বিভাগের আর্কাইভঃ কবিতা

রঙ্গমঞ্চ

30

জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে
বাৎস্যায়ন পর্ব দূরে রাখি।
কতডিগ্রী ফিরে তাকালে
দর্শক প্রেমে ঘায়েল হবে-
কতখানি ক্লিভেজ দেখালে
জেগে উঠবে ধ্যানমগ্ন বিশ্বামিত্র –
চোখের কতখানি ঝড় তুললে-
হৃদয়ে প্লাবন ডাকবে।

অবাঞ্ছিত সব দরজা বন্ধ রাখি,
লক্ষ্মী থেকে দুর্গা হয়ে উঠতে,
দানব বধের খেলায়
এইসব অপ্রয়োজনীয়।

দায় স্বীকার

3004

আমি নির্বোধ
মূর্খ
পিপাসাক্রান্ত নাদান!..
তুমি চাইলেই
নিতে পারো শোধ
ক্ষমাও
দিতে পারো করুণা দান।

আমি হীনবল
পাপিষ্ঠ
লঙ্ঘন করেছি সীমানা প্রাচীর!..
তুমি সর্বোত্তম
করতে পারো কুক্ষিগত
মুক্তও
দয়ার আধার হতে পারো অধীর….

দুটি কবিতা

ডাকহরকরা
..
কোথা থেকে একজোড়া চোখ উড়ে এসে বসলো
তারপর থেকেই শুরু আলোর খ্যাপ
বিসর্গদিনে বাড়ছে দৈনিক খরচের হিসেব
দেখে যারে অনুপম কুয়োতলার ব্যাঙ এসে
নিচ্ছে ভালো মন্দের খবর!

জীবন যেমন
..
মানুষ লিখতে গিয়ে লিখে ফেলি জীবন
জীবন ‍মূলত সুখ! সুখ! খেলা
দুঃখ – কষ্ট – যতো নষ্টের মেলা
চুঁইয়ে পড়ছে আঙুলে ধরে রাখা সুখ
ওদিকে মাটি খুঁড়ে বাবা তুলে আনছেন স্মৃতি
মা বসে থেকে দিচ্ছেন ধৈর্য্য পরীক্ষা।

নদীর জন্য এলিজি

উনচল্লিশ বছরে পরে
অভিশাপ মুক্ত হতে নদীর পাড়ে এলাম;
নদী কই এখানে তো ঝলমলে বিপণী!

কৈশোরের আবেগে অনিচ্ছা সত্ত্বে
জল বিয়োগ করেছিলাম
সেই পাপ উনচল্লিশ বছর ধরে কুরে কুরে খাচ্ছে।

অনিচ্ছার পাপ আমাকে স্বস্তি দেয়নি;
যারা ধর্ষণ করে হত্যা করে ফেলল
তারা কী করে সুখে থাকে!

ক্ষমা চাইবার আগেই নদীকে হত্যা করা হলো
জল বিয়োগের পাপ নিয়ে কবরে যেতে হবে।

ধর্ষকদের মৃত্যু হবে না, তারা অমর;
আরো অসংখ্য নদী ধর্ষিতা হওয়ার অপেক্ষায়।

বিলাশবহুল সুখ

এ বিলাশবহুল সুখ যেভাবে উপহার পেলাম।
আর বয়ে যায়-তস্কর দুপুরে সকল বিস্ময়,
ক্রোধ-ঘামের গহ্বর খুঁড়ে অনন্য ব্যথার মতো-
প্রতিদিনের এক্সপ্রেস।

এসবই বুঁদ হয়ে যায় আগন্তক অন্ধকারে-
একা থাকলে বাতাসশূন্য গাছতলে ইস্তাহারের
গ্রীষ্ম এসে গল্প শোনায়, কিলোওজনে;
-ক্লান্ত প্রহরী, শ্রাবণ বাউল-শক্তিবর্ধক শাদা
পায়রার মতো স্পার্ম পাখি। মিথের-বনপথ
পেরোয়ে স্পার্ম পাখিগুলোর ছবি পৃষ্ঠতলে
শাঁ শাঁ বয়ে যায় আতাবন-পৃথিবী। নানান
নিঃসঙ্গ জ্রেবার দিনলিপি আর রহস্যময়ীর
বসন্ত কুড়ানো নিজেল স্মিত-এমন ব্যাকুলতার
তীব্র বড়লোকি কোয়ালিফাই ভেবে
নরকের মুখোমুখি বসে আছি। শুক্রবার-
নির্জন হতে হতে ধূসর নক্সা পেঁচিয়ে কঙ্কালে
হরিণগুলো ছুটছে-বনে। চাঁদ এলে সুন্দরতম
এক রাত্রি এসে লিখে ফেলবে বিষণ্ণচিত্র-
হারিকেন লণ্ঠনে কিংবা নগ্ন ঘড়ি কাঁটায় বৃষ্টিফুল!

ভালোবাসার কাব্য

এই যে আমি ভিজে যাচ্ছি বিরহের জলে, রেখেছিলে খোঁজ,
এই যে আমি বন্দি তোমার মনের বাহিরে, করছো হেলা রোজ
এই যে আমি তোমার মনের তালা পারছি না খুলতে,
পারো তো বাপু একটুখানি মনের পর্দা তুলতে?

মন তোমার লোহা কী? তাহলে জং ধরে আছে, মন খুলো,
বিগত যত দ্বিধা, ঝগড়া ফ্যাসাদ এবার ভুলো,
কী এক কুহেলিকা মন বাড়িতে তোমার ঘুরে,
কই তুমি কিনা আমায় নিয়ে যাবে সুখ আকাশে ওড়ে!

তা না, কেবল মন পাখিটারে রাখলে বন্দি মন পিঞ্জরে,
বিতৃষ্ণায় আমার চোখে কেবল জল ঝরে
তুমি তাকাও না ফিরে, চলছো তো চলছোই তোমার পথে,
একবার তো মিলাও মত আমার মতামতে।

সময়গুলো কী নয় মূল্যবান?
এসো ভালোবাসি সময় জানাই আহবান;
কত আর থাকবে নিজের মাঝেই আটকে? বেরিয়ে এসো নিজ গণ্ডী হতে
এই যে বাড়িয়ে দিলাম মন, উঠো ভালোবাসার রথে।

তুমি পাখি আমার ডানা ভেঙ্গে পাচ্ছো যে কী সুখ
প্রেমের দাওয়া দাও, সুস্থ করো মনের অসুখ;
বুকের নদীতে প্রেমের জল, ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভাঙ্গছে মনের পাড়,
এসো তুমিও ঢেউ তুলো…..ভাঙ্গনের নয়, প্রেমের তোলপাড়।

আমরা জোড়া পাখি হই, বন্দি হই দুজন দুজনা মনে,
বসে ভাগবাটোয়ারা করি দুঃখ সুখ বসে নির্জনে;
তুমিই বলে যাবে শুধু, তুমিই জিতবে শুধু, এ হয় না
এ করে করে সময় তো আর আমাদের ছুঁয়ে রয় না।

কান পেতে শুনো সময়ের চলে যাওয়ার আওয়াজ,
এসো একটি ডালে সুখ পাখি হই, বসে থাকি নিরবে আজ
ভাল্লাগে না এত ব্যস্ততা, এত ছলচাতুরী, এত দ্বিধাদ্বন্দ্ব,
মনের খাতায় তুলতে পারছি না বন্ধু ভালোবাসার ছন্দ।

এসে বলে দাও ভালোবাসি, বলো তুমি আমার কোকিল টিয়া,
বলো… এসো মন পিঞ্জরে বন্দি করি, সুখি হই তোমায় নিয়া;
আমিও যদি এভাবেই ভালোবাসি বলে দেই অকপটে,
আমার ছবিটা আঁকবে বন্ধু মনের পটে?

আবারো হাসে

আবারো হাসে

আসলে যেন আমাদের এই জীবনটা
অসমতল ভূমি এক খণ্ড;
এক মুহুর্তে সকলই পণ্ড
যেথা তুফান উঠে আসে ঝড়-ঝাপটা

হাহাকার ও রক্তারক্তি খেলা অনাবিল
কত তিক্ত দুর্ভোগ জীবনের
সুখ ও প্রশান্তি নেই হৃদয়ের
আকাশের মুখখানি তাই দেখায় নীল।

দুর্বিসহ জীবনে অসংখ্য ঝড়ের শেষে
বন্দী সুখেরা নিয়তির কারাগারে
ফিরে আসে আবার হৃদয় ঘরে
থামে জীবনের কান্না,,আবারো হাসে।

গগনের বুকে অভ্ররা কত অস্থির চঞ্চল
কি ছুটাছুটি জানো কেন করে
সুখ সন্ধানে বাদল হয়ে ঝরে
মিলে পরিশেষে শান্তি, সাগরের আঁচল।

সাফ গেমস এ বিজয়ী নারীদের জন্য একটি গান

ima

জিতেছে আজ বাংলাদেশ,
জিতেছে বাংলার নারী
হে আকাশ আজ উল্লাস করো,
পারি আমরাও পারি॥

মুজিবের এই বাংলায় দেখো
সবুজের প্রাণে প্রাণে
জয়ের উল্লাস জাগিয়েছে আশা
প্রজন্মের কলতানে।
জয় বাংলা – হেঁকে হেঁকে উড়ে
বিজয়ী পাখিদের সারি॥

একাত্তরের চেতনায় যারা
দিয়ে গেল তাজা প্রাণ
তারাই আজ এসেছে ফিরে
করতে শক্তি দান
বিজয়ী বাংলার নারী
বিজয়ী বাংলার নারী
এসো আজ মিলিত উৎসবে মাতি
আবার হাত উঁচু করি॥

বেশ হচ্ছে

images বেশ হচ্ছে

বেলকনির পাশে ডেঙ্গুর আনাগোনা বেশ হচ্ছে
রূপালি দেহ বরাবর জানালাটাও খোলা;
চুলের নাকি হাত পা আছে- হেঁটে- হেঁটে
রান্না করা পাতিলের মধ্যে ডুবে সাঁতার কাটে;
আজ কাল তেলাপোকারাও বেশরম হয়ে যাচ্ছে
মাছ কিংবা মাংসের সাথে মজাদার রোস্ট হচ্ছে
তেলাপোকা আর পেটের মূত্রনালী ডাইরেক্ট হচ্ছে
টয়লেটে। অথচ কবিতার আর্তনাদ বুঝেও বুঝে না
দ্রোহের মিছিল এ খাট ও খাট জুড়ে
নগ্ন ভাষার গল্প বেশ হচ্ছে হাসপাতালের দিকে
দেহ ছুটে যাচ্ছে মৃত্যুর কুলে বাহ বেশ হচ্ছে।

০৫ আশ্বিন ১৪২৯, ২০ সেপ্টেম্বর ’২২

পবনে প্লাবন

3068

ডুব সাঁতারের শর্ত কিবা আছে
অনিয়মের খোলস যদি মুখে
বিমূর্ত সব হিসেব নিকেশ আছে
দুঃখ ছোঁয়া দৈন্যতার এই বুকে।

অপলক তাই চেয়ে যদি থাকি
দৃষ্টি চোখে রাগের পাহাড় চাঁপা
খুব করে তাই বিধতে পারো আঘাত
ব্যাথা সইবার খোলা বুকটা পাতা।

কথার খঞ্জর সবাই কী আর ভোলে
কেওবা পেয়েও হারায় দ্বীপের আলো
না বুঝে সে ভেঙে দিতে পারো
ভুল পথে তাই চলছো যদি আরো।

দূরত্ব টা নিপুণতার সাথে
বাড়িয়ে দিলে অনিয়মের হাতে
উগ্র স্বভাব শুধুই মেজাজ হারা
সব ফুরাবে ভরাডুবির সাথে।

ডুব কী দেবো, দুঃখ নদীর জলে
হাজার কর্ম সূর্যতাপে জমা
একা পথে চলছে এমন দিন
কাটুক না তাই, পারলে কোরো ক্ষমা।

বুড়বক

এই যেমন ধরো, তুমি
সৈয়দ মুজতবা আলী’র এক-দুইটা
বই পড়তে পারছিলা।
এই যেমন ধরো,তুমি
শামসুর রাহমানের পিছে পিছে
ঘুরছিলা, শাহবাগের রাস্তায় রাস্তায়।

এই যে তুমি দুই চাইর লাইন
বাংলা লেখতে পারো,
পড়তে পারো বাংলা বর্ণমালা-
এর লাইগাই তুমি জুকারবুকে
একটা একাউন্ট খুলতে পারছ,

আর মাঝে মাঝে গালি দিতে
পারতেছ রাহমান কে,
মাঝে দাঁত বিলকাইয়া
কইতে পারতেছ,
মুজতবা কে ডা !

রঙ্গমঞ্চের কালো পর্দা

daud

সহস্র বিষণ্ণ রাত পাড়ি দিয়ে
বাগানের অজস্র ফুল মাড়িয়ে বপন হয় একটি স্বপন!
সেই স্বপন ভাংতে কতক্ষণ?
একটি স্বপ্নের আয়োজনে বিভাজিত আপন -পর, মিত্র- দুশমন
যোজন বিয়োজনের নির্মম অধ্যায় পেরিয়ে, পৃথিবীর তাবৎ মোহ ত্যাগ!
দিকভ্রান্ত পাখির ভাগ্য নির্ভর ডানা মেলে উড়াল দেয়া অ-দিগন্ত পথে!
সেই স্বপন ভাংতে কতক্ষণ?

প্রিয়তমার চোখে রঙ্গমঞ্চের কালো পর্দা
আড়ালের ছায়া, আবহ কণ্ঠ
জীবন ভর্ত্তি যানবাহনে পেট্রোল বোমার প্রজ্বলিত দাহ
আদর্শচ্যুত রাজনীতির বলি হতে কতক্ষণ? শোকাবহ
স্বজনের অশ্রুতে জ্বল জ্বল করে ঘৃণা, ক্ষোভ, প্রতিশোধের স্পৃহা!
ইথারে ধুকে এক একটি স্বপন
জীবন!!

টুক টুকে লাল লিপস্টিকের ঝলকে লকলক করা লোলুপ জিহ্বা
চোখের পাতায় রহস্য তিথির কারুকার্য,
সুডোল বুকের উষ্ণ শাঁখ থেকে বেরোয় বোঁটকা গন্ধ!
আহ!!
দারুণ!
অসম!!
স্বর্গীয় অপ্সরা
ডানা কাটা পরী!!
কতো কি বাহবা, অভিনন্দন, শুভেচ্ছা, শুভানুধ্যান
আমি শুধু জানতে চেয়েছিলাম স্বপ্ন কি?
নেড়ি কুত্তার মতন কুই কুই করে মনিবের পা চাটতে পারিনি যদিও!
সভ্যতার হাত ধরে
সততার অনু চক্রে স্থাপন করতে চেয়েছিলাম মহার্ঘ স্বপন!
অনাকাঙ্ক্ষিত জ্বালাও পোড়াও থেকে অনেক দূরে
অবাঞ্ছিত জঞ্জাল হতে অনেক অনেক দূরে…
যেখানে মন – মানবতার বিচারে জীবন ধারণ করে।

কতক্ষণ লেগেছিল প্রাণ গুলো অঙ্গার হতে?
কত টুকু আহাজারি উঠেছিল প্রাণ হতে প্রাণ নিঃশেষ হতে
কতক্ষণ জ্বলেছিল
কতক্ষণ লেগেছিল ভেঙ্গে যেতে একটি স্বপন?

আর দিও না ফাঁকি! (গীতিকাব্য)

ggyt

ক্যামনে খুঁজি তোমার চরণ
লিপ্সা করে বোধ যে হরণ
ব্যাকুল সাঁঝে তবু আশায় ডাকি –
আর দিও না দয়াল তুমি ফাঁকি!

এই তনু মন তোমার গড়া তুমিই বুকের মান,
সুর না দিলে দাসের গলে ক্যামনে শুনাই গান!
তোমার কৃপা না যদি পাই
কি বা পরি ক্যামনে বা খাই
এমনিভাবে রইলে যে পাপ
নিত্য দিবেই ঝাঁকি –
আর দিও না দয়াল তুমি ফাঁকি!

রিক্ত আমার বুকের পাঁজর দৃষ্টিহীনা আঁখি,
পিঞ্জিরাতে কাঁন্দে গো এক ডানা ভাঙা পাখি!
বলগা ছেঁড়া রিপুর ফুঁকে
গর্জি তবু ধরার বুকে
এমনিভাবে জনম গেলে
চাইবে যে কাল বাঁকী –
আর দিও না দয়াল তুমি ফাঁকি!

আলোকিতরশ্মি

যে কোনো দিন তুমি বোন আমার, শুনবে
মৃত্যু কেমন করে উজ্জীবিত করেছিল আমাকে
সাদা ফকিরের খাঁচা বিষয়ক গানটির মত
আমি মুছে দিয়েছিলাম প্রিয় ভাইটির কপাল
সিঁথি আর সিঁদুর লেপন
নির্বিরোধী আমি তাই খাঁচাটা ভাঙ্গতে চেয়েছি
বরাবর নিজের শরীর থেকে।

অপরাধ নিও না বোন আমার
কান্না মানে আমি কখনো চোখ বুঝিনি
তোমার বুকের ঠিক মাঝখানে ঢেউতোলা
স্রোতস্বি সমুদ্দুরটাকে বুঝেছি
জানোতো আমিও লোভীই ছিলাম ভীষন
এপার ওপার বন্ধনের নদীও আমাকে
বাঁধতে পারেনি কখনো; কুলহীন সমুদ্রের
সামনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হতেই চেয়েছি বারবার।

বোন আমার, তোমার ঘরে চোর ঢুকেছিল কালরাতে
জেনেও আমি চুপ থেকেছি। বাঁধভাঙ্গা ক্ষুধার মুখে
ওই এক আঁজলা নেওয়ালা আর কতটুকুই বা
নিবারণ করবে প্রেক্ষাপট!
ভুল বুঝোনা আমাকে, বোন আমার
খাঁচাগুলো সব বর্জ্য বুননের হতে পারে
আমি আর তুমি তো সেই একই, কফিনে
শুয়ে শুয়ে হেঁটে যাচ্ছি শামুক পথের রেখায়।

তোমার মতন আমারো একটা
মেধাবিহীন ক্যালেন্ডার ছিল
লাল দাগগুলোতে আমিও নকশি আঁকা
রঙিন দীর্ঘশ্বাসের জড়োয়া সাজাতাম
আর হুটু-টুটসির অকারন যুদ্ধগুলোর মত
কিছু হারাতাম, কিছু পাবার জন্যে উন্মুখ থাকতাম
মূলতঃ তোমারই ভাগ্য বোন, কিছুই পেতাম না
আমিও, শুধুই আজীবনের এই যুদ্ধসাজ ছাড়া।

আমরা প্রশ্নসারি থেকে খুঁজে পেতে পারি উত্তরমালা
বোন আমার, আমরা এসো পরস্পরের শরীর
বৃত্তাকারে ঘুরে দেখে আসি যাবতীয় হাহাকার
আমরা পরস্পরের ছায়া হই, খুঁজে আনি
ভেতর থেকে একেকটা দুরন্ত ঘোড়া
অনিবার্যকে পেছনে ফেলে যে ঘোড়াটি
মূহুর্তে ডিঙাতে পারে তূর পাহাড়।

তবুও জীবন

3051

তবুও জীবন– চলবে তা আজীবন
তবুও জীবন–ইতিআন্তে শুধু মরণ!

তবুও জীবন–মরণে করে সন্ধি
তবুও জীবন–বয়স ফ্রেমে বন্ধি!

তবুও জীবন–অচল টুকরো মন
তবুও জীবন–প্রেমচিত্তে মলিন!

তবুও জীবন–বিরহে রাগ অনুরাগ
তবুও জীবন–কষ্ট ভুলা অনুযোগ!

তবুও জীবন–বাস্তব বলে বাস্তবতা
তবুও জীবন–ছোট্ট ভুলেই ব্যর্থতা!

তবুও জীবন–জন্ম থেকে জন্মাত্তর
তবুও জীবন–ভালো মন্দ নিরন্তর!

তবুও জীবন–প্রেমশ্লোকে বিরহগাঁথা
তবুও জীবন–সত্য মিথ্যে একআত্না!

তবুও জীবন–চলবে তা আজীবন
তবুও জীবন–ইতিআন্তে শুধু মরণ!