কিছু কবি/লেখক আছেন যাঁদের ব্লগে গেলে “কোথায় ঘুরে এলেন” নামক স্থানে দ্যাখা যায় “এখনও কারও পোষ্টে যান নি“।
স্বাভাবিক ভাবেই বিভিন্ন প্রশ্ন জাগতে পারেঃ

১) কেনো অন্যের পোষ্ট পড়েন না?
২) অন্যের লেখাকে কি গুরুত্ব দেন না?
৩) তাহলে কি উনারা অহঙ্কারী?

অথবা আরও অন্য কিছু।

ব্যাপারটি আমার কাছে তেমন কিছুই মনে হয় নি বরং মনে হয়েছে ভিন্ন কিছু যা পজিটিভ বটে! আমি নতুন হিসেবে এটা আমার চোখে একটু ভিন্ন মনে হতে পারে কিন্তু পুরাতন হয়তো অনেকেই ব্যাপারটা জেনে থাকবেন আমি এখন যেটা বলবো।

তার আগে উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তরগু্লো দেয়া যাকঃ
১) সবার পোষ্ট পড়েন
২) অবশ্যই যথাযথ গুরুত্ব দেন
৩) না। উনারা মোটেই অহংকারী নন

আমার কাছে মনে হয়েছে উনারা প্রত্যেকের লিখাই পড়ে থাকেন তবে লগ আউট করে অফ লাইনে পড়েন। যেহেতু অফ লাইনে পড়েন এবং তা আপনাকে বুঝতে দিতে চান না তাই লিখিত মন্তব্যও করতে পারেন না তবে উনারা লেখা পড়েই বুঝতে পারেন তাই মন্তব্য উনাদের মনের মাঝেই থেকে যায়। হয়তো এটা উনাদের একটা কৌশল (ধনাত্মক বটে) যা আপাতত আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব হয় নি। আমার কাছে আরও মনে হয়েছে উনারা যথেষ্ট গুণী কবি ও লেখক।

আমি আগেই বলে নিয়েছি, উনারা যে অফ লাইনে পড়েন তা অনেকেই হয়তো জেনে থাকতে পারেন। কারও পোষ্টে যাক বা না যাক, মন্তব্য করুক বা না করুক। লেখক হিসেবে অন্য কোনও কবি/লেখক কে হালকা ভাবে নেয়ার অবকাশ থাকা কাম্য নয়!

শুভকামনা ও শুভেচ্ছা শব্দনীড়ের সবাইকে।

দু’ডানার শাদা বক

দু’ডানার শাদা বক

ভাদ্রমাস;তালপাকার ঘ্রাণ
ভোরের মেঘে বৃষ্টি,চড়ুই বেলার রৌদ্র-
বাতাসে পালক ওড়ায়
ঘাসপাতার আঁচলে বসুন্ধরা ও ফড়িঙের বসন্ত;
শরতের শাদা রঙ-কাশফুল যেন তাঁর
শশ্মান ডিঙ্গানো দু’ডানার শাদা বক।

আকাশ জুড়ে পৃথিবী সঙ্গতারে গান গায়
বালুতট বেয়ে পলিমাটির দেশে,
কুমারী বুড়ির ঝিঙেফুলের মাঁচা,
ঘাসফুল ও রুপসী গ্রাম।

ফেরা

দূর্ঘটনার ঊর্ধ্বে আমরা কেউ’ই নই। প্রশাসনের কাছ থেকে কতটুকু নিরাপত্তা আশা করা যায়? তাও ঘুষ প্রথাটা যদি অপ্রচলিত থাকতো। কিছুটা আশ্বস্ত হতাম। ট্রাফিক চেকপোস্ট! ট্রাফিক ক্যাম্প!! জেব্রা ক্রসিং! গতিরোধক! ইত্যাদি। ইত্যাদি। অর্ধেক মাইল দূরত্ব বজায় রেখে এসব আইন পালন করা হলেও দূর্ঘটনা (এক্সিডেন্ট) হাত থেকে রেহাই ততটা সহজ নয়। আশংকিত/অনাশাংকিত যায়গা এ্যানি প্লেস এক্সিডেন্ট চোখের পলক উঠানামা সময়টুকুর ভেতরে হয়ে যেতে পারে।
.
তাই রাস্তাঘাটে বের হওয়ার আগে আমি। আমার আম্মা আব্বার দোয়া পুঁজি করে নেই। আর যানবাহনে চলার দোয়া। কেবল এইটুকুই নিরাপদ রাস্তা দেখায়। অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারা দেয়। প্রাণ কেড়ে নেয়া তো দূরে থাক। অশুভ শক্তি পাশ ঘেঁষতে’ই পারেনা।
.
তবু মনে হয় অশুভ শক্তি গুলো ট্রাপ পেতে রাখে। উদ্দেশ্য হাসিল হতেই হবে। পাশ থেকে না হলেও দূর থেকে কোনোনা কোনো মাধ্যমে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। মাধ্যমটা হতে পারে
.
একটা অটোরিকশা (সি,এন,জি) ষাটোর্ধ ড্রাইভার বেপরোয়া ভাবে চালনা করছে। হঠাত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমার বাইকটার পেছনে কষে ধাক্কা দিলো। বাইকটা বিকট আওয়াজ করে কংক্রিটের রাস্তায় আছড়ে পড়ে। ক্ষণিক দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মোটামুটি ধরণের হয়েছে।
.
আমি নির্দোষ স্পটে জড়ো হওয়া কিছু লোক অটোরিকশা (সি,এন,জি) ড্রাইভারকে উত্তমমধ্যম দিতে যাচ্ছিলো। ড্রাইভার ষাটোর্ধ হওয়ায় উত্তমমধ্যম নিম্নমানের বিকল্প রাস্তা ধরলো। তবে সেফাত উল্লার মতো গালি না পাড়লেও জনতা তাদের সাধ্যি মতো গালাগাল দিয়ে ড্রাইভারকে একেবারে ধুয়ে দিলো।
.
অন্যদিকে কিছু লোক কুণ্ডলী পাকিয়ে আমায় দেখছিলো আর দূর থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা পিঁপড়ার দলের মতো আসতে আসতে বলছিলো, ছেলেটা…ছেলেটা কি বেঁচে আছে? আমার যতটুকু মনে পড়ে কাঁপা কাঁপা স্বরে বলছিলাম ‘আছি আমি’।
.
কয়েক মিনিট পর নিশ্চিত হলাম যে আসলেই আমি বেঁচে আছি। তারপর হাঁফ ছেড়ে বাঁচা অন্তত ‘বেঁচে আছি’ বলে আম্মা আব্বাকে বুঝ দেয়া যাবে। তারওপর পুলিশি বিপাক। কর্তব্য ঠিক করলাম বাড়ির দিকেই ফিরে যাবো।
.
দূর্ঘটনাটা আজ দুপুর দুইটার দিকে ঘটেছে। এর আগে। রাতে তানিয়া আপুর সাথে ম্যাসেঞ্জারে মৃত্যুর ব্যাপারে কথা হয়েছে। উনাকে আমি যাই বলিনা কেনো। তখনো আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম। তারপর খবর পেয়ে সকাল নয়টার দিকে একজন হিন্দু সম্প্রদায় ব্যক্তির মরদেহ দেখতে গেলাম।
.
বাসায় এসে গল্পের মতো করে ৩০০/৩৫০ শব্দের একটা স্ট্যাটাস লিখে সময় সুযোগ করে পোষ্ট দিবো বলে অনলি মি করে রেখে দিয়েছিলাম। ইভেন এখনো আছে।
.
অথচ দুপুর দুইটার এক্সিডেন্টের ভাষা ছিলো ”টাইম এন্ড টাইড ওয়েট ফর নান” আসলেই তো। সময়তো বহমান। আমি পোষ্ট করতে পারোনি তো কি হয়েছে ? অন্য কেউ করবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের যায়গায় লিখা হবে। মুসলিম সম্প্রদায়। সামনে থাকবে (মো: ………….আহমদ) পেছনে। সব’ই ঠিকঠাক হতো।
.
আবেগের বশে কিছুদিন অনুসরণ অনুকরণের মাধ্যমে অনেকে জানতে চেয়ে টুরিস্ট ভিসা ছাড়া’ই আমার টাইমলাইন ভিজিট দিতো। রিমেম্বারিং লিখাটা দেখে কেউ অনুশোচনা কেউবা অনুতপ্ত হতো। তারপর পাঁচ হাজার ফ্রেন্ড হয়ে গেলে নতুনদের আহবান জানিয়ে পুরাতন অকেজো এই আমার আইডিটা আনফ্রেন্ড করে দেয়া হতো। আশ্চর্য ব্যাপার নাহ ? আসলেই।
.
”ধ্যাত এই নাম্বারটা শুধো শুধুই যায়গা দখল করে আছে” বলে আত্নীয় স্বজন বন্ধুনান্ধবরাও কন্ট্রাক্ট লিস্ট থেকে আমার নাম্বারটা ডিলিট দিয়ে দিতো। অনেকে মন থেকে আমি নামক নামটা ইরেজার দিয়ে মুছে ফেলতো। যাদের খুব জ্বালিয়েছি যাদের কাছে আমি অপরাধী ছিলাম, তারা তখন আমার দোষগুণ বিচার করতো না, বাটখারা ছাড়াই মাফ করে দিতো।
.
কোনো জার্নালে না আসলেও আমিময় রাজ্যটা খুউব অল্পদিনেই বুঝে নিবে যে তাদের লিডার জীবন থেকে পালিয়ে বেঁচেছে। পুরো রাজ্য সহে নিবে। মানিয়ে নিবে। কেন নয়! এটাই তো নিয়ম। কর্মস্থলে আমার আসনে পুনঃনিয়োগ দেয়া হবে। আমার আসনে আরেকটা নতুন আমি আসবে।
.
মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়। তাহলে নামটা কেন বেহুদাই মানুষের মনে বেঁচে থাকবে? ”যেহেতু দেহের জন্মের পর নতুন একটা নামেরও জন্ম হয়। সেহেতু দেহের মৃত্যু হলে নামের মৃত্যু কেন নয় ”? আহা জীবন।
.
ব্যাপারটা অন্যদিকে মোড় নিয়ে লাভ নেই। যাই হোক, মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখে আসছি। মৃত্যুর দরজায় কড়া নেড়ে করিডোরে পা রাখার আগেই পড়লো পিছুটান। আশ্চর্য। স্রষ্টার এ কেমন বিধান! বুঝা বড় দায়। আলৌকিক ভাবে’ই বেঁচে গেলাম। এ এক পুনঃজন্ম। শুকরিয়া। শুকরিয়া। অশেষ শুকরিয়া সেই সত্ত্বার নিকট।
.
আবারো বলছি … ঘটন অঘটনের মধ্যেই জীবনযাপন, মনে রাখবেন ‘একটা দূর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না’। যানবাহনে আরোহণে কালে ‘সময়ের মূল্য’ রচনার কথা মনে করবেন নাহ। নাহ মোটেও নাহ।স্থান কাল পাত্রভেদে ‘সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য কিন্তু অনেক বেশী’। রাস্তাঘাটে খুব সাবধানতার সাথে চলাফেরা করবেন।
.
Sabbir

মজার রেসিপি কাচ্চি বিরিয়ানি

অনেককেই দেখছি নানান রকমারি রেসিপি লিখছেন। শাপলা (ইদানিং তাকে দেখাই যাচ্ছে না), আমার প্রিয়তমা এবং একমাত্র প্রেমিকা ইজি রেসিপি এদের এই সব মজার মজার রেসিপি দেখে আমা্রও একটু সাধ হল দেশের পাবলিক, জনগন এবং জাতির উদ্দেশ্যে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার। যেমন কথা তেমন কাজ, সাথে সাথে কলম কেঁচি হাতে বসে পড়লাম এমন একটা মজার রেসিপি লেখার জন্য। আমাকে দেখতে শান্ত সুবোধ বালকের মত মনে হলে কি হবে আমি কিন্তু আসলে অতিমাত্রায় অস্থির প্রকৃতির মানুষ। যখন যা ভাবি তা না করা পর্যন্ত স্থির হতে পারি না।
যাক, এমন কথা বললে সারা দিন ধরেই বলা যায় কিন্তু তাতে কি এমন আসে যায়? কাজে চলে আসি?
তাহলে আজ আমি একটা বিরিয়ানির রেসিপি দেই? ভয়ের কিছু নেই, নিতান্ত খারাপ কিছু হবে বলে আমি মনেই করি না। তা হলে শুরু করছি:

উপকরণঃ
১। কাচ্চি বিরিয়ানি- এক প্লেট।
২। শামি কাবাব- দুইটা কিংবা চিকেন কাটলেট হলেও চালিয়ে নেয়া যাবে।
৩। চিকেন ফ্রাই- দুই টুকরা, এর সাথে অল্প কিছু ফ্রেঞ্চ চিপস নিতে পারেন।
৪। টমাটো, শশা, কাঁচা মরিচ, পিঁয়াজ, লেটুস পাতা ও ধনে পাতার সালাদ- এক কোয়ার্টার প্লেট।
৫। মাটন রেজালা- এক পেয়ালা।
৬। এক গ্লাস বোরহানি, বোরহানি না পেলে কোক বা স্প্রাইট দিয়ে আজকের মত চালিয়ে দিন।
৭। রাইস পুডিং/আইসক্রিম/ফ্রুট কাস্টার্ড- এক বাটি।
৮। পানি- এক গ্লাস।

কি ভাবে সদ্ব্যবহার করবেনঃ
(যদি আপনি হাত দিয়ে খেতে পারেন তাহলে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন আর যদি ছুড়ি কাটা দিয়ে খাবার অভ্যাস থাকে তাহলে ডান হাতে কাটা নিয়ে শুরু করুন)
১। হাত মুখ ভাল করে ধুয়ে টেবিলে বসুন।
২। সালাদের প্লেট থেকে দুই এক টুকরা শশা কিংবা লেটুস নিয়ে চিবিয়ে খেতে থাকুন। এতে মুখে এনজাইম নিঃসৃত হবে এবং খাবার খুব সহজেই হজম হবে।
৩। একটু বোরহানি চুমুক দিন। রুচি বৃদ্ধি পাবে।
৪। প্লেট থেকে কাবাব কিংবা চিকেন ফ্রাই আপনার পছন্দ মত তুলে খেতে থাকুন।
৫। এবার একটু একটু করে বিরিয়ানি মুখে দিন। সাথে একটু সালাদ/বোরহানি নিতে পারেন।
৬। এই ভাবে কার কথায় কান না দিয়ে কিংবা অন্য কোন দিকে মনযোগ না দিয়ে আপনার সম্পূর্ণ ইচ্ছে মত খেয়ে শেষ করুন।
৭। গ্লাসের তলানি বোরহানি বা কোক এক চুমুকে শেষ করে নিন।
৮। এবার ডেজার্ট এর পেয়ালা থেকে আপনার রুচি মত যা সম্ভব খেয়ে নিন।
৯। কিছুক্ষণ পরে পানির গ্লাসে চুমুক দিয়ে পান করে নিন।

আর কিছু মনে হয় বাকি নেই তাই এবার পাশের দোকানে গিয়ে এক খিলি পান কিনে চিবুতে থাকুন। সমস্যা হলে আমাকে জানাবেন কিন্তু…………। যদি কেহ এর চেয়ে কোন উন্নত কিছু করতে চান তাহলে অনাদরে গৃহিত হবে, এব্যাপারে কোন ভাবনা করবেননা।
বিঃদ্রঃ রেসিপিটা কেমন লাগল জানাবেন, না জানালে এই পোস্ট দেখা নিষেধ।

12

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ১২

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই সেই দেশের জাতীয় পশু, জাতীয় মাছ, জাতীয় পাখি ইত্যাদি প্রাণী নির্বাচন করা আছে।
আমাদের বাংলাদেশে যেমন আছে-
জাতীয় পশু – রয়েল ব্যাঙ্গল টাইগার।
জাতীয় মাছ – ইলিশ।
জাতীয় পাখি – দোয়েল।
জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী – শুশুক।

এই চারটি আলাদা-আলাদা ক্যাটাগরির জীবকে একসাথে বুঝানোর জন্য আমরা বলছি “জাতীয় প্রাণীসমূহ”

প্রতিটি পর্বে ১০টি দেশের প্রাণীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো, সেই ধারাবাহিকতায় আজ আরো ১০টি দেশের প্রাণীদের হাজির করেছি। আসুন পরিচিতো হই তাদের সাথে।

১১১। সারবিয়া Serbia
সাদা ঈগল (White Eagle)

বাজপাখি (Falcon)

নেকড়ে (Wolf)

১১২। Seychelles
ডলফিন (Striped Dolphin)

১১৩। Saint Kitts and Nevis
ভারভেট বানর (Vervet Monkey)

১১৪। সিঙ্গাপুর Singapore
মিরলায়ন (Merlion) (কাল্পনিক)

Crimson Sunbird (বাংলা নাম জানা নেই)

Peacock bass (বাংলা নাম জানা নেই)

১১৫। সলভেনিয়া Slovenia
লিপিজেনার ঘোড়া (Lipizzaner)

Proteus (বাংলা নাম জানা নেই)

Lynx (বিড়াল জাতীয় প্রাণী)

বন্য ছাগল (Alpine Ibex)

১১৬। সোমালিয়া Somalia
ল্যাপার্ড (Leopard )

১১৭। দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)
হরিণ (Springbok)

আফ্রিকান হাতি (African Elephant)

নীল বক (Blue Crane)

১১৮। স্পেন Spain
ষাড় (Bull )

১১৯। শ্রীলঙ্কা Sri Lanka
সিংহ (Lion)

বন মোরগ (Jungle Fowl)

এক প্রকার প্রজাপতি ( Troides darsius)

১২০। Swaziland
এক প্রকার হরিণ (Thomson’s Gazelle) (বাংলা নাম জানা নাই)

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত

বিচ্ছিন্ন অনুভব

কবিতা লেখার সাধ থাকলেও সাধ্য নেই আমার। নিজেকে একজন গল্পকার ভেবেই অক্ষম আত্মতৃপ্তিতে মগ্ন থাকতে ভালোবাসি আমি। একদিন যে কোনো কারণেই হোক, ‘কবিতা’ নামের দূর্বোধ্য (আমার কাছে) প্ল্যাটফর্মে আর যাবো না ভেবে কিছু একটা লিখবার চেষ্টা করেছিলামঃ-

ছোট্ট একটি খাকি কাগজের শপিং ব্যাগ
আর হেডবিহীন একটি বল পয়েন্ট পেন
একদিন দীর্ঘক্ষণ পাশাপাশি-
গল্পকারের আসার অপেক্ষায় ছিল তারা।

গল্পকার আসবেন
শপিং ব্যাগটির বুক চিরবেন
বল পেনের অগ্রভাগ অক্ষরে অক্ষরে ছেয়ে দেবে নীরব আকাশটিকে!
এমনই ভাবছিল ওরা..

গল্পকার তখন অন্য ভুবনে একা একা
বিধ্বস্ত-বিপর্যস্ত-বিবর্ণ-বিরক্ত বীতশ্রদ্ধ অনুভবে
এক একটি ভুবন পরিক্রম করে চলেছিলেন নিজের মনে।

বিধ্বস্ত গল্পের কাঠামো দেখে তিনি বিপর্যস্ত
চরিত্রগুলির ক্রমশ: রঙ বদলানো দেখে বিবর্ণ
তার নিজ আকাশে আজ আর কোনো রঙ নেই
অক্ষরের উল্লাসের উৎসমূল মরে যাওয়ায় বিরক্ত তিনি।
একটি কবিতাও কেউ আবৃত্তি করতে চায়নি তার
বীতশ্রদ্ধ এজন্যই তিনি নিজের ‘পর।
গল্পকারকে কে কবি হিসেবে মানতে চায় বলুন?

তারপর ও..
খাকি শপিং ব্যাগ হৃদয় উন্মুক্ত করে রাখে সরবে
বল পয়েন্ট পেনটি হেড হারাবার ব্যথা লুকোয় নীরবে
গল্পকার কবিকে লুকান সন্তর্পণে
ফেলুক কবি দীর্ঘশ্বাসগুলো গোপনে।

একদিন গল্পকার কবিকে সাথে নিয়ে ফিরলেন
তখন শপিং ব্যাগটি ধুলায় মিশে গেছে
বল পয়েন্ট পেন অগ্রভাগ হারিয়ে কালিবিহীন শূণ্যতায় নি:শেষ
কোথায়ও নেই কিছু
সব চুপচাপ নিঝুম নিমগ্ন সুখে!

কবির মৃত্যু হল আজ
গল্পকার কবির মৃত কবিতা শিশুর লাশ আগলে বসে রইলেন দীর্ঘক্ষণ!!

#শেষ_কবিতা_শিশু

কবিতা/গল্প/উপন্যাস আমার অনুভবে ঠিক এভাবেই এসেছে-

কবিতা-
কবির ভাবনা
কবি যা ভাবেন তা।

গল্প-
গল্পকারের কল্পলোকে ভেসে ভেসে
পাঠকের বুঝে আসে অল্প অল্প।

আর উপন্যাস?
এক সমগ্র জীবনবোধের
পাতায় পাতায় নীরব উল্লাস!

রাজনীতি পাঠ

রাজনীতি পাঠ

সমুদ্র পাঠ করি:যেখানে বাণিজ্যতরী ঝুঁকে আছে।
মহাকালস্রোতে জলরাশির সমুদ্রতট থেকে ধূসরে গড়ানো
আধুনিক আঁকা শত পৃষ্ঠা সমান পৃথিবী-
মিউজিক শব্দের শরীরাংশে ছড়ানো বিপ্লব
সমস্ত সৌজন্যের অতীত,বর্তমান ও ভবিষ্যতের কবিতা;

এগুলো নির্ভয় বলতে পারি
ভোরের শিশু-শিল্পদের নগর
সবুজে স্নায়ুবিক পাঠশালা-
হুকবাঁধা গুজব ও গ্লানিবোধ
মুছে ফেলা শত আলোর পথ।

ভ্রুণ রাজনীতি পড়ে;
অথচ ভ্রুণের মাথায় কবিতা আসে না।
রাজনীতি গিলে খায়
ছানাছানা লাল রক্তের গণতন্ত্র,জনগণ ও নরম মাটি;
অদম্য বাড়ন্তের সন্তান!দেশ শূন্যকার-

11

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ১১

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই সেই দেশের জাতীয় পশু, জাতীয় মাছ, জাতীয় পাখি ইত্যাদি প্রাণী নির্বাচন করা আছে।
আমাদের বাংলাদেশে যেমন আছে-
জাতীয় পশু – রয়েল ব্যাঙ্গল টাইগার।
জাতীয় মাছ – ইলিশ।
জাতীয় পাখি – দোয়েল।
জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী – শুশুক।

এই চারটি আলাদা-আলাদা ক্যাটাগরির জীবকে একসাথে বুঝানোর জন্য আমরা বলছি “জাতীয় প্রাণীসমূহ”

প্রতিটি পর্বে ১০টি দেশের প্রাণীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো, সেই ধারাবাহিকতায় আজ আরো ১০টি দেশের প্রাণীদের হাজির করেছি। আসুন পরিচিতো হই তাদের সাথে।

১০১। পেরু
Vicuña (বাংলা নাম জানা নেই)

Andean cock-of-the-rock (বাংলা নাম জানা নেই)

১০২। ফিলিপাইন Philippines
Carabao (বাংলা নাম জানা নেই)

ফিলিপাইনি ঈগল (Philippine Eagle)

Bangus (বাংলা নাম জানা নেই)

১০৩। পোল্যান্ড
সাদা ঈগল (White Eagle)

Wisent (বাংলা নাম জানা নেই)

সাদা সারস (White Stork)

১০৪। পর্তুগাল
মোরগ (Barcelos Cock)

নেকড়ে (Iberian Wolf )

১০৫। Puerto Rico
গেছো ব্যাঙ (Coquí)

১০৬। Qatar
Oryx (বাংলা নাম জানা নেই)

১০৭। রোমানিয়া
Lynx (বিড়াল জাতীয় প্রাণী)

১০৮। রাশিয়া
রাশিয়ান ভালুক (Russian Bear)

ঈগল Eagle

১০৯। রাওয়ান্ডা Rwanda
আগফ্রিকান ল্যাপাড (African Leopard)

১১০। সাওদিয়া আরব Saudi Arabia
এ্যারাবিয়ান ঘোড়া (Arabian horse)

এ্যারাবিয়ান নেকড়ে (Arabian Wolf)

এ্যারাবিয়ান লালচেশিয়াল (Arabian Red Fox)

উট (Camels)

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত