বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

শেষের বেলা

A0041

হাতে তখন বাবার স্মৃতি পালক
পটভূমি পার্বত্য বন
বয়স যেন হারানো এক পাখি
সবুজ থেকে ধূসর হওয়া মন।

এপাশ ওপাশ বহতা এক নদী
ঢেউ দিয়ে যায় মৎসকন্যা ঝিলিক
কাচ হৃদয়ের টুকরো এদিক ওদিক
সময় বড় চঞ্চল এক শালিক।

শাদা কালোর সেলুলয়েড ফিতে
ত্রিভুজ ভাঁজে টাইম ট্র্যাভেল যন্ত্র
ফাগুন আগুন পলাশ ইশারায়
গুনগুনিয়ে মনখারাপি মন্ত্র।

রহস্যের দুহাতে জাগলিং
অনবধান শব্দ কলস ফাঁকি
নদীর দুপাশ ছড়ায় শ্মশান ভূমি
আর ক’টা দিন, আর ক’টা দিন বাকি।

আবর্তন

নিঝুম রাতে পাতার খসখসানির মৃদু শব্দের সাথে
মিতালী করে মন অনেক দূরে চলে যায়

যেখানে সপ্তর্ষিমণ্ডল জোনাকি হয়ে ফোটে,
যেখানে কালো আকাশটায় তারাদের আঁকিবুকি,
যেখানে ঢেউ খেলানো মেঘের সাথে চাঁদের লুকোচুরি,
সেইসব খানে মনের অবারিত আনাগোনা

নদীর জলে তখন চাঁদের স্নিগ্ধ ছায়া ঢেউয়ের সাথে
ওঠানামা করে আর শত টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে
রাতপাখিদের ডাক নিস্তব্ধতা ভেঙে দেয়
শ্রান্ত মায়ের কোলে ছোট শিশু নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে যায়

এমনি কোনো রাতে কোথাও মৃত্যু নেমে আসে,
জন্ম ও মৃত্যুর বিচিত্র আবর্তনে পৃথিবীর গতিময়তা॥

তুমি না হয় দূরেই থেকো

যূথিকা তোমায় ভেবে আর কবিতা লিখি না,
রাত্রির খোলস ছাড়িয়ে আর ভোর আঁকি না !

দিনান্তের রৌদ্র মাড়িয়ে বিকেলের
ভাঙা সাঁকোই
আর দাঁড়িয়ে থাকি না;
গৌধূলির শেষ প্রান্তের ছায়ায়
সূর্যাস্তের রেখায় তোমাকে দেখবো বলে।

যূথিকা তুমি বরং দূরেই থেকো
নীল নক্ষত্র হয়ে,
আমি না হয় দূর থেকেই দেখবো ক্লান্ত
পথিক হয়ে !

যূথিকা তোমায় ভুলতে চাই চিরতরে,
ভুলতে পারি না;
থেকো তুমি হৃদয় গহিনে শত জনম ধরে,
এর বেশি চাইবো না !

যূথিকা তুমি বরং নদী হয়েই থেকো;
আমি বরংচ কূল ঢেউয়ে ঢেউয়ে নিরবে ভেঙে যাবো।

মৌন পাথর

3208

অনন্তকাল গুনেছি প্রহর
প্রতিক্ষার প্রদীপ জ্বেলে,
অনন্তকাল পুড়েছে অন্তর
বয়েছে গেছে নদী নিরবধি
বুকের বরফ গলে!….

আসেনি ফিরে প্রাণ সুজন
মেঘের কৈলাশ
রয়েছে দাঁড়িয়ে
একা
বিস্তৃত মৌন পাথর।

আদিমের গন্ধ

গত হয়ে যায় সুরের এন্টিসেপ্টিকের মতন
লালাস্রাব গড়িয়ে যত মগ্নপ্রায়ে সংগীতঃ
রোদ্দুর-বিকেল ও শেষ সন্ধ্যা; গহীন প্রেতলোক-
জাহাজের টর্চলাইটে পোড়াতে থাকে অন্ধকার;
খুনসুটি সমুদ্রের গাঙচিল ওড়ে ওপারের সকালে
পাঞ্জেরীর চোখে নাড়া দেয় দূরের দিগদারি দিগন্ত

সূর্যের রশ্মিরাগ কচি পাতার মুখ টিপে চুমু খায়
বেফাঁস শ্লোকসমষ্টির বিস্তৃত স্তন জোড়া পৃথিবী মাঠ
মসজিদে আযান, মন্দিরে হুলোরধ্বনি, গির্জায়
যিশুর বাইবেল, লাল রক্তের শরীরপোষণ
অস্থায়ী যুগ যাযাবর চিকন বন্ধন-নক্ষত্রগোল
এভাবে রক্ত আবরণে ছুটে যায় আদিমের গন্ধ।

প্রভাতফেরী

_______প্রভাতফেরী

একুশ আসবে বলে
শঙ্খচিলের ডানায় বর্ণমালা ঐ আলোর ঝলকানিতে
ঝলমলিয়ে উঠে।

দিক ভুলা শঙ্খচিল
শুন্যে মহাশূন্যের দিক ভুলে, পথের নিশানা খুঁজে ফিরে
প্রভাতফেরীর গানে
লয় পথে নিশানা ফিরে আকাশ নীলে।
নীল আকাশের নীলে
শঙ্খচিল তার স্বপ্নের জাল বুনে; স্বপ্নের বুননে প্রভাতফেরী যে
তার অমোঘ মোহে টানে।

মাঘের কুয়াশার আকাশে
ঐ দেখা যায় শঙ্খচিল উড়ে
কবিতায় রাঙা ঠোঁট বিরহী পদ গায়
একুশ আসবে বলে; শহীদ মিনারে শিরীষ ডালে বসে।
======
আজ ২৩ মাঘ ১৪২৯

কিলবিলিয়ে চলা চল

spea

ভালোবাসা মানে
যষ্টিমধুর মতো মন!
আষাঢ় শাওন বুঝে না
এমন কি চৈত্রপুড়া রোদ?
রসগোল্লার মতো, দেখা
যায় না সত্য- ভালোবাসা;
তবু অন্ত ক্ষরণ উপলদ্ধিকর
মুখ বুঝা যায়- তা না হলে
ভালোবাসার মৃত্যু প্রায়- ভব
ক্ষণে এমন ভালোবাসা নাই-
মহৎ প্রাণে প্রণয়ের পোকা হয়
দৃষ্টিবিরল কিলবিলিয়ে চলা চল।

০২ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৫ ফেব্রুয়ারি’২৩

বসন্তের হাওয়া লেগেছে গায়

3309

বন্ধু তুমি কই গো, তুমি কই আজ
মনের বাড়ি কুহু পাখি তুললো যে সুখ আওয়াজ;
শুনবে নাকি কাছে এসে ভালোবাসার গল্প
চা দেব সাথে যে টা, দেবে সময় অল্প?

কুহু পাখি হয়ে আসবে, বসবে মনের ডালে?
নাচবে নাকি সঙ্গে বসে ফাগুন হাওয়ার তালে?
হলুদ রঙা চা দেব গো, মিশাবো প্রেম চিনি
এসো তবে ফাগুন হতে নেই, ভালোবাসা কিনি।

মন কি তোমার দুলছে সুখে, একলা আছো বসে?
প্রেম হাহাকার বুকের বাড়ি যাচ্ছে কি আজ ধ্বসে?
এসো তবে গল্প করি, ঘুরি বনে বনে
লাগবে ভালো এই বসন্তে থাকলে আমার সনে।

আড্ডা হবে গল্প হবে সঙ্গে থাকবে চা
হোক না তবে মনের মাঠে প্রেমের কেনাবেচা;
না করো না, কাজ করো না আজকে তোমার ছুটি
মধুবনে এসো না যাই, খাই সুখে লুটোপুটি।

মনের বনে উড়ছে বন্ধু ফাগুন হাওয়ার সুর
এমন দিনে তুমি কেন রয়ে যাবে দূর;
মনের তারে বাজে শুনো ফাগুন দিনের বাঁশি
রং বসন্তে যাক না হয়ে অল্প ভালোবাসাবাসি।

ঠোঁট উল্টিয়ে না করো না, রাখো আমার বায়না
দেখো চেয়ে খুলে দিলাম আজকে মনের আয়না
মনের আয়নায় সুখোচ্ছবি, কীযে সুখের দিন
এক কাপ চা খাই টঙে বসে, কেটে যাবে সব দুর্দিন।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

সুরূপা ও ফাগুন উৎসব

rec

আজি ফাগুন রাঙা দিনে,
বৈরাগ্যের বাসনা সৃজিলো মনে,
মাধুরীলতার নিমন্ত্রণ হেতু কানন সাজিলো ফুলে,
বহুরব উঠেছে বেজে ফাগুনের উৎসবে।

কনকলতার শাখা দুলিছে,
পলাশের ফুলে প্রেম সঞ্চারে ফাগুনের মেয়ে,
প্রেমিক যুগলের বাহারী সাজে,
রঙ লেগেছে ফাগুনের এইদিনে।

কনকচাঁপার অঙ্গে যৌবনারম্ভ,
ফাগুনের প্রথম দর্শনে ষোড়শীর সাদৃশ্য,
খোঁপায় কাঁচা ফুল গুঁজে ব্যস্ত বহ্নিরা,
ফাগুনের উৎসবে মাতোয়ারা সবে।

সুরূপার লাজুক বদনে ফাগুনের রঙ,
দেবকাঞ্চনের ডালে কুহু রব কোকিলের,
হলুদরঙা শাড়িতে সুরূপার পদব্রজে-
বিমুগ্ধ নয়নে নিবদ্ধ চারপাশ।

করবী ফুলের দোসর বনেছে লাজুক স্বর্ণলতা,
শিমুলের ডালে কুহু কুহু রবে,
ষোড়শীর বুকে প্রেমের আকিঞ্চন,
প্রাণ ফিরে আসে ফাগুনে।

সুরূপার জন্য বহু পাড়া ঘুরে,
আলতা আর কাঁচের চুড়ি আনা হলো আজ,
ভাঁটিফুল যেন নিমন্ত্রণ করেছে-
শত অনুনয় করে।

ফাগুনের ফুলে ফুলে শোভিত কাননে,
রঙ লেগেছে আজি,
সুরূপা ও ফাগুনের উৎসবে-
মেতেছে শত অনুরাগী।

বসন্ত, রিডিংক্লাসের জানালায়

328

বললে, চলো- আরেকবার রিডিংক্লাসে ঢুকে পড়ি!
বললাম, সঙ্গে তো আনি’নি রিডিংগ্লাস!
বললে, তাহলে শ্রুতিপাঠ হোক…
বললাম, তবে কী হিম হাওয়া ভেদ করে, এই শহরে
জেগে উঠলো বাসন্তী অশোক…

#

নিউইয়র্ক / ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সোমবার

ভালোবাসাই ধর্ম!…

329

এক জন বিশ্বাসী মানুষের আচার আচরণ
আর এক জন অবিশ্বাসীর আচার আচরণে পার্থক্য থাকবে, থাকে।
আচার আচরণে সুশীলতা
কিংবা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তুষের আগুনের মত শক্তি শালী; আপনি যতোই ধামাচাপা দিতে চাইবেন সে ততোই শক্তি পাবে।
তুষের আগুন যখন মিন মিন করে তখনো প্রজ্বলিত
আর যখন দাউ দাউ করে তখনো প্রজ্বলিত; পার্থক্য হচ্ছে একটা দৃশ্যমান- আরেক টা অদৃশ্য!
বিখ্যাত সাধক মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রাজ্ঞ ব্যাক্তি মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি রা:
বলেছেন –
ভালোবাসা হল সুস্থ থাকার উপায়। ভালোবাসা হলো শক্তি। ভালোবাসা হল সবকিছু বদলে দেওয়ার জাদু। ভালোবাসা হল স্বর্গীয় সুখ দেখার আয়না।।। এস আবারো ভালোবাসায় নিমগ্ন হই। এসো। ভালোবাসায় এই পৃথিবীর সমস্ত ধূলিকণা। চকচকে সোনায় রূপান্তর করি।
যখন কাউকে ঠকাতে যাবেন, বা ঠকাবেন
মনে রাখবেন তাকে ঠকিয়ে আপনি হয়ত একটা কিছু জিতে নিচ্ছেন
কিন্তু যা হারাচ্ছেন তা হচ্ছে আপনার আপন সত্তা;
আর আপন সত্তা যখন হারিয়ে যায় তখন দুনিয়ার কিছুই আপন থাকে না।
পক্ষান্তরে যিনি ঠকছেন
তিনি হয়তো বিশেষ বিজয় বা বিশেষ অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাতেও তিনি সন্তুষ্ট!
কারণ তিনি আপনাকে বিশ্বাস করেছিল
আপনার উপর আস্থা ও ভালোবাসায় নিজেকে লীন করেছেন।

ভালোবাসা একটা ধর্ম!
পরম ধর্ম!
এই ধর্মের একটা আদর্শ হচ্ছে দুনিয়ার সবার কাছে সে সুপ্ত, অথবা গুপ্ত থাকলেও
যেই মানুষের ভালোবাসা সে লালন করে তার কাছে সে স্বচ্ছ, পরিষ্কার!
দু’জনের দু’টি মন এক-বৃন্তে লীন না হলে কখনো ভালোবাসা তার স্বরূপ মর্যাদা লাভ করে না।
অন্য সবার কাছে আপনি যা-ই হওন
এক জনের কাছে আপনি চির উন্নত মম শির এর মত
যদি আপনি তাঁকে পায়ের ধুলো ভাবেন, কিংবা আর সবার মত একি দৃষ্টিভঙ্গি তে দেখেন-
তাতে তার কিছু করার নাই
কিন্তু আপনাকে সে যেই স্থানে অধিষ্ঠিত করেছেন, আপনার ক্ষীণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আপনি তার দেয়া সেই মর্যাদা ,
সেই স্থানের অবমাননা করলেন।

এই যে বিশ্বাস
এই যে ভালোবাসা
মর্যাদা
সম্মান
এই সব ঘিরে গড়ে উঠা যেই স্বপ্নের স্থাপত্য
ধীরে ধীরে এই স্থাপত্য নড়বড়ে হয়ে উঠে! ভঙ্গুর হয়ে উঠে!
যার ফলে একটি প্রলয় একটি দুর্যোগের জন্ম নেয় যার প্রভাব শুধু আপনার একার অথবা সংশ্লিষ্ট সেই মানুষ টার উপর পড়ে না,
বরং এর প্রভাব পড়ে আশা পাশের চারদিকে।
একটা নেতিবাচক অনুরণন এর প্রভাব ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে।

মানুষ তখনি সব ভুলে ভুল পথে পা বাড়ায় যখন সে ঠকতে ঠকতে নিজের উপর আর মায়া থাকে না।
যখন নিজের উপর মায়া থাকে না তখন সে ভুলে যায় তার ব্যক্তিত্ব, তার স্ট্যাটাস …… আনুষঙ্গিক সব।

সুতরাং নিজেদের মধ্যে যতটুকু সম্ভব স্বচ্ছতা রাখুন।
কারণ ভুলে যাবেন না
আপনি একা নয়।।

শাস্ত্রীয় শর্তাবলী

আমি জানি শাস্ত্রীয় বৃষ্টিসমগ্র, কোনোদিনই ভেজাতে পারবে না আমাদের
পরিদেশ। কোনো ফুলের স্পর্শই এই মেঘমোগল-কে করতে পারবে না,
নতজানু। শুধুমাত্র যে বাষ্প আমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাবে, তারাই
পারবে দিয়ে যেতে কিছু উষ্ণতা। কিছু জমে থাকা পাথর, পারবে সরে যেতে।

ছাড় দেবার জন্য কিংবা সরে যাবার জন্য- যেদিন প্রথম নিরুদ্দেশ হয়েছিলাম,
সেদিনের কথা আজ মনে পড়ছে খুব বেশি। সেসময় আমার প্রতিবেশে কোনো
ফেসবুকার নদী ছিল না। ছিল না ডিজিটাল সূর্যের ছড়াছড়ি। এনালগ চাঁদের
সহযাত্রী হয়ে আমি যেদিন প্রথম চেয়েছিলাম সুরমার মুখের পানে, সেদিনও
আমার হাতে ছিল না কোনো নেটবুক। অথচ কয়েকটি সাদা-কালো ছবি ছিল,
আর ছিল দুচোখে শ্রাবণের লালিমা। নৌকোর উজানে ছিল একগুচ্ছ বৈঠার টান।

যৌবনের উজানপর্ব শেষ হলে বসন্তকেও বিদায় নিতে হয়। আমরা যারা পূর্ণ
জোয়ারের সাথে পাল্লা দিয়েছিলাম, তাদেরও ঘরে ফেরার ডাক পড়ে, চিত্রপুরে।

চিরকুট

তোমার জানালায় এক ফালি মেঘ
শুয়ে থাকে এই হেমন্তের শেষ বিকেলে।
কোথাও কোথাও শীত নামে,
বৃষ্টি নামে, শিশির ঝরে পড়ে।

অথচ, তোমার চোখে আমার শতেক খানি
কবিতা নিবিড় ভালোবাসায় স্বপ্ন দেখে।
শীতল ছায়ায় ব্যাকুল চেয়ে থাকে ঝরে পড়া
সব শুষ্ক ফুলের দল।
হেমন্তের ঝরা পাতা বেজে যায়
মর্মর সুরে।

তোমার নীরব সন্ধ্যা আমি যতনে তুলে রেখেছি
আমার বুক পকেটে বেদনার নীল খামে।

দরজার চৌকাঠে রেখেছি “চিরকুট” লিখেছি,
অচেনা চার অক্ষর,
“ভালোবাসি”।

শীত আসার আগেই পড়ে নিও তুমি।

লিপি

তুই কি আজকাল কবিতা লিখিস না ?
চৈত্রের ছায়াঘন দুপুর, বাঁশপাতার সরসর,
মেঘলা জলে গাছের কাঁপা কাঁপা ছায়া
কবিতা জমে ওঠে অশ্বত্থের পাতার মত
শুধু তুই খুব চুপচাপ আর তোর কলম।

একদিন ঠিক খুঁজে পাবি কবিতার লাইন
ওই অস্তরাগের রঙে রাঙানো আকাশের কোলে
অথবা দিগন্তব্যাপী পাহাড়চূড়ার ধূসরতায়
নদীর কলকল জলের সাবলীল ভঙ্গিমায়
দূরে প্রশস্ত শস্যক্ষেত্রের অপার সবুজ মহিমায়
খুঁটে খাওয়া কোনো চড়ুই বা শালিকের সহজতায়,
এ সবই ফিরিয়ে দেবে তোকে কবিতার পংক্তি।

একদিন

পাখিদের মতো ডানা নেই বলে তাই

লজ্জার চিকন মসলিন কুয়াশা ছিঁড়ে
সকল সৌন্দর্যের কঙ্কাল ছুঁয়ে
একটি বেগুনি নির্জনতা খসে উড়ছে
দূরাগত উল্লাসের ট্রেন হুইসেলের মতো;

মিরিণ্ডা রঙের যাবতীয় পরিণাম মুছে
একদিন, ছুঁয়ে যাব
তোমার জেগে ঘুম পড়া অন্তঃসত্ত্বা রূপ
দরজার বাথানে ছিটকিনির সমাধিস্থান
এমন উপলক্ষ মাখিয়ে যাবে, নাতিদীর্ঘ-
জলপাই রঙ হতে পোশাক পালটানো
নাড়িছেঁড়া শাদা বকের উড়ন্ত ইশারা-
কমলাকাতর শিশুদের অখণ্ড শান্তিমুখ
এইসব জরাক্লান্ত নিয়ে আগামীকাল ফের…