বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

শীতে এক কাপ চা আহা

328

দেহমনে শীতল অনুভূতি নিমেষেই উষ্ণতা আনে,
চায়ের কাপ হাতে বারান্দায়, রোদ্দুর বামে ডানে,
ফুলগুলো হলুদ আলো উঠে হেসে,
ঐ যে ধুলিকণারা হাওয়ায় যায় ভেসে।

সুখের অনুভূতি কেউ দেবে না এনে
সুখ নিজেকেই নিতে হয় কাছে টেনে,
আলগোছে জড়াতে হয় সুখ বুকের খাঁচায়,
স্বস্তির রোদ্দুর ঠিক তখনি জ্বলে ওঠে দেহ মাঁচায়।

কেউ কষ্টে থাকতে করতে পারে না বাধ্য
বাজাতে পারে না কেউ কারো মনে বিষাদের বাদ্য,
এসব ধুর ছাই বলে উড়িয়ে দিতে হয়,
বিষণ্ণ থেকে লাভ কী, শুধু সময়ের ক্ষয়।

এক কাপ চায়েও সুখ খুঁজে নিতে পারি
আলহামদুলিল্লাহ বলে দুঃখের সাগর দিতে পারি পাড়ি,
কেউ ব্যথা দিলেই মুষড়ে কেন পড়বো,
নিজের হাল আমি নিজেই ধরবো।

আমারও ভালো থাকার আছে অধিকার
কেন থাকবো বুকে পুষে ব্যথা নির্বিকার,
চায়ের উষ্ণতায় এবেলা দেহ সাজিয়েছি ফুরফুরে আলোয়,
ইনশাআল্লাহ সময় আমার কাটবে ভালোয়।

এই যে এত হা হুতাশ, দম ফুরোলেই সব শেষ,
নিজেই সুখি করি নিজেকে, এইতো আছি বেশ,
হিম দিন ছুঁয়ে ভাবনার অতলে ডুবে আছি
চা হাতে আমি আর রোদ্দুর খেলছে কানামাছি।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

নির্ভার দাস বাজার

318

….হুম
নিকুচি করে এলাম তোদের বুর্জুয়া জোট
থাক তোরা মাংসের দরকষাকষিতে
মেকি হাসির মাখামাখিতে
আমি তো সেই কবেই
মাগনা বিক্রি করে দিয়েছি ঝুড়ির সব বন্ধুপ্রীতি!..

আদতে
আমি তা ভিক্ষা দিয়েছি
কি হবে এই মিথ্যের বেসাতি আঁকড়ে
যেখানে
মুত্রের দামে বিক্রি হয় বিবেকের মনুষ্যত্ব!
প্রেমের নামে
বিক্রি হয় নির্মম দাসত্ব,
মুনাফা অর্জনে বিকোয় বন্ধুত্ব
বিশ্বাসের সস্তা বলিদানে!…

নিগূঢ় অন্ধকারে নিমজ্জিত হীরক কণা
অবলীলায় মেনে নেয় নির্বাক-ধূসর শূন্যতা
জীবনের ক্ষণে ক্ষণে জড়িয়ে থাকা লাজুকলতা
ছলনাটা ভালোই আয়ত্ত করতে জানে,
জানে উত্তাল ঢেউ*র ফণা
কেমন করে ছোবল মারলে ছড়াবে বিষ মনে প্রাণে!

…. এভাবে একদিন মৃত্যু ঘটে সমস্ত দাবীর!…
কবির অন্তরে আগুনের গনগনে দহন
বহুকাল আগে
খেলার ছলে অবলীলায় দিয়েছি যেই অঞ্জলি
পূতপবিত্র সেই আত্মাকে
আজ তোরা টেনিস বলের মতো
দক্ষ হাতে ঘুরাচ্ছিস অবিরাম
এ-প্রান্ত হতে ও-প্রান্তে.….

আমি নির্বোধ বলে-
জেনেও থেকেছি না জানায়, থেকেছি নীরবে
নিভৃতের ক্রন্দনে…
শুনেছি পৃথিবীর সবচেয়ে নির্মম ভাঙনের আর্তনাদ
দেখেছি – প্রান্তর জুড়ে উন্মাদ রঙ্গ তামাশা
জমিন হতে অন্তরীক্ষ নির্ভার দাস বাজার
বিকৃত উল্লাসে নির্বিবাদে আবাদ হচ্ছে
সর্বনাশা অহম বৃক্ষ!

ভাবনার সমুদ্দুরে ডুবে আছি

323

ডুবে আছি ভাবনাতে আজ
বিষণ্ণতা চোখে
সময় যেন দিল মুখে
ব্যথার হাওয়া ফুঁকে।

সুখ পাচ্ছি না খুঁজে কোথাও
হলো না কেউ আপন,
পাশের মানুষ পর হলো হায়
বুকে ব্যথার কাঁপন।

আমার কথা তিতে নাকি
বলি কর্কশ সুরে?
মিষ্টি বুলি নাই বলে কী
সুখ’রা সরলো দূরে!

ভাবনার নদী আমায় নিয়ে
খেলছে নিরিবিলি,
বোবা সেজে নিত্যদিনই
তিতে কথা গিলি।

ভাবনার সাথে বলি কথা
বিড়বিড়িয়ে রোজই,
কেমন আছি কোথায় আছি
রাখলো না কেউ খোঁজই।

স্বার্থ নিয়ে সবাই যেন
মাথার উপর খাড়া,
দীর্ঘশ্বাসের হাওয়া এসে
মনকে যে দেয় নাড়া।

ডুবে আছি একা আমি
ভাবনার সমুদ্দুরে,
আর বাজে না মনের তারে
সুখ’রা সুরে সুরে।

বোবা

একদিন, সমুদ্রের গল্প বলতে গিয়ে
আকাশের দিকে হেঁটে যেতে থাকি
পাখির প্রবাহ, শেষ আশ্রয়ে
একটি নদীর মতো গড়াতে গড়াতে
চোখের ভেতরে মেঘ-শহরে পৌঁছাই

আর চোখের পিসিতে খেলছিল
উৎসবের এক শ গোলাপ
সবুজ হ্যাণ্ডশেকে সাক্ষাত পায়
ঘড়ির তিনটে কাঁটা-
আমি ঝিনুক উদরে পোতাশ্রয় খুঁজি
কেননা, সমুদ্র একটা সিসিফাস ঢেউ
এখানে জলের সালংকারা বোবা।

৭ ফেব্রুয়ারি ২৩ | ঢাকা

বৃষ্টি সকাল দুপুর আর কি

rain

বৃষ্টি ঝরা বিকাল কিংবা দুপুর
কেনো জানি গা ঝিমঝিম করে উঠে
স্মৃতিরা ভিজে যায় নয়নের কোণে
আম কুড়াতাম- ফুটবল খেলতাম-
আর কত কি? এই হলো বৃষ্টি প্রহর
বুকের অলি গলিতে করে অমলিন!
সাদা মেঘ গড়ে যায় ক্লান্তির ঘুমে
আষাঢ়ের বোবা কান্না থামে না
হার মানায় দুচোখে বৃষ্টি আর বৃষ্টি
শ্রাবণের বৃষ্টি সকাল দুপুর আর কি।

২৩ মাঘ ১৪২৯, ০৬ ফেব্রুয়ারি’২৩

জন্মতিথি

327

আত্মা হে
হে প্রিয় আত্মা আমার
তুমি কি খুঁজে পেয়েছ আমাকে?
আমি তবে কেন পাইনি তোমায়
আমার নিঃশ্বাসের নিবিড়ে থেকেও
কেন যোজন যোজন দূরত্ব তোমাতে আমাতে!

কেন এতো হাহাকার
সহিংসতা
নীরব স্রোতে ভেসে যাওয়া কান্নার শ্লোক
পুলক দুলক ছেদ করে
কোথা হতে আসে এতো দীর্ঘশ্বাস
অর্ঘ্য পোড়া উত্তাপ!
আত্মা হে
আমি কি সে-ই?
যে মাঘী বিকেলের ধোয়াশার ভেলা চড়ে
একফোঁটা শীতের মতো টুপ করে ঝরেছিলেম
পাতা ঝরা বৃক্ষের কর্কশ শরীরে!

নাকি
আদৌ আমি যুদ্ধরত একাকী সৈনিক
যার কদমে কদমে পেচিয়ে আছে গুপ্ত আততায়ী
যার বেদনার্ত চিৎকার
পৃথিবীর মায়া মোহে নামিয়েছে সমগ্র অন্ধকার!..
কিন্তু সেখানে তো
নির্মল হাসিও আর একবিন্দু আলোই যথেষ্ট!

শব্দ বোধন দিনে
আমি ছুঁয়েছি এই মাটি
ছুঁয়েছি একটি নূরবিন্দু
অথচ
সেই আমি খাঁটি রশ্মি হয়েও
রচনা করেছি- এই মোহগ্রস্ত জীবন!
এই অন্ধকার তাড়া করতে করতে
আমি পৌঁছেছি এক অমৃত শব্দের সামনে
একটি উড়ন্ত পাখি ক্লান্ত চিত্তে মেলে আছে ডানা
বৃক্ষের শাখায় স্পন্দিত দীর্ঘশ্বাস
একটি মায়াকণ্ঠী গান
কুয়াশার দেয়াল ভেদ করে দেখেছি স্ফটিক সকাল!

হে আত্মা
হে আমার প্রিয় আত্মা
এতো ডাকি
শুনো হে… ঘুমাইছো নাকি?

.
১২ই মাঘ
২৫/১/২৩

এখন কবিতা লিখি না – ১২

আমিও বন্দর ছেড়ে পাল উড়িয়ে দিই
ডাঙায় পড়ে রইল ভরাট গাভীচরাট আলো
গঞ্জের স্যাঁতস্যাঁতে মায়াবী ঘরবাড়ি

দূরে ভেসে যায় আমার অপার শস্যডিঙি
মানুষের মাথার পিছনে যে মুখগুলি কখনও দেখিনি
তারা পাশে পাশে জলে ভেসে যায়

দূর থেকে কুয়াশার ভেতর দেখি পাকুরতলার জাগ্রত দেবি থান –
সে নাকি অনাদি সংসারের মনস্কামনা পূরণ করে,
সেখানে জ্বলে উঠল সন্ধ্যার প্রদীপ
আহা পাকুরগাছ!
তোমায় রেখে গেলাম
আহা পাকুরগাছ!
তুমি আলোটুকু রেখো

বেলা শেষের গান

493

গহন চৈত্রের দিনে দহন চিরস্থায়ী হলে
একদিন হারিয়ে যাব
আগমন নিষিদ্ধ কর হে পুত
এখানে বিছিয়ে দিয়েছি শামুক জীবন
নিরুদ্ধ অন্ধকার – মুখোশের দিন
দূর অরণ্যে মিশে গেছে মায়াবী গল্পের কথন

পৃথিবীর শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে এখন
কে রাখে কার খোঁজ
ফুরিয়ে আসছে আগুনের দিন
সঘন মেঘ – অরণ্য সারি সারি
দৃশ্যের ভেতর জন্ম নিচ্ছে শৈশব
পৃথিবী যেন একটা অচেনা গুহা

একদিন হারিয়ে যাব
পাশে পড়ে থাকবে ব্যথিত মুখ
হাহাকার – পরিত্যক্ত হবে দেহ
অসমাপ্ত কাহিনী আর লিখবে না কেউ
একা বসে নৌকায় – শেষ যাত্রী আমি
একা মাঝি গায় ধল প্রহরের গান।

শিরোনামহীন কথিকা

তুমি যেতে চাইলে, আর চলে গেলে,
আমি বললাম থেকে যাও – আমার সাথে।
যেমন করে থাকে অন্তহীন আকাশে রক্তিম সূর্য।

অথচ,
তুমি কখনো বুঝতেও চাইলে না
কতটা পুড়ে আমার বুকের বাঁ পাশ তোমার বেদনায়।

সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলো

31219

নানা রঙের দিনগুলো সেই
পেতাম যদি ফিরে
কত যে সুখ ধরা দিত
আবেগী মন নীড়ে।

মেঘ বালিকা ডানপিঠে এক
সময় আমার ছিল,
ভবিতব্য এসে আমার
সুখ ছিনিয়ে নিলো।

যেখানটাতে দূর্বাঘাসে
বসতো শিশির বিন্দু
সেখানটাতে সুখ ছিলো যে
সাত নদী সাত সিন্ধু।

গোধূলিয়ায় রক্তিম মেঘ’রা
করতো নীলে খেলা,
চুপ তাকিয়ে মুগ্ধতা ছুঁই
কেটে যেত বেলা।

ফড়িং ছিল ফুলের উপর
ছিল প্রজাপতি,
সেখানটাতে থাকলে আমি
কী বা হতো ক্ষতি!

পুকুর ভরা জলের ভিতর
টেংরা পুটির মেলা,
ইচ্ছে করে ভাসাই আবার
কলাগাছের ভেলা।

খাঁচায় বন্দি পোষা পাখি
বলতো কানে কানে,
আমরা না হয় ভাসবো সুরে
সুখের গানে গানে।

যাস না চলে অতীত রেখে
বলতো সময় ডেকে
তবু আমায় আসতে হলো
সুখগুলোকে রেখে।

জানতাম

খুব কাছে। বিমুগ্ধ বিস্ময়ে আমরা দুইজন
একের পরে এক গাঁথতে থাকি শরীর
আর সার্কাসের সভ্যতায় ফেটে পড়ে
বয়সী পৃথিবীর নার্সিসাস শহর, জানতাম।

তারপর মিথের অভিধান থেকে হাঁটি
সারিবদ্ধ গাছবাঁকলে সংসার, বাচ্চা এঁকে
ঘুমহীন গোপন কথা, বিষমে বেঁচে ফেরানো
মসলার কৌটা আর অযত্নের পাশে-সুখ
এগুলো আমাদের অন্যরকম ফ্লেভার দেয়
আর বিদীর্ণ গল্পের শেষ হতে কানে তুলি
গ্রীবা বাঁকানো বোকা মানুষের অভিযোগ
পরিত্রাণ নে গোলাপ, খুন হবি’রে যুবক!

“কৃষ্ণফুল”

ধরো বাঁচি নাহে তবো কৃষ্ণফুল
চাহিবে না তুমি জোড়া কুল!
বাঁচিবো মোরা প্রেমকূলে
ছুইবে তোরা,রইবে মোরা,
এক কানায় অর্ধকূলে।

বইবে তোরা নদীর তরে
রইবে মাঝি নদীর কূলে,
মনের দোহারায় ছুঁইবে প্রেম
কৃষ্ণফুলে রইবে প্রেম!
জড়ো ফুলে চাইবে তুমি
অর্ধকূলে প্রেমের নদী,!

ফুলের তোরা রইবে হাতে
তোমার হাতে সইবে না যে,!
কাহার হাতল ধরিবে তুমি
কাহার চন্দন হইবে তুমি,!
এক নদীর মাঝি তবো
এক আসমান সইবে যখন
কৃষ্ণ ফুল ফুটিবে কোহন,!

তবো ছুইবার কামনা তোমারও ফুল মালা
বোধ হারায় ক্রন্দন করিয়া হইবার চাই কূল হারাইয়া,
তুমি তবো কৃষ্ণফুল দেখিয়া দেখো তবো আমি রই কূল জুরিয়া,
আসমানের চন্দন সাক্ষী রাখিয়া রইয়া যাই তোমারও মন জুড়াইয়া
কোহনও যদি দেখিবার পারিতা আমারই এক মনে রাখিয়া,
বুঝিবার পারতা এক মনে বয় কতই না প্রেমের দোহরা,!

অমন এক কৃষ্ণফুলে
ভালোবাসা বইবে মনেরি অনেতে,
যাহাতে হাত তুমি রাখিবে
তাহাই তোমার রবে
যদি প্রেমকূলে বাঁচার ইচ্ছা যোগে,!

(১৭ জানুয়ারি ২০২৩)
আব্দুল গনি হাওলাদার

অন্ধকারের স্বপ্ন

আমি অমাবস্যার অন্ধকারে স্বপ্ন সাজাই,
দিনের আলোয় সে স্বপ্ন আলো পায়নি কোন কালেই।
আমার স্বপ্ন গুলোর সাথে
দিনের আলোর চির শত্রুতা।
আমি যতবার স্বপ্নগুলোকে দিনের আলোয় আলো দেখাতে চেয়েছি,
ততবারই হারিয়ে ফেলেছি মরীচিকার বন্ধুত্বে।

আমি চাঁদের আলোয় সুখ খুঁজতে গিয়ে,
ব্যাথার পরশে ফিরে এসেছি।
আমি আকাশের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে,
আলিঙ্গন করতে গিয়ে
মেঘের শত্রুতায় থেমে যাই।
আমি সাগরের বিশালতায় উদার হয়ে,
সাগরের কাছে ছুটে গিয়েছি।
কিন্তু যখনই সাগরকে স্পর্শ করতে চাই,
তখনই ঝড় এসে উড়িয়ে নিয়ে যায় আমার স্পর্শ।
ছোঁয়া হয়না সাগরের জলকে।

আরেকটি ভাঙনের আগে

দূরে থাকো। আয়ত্ব করো উৎকীর্ণ আঁধার। আর সমূল
সকালগুলোকে তুলো রাখো হাতের মুঠোয়। কেন নেই
সেই গান, কেন নেই বিন্যাসিত ক্রন্দনের বাতি; জেনে
নিতে খুলে দ্যাখো পরিশুদ্ধ মানববিধান! এখানে প্রস্থান
নেই। আছে ফেরার প্রত্যয়। তাই দূরে থাকো, ফিরবে বলে।

দূরে থাকো। দ্যাখো মনের সংসদে বসে মৌমাছিরা কি
আনন্দে সাজায় সংসার।বিন্দু ফুলের রেণু চাক বেঁধে
তুলে রাখে ঘরে। আরেকটি ভাঙনের আগে, প্রেমও জেনে
যায় তার প্রান্তপরিণাম ! নক্ষত্রের বেলা ছুঁয়ে রাত নামে
আলোর বাহুতে। তাকেও জড়ায় নদী, বিভাজিত স্রোতসমগ্রে।

____মৌন বিস্বাদ

____মৌন বিস্বাদ
মাঘের ধুঁয়াসা মেঘে জল নেই
কুয়াশার আড়ালে; শিশির বিন্দু
আমলকীর নাঙ্গা শরীর ভিজে সারা।

উত্তরের ক্ষেপ
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
উত্তরের খোলা দ্বারে তুমি দাঁড়িয়ে
চেতনায় পোড়া;
বার বার ভুলের খেসারতের মাত্রা গুনে
ইজি চেয়ারে সবে ঝিম ধরেছে।

কার্নিশে একলা কাক ডেকে উঠে আচমকা
এবার তন্দ্রা টুটে;
বিবর্ণ ঠোঁটে কফিতে চুমুক বি-স্বাদের।
কাকটা উড়ে গেলে
বেগুনী পাপড়ি ঝরে পড়ে ক্যাকটাসের
মৌন বিস্বাদ।

আজ ১৭ মাঘ ১৪২৯