বিভাগের আর্কাইভঃ বিবিধ

দীলখুশ মিঞার সন্দেশঃ আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা

দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।
হাই হ্যালো।

লক্ষ্য করছি যে শব্দনীড়ে পোষ্ট কমে গেছে।

এই ব্লগের কবিরা কি কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছে।

এলেবেলে খ্যাত মিতাকে দেখি না।

কেউ কেউ গল্প, উপন্যাস পোষ্ট করতেন তারা কি শব্দনীড়ে তাদের লেখা প্রকাশের যোগ্য মনে করছেন না!

দীলখুশ মিঞার হাই হ্যালো ভয়ে কে কে হারিয়ে গেলেন হাত তুলেন।

আপনাদের কল্যান হোক।

বাদাম কেন খাবেন?

বাদাম কেন খাবেন?
বাদামে আছে প্রোটিন। সবাই খাদ্য ভ্যালু জানুন এবং রোজ বাদাম খান। বাদাম যারা নিয়মিত খাচ্ছেন। তারা যথারীতি রক্তে লিপিড কমাচ্ছেন। কাঠবাদামে আছে ই-ভিটামিন, খাবারের সাথে বাদাম মিশিযে খেয়ে নিন। বাদাম খাওয়া একান্ত দরকার। খাওয়ার দায়িত্ব আমার-আপনার-সবার।

সবাই সুস্থ থাকতে চাই, তাই আসুন বাদাম খাই। যারা নিয়মিত বাদাম খাচ্ছেন, তারা হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনছেন। বাজারে আছে চিনাবাদাম, আখরোট-কাজু-পেস্তাবাদাম। সবাই খাবারে বাদাম মিশিয়ে খান, হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমান।

(সূত্র: যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বাদাম নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছেন।)

দীলখুশ মিঞার সন্দেশঃ ব্লগিং পর্ব

সকলকে দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।
আজ দীলখুশ মিঞার সন্দেশঃ ব্লগিং পর্ব।

হাই হ্যালো।

আজ আমি আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করতে এসেছি। এ কথাতে কোন ধরনের বিতর্ক নেই যে আমরা যারা ব্লগ লেখি বা পড়ি তারা সকলেই কোন না কোন ভাবে লেখালেখি ভালোবাসি। আমরা আমাদের ব্যাস্ত জীবন থেকে কিছু সময় বের করে এখানে কিছু সময় দেই।

আমি মনে করি একজন লেখকের সফলতা তার পাঠকপ্রিয়তা। এ বিষয়ে বিতর্ক আছে অবশ্যই কিন্তু যারা মনে করেন জনপ্রিয়তা কোন ব্যাপার নয়, আমার লেখা আমি লিখে যাব কেউ পড়ল কি পড়ল না তা দেখার বিষয় আমার নয়, তারা আমার পোষ্টের বাকি অংশটুকু না পড়লেও পারেন। কিন্তু যারা ভাবেন ব্লগ মাধ্যমটি ব্যবহার করে আমি আমার ভাবনার লিখিত রূপকে জনপ্রিয় করে তুলব তারা পড়ে দেখতে পারেন আমার এ লেখাটি। কাজে লাগতে পারে।

শিরোনামঃ

আপনার লেখাটির একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম দিন। মনে রাখতে হবে পাঠক সর্ব প্রথম আপনার লেখার শিরোনাম দেখে আকৃষ্ট হয়। শিরোনামের আকর্ষন হীনতার কারণে অনেক ভালো মানের লেখা পাঠকপ্রিয়তা হতে বঞ্চিত হয়।

শিরোনামের পর আপনার ব্লগে না ঢুকেও যে অংশটুকু দেখা যায় তাকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করুন। এ অংশটুকু শিরোনামের মতই গুরত্বপূর্ণ।

কনটেন্টঃ

সর্বক্ষেত্রেই কনটেন্ট হচ্ছে একটি ব্লগের প্রাণ। আপনি যে বিষয় নিয়েই ব্লগিং করেন না কেন, ব্লগে অবশ্যই সবার থেকে আলাদা এবং ভালমানের কনটেন্ট থাকতে হবে। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে আমি সবসময় সবাইকে এই বিষয়টির প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে বলি। কোন একটি পোষ্ট লিখার সময় আপনি ঐ লিখাটি সাবার কাছে সুন্দর, সহজ এবং বোধগম্য করে উপস্থাপন করতে পারলে, তখন আপনার লিখাটির প্রতি সবাই আকৃষ্ট হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি যে কোন বিষয়ে যুক্তি ও উদাহরণের মাধ্যমে পাঠককে পরিষ্কার ধারনা দিতে পারেন। কারণ পাঠকরা আপানার মত সব বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হবে না। সে ক্ষেত্রে সহজভাবে কোন বিষয় উপস্থাপন করতে পারলে আপনি একজন ভালমানের লেখক হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, লিখার মধ্যে অবশ্যই ভালমানের পরিপাটি করা সুন্দর ও স্মার্ট শব্দ থাকলে বিষয়টি আরো ভাল হয়।

কমেন্টের সঠিক প্রতি উত্তর দেয়াঃ

এ বিষয়টি আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। পাঠক যখন আপনার পোষ্ট পড়বে তখন পোষ্টের কিছু বিষয় হয়ত ঠিকমত বুঝবে না। এ ক্ষেত্রে তারা চাইবে কমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকট থেকে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জেনে নিতে। আপনি যদি কমেন্টের প্রতি-উত্তর প্রদানের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে কমেন্টকারীকে সহজ ও বোধগম্য করে সন্তুষজনক জবাব দিতে পারেন, তাহলে ঐ পাঠক নিঃসন্দেহে আপনার ব্লগটিকে তার প্রিয় ব্লগের তালিকা রেখে Bookmark করে নেবে।

অন্যের পোষ্টে মন্তব্য করাঃ

প্রথমত অন্যের পোষ্ট পড়ুন এবং অন্যের পোষ্টে চমৎকার উপস্থাপনায় মন্তব্য করুন। ভাল লেগেছে, ভাল হয়েছে এ জাতীয় মন্তব্য না করে সমালোচনামূক মন্তব্য করুন, গঠনমূলক প্রশংসা করুন। ভাববেন না অন্যেকে কঠিকভাষায় সমালোচনা করলে সে আপনার পোষ্টে আসবে না বরং আপনি যদি লেখাটি পড়ে তার কঠিন সমালোচনা করেন তবে মাঝে মাঝে রেগে গেলেও আপনাকে মনে রাখবে এবং আপনার পোস্টে ঢুকবেই।

Social Media Promote করাঃ

বর্তমান সময়ে ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রেও সোসিয়াল মিডিয়াকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কারন বিভিন্ন সোসিয়াল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা এত বেশী যে, আপনার লেখার প্রচার-প্রসার এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে অনেক ভূমিকা পালন করে। বিশেষকরে Facebook এবং Twitter এ আপনার বিভিন্ন পোষ্টের লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার জনপ্রিয়তা এবং ট্রাফিক দুটিই বৃদ্ধি করতে পারবেন।

অনেক কথা হলো।
ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।

কবির জগত

কবিদের জগতটা আলাদা। যখন রাত্রির মৃত্যু নেমে আসে সমস্ত চরাচরে, গভীর আধার এব ভর করে. পৃথিবীর তীব্র আলোচ্ছটা হারিয়ে যায়, হয়তবা চন্দ্রিমার কোমল আলো এক যাদুকরী মমতায় ঢেকে দেয় পৃথিবীর প্রান্তর, কিম্বা ভোরের প্রস্ফুটিত আলোয় শিশুর মতো প্রাণবন্ত থাকে পৃথিবী, তখন কবিদের হৃদয়ে এক একটা ধারণা নিক্ষেপ করে প্রকৃতি, তখন শব্দ তুলিতে যে চিত্র আকা হয়ে যায় তা হয়তবা মিথ্যার আবরনে ঢাকা থাকে, থাকে কোন উপমার চিক্রকল্প, হয়ত কোন স্মৃতির মনিকোটায় কোন দৃশ্য সুপ্তাবস্থা হতে সামনে চলে আসে জনসমক্ষে কিন্তু তা সমকালীনকে নিয়ে যায় চিরকালীনের দ্বার প্রান্তে। এক অতীন্দ্রিয় অনুভুতির তীব্র যন্ত্রনায় কবি কাপতে থাকে। সাধারনেরা অনেক সময় তাই তাদের কর্মকান্ড বুঝে উঠতে পারে না —-

চিঠি-২ (স্বামীর নিকট স্ত্রীর চিঠির জবাব)

wife wrote a letter her husband
কয়েকদিন পর বউয়ের চিঠি পেয়ে অর্ণব খুব খুশী, তার বউ তাকে পত্র লিখেছে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমকে অবজ্ঞা করে..

প্রিয় স্বামী, তোমার পত্র পেয়েছি, পত্রটি পড়ে আমি এতোটাই সুখবোধ করছি সেটা তোমাকে বুঝতে পারবো না, আর তোমার মতো আমিও খুব বোরিং ফিল করেছি প্রথমত তোমাকে ছেড়ে থাকতে কিন্তু যেদিন বন্ধুটির সাথে দেখা হলো, কথা হলো, এখানে ওখানে হাত ধরে ঘুরে বেড়ালাম সবটাই ভুলে গেলাম কখন বলতে পারছি না, হু তোমাকে না বললেই নয়, বন্ধু আমার সাথে সর্বক্ষণ সময় দিয়ে আমাকে এতোটাই আনন্দ দিয়েছে সেটা তুমি আমাকে দেখলেই বুঝতে পারবে। অনেকটা বৃক্ষের পাতা ঝড়ে পরার পর যখন সেই বৃক্ষের নতুন পাতার জন্ম হয় আর সেই পাতার যে কোমলতা ঠিক তেমনি। বন্ধুটি আমাকে অনেক কিছুই শিখিয়েছে, শিখিয়েছে কিভাবে অনুর্বর জমিকে চাষাবাদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হয়।

প্রিয় স্বামী, তুমি চিন্তা করোনা আমি তোমার কাছে আসার পর তোমাকে সবটুকু শিখিয়ে দিবো, আর মাধবী লতার চিঠি পাঠায়নি, টেলিযোগাযোগে অনেকটাই বলেছে, ওর কথা শুনে তো আমি বিস্মিত! কেন আমরা এতোটা উপভোগ করতে পারিনি, এটাও বলেছে যে, ব্যস্ততায় আমরা কেউ কাউকে বুঝতে পারিনি, চিনতে পারিনি কিংবা কারো কষ্ট কেউ শেয়ার করতে রাজি ছিলাম না, আমি আমারটাই চেয়ে গেছি কিন্তু তোমার চাওয়া পাওয়ার কোনো গুরুত্ব দেইনি। হয়তো তুমিও আমার মতো, অবশ্য তোমাকে দোষ দেবো না, কারণ কর্মস্থল ছেড়ে তোমারও বিশ্রামের প্রয়োজন বোধ করা প্রয়োজন ছিলো আমার।

প্রিয় স্বামী, আজ আর লিখছি না, খুব দ্রুতই তোমার নিকট চলে আসছি, তুমি মন খারাপ করোনা, আমি এমন কোনো কাজ করিনি যা তোমার মাথা নত করতে হয়। তবে আমি এই সমুদ্র সৈকতে মাইন্ড পরিবর্তন করতে এসে খুব সুখী বলতে পারি।

[বিঃদ্রঃ স্বামী ও স্ত্রীকে একত্রিত হতে দিন, অপেক্ষায় থাকুন, কে কতটা পরিবর্তন হয়েছে]

বউয়ের নিকট স্বামীর চিঠি-০১

R
প্রিয় বউ,
তোমাকে বলাই হয়নি, তুমি তোমার বন্ধুকে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে মাইন্ড পরিবর্তন করতে গেছো কিন্তু এদিকে ঘটে গেছে আরেকটি দুর্ঘটনা, তুমি এই পত্র পড়ার পর হয়তো বিস্মিত হবে কিংবা তেলে বেগুণে জ্বলে উঠবে, কোথাও কোথায় ফোসকা পরে যেতে পারে আবার নাও হতে পারে, তুমিও সাধুবাদ জানাতে পারো এমনটাই মনে করি।

তুমি চলে যাবার পর খুব একা একা লাগছিলো, মনে হচ্ছিল কি এমন বস্তু হারিয়েছি যার জন্য আলোকে অন্ধকার মনে হচ্ছে, যখন তুমি ঘরে থাকতে তখন বুঝতে পারিনি, কত রাত দুজনার মাঝে ফারাক্কার বাঁধ হিসেবে কোল বালিশ দিয়ে রেখেছি কিংবা তুমি রেখেছো, তুমি বলতে আমার জন্য কি তোমার সময় হবে না, বিয়ের আগেই তো ভালো ছিলে তুমি, একসাথে বসে কত ফুসকা খেয়েছি, কত জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি, অবশ্য তখন তুমিও পড়ালেখা করতে আর আমিও, তুমি চাকরি পেলে, এক সময় ধুমধাম করে রসায়নের বিক্রিয়ায় নিজেদের পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রে ফেলে ইতিহাস রচনা করতে চেয়েছিলাম। আজ তুমিও ব্যস্ত, তোমার ব্যস্ততা দেখে মনে হয় আমার ভেতর আর কোনো জৈবতা নেই যেটার জন্য জমিন পতিত থাকবে।
প্রিয় বউ সত্যি তুমি বেড়াতে যাওয়ার পর কয়েকদিন তোমার কথাগুলো আমাকে কুরেকুরে খেয়েছে, কিন্তু আজ অনেকটা হালকা মনে হচ্ছে। হয়তো তুমি আমাকে ফেলে মাইন্ড পরিবর্তন করতে গিয়ে ফুরফুরে আছো তোমার বন্ধুকে পেয়ে, শুনলাম তুমি যে হোটেলে উঠেছো সেটা তোমার বন্ধুর হোটেল, যাক তোমার পরিবর্তন হোক সেটাই চাই, আমিও বোরিং ফিল করছিলাম আর সেটা তোমার বান্ধবী মাধবী লতা অনেকটাই হালকা করে দিয়েছে।

প্রিয় বউ, পত্র পড়ে আশা করি আমাকে ভুল বুঝবে না, আমি এমন কোনো অন্যায় বা অপরাধের কাজ করিনি তোমার বান্ধবীর সাথে, তোমার বান্ধবীও আশা করি তোমার নিকট তেমন কোনো অভিযোগ পেশ করবে না কোনোদিন, কেননা তোমার বান্ধবীও খুব খুশী আমাকে হাসতে দেখে, তুমি জানোনা আমার উচ্চ হাসি শুনতে পেয়ে বলছে তুমি নাকি এমন হাসি হাসতে আমাকে দেখোনি তোমার আমার বিয়ের পর একটি দিনও।

প্রিয় বউ, আজ আর তেমন কিছুই লিখবো না, শুধু তোমার অপেক্ষায় থাকলাম, বাকিটা তোমার বান্ধবী মাধবী লতার কাছে জেনে নিও। … ইতি তোমার বর অর্ণব।

[বিঃদ্রঃ স্ত্রীর চিঠির জবাব পড়ার অপেক্ষায় থাকুন]

অর্থনীতি – পর্ব -০২

প্রথম পর্বের পরে…………..
একজনের হাত থেকে অন্য জনের হাতে হস্তান্তর, অর্থাৎ গতিশীলতা। প্রতিটি হস্তান্তর যত দ্রুত হতে থাকবে তত বেশি সংখ্যক লোক ঐ একই সম্পদ থেকে লাভবান হতে থাকবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, ধরুণ একটা এক টাকার নোট। এই নোটটা যার হাতেই পোড়ল, সে যথা সম্ভব শীঘ্র সেটা খরচ করে ফেলল। সে খরচ যেমন করেই হোক, কোনো কিছু কিনেই হোক বা দান করেই হোক বা কাউকে ধার দিয়েই হোক বা কোনো ব্যবসাতে বিনিয়োগ করেই হোক। ঐ নোটটা যদি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দশজন লোকের হাত বদলায় তবে ঐ এক দিনে নোটটা দশজন লোককে লাভবান করবে। আর যদি একশ’ জনের হাত বদলায় তবে একশ’ জনকে লাভবান করবে। কারণ প্রতিবার হাত বদলাবার সময় দু’জনের মধ্যে একজনকে অবশ্যই লাভবান হতেই হবে। ঐ সীমিত সম্পদটা অর্থাৎ ঐ এক টাকার নোটটা যত দ্রুত গতিতে হাত বদলাবে, যত দ্রুত গতিতে সমাজের মধ্যে চালিত হবে তত বেশি সংখ্যক লোককে লাভবান করবে; তত বেশি সংখ্যক লোক অর্থনৈতিক উন্নতি করবে এবং পরিণতিতে সমস্ত সমাজকে অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত করবে, সম্পদশালী করবে।

ঐ গতিশীলতার জন্য যে কোনো পরিধির সীমিত সম্পদ সমাজে নিজে থেকেই সুষ্ঠুভাবে বণ্টন হয়ে যাবে কোথাও পুঞ্জীভূত হতে পারবে না এবং হবার দরকারও নেই। সম্পদের এই গতিশীলতার জন্য নিজে থেকেই সুষম-সুষ্ঠু বণ্টন হয়ে যাবার কারণে একে রাষ্ট্রায়াত্ব করার কোনো প্রয়োজন নেই, ব্যক্তির মালিকানাকে নিষেধ করারও কোনো প্রয়োজন নেই। ব্যক্তি মালিকানা নিষিদ্ধ করার কুফল সাংঘাতিক, যে কুফলের জন্য রাশিয়া আজও খাদ্যে-পণ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে নি এবং আজও আমেরিকা থেকে লক্ষ লক্ষ টন খাদ্য আমদানি করতে হয়। যা হোক, উদাহরণস্বরূপ যে এক টাকার নোটের কথা বললাম, সেই নোটটা যদি সমস্ত দিনে কোনো হস্তান্তর না হয়ে কোনো লোকের পকেটে বা কোনো ব্যাংকে পড়ে থাকে তবে ওটার আসল মূল্য এক টুকরো বাজে ছেঁড়া কাগজের সমান। কারণ সারাদিনে সেটা সমাজের মানুষের কোনো উপকার করতে পারল না, কারো অর্থনৈতিক উন্নতি করতে পারল না। আবার বলছি আল্লাহর দেয়া জীবন বিধানের অর্থনীতির বুনিয়াদ-ভিত্তি হলো সম্পদের দ্রুত থেকে দ্রুততর গতিশীলতা (Fast and still faster circulation of wealth)।
ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূলনীতি হচ্ছে সুদ ভিত্তিক পুঁজিবাদ, পরিণাম হচ্ছে নিষ্ঠুর, অমানবিক অর্থনৈতিক অবিচার, একদিকে মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে বিপুল সম্পদ, তাদের সীমাহীন ভোগ বিলাস; অন্যদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারণের কঠিন দারিদ্র্য, অর্ধাহার-অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূলনীতি হচ্ছে সমস্ত সম্পদ রাষ্ট্রায়ত্ত করে মানুষের ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার হরণ করে সম্পদ বণ্টন। এ বণ্টন শুধু মৌলিক প্রয়োজনের এবং তা-ও ঐ মানুষের শ্রম ও উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে। পরিণাম হচ্ছে খাদ্য, বস্ত্র, ও ক্ষুদ্র বাসস্থানের বিনিময়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারণের আত্মাহীন যন্ত্রে পরিণত হওয়া ও মুষ্টিমেয় নেতৃবৃন্দের ভোগ-বিলাস ও প্রাচুর্যের মধ্যে বাস করে ঐ বঞ্চিত কৃষক শ্রমিক জনসাধারণের নেতৃত্ব করা। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ। ঐ দুই ব্যবস্থাই মানুষের-গায়রুল্লাহর সৃষ্টি এবং দুটোরই পরিণাম বৃহত্তর জনসাধারণের উপর নিষ্ঠুর অবিচার, বঞ্চনা। শেষ দীনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মূলনীতি হচ্ছে সমস্ত সম্পদকে যত দ্রুত সম্ভব গতিশীল করে দেওয়া এবং অর্থনীতিকে স্বাধীন-মুক্ত করে দেওয়া। প্রত্যেক মানুষের সম্পদ সম্পত্তির মালিকানা স্বীকার করা, প্রত্যেকের অর্থনৈতিক উদ্যোগ-প্রচেষ্টাকে শুধু স্বীকৃতি দেওয়া নয় উৎসাহিত করা (সুরা আল-বাকারা ২৭৫)। একদিকে অর্থনৈতিক উদ্যোগ প্রচেষ্টা অর্থাৎ ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পকে আল্লাহ উৎসাহিত করছেন অন্যদিকে ক্রমাগত বলে চলেছেন খরচ করো, ব্যয় করো। উদ্দেশ্য সেই গতিশীল সম্পদের নীতি। পরিণাম সমাজের সর্বস্তরে সম্পদের সুষ্ঠু-সুষম বণ্টন, দারিদ্র্যের ইতি।

(শেষ)

বৃদ্ধাশ্রম থেকে পাঠানো মায়ের চিঠি

খোকা,

কেমন আছিস জানতে চাইবো না। কেননা সব মায়েদের চাওয়াই থাকে তার খোকা যেন সব সময় ভাল থাকে, সুস্থ্য থাকে। আমাকে ছেড়ে নিশ্চয়ই তুইও ভাল আছিস। আর ভাল থাকবি না কেন বল? ভাল থাকার জন্য তো তোরা আমায় এখানে পাঠিয়ে দিয়েছিস। আমি ভাল আছি, তবে ছোটদাদুর জন্য মনটা খুব কাঁদে রে। ওকে ভুলে থাকতে পারি না। বউমাও নিশ্চয় খুব ভাল আছে।

যখন একলা থাকি তোর বাবার স্মৃতি খুব মনে পড়ে। বাড়ীর প্রতিটা আসবাবপত্রে তোর বাবার হাতের ছোঁয়া লেগে আছে। ইচ্ছে ছিল জীবনের শেষ অবধি সেগুলো বুকে আগলে রাখবো। কিন্তু তোরা আমার সুখ চাস বলেই নাকি এই বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিয়েছিস। তাই মাঝে মাঝে চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়লেও এই ভেবে হেসে উঠি যে তোরা আমায় কত ভালোবাসিস। জগতে কোন ছেলে তার মাকে ভালোবেসে এমন সুন্দর জায়গায় পাঠায়। যেখানে কোন কাজ করতে হয় না। শুধু বসে বসে খাওয়া আর গল্প করে সময় কাটানো যায়।

জানিস খোকা, তুই তখন খুব ছোট। কেবল মাত্র হাঁটতে শিখেছিস। থাপুস-থুপুস করে পা ফেলে বাড়ীর আঙিনা জুড়ে হেঁটে বেড়াস। আমি তোর পাশাপাশি হাঁটছি। হঠাৎ তোর পা কেটে রক্ত বের হল। তোর বাবা তো সেটা দেখে আমার সাথে সেকি রাগ। পারে তো বাড়ী থেকে আমায় বের করে দেয়। তোকে কেন বুকে না রেখে মাটিতে হাঁটতে দিয়েছি এই অপরাধে। সেদিন আমরা তোর চিল্লা-চিল্লি দেখে কিছুই খেতে পারি নি। সারারাত নির্ঘুম কেটেছে দুজনের। তুই এখনও ভাল করে বাঁ পায়ের নিচে তাকালেই দেখতে পারবি আমাদের দুজনের আদরের ছোঁয়া।

খোকা, তোর বাবা প্রায়ই বলতো দেখে নিও আমাদের খোকা একদিন মস্ত বড় হবে। তোর বাবার কথা সত্যি হয়েছে। তুই অনেক বড় হয়েছিস। দোয়া করি আরও বড় হ। যতো বড় হলে মানুষ আকাশ ছুঁতে পারে। তোর জন্য মন খুব কাঁদে। কতোদিন হলো তোকে দেখিনা। এতো ব্যস্ত থাকিস কেন? এই বুড়ো মাকে একদিন একটু সময় করে দেখতে আসিস। ভয় নেই কিছুই নেব না তোর কাছে। শুধু তোর মুখটা দেখে প্রাণটা জুড়িয়ে নিব। তোকে এখন দেখতে না পারায় আমার বুকের ভেতরটা কেমন যেন খাঁ খাঁ করে রে। আমি তোকে জন্ম দিয়েছি। বুকে আগলে রেখে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেছি। ছোট্ট বিছানায় পেচ্ছাব করে ভিজিয়ে দিয়েছিস যখন তখন আমি সেই ভেজা বিছানায় শুয়ে তোকে বুকের মধ্যে নিয়ে ঘুম পাড়িয়েছি। একেই বলে বুঝি জন্মান্তরের বাঁধন। এই বাঁধনটা কেটে দিতে নেইরে খোকা। কেটে দিলে সবাই যে তোকে অমানুষ ভাববে। আর আমি মা হয়ে সেটা সইবো কেমন করে বল

আজ আর নয়। আমার বংশের প্রদীপ ছোটদাদুর প্রতি খেয়াল রাখিস। ভাল থাকিস খোকা। হাজার বছর বেঁচে থাকিস।

ইতি,
তোর মা।

জমে উঠুক আমাদের শব্দনীড়

আমাদের অনেক আবেগ ও ভালবাসার নাম শব্দনীড়। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শব্দনীড় আবার সচল হয়েছে। জেগে উঠছেন ব্লগাররা। দেখে আনন্দ হয়। আমাদের শব্দনীড়কে জাগিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদেরই। আমাদের পদচারনায় সচল থাকবে শব্দনীড়। পুরনো অনেক ব্লগারর ফিরে এসেছেন। নিয়মিত পোস্ট দিচ্ছেন। টুকটাক মন্তব্যও করছেন। সবার মাথায় ছাতা নিয়ে আগের মতই আছেন আমাদের প্রিয় আজাদ কাশ্মীর জামান ভাই – মুরুব্বী।

বাংলাভাষায় যে ক’টি ব্লগ আছে তাদের সর্বশীর্ষে শব্দনীড়ে অবস্থান না হলেও শীর্ষদের মাঝে অন্যতম। আমার হিসেবে ব্লগার, ভিজিটর ও পাঠকের সংখ্যা বিবেচনায় আমরা প্রথম না হলেও দ্বিতীয় অবস্থানে আছি। বর্তমানে বেশিরভাগ বাংলা ব্লগের অবস্থা নিভু নিভু।

ব্লগ মত প্রকাশের পরীশিলিত মাধ্যম, সহজ মাধ্যম। নিজের মতামত অতি দ্রুত ছড়িয়ে দেয়ায় অনন্য। এই মাধ্যম কাজে লাগানোর কিছু তরিকা আছে। এটা পারস্পরিক মাধ্যম। আমি বলব সবই, কিন্তু কিছুই শুনব না। এই নীতি এখানে অচল। এই জায়গাতেই আমরা পিছিয়ে আছি। আমরা লিখছি খুবই কিন্তু অন্যদের লেখায় যাচ্ছি না। মন্তব্য করছি না। কিন্তু মন্তব্য প্রতি মন্তব্য না আসলে ব্লগ জমে না। ব্লগারদের মাঝে বন্ধুত্ব তৈয়ার হয় না। আমি অনেকের খুব কাছাকাছি আসতে পেরেছি শুধু এই ব্লগের মাধ্যমেই।

দেখা যায় অনেক নতুন ব্লগার আছেন তাঁরাও মন্তব্য করছেন না। হয়ত বা তাঁরা ধরে নিয়েছেন মন্তব্য না করলেই চলে। কিন্তু মন্তব্য না করলে জনপ্রিয় ব্লগার হওয়া যায় না। মন্তব্য কম হওয়ার আরেকটি কারন বোধহয় এটা, শব্দনীড়ে কবিতা আসে বেশি। কবিতায় হয়ত ভাল লাগা মন্দলাগা ছাড়া মত প্রকাশের সুযোগ খুব একটা থাকে না। কিন্তু গদ্যেও দেখি তেমন মন্তব্য নাই।

তাই সকলে মিলে আসুন ব্লগটাকে জাগিয়ে তুলি, আলাপ আলোচনায় জমিয়ে রাখি।

খুল যা সিম সিম… গেদুর ব্যর্থতা

দূরে কাছে, দেশে বিদেশে যে যেখানে আছেন তাদের সকলকে খুল যা সিম সিম এর পক্ষ থেকে সু-স্বাগতম। বিজ্ঞাপনের এই যুগে যেখানে বিজ্ঞাপনের ফাকে ফাকে অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় সেখানে কেবল মাত্র বিজ্ঞাপনের অভাবে এই অায়োজনটি বন্ধ ছিল। এমনই জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠান! অবশেষে নিজের পয়সায় অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হচ্ছে। তাই আপনারা নিশ্চিত থাকেন যে অনুষ্ঠানটি একযোগে বিনা বিরতিতে প্রচারিত হবে।

সেদিন এক সুন্দরী লাস্যময়ী তরুনী এসে গেদুকে বলল, শুনেছি আপনি নাকি ভবিষ্যত বলতে পারেন?
গেদু বলল, পারি না মানে! যদি তোমার হাতটি ছুয়ে দেই তাহলে তুমিও বলতে পারবে ভবিষ্যত।
মেয়েটি হাত বাড়িয়ে দিল। গেদু হাত ধরেই রাখল। এক দুই তিন, কেটে যাক দিন, গেদু মনে মনে বলে এ পথ যদি শেষ না হয় তবে কেমন হয়!
মেয়েটি বলল, কই। আমিতো ভবিষ্যত বলতে পারছি না?
মিষ্টি হেসে গেদু বলল, পারবে। পারবে না মানে একেবারে পরিস্কার দেখতে পারবে। শুধু তোমার গালটি আমার দিকে বাড়িয়ে দাও।।
মেয়েটি বলল, না।
গেদু বলন, কে নয়?
– আপনি, আমার গালে চুমু খাবেন।
গেদু মহা উল্লাসে বলল, এই তো দেখতে পারছো তুমি ভবিষ্যত। দাও দাও তোমার গালটি বাড়িয়ে দাও। যে ভবিষ্যত তুমি দেখতে পারছো তাকে বর্তমানে নিয়ে আস।

হা ভাই-বোন-বন্ধুরা, গেদু যে কৌশল নিয়েছে সেখানে সে ব্যর্থ হয় নাই। তার ব্যর্থতা অন্য জায়গায়। আসুন সে দিকে যাওয়া যাক।

বিভিন্ন দেশের পুলিশের মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। প্রতিযোগিতার বিষয় হচ্ছে, একটি শিকারী কুকুরকে জঙ্গলে ছেড়ে দেয়া হবে দেখতে হবে কোন দেশের পুলিশ কত দ্রুত খুঁজে বের করে আনতে পারবে।

ছেড়ে দেয়া হলো কুকুরটি। একদিনের মধ্যে খুঁজে নিয়ে এলো যে পুলিশের দল তাদের চিহ্নিত করা গেল যে পুলিশ বাহিনীটি চীনের।

দ্বিতীয় দলটি দুই দিনে চিহ্নিত হলো আমেরিকান পুলিশ।

তৃতীয় দলটি খুঁজতে গেল। কিন্তু দিন যায়, রাত যায় যেতে যেতে এক সপ্তাহ চলে গেল কিন্তু তারা আর ফিরে এলো না। জাতিসংঘের প্রশিক্ষিত পুলিশ টিম বেরিয়ে গেল। আবশেষে দেখতে পাওয়া গেল সেই পুলিশ বাহিনীকে। জানা গেল তারা গত এক সপ্তাহ যাবত একটি ভেড়াকে গাছে বেধে পিটাচ্ছে আর বলছে –
স্বীকার কর তুই সেই কুকুর।
স্বীকার কর তুই সেই কুকুর।

কোন দেশের পুলিশ তারা? কেউ জানল না।
গেদুকে দায়িত্ব দেয়া হলো খুঁজে বের করতে যে, তারা কোন দেশের পুলিশ। গেদুর ব্যর্থতা এখানেই যে সে চিহ্নিত করতে পারল না তারা কোন দেশের পুলিশ।

গেদুর এই ব্যর্থতা নিয়েই শেষ করতে হচ্ছে আজকের খুল যা সিম সিম। আল্লাহ হাফেজ।

দিনপঞ্জি…

প্রতিদিন একই ব্যস্ততা আর ভাল লাগছিল না বলেই ঝিম মেরে পড়ে থাকার জন্য আজ বাসায়। কিন্তু বাইরের গনগনে রোদের তেজ ঘরে এসেও ঝিম মেরে থাকতে দিচ্ছেনা। তাই গুটগুট করে ঘরময় ঘুরছি আর ভাবছি, হাতে এক গ্লাস ঠান্ডা লেবু পানি। ভাবছিলাম ‘চিঠি’ নিয়ে। ‘সবিনয় নিবেদন’ শেষ করে চিঠি নিয়েই ভাবছি, পড়ছি। নিজের চিঠির বাক্সটা হাতের কাছে না থাকায় অন্যদের গুলোতেই ঘুরে বেড়াচ্ছি, মনেমনে নেড়েচেড়ে নিচ্ছি। কিছু আগে আবার পড়লাম ‘বুদ্ধদেব গুহ’র এই চিঠিটা। ভাবছি পুরো বইটাই আবার শুরু করে দিব :-)

“কুর্চি,

তোমার চিঠি হঠাৎ এই শীতের সকালে এক রাশ উষ্ণতা বয়ে আনলো। পাতা ঝরে যাচ্ছে সামনের শালবনে। বিবাগী হচ্ছে ভোগী। রিক্ততার দিন আসছে সামনে। এরই মধ্যে তোমার চিঠি যৌবনের দুতীর মতো; এলো এক ঝাঁক টিয়ার উল্লাসী সমবেত সবুজ চিৎকারের মতো। দুর্বোধ্য আপাত। কর্কশ শব্দমঞ্জরীও কী দারুন মুগ্ধতা বয়ে আনে কখনো কখনো, কী দারুন ভাবে সঞ্জীবিত করতে পারে অন্যকে।
তাই নয়?
তার মানে এই নয় যে- তোমার চিঠি দুর্বোধ্য। উপমার খুঁত ক্ষমা করে দিও।
কেমন আছ তুমি? জানতে চাইলেও জানতে পাই কই?

সকাল থেকেই তোমাকে আজ খুব সুন্দর একটা চিঠি লিখতে ইচ্ছে করছিল। ঘুম ভাঙ্গার পর থেকেই তোমার কথা মনে পড়ছিল খুবই। আজকে ঘুম ভাঙ্গলো বড় এক চমকে। এক জোড়া পাখির ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো। যে পাখিদের ডাক বড় একটা শুনিনি এদিকে। কম্বল ছেড়ে দৌড়ে বাইরে গিয়ে দেখি- এক জোড়া স্কারলেট মিনি-ভেট এসে বসেছে আম গাছের মাথায়। আমার ঘুম ভাঙ্গা নিয়ে পাখিরা। আহা! রোজই যদি আসতো। আর তারপরই তোমার এই চিঠি। দিন আজকে ভালো যাবে আমার।
বলছিলাম যে, সকাল থেকেই তোমাকে সুন্দর একটি চিঠি লিখবো ভাবছিলাম। কিন্তু সুন্দর সুখের যা কিছু ইচ্ছা তা দমন করার মধ্যেও বোধহয় এক ধরনের গভীরতর সুখ নিহীত থাকে। থাকে না?

আজ চিঠি লিখবোনা তোমাকে। তার বদলে একটি স্বপ্নহার পাঠাচ্ছি, লেখক কবি না। তবুও তার নাম গোপন থাক। কল্পনা করেই খুব লাগছে যে, তুমি আমার চিঠি কোলে নিয়ে বসে আছ, জানালার পাশে। যে মানুষটি তোমার মিষ্টি-গন্ধ কোলের গন্ধ পায়নি কখনও, পাবেও না কোনদিন, তার চিঠি সেই পরশে গর্বিত হয়ে উঠেছে যে, এই ভেবেই কত সুখ।

কি যে দেখেছিলাম তোমার ঐ মুখটিতে কুর্চি। এত যুগ ধরে কত মুখইতো দেখলো এই পোড়া চোখ দু’টি। কিন্তু, কিন্তু এমন করে আর কোনো মুখ’এইতো আমার সর্বস্বকে চুম্বকের মত আকর্ষণ করেনি। ভালো না বাসলেই ছিল ভালো। বড় কষ্টগো ভালোবাসায়। ভালো তো কাউকে পরিকল্পনা করে বাসা যায় না। ভালোবাসা হয়ে যায়, ঘটে যায়। এই ঘটনার ঘটার অনেক আগের থেকেই মনের মধ্যে প্রেম পোকা কুরতে থাকে। তারপর হঠাত’ই এক সকালে এই দুঃখ সুখের ব্যাধি দূরারোগ্য ক্যান্সারের মতই ধরা পড়ে। তখন আর কিছুই করার থাকে না। অমোঘ পরিণতির জন্যে অশেষ যন্ত্রনার সংগে শুধু নীরব অপেক্ষা তখন।

কেউই যেনো কাউকে ভালো না বাসে। জীবনের সব প্রাপ্তিকে এ যে অপ্রাপ্তিতেই গড়িয়ে দেয়। তার সব কিছুই হঠাৎ মূল্যহীন হয়ে পরে। যাকে ভালবাসে তাকে নইলে তার আমিত্বই অনস্তিত্বে পৌঁছায়। হুঁশ থাকলে এমন মুর্খামি কেউ কি করে? বল? সেই জন্যই বোধহয় হুঁশিয়ারি মানুষদের কপালে ভালবাসা জোটে না। যারা হারাবার ভয় করে না কিছুতেই, একমাত্র তারাই ভালবেসে সব হারাতে পারে। অথবা, অন্য দিক দিয়ে দেখলে মনে হয়, যা-কিছুই সে পেয়েছিল বা তার ছিল; সেই সমস্ত কিছুকেই অর্থবাহী করে তোলে ভালবাসা। যে ভালবাসেনি, তার জীবনও বৃথা!
তবুও… বড় কষ্ট ভালবাসায়!

কুর্চি দেখি কি করতে পারি তোমাদের সাথে বেড়াতে যাবার। ইচ্ছে তো কত কিছুই করে। এই জীবনে ক’টি ইচ্ছে পূর্ণ হলো বলো? কারই’বা হয়? এমনিতে আমার অনেক কষ্ট। এমন করে ডাক পাঠিয়ে আর কষ্ট বাড়িওনা। একা একা মজা করতেও বিবেকে লাগে। যার বিবেক বেঁচে থাকে, তার সুখ মরে যায়। সুখী হবার সহজ উপায় বিবেকহীন হওয়া। বিবেক বিবশ হলেই বাঁচি।
ভালো থেকো,

তোমার পৃথু দা”

a:শব্দনীড়ের প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

শব্দনীড়ে সকলের জন্য প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

সুপ্রিয় শব্দনীড় বন্ধু সমীপে।

শব্দনীড় আজ প্রায় ১ মাস ৪ দিন পার করছে। আপনার বা আমাদের শব্দনীড় তার অভিযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১,০২১ টি পোস্ট সঞ্চিত হয়েছে। এবং যার মধ্যে ৮৫৬ টি নতুন পোস্ট প্রকাশিত হয়েছে। বাকি গুলোন খসড়া অথবা অপেক্ষমান ঘরে নিরাপদ জমা আছে। মন্তব্য সংখ্যা ৫,০৭৩ টি। নিবন্ধিত ব্লগারের সংখ্যা ৬৯ জন।

এপার বাংলা অথবা ওপার বাংলার স্বনামখ্যাত ব্লগ, ব্লগস্পট অথবা শব্দনীড়ের মতো ওয়ার্ডপ্রেস এ তৈরী অন্যান্য ব্লগের তুলনায় শব্দনীড় সেখানে অহংকার নয়; গৌরব বোধ করতে পারে। এই সাফল্য শব্দনীড় এর নয়; শব্দনীড় এ যারা শব্দ চর্চা করেন তাদের সকলের। শব্দনীড়ে অংশগ্রহণকারী ছোট বড় সকল লিখিয়ের।

ব্লগার বলতে শব্দনীড় কখনও কাউকে ছোট বড় মাঝারি মনে করে না। সবার জন্যই এই ব্লগ। সকলের অধিকার সমান এমনতর স্বতন্ত্র চেতনায় বিশ্বাস করে। কাউকে অতিরিক্ত সুযোগ দেয়া বা নেয়ায় শব্দনীড় কখনো কল্পনাও করে না। এই ব্লগ সর্বজনীন। সর্বজনীনতা ধরে রাখতে শব্দনীড় অসম্ভব আপোস করতে নারাজ।

চলতি শব্দনীড় এ কয়েকটি নিয়ম বিদ্যমান রয়েছে যা অবশ্যি জানা প্রয়োজন।

সতর্কতা :
www

শব্দনীড় এ লিখা প্রকাশের ৪৮ ঘন্টা পর প্রকাশিত পোস্ট পুনর্বার সম্পাদনা করা যাবে না। সুতরাং পোস্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে তাই সতর্ক সাবধানতা অবলম্বন করুন।

red কারণ :
প্রাথমিক পর্যায়ে সহজ সাধারণ কোন লিখাকে পরবর্তীতে কারু অগোচরে কেউ যেন সংশোধন করে ব্লগকে বিতর্কিত করে তুলতে না পারে এই জন্য সাবধানতা।

যে কোন পোস্ট প্রকাশের দিন থেকে ১৪ দিন পর উক্ত পোস্টে নতুন করে ভিন্ন কেউ মন্তব্য প্রদান করতে পারবেন না। এমনকি লিখক স্বয়ং তাঁর নিজস্ব পোস্টে মন্তব্যের প্রতি-মন্তব্যও দিতে পারবেন না। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা পদ্ধতি।

search_btn সাময়িক সমাধান :

সঞ্চালকের সাথে যোগাযোগ করে সম্পাদনা বা মন্তব্যের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
[email protected]

aaa_3

নিবন্ধন নিয়ে ব্লগারে’র সক্রিয়তা লক্ষ্য করা না গেলে ৬০ দিন পর নিবন্ধিত আইডি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে। পুনঃ নিবন্ধিত হলেও গতি লক্ষ্য করা হবে।

aaaaa2013

মন্তব্যের ঘরে ফটো আপলোডার ব্যবস্থা পূর্বে ছিলো। এখনও আছে। দুঃখজনক যে কেউ কেউ ২ থেকে ৪ মেগাবাইটের ছবি আপলোড করায় মিডিয়া সার্ভার ভারি হয়ে গিয়ে ব্লগের গতি কমে যায়। তাই মিডিয়া url ব্যবস্থা চালু আছে। সার্ভার থেকে মিডিয়া মুছে গেলেও ভিন্ন সাইট থেকে ইমপোর্ট করা img url ছবি থাকবে।

Divider 7a
পরিশেষ : নিজে লিখুন; সহ-ব্লগারের লিখায় মন্তব্য দিন। ব্লগিং হোক সৌহার্দ্যের।
ভালো থাকুন। আনন্দে থাকুন। সর্বোপরি শব্দনীড় এর পাশে থাকুন। ধন্যবাদ।

rrr

ভ্যালেন্টাইন ডে

pink heart shape made of wood with forget-me-not flowers on a rustic wooden background copy space for your text
আজ বিশ্বখ্যাত “ভালবাসা বা Valentine” দিবস। ভালবাসার আবার দিবস কি? হ্যাঁ আছে, ভালবাসা কেবল প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় ভালবাসা সার্বজনীন এবং কোন একটা বিষেষ দিনে এই কথাটাই মনে করিয়ে দেয়া হয় আজ সেই দিন, এতে আমি দোষের কিছু দেখি না। তবে এই দিবসের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক করুণ কাহিনী যা অনেকেই জেনে বা না জেনে দিনটা পালন করে আসছে। এখন বলছি এই দিনের আসল কাহিনী। বিলেতে থাকা কালীন নরউইচ শহরে একটা বিশাল “পাব” (পানশালা) এ কাজ করেছিলাম। তখন ওখানে একটা পুরনো বই থেকে এই তথ্য পেয়েছিলাম ওই বই পড়ে যা পেয়েছি তাই লিখছি।

১২৬৯ খ্রিস্টাব্দের সাম্রাজ্যবাদী, রক্তপিপাসু রোমান সম্রাট ক্লডিয়াস-২ এর সেনাবাহিনীতে সেনা সংকট দেখা দেয়। তার এক বিশাল সৈন্য বাহিনীর দরকার হয়। কিন্তু কেউ তার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে রাজি নয়। সম্রাট লক্ষ করলেন যে, অবিবাহিত যুবকরা যুদ্ধের কঠিন মুহূর্তে অত্যধিক ধৈর্যশীল হয়। ফলে তিনি যুবকদের বিবাহ কিংবা যুগলবন্দী হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। যাতে তারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ না করে। তার এ ঘোষণায় দেশের যুবক-যুবতীরা ক্ষেপে যায় এবং পুরো রাজ্য অসন্তোষ সৃষ্টি হলো।

এ সময় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক জনৈক যাজক সম্রাটের এ নিষেধাজ্ঞা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ছিলেন শিশু প্রেমিক, সামাজিক ও সদালাপী এবং খ্রিস্টধর্ম প্রচারক। তিনি গোপনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করলেন; তিনি পরিচিতি পেলেন ‘ভালবাসার বন্ধু বা ‘Friend of Lovers’ নামে।
প্রথমে তিনি সেন্ট মারিয়াছকে ভালো বেসে বিয়ের মাধ্যমে রাজার আজ্ঞাকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার গির্জায় গোপনে বিয়ে পড়ানোর কাজও চালাতে থাকেন। একটি রুমে বর-বধূ বসিয়ে মোম বাতির স্বল্প আলোয় ভ্যালেন্টাইন ফিস ফিস করে বিয়ের মন্ত্র পড়াতেন। কিন্তু এ বিষয়টি একসময়ে সম্রাট ক্লডিয়াসের কানে গেলে তাকে রাজার নির্দেশ অমান্য করার কারণে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। সৈন্যরা ভ্যালেন্টাইনকে হাত-পা বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে সম্রাটের সামনে হাজির করলে তিনি তাকে হত্যার আদেশ দেয় এবং তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। জেলে থাকাকালীন ভ্যালেন্টাইনের সাথে পরিচয় হয় জেল রক্ষক আস্ট্রেরিয়াসের সাথে। আস্ট্রেরিয়াস জানতো ভ্যালেন্টাইনের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা সম্পর্কে। তিনি তাকে অনুরোধ করেন তার অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে। ভ্যালেন্টাইন তার আধ্যাত্মিক চিকিৎসার বলে মেয়েটির দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন। এতে মেয়েটির সাথে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব গড়ে উঠে এবং একসময় তারা উভয়ের প্রেমে পড়ে যায়। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কারারুদ্ধ হওয়ার পর প্রেমাসক্ত যুবক-যুবতীদের অনেকেই প্রতিদিন তাকে কারাগারে দেখতে আসত এবং ফুল উপহার দিত। তারা তার সাথে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে উদ্দীপ্ত রাখত। ভ্যালেন্টাইনের ভালোবাসা ও তার প্রতি দেশের যুবক-যুবতীদের ভালোবাসার কথা আর এই আধ্যাত্মিকতার সংবাদ শুনে সম্রাট তাকে রাজ দরবারে ডেকে পাঠান এবং তাকে রাজকার্যে সহযোগিতার জন্য বলেন। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন বিয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা না তোলায় সহযোগীতায় অস্বীকৃতি জানান।

এতে রাজা ক্ষুব্ধ হয়ে ১২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যুদন্ড ঘোষনা করেন। মৃত্যু দন্ডের ঠিক আগের মূহুর্তে ভ্যালেন্টাইন কারা রক্ষীদের কাছে একটি কলম ও কাগজ চান। তিনি মেয়েটির কাছে একটি গোপন চিঠি লিখেন এবং শেষাংশে বিদায় সম্ভাষনে লেখেন ‘From your Valentine’ অতঃপর ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ১২৭০ খৃঃ ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। সেই থেকে সারা বিশ্বে ‘বিশ্বভালবাসা দিবস’ পালন করা হয়।
b0cc2e091470d6c3b3cf96e41eb4fa9a
আসুন আমরা সবাই সবাইকে সারাদিন ভরে সারা বছর ভরে ভালবাসি, ভালবাসা ছাড়া যে এই মায়াময় পৃথিবী বিষাদময়। ভালবাসার চিহ্ন হিসেবে ছোট্ট হলেও ভালবাসার জনকে কিছু উপহার দেই এবং ভালবাসার জন যা দেয় তাতেই যেন আনন্দ খুজে নেই।
ধন্যবাদ সবাইকে, সবার জন্য ভালবাসা!Rose 6

a:ব্লগ উন্নয়নের কাজ চলছে এবং নতুন কমেন্ট বক্স যুক্ত হলো

cmmnt1
এরর (কর্মহীন) কমেন্ট বক্স।

প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা।
শব্দনীড় এর শুভেচ্ছা নিন।

পোস্টের কমেন্ট বক্স উন্নয়নের জন্য আমরা চেষ্টা করে চলেছি। শব্দনীড় যে কোন আধুনিকতায় বিশ্বাস করে বিধায় নতুন নতুন স্ক্রিপ্ট সংযোজনের চেষ্টা অব্যহত রেখেছে।

নতুন কমেন্ট বক্স পরীক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে। এই উন্নয়ন টুকু সাফল্য না পেলে আমরা আবার ডিফল্ট কমেন্ট বক্স এ ফিরবো অথবা নতুন কিছু চেষ্টা করবো। ব্লগিং এ অনভিপ্রেত এমন সমস্যার জন্য শব্দনীড় সবার ধৈর্য্য আশা করছে।

শব্দনীড় এর সাথে থাকুন। শব্দনীড় হোক আপনার বন্ধু। ধন্যবাদ।

বাগানের ফুল তুলতে মানা

ফুলের বাগান। ফুল ফুটেছে। বসন্ত কাল। মাথা উঁচিয়ে ফুলেরা তাকিয়ে থাকে। রঙে রঙে বাতাস অস্থির। এর মধ্যে চোখে পড়ে সতর্ক বার্তা। ‘ফুলে হাত দেবেন না।’ ‘ফুল তুলবেন না। ফুল বাগানের সৌন্দর্য।’ তারপরও কেউ কেউ ফুল তোলে। ফুল তুলে ভালবাসা জানায়। গোলাপের রক্ত ঝরলেই কি আর কেউ কাঁদলেই কি! প্রকাশ তো করতে হয়। মানুষ ভালবাসা প্রকাশে ফুল দেয়। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। মানুষ মরে গেলে মৃতদেহের বুকে ফুল তুলে দেয়। অথচ ফুল বাগানের সৌন্দর্য।

ফুল নিয়ে চমৎকার ব্যবসা আছে। ফুল চাষ হয়। ফুল বেচেই কেউ কেউ লাখপাতি। বাগান ছাড়াও ক্ষেতে ফুল আবাদ হয়। ক্ষেতে একটি গোলাপের মূল্য পড়ে দেড়-দু থেকে তিন টাকা। শহরের সাজানো দোকানে েএনে রাখলে পনেরো-কুড়ি-পঁচিশ। বিশেষ দিনগুলোয় ত্রিশ-পঞ্চাশ-একশ। তারপর যার কাছে যেমন ঠুকে নেয়া যায়। কাউকে উপহার দিতে দরদাম দেখলে চলে না। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে দর কষাকষি ক্ষুদ্র মানসকিতার লক্ষণ। কেউ ফুল পেয়ে ধন্য। কেউ খুশি। কেউ ধরে রাখে। গন্ধ শুঁকে। কেউ খোঁপায় গোঁজে। কেউ বইয়ের পাতায় রেখে দেয়। আবেগ আর আবেগ। ফলে ফুল বাণিজ্য কর্পোরেট বা সিন্ডিকেট ব্যবসার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।

এই বাণিজ্যের কোনো যুক্তি আছে কি? কেউ কেউ তাই বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন। সিদ্ধান্ত আমার-আপনার। ফুলের পরিবর্তে অন্যকিছু মাধ্যম অনুসরণ করা যায় না? ধরুন একটি ছবি দিই। মাস্টারপিস। একটি কবিতার বই। একটি ভালো ছায়াছবি। ইত্যাদি। সে আপনার ভাবনা আপনার সৃজনশীলতা।

বাগানের ফুল বাগানে থাকতে দিন। আমাদের প্রকৃতি ফুলে ফুলে রঙে রঙে যে দৃশ্যছবি এঁকে যায়, যে সৌন্দর্য তুলে ধরে; সেটিকে অক্ষুন্ন রাখুন। ফুল তোলা নয়। মনের আকুতি দিয়ে অন্যকোনো উপহার বা প্রতীকি ব্যবহার করুন। শ্রদ্ধা জানাতে অর্থ বা অন্যকোনো অনুদান দিন। ফুলকে থাকতে দিন ফুলের জায়গায়। বাগানে সৌন্দর্য আসুক।