হৃদমাঝারে জড়িয়ে নিও আমার আলাপন,
ঘুমের দেশেই গল্প হবে আবার কিছুক্ষন ।
ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাটলে বাঁধন,
ক্ষত হবে দুটি মন….।
বিভাগের আর্কাইভঃ অন্যান্য
The 2018 Albert Nelson Marquis Lifetime Achievement Award
Sharing a Great News for My Writer Colleagues and Readers:
“Dear Mohammad,
We are pleased to announce that Marquis Who’s Who has selected you
for our official 2018 Albert Nelson Marquis Lifetime Achievement
Award. You have been selected to receive this prestigious award as a
result of your hard work and dedication to your profession.
Congratulations!
The 2018 Albert Nelson Marquis Lifetime Achievement Award
Winners are featured on the Marquis Lifetime Achievement website
at no cost. Award recipients are entitled to a professionally written
personal narrative announcing this honor as well as your
accomplishments. The narrative comes with online distribution to all the
major search engines for higher visibility and each winner is given an
expanded biography and exclusive access to Marquis Biographies Online
(MBO), our database of more than 1.5 million of the most distinguished
professionals from around the globe. Lastly, all narratives are also offered
in a lovely custom framed display piece for the home or office.
Please take the next step in distributing your official award announcement
and reaping the benefits of this distinguished award.
We look forward to hearing from you.
Sincerely,
Selection Committee
Marquis Who’s Who”
বিদায় ২০১৭ সাল, স্বাগতম ২০১৮ সাল
অন্যান্য দিনের মতো আজকের দিনটিও বিদায় নিয়েছে কিন্তু ইংরেজি দিনপঞ্জি অনুযায়ী এ দিনটির বৈশিষ্ট্য অন্যরকম। কেননা আজকের দিনটি বিদায় নেয়ার সঙ্গে আমরা নতুন একটি বছরে পা রাখব। বিদায় নিবে ২০১৭ সাল। আগমন ঘটবে ২০১৮ সালের। নতুন বছরকে বরণ করতে ব্যস্ত বিশ্ববাসী। পুরাতনকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করা একটি সহজাত নিয়ম। তবুও আমরা প্রত্যাশা করি ২০১৭ সালের সব জরাজীর্ণ ও ব্যর্থতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে নতুন বছর সবার জন্য বয়ে নিয়ে আসুক সুখকর ও শান্তির বার্তা। সাফল্যে ভরে উঠুক সবার জীবন।
প্রিয় পাঠক পাঠিকা আমার শুভেচ্ছা নিবেন। গত ০১-০৭-২০১৩ থেকে শব্দনীড়ের সাথে আছি। চলার পথে সহলেখক হিসেবে আপনাদের সাথে আমার লেখা শেয়ার করছি। আপনাদের লেখায় মন্তব্য করেছি। মন্তব্য করতে গিয়ে কারো কারো লেখায় কড়া সমালোচনাও করেছি। এতে করে যদি কারো মনে আঘাত লেগে থাকে তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আর দোয়া করবেন যেন আগামী বছর আপনাদেরকে আরো ভালো ভালো লেখা উপহার দিতে পারি।
সবাইকে ২০১৮ সালের ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শুভ নববর্ষ।
শেষ ক’টি কদম
ঘন কুয়াশা কেটে
এগুচ্ছি শেষ ক’টি কদম ,
নির্জন…সবুজ সারি
প্রবীণ জট বাঁধা চুলে ক্লান্তি মাখা গন্ধ ,
রাতের শেষ আর্তনাদ ছুঁয়ে
বিদায় নেয় মৃত চাঁদ !
জেগে উঠে নবীন প্রস্রবণগিরি
…… নতুন সূর্য !
দা উ দু ল ই স লা ম ।
আহ! জীবন
বৃদ্ধকাল চৈত্রের বিকালের মতো বড্ড ধীর। সুর্য যেন পশ্চিম আকাশে ঢলতেই চায় না। রৌদ্রকরটিতে ঝলসে গেছে চোখ, এই আবেগ সব উচ্ছাস। তীব্রভাবে আগলে রাখা সব কিছুই আজ বেমানান। ফেলতে পারি না, রাখতেও কষ্ট হয়। পুরাতন টিনের মতো হয়ে গেছে জীবন। গলিত লাশের মতো বিদঘুটে গন্ধ ছড়াচ্ছে সম্ভাবনাময়ী আশা। আশ্রয়ের জায়গাটা সংকটময়, একটু একটু করে সরতে সরতে কবে যেন কোথায় মিলিয়ে যাব। পুরাতন টিনের মতো একদিন হয়তো জায়গা পাব বাথরুমের চালে। তারপর হয়তো একদিন সেখানেও জায়গা হবে না। অস্তমিত সুর্য দেখে হাসতে ইচ্ছা করে ভীষন, সুর্য ডুবে না ডুবে যাচ্ছে শ্বাশত মানুষ।
নফস!
জন্ম হইছে মরার জন্য। জন্মের সময় আবার ভালোবাসা নিয়ে আসছি। পৃথিবীকে ভালোবেসে ফেলছি। এখন বুঝি পৃথিবী কিছুই না। সামনে জান্নাত। নিজেকে বোঝালাম এসব কিছুই না আসল জান্নাত।
জান্নাতের জন্য তৈরি হতে গেলাম হয় না। হবে ক্যামনে নিজের সাথে নাকি নফ্স আছে। নফসকে মারলেই জান্নাতে যাওয়ার কাজ সহজ হবে। পৃথিবীতে নফসের দাপট। নফসের সাথে মারামারির খেলা খেলতে হবে! খেলতে খেলতেই একদিন আমিই শেষ। এই খেলার মাঝে অন্য খেলাও আছে। জীবনে বড় হতে হবে! একা মানুষ কত পারে!! এই ভাবে আল্লাহের কাছে কান্নাকাটি করে দোয়া করবো নফসকে উঠায় নিতে। নফসের সাথে আর খেলবো না।
লজ্জা লাগে
চৌহদ্দির ভেতর
পর্দার আড়ালে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকি
কদম বাড়ালেই হোঁচট পদে পদে।
হন্য ব্যস্ত জনপদ, মোড়ে মোড়ে পদকের বাহার, আহ্লাদী হাসি
ফুটপাতের সস্তা খাবার!… চেনা- অচেনা মানুষের ভিড়…
ম্যারাথন কথোপকথন, বাক বিতণ্ডা, কৌসুলি সমর্থন, আস্থা অনাস্থা
শুভেচ্ছা, অভিনন্দন…
কত কি ব্যবস্থা-
সন্ধ্যার ফেরিওয়ালা কে ঘিরে তেলে ভাজা পাকোড়া আর মচমচে পিয়াজুর
জমজমাট নাস্তা! আরেকটু নিন… এটা তাজা ঘি, পাস্তা… এর অনেক গুণ!
রাস্তার ওপারে ফাইভ স্টারে
দিন দিন কোলাহল বাড়ে মার্সেডিস, বিএমডব্লিও, টয়োটা কা’রে! জি হুজুর-
আসুন- বসুন– মখমলের কোলে , আলো ছায়ায়, শতরঙি কথার ছলে।…
ধিঙ্গি তালে বাহারি ঢঙে নিতি নৃত্যে, জমকালো আমোদে…
অন্তরে শাঁইজির গান।
এই রঙ্গশালা হতে অনেক দূরে- একাকীত্বের তৃষিত ধ্যান।
অদ্ভুত অস্বস্তিতে পড়া ডাহুকের মতন থেকে থেকে উঁকি দিই গোপনে-
নির্মলা পথের সন্ধানে, নির্জন বাগে…
শুনি, সদ্য প্রসূত ক’টা ব্যাঙের লাফালাফিতে শুনি পদ পদকের ঝনঝনানি,
করাল নখের আগ্রাসন! নির্লিপ্ত চোখে দেখে যাই
অপাদমস্তক বিপদে ডুবে থাকা শিল্পের অকাল মরণ! লজ্জা লাগে!…
দা উ দু ল ই স লা ম
১৮.১২.১৭
শকুন খাদ্য ঘাতক ৭১
শকুন খাদ্য ঘাতক ৭১
আমায় তোর যতই বল শকুন
দুঃখ থেকেও অনেক খুশি হই
যখন ভাবি দৃষ্টি আমার মরা পচার দিকে
আয় ছিড়ে খাই গাত্র তোদের
ঘাতক ৭১।
আমায় তোর যতই বল শকুন
দুঃখ থেকেও অনেক খুশি হই
শূন্যে থেকেও নজর চরে মাতৃভূমির বুকে
আয় ছিড়ে খাই কণ্ঠ তোদের
ঘাতক ৭১।
আমায় তোর যতই বল শকুন
দুঃখ থেকেও অনেক খুশি হই
যখন ভাবি দলবেঁধে যাই খাবার অন্বেষণে
আয় ছিড়ে খাই বুকটা তোদের
ঘাতক ৭১।
আমায় তোর যতই বল শকুন
দুঃখ থেকেও অনেক খুশি হই
যখন ভাবি আমার নখে রক্ত ঘাতকের
চোখ দুটো তার উপ্রে নিয়ে
কাঁড়াকাঁড়ি করি
দেশটা আমার হবে নাতো
ফেরিওয়ালার ফের।
বিজয় দিবসে
বিজয় দিবসে
এই দিনে ছিল এক অপূর্ব অর্জন
হলো ফলপ্রসূ মুজিবের সে গর্জন।
পেলাম আমরা একখণ্ড মুক্ত ভূমি
সোনার বাংলাদেশ প্রিয় জন্মভূমি।
একাত্তরে নয়টি মাস কি নিদারুণ
মৃত্যুর মুখোমুখি এ দেশের তরুণ
কত সে বীর, নর নারীর আত্মত্যাগ
হারিয়েছে কতো সে মা বুকের সোহাগ।
বিনিময় তার, আজ এ মুক্ত প্রশ্বাস
বাংলার ঘরে ঘরে কতো সে উচ্ছ্বাস।
যে দেশে জন্ম নিলো রবীন্দ্র নজরুল
আজ কেন হেথা এ অন্ধকার প্রতুল!
মনে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ঐ সে আহ্বান
কানে বাজে বাংলা বেতারের সুরতান।
আজ যে জঞ্জাল বসেছে আসর পেতে
প্রতি কোণে অলিতে গলিতে রাজপথে;
কবে যে পৌঁছবে একই রবি কিরণ
ভরবে আলোয় এ জীবন মনন।
বসতিয়া লোককথা
বসতিয়া লোককথা
মেঘ এলো মেঘ গেল থেকে গেল পিরিতি জল
বল
সোনামন, কতদূরে তোর বসতবাড়ি
কত নটিক্যাল তল!
#
ডুবে থাকো গভীর অতলে সেখানেই টাইটানিক
খানিক
ডুবলেই দেখো সোনামন, অক্সিজেন
আর ভরপুর মানিক।
#
ভয় এক চূড়ান্ত অবসাদের ইতিবৃত্ত
সত্য
সোনামন, আমাদের চারপাশ বদ্ধ জলাশয়
আর অনিবার্য গর্ত।
#
তবুও মরুভূম গড়ে নেয় নরম মরুদ্যান
স্নান
আর সোনামন, নিবিড় জলপান
সেখানেই রাগিনীর তান।
নাম চাই
‘শিল্প-সাহিত্য এবং প্রকৃতি ও পরিবেশ’ এই নিয়ে একটি লিটলম্যাগ বের হবে অচিরেই।
এর জন্য একটি সুন্দর নাম চাই।
আমগো খাল্লি হাসি পায়…
কদিন আগেই মহাদেবপুর সর্বমঙ্গলা উচ্চ বিদ্যালয়ে সততা স্টোর উদ্বোধন হইল। পোলামাইয়াগো সততা নিদর্শনের নমুনা স্থাপনের জন্য ভুঁইফোড় টাইপের উদ্যোগ। কাহার বা কাহাদের মস্তিস্ক হইতে এমন চিন্তাভাবনা প্রসব হইয়াছে, তাহাই ভাবিতে ভাবিতে ঘুমটুম হারাইয়া ফেলিয়াছি।
স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার কথা না ভাবিয়া দূর্ণীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানগুলাতে সততা স্টোর এর কার্যক্রম শুরু করা হউক। শুধুমাত্র সৎ ব্যক্তিদের দ্বারা উদ্বোধন করা হউক। নাইলে যে হাসি পাইবো। কদিন আগে সততা স্টোরের উদ্বোধন দেখিয়া আমার হাসি পাইছে।
অ/ট.: সৎ মানুষ তৈরিতে সততা স্টোর এর কোনো ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি না। সর্বোপরি প্রত্যেক অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সচেতন হতে হবে। দ্বায়িত্বহীনতা, অসচেতনতা, উদাসীনতা যেকোনো শিক্ষার্থীকে পথভ্রষ্ট করতে যথেষ্ট।
বিতর্কিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সবকিছুকেই Negative ভাবে গ্রহণ করে। এখানে সম্মানটাও অপমান হিসেবেই গণ্য হয়।
হারিয়ে যাওয়া
আমাদের ছোট বেলায় ক্যাসেট টেপ ছিলো ভিডিও টেপ ছিলো । তারো আগে রেকর্ড ছিলো । কুকুরের ছবি দেওয়া রেকর্ড ছিলো । হারিয়ে যাচ্ছে অনেক কিছু । রেকর্ড নিয়ে আমার তেমন অভিজ্ঞতা নেই । ক্যাসেট টেপ বা ভিডিও টেপ নিয়ে আছে । ভিডিও বা ক্যাসেট টেপ এর
সমস্যা ছিলো মাঝে মাঝে এসব ব্যবহার না করলে ফাংগাস জন্মে । বিশেষ করে ভিডিও টেপ বাতেসের আদ্রতার কারনে খুব অল্প সময়া নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে ।
ভিডিও বা ক্যাসেট টেপ এর সাথে মানুষের মগজের (যাকে অনেকে ব্রেইন বলে ) খুব মিল আছে । দুটিই নিয়মিত মাঝে মাঝে না বাজালে বা মনে করলে ফাংগাস জমে ।
তারপর একদিন ডিলিট হয়ে যায়। হারিয়ে যায় কালের অতল গহব্বরে ।
ইদানিং আবার রেকডের জনপ্রিয়তা বাড়ছে । একারনে উৎপাদন বন্ধ থাকা রেকড আবার রেকড উৎপাদন শুরু করছে । এখানে দেখুন ।
হেরে যাওয়া মানে থেমে যাওয়া নয় ,কোন একদিন আবার ফিরে আসার সম্ভাবনাও রেখে যায় ।
একা একা মন মরা
একা একা মন মরা-
হও যদি ঘুম হারা
মাঝ রাতে খুঁজে পেলে-
হারানো ছন্দ,
তখন কি আলো জ্বেলে-
একটানে খাতা খুলে
সাদা পাতা ভরে দেবে-
হাজারও শব্দ ।
যদি আমি না-ই লিখি-
মনে মনে ধরে রাখি
যত ছবি যত কবিতা,
তাতে তুমি কিবা পাবে-
কেউ যদি না-ই জানে
কি ছিল মনের কথাটা ।
সময়েরই সাঁকো ধরে-
যাও দূরে ওই পারে
সেই রাতে যদি ঝড়ে ভাঙ্গে সেতুটা,
তুমিও কি কাল মেঘে-
দিশেহারা হয়ে যাবে
নাকি ঘুরে ছুটে যাবে দেখবে শেষটা ।।
অপেক্ষা
তারপরও বসে আছি চৈত্রের হাওয়া গায় মাখিয়ে;
ক্লান্ত সময় কপোলের আবিরের মত মুছে ফেলা যায় না;
স্মৃতির গহীনে বসে থাকে নেশাখোর মানুষের মত,
থেকে থেকে নেশার ক্ষুধা, পেটের টানকে সরিয়ে দেয়
মগজের মগডালে। হয়তো স্বপ্নভূক বলে জৈবিকতা হারিয়ে
জৈবিক তারণার থেকে মানসিক জীবনের সুখ, খুজে যাই প্রতিনিয়ত,
যে গভীরতা ছুঁয়ে যেতে পারেনা বিষণ্ন বিকেল। নষ্ট প্রহরের প্রাপ্তি গুলোই
স্ফটিক হয়ে থেকে যায়। নিরুত্তর মানুষের জন্যেই কিছু কিছু চৌকষ
প্রগতি থমকে গিয়ে দগদগে উনুনে মাছ ভাত রান্না করে সাজিয়ে রাখে ডাইনিং টেবিলে।
স্বীকার করতে দোষ নেই রাতের আঁধারে আমিও কাল্পনিক বালক হয়ে উৎসে খুঁজেফিরি তৃষ্ণার জল;
আবার দিনের বেলায় ধার্মিক পুরুষ।
তারপর বসে থাকি, তারপরেও বসে থাকতে হয়
চৈত্র দিনের শেষে কৃষ্ণ তৃতীয়া চাঁদের আলোয়
সঞ্চিত উষ্ণতা নিয়ে প্রণয়ীর চপলা আঙ্গুল
কিংবা বৈশাখী ঠোঁটের ঝড়ের আশায়।