ট্যাগ আর্কাইভঃ ইসিয়াকের কবিতা

প্রণয় উষ্ণতার জন্য

তোমার বিশুদ্ধ আগুনে
আমি ঝাঁপ দিতে গিয়ে দেখি,
তুমি অন্যের হাত ধরে,
তার আবেগ, স্ফীতি এবং অনুভূতির প্রতি নিজেকে রক্ষিত করে
চলে গেছো বহুদূর।

বজ্রগর্ভ–অন্তরের গভীর থেকে উঠে আসা চিৎকার,
সগৌরবে বলে, এসো, জেগে উঠি সুপ্রাচীন কোলাহলে।
মিনতি ,আর্তনাদ,আকুলতা।
তুমি সাড়া দাও না।
আমি কান্না লুকাই এখন অনাবৃত সরোবরে।
দেখ দেখি দুঃখগুলো,
কষ্টের স্রোতে কীভাবে যাচ্ছে ভেসে
অকাল বন্যায়।

কতটুকু ভালোবাসা দিলে,
আমার একলা রাতের
নিঃসঙ্গতাগুলো তোমার শীতল অনুষঙ্গে উষ্ণতা ছড়াবে?
কতটুকু ভালোবাসা দিলে,
প্রেমের শান্তি মঙ্গল উঠে দাঁড়াবে বুকসমান উঁচু জলে।
থমকে যাবে তোমার–আমার গল্প
ইচ্ছের প্রাচীর ঘিরে।

প্রকৃতি ও প্রণয়

প্রমত্ত অলিকুল গুঞ্জরিছে কুঞ্জবনে।
সৌহার্দ্যে অনবরত।
সকল নবীন পাতা ফুল,
থমকিয়া চমকিয়া দেখিছে তাহা, প্রকৃতিতে।
নিলাজ দৃষ্টি লইয়া উন্নত চাহনিতে,
অনুষ্ঠিত নানা মান অভিমান পর্ব সকল।
জড়াইয়া লইবার বাসনায় বাসর সোহাগে,
নিজস্ব জীবন চক্রের অর্ন্তভুক্তিতে।

শেষ পরিনাম

চলতে পথে যেতে যেতে কোন একদিন,
মনে হলো এলো বুঝি ফাগুনের দিন।

কেউ একজন বলেছিলো প্রিয়, ভালোবাসি।
হাতছানি দিয়েছিলো, সাথে মিষ্টি হাসি।

কপোলখানি ঢাকা ছিলো উদাসী চুলে,
অধরের হাসিটুকু কি করে যাবো ভুলে?

কুসুম কোমল রূপে তার সোনালী আভা,
পটলচেরা চোখে ছিলো আলোকিত প্রভা।

মনের ভুলে মুগ্ধতায় জানা হয়নি তার নাম ,
স্মৃতিটুকু শুধু রয়ে গেছে শেষ পরিনাম।

শ্রীরাধিকার মন


শ্যামের বাঁশির দোদুল দোলা ,
শ্রীরাধিকার মনে।
প্রেম বিরহে কাটে অহর্নিশ,
দুরন্ত ভরা যৌবনে।

কৃষ্ণ অভিমুখে সদা সর্বদা
রাইকিশোরীর দুনয়ন ।
অন্তর কাঁপে অবিদ্যমানতায়,
অস্থির চঞ্চলমন।

হায় রাধিকা কি হেতু তুমি,
এতোটা অভিমানী।
কৃষ্ণ তোমার, তোমারই আছে ,
রইবে তোমার ই জানি।

অবিনশ্বর প্রেম এমনিতো হয়,
শত অভাব জ্বালা ।
মদিরা মাতাল তব জীবন মন,
যেন কণ্টক মালা।

সাধনার ধন শ্যাম প্রিয়জন,
হৃদয় মানিক্য তোমার।
তাহাতে বিলীন তব মনপ্রাণ
তাহাতেই একাকার।

শীতার্ত

শীতপ্রহরে হিম কুয়াশা নিয়ে,
কাব্য হতে পারে।
কাব্য কথায় শীতার্তের
দুঃখ ঘোচে নারে?

কত মানুষ সম্বলহীন,
নাইকো ভবিষ্যত।
বলতে গেলেই নানান যুক্তি,
নানান মতামত ।

যে মানুষগুলো পথের পাশে
থরথরিয়ে কাপে!
কে জানে শাস্তি পায় কেন,
কার কর্মের অভিশাপে?

সবার ই তো আছে একরকম
মাথার উপর ছাদ।
কারো কারো আরো বেশী ই আছে,
এক কথায় রাজপ্রাসাদ।

ভন্ডামি আর চাটুকারে,
ভরে গেছে দেশ!
সবকিছুতে ই ফাজলামি,
লজ্জার নাই রেশ।

একটি জামা একটি কম্বল,
এতেই কি সমাধান!
ফেসবুকে পোষ্ট, টুইটারে পোষ্ট
দারুণ গুনগান!

এসব ছাড়ো ঝেড়ে কাশো,
মুখোশ খুলে রাখো ।
শীত নাটকের ফটোসেশন
আর দেখতে চাই নাকো।

চলো সবাই এগিয়ে যাই,
দুঃখী মানুষের অভাবে।
শীতার্তের পাশে দাঁড়াই
সরল মনোভাবে।

আঁধার ভাঙা সূর্য [১৯৭১ এর কবিতা]

আঁধার ভেঙে দেখা দিলো নতুন আলোর রবি।
শোষণের মাঝে লুকিয়ে ছিলো স্বাধীনতার ছবি।

বহু দিনের অপমানের আর শোষনের বঞ্চনা।
ক্রমে ক্রমে রুপান্তরিত হলো মুক্তির চেতনা।

সীমার বাঁধন অতিক্রমে গর্জে উঠলো জাতি।
বাঁধার বিন্ধ্যাচল পেরিয়ে এলো, নতুন প্রভাতি।

লড়াই হলো রক্ত নিলো পাক সেনাদের দল।
বুকের মাঝে বইলো ব্যথা চোখে অশ্রুজল।

সেই রক্ত জলে শপথ নিলো, দৃপ্ত তরুনেরা,
সর্বোচ্চ ত্যাগে জীবন দিলো বীর মুক্তিসেনা।

লক্ষ মা বোনের অপমানের অসহ্য শোকগাঁথা ,
শুনতে লাগে বুঝি এ এক অবাস্তব রূপকথা।

রূপকথা নয় রূপকথা নয় এই তো স্বাধীনতা
বাংলা মায়ের জন্মকালীন কষ্টের শোক গাঁথা।

অপেক্ষা

ইচ্ছে ছিলো মন ভেজাবো,
তোমার হাতটি ধরে।
ভাবনাগুলো দিক হারালো,
অমানিশার ঘোরে।

ফূল ফুটেছে ঝিলের জলে,
জলাকার চিকচিক।
স্বপ্নগুলো মেলবে পাখা,
ফিরলে তুমি ঠিক ঠিক।

সেই আশাতে ই গুনগুনিয়ে,
গাইছি দেখো গান।
রাত নিশিতে ছন্দ সুরের,
মিলিত ঐক্যতান।

কি চাই তোমার মানসীপ্রিয়া,
কিসে তুমি খুশি ?
কি পেলে তুমি হাসবে বলো
মন ভোলানো হাসি?

বলেছিলে ফিরবে তুমি,
আসবে তুমি কাছে।
ভাবনাগুলো আঁকছে ছবি,
অলীক উল্লাসে।

প্রদোষকাল[ ১৯৭১ এর কবিতা]

ঘনান্ধকার আঁধার নক্তে।
অপ্রার্থিত অশনি নিনাদ,
আসুরিক আর্তচিৎকারে অকস্মাৎ প্রকম্পিত ব্রহ্মাণ্ড ।
অপ্রত্যাশিত,অনাকাঙ্খিত
পাকসেনারা এলো ছুটে…..।

অজ্ঞাত অবিদিত আক্রোশে
অত্যাচারীর বুটের উদ্ঘাতে,
অশ্রাব্য গালি…..।
গুলিতে রক্তে বারুদের ঝাঁঝালো দুর্গন্ধে
ছিন্ন বিছিন্ন মানুষ এবং মানবতা।
হায়েনার হিংস্র ছোবলে
অবিলম্বে
রক্তাক্ত হলো মা মাটি দেশ
আমাদের সম্মান , আমাদের গৌরব
আমাদের সমুদয় অহংবোধ।

দেশ ভাগের সূচনা হতে উপারম্ভ
যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা সমূহ।
তারই পরম্পরাগত ঘটনা।
সেই অপ্রত্যশিত তিমির রাতে
কেড়ে নিলো আমাদের সকল অধিকার
হিংস্র নরপিশাচের দল……।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন রাষ্ট্রের ঘোষণা এলো অবিলম্বে……
যার নাম
“বাংলাদেশ”

রূপ সোহাগী

ফুল ফুটেছে নিঝুম বনে
জোছনা জাগা রাত্রি।
তুমি আমি এই প্রহরে
একলা পাত্র পাত্রী।

নদীর জলে ঢেউগুলো সব
আঁকছে আঁকি বুকি।
এসো দুজন এই আহ্লাদে,
জোছনা নিয়ে মাখি।

জল কিনারে কাশফুলেরা,
খেলছে মজার খেলা।
গুল্ম লতা জড়িয়ে তারে,
দুলছে দোদ্যুল দোলা।

জোনাক পোকা দুষ্টু ভারি,
জ্বলছে আর নিভছে।
দুর নীলিমার নীলগুলো সব
ঝাপসা ছবি আঁকছে।

বাতাস এসে কানে কানে
আমায় যেন বলল।
জুটি তোমার মানিয়েছে বেশ
নয়কো কারো তুল্য।

আমি বীরাঙ্গনা বলছি

এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।
এখনো চামড়ার বেল্টের বীভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয় বার বার।
এখনো চাপ চাপ ব্যথা আমার হাড়ে মাংসে, অস্থি মজ্জায়, প্রতিটি গিরায় গিরায়।

ওরা আমায়! ওরা আমায়!!
জানো তো, আমি ওদের ভাই ডেকেছিলাম।
তারপরে বাবাও ডেকেছি!
দাদুও ডেকেছি হয়তো তীব্র অশালীন ব্যথার ঘোরে!!
মনে নেই।
মনে নেই! মনে নেই!! মনে নেই!!!
আমি অনেক কিছুই চাইনি। চাইনি মনে রাখতে।
চাইনি ! চাইনি!! চাইনি!!!
আমি এসব কিছুই চাইনি।
এতটা পাশবিক, বীভৎস কি করে হয় মানুষ।
ওরা কি কোন মায়ের সন্তান নয়?
আমার অসহায় মুখের দিকে তাকিয়ে কি মনে পড়েনি?
নিজের মা বা বোনের কথা।
অথবা মেয়ের কথা?
ছি! ওয়াক থুহ!!
নরপিশাচের দল।
ওরা নাকি আমার ধর্মের ভাই!!
ধর্ম ? হায় ধর্ম!!
ধর্মে আমার আর বিশ্বাস নাই।
ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত হলো দেশ।
লক্ষ কোটি মানুষ হলো নিঃস্ব, অসহায় ভিক্ষুক।
ভিটামাটি হারা।
ধর্মের নামে চলে হত্যা খুন পাশবিক অত্যাচার।
এত পাপ তুমি কি করে সইলে বিধাতা!
এত পাপ তুমি কি করে সও?
দেশ তো স্বাধীন হলো।
তুমি কি আমায় বলতে পারো ? আমি এখন কোথায় যাবো?
কার কাছে যাবো?

চির দুখিনী মা

জয় বাংলার হলো,
বলো বাংলার জয়।
বাঁধ ভাঙা আনন্দে,
জনতা স্লোগান দেয়।

সবার ই কেউ না কেউ ফিরলো
মায়ের ফিরলো না যে কেউ!
বিজয়ের আনন্দে বুকের মাঝে ,
কষ্ট ব্যথার ঢেউ।

যুদ্ধে গেছে তার প্রাণপ্রিয় ছেলে,
মেয়ে এখন বীরাঙ্গনা।
প্রতি পল যেন তাঁর জীবনে,
হাহাকার ভরা বেদনা।

স্বামী ছিলো বুদ্ধিজীবী,
তুলে নিয়ে গেলো আল বদরে ।
লাশটুকু ও পাইনি দেখতে,
প্রাণ কাঁদে হাহাকারে।

যুদ্ধ শেষে আশা ছিলো,
ফিরবে খোকা কোলে।
ডাকবে আবার আগের মতো,
মা, মাগো বলে।

সবার ই তো সবাই ফিরলো,
মায়ের ফিরলো না যে কেউ!
কি করে কাটাবো বাকী জীবন,
কষ্ট ব্যথার ঢেউ!!

ফিরে দেখা একাত্তর

মহাবিদ্রোহের পথ ধরে
বাংলার আকাশে আজ মেঘের ঘনঘটা।
তীব্র বারুদ স্ফুলিঙ্গ ঠিকরে পড়ে যেন,
প্রতিটি বাঙালির চোখে মুখে সাথে আত্মবিশ্বাস।

রক্তাক্ত পিচঢালা পথ।
বাতাসে টাটকা বারুদের গন্ধ,
রক্তে মুজিবের দুর্দমনীয় ভাষণ।
যেন খেলা করে সর্বদা
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,
জয়বাংলা জয়বাংলা
নতুন পতাকা। আমার পতাকা।
মিটিং, মিছিল, অসহযোগ……
চারদিক ফিসফাস,
সন্দেহ, অবিশ্বাস….।
ভাঙনের শব্দ,
স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর।
নবযৌবন হতে উৎসারিত সদ্যোজাত শিশুর আগমনী ধ্বনি সর্বত্র।

অপর দিকে
পাকি নরপশুদের তীব্র নিষ্ঠুর পাশবিক হুঙ্কার,
বর্বরোচিত অত্যাচার, হামলা, অমানবিক নির্লজ্জ আচরণ,
গুলি বেয়নেট….
অসহায় বাঙালির তীব্র আর্তচিৎকার,
আমার বোনের তীব্র কষ্টের চিৎকারে ভারী বাতাস,
অশ্রাব্য ভাষায় কটুক্তি।
সাথে বেইমান
বর্বর রাজাকার আলবদর আল শামস নামের
দেশীয়
হায়েনারা বেহায়া হাসিতে আকাশ বিদীর্ণ…।
লুটপাট, নির্লজ্জ বেহায়াপনা, মিথ্যাচার
তবু ও
বাঙালি দামাল ছেলেরা রক্ত শপথে আজ দৃপ্ত।
মৃত্যুকে তারা করেছে জয়।
আমার বোনেরাও আজ তৈরি অগ্নি শপথে।

মায়ের চোখে নেই কোন জল
আছে শুধু ঘৃণা….. চাই প্রতিশোধ, প্রতিশোধ, প্রতিশোধ।
চলবে লড়াই
লড়াই লড়াই
মাতৃভূমি কে মুক্ত করার অভিপ্রায়ে ……

চব্বিশ বছরের শৃঙ্খল
ভাঙার অঙ্গীকার আজ সর্বত্র
মাতৃভাষার রক্ষার সুচনা থেকে যার উৎপত্তি
শকুনীর ব্যবচ্ছেদে আজ আর ভয় নাই
দিতে পারে লক্ষ প্রাণ দেশ মাতৃকার চরণে …..।
নিঃশেষে প্রাণ করিলে দান ভয় আর কি !

আবোল তাবোল

খুব করে হিম পড়েছে
পানি বেশ ঠাণ্ডা!
সেই পানিতে মা ’মাগুর’
পাড়লো শ’খানেক আণ্ডা।

আণ্ডা দেখে বোয়াল রাজা
হো হো করে হাসে।
ডিমগুলো খাবার লোভে,
খুশখুশিয়ে কাশে।

ভাব দেখে ব্যাঙের ছানা
বুঝলো কি হচ্ছে।
সেই কারণে তৎক্ষণাৎ সে
নালিশ নিয়ে যাচ্ছে।

মা ’মাগুর’ ঘটনা শুনে
রেগে মেগে ই সারা।
দেখাবে সে হাইকোর্ট,
হোক সে যে বা যাহারা।

মৎসসকল শুনতে এলো,
কিসের এতো গোলমাল।
মা ’মাগুর কেঁদে জানালো,
খবরাখবরের ফিল হাল।

সবাই মিলে সিদ্ধান্ত হলো
আর সইবে না অন্যায়।
দলে দলে মাছেরা সব
বাধলো যে জোট তাই।

এত বছরের দুর্নীতি,
আর যত অনিয়ম।
সব দোষের ই সাজা হবে
অপরাধ ভেদে বেশী বা কম।

চলো সবাই বোয়ার রাজের
গদি দেই উল্টিয়ে।
সশস্ত্র সংগ্রামে যত অনিয়ম
যাবে একদিন ঠিক পাল্টিয়ে।

সাহস করে ব্যবস্থা নিলে
করলে সঠিক প্রতিরোধ।
অত্যাচারী পরাজিত হবেই
বুঝতে হবে রে নির্বোধ ।

মধুরিমাঃ তোমাকেই খুঁজছি

মধুরিমা,
নীল আকাশে মাঝে আমি তোমায় খুঁজি,
খোলা দিগন্তের শেষে আমি চোখ মেলি……
যে পথে তুমি চলে গেছো একদিন
বিষন্ন মন নিয়ে আমার ই ভুলে !!
একই পৃথিবী একই আকাশ
খোলা প্রান্তর পথ নদী ঘাট
তবু তোমার কাছে পৌঁছাবার কোন উপায় জানা নাই।
ঠিকানা না রেখে এক বুক হতাশায়
শুধু দীর্ঘশ্বাস হয়ে কোথায় হারিয়ে গেলে……প্রিয়তমা।

অবনত অপরাধবোধের দীর্ঘশ্বাস সর্বত্র
চকিতে হাঁটাপথে তোমাকেই খুঁজে ফেরা,
এখনো এলে না এলে না ….
তবে কি আর কখনো দেখা হবে না?

অগ্রহায়ণের গান

অগ্রহায়ণে আজ দোদুল্য প্রাণ,
বাতাসে নতুন ধানের ঘ্রাণ ।
ছুটলো ছুটে মন যে মোর,
রাত্রি শেষে নতুন ভোর।

দূর্বা সাজে হিম বাহারে,
সেই স্পর্শে ফুল প্রকাশে।
আবছায়ার এক ঘোরের মাঝে,
জুঁই কলিরা নিত্য হাসে।

এক ছুটে ধায় কাঠ বিড়ালী,
সাতসকালে গুড় পাটালি!
শীতসকালে ঘুমের ঘোর,
লেপ বালিশের মিষ্টি আদর।

ভাবনা কেবলি স্বপ্নে ছোটে,
পিঠার গন্ধে হাসি ফোটে!
প্রভাত কালে আলো বিকাশে
মেঘ কুয়াশা যায় দুর দেশে।।